অডিও ও ভিডিওআল-কাদিসিয়াহ মিডিয়াইলম ও আত্মশুদ্ধিবই ও রিসালাহবাংলা প্রকাশনামিডিয়াশাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

পৃথিবীকে যেভাবে বাঁচানো সম্ভব- ঊসামা বিন লাদিন


مؤسسة القادسية للإنتاج الإعلامي

আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া

تقدم

পরিবেশিত

الترجمة البنغالية لإصدار السحاب المرئي

বাংলায় অনূদিত আস-সাহাবের মুক্তিপ্রাপ্ত ভিডিও

 

السبيل لأنقاذ الأرض

পৃথিবীকে যেভাবে বাঁচানো সম্ভব

للشيخ

লেকচার প্রদানকারী শাইখ


أسامة بن لادن


ঊসামা বিন লাদিন

رزقه الله الفردوس الأعلى

আল্লাহ্ তাঁকে জান্নাত-উল-ফিরদাউস নসীব করুন

للمشاهدة المباشرة على اليوتيوب

للتحميل

الجودة العالية

(56 MB)

https://banglafiles.net/index.php/s/qDETnosikmKRWd9

http://archive.org/download/Save_Earth_Osama/STE.mp4

http://www.mediafire.com/file/qejmlvde7yi9vwd/31.STE.mp4/file

الجودة المتوسطة

(34.4 MB)

https://banglafiles.net/index.php/s/i2SwiGS8JYg2AsP

http://archive.org/download/Save_Earth_Osama/STE_MQ.flv

http://www.mediafire.com/file/z626qon4qrb7ssa/31.STE_MQ.flv/file

الجوال
(10.8 MB)

https://banglafiles.net/index.php/s/qC4iD3LiEkxZood

http://archive.org/download/Save_Earth_Osama/STE_Mobile.3gp

http://www.mediafire.com/file/f69r1rotrdkvw63/31.STE_Mobile.3gp/file

PDF

https://banglafiles.net/index.php/s/mTr7RfAayZ34xcB
http://archive.org/download/Save_Earth_Osama/The-Way-to-Save-the_Earth-Bng.pdf

http://www.mediafire.com/file/0h71wvnnai90twq/31.The-Way-to-Save-the_Earth-Bng.pdf/file

WORD

https://banglafiles.net/index.php/s/L9yzzWyRdNnjgkb
http://archive.org/download/Save_Earth_Osama/The-Way-to-Save-the_Earth-Bng.docx

http://www.mediafire.com/file/2epk1gnlxylrni3/31.The-Way-to-Save-the_Earth-Bng.docx/file

Archive Page
http://archive.org/details/Save_Earth_Osama

 

 ====================

بسم الله الرحمن الرحيم

পৃথিবীকে যেভাবে বাঁচানো সম্ভব

ওসামা বিন লাদেন

সকল প্রশংসা সেই রবের যিনি সমস্ত সৃষ্টিকে এই কারণেই সৃষ্টি করেছেন যে তারা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করবে, আর তাদেরকে হুকুম করেছেন ভাল কাজ করবার জন্য এবং মন্দ পরিত্যাগ করার জন্য এবং তাদেরকে নিষেধ করেছেন জমিন এবং জলকে দূষিত করাকে।

এই বার্তা সমগ্র পৃথিবীবাসীকে সেই সব লোকদের সম্পর্কে জানানোর জন্য যারা জলবায়ুর পরিবর্তন এবং এর ভয়াবহতার জন্য দায়ী ইচ্ছে করেই হোক বা অনিচ্ছাকৃতআর এটা আমাদের কর্তব্য।

জলবায়ুর পরিবর্তন এখন আর অলীক কোন বাগাড়ম্বর নয়: বরং তা এখন কঠিন সত্য বিশাল কর্পোরেট গুলোর লোভী ক্ষমতাবান পরিচালকগন ইচ্ছা করলেই উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে তাকে আর উড়িয়ে দিতে পারবে না। বৈষ্যিক উষ্ঞতার প্রভাব এখন সমস্ত মহাবিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। এক পাশে যেমন ক্ষরা হচ্ছে, দেশগুলো মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে, অন্য পাশে তেমনি দেখা দিচ্ছে শক্তিশালী বন্যার প্রকোপ অথবা বছর বছরই দেখা দিচ্ছে এমন বিশাল ঝড় যা আগে কেবল কয়েক দশকের ব্যবধানেই দেখা যেত। আর এগুলোতো দ্বীপ গুলোর নিরবে নিভৃতে সমুদ্রের অতলে তলিয়ে যাবার সাথে বাড়তি পাওনা। এইসব ঘটনা দ্রুত গতিতে আরও খারাপ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। যেসব সংগঠন শরণার্থী মানুষদের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করে তাদের মতে আগামী চার দশকে এক বিলিয়ন মানুষ জলবায়ুর পরিবর্তনের শিকার হিসেবে শরণার্থী হবে।

আমি এখানে কোন আংশিক সমাধানের কথা বলব না যা হয় বৈষ্যিক উষ্ঞতার ক্ষতিকর প্রভাব নিছকই সামন্য কিছু কম করবে। বরং আমি কথা বলব এর সমাধান এবং উস নিয়ে।

পৃথিবীতে যে বিপুল পরিমান মানুষ যে জলবায়ুর পরিবর্তনের শিকার হয়েছে, তাদের একাংশ খেতে না পেয়ে এবং আরেক অংশ ডুবে মারা গিয়েছেপৃথিবীর সবার সামনে সে তথ্য উপাত্ত আছে। যেই বছর নাসার একজন প্রবীন বিশেষজ্ঞ জেমস ই. হ্যানসেন বৈশ্বিক উষ্ঞতার গুরুতর অবস্থার কথা নিশ্চিত করলেন, সেই বছরই শুধু বাংলাদেশেই ১,৪০,০০০ মানুষ মারা গেছে এবং আরও ২৪ মিলিয়ন বন্যায় শরণার্থী হয়েছে; আর তখন থেকে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থের সংখ্যা বৃদ্ধি থেমে থাকেনি। কাজেই যারা এই সমস্যার পিছনের মূল হোতা তাদের অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের মোকাবেলা করার রাস্তাটাও পরিষ্কার ভাবে জানতে হবে।

সমস্ত শিল্পোন্নত দেশ, বিশেষত যারা শিল্পে সবচেয়ে এগিয়ে, তারাই এই বৈশ্বিক উষ্ঞতার মূল হোতা; একমাত্র ব্যাতিক্রম হচ্ছে তারা একে অপরকে িয়োটো প্রটোকল (Kyoto Protocol) মানবার জন্য ওয়াদাবদ্ধ করেছে এবং ক্ষতিকর গ্যাস নি:সরণ কমাবার ব্যাপারে রাজি হয়েছে। কিন্তু বুশ জুনিয়র এবং তার পূর্ববর্তী গ্রেস এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে শুধুমাত্র বড় বড় করপোরেশনগুলোকে খুশি করবার জন্য।

কাজেই তারাই বৈশ্বিক জলবায়ুর এহেন জর্জরিত অবস্থার জন্য দায়ী প্রকৃত আসামী, আর এটাই তাদের মানবতার বিরুদ্ধে প্রথম অপরাধ নয়: তারাই বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার পেছনের কারিগর, তারা নিজেরাই জনগনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি, ধোঁকাবাজী এবং একচেটিয়া করণ করেছ।

তারাই বিশ্বায়ন মতবাদের জনক যার ফলাফল স্বরুপ দশ মিলিয়ন মানুষ নি:স্ব হয়েছে এবং বেকারত্বের অভিশাপ বরন করেছে। আর এই ঘটনার আসামীরা নিজেরাই যখন তাদের মন্দ কর্মের শিকার হয়ে গেল, এইসব দেশের সরকার প্রধানরা তখন জনগনের ফান্ড দিয়ে বিপদ উদ্ধারে লাফিয়ে পড়ল; আর এভাবেই জনগনের টাকাপয়সা কোন সঠিক কারণ ছাড়াই দুইবার লুট হল: একবার তো কর্পোরেটগুলো একচেটিয়া ব্যবসার মাধ্যমে ধান্দাবাজী করল, আর দ্বিতীয়বার সরকারের ধোঁকাবাজী আর ক্ষমতার প্রভাবে লুটতরাজ চলল।

অনেক প্রবীন পুঁজিবাদী তাদের ছলচাতুরী এবং শক্ত মনের দ্বারা মানুষের কাছে পরিচিত, আর তাই তারা তাদের অর্থনৈতিক কার্যাবলী দ্বারা বিশ্ব মানবতার কি ক্ষয়ক্ষতি হল তা নিয়ে চিন্তিত নয়। এই ধরনের লোকদের জন্য কথা, আলোচনা, সভাসমিতি বা বিক্ষোভ প্রদর্শন কোনই মানে রাখে না, কাজেও আসে না। হ্যানসেন নিরাবতা ভেঙ্গে সোচ্চার হয়েছিলেন এবং আমেরিকানদের বৈশ্বিক উষ্ঞতার সম্পর্কে ১৯৮৮ এই সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু তার এই কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি। আর সম্মেলনের কথা বললে িয়োটো (Kyoto) সম্মেলন গত শতাব্দির শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হল, কিন্তু তখনও তারা এত কর্ণপাত করেনি। আর বিক্ষোভের কথা যদি বলা হয়, তবে এর মাধ্যমে তাদের বড় অংশতো নয়ই, বরং খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশকে তাদের লোভ এবং অত্যাচার থেকে ফিরানো গিয়েছে।

২০০৩ এ ইরাক আক্রমণের পূর্বে সারা পৃথিবীর সব মহাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বিক্ষোভ করেছিল, আর তাদের স্লোগান ছিল একটাই: ‘কালো তেলের জন্য আর কোন লাল রক্তপাত নয়’। কিন্তু এই বিক্ষোভের প্রতি উপহাস ভরে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ইরাকের নিরাপরাধ জনগনের উপর বর্বর আক্রমন চালানো হল, যাদের একমাত্র অপরাধ ছিল এই যে, তাদের দেশে কালো সোনা পাওয়া যায়। তাই তারা ১০ মিলিয়ন ইরাকীকে হত্যা করল, পঙ্গু করল, এতিম করল, বিধবা করলআর সেই হত্যা এবং লুঠতরাজ এখনও চালু আছে। আবু গারিব আর গুয়ানতানামোর অপরাধের কথা নাই বা বললাম – যে কুসিত অপরাধের কথা জেনে মানবতার বিবেক শিউরে উঠেছিল।

এতগুলো বছর পরে এই সব ঘটনার বলার মত বা কাজের তেমন কোন পরিবর্তনই হয় নি, আর এত কিছু সত্ত্বেও ও তাদের তাবেদার পুতুলকে নোবেল শান্তি পুরুষ্কার দেয়া হল এবং সে তা স্বীকারও করে নিল! এটা মানবতার চরম অবমাননা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর বলা হয়ে থাকে, সবচেয়ে নির্মম কষ্টগুলো সবচেয়ে ব্যঙ্গাত্মক হয়ে থাকে।

এর মাধ্যমে এই অপ্রিয় সত্যটাই প্রতিভাত হয়ে উঠে যে, পৃথিবীটা কিছু বড় বড় কর্পোরেটের মাথাদের হাতে চুরি হয়ে গেছে – আর তারা পৃথিবীটাকে এক গভীর খাদের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর মানুষের কল্যাণের জন্য নীতিমালা এখন আর প্রমিত প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের ক্ষমতায় নির্ধারিত হয় না, বরং তা আবর্তিত হয় তেল লোভী, ডাকাত, যুদ্ধবাজ ক্ষমতাশীলদের স্বার্থে, আর পুঁজিবাদী দখলবাজ জন্তুর ইচ্ছায়। নওম চমোস্কি ঠিকভাবেই আমেরিকান নীতি এবং মাফিয়া রীতির সাদৃশ্যগুলো তুলে ধরেছিলেন।

কাজেই এরাই হচ্ছে প্রকৃত সন্ত্রাসী, আর দের দাবিয়ে দেবার জন্য, শায়েস্তা করবার জন্য দরকার কঠোর এবং নিষ্পত্তিমূলক সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়া: তাদেরকে তাদের পাপকার্যের থেকে দাবিয়ে রাখতে হবে এবং তাদের বর্বরাতার জন্য শায়েস্তা করতে হবে; আর আমি আপনাদের সামনে কয়েকটি সমাধানের পথ বলে দিচ্ছি। এগুলো হল:

প্রথম: পৃথিবীর জলবায়ুর দূষণের মূল প্রথিত আছে দূষিত হৃদয়ে এবং কাজে, আর এই দুই দূষণের মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত নিকট সম্পর্ক। আমরা জানি সৃষ্টিকর্তা নানা সময় মানুষকে সুনামির মত প্রাকৃতিক দূর্যোগ দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন তাদের হৃদয়ের এবং কাজের অপরাধের জন্য আর মহান মহিমাময় স্রষ্টার প্রতি তাদের অবাধ্যতার জন্য; যেমন ফেরাউন এবং তার অধিনস্থ জনগন। মহান মহিমাময় আল্লাহ বলেন, স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে। [৩০:৪১]কাজেই সেই ব্যক্তিই প্রকৃত সুখী যে এসব থেকে শিক্ষা গ্রহন করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তার সমস্ত ইবাদত একমাত্র সেই আল্লাহর জন্য সর্গ করে যাঁর কোন শরিক নেই, যা তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তাঁর সর্বশেষ ওহীর মাধ্যমে জানিয়েছেন।

দ্বিতীয়: আমাদের সকল কাজে মিতব্যায়ি হতে হবে এবং বিলাসিতা ও অপচ পরিত্যাগ করতে হবে, বিশেষ করে আমাদের খাদ্য, পানিয়, জামা কাপড়, বাসা বাড়ি এবং জ্বালানী শক্তির ব্যবহারে।

তৃতীয়: কলকারখানার ক্ষতিকর গ্যাসের নি:সরন একমাত্র তখনই বন্ধ হবে যখন কলকারখানাগুলো বন্ধ হবে, আর এই কলকারখানাগুলোক বন্ধ করা খুব সহজ, সাধারন এবং তা আপনার হাতেই। আমেরিকান অর্থনীতির চাকা একটি বাইসাইকেল চাকার মত: তা যদি তার চেইনের সাথে সংযোগ হারায়, তবে তার গতিও বন্ধ হয়ে আসে; আর আমেরিকান চাকার এই সংযোগগুলোর মধ্যে কিছু সংযোগ হল কাঁচা মাল, পুঁজি এবং ভোক্তাশ্রেনী বা ক্রেতা সাধারন। আমরা নানা মাত্রায় এই সংযোগগুলোকে প্রভাবিত করতে পারি, এর মধ্যে ক্রেতা হিসেবে এই শেষটিই হচ্ছে সবচেয়ে দূর্বল অংশ যাকে আমরা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করতে পারি। সুতরাং পৃথিবীর ভোক্তা সাধারণ যদি আমেরিকান পন্য বর্জন করে, তবে এই দূর্বল সংযোগ আরও দূর্বল হয়ে পড়বে এবং ফলশ্রুতিতে ক্ষতিকর গ্যাসের নি:সরন কমে আসবে।

চতুর্থ: বড় বড় কর্পোরেট পরিচালক এবং তাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের অবশ্যই জবাদিহিতা এবং শাস্তির ব্যাবস্থা থাকতে হবে যাতে তারা মানবতার বিরুদ্ধে তাদের এই ক্ষতিকর কার্যাবলী বন্ধ করে দেয়। এটা আমেরিকানদের জন্য সহজ বিষয়, বিশেষত তাদের জন্য যারা হারিকেন ঝড় ক্যাটরিনায় ক্ষতিগ্রস্থ অথবা অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তাদের চাকুরী হারিয়েছেনকারণ তাদের এই ভোগান্তির পিছনের আসামীরা তাদের মাঝেই বসবাস করে, বিশেষ করে ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক এবং টেক্সাসে।

এইতো ডেনমার্কের সম্মেলনে তারা তাদের ছল চাতুরী প্রদর্শন করে আসল এবং প্রমান করে দিলো যে জলবায়ুর এই পরিবর্তন রোধকল্পে যে কার্যক্রম হাতে নেয়া দরকার তাতে তারা মোটেও সাহী নয়, যেমনটি তারা পূর্ববর্তী দূর্যোগ গুলোর ব্যাপারে তাদের দায়িত্ববোধকে এড়িয়ে গেছে এবং সেই দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য সহযোগীতার ব্যাপারটিও অস্বীকার করেছে। বরঞ্চ তারা সম্পদের পাহাড় গড়ার প্রতিযোগীতায় জলবায়ুর উপর তাদের অনধিকার চর্চাকে অব্যাহত রাখার ব্যাপারেই গোঁ ধরে আছে, যদিও তার মূল্য আমাদের শিশুদের জীবনের বিনিময়ে দিতে হোক না কেন।

পঞ্চম: আমাদের ডলারে ব্যবসা করতে অস্বীকার করতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর থেকে পরিত্রাণের রাস্তা খুঁজতে হবে। আমি জানি যে এই কাজের ফলাফল হবে অনেক বিস্তৃত এবং তার প্রতিক্রিয়া হবে প্রচন্ড; কিন্তু আমেরিকা এবং এর কর্পোরেটগুলোর দাসত্ব এবং বশ্যতা থেকে মানব জাতিকে মুক্ত করার পথে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ। আর এ কাজের প্রতিক্রিয়া যত ব্যাপকই হোক না কেন, সত্য হল এই যে আমেরিকা ও তার কর্পোরেটগুলোর দাসত্ব মেনে নেয়া তার থেকেও অনেক ব্যাপক ক্ষতির কারণ ও প্রতিক্রিয়াশীল প্রথম সুযোগ দিতে হবে প্রত্যেক স্বতন্ত্র ব্যক্তিকে যেন সে ডলার ও এর সহযোগী মুদ্রার হাত থেকে পরিত্রান পায়, যেহেতু সেই দেশগুলো এমন প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে বেশি সহ্য করতে পারবে যাদের ডলারের বিশাল জমা আছে – বিশেষ করে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো।

এটি এখন আর কোন গুপ্ত তথ্য নয় যে ইউরোর প্রচলন শুরু হবার পর ডলারের ৮০% অবমূল্যায়ন হয়েছে এবং সাথেই সেই সব মুদ্রারও যেগুলো ডলারের সাথে নির্ভরশীল। একই সাথে সেপ্টেম্বর ১১ এর ঘটনার পর স্বর্ণের মূল্য ডলারের বিপরিতে ৪০০% বৃদ্ধি পেয়েছেআর আল্লাহর রহমতে ডলারের পতন অব্যাহত আছে, আর আমার হিসাব মতে ইউরোর বিপরতে ডলারের ক্ষতি হবে প্রায় ১০০%; আর যারা সামরিক অবস্থা, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজ বিজ্ঞানের সাথে পরিচিত তাদের কাছে এই কথা আর গোপনীয় নেই যে আমেরিকার তারা দীপ্তিহীন হয়ে যাচ্ছে, অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছে এবং ডলারের জাহাজ ডুবতে শুরু করেছে। আর সেই বুদ্ধিমান যে অন্যের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করে।

পরিশেষে বলতে চাই, পৃথিবীর সামনে এখন আমেরিকার দাসত্ব থেকে মুক্তির একটি দূর্লভ এবং ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে, কারণ আমেরিকা এখন এক চরম দুর্যোগের মুখোমুখি – মহিমাময় আল্লাহর অশেষ রহমতে তারা ইরাকের জলাভূমিতে ডুবতে বসেছে এবং আফগানিস্তানের গিরিপথে পরাজিত হচ্ছে।

বীর মুজাহিদীনগন তাদের প্রচন্ড নৈতিক এবং জাগতিক ক্ষতি সাধন করে চলেছেন, তারা পালাতে চাচ্ছে কিন্তু সক্ষম হচ্ছে না, আর তারা দু:খিত ও হতাশ চোখে তাকিয়ে আছে তাদের পূবের শত্রুদের দিকে এবং পশ্চিমের দিকে যাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে আমেরিকার মুজহিদীনদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণে। আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই।

সুতরাং সমগ্র পৃথিবীবাসির প্রতি: এটি কখনই সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত নয়, প্রজ্ঞা বা বুদ্ধিদীপ্তও নয় যে, মুজাহিদীনদের উপর চাপিয়ে দেয়া বোঝা শুধুমাত্র তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, বরং তা সমগ্র পৃথিবীর মানুষকেই প্রভাবিত করবে। আপনার কাছে চাওয়া একটিই: তা হল আপনি তাদের বিরুদ্ধে আপনার অর্থনৈতিক বাঁধনকে আরও মজবুত করেন।

সত্য বলতে তাদেরকে আপনার বয়কট করতে হবে আপনার নিজেকে বাঁচানোর তাগিদেই, আপনার সম্পদ ও সন্তানদের জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে, আর সম্মেলনের নামে নিজের জীবন বাঁচাতে তাদের কাছে ভিক্ষা চাওয়া আপনার নিজের স্বাধীনতা এবং মর্যাদা বাঁচাতে কোনই সাফল্য বয়ে আনবে না

আর সম্পদশালী দেশগুলোর আমেরিকাকে ঋণ দেয়া মানেই হচ্ছে দূর্বল দেশগুলোতে তাদের অত্যাচারী যুদ্ধকে মদদ দেয়া, বিশেষত আপনার প্রতিবেশি আফগানিস্তানে।

আর আল্লাহর ইচ্ছায় মুজাহিদীনগন এই জালিমদের বিরুদ্ধে ইরাক ও আফগানিস্তানে তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাবে সত্য প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত, মিথ্যা খতম না হওয়া পর্যন্ত এবং মুসলিমদের সাহায্য করবার মানসে; বিশেষ করে ফিলিস্তিনে, এশিয়ার দূর্বল এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিপর্যস্ত মানুষকে সাহায্য করবার জন্য, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার সেই সব মানুষকে সাহায্য করবার জন্য যাদের না আছে শক্তি না আছে ক্ষমতা। আর আমাদের সর্বশেষ দুআ এই যে, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই প্রাপ্য, যিনি জগত সমূহের প্রতিপালক।

পরিবেশনায়

আলক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 6 =

Back to top button