اداره النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
پیش کرتے ہیں
পরিবেশিত
Presents
بنگالی ترجمہ
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
عنوان:
শিরোনাম:
Titled:
پریس ریلیز – جو اپنے مسلمان بھائی کی حاجت روائی کرے تو اللہ اس کی حاجت روائی کرے گا
“যে ব্যক্তি নিজ মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করবে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করবেন!”
Press Release : Allah will help him who helps his brother in distress!
پی ڈی ایف
PDF (302 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৩০২ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/je-bekti-nij-bhaier/je%20bekti%20nij%20bhaier%20.pdf
https://drive.proton.me/urls/XEYWX52V7M#kNxVk4qJDqg2
https://www.mediafire.com/file/uta4tgnfhg9gakj/je+bekti+nij+bhaier+.pdf/file
ورڈ
WORD (173 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [১৭৩ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/je-bekti-nij-bhaier/je%20bekti%20nij%20bhaier%20.docx
https://drive.proton.me/urls/JNF59N122W#oPwKRp9a5i0i
https://www.mediafire.com/file/di5muzejnx6g6lq/je+bekti+nij+bhaier+.docx/file
page [3.4 MB]
পেইজ [৩.৪ মেগাবাইট]
https://archive.org/download/je-bekti-nij-bhaier/je%20bekti%20nij%20bhaier%20.zip
https://drive.proton.me/urls/KN2Y1X7RPR#W7tdrjFHcXJo
https://www.mediafire.com/file/h2kx8c6j8x52s6z/je+bekti+nij+bhaier+.zip/file
غلاف ٢
Banner [744 KB]
ব্যানার [৭৪৪ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/je-bekti-nij-bhaier/je%20bekti%20nij%20bhaier%20.png
https://drive.proton.me/urls/WRM84K6WP4#WGCQIXHGqRGQ
https://www.mediafire.com/file/crkd2komk4g5byb/je+bekti+nij+bhaier+.png/file
اپنی دعاؤں میں ہمیں یاد رکھيں
اداره النصر براۓ نشر و اشاعت
القاعدہ برِّ صغیر
আপনাদের দোয়ায়
আন নাসর মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent
====================
তারিখ: 27 শে সফর, ১৪৪৫ হিজরী / ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ঈসায়ী
“যে ব্যক্তি নিজ মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করবে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করবেন”
(মরক্কো’র ভূমিকম্প ও লিবিয়া’র বন্যা উপলক্ষে বার্তা)
الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على سيد الأنبياء والمرسلين وعلى آله وصحبه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين، أما بعد
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক নবী রাসূলদের সরদার মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবী রাযিয়াল্লাহু আনহুমের উপর এবং কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তাঁদের অনুসারী ও ভক্ত অনুরাগীদের উপর।
আল্লাহ জাল্লা জালালুহু ইরশাদ করেন:
مَا أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ﴿١١﴾
অর্থঃ “আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিরেকে কোনো বিপদ আসে না এবং যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।” (সূরা তাগাবুন ৬৪:১১)
নিঃসন্দেহে এই জগতে কোনো কিছুই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার ইচ্ছা ছাড়া হয় না। দুঃখ, দুর্দশা ও বিপদাপদ দ্বারা স্বীয় বান্দাদেরকে পরীক্ষা করার মাঝে আল্লাহ তাআলার গভীর প্রজ্ঞার নিদর্শন রয়েছে। ফলে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন প্রকার বিপদ পাঠিয়ে মানবজাতিকে সাধারণভাবে এবং ঈমানদারদেরকে বিশেষভাবে পরীক্ষা করেন।
তিনি দেখতে চান, কারা আল্লাহর নিদর্শন দেখে ঈমান আনে। আরও দেখতে চান, কারা ঈমান আনার পর আগত বিপদাপদ ও কষ্টের মুখোমুখি হয়ে ধৈর্য ধারণ করে এবং নিজেদের ঈমান ও আকীদার উপর অটল-অবিচল থাকে। এমন ব্যক্তিদের জন্যই আল্লাহর সন্তুষ্টির ঘোষণা রয়েছে। কুরআনে কারীমে অপর এক স্থানে আল্লাহ জাল্লা জালালুহু ইরশাদ করেন:
وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ ﴿١٥٥﴾ الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ﴿١٥٦﴾ أُولَٰئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ ﴿١٥٧﴾
অর্থ: “আর অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়াত প্রাপ্ত।” (সূরা বাকারা ০২: ১৫৫-১৫৭)
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, মরক্কো ও লিবিয়াতে সংঘটিত ভূমিকম্প ও বন্যার কারণে মোট প্রায় নয় হাজার (৯,০০০) জন মৃত্যুবরণ করেছেন [প্রায় তিন হাজার (৩,০০০) জন মরক্কোতে এবং ছয় হাজার (৬,০০০) জন লিবিয়াতে]। কয়েক হাজার লোক আহত অবস্থায় আছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই দুর্যোগের কারণে বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন। এই মুহূর্তে তারা বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা করছেন। শুধু মরক্কোতেই দুর্যোগ কবলিত শিশুর সংখ্যা এক লক্ষ (১০০,০০০) এর অধিক!
حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ
“আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, আর তিনিই উত্তম কর্ম বিধায়ক।”
إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
“আমরা সকলেই আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।”
এই দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণকামী, স্বেচ্ছাসেবী, দাতব্য সংস্থা এবং দাওয়াত ও তাবলীগের সঙ্গে জড়িত হযরতদের কাছে আবেদন পেশ করছি –
তারা যেন প্রতিযোগিতা করে আপন মুসলিম ভাই, বোন, শিশু ও বৃদ্ধদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। নিজেদের অর্থ-সম্পদ, আসবাবপত্র ও যোগ্যতা (উদাহরণস্বরূপ চিকিৎসা, অন্তর্বতীকালীন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা) কাজে লাগিয়ে দুর্যোগ পীড়িত ঈমানদারদের সাহায্য করেন। এই কঠিন সময়ে তাদের জন্য আশ্রয় হন।
সাধারণ মুসলিমদের প্রতি আমাদের আবেদন –
জাতিসংঘ, পশ্চিমা রাষ্ট্রসমূহ এবং তাদের অনুগত অথবা তাদের সাথে যুক্ত অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে সহায়তা পাঠাবার পরিবর্তে মুসলিমদের তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত সংস্থার মাধ্যমে আপনাদের অর্থ-সম্পদ ও সাহায্য-সহায়তা সামগ্রী প্রেরণ করুন।
দীনের দাঈদের জন্য এ সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা শুধু আল্লাহর জন্য দুর্যোগ পীড়িত মুসলিম ভাই-বোনদের সাহায্য-সহযোগিতার সুযোগ কাজে লাগাবেন এবং সেই সঙ্গে তাদেরকে ধৈর্য ধারণের জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত বিপদ-আপদে সন্তুষ্ট থাকতে উৎসাহিত করবেন। (ইনশাআল্লাহ)
কঠিন এই সময়ে মুসলিম স্বেচ্ছাসেবক এবং দাঈ হযরতগণের জন্য অত্যন্ত জরুরি হলো-
আর্থিক সাহায্য-সহায়তা, খাদ্যদ্রব্য, শরীর ঢাকার জন্য ঋতুবান্ধব পোশাক-পরিচ্ছদ, অস্থায়ী ও স্থায়ী বসবাসের নির্মাণ সামগ্রী, উপযুক্ত ব্যক্তিদেরকে বুঝিয়ে দিবেন। মুসলিমদের ঈমান ও আকীদার হেফাযতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। কারণ এমন দুর্যোগপূর্ণ সময়ে পশ্চিমা মিশনারি সংস্থাগুলো নিজেদের সহায়তা সামগ্রী নিয়ে মিশনারি কার্যক্রম পরিচালনা করে সরলপ্রাণ মুসলিমদের আকীদা-বিশ্বাস নষ্ট করার অপচেষ্টা চালায়। বর্তমান সময়ে মিশনারি কার্যক্রমের উদ্দেশ্য কিছুটা পাল্টে গিয়েছে। আগে এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য কাজ করতো। এখন তাদের দাওয়াতের প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষকে ধর্মহীন ও বদ-দীন বানানো।
ঈমানদারদের বিরুদ্ধে গোটা পৃথিবীতে চলমান যুদ্ধের প্রথম সারিতে যুদ্ধরত ইসলামের মুজাহিদগণ জিহাদের ফরয দায়িত্ব পালন এবং শত্রুর পক্ষ থেকে বাধা-বিপত্তির কারণে সহায়তা সামগ্রী নিয়ে অগ্রসর হতে পারছেন না। অন্যথায় (আল্লাহর ইচ্ছায়) উম্মাহর মুজাহিদদের এক বিরাট অংশ এই দুর্যোগের পর আপন মুসলিম ভাই-বোনদের সাহায্য-সহযোগিতায় অবশ্যই পৌঁছে যেতেন। মুজাহিদগণ নিঃসন্দেহে এই উম্মাহর সন্তান, তাদেরই প্রতিরক্ষাকারী ও সেবক।
সহায়তা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ভাইদেরকে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বরকতময় সুসংবাদ শোনাতে চাই –
আবদুল্লাহ ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ لاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يُسْلِمُهُ وَمَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَخِيهِ كَانَ اللهُ فِي حَاجَتِهِ وَمَنْ فَرَّجَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً فَرَّجَ اللهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرُبَاتِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
“মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার উপর জুলুম করবে না এবং তাকে জালিমের হাতে সোপর্দ করবে না। যে কেউ তার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে, আল্লাহ তার অভাব পূরণ করবেন। যে কেউ তার মুসলিম ভাইয়ের বিপদ দূর করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহ দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ ঢেকে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন।” (সহীহ বুখারী: ২৪৪২, সহীহ মুসলিম: ২৫৮০)
আমরা আল্লাহ জাল্লা জালালুহুর কাছে দোয়া করি, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের যে সমস্ত মুসলিম ভাই-বোন পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তারা যেন মাগফেরাত ও ক্ষমা লাভ করেন, তারা যেন শহীদদের মর্যাদা অর্জন করেন।
আল্লাহ তাআলা যেন তাদের প্রতি রহম করেন এবং জান্নাতকে তাদের ঠিকানা বানিয়ে দেন।
আল্লাহ তাআলা যেন আহতদেরকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করেন এবং বাস্তুহারা মুসলিম ভাই-বোনদের সাহায্য করেন।
আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ধৈর্য ধারণের তাওফীকের পাশাপাশি বিরাট প্রতিদান থেকেও যেন বঞ্চিত না করেন। (আমীন ইয়া রাব্বুল আলামীন)
আমরা লিবিয়া ও মরক্কোর দুর্দশা পীড়িত জনগণের প্রতি সমবেদনা ও সান্ত্বনা হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বরকতময় হাদীস স্মরণ করিয়ে দিতে চাই –
আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
الشُّهَداءُ خَمْسَةٌ: المَطْعُونُ، والْمَبْطُونُ، والْغَرِقُ، وصاحِبُ الهَدْمِ، والشَّهِيدُ في سَبيلِ اللهِ عزَّ وجلَّ
“(পারলৌকিক পুরস্কারে পুরস্কৃত হওয়ার দিক দিয়ে) শহীদ পাঁচ ধরনের; (১) প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত, (২) পেটের রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত, (৩) পানিতে ডুবে মৃত, (৪) কোনো কিছুর নিচে চাপা পড়ে মৃত এবং (৫) আল্লাহর পথে (যুদ্ধরত) অবস্থায় শাহাদাত বরণকারী।” [সহীহ মুসলিম: ১৯১৪]
وآخر دعوانا أن الحمد للہ رب العالمین وصلی اللہ تعالیٰ علی نبینا الأمین!
তালেবানের মেয়ে- এর পিডিএফটি লাগবে।