আমেরিকার প্রতিআর্কাইভআল-হিকমাহ মিডিয়াগাজওয়াতুল ম্যানহাটন আর্কাইভনির্বাচিতবই ও রিসালাহবার্তা ও বিবৃতিবার্তা ও বিবৃতি [আল হিকমাহ]মিডিয়াশাইখ খালিদ শেইখ মুহাম্মাদহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ৯/১১ অপারেশনের মূল পরিকল্পনাকারী ‘শায়খ খালিদ শেইখ মুহাম্মাদ ফাক্কাল্লাহু আসরাহ’ এর পক্ষ থেকে || ওবামার প্রতি চিঠি: ৯/১১ অপারেশনের নেপথ্য কারণ

ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ৯/১১ অপারেশনের মূল পরিকল্পনাকারী

‘শায়খ খালিদ শেইখ মুহাম্মাদ ফাক্কাল্লাহু আসরাহ’ এর পক্ষ থেকে

ওবামার প্রতি চিঠি

৯/১১ অপারেশনের নেপথ্য কারণ

-শায়খ খালিদ শেইখ মুহাম্মাদ (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ)

 

 

 

ڈاونلوڈ کریں
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading

پی ڈی ایف
PDF (427 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪২৭ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/rBYJ2Z6c93HFHg8
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/ptHSCffTyBeXcQg
লিংক-৩ : https://archive.org/download/57.khaledshaikhmuhammad/57.khaled%20shaikh%20muhammad.pdf
লিংক-৪ : https://workdrive.zohoexternal.com/file/t8f5z9d095a800ceb4d5d83e4f131c6006f0c
লিংক-৫ : https://secure.internxt.com/d/sh/file/4211a8cc-52af-40ab-8f0e-efffb19c4d88/ecac499891aec1aedcf4c77913e66e67c352805ac4c6fed8152a3ac3c3caa2da

 

ورڈ
WORD (429 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [৪২৯ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/WCBKFgKCXLtiLjr
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/TiXSQ8wyXoJo3mK
লিংক-৩ : https://archive.org/download/KhaledShaikhMuhammad/khaled%20shaikh%20muhammad.docx
লিংক-৪ : https://workdrive.zohoexternal.com/file/t8f5z1b330e0bee6e45cead636edc13b2c830
লিংক-৫ : https://share.ue.internxt.com/d/sh/file/9ee79aba-4a30-41a6-b215-013e26697604/2a04d9d2e86d2cce669f47bd4a864b82fb4a101d8b71c67ccd4a7c92fec74de6

 

غلاف
book cover [142 KB] বুক কভার [১৪২ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/CKEjgNnniBpGBQN
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/6XnNjpmJdAmqxoS
লিংক-৩ : https://workdrive.zohoexternal.com/file/t8f5z99ad3c018b894d3fbdde5a4bbcdf798c
লিংক-৪ : https://secure.internxt.com/d/sh/file/dbc7a3dc-9ff3-4ceb-a96e-ff5460a9f33c/b948a53fa9471788663751cc0884422fcf50e584ba4adcd9d2cada98eb3b4b18

 

بينر
banner [228 KB] ব্যানার [২২৮ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/sA9SLsHTqMi4WES
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/kiipf38ngw27pa8
লিংক-৩ : https://workdrive.zohoexternal.com/file/t8f5z8df1dbec179a45acbacb5aa9b6e8dc12
লিংক-৪ : https://share.ue.internxt.com/d/sh/file/4be1bebc-3be9-4df7-8648-bcf86dfd6373/212bd5c68b6b3966b6a3f55689136585b329170decad37dd218063f80339fc85

———————-

ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ৯/১১ অপারেশনের মূল পরিকল্পনাকারী

‘শায়খ খালিদ শেইখ মুহাম্মাদ ফাক্কাল্লাহু আসরাহ’ এর পক্ষ থেকে

ওবামার প্রতি চিঠি

৯/১১ অপারেশনের নেপথ্য কারণ

-শায়খ খালিদ শেইখ মুহাম্মাদ (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ)

আল হিকমাহ মিডিয়া

খালেদ শেইখ মুহাম্মদ

হাজতী, আই এস এন-১০০২৪

মার্কিন নৌ ঘাঁটি, গোয়ান্তানামো বে, কিউবা

ওয়াসিংটন ডিসি-২০৩৫৫

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা

এন ডব্লিও রোড, পেনসিলভ্যানিয়া-১৬০০

ওয়াশিংটন ডিসি-২০৫০০

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

খালেদ শাইখ মুহাম্মদের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি-

১. অত্যাচার-অবিচার ও স্বেচ্ছাচারে নিমজ্জিত ভূখণ্ড:

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

وَلَا تُجَادِلُوا أَهْلَ الْكِتَابِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِلَّا الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْهُمْ

অর্থ- “তোমরা কিতাবধারীদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করো না, কিন্তু উত্তম পন্থায়। তবে তাদের সাথে নয়, যারা যালিম।” -সূরা আনকাবুত, আয়াত ৪৬

আমি তোমাকে যালিম বলেই জানি। আশা করি, বার্তাটি পড়বে এবং হৃদয়াঙ্গম করার চেষ্টা করবে। তবে আমার মনে হয়, নিজের জন্য কল্যাণকর পথ বেছে নেওয়ার মতো প্রজ্ঞা ও স্বধীনতা তোমার নেই।

বার্তাটি কেবল তোমাকে উদ্দেশ্য করে সংকলিত নয়। তুমি এর উপযুক্ত নও। ফিলিস্তিনের নারী, শিশু ও মুসলিম ভাই-বোনদের রক্তে তোমার হাত রঞ্জিত। এই রোজার মাসে ২১০০ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৯০ জন শিশু এবং ২৪৫ জন নারীও রয়েছে। শুধু তাই নয়, তোমাদের চালক বিহীন বিমান হামলায় রক্ত ঝরছে ওয়াজিরিস্তান, ইয়েমেন, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া ও আফগানিস্তানে এবং বিশ্বের আরও বহু দেশে। আর তোমাদের স্থল সেনাদের হামলায় রক্ত ঝরছে ইরাক ও আফগানিস্তানে।

২. মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্সির বৈশিষ্ট:

ধোঁকা, প্রতারণা ও মিথ্যায় পটু হওয়া মার্কিন ও পশ্চিমা নেতৃত্বের প্রধান বৈশিষ্ট। একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য শ্রোতাকে এবং পুরো জাতিকে প্রতারিত করার পারদর্শী হওয়া আবশ্যক। গণতান্ত্রিক নিয়মে একজন প্রার্থী প্রতারণা ও ছলনার কতটা উঁচু ধাঁপে উঠতে পেরেছে তার প্রাথমিক পরীক্ষা হয় নির্বাচনী প্রচারাভিযানে। যদি সে উক্ত মাপকাঠিতে উত্তির্ণ হতে পারে এবং নির্বাচিত হয় তাহলে হোয়াইট (দেখতে সাদা, আসলে নয়) হাউস ও বিশ্ব পরিচালনায় উক্ত প্রতিভা ও বৈশিষ্টের যুগপৎ প্রয়োগে ব্রতী হয়। প্রায় সকল সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান ধোঁকা ও প্রতারণার উক্ত মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ। তাদের সকলেই নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অর্থের যোগানদাতার অনুকূলে নিজেদের সেই বিশেষ প্রতিভা কাজে লাগায়। যদি স্বাস্থ্যখাত বা ঔষধ কোম্পানির পক্ষ থেকে অর্থের যোগান দেওয়া হয় তাহলে সে তাদের অনুকূলে কাজ করে। জেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বা কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অর্থের যোগান দেওয়া হলে, সে সরকারকে তাদের অনুকূলে রাষ্ট্রীয় আইন সংস্কার করতে উৎসাহিত করে। আর যদি ব্লাক ওয়াটারের মতো প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি, তেল-গ্যাস কোম্পানী বা অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অর্থের যোগান দেওয়া হয়, তাহলে সে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নতুন যুদ্ধ ক্ষেত্র তৈরির জন্য উদ্বুদ্ধ করে। এভাবে নির্বাচিত হয়ে যারা পার্লামেন্টে আসে, আদতে তারা হয় অর্থের যোগানদাতার ভাড়াটে কর্মী। এরা তাদের স্বার্থে নিজেদের মেধা ও শ্রম ব্যয় করে। ফলে বিত্তবানরা আরও বিত্তশালী হয়, গরীবরা হয় সর্বশান্ত। রাষ্ট্র ঋণের ভারে নূজ্য হয়। জাতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়।

তোমার পূর্বের কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধানের কপটতার কয়েকটি নমুনা :

  • জনসন কোম্পানি এবং পেন্টাগন মার্কিন জাতিকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের ব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারিত করেছিল। সেই যুদ্ধে ৫৭০০০ (সাতান্ন হাজার) মার্কিনী এবং কয়েক মিলিয়ন ভিয়েতনামের নাগরিক নিহত হয়েছিল। যুদ্ধের পরিসমাপ্তি হয়েছিল মার্কিন সেনাদের বিশাল পরাজয়ের মধ্য দিয়ে।
  • রিচার্ড নিক্সনের ওয়াটার গেইট কেলেঙ্কারির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।
  • ১৯৮১ সালে মার্কিন সরকার সালভাদোরের মাউজুতী গ্রামে কয়েকশ লোককে হত্যার জন্য স্বয়ং সালভাদোরের কিছু নাগরিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।
  • ১৯৮৫সালে মার্কিন সরকার নিজেদের কয়েকজন বন্দিকে ছাড়িয়ে আনার বিনিময়ে ইরানের হাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ মারণাস্ত্র তুলে দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়।
  • আশির দশকে রনাল্ড রিগান ল্যাটিন আমেরিকার যুদ্ধে ইন্ধন যুগিয়েছে। সে নিকারাগুয়েতে কন্ট্রা বিদ্রোহীদের সাহায্য করেন। ফলে শহরটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়। হয়তো এটি পূর্বের অবস্থায় আর কোনো দিনও ফিরে যাবেনা। বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করার পাশাপাশি সেখানে কঠোর অবরোধ আরোপ করা হয়। এই ক্ষুদ্র অঞ্চলটির পক্ষে যার ধকল সামলে উঠা খুবই দুরূহ ব্যাপার।
  • কোনো প্রার্থীই তোমার উঁচ্চতায় পৌঁছানোর মতো ছিলনা; না ধোঁকাবাজিতে আর না প্রজাদেরকে তোষামোদিতে। তোমার মূল শক্তি রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা এবং কুশলবৃন্দ। ভোটারদের প্রতারিত করার কোনো কৌশলই যাদের অজানা নয়। এরাই তোমাকে নির্বাচনী প্রচারণায় সাহায্য করেছে।

নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে তোমার অনুসারীদের অনেকেই তোমাকে আদর্শবান ভেবেছিল, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, হোয়াট হাউসে প্রবেশের পর সকল রাষ্ট্রপ্রধানই ধীরে ধীরে আদর্শ ও মূল্যবোধের সবটুকু বিসর্জন দেয় এবং অর্থের যোগানদাতার চাহিদা পূরণে কাজ করে। আর যদি সেই রাষ্ট্রপ্রধান নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর বা ব্যক্তির আর্থিক সহয়তা ছাড়া সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় তাহলেও সে ভাড়াটে সেনেটর, কংগ্রেসম্যান ও আমলাদের প্রভাব বলয়ে থেকে যায়, ফলে মানবাধিকার সম্পর্কে উচ্চ ধারণা থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে বিচারবহির্ভূত পন্থায় হত্যা করতে দ্বিধান্বিত হয় না। মানুষ হিসাবে তার প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধা দেখিয়ে পরিবারের কাছে তার লাশ হস্তান্তর না করে সাগরে ভাসিয়ে দিতে কুণ্ঠিত হয় না। বিনা অভিযোগে বন্দি করার পর তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতনকারীদের রক্ষা করার জন্য তার ক্ষমতা ব্যবহার করে। দখলদার ইহুদীদের বর্বরতা ও গণহত্যাকে সে আত্মরক্ষা নামে সংজ্ঞায়িত করে।

৩. ব্যর্থ নীতির আদি অন্ত:

ইসলামের শত্রুরা ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। তুমি এবং তোমার জাতি ভাইরা আজ যা করছেন তা নতুন কিছু নয় বরং তোমার পূর্বসূরীদের পরিচালিত ধারাবাহিক যুদ্ধেরই অংশ। অন্য হিসেবে ইউরোপের উপনিবেশিকদের যুগকে তোমাদের এই যুদ্ধের সূচনাকাল বলা যেতে পারে। তবে গোটা খ্রিস্টান জাতির দিকে লক্ষ করলে মধ্যযুগ ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সময়কালকে বলতে হবে ইসলাম বিরোধী যুদ্ধের সূচনাকাল। তুমি আজ মদীনার ইহুদী ও মক্কার কুরাইশ নেতৃবর্গের ভূমিকা পালন করছেন। মদীনার ইহুদীদের তুলনা হচ্ছে অবৈধ ইসরায়েল রাষ্ট্র। আর সৌদির বাদশাহ, জর্ডানের হাশেমী রাজ পরিবার, আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনাশাসক সিসিরা হচ্ছে মক্কার কোরাইশদের দৃষ্টান্ত, তোমার সরকার সিসির সেনা অভ্যুথানকে প্রতিহত করা তো দূরের কথা উল্টো, তাকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা প্রদান করেছে। তোমার পূর্বসূরীদের নীতি ও কৌশল যেমন ব্যর্থ হয়েছে তেমনি তোমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবেনা। আল্লাহ তা’আলা বলেন-

وَلَا يَحِيقُ الْمَكْرُ السَّيِّئُ إِلَّا بِأَهْلِهِ.”

অর্থ: “কুচক্র কুচক্রীদেরকেই ঘিরে ধরে”। -সূরা ফাতির, আয়াত ৪৩

সূরাতুল আনফালে আরও এসেছে-

إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ لِيَصُدُّوا عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ فَسَيُنْفِقُونَهَا ثُمَّ تَكُونُ عَلَيْهِمْ حَسْرَةً ثُمَّ يُغْلَبُونَ وَالَّذِينَ كَفَرُوا إِلَى جَهَنَّمَ يُحْشَرُونَ

অর্থ: “নিঃসন্দেহে সেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে। বস্তুত এখন তারা আরও ব্যয় করবে। তারপর তাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে। আর যারা কাফের তাদেরকে দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে”। -সূরা আনফাল, আয়াত ৩৬

৪. হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য করতে নিজেকে একবার নিচের প্রশ্নগুলো কর!-

তোমার সরকার ইবন শাইখ আল-লিব্বীকে ছেলেকে গোয়ান্তানামোবে থেকে বের করে প্রথমে একনায়ক হুসনী মুবারক ও তারপর গাদ্দাফির হাতে তুলে দেয়। আর তারা তোমাদের মর্জি মাফিক তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে। তোমার সরকারের এই সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল?

আনোয়ার আল-আওলাকীর ষোল বছরের ছেলেকে ইয়েমেনে চালকবিহীন বিমান থেকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে। কাজটি কতটা আইনানুগ হয়েছে?

আবু গারিব কারাগারে তোমার সেনারা যা করেছে তাকে তুমি কি বলবে?

নির্যাতনকারী সেনাদের ছবি প্রকাশের দাবি উঠলেও তাদের ছবি প্রকাশ না করা তোমাদের আইনের দৃষ্টিতে কেমন হয়েছে?

ইরাক-ইরান যুদ্ধে মার্কিন সরকার সাদ্দামকে সাহায্য করে, অথচ সে কুর্দিদের উপর মাসটার্ড গ্যাস নিক্ষেপ করে কয়েক হাজার বেসামরিক লোক হত্যা করেন। তবুও তাকে সাহায্য করা কি উচিৎ হলো?

৫. নাইন ইলেভেনের ঘটনা কেন ঘটেছিল? আবারো কি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে?

১৯৪৮ থেকে ফিলিস্তিনের ঘাঁটিতে যে যুদ্ধাপরাধ হয়ে আসছে তা নাইন ইলেভেনের ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী। এবং এই চলমান যুদ্ধাপরাধ আরও বহু নাইন ইলেভেনের জন্ম দিতে পারে।

১৯৯৮ এর ফেব্রুয়ারীতে শাইখ উসামা, শাইখ আইমান আজ জাওয়াহিরী এবং আরও কতিপয় মুজাহিদ ‘আলজাবহাতুল ইসলামিয়্যাহ আল আলমিয়্যাহ লিহারবিল ইয়াহুদ ওয়াসসালিবিয়্যিন’ (ইহুদী ও ক্রুসেডরদের যুদ্ধের বিশ্বব্যাপী ইসলামিক জোট) গঠন করে আমেরিকা ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে যখন যুদ্ধ ঘোষণা করল তখন তা কেবল কয়েকজন ব্যক্তি বা জিহাদী সংগঠনের বিষয় ছিলনা, বরং তা ছিল মুসলিম উম্মাহর প্রাণের দাবি। কারণ, তারা তোমাদের এবং তোমাদের মিত্রদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ দখলদারিত্ব ও জুলুমের বিষয়ে অজ্ঞ ছিল না। জিহাদের এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল নির্যাতিত প্রতিটি মুসলিমকে সাহায্য করার লক্ষ্যে। যারা কোনো না কোনোভাবে তোমার রাষ্ট্রের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল। তাই তোমাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত যুদ্ধ ছিল সেই লাখো মানুষের স্বার্থে, যারা ইরাক, ফিলিস্তিন, ফিলিপাইন ও চেচনিয়ায় নিজেদের স্বাধীনতা হারিয়েছিল এবং ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছিল। এই ঘোষণা ছিল সেই সকল লোকের স্বার্থে, যারা তোমাদের কূটকৌশলের ফাঁদে পড়ে বেকারত্বের অভিশাপে মরছিল। তোমরা নিজেদের অকেজো অস্ত্রসমূহ চড়া মূল্যে আরব রাষ্ট্রগুলোর কাছে বিক্রি করে থাক, অপর দিকে নামে মাত্র মূল্যে আমাদের তেল-গ্যাস ছিনতাই কর। আমাদের টাকা দিয়ে তোমরা নিজেদের দেশে নতুন নতুন অস্ত্র কারখানা তৈরি কর। এভাবে তোমাদের দেশে কর্মসংস্থান তৈরি হয়; করাচিতে হয় না, কায়রো ও জাকার্তায় হয় না। তোমদের হাতের পুতুল একনায়কদের দিয়ে প্রকাশ্যে ও গোপনে সব রকমের স্বার্থই তোমরা হাতিয়ে নিচ্ছ।

শাইখ উসামা এবং তাঁর সঙ্গীগণ যুদ্ধ ঘোষণার সময় তোমাদেরকে সতর্ক করেছিলেন। তারা নাইন ইলেভেনের পূর্বে বলেছিলেন, ইরাকের উপর থেকে অবরোধ উঠিয়ে নিতে। এই অবরোধের ফলে কয়েক মিলিয়ন নারী ও শিশু নিহত হয়েছিল। তারা তোমাদেরকে আরও বলেছিলেন, আরবের একনায়কদেরকে সমর্থন না করতে এবং দখলদার ইহুদীদেরকে সাহায্য না করতে। জাজিরাতুল আরব থেকে সেনা প্রত্যাহার ও সেনাছাউনীগুলো গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আংকেল স্যাম (আমেরিকা) কর্ণপাত করল না। ঘাড়ে কুঠারাঘাত পড়ার পূর্বে তার ঘুম ভাঙ্গলো না।

দীর্ঘ ষাট বছর যাবৎ তোমরা ফিলিস্তিনীদেরকে হত্যা করেছ। চার মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনীকে তোমরা বাস্তচ্যূত করেছ; তাদের ঘরবাড়ি, হাট-বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছ। তোমরা এসব করেছ অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সাপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে। এসবের প্রতিশোধ নিতে আল্লাহ আমাদেরকে দিয়েছেন নাইন ইলেভেন। এর মাধ্যমে তোমাদের পূঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়। আমরা তোমাদের চরম ক্ষতির মুখোমুখি করতে সক্ষম হই। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রগলভ দাবিতে তোমরা যে কতটা মিথ্যুক, বিশ্ববাসীর সামনে তার মুখোশ উন্মোচন করতে সক্ষম হই।

আমাদের ভূখণ্ডে তোমাদের আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি ও জুলুম-অত্যাচার থামানোর জন্য সর্বোত্তম পন্থা বেছে নেওয়া ছিল অপরিহার্য। যাই হোক, নাইন ইলেভেনের ঘটনার জন্য আমরা দায়ী নই। নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে সফল হামলা ছিল মুসলিম বিশ্বে তোমাদের বিধ্বংসী রাজনীতি, ইসরায়েলকে সহায়তা প্রদান এবং তোমাদের স্বার্থে মুসলিম বিশ্বের স্বৈরশাসকদেরকে অন্ধের মতো সমর্থন করার স্বাভাবিক পার্শ-প্রতিক্রিয়া।

ইন্দোনেশিয়ায় লাখো ভূমিহীন কৃষকের হত্যায় সুহার্তোকে সাহায্য করার প্রায়শ্চিত্ত দিয়েছেন নাইন ইলেভেনে।

স্বাধীনতাকামী মিন্দানাউয়ের মুসলমানদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ফিলিপাইনের খ্রিস্টান সরকারকে সাহায্য প্রদানের শাস্তি ভোগ করেছেন নাইন ইলেভেনে। নাম মাত্র মূল্যে তেল-গ্যাস ছিনতাই, একনায়কদের সমর্থন, মুসলিম জাতিবর্গের সম্পদ লুণ্ঠন এবং সামরিক দূরভিসন্ধি বাস্তবায়নের সুবিধার্থে তাবুক, যাহরান, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে তোমাদের সেনাশিবির প্রতিষ্ঠার কিছুটা শাস্তি ভোগ করেছেন নাইন ইলেভেনে। জাতিসংঘের জেনারেল এসেম্বলিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আনিত প্রস্তাবে পয়তাল্লিশ বারেরও বেশি ভেটু ক্ষমতা প্রয়োগ করেছ, যার আংশিক শাস্তি ভোগ করেছেন নাইন ইলেভেনে।

১৯৮২ সনে তোমাদের প্রশ্রয়ে ইসরায়েল সতের হাজার লেবানিজকে হত্যা করেছে। তেমনি ১৯৮৩, ১৯৯৬ এবং কানা গণহত্যায় তোমাদের সেনাবাহিনী ইসরায়েলকে লেবাননের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছে। নাইন ইলেভেন এসবেরই ফসল।

খ্রিস্টানরা অ্যাংলো স্যাক্সনদেরকে ইরাকের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিল। তারা ইরাকীদের জন্য নরকের সাজা বয়ে এনেছিল। তারা অর্ধ মিলিয়ন ইরাকীকে হত্যা করেছিল। এসকল নির্যাতনের ফসল ছিল নাইন ইলেভেন। তোমাদের জাস্টিস মিনিস্টার র‌্যামসি ক্লার্কের লেখাটি এবার মনযোগসহ পড়। প্রতিটি ক্রিয়ারই প্রতিক্রিয়া থাকে, যেমনটি বলেছেন নিউটন। হে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা! যদি তোমরা তাওরাত, ইনজিল ও কুরআনের আইন না মান, তাহলে বিকল্প স্বরূপ নিউটনের আইন তোমাদেরকে মানতেই হবে।

প্রকৃত বিচারে আমরা তোমাদেরকে হত্যা করিনি। নাইন ইলেভেনসহ এ ধরনের বাকি ঘটনাগুলোর জন্য আমরা দায়ী নই। ইহুদী, জায়নাবাদী, খ্রিস্টান ও তাদের সমমনা ব্যক্তি ও সংগঠন এর জন্য দায়ী। আমাদের থেকে প্রতিশোধ না নিয়ে বরং ডানপন্থী খ্রিস্টান, জেরী ফলওয়েল, জেরী রাওয়ার, প্যাট রবার্টসন ও জন হ্যাজির সাঙ্গ-পাঙ্গদের থেকে প্রতিশোধ নাও। আরও প্রতিশোধ নাও সি.আই. এ, এফ.বি.আই ব্রুকলিনের ইহুদীদের থেকে, আইপেকের (AIPAC) ব্যাপারী ও যুদ্ধাবাজদের থেকে, ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদানকারী ও জায়নবাদী খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দ থেকে।

বাইতুল মাকদিস নিয়ে তোমরা যে নোংরা রাজনীতি করে আসছ, তা নিয়ে শাইখ উসামা তোমাদেরকে সতর্ক করেছিলেন। ১৯৯৩ সনে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আঘাতকারী মুজাহিদগণের দাবীর কথা কি ভুলে গেছ? পরবর্তিতে তারাই নাইরোজি, দারুস সালামের মার্কিন কনস্যুলেটে আক্রমণ করেছিল। তারাই মার্কিন ডেস্ট্রয়ারে আঘাত হেনেছিল। পূর্বোল্লেখিত কারণসমূহ আমাদেরকে হামলা করতে বাধ্য করেছে। সুতরাং তুমি কি আমাদেরকেই দোষারোপ করবে?

আমেরিকান হিন্দুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, টোকিও, হিরোশিমা, নাগাসিকা, ড্রেসডেন ও ল্যাটিন আমেরিকার গণহত্যার শাস্তি থেকে তোমরা বেঁচে গেছ, চীনা একনায়ক চিয়াং কাইশেক ও মেক্সিকান স্বৈরশাসক সেন্টা অ্যানাকে সহায়তা করার শাস্তি থেকে বেঁচে গেছ, কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা মুসলিম দেশসমূহে তোমাদের অপকর্মের প্রতিশোধ নিয়েছি। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও তোমাদের সামরিক হেড কোয়ার্টার পেন্টাগনে আঘাত হেনেছি।

জাপান, জার্মান, ইতালিসহ আরও যেখানে মনে চায় তোমরা নিজেদের সামরিক ঘাঁটি গেঁড়ে রাখ, তবে মুসলমানদের ভূখণ্ডে তোমাদের কোনো ঘাঁটি সহ্য করা হবেনা।

নিজেদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে এবং বাস্তব সত্যকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তোমার এবং তোমাদের মিডিয়ার জুড়ি মেলা ভার। আব্রাহাম লিংকন বলেছে, “কিছু সময়ের জন্য তুমি সকলকে ধোঁকা দিতে পার এবং কিছু মানুষকে তুমি সর্বদাই ধোঁকা দিতে পার, কিন্তু গোটা মানবজাতিকে তুমি সবসময়ের জন্য ধোঁকায় ফেলে রাখতে পারবে না”। ৯/১১ এর যুদ্ধের সূচনা আমরা করিনি, বরং এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের ভূখণ্ডে তোমাদের স্বার্থরক্ষাকারী সৈরশাসকরা।

বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র ও পেন্টাগনের মতো অনুরূপ বিপর্যয়ের তিক্ত স্বাদ তোমাদেরকে আবারো আস্বাদন করতে হবে। ওয়াজিরিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, ইয়েমেন ও সোমালিয়ায় ড্রোন হামলার খেসারত তোমাদেরকে দিতে হবে। ইরাক ও সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ বাধানোর প্রতিশোধ তোমাদের থেকে গ্রহণ করা হবে।

তোমরা বহুবার বলেছ, ‘আত্মরক্ষার অধিকার ইসরায়েলীদের রয়েছে’। ফিলিস্তিনিদের কি আত্মরক্ষার অধিকার থাকতে নেই? একটি বারের জন্যও তোমরা কেন বলতে পারছ না “আত্মরক্ষার অধিকার ফিলিস্তিনিদের রয়েছে”? জানি, তুমি এমন কথা মুখেও নিতে পারবে না, কারণ এতে তোমার প্রভুরা নারাজ হবে।

আমেরিকা ও ইসরায়েল ব্যর্থ অন্তঃসারশূন্য একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দেখতে চায়। তাইতো তার কোনো বিমানবন্দর নেই; আন্তর্জাতিক সীমানা নেই; অস্ত্র, সেনাবাহিনী, ব্যক্তি স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব কিছুই নেই। তারা চায়, ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রপ্রধান তার প্রতিটি গতিবিধিতে ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদন গ্রহণ করুক।

আমেরিকার মনে রাখা উচিৎ যে, মুসলমানদের উপর সরকারের দমন-পিড়ন, গাজায় ইসরায়েলী সেনাদের বর্বরতা, ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, সৌদি, মিসর ও আরও বহু মুসলিম দেশে জুলুম-নির্যাতনের জন্য পুরোপুরি দায়ী আমেরিকা। ইতঃপূর্বে ফিলিস্তিনীদের উপর চালানো বর্বরতার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া গেলেও এখন আল-জাজিরা চ্যানেলের মাধ্যমে বিশ্ববাসী তা দেখতে পাচ্ছে। এসকল বর্বরতা ও গণহত্যা দেখে কোনো পাষাণ মনের মানুষের পক্ষেও স্থির থাকা সম্ভব নয়। যারা এ সকল নৃশংসতা চালাতে ইসরায়েল সরকারকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যাপারে মুজাহিদগণ চোখ বুজে থাকতে পারেন না।

মুজাহিদগণ আমেরিকাকে কেন এতটা ঘৃণা করেন? কোনো মার্কিনী যদি তার উত্তর জানতে চায় তাহলে তার উচিৎ গাজা উপত্যকায় একবার ঘুরে আসা অথবা এমন কোনো গণমাধ্যমের দ্বারস্থ হওয়া, যা পক্ষপাত দোষে দুষ্ট নয়। আমি তাকে বলব, সে যেন কিছুতেই সি.এন.এন, বি.বি.সি, নিউজ বা ইসরায়েলপন্থী মার্কিন গণমাধ্যম দিয়ে বাস্তবতা যাচাইয়ের ব্যর্থ চেষ্টা না করে, কারণ মগজ ধোলাই, নিজেদের স্বার্থে বাস্তবতা আড়াল করা, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালানো ও মুনিবদের স্বার্থ রক্ষা করাই এদের প্রধান কর্তব্য।

নাইন ইলেভেনে যা হয়েছে তা ছিল ইসলামি শরিয়ার সাথে পুরোপুরি সংগতিপূর্ণ ও সুবিচারমূলক।

ইন্দোনেশিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননে তোমাদের রাষ্ট্র অতীতে যা করেছে এবং বর্তমানে গাজা, ইরাক, আফগানিস্তান ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যা করে যাচ্ছে, মুসলিম উম্মাহ কস্মিনকালেও তা ভুলবেনা। তোমরা নিজের এবং ইহুদী কসাইদের বর্বরতার হৃদয় বিদারক দৃশ্য মুসলিম উম্মাহর মন থেকে কোনো দিনও মুছে যাবেনা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ

অর্থ: “আর লড়াই কর আল্লাহর পথে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না”। -সুরা বাকারাহ-১৯০

আরও ইরশাদ হচ্ছে-

وَكَتَبْنَا عَلَيْهِمْ فِيهَا أَنَّ النَّفْسَ بِالنَّفْسِ وَالْعَيْنَ بِالْعَيْنِ وَالْأَنْفَ بِالْأَنْفِ وَالْأُذُنَ بِالْأُذُنِ وَالسِّنَّ بِالسِّنِّ وَالْجُرُوحَ قِصَاصٌ

অর্থ: “আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চোখের বিনিময়ে চোখ, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখমসমূহের বিনিময়ে সমান যখম”। – সুরা মায়েদা-৪৫

তাওরাতে এসেছে, নম্রতা অবলম্বন করো না; প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চোখের বিনিময়ে চোখ, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত, হাতের বিনিময়ে হাত, পায়ের বিনিময়ে পা। -তাওরাত, তাসনিয়া-১৯-২১

৬. যুদ্ধের নীতিমালা :

পশ্চিমা কূটরাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে বিষয়টি তাদের গণতন্ত্রের মাঝে বিদ্যামান। তারা বাহ্যত আইন প্রণয়ন করে জনগণের স্বার্থে যদি তা রাষ্ট্রের উচ্চাভিলাসী স্বার্থ বিরোধী না হয়। যদি আইনের আশ্রয় নিয়ে রাষ্ট্রের স্বার্থোদ্ধার না হয় তাহলে তারা বিকল্প কোনো কর্মকৌশলের উপর আইনের প্রলেপ লাগায় অথবা আইন সংশোধন করে। যদি এভাবে কার্যাসিদ্ধি সম্ভব না হয় তাহলে তা বাস্তবায়ন করা হয় পর্দার আড়াল থেকে। ফলে জনগণ ও কংগ্রেসম্যানরা থাকে এ বিষয়ে অজ্ঞ। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপ্রধানকেও জানানো হয় না, কারণ এগুলো কার্যকর করা হয় সিক্রেট ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে, যারা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের দোহাই দিয়ে কোনো আইনকে পদদলিত করতে দ্বিধান্বিত হয়না। তুমিও (ওবামা) হয়তো জানতে না যে, তোমার বিশেষ ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি জার্মান চ্যান্সেলরের সেটেলাইট ফোন ও তার সভাসদস্যদের কম্পিউটারে আঁড়ি পেতেছিল।

অপরদিকে যদি সেই স্বার্থ উদ্ধারের জন্য জন্য স্বৈরশাসকের পৃষ্ঠপোষণ করতে হয় বা কোথাও গণহত্যার মতো কাণ্ড ঘটাতে হয় অথবা গণবিপ্লব বা যুদ্ধের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের পরিবর্তে কংগ্রেসম্যান ও সেনেটররা স্বার্থোদ্ধারে এগিয়ে আসে। তারা আইন, চিন্তাশীল সম্প্রদায় (যেমন র‍্যান্ড করপোরেশন) ও গণমাধ্যমকে প্রভাবিত করে। মিডিয়া প্রয়োজন মাফিক মগজ ধোলাই করতে থাকে, যুদ্ধের অনিবার্যতা প্রচার করতে থাকে। স্বৈরশাসকদের ইমেজ বৃদ্ধি ও তাদের প্রতিপক্ষকে কুৎসিৎভাবে উপস্থাপন করতে থাকে। আর স্বৈরশাসকের জুলুম-নির্যাতন ও গণহত্যার মতো বর্বরতার বিপক্ষে মৌখিক সমালোচনার মাধ্যমে ভালো মানুষ দেখায় ও প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে। সেই সাথে বুদ্ধিজীবীরা বক্তৃতা, বিবৃতি ও লিখনীর মাধ্যমে বুঝানোরা চেষ্টা করে যে, এই মুহূর্তে যুদ্ধের কোনো বিকল্প নেই; রাষ্ট্র মারাত্মক হুমকির মুখে। শত্রুরা (কাল্পনিক) আমাদের অর্থব্যবস্থা ও জাতিকে ধ্বংসের পায়তারা চালাচ্ছে। সৈরশাসক সিসিকে দিয়ে হাজারো নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীকে হত্যা করানো হলো। তাদের জন্য পশ্চিমা মিডিয়ার চোখ দিয়ে এক বিন্দু অশ্রুও গড়িয়ে পড়েনি। আমেরিকায় তৈরি বোমারু বিমানের হামলায় গাজার একটি মাত্র এলাকায় শতাধিক লোক নিহত হলো, তখন তাদের মিডিয়া এর প্রতিবাদ করাতো দূরের কথা, উল্টো বরাবরের মতো উচ্ছাস প্রকাশ করে বলল, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলই একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে গণতন্ত্রের চর্চা হয়।

পশ্চিমারা অন্যদের সাথে নৈতিক আচরণ করবে -তা কিছুতেই সম্ভব নয়। তারা স্বার্থপূজারী। যখন শাইখ উসামাকে (রা.) বিনা বিচারে হত্যার পর তার দেহ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হলো, তখন পুরো বিশ্ব তোমাদের নৈতিকতা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখল। তোমাদের সেনারা তালেবানদের ক্ষত-বিক্ষত আর বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করল মার্কিন সেনাদের নৈতিক দৈন্যতা। তারা ফালুজায় মসজিদ গুঁড়িয়ে দিল। আবু গারিব এবং গোপন টর্চার সেলগুলোতে নির্যাতনের এক কালো অধ্যায়ের সূচনা করল। সোমালিয়া, ইয়েমেন এবং আরও কিছু দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হলো এবং এখনো অব্যাহত আছে বরং সন্ত্রাসের মাথা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইরাককে তোমরা রক্তসাগরে পরিণত করেছেন। ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের সন্ধান কি তোমার পূর্বসূরীরা পেয়েছিল? না! বরং তারা সেখানে পেয়েছিল মার্কিন দূতাবাস নির্মাণের জন্য সুবিধাজনক বিশাল এলাকা। তারা সেখানে বিশ্বের বৃহত্তম দূতাবাস নির্মাণ করল। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তেল-গ্যাস কোম্পানীর স্বার্থে কাজ করে এবং মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পথ সুগম করে। তোমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় খুব প্রচার করেছিল যে, আল-কায়েদার সাথে ইরাক সরকারের যোগসাজশ রয়েছে। এবং এই অভিযোগে ইরাককে টুকরো টুকরো করা হলো। ইরাক সরকার ও আল-কায়েদার মাঝে কোনো সংশ্লিষ্টতা তোমার পূর্বসূরীরা উদ্ধার করতে পেরেছিল কি?

তোমার সরকারের ছত্রছায়ায় দ্বিখণ্ডিত করা হলো। দুটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের জন্ম হলো। তোমার এবং তোমার মিত্রদের যুদ্ধে চারিত্রিক মূল্যবোধের কোনো বালাই নেই। সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের নামে বহু মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছ এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি করছ। ইরাক ও আফগানিস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছ কি? বাস্তবতা হচ্ছে ইরাক ও আফগানিস্তান আজ বিশ্বের অস্থিতিশীল রাষ্ট্রসমূহের মাঝে অন্যতম। তবুও কি তুমি (ওবামা) বিশ্ববাসীকে বিশ্বাস করতে বলবে যে, তোমার সমকামী সৈনিকরা আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে?

বিপরীতে শাইখ উসামা বিন লাদেন (রা.) যুদ্ধ ও শান্তি উভয় অবস্থায় উন্নত চরিত্র ও মূল্যবোধের ধারক বাহক ছিলেন। তিনি তোমাদের বাণিজ্যিক রাজধানী নিউইয়র্কে হামলা করেছেন, তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম এবং গির্জার যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন। তেমন আট মিলিয়নেরও বেশি অধিবাসীর এই শহরটির বসতিসমূহকে হামলার ক্ষয়ক্ষতি থেকে দূরে রেখেছেন। অপরদিকে প্রায়ই দেখা যায়, তোমাদের বিমান হামলায় নিহতদের শতভাগই ছিল শিশু। যেমন, কোনার প্রদেশে লাকড়ী সংগ্রহ করতে যাওয়া ১২শিশু তোমাদের চালাকবিহীন বিমান হামলায় নিহত হয়। ইয়েমেনে একই হামলায় ২৩ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়। তেমনি হত্যা করা হয় আফগানিস্তানের নাঙ্গাহারে বিবাহ অনুষ্ঠানের অতিথিদেরকে। ২০১০ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন বিশেষ টিমের নৈশকালীন এক বিমান হামলায় বহুসংখ্যক লোক নিহত হয়। জাতিসংঘের কর্মকর্তা নাদের নাদেরী নিহতের সংখ্যা ৮০ বলে উল্লেখ করেছেন। বাস্তবে সেই ঘটনায় চার শতাধিক লোক নিহত হয়। ২০০৯ সালে তোমার দেশ আফগানিস্তানে আঠারো হাজার দুইশত চুয়াত্তর বার বিমান হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার একশত ষাটটি হামলা ছিল চালকবিহীন বিমান থেকে।

প্রযুক্তি নিয়ে তোমাদের গর্বের শেষ নেই। তবে শাইখ উসামার (রহঃ) হামলা প্রযুক্তি নির্ভর ছিলনা। সিক্রেট এজেন্সি, চালকবিহীন ড্রোন, স্মার্ট বোমা, যুদ্ধবিমান ও স্যাটেলাইট স্টেশনের সহায়তা ছাড়াই তিনি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছেন। এসব তিনি করেছেন কান্দাহারের দূর পর্বতে অবস্থানকালীন সময়ে। তাঁর ও তাঁর লক্ষ্যস্থলের মাঝে ছিল হাজারো মাইলের দূরত্ব। তবুও তিনি লক্ষ ভেদ করেছেন নিপুণভাবে। একটু ভেবে দেখ!, যদি শাইখ উসামা (রহঃ) সাধারণ নাগরিকদের হত্যার ইচ্ছা করে থাকেন তবে কেন তিনি ইন্ডিয়ান পয়েন্ট নিউক্লিয়ার স্টেশন বা সুপার বোল গেইমে হামলা করেননি? তারপর গাজা উপত্যকার কথা ভাব এবং নিজেকে আবারো অনুরূপ প্রশ্ন কর।

বিশ্ববাসী দেখেছে, শাইখ উসামা (রা.) এর দয়ার্দ্রতা। মুজাহিদগণ তোমাকে চ্যালেঞ্জ করেছে, নাইন ইলেভেনের হামলায় নিহতদের মাঝে দশজন শিশুও কি দেখাতে পারবে? ২০০৯ এবং ২০১৪ইং সনে তোমার ও তোমার মিত্রদের হামলায় নিহতদের মধ্যে এক হাজার শিশুর তালিকা প্রকাশ করতে মুজাহিদগণ প্রস্তুত আছেন। এটা গেল কেবল তোমার শাসনামলের কথা। ইতঃপূর্বে তোমরা ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিনসহ আরও বহু দেশে লক্ষাধিক শিশু হত্যা করেছে। সে পরিসংখ্যানও মুজাহিদগণ তোমাদেরকে দিতে প্রস্তুত আছেন।

তোমরা ১৫ টিরও অধিক বৈবাহিক অনুষ্ঠানে বিমান হামলা চালিয়েছ। এখানেই শেষ নয়, তোমরা দুইশ’রও বেশি মসজিদ এবং পঞ্চাশ সহস্রাধিক বসতবাড়ি ধ্বংস করেছ। নাইন ইলেভেনের হামলায় পাঁচটি বসতবাড়িও কি ধ্বংস হয়েছে? দেখাতে পারবে? পারবে না।

আফগানিস্তান, ইরাক ও ফিলিস্তিনীরা এমন পাঁচ মিলিয়ন মানুষের নামের তালিকা দিতে সদা প্রস্তুত, যারা তোমাদের হামলায় গৃহহীন হয়েছে। বিষাক্ত ইউরোনিয়াম বোমার তেজস্ক্রিয়তার ফলে ফালুজার হাসপাতালসমূহে তিন শতাধিক শিশু বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। তোমাদের সাবেক মিত্র বাশার আল আসাদ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সীমা অতিক্রম করেছে। এখন কোথায় গেল তোমাদের বিবেক ও মানবতা?

আবু মুসআব সূরী, আবু খালেদ সূরীসহ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে আটক আরও বহু মুজাহিদকে কি তোমরা বাশার আল আসাদের হাতে তুলে দাওনি? সিরিয়ার কত গ্রাম ও শহর ভস্মীভূত হয়েছে, তার হিসাব কি তোমার জানা আছে? নাকি গলফ আর বাস্কেট বল নিয়ে খেলতে থাক?

তোমাদের লজ্জা হয়না? এতকিছুর পরও কিভাবে বল, মুজাহিদগণ বসতবাড়ি ও সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা করে?

বিশ্বের প্রায় সকল দেশের সরকার তোমাদের স্বার্থ রক্ষা করে কাজ করছে। তবুও অধিকতর স্বার্থোদ্ধারে তোমরা ন্যায়-অন্যায়ের পরোয়া না করে এসব রাষ্ট্রপ্রধানদের মদদ দিয়ে যাচ্ছ।

১৯৮৮-এর ছাত্র আন্দোলনে বার্মার সামরিক জান্তা কয়েক হাজার বার্মিজ শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে, তখন মার্কিন সরকার মিয়ানমারের উপর কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছিল। অপর দিকে তারা যখন রোহিঙ্গাদের ত্রিশ হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিল, দুই লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমকে বিতাড়িত করল, ঠিক তখন তৎকালিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্মিজ সরকারের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করল। আর মুসলিম উম্মাহ এই পাশবিক হত্যা ও জাতিগত নির্মূল অভিযানের নীরব সাক্ষী হয়ে থাকল। তুমি কিভাবে এই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদেরকে ভুলে থাকতে পেরেছ? কয়েক প্রজন্ম ধরে তারা রাখাইনে বসবাস কারছে, অথচ তাদেরকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। তুমি কি জান, রোগ-শোক ও অনাহারে ক্লীষ্ট রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক ত্রান নিয়ে আসা সংস্থাসমূহকে মিয়ানমার সরকার ফিরিয়ে দিয়েছে? মানবাধিকার কর্মীদেরকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি? ডাক্তারদের প্রবেশ ও চিকিৎসা সেবার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল? এত কিছুর পরেও তোমার সরকার মিয়ানমারে বিনিয়োগ বন্ধ করা তো দূরে থাক, তা দ্বিগুণ করেছে! তুমি কি ইসরায়েলকে খুব সম্পদশালী মনে কর? তাদের নিজস্ব সম্পত্তি কি রুমানিয়া, স্পেন, মিসর, দক্ষিণ কোরিয়া ও সৌদির চেয়ে বেশি? ইসরায়েলকে প্রাধান্য দিয়ে সামাজিক কার্যক্রম চালাতে গিয়ে মার্কিন সরকারের ঋণের বোঝা দিন দিন ভারী হচ্ছে। ফিলিস্তিন ও লেবাননের মুসলিদের হত্যা করতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্ধ কমিয়ে সেই অর্থে ইসরায়েলের হাতে মারণাস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এসবের কারণ হচ্ছে তুমি এবং তোমার পদে যারা থাকে সিদ্ধান্ত তারা গ্রহণ করে না। সিদ্ধান্ত গৃহিত অন্য কোথাও! পর্দার আড়ালে। তোমার কি মনে পড়ে ২০১৩ সালে বলেছিলে, ফিলিস্তিনীদেরকে তাদের ভূমিতে চাষাবাদে বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নেই, পশ্চিম তীরে ছাত্র আন্দোলনের অধিকার কেড়ে নেওয়ার এবং ফিলিস্তিনীদেরকে তাদের ভূমি থেকে বিতাড়নের অধিকার কারো নেই? অতঃপর যখন ফিলিস্তিনে গণহত্যা শুরু হলো, তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো, তাদেরকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করে যাযাবরের মতো জীবন যাপনে বাধ্য করা হলো তখন তোমরা বলে উঠলে, “ইসরায়েলিরা যা করছে তা আত্মরক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়।” শুধু কি তাই, গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলাকালে মার্কিন সরকার তাদের কাছে সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করেছিল। এসবের কারণ হলো, তোমাদের কসাই-মিত্র নেতানিয়াহু জানিয়েছিল যে, ইসরায়েল যদি হামাসকে পরাজিত করতে পারে তাহলে মিসর, আরব আমিরাত, সৌদি ও জর্ডানের স্বৈরশাসকরা যারপরনাই আনন্দিত হবে। অথচ এই হামাস তো তোমাদের সৃষ্ট গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় এসেছে। তোমাদের সন্তানরা যখন হোয়াইট হাউসের পেছনে বাগানে বিনোদনে রত, তখন বিশ্ববাসী দেখছিল তোমাদের বোমার আঘাতে রমজানের বিকেলে নদীর পাড়ে খেলতে থাকা ফিলিস্তিনী শিশুরা কিভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছিল। আল্লাহ বলেন-

اسْتِكْبَارًا فِي الْأَرْضِ وَمَكْرَ السَّيِّئِ وَلَا يَحِيقُ الْمَكْرُ السَّيِّئُ إِلَّا بِأَهْلِهِ

অর্থ: “পৃথিবীতে ঔদ্ধত্যের কারণে এবং কুচক্রের কারণে, কুচক্র কুচক্রীদেরকেই ঘিরে ধরে। তারা কেবল পূর্ববর্তীদের দশারই অপেক্ষা করছে। অতএব আপনি আল্লাহর বিধানে পরিবর্তন পাবেন না এবং আল্লাহর রীতিনীতিতে কোনো রকম বিচ্যুতিও পাবেন না”। -সূরা ফাতির, আয়াত ৪৩

সাধারণভাবে বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই যুদ্ধ ও শান্তির সময়কালের নীতিমালা, উন্নত চরিত্র ও মূল্যবোধের ধার ধারেনা। আর ইউরোপ ও আমেরিকার কাছে এসবের কোনোই মূল্য নেই।

৭. বর্বরতার সংজ্ঞা:

১ লা আগস্টে ১জন ইসরায়েলি সেনা অপহরণ করা হয়। বিষয়টিকে তুমি বর্বরতা বলে আখ্যায়িত করেছ। তাহলে দেখা যাচ্ছে, গণহত্যায় মেতে থাকা ইসরায়েলি সোনদেরকে অপহরণ করাই তোমাদের দৃষ্টিতে বর্বরতা; মিসরীয় আলেমকে ইতালিতে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাটি তোমাদের চোখে বর্বরতা নয়। অথচ তিনি ফজর নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাচ্ছিলেন! নির্যাতন চালানোর জন্য গোপন কারাগার পরিচালনা করা কি বর্বরতা নয়? আবু গারিবে মুসলিম নারীদের ইজ্জত লুণ্ঠন করা বর্বরতা নয়? ফজর নামাজ পড়তে মসজিদে গমনকালে প্যারালাইজড শাইখ ইয়াসিনকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে তাঁর গাড়িসহ উড়িয়ে দেওয়া হলো-এটিও কি পশ্চিমাদের বানানো বর্বরতার সংজ্ঞায় পড়েনা?

ইসরায়েলের কারাগারে পাঁচ শতাধিক ফিলিস্তিনী শিশুকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তোমরা এ ব্যাপারে নীরব কেন? ১৬ বছরের আবু কায়দারকে আগুনে পুড়িয়ে ইসরায়েলি সেনারা হত্যা করল, তোমরা একে বর্বরতা বলছ না কেন?

বিনা অভিযোগে শতাধিক ব্যক্তিকে গোয়ান্তানামোতে আটকে রাখা কি বর্বরতা নয়? ক্লাস চলাকালিন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হত্যা করা কি বর্বরতা নয়? আমাকে এবং আমার ভাইকে তিন বছর আত্মগোপন করে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে-এটা কি বর্বরতা নয়? ১৪ ও ১৫বছরের বালক জাওয়াদ আফগানী এবং ওমর খিজিরের কথা কি ভুলে গেছ? তোমার সরকার তাদেরকে গোয়ান্তানামোতে আটকে রেখেছে। ইসরায়েলি সেনারা যখন গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ঠিক তখন তাদেরকে অস্ত্রের চালান পাঠিয়ে সাহায্য করলে-এটা কি বর্বরতা নয়?

আবু গারিব কারাগারে ইরাকিদের উপর চালানো নির্যাতনের চিত্র নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে প্রকাশ করছ না, সে ভিডিওতে কি বর্বরতার কিছুই নেই?

অ্যাঙ্গোলা, নিকারাগুয়া ও কিউবায় সি.আই.এ কয়েক মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করেছে, তোমার দৃষ্টিতে এগুলো কি বর্বরতা নয়? বস্তুত তুমি এবং তোমার রাষ্ট্র বর্তমান পৃথিবীর সকল বর্বরতার উৎস।

৮. সীমানা পর্যালোচনা:

ওবামার দাবি, ১লা আগস্টে ইসরায়েলি সেনা অপহরণের ঘটনাটি ছিল বর্বরতা, ১৭ ই অক্টোবর ২০১৪ সনে উত্থাপিত হয় যে, পূর্বোক্ত ঘটনা গোলযোগ প্রসূত বা কাকতালীয় ছিলনা, বরং তা ছিল সূক্ষ্ম কারচুপির অংশ। যারা পশ্চিমা বিশ্ব ও মুসলিম বিশ্বের মাঝে সংঘাতের খবরাখবর রাখেন, এই ভাষা তাদের অজানা নয়।

আমি এখানে ইতিহাসের কোনো পুস্তক রচনা করতে যাচ্ছি না, তবে ইসরায়েলের জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত ঘটনাবলীর চুম্বকাংশ তুলে ধরব, যাতে বিচক্ষণ ঐতিহাসিকগণ মোটামোটি একটি ধারণা পেতে পারেন।

বিংশ শতাব্দির গোড়ার দিকে আন্তর্জাতিক কুফরি শক্তি উসমানী সাম্রাজ্যকে বিলোপ করতে সক্ষম হয়। তারপর সাইকস পিকট চুক্তি মাফিক ফ্রান্স ও ব্রিটেন আরববিশ্বকে বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করে। উত্তর আফ্রিকার ইসলামি বিশ্বকে বিভক্ত করার দায়িত্ব নেয় স্পেন, ফ্রান্স ও ইতালি।

তুমি (ওবামা) কি বলবে, জাজিরাতুল আরবকে সাত খণ্ডে কেন খণ্ডিত করা হলো? হ্যাঁ ইসলামের শত্রুদের নীতি হলো “বিভক্ত কর তারপর শাসন কর!”।

তোমরা এই বলে বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিয়ে আসছ যে, গাজা সংকটের জন্য দায়ী হামাসের রকেট নিক্ষেপ বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অথবা সাধারণ নাগকিদেরকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মানচিত্রটি একটু দেখ, তাহলে বুঝতে পারবে তুমি দাবার গুটি ছাড়া কিছুই নও, কারণ যা করার তা তোমার মনিবরাই করবে।

সাইক্স-পিকট, বালফোর, ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি থেকে শুরু করে ওয়াদি আরাবা পর্যন্ত বিভিন্ন চুক্তির আলোকে এবং তাওরাতের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তোমার পূর্বসূরীরা পূর্ব থেকেই কাজ করে আসছে। তাওরাতে এসেছে, রব এই বলে প্রতিশ্রুতি পাকা করলেন, “তোমার উত্তরসূরীদের জন্য আমি মিসরের নদী থেকে ফুরাত নদী পর্যন্ত ভূখণ্ড দান করছি।” -জেনেসিস, চাপ্টার ১৫, ভার্স-১৮

তেল আবিব ইসরায়েলের রাজনৈতিক রাজধানী। তাহলে তোমাদের দূতাবাস আল-কুদসে স্থানান্তরিত করতে চাচ্ছ কেন? এটি কি ইহুদীবাদী খ্রিস্টবাদের কারণে? এবং আল-কুদসকে ইসরায়েলের রাজধানী বানাতে তোমার উপর গোটা খ্রিস্টানদের অবিরাম চাপ প্রয়োগের কারণে? তুমি ভালো করেই জান, ইসরায়েলের পতাকায় ব্যবহৃত দুটি নীল রেখা কিসের ইঙ্গিত বহন করে। তারা এর মাধ্যমে নীল নদ ও ফুরাত বুঝিয়ে থাকে। এই দুই নদী তাদের স্বপ্নীল ইসরায়েলের সীমানা। যেমন জেনেসিসে বলা হয়েছে (১৫:১৮)। এসব কি মসজিদে আকসা ভেঙ্গে সেখানে হাইকেলে সুলাইমানি নির্মাণ ও বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নয়?

উপসংহার:

৯/১১-এর হামলা ছিল মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে।

ইরাকে দশ বছর ব্যাপী অর্থনৈতিক অবরোধের পর সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবিসি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছে, ‘উক্ত অবরোধের ফলে অর্ধ মিলিয়ন ইরাকীর মৃত্যু হয়েছে’। তার এই বক্তব্য যথার্থ। তবে একই সময়ে আমরা দেখতে পাই যে, দীর্ঘ দশ বছরের অর্থনৈতিক অবরোধের পর দুর্ভিক্ষ কবলিত এই অঞ্চলে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়। ফলে যুদ্ধ, মারামারি-হানাহানি, বিভক্তি ও অরাজকতায় গোটা ইরাক ছেয়ে যায়। মার্কিন সেনাদের ছোড়া বিষাক্ত ইউরেনিয়াম বোমার তেজস্ক্রিয়তায় সেখানে দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয় নেমে আসে। এক পর্যায়ে ইরাকের তেল-গ্যাস কুক্ষিগত করতে ইরাকের মাটিতে বিশ্বের বৃহত্তম দূতাবাস নির্মাণ করার পর সেনা প্রত্যাহার করা হয়।

ইসরায়েলিদের আত্মরক্ষার স্বার্থে যদি শতেরও বেশি ফিলিস্তিনীকে হত্যা করা যায়; যদি যুদ্ধ বিমান, ট্যাংক, কামান ও বুলডোজার দিয়ে ১১,৭০০ (এগার হাজার সাতশত) বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়; যদি ২৪৩ জন নারী এবং ৪৫৭জন শিশু হত্যা করা যায়; যদি আত্মরক্ষার জন্য ৬১টি মসজিদ ও ১৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিতে হয়; যদি ইসরায়েলকে সুরক্ষিত করতে বাজার ও হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দিতে হয়; যদি গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ধ্বংস করে দিতে হয়, তাহলে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষার জন্য পরিচালিত নাইন ইলেভেনের হামলাকে কেন মেনে নিতে পারছে না? আমরা তো কেবল তোমাদের বাণিজ্যকেন্দ্র ও সেনা সদর দফতরে হামলা করেছি।

তোমরা বন্দুকের গুলি ছোড় নি বরং অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে অর্ধমিলিয়ন ইরাকী নারী ও শিশুকে হত্যা করেছ। এই অবরোধকে সাধারণ যুদ্ধের সাথে তুলনা করলে চলবে না, বরং এটি ছিল যুদ্ধের চেয়ে বহুগুণে বীভৎস ও ধ্বংসাত্মক। এর ফলে নারী-শিশু-যুবক-বৃদ্ধ সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত্র হয়েছে। বিশেষ করে, জাতির ভবিষ্যৎ অর্থাৎ শিশুরা প্রায় নিঃশেষ হয়ে গেছে। এই অবরোধের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুতেই সামরিক যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির চেয়ে কম নয় বরং বহুলাংশে বেশি। তোমাদের এতসব অপকর্মের পর সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী নিয়ে কথা বলার অধিকার তোমাদের থাকতে পারেনা।

পুঁজিবাদ ও গণতন্ত্রকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলার সময় হয়েছে। এসবের নামে যা করেছ তাতে এখন তোমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, বিশ্ববাসীকে প্রতারিত করা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে তোমরা বিশেষ পারদর্শি। আর আমাদের ভূমিতে তোমাদের যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জিহাদ পরিচালনা করার অধিকার আমাদের রয়েছে। ফিলিস্তিন, ইরাক ও আফগানিস্তানে নারী-শিশু-বৃদ্ধদের রক্তের প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে। নাইন ইলেভেনের জ্বালা যদি তোমার দেশ সহ্য করতে না পারে, তাহলে ষাট বছর ধরে ধুকতে থাকা ফিলিস্তিন, লেবাননও জাজিরাতুল আরবসহ সারা দুনিয়ার মুসলমানদের থেকে কিভাবে আশা করেন যে, তাদের অন্তরে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠবে না? আমি তোমার বা তোমার রাষ্ট্রের কাছে করুণা চাইনা। তোমাদের যা মনে চায় তাই কর!। আমার জীবন, আমার মরণ, আমার মুক্তি ও আমার কারাবরণ সবই তোমাদের জন্য অভিশাপের কারণ হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

قُلْ لَنْ يُصِيبَنَا إِلَّا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَنَا هُوَ مَوْلَانَا وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ (51) قُلْ هَلْ تَرَبَّصُونَ بِنَا إِلَّا إِحْدَى الْحُسْنَيَيْنِ وَنَحْنُ نَتَرَبَّصُ بِكُمْ أَنْ يُصِيبَكُمُ اللَّهُ بِعَذَابٍ مِنْ عِنْدِهِ أَوْ بِأَيْدِينَا فَتَرَبَّصُوا إِنَّا مَعَكُمْ مُتَرَبِّصُونَ

অর্থ: “আপনি বলুন, আমাদের কাছে কিছুই পৌঁছাবেনা, কিন্তু আল্লাহ যা আমাদের জন্য লিখে রেখেছেন; তিনি আমাদের কার্যনিবাহক। আল্লাহর উপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত। আপনি বলুন, তোমরা তো তোমাদের জন্য দুটি কল্যাণের কোনো না কোনো একটির প্রতীক্ষা করছ, আর আমরা তোমাদের জন্য প্রতীক্ষায় আছি যে, আল্লাহ তোমাদের আজাব দান করুন নিজের পক্ষ থেকে অথবা আমাদের হস্তে। সুতরাং তোমরা অপেক্ষা কর, আমরাও তোমাদের সাথে অপেক্ষমান”। -সূরা তাওবা, আয়াত ৫১-৫২

যদি তোমার রাষ্ট্র আমাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় তাহলে কারাপ্রকোষ্ঠে নির্জনে আনন্দের সাথে আল্লাহর ইবাদত করতে থাকব, নিজের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব। আর যদি মৃত্যুদণ্ড দেয় তাহলে আমি যারপরনাই আনন্দিত হব, কারণ তখন আমি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভে ধন্য হব; নবীগণের সাথে সাক্ষাৎ হবে। বিশেষ করে, শাইখ উসামাসহ আরও যে সকল মুজাহিদকে তোমরা হত্যা করেছ, তাদের সাথে পুনর্মিলনী হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে, খ্রিস্টানরা আমার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলে আমার কি মৃত্যু হবে? বিষয়টি আমি আইনজীবীদেরকে বিশদভাবে খুলে বলেছি।

 

ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড

১৯৪৬-২০১০

(বাম দিক থেকে প্রথমটি ১৯৪৬ সালের ফিলিস্তিনী ভূখণ্ড। সাদা অংশ ইহুদী অধিকৃত ভূখণ্ড এবং সবুজ অংশ ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড নির্দেশ করছে।)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − ten =

Back to top button