আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশনইতিহাস- ঐতিহ্যগাজওয়াতুল ম্যানহাটন আর্কাইভনির্বাচিতপিডিএফ ও ওয়ার্ডবই ও রিসালাহবিষয়মিডিয়া

৯/১১ এর হামলার জন্য কে দায়ী? আল-কায়েদার পক্ষ থেকে ৯/১১ হামলার দায় স্বীকারের দলীল প্রমাণ – আব্দুল হামিদ


مؤسسة الفردوس
আল ফিরদাউস
Al Firdaws
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presentsفي اللغة البنغالية
বাংলা ভাষায়
In the Bengali Languageبعنوان:
শিরোনাম:
Titled:

من المسؤول عن غزوة ١١ سبتمبر؟
الأدلة الموثقة من قاعدة الجهاد عن قبول المسؤولية لغزوة ٩/١١
৯/১১ এর হামলার জন্য কে দায়ী?
আল-কায়েদার পক্ষ থেকে ৯/১১ হামলার দায় স্বীকারের দলীল প্রমাণ

Who is responsible for the attack of 9/11?
The evidence of accepting liability of 9/11 attacks from al-Qaeda


لعبد الحميد
আব্দুল হামিদ
By Abdul Hamid 

للقرائة المباشرة والتحميل
সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading
https://justpaste.it/9-11_hamlar_jonno_ke_dayi
https://archive.vn/TOB21
https://mediagram.me/4ec2b9af5f96696d
https://archive.vn/HsVbq
https://noteshare.id/vAcaD4N
https://archive.ph/RAOd0
https://web.archive.org/web/20210907093059/https://justpaste.it/9-11_hamlar_jonno_ke_dayi
https://web.archive.org/web/20210907093331/https://mediagram.me/4ec2b9af5f96696d
https://web.archive.org/web/20210907093014/https://noteshare.id/vAcaD4N

روابط بي دي اب
PDF (1.4 MB] পিডিএফ ডাউনলোড করুন [১.৪ মেগাবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/7Qs2qayypSEXFKE
https://archive.org/details/web-banner-9-11/
https://archive.org/download/web-banner-9-11/article_who%20did%20it%20alfirdaws.pdf
https://anonfiles.com/X1mek7G2ue/article_who_did_it_alfirdaws_pdf
https://download.ru/files/96o1uFHy
https://bayfiles.com/n5oekfGcud/article_who_did_it_alfirdaws_pdf

روابط ورد
Word (506 KB)
ওয়ার্ড [৫০৬ কিলোবাইট]

https://banglafiles.net/index.php/s/T7gky2TKDxJMTbr
https://archive.org/details/web-banner-9-11/
https://archive.org/download/web-banner-9-11/article_who%20did%20it%20alfirdaws.docx
https://anonfiles.com/T4m7k9G7u1/article_who_did_it_alfirdaws_docx
https://download.ru/files/AKJCBsMI
https://bayfiles.com/p3o3keG6ub/article_who_did_it_alfirdaws_docx

روابط الغلاف- ١
book Banner [1.3 MB]

বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [১.৩ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/kHFKCFRiH2HBr8e
https://archive.org/details/web-banner-9-11/
https://anonfiles.com/V7m6keG6u3/4_jpg
https://download.ru/files/H6YMUjfP
https://bayfiles.com/j5o2kcG5u7/4_jpg

روابط الغلاف- ٢
Banner [3.3 MB]

ব্যানার ডাউনলোড করুন [৩.৩ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/xLGAbdXEFgDkgDD
https://archive.org/details/web-banner-9-11/
https://archive.org/download/web-banner-9-11/web-banner-9-11.jpg
https://anonfiles.com/b4n0k5Gcu2/web-banner-9-11_jpg
https://download.ru/files/5D23KRn7
https://bayfiles.com/j5o2kcG5u7/4_jpg

************
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الفردوس للإنتاج الإعلامي
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন
In your dua remember your brothers of
Al Firdaws Media Foundation

 

**************

৯/১১ এর হামলার জন্য কে দায়ী?

আল-কায়েদার পক্ষ থেকে ৯/১১ হামলার দায় স্বীকারের দলীল প্রমাণ

আব্দুল হামিদ

 

পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ

  • বইতে প্রদত্ত লিংকগুলো ভিসিট করার জন্য আমরা আপনাকে টর ব্রাউজার অথবা ভিপিএন ব্যবহারে উৎসাহিত করবো। এটি আপনার নিরাপত্তার জন্যই জরুরী।
  • বইতে যে সকল সুত্রে আর্কাইভ লিংক যুক্ত করা হয়েছে, এগুলো অধিকাংশ প্রাইভেট, অথবা এই বই প্রকাশের পর কুফফার ও তাগুতরা প্রাইভেট করে দিতে পারে, তাই আমরা পাঠককে আর্কাইভ সাইটে একটি আইডি করে নিতে উৎসাহিত করবো। আর্কাইভ সাইটে একাউন্ট কিভাবে করতে হবে তা শিখে নিতে পারেন এই ভিডিও থেকে –

লিংক: ১ – https://3.top4top.net/m_1308e81m41.mp4

লিংক: ২ – https://www.mediafire.com/file/278jco6m31cp863/Archive_Tutorial.mp4/file

লিংক: ৩ – https://archive.org/details/Archive_Tutorial

আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিহিল আমিন, আম্মা বাদ-

৯/১১ এর বরকমতময় হামলার পর পাড় হয়ে গেছে ২০ বছর। এই হামলা আমেরিকাকে বাধ্য করে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদের চালানো যুদ্ধকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে। আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমণ করে, তারপর ইরাক। শেষপর্যন্ত দুই ময়দানেই মহান আল্লাহ তাদের পরাজিত করেন। আজ যখন এই হামলার ২০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে, তখনই আমেরিকা পরাজয় স্বীকার করে বাধ্য হয়েছে খুরাসান ছেড়ে ফিরে যেতে। সারা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট হয়েছে তাদের পরাজয়ের বাস্তবতা। আমেরিকান আধিপত্য নড়বড়ে হয়ে গেছে। এ সব কিছুর সূচনা হয়েছিল ৯/১১ এর বরকতময় হামলার মাধ্যমে।

কিন্তু, দুঃখজনকভাবে এ হামলার ২০ বছর পরও, অনেক মুসলিম এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে ভুগেন। এ হামলা যে আল-কায়েদা করেছে এবং এর সামরিক, রাজনৈতিক ও শরয়ী যৌক্তিকতা যে অসংখ্যবার আল-কায়েদা নেতৃবৃন্দের অফিশিয়াল বার্তা ও বক্তব্যে উঠে এসেছে, তা নিয়ে আজো অনেকে বেখবর। এ অজ্ঞতার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।

  • একটি কারণ হল, একদিকে বহুল প্রচলিত কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং সংবাদ প্রতিবেদনের উপর আস্থা রাখা। অন্যদিকে আল-কায়েদার অফিশিয়াল বক্তব্যগুলো না দেখা। যেকোন দল, সংগঠন, আন্দোলন, গোষ্ঠী ইত্যাদির অবস্থান সম্পর্কে জানার জন্য তারা নিজেরা কী বলছে, তা দেখা জরুরী। কেবল তাদের ব্যাপারে কী বলা হচ্ছে, তা দেখা যথেষ্ট না।
  • আরেকটি কারণ হল, মুসলিমদের মধ্যে এমন অনেক দল এবং গোষ্ঠী আছে যারা ব্যাপকভাবে পরাজিত মানসিকতায় আক্রান্ত। তারা এ কথা বিশ্বাসই করতে পারে না যে, কোন মুসলিম সংগঠন আমেরিকাকে এভাবে আঘাত করতে পারে। এধরণের ব্যক্তি ও দলগুলো তাই বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের দিকে ঝুঁকে পড়ে। তথাকথিত ইসলামী গণতান্ত্রিক দলগুলোর মধ্যে এমন মনোভাবে বেশি দেখা যায়।
  • এছাড়া অনেকে নিছক প্রচারণা এবং না জানার কারণে এ বিষয়ে বিভ্রান্তিতে ভুগেন।

এ বিভ্রান্তির নিরসনে আমরা তাই গাজওয়াতুল ম্যানহাটন তথা ৯/১১ হামলার ব্যাপারে আল-কায়েদার দায় স্বীকার সংক্রান্ত বক্তব্যগুলো একত্রিত করার চেষ্টা করেছি। দলীলগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

  • প্রথম ভাগে ঐ সব বক্তব্য এসেছে, যেখানে শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সুস্পষ্টভাবে হামলার দায় স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি আল কায়েদার অফিসিয়াল মিডিয়া থেকে প্রকাশিত অপারেশন পরিচালনাকারী বীর শহীদ সেনানীদের অসিয়তগুলো যুক্ত করা হয়েছে। ৯/১১ অপারেশন আল কায়েদার-ই কাজ, এটি প্রমাণ করতে এই দলীলগুলো-ই যথেষ্ট।
  • দ্বিতীয়ভাগে শাইখ আইমান হাফিযাহুল্লাহ’র একটি কিতাব ও আরেকটি রিসালাহ, শাইখ আতিয়াতুল্লাহ রহিমাহুল্লাহ’র একটি প্রশ্নোত্তর ও শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ ও অন্য কয়েকজন শাইখের কথোপকথনের ভিডিও রয়েছে, যা আমাদের দাবীকে অত্যান্ত শক্তিশালী করবে ইনশা আল্লাহ।
  • তৃতীয় ভাগে আরও কিছু দলীল এনেছি, যা আমাদের দাবীকে দিনের আলোর মত পরিষ্কার করে দিবে।

উল্লেখ্য যারা আল-কায়েদা তথা জিহাদি আন্দোলনের বিভিন্ন বক্তব্য, বিবৃতি এবং মিডিয়া রিলিজগুলো সম্পর্ক ধারণা রাখেন তারা জানেন যে ৯/১১ হামলার ব্যাপারে আল-কায়েদার অবস্থান স্পষ্ট এবং অসংখ্য বার তাঁরা এটি নিয়ে নিজ অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। যারা জিহাদি আন্দোলনের ব্যাপারে ঐভাবে খবর রাখেন না, এবং মূলধারার মিডিয়ার উপর নির্ভর করেন তাদের পক্ষেই আসলে এ বাস্তবতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থাকা সম্ভব।

প্রথম শ্রেণীর প্রমাণ

১- আমেরিকার জনগণের উদেশ্য শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ বলেন-

“আমরা তোমাদের সাথে লড়াই করি কারণ আমরা স্বাধীন মানুষ; আমরা নিপীড়ন মেনে নিতে পারি না। আমরা চাই আমাদের জাতির কাছে আবার স্বাধীনতা ফিরে আসুক। তোমরা যেমন আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছ ঠিক তেমনি আমরাও তোমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবো। কেবল একজন নির্বোধ ডাকাতই অন্যের সুরক্ষা বিঘ্নিত করার পরও আশা করে যে তার নিজের সুরক্ষা সুরক্ষিত থাকবে। বুদ্ধিমান লোকেরা বিপর্যস্ত হলে, ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনা করে যাতে এর পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে। তবে, তোমাদের আচরণ আমাকে বিস্মিত করে! ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার চার বছর পরেও বুশ এই ঘটনাগুলির আসল কারণ গোপন করার জন্য কৌশলে তোমাদের বিভ্রান্ত করে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে রাখছে।

বুশের এই ছলচাতুরীর ফলে যে কারণগুলির কারণে ৯/১১ হামলা চালানো হয়েছিল এবং প্রয়োজনে আবারও হামলা করা হতে পারে – সে কারণগুলো অপরিবর্তিত থেকে যাচ্ছে।

আমি এখানে এই হামলার পিছনের কারণগুলো তোমাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। প্রকৃতপক্ষে, কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই হামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল সেটি তোমাদের সামনে আজ তুলে ধরবো।

আমরা কখনও ভাবিনি একদিন আমরা টুইন টাওয়ারে আঘাত করব। আমেরিকা–ইসরাইল জোটের চালানো অত্যাচার ও নিপীড়ন যখন সকল সীমা অতিক্রম করে তখন এই বিষয়টি সর্বপ্রথম আমার মনে আসে। ফিলিস্তিন এবং লেবাননে আমাদের জনগণের উপর আমেরিকা– ইসরাইল জোটের অকথ্য নিপীড়ন আমরা দেখেছি। সেই সময়টাতে আমি তীব্র মনঃকষ্টে ছিলাম যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। যাইহোক, এই ঘটনা আমার মধ্যে প্রতিরোধ মানসিকতা গড়ে তুলে এবং অত্যাচারীদের শাস্তি দেওয়ার দৃঢ় সংকল্প তৈরি করে।

লেবাননের বিধ্বস্ত এপার্টমেন্টগুলো দেখার পর আমার মাথায় আসলো যে, লেবাননে তোমাদের প্রয়োগ করা পদ্ধতি ব্যাবহার করে তোমাদেরকে এর তিক্ততার স্বাদ আস্বাদন করাতে হবে। এজন্য আমেরিকার টাওয়ারগুলি ধ্বংস করা সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উপায়, যাতে করে তোমরাও আমাদের মতো ধ্বংসের তিক্ততার স্বাদ অনুভব করতে সক্ষম হও। সম্ভবত, এটি তোমাদেরকে আমাদের নির্দোষ মহিলা ও শিশুদের হত্যা করা থেকে বিরত রাখবে। সেদিনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমেরিকা নিজেদের স্বার্থে নির্দোষ মহিলা এবং শিশুদের হত্যা করাকে ন্যায়সংগত মনে করে।

আমেরিকার সেইসকল জঘন্য অন্যায়ের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ ১১ সেপ্টেম্বরের হামলা চালানো হয়েছিল।

এখন তোমাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, নিজ জন্মভূমি রক্ষার চেষ্টা করলে তাকে কি অপরাধী বলা যাবে? আত্মরক্ষা এবং অত্যাচারীর অত্যাচারের প্রতিক্রিয়াকে কি সন্ত্রাসী কার্যক্রম বলা যাবে? যদি এটাকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বলা হয়, তবে আমাদের কাছে এর আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই”।

শাইখ আরও বলেন-

“তোমাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি – আমরা ৯/১১ হামলার গ্রুপ লিডার মুহাম্মাদ আত্তা রহিমাহুল্লাহ এর সাথে এব্যাপারে একমত হয়েছিলাম যে, পুরো অভিযানটা আমরা ২০ মিনিটের মধ্যে শেষ করবো যেন বুশ প্রশাসন কোন প্রতিক্রিয়া দেখানোর সুযোগ না পায়।

আমাদের কল্পনাতেও আসেনি যে, আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার–ইন–চিফ বিধ্বস্ত টুইন টাওয়ারে পঞ্চাশ হাজার আমেরিকানকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দিবে যখন তাদের তাঁর সহায়তার একান্ত প্রয়োজন ছিল। সম্ভবত, বাচ্চাদেরকে ছাগল পালন সংক্রান্ত বই পড়ানো তার কাছে ৫০,০০০ আমেরিকানের জীবনের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল। তাই অপারেশন সমাপ্তির জন্য আমাদের যে সময় বরাদ্দ করা হয়েছিল তার তিনগুণ সময় পেয়েছিলাম”।

সূত্র- “রিসালাতুন ইলাশ শা’বিল আমরিকি” (رسالة إلى الشعب الأمريكي) “আমেরিকার জনগণের প্রতি বার্তা”। জামাআত কায়িদাতুল জিহাদের অফিসিয়াল মিডিয়া উইং আস সাহাব মিডিয়া পরিবেশিত ভিডিওটি সর্বপ্রথম ২০০৪ সালে আল জাজিরা প্রকাশ করেছিল।

গুরুত্বপূর্ণ এই বার্তাটি জামাআত কায়িদাতুল জিহাদ কর্তৃক ইতিহাস পরিবর্তনকারী বরকতময় গাজওয়াতুল ম্যানহাটন (৯/১১ অপারেশন) পরিচালনা ও তার দায় স্বীকারের একটি প্রামাণ্য দলিল। এবং রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরি/ ২৫ অক্টোবর ২০২০ ইংরেজি সালে আল কায়েদা উপমহাদেশের অফিসিয়াল বাংলা মিডিয়া ‘আন নাসর’ এর বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়।

ভিডিও (ইংরেজি সাবটাইটেলসহ) –

https://archive.org/details/LaDeN17

বাংলা অনুবাদ- https://archive.vn/FQoZo

২- ইউরোপের জনগণের উদ্দেশ্য এক বার্তায় শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ বলেন-

“…এবং তাঁদের ঘা গুলো শুকানো এবং দুঃখ শেষ হবার আগেই তাঁরা অন্যায়ভাবে তোমাদের সরকারগুলোর আক্রমণের শিকার হল। “এই আক্রমণ হল সেপ্টেম্বর ১১ এর ঘটনার প্রতিউত্তর” – বুশের এই দাবির ব্যাপারে কোন বিশ্লেষণ এবং পর্যালোচনা ছাড়াই তোমাদের সরকারগুলো আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তোমাদের সরকারগুলো আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। ৯/১১ এর ঘটনাগুলো ছিল ফিলিস্তিন ও লেবাননে মুসলিমদের উপর চালানো ইস্রাইলী-অ্যামেরিকান জোটের হত্যাযজ্ঞের প্রতিশোধ।

৯/১১ এর ঘটনাসমূহ আমার নির্দেশে সংঘটিত হয়েছিল। এবং আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, সরকার বা নাগরিক, কোন আফগানের এই ঘটনার ব্যাপারে কোন পূর্বধারণা ছিল না। এবং অ্যামেরিকা এই কথার সত্যতা সম্পর্কে অবগত আছে। তালিবানদের কিছু মন্ত্রী তাদের কাছে বন্দী হয়েছিল এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় অ্যামেরিকানদের কাছে পরিষ্কার হয় যে তালিবান এবং আফগানরা ৯/১১ এর পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত ছিল না। এজন্যই তালিবান সরকার অ্যামেরিকার আফগানিস্তান আক্রমণ করার আগে তাদের কাছে ৯/১১ এর ব্যাপারে প্রমাণ চেয়েছিল। কিন্তু অ্যামেরিকা কোন প্রমাণ উপস্থাপন করে নি এবং তারা আক্রমণ করতে অধিকতর আগ্রহী ছিল। আর ইউরোপ অ্যামেরিকার পদচিহ্ন অনুসরণ করলো এবং অ্যামেরিকার অনুচর হওয়া ছাড়া ইউরোপের আর কোন উপায় ছিল না”।

সুত্র- কালিমাতুন ইলাশ-শুয়ুবিল উরুবিয়াহ (كلمة إلى الشعوب الأوروبية) ‘ইউরোপের জনগণের প্রতি বার্তা’। এই বার্তাটি আনুমানিক ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয়েছে।

ভিডিও [ইংরেজি সাবটাইটেলসহ] –

https://archive.org/details/Osama_ToEurope

পিডিএফ-

https://archive.org/details/download_20200209_1709

৩- শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ বলেন-

“আমি নিশ্চিতভাবে জানি যে, ১১ই সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনার সাথে তাঁর (জাকারিয়া মোসাবি – আমেরিকা কর্তৃক বন্দীকৃত একজন মুসলিম ভাই) কোন প্রকার সম্পৃক্ততাই ছিলো না। কারণ সেই ১৯ জন ভাই (আল্লাহ্‌ তাঁদের উপর রহম করুন) যারা সেই মিশনে ছিলেন- তাঁদের দায়িত্ব আমার উপর ছিলো এবং আমি নিজেই যাকারিয়া ভাইকে সেই মিশনে তাঁদের সাথে রাখিনি। আর সেই মিশনে তাঁর সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তিটি একটি মিথ্যা স্বীকারোক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। গত সাড়ে চার বছর ধরে উনাকে দিয়ে যে জোর করে এই স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে তা যে কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি বুঝতে সক্ষম।

ঘটনার দুই সপ্তাহ আগে মোসাবিকে গ্রেপ্তার করা হয় যিনি সেপ্টেম্বর-১১ এর দলটির ব্যপারে কিছুই জানতেন না। আর যদি আদৌ কিছু জানতেন তাহলে আমরা কমান্ডার মুহাম্মাদ আতা ভাই ও তাঁর সাথী ভাইদের (আল্লাহ্‌ তাঁদের উপর রহম করুন) আমেরিকা ছেড়ে চলে আসতে বলতাম। সুতরাং তাঁর যে সেপ্টেম্বর ১১ এর ঘটনার সাথে কোনও সম্পৃক্ততা নেই তা এর দ্বারা একদম পরিষ্কার হয়ে যায় যা একজন ঝানু তদন্তকারী তো দূরে থাক একজন আনাড়ি তদন্তকারীও বুঝতে সক্ষম”।

সুত্র- শাহাদাতু হাক্ক (شهادة حق – بخصوص أسرى المسلمين لدى أمريكا) ‘সঠিক বিষয়ের ব্যাপারে সাক্ষ্য’। আস সাহাব মিডিয়া থেকে এই বার্তাটি ২৩ মে ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়েছে।

ভিডিও [ইংরেজি সাবটাইটেলসহ]-

www.archive.org/download/Archive-of-Osama-talks/shahadat-7ak-high.rmvb

পিডিএফ [ইংরেজি]-

https://archive.org/details/download_20200209_1714

ইংরেজি টেক্সট- https://archive.ph/JoRm0

৪- শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিযাহুল্লাহ বলেন-

“আসল কথা হলো: শাইখ যখন সুদান থেকে বের হলেন, তখন তাঁর সম্পদের অবস্থা এত ভালো ছিল না, মানুষ যেরূপ ধারণা করে থাকে। তবে এটা সত্য, শাইখ তখনো সম্পদের মালিক ছিলেন। এতদসত্ত্বেও কখনোই শাইখ জিহাদের ক্ষেত্রে সম্পদ খরচ করতে কৃপণতা করেননি। যার একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ হলো, শাইখের নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন আক্রমণের বিশাল খরচ।

৯/১১ হামলার ব্যাপারে এখানে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরবো, আমেরিকা এবং তার দোসর আরব-অনারবের মিডিয়াগুলোর একটি নিকৃষ্ট চরিত্র হলো: যখন ৯/১১ এর হামলার আলোচনা আসে, তখন তারা শুধুমাত্র নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, তথা টুইন টাওয়ারের আলোচনা করেই ক্ষান্ত হয়ে যায়। পেন্টাগনের হামলা ও ঐ বিমানটির কথা আলোচনা করা হয় না; যা পেনসেলভিনিয়ায় ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই সকল লোকেরা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এর আলোচনা তো করে; কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে পরাশক্তির অধিকারীদের মাথায় আঘাতের বিষয়গুলোও উল্লেখ করে না…

সারকথা হলো: শাইখ জিহাদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি খরচ করতেন। এই ব্যাপারে শাইখ আমাকে একবার একটি ঘটনা শুনিয়েছিলেন। একবার শাইখের নিকট খুব সামান্য কিছু পয়সা ছিল, ঐ সময় ৯/১১ এর হামলার প্রশিক্ষণের জন্য নিযুক্ত এক ভাই আসেন এবং বলেন আমার খুব শীঘ্রই এত টাকা প্রয়োজন। যদি এই টাকার ব্যবস্থা হয়, তাহলে সাথীদেরকে পরিপূর্ণরূপে গড়ে তুলতে পারবো। শাইখ  রহিমাহুল্লাহ বললেন, আমার কাছে শুধুমাত্র আগামী মাস চলার মতো খরচ আছে; যাও! তুমি এগুলো নিয়ে যাও। আল্লাহ তা‘আলা হয়তো আমাকে অন্য জায়গা থেকে ব্যবস্থা করে দিবেন। আসলে আল্লাহ তাআলা তাঁকে ব্যবস্থা করেও দিয়েছিলেন।”

সুত্র- ইমামের সাথে অতিবাহিত দিনগুলো, পর্ব-০২ -শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ, এটি ২০১২ সালের জুন মাসে আস সাহাব মিডিয়া থেকে প্রকাশিত হয়েছে। আমার অনুসন্ধানে এটির পশতু, উর্দু ও বাংলা অনুবাদও প্রকাশিত হয়েছে।

মূল ভিডিও- https://archive.org/details/ayam_imam2

আরবি পিডিএফ- https://archive.org/details/N5bh3

পশতু অনুবাদ ভিডিও-

https://archive.org/details/pasht-jours-av_imam

উর্দু অনুবাদ ভিডিও-

https://archive.org/details/days-ma3a_imam_ordo

উর্দু পিডিএফ- https://archive.org/details/ayam-ordo

বাংলা অনুবাদ ভিডিও-

https://archive.org/details/a02f021080

বাংলা পিডিএফ-

https://archive.org/details/siticharonporbo2

৫- মুজাহিদিন ৯/১১ হামলায় ‘নিরীহ মানুষ হত্যা’ করেছে দরবারী আলিমদের এই মিথ্যা অভিযোগের জবাবে শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিযাহুল্লাহ বলেন-

“যাই হোক, আনোয়ার সাদাতের প্রতি তাদের সহানুভূতি প্রকাশের পর (তাদের বিবেচনায় সে শহীদ) তারা দাবী করল, আমেরিকার গোলাম দেশীয় তাগুত শাসকদের সাথে ঐক্যমত ছাড়া আমেরিকার মোকাবেলা করা আমাদের ঠিক হবে না।

তাহলে তাদের উদ্দেশ্যটা কী? আমরা কি জিহাদ ছেড়ে দেবো?!

তারা ‘নিরীহ মানুষ হত্যা’ নামে মিথ্যা সাইনবোর্ড ব্যবহার করল। তারা বলল, তোমরা টুইন টাওয়ারে নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছ। অথচ আল্লাহর অনুগ্রহে আমরা আগেই এসব সংশয় নিরসন করেছি। কিন্তু সংশয় পোষণকারীর অপবাদ থেকে পরিত্রাণের জন্য বলছি, যেহেতু তোমরা ধারণা করছ যে (অথচ তা ভুল ধারণা) আমরা টুইন টাওয়ারে নিরীহ লোকদের হত্যা করেছি। তাহলে কি পেন্টাগনেও নিরাপরাধ লোক ছিল? নাকি আঘাত করা হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তির কেন্দ্রে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রধান সামরিক অপরাধীদের লক্ষ্য করে?

কংগ্রেস ও হোয়াইট হাউজ অভিমুখী বিমানটি কি নিরপরাধ লোকদের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলো?

আচ্ছা! তোমরা যখন চাচ্ছ, জিহাদ শুধু সামরিক ঘাঁটিকেই টার্গেট করে হবে। তাহলে এই যে আমেরিকার সামরিক শক্তি, পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিস্তৃত হয়ে আছে। বরং তার ঘাঁটি, ফেতনা ফাসাদ ও নষ্টামী দ্বারা তোমাদের দেশ ভরে দিয়েছে। তো এসো, সেখানে হামলা করো। তোমাদের সংশয়মুক্ত নিখুঁত জিহাদ আমাদের দেখাও”।

একই বক্তব্যে শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী বলেন ৯/১১ হামলা নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানোর পিছনে ইরানের ভূমিকা আছে-

“…সাথে আমেরিকার তথাকথিত সন্ত্রাস বিরোধী হামলায় একই পন্থায় ইরানও অংশ নিয়েছে। ফলে সে বাঁশিতে ফু দিয়ে বলে, এটা (৯/১১ হামলা) ইসরাইল-আমেরিকার ষড়যন্ত্র। প্রত্যেক বিরোধীদের সাথে এটাই তাদের আচরণ। এমনকি তারা যখন নিজেদের নির্বাচন নিয়ে মতানৈক্য করে তখন একে অপরকে এভাবে দোষারোপ করে।

ইরান তো আমেরিকারই অংশীদার আফগান যুদ্ধে, ইরাক যুদ্ধে ও সিরিয়া আক্রমণে। সুতরাং সিরিয়ায় শিয়া মিলিশিয়া নিজের কর্মক্ষেত্রের জন্য আমেরিকার নির্ধারণ, বণ্টন, অনুমোদন ও নির্দেশে লড়াই করছে”।

সুত্র- নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ও পেনসিলভেনিয়ায় বরকতময় হামলার ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত “তারা সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেই থাকবে!” (ولَا يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ) নামক ভিডিও বার্তা। এটির বাংলা অনুবাদ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে আন নাসর মিডিয়া থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

আরবি ও ইংরেজি- https://sahabmedia.co/?p=2689

বাংলা অনুবাদ- https://justpaste.it/tarasorboda

এ বক্তব্যগুলো বিষয়টি স্পষ্ট যে আল-কায়েদা নেতৃবৃন্দ স্পষ্টভাবে এ হামলার দায় স্বীকার করেছেন। এবং সেটা করা হয়েছে তাদের অফিশিয়াল বক্তব্য ও বিবৃতিতেই। এমন আরো অনেক বক্তব্য আছে।

অপারেশনে অংশগ্রহণকারী ভাইদের অসিয়ত প্রকাশ

৯/১১ অপারেশন আল কায়েদা-ই পরিচালনা করেছে, এর সবচে’ বড় কিছু প্রমাণ হল আল কায়েদা নিজস্ব অফিসিয়াল মিডিয়াতে অপারেশনে অংশ গ্রহণকারী যোদ্ধাদের বেশ কিছু অসিয়ত প্রকাশ করেছে। খেয়াল করার বিষয় হল এই প্রত্যেকটি অসিয়তের সাথে ভিডিওতে স্পষ্টভাবে “বরকতময় ১১ সেপ্টেম্বরের অপারেশন বাস্তবায়নকারীদের একজন” লিখে দেওয়া হয়েছে।

১।  ভাই আবু আল-আব্বাস আল জানুবী আল ‘উমারী’র শেষ ওয়াসিয়্যাত

এটি আরবি’র পাশাপাশি উর্দু ও ইংরেজিও প্রকাশিত হয়েছে।

আরবি ভিডিও-  https://archive.org/details/Abu-Al-Abbas-Will-Arabic

উর্দু ও ইংরেজি ভিডিও-

https://archive.org/details/abulabbasaljanubiwill

 ২।  ভাই সাঈদ আল ঘামদীর শেষ ওয়াসিয়্যাত

এটি দুই পর্বে প্রকাশিত হয়েছিল। ১ম ও ২য় পর্ব ইংরেজি সাবটাইটেল সহ ভিডিও- https://archive.org/details/911-will-saeed-al-ghamdi

৩।  ভাই আবু মুস’আব ওয়ালীদ আল শিহরীর শেষ ওয়াসিয়্যাত (শাইখ উসামার পক্ষ থেকে বার্তাসহ)

 ইংরেজি সাবটাইটেল সহ- https://archive.org/details/R-B-G

৪।  ভাই আহমাদ আল হাজনাবি’র অসিয়ত

মূল ভিডিও- https://archive.org/details/B-R-G

ইংরেজি সাবটাইটেল-

https://archive.org/details/Al-haznawe.video

৫। ভাই মুহান্নাদ আশ-শিহরি (আবু উমর আল আজদি) এর অসিয়ত এর নির্বাচিত অংশ-

ইংরেজি সাবটাইটেল ভিডিও ও পিডিএফসহ-

https://archive.org/details/wakatelom4

দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রমাণ

১-  “১১ই সেপ্টেম্বরের ফেদায়ী অভিযানে আত্মোৎসর্গকারী যোদ্ধাদের প্রতি আমীরে জিহাদ শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ-এর উপদেশ”

১১ই সেপ্টেম্বরের মোবারক অপারেশনের পূর্বের রাতে অপারেশনে অংশগ্রহণকারী আত্মোৎসর্গকারী সাথীদের মাঝে এটি বণ্টন করে দেওয়া হয়েছিল। আলেমে রব্বানী শহীদ উস্তাদ আহমদ ফারুক (রহিমাহুল্লাহ) এই হেদায়েতনামার (উর্দু) অনুবাদ করেছেন, যা ‘‘নাওয়ায়ে আফগানে জিহাদ” এর পাঠকদের খেদমতে পেশ করার সৌভাগ্য হয়ে ‘নাওয়ায়ে আফগান’ ম্যাগাজিন সেপ্টেম্বর-২০১৮ সংখ্যায় প্রকাশিত معرکہ گیارہ ستمبر کے فدائیوں کو امرائے جہاد کا ہدایت نامہ  এর বাংলা অনুবাদ আছে।

নাওয়ায়ে আফগান জিহাদ আল-কায়েদা উপমহাদেশের অফিশিয়াল উর্দু ম্যাগাজিন। বর্তমানে যার নাম পরিবর্তন করে ‘নাওয়ায়ে গাযওয়াতুল হিন্দ’ রাখা হয়েছে। উস্তাদ আহমদ ফারুক (রহিমাহুল্লাহ) ছিলেন পাকিস্তানে আল-কায়েদার প্রধান একজন উচ্চপদস্থ আল-কায়েদা নেতা এবং আল-কায়েদা উপমহাদেশ গঠিত হবার পর এর প্রথম নায়েব।

উর্দু ম্যাগাজিন-

https://archive.org/details/nawai-afghan-jihad-september-2018

বাংলা অনুবাদ-

https://archive.org/details/AmireJihaderHedayetBani

২-  শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরীর বিখ্যাত ‘আত-তাবরিয়া’ কিতাব, এ কিতাবে ৯/১১ হামলার শরয়ী, রাজনৈতিক এবং সামরিক দিকগুলো নিয়ে তিনি দীর্ঘ আলোচনা করেছেন এবং এ ব্যাপারে উত্থাপিত বিভিন্ন আপত্তির জবাব দিয়েছেন।  বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন।

আরবি- https://archive.org/details/altabr2a001/

ইংরেজি অনুবাদ-  https://af.1lib.net/book/5451584/e5f9bc

এই গ্রন্থের ভিসা ও আমান সংক্রান্ত অধ্যায়ের বাংলা অনুবাদ-

https://archive.org/details/VisaOAman

৩-  হিসাবাহ ফোরামে শাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল লিবী রহিমাহুল্লাহ’র একটি বিস্তৃত সাক্ষাৎকারের একটি অংশে ৯/১১ অপারেশনের ব্যাপারে শাইখের বিস্তারিত মূল্যায়ন এসেছে। তিনি এই যুদ্ধের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক সম্পর্কে কয়েক পাতা ব্যাপী আলোচনা করেছেন। আমরা নিম্নে কিছু অংশের অনুবাদ তুলে দিচ্ছি-

“এক ভাইয়ের প্রশ্ন: মাআল হক

১১ই সেম্পম্বরের আক্রমণকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন? আপনি কি মনে করেন যে শাইখ উসামা হাফিজাহুল্লাহ এবং তাঁর অনুসারীগণ এ ব্যাপারে সঠিক করেছেন নাকি ভুল করেছেন, এ আক্রমনের পর ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিকগুলো কি, আর এর পরবর্তী সময়ে ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তান ও সাধারনত ইসলামী দলগুলো ও বিশেষভাবে মুসলিম রাষ্ট্রে জিহাদী দলগুলোর ব্যাপারে, আপনার দৃষ্টিতে এবং আপনার নিকট যে সংবাদ পৌছেছে ও আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে বলবেন?

উত্তর:

হে সম্মানিত ভাই, কথা হলো ১১ই সেপ্টেম্বর নিয়ে, এবং এর মূল্যায়ন, এ বিষয়টি কঠিন, এবং বিস্তারিত আলোচনার দাবি রাখে। প্রধান প্রশ্ন হলো, শাইখ উসামা এ ব্যাপারে সঠিক এবং যথার্থ ছিলেন কিনা?

এ বিষয়টিকে দৃঢ়তার সাথে বলা আমাদের জন্য কঠিন, কারণ শাইখের সকল জ্ঞাত বিষয়, যোগ্যতা এবং অন্যান্য বিষয়গুলো আমাদের (এখানে ‘আমাদের’ বলতে মূলত প্রশ্নকারী ও পাঠকদের উদ্দেশ্য করা হচ্ছে) পুরোপুরি জানা নেই…আর এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক বড় হামলা, বরং এটি মানব ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এর উপসর্গ এবং প্রভাব এখনও অব্যাহত রয়েছে, তবে আল্লাহ তা’য়ালা যত দিন চান (ততদিন থাকবে) এর ফলে এখনও যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে, আর এর উপর ভিত্তি করেই বর্তমানের কর্ম পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে।

…তারপরও আমরা সাধারণভাবে যা দেখেছি তা হলো, এই আক্রমণটি কল্যাণকর ছিল, এবং এটি একটি বিজয়। প্রশংসা ও অনুগ্রহ আল্লাহ তায়ালারই”।

সুত্র- মাজমুয়াতুল আ’মাল আলকামিলাহ, ১১৮ পৃষ্ঠা, আবু যুবাইর গাজী কর্তৃক সংকলিত। দারুল মুজাহিদিন থেকে ২০১৫ সালে প্রকাশিত।

লিংক- https://archive.org/details/atiya-complete

বাংলা অনুবাদ পড়ুন- https://justpaste.it/9_11shaikhatiyyah

লক্ষ্যনীয় শাইখ আতিয়াতুল্লাহ এ হামলার দায় অস্বীকার করেননি। বরং এটি আল-কায়েদার হামলা ও শাইখ উসামার সিদ্ধান্ত ধরে নিয়েই এর দীর্ঘমেয়াদী সামরিক, রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন।

৪-  ৯/১১ অপারেশন নিয়ে সেই বিখ্যাত স্বপ্ন, যা শাইখদের একটি খাস মজলিসে আলোচনা হচ্ছিল, যার একটি রেকর্ড মার্কিনীদের এর হাতে যায়, এবং সিএনএন ১৯ নভেম্বর ২০০১ ইংরেজি মোতাবেক শাবান ১৪২২ হিজরিতে টেলিভিশনে সাবটাইটেল দিয়ে প্রকাশ করেছিল। উল্লেখ্য সিএনএন প্রকাশ করার কারণে আমরা বিষয়টিকে প্রমাণ হিসাবে উপস্থাপন করছি না। বরং ভিডিওটির সত্যতা মুজাহিদিনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করেছেন বলেই আমরা উপস্থাপন করছি।

 সেখানের কথোপকথনটি নিম্নরূপ-

আবু সুলাইমান আল মাক্কী: (একজন শাইখ বলেছেন-) কত মানুষ কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদে বের হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছিল? কিন্তু মুনাফিক ও কাফিররা তোমাদের ব্যাপারে সংশয় সৃষ্টি করেছিলো। অবশেষে এই মহান ঘটনাটি ঘটলো এবং মানুষ দলে দলে ঘর থেকে বের হয়ে আসলো।

একটি স্বপ্নের কথা আমার খুব মনে পড়ছে;  যেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন শাইখ সালেহ আস শাকিক। তিনি বলেছেন; একবার আমাকে একটি স্বপ্নের ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করা হয়েছে। আমি সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যায় বলেছি; ‘এখানে ভয়ংকর হামলা হবে এবং ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরী হবে। আর অচিরেই মানুষ দলে দলে আফগানিস্তানের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়বে’। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আফগানিস্তানের উদ্দেশ্যে? তিনি বললেন হ্যাঁ, আফগানিস্তানের উদ্দেশ্যেই। আমি তাকে বললাম, তাহলে যে ব্যক্তি এই যুদ্ধ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখবে সে হয় পিছিয়ে থাকা ব্যক্তি অথবা সে মুনাফিক।

আমার আরো মনে পড়েছে; আরেক ভাইয়ের কথা, যে এই স্বপ্নটি (অর্থাৎ মানুষের দলে দলে আফগানিস্তানের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাওয়া) এক বছর যাবত দেখেছেন। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ অনুগ্রহ। এই ঘটনা মানুষের উপর যে পরিমাণ প্রভাব ফেলেছে বছরের পর বছর জিহাদের দাওয়াত বা উদ্বোদ্ধ করার মাধ্যমে তা হতো না। কেননা এই হামলা মুমিন ও মুনাফিকের সারিগুলোকে আলাদা করে দিয়েছে।

শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ: আমরা চিন্তাভাবনা করে পদক্ষেপ গ্রহণের পর শত্রু পক্ষের কী পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হযেছে তা হিসাব করার জন্য বসলাম। আমাদের মতামত হলো; চারটি বিমানের যাত্রীদের সংখ্যা টাওয়ারের মানুষের তুলনায় কম ছিলো। ফলে তিন অথবা চারটি ধাপে বিমানগুলো হামলা চালায়। আমি এই হামলাগুলোর ক্ষেত্রে সবচে বেশি আশাবাদী ছিলাম। যুদ্ধক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী অভিমত হলো, বিমানের জ্বালানী আমেরিকার টাওয়ারগুলোতে ব্যবহৃত লোহা জালিয়ে দিতে সক্ষম হবে, ফলে টাওয়ারের মূল ভীত নড়বড়ে হয়ে পড়বে এবং এক দিক থেকে ধ্বসে পড়বে।

আর আঘাত হানা অংশের উপরিভাগ অচিরেই ভেঙ্গে পড়বে। এটি ছিলো আমাদের বড় একটি আশা। কিন্তু বাস্তবে আমাদের আশার চেয়ে অনেক বেশি ঘটেছে। ঘটনার সময় আমরা কোন একটি পাহাড়ের গুহায় অবস্থান করছিলাম। বৃহস্পতিবারের আগ থেকেই আমাদের কাছে এই সংবাদ ছিলো যে, মঙ্গলবার দিন তারা আঘাত হানবে। আমরা রেডিও অন করে রাখলাম। ভোর পাঁচটায় আমরা ভোরের কার্যক্রম নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম। কিছুক্ষণ পর ড.আহমাদ আবুল খায়েরের সাথে বসে আমরা রেডিওতে সংবাদ পেলাম যে, আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের একটি টাওয়ারে একটি বিমান আঘাত হেনেছে। অত:পর আমরা রেডিও স্টেশন পরিবর্তন করে অন্যান্য সংবাদগুলো তালাশ করতে থাকলাম। কিন্তু সেখানে আক্রমণের কোন সংবাদ পেলামনা। কিছুক্ষণপর সংবাদ সম্প্রচারে প্রায় শেষের দিকে তারা জানিয়েছে যে, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের একটি বিমান আঘাত হেনেছে। একটু পরে তারা আবার জানালো আরেকটি বিমানও ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের আঘাত হেনেছে”।

সুত্র- মাজমু’ রাসায়িল ওয়া তাওজিহাত, পৃষ্ঠা-৪৪৪, ২০১৫ সালে এটির আরবি লিখিত রূপ প্রকাশ করেছে বিখ্যাত  মুজাহিদ শাইখদের টেক্সট প্রস্তুতকারী মিডিয়া ‘নুখবাতুল ই’লাম আলজিহাদি’।

লিংক- https://archive.org/details/al_nokbah9_o_20151212

তৃতীয় শ্রেণীর প্রমাণ

আল কায়েদা কর্তৃক ৯/১১ সংগঠিত হয়েছে,  এর বড় আরও কিছু প্রমাণ হল ৯/১১ সম্পর্কিত বিশেষ কিছু প্রকাশনা (ভিডিও, ম্যাগাজিন ইত্যাদি) প্রকাশ করেছে আল কায়েদার অফিসিয়াল মিডিয়া। এই সকল প্রকাশনাতে অপারেশনের যৌক্তিকতা, প্ল্যান, প্রশিক্ষণসহ ৯/১১ অপারেশনের সম্পৃক্ত খুঁটিনাটি সকল বিষয় এসে গিয়েছে। ফলে এই অপারেশন পরিচালনাকারী যে আল কায়েদা-ই, এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না।

১। ‘ইলম হল আমল করার জন্য -১ (বিখ্যাত ‘ম্যানহাটন রেইড’ ভিডিওর প্রথম পর্ব)

 ইংরেজি সাবটাইটেলসহ-

https://archive.org/details/AboOsaama_089

২। ‘ইলম হল আমল করার জন্য -২ (বিখ্যাত ‘ম্যানহাটন রেইড’ ভিডিওর দ্বিতীয় পর্ব)

ইংরেজি সাবটাইটেলসহ-

https://archive.org/details/invasion911_part2

এ দুটি ভিডিও বিশেষভাবে ৯/১১ হামলার ব্যাপারেই প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে হামলাকারী কিছু ভাইদের আফগানিস্তানে অবস্থানকালীন ফুটেজ, এবং শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহ এর সাথে তাদের ফুটেজও যুক্ত করা হয়েছে। মহাল আল্লাহ তাঁদের সকলকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।

৩। সত্যের শক্তি

ইংরেজি সাবটাইটেলসহ- https://archive.org/details/R-R-G

৪। ঊম্মাহ-র বর্তমান অবস্থা- ১ম পর্ব

ইংরেজি সাবটাইটেলসহ-

http://www.archive.org/details/stateoftheummah1

৫। উম্মাহ-র বর্তমান অবস্থা- ২য় পর্ব

ইংরেজি সাবটাইটেলসহ-

https://archive.org/details/stateoftheummah2

৬। উম্মাতুন ওয়াহিদাহ ম্যাগাজিন, ইস্যু-৩

এ পুরো সংখ্যাটি ৯/১১ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

সামান্য পরিবর্তিতরূপে এই ম্যাগাজিনের আরবি ও ইংরেজি দুটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে।

আরবি সংস্করণ-

https://archive.gnews.bz/index.php/s/AkoYbJmHDmnEGDj

ইংরেজি সংস্করণ-

https://archive.gnews.bz/index.php/s/dQDBKtjZxi49Akf

৭। কে বিজয়ী? (انسباير : بمناسبة الذكرى التاسعة عشر لغزوات 11 سبتمبر المباركة من المنتصر؟) এটি আল কায়েদার ইয়েমেন শাখার অফিসিয়াল মিডিয়া আল মালাহিম থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

আরবি পিডিএফ- https://justpaste.it/WhoIstheVictorAR

ইংরেজি পিডিএফ-

https://archive.gnews.bz/index.php/s/xQZD5yZSMT7yHJX

এমন আরো অনেক প্রমাণ উত্থাপন করা সম্ভব। কিন্তু আমরা আশা করি এটুকু যথেষ্ট হবে।

সবশেষে কারো মনে হয়তো দুটি বিষয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে।

  • ৯/১১ হামলার পর দেয়া শাইখ উসামার একটি বক্তব্য যেখানে তিনি আপাতভাবে এ হামলার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
  • তালিবানের পক্ষ থেকে কিছু বক্তব্য যেখানে তাঁরা দাবি করেছেন ৯/১১ হামলা আল-কায়েদা করেছে এটি প্রমাণিত না।

এ দুটিই মূলত তাওরিয়ার[1] উদাহরণ। বিশেষ করে শাইখ উসামার পরবর্তী বক্তব্য থেকে বিষয়টি স্পষ্ট। শাইখ উসামার এই তাওরিয়ার উদ্দেশ্য সম্ভবত ছিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণায় আমেরিকার আগ্রাসী ও তাদের নিজস্ব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করার মনোভাবকে স্পষ্ট করে তুলা।

৯/১১ এর সাথে আল-কায়েদা জড়িত না তা প্রমানে শাইখ উসামার একটি বক্তব্যকে বারবার সামনে নিয়ে আসা হয়। ২০০১ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের উম্মত পত্রিকায় শাইখের একটি সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়। সাক্ষাতকারটি নেয় পাকিস্তানী সাংবাদিক হামিদ মীর।

এই একটি বক্তব্যের বরাত দেয়া হলেও শাইখের পরবর্তী একাধিক এবং আল-কায়েদা নেতৃবৃন্দের অসংখ্য বক্তব্য (যার কিছু উদাহরণ আমরা উপরে দিয়েছি) এড়িয়ে যাওয়া হয়। অথচ যুক্তির দাবি ছিল সবগুলো বক্তব্য সামনে রেখে তারপর বিবেচনা করা। এবং তা করা হলে শাইখ উসামার প্রাথমিক বক্তব্যের তাওরিয়ার বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়।

আসুন বিষয়টি দেখা যাক।

উম্মাহ পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাতকারে শাইখকে প্রশ্ন করা হয় –

উম্মাহ্‌ : আপনাকে ওয়াশিংটন এবং নিউইয়র্ক আক্রমণে জড়িত থাকার জন্য দায়ী করা হয়েছে। আপনি এই বিষয়ে কি বলবেন? যদি আপনি জড়িত না হন, তাহলে কে জড়িত?

শাইখ উসামা: পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ্‌ তাআলার নামে শুরু করছি। সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌ তাআলার, যিনি এই গোটা মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, এবং যিনি এই পৃথিবীকে মানব জাতির জন্য শান্তির আবাস বানিয়েছেন। আল্লাহ্‌ তাআলা চিরঞ্জীবী, যিনি আমাদের পথ দেখানর জন্য নবীজি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাঠিয়েছেন।

আমি ইতিমধ্যে বলেছি, আমেরিকায় সংঘটিত ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার সাথে আমি জড়িত নই। একজন মুসলিম হিসেবে আমি মিথ্যা বলা এড়িয়ে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি

সুত্র- The Al-Qa’idah group had nothing to do with the 11 September attacks, দৈনিক উম্মত, করাচী, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০১ ইংরেজি। মূল উর্দু সাক্ষাৎকারটি আমরা অনেক খুঁজেও পাইনি। ইংরেজি অনুবাদের একটি আর্কাইভ লিংক পেয়েছি-

https://web.archive.org/web/20020111073623/http://www.khilafah.com/1421/category.php?DocumentID=2392

আক্ষরিক অর্থে কথাটি সঠিক। আমেরিকায় ঘটা হামলার সাথে শাইখ সরাসরি, সশরীরে যুক্ত ছিলেন না। এ কথার ঠিক পরের লাইনেই শাইখের তাওরিয়ার আরো একটি ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যেখানে তিনি বলছেন – ‘আমি মিথ্যা বলা এড়িয়ে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি’ কারণ সঠিক মত হল শরীয়াহ যুদ্ধক্ষেত্রেও সরাসরি মিথ্যা বলার অনুমোদন দেয় না। তবে তাওরিয়ার অনুমোদন দেয়। এবং শাইখ যেন তাই এখানে বলছেন, তিনি মিথ্যা এড়িয়ে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।

শাইখের এই কথাটি যে তাওরিয়া, তা আমরা কাছাকাছি সময়ে প্রদান করা আরও ৩ টি বক্তব্য সামনে রাখলেও বুঝা যায়।

১)  ৯/১১ হামলার এক মাসের মধ্যেই এক বার্তায় আমেরিকার বিরুদ্ধে সারা দুনিয়ার মুসলিমদেরকে লড়াই করার ও আফগানের মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। এবং সুস্পষ্টভাবে ৯/১১ অপারেশনের যৌক্তিকতা ও অপারেশনে শহীদ যোদ্ধাদের প্রশংসা করেন –

“এই সেই আমেরিকা! যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সম্মুখীন করেছেন এবং তাদের আকাশচুম্বী ভবনগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন। সুতরা সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার। এই সেই আমেরিকা, যার উত্তর থেকে দক্ষিন, পুর্ব থেকে পশ্চিম জুড়ে আজ ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। সুতরা আবারও সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার।

যুগযুগ ধরে আমেরিকা আমাদের উপর নির্যাতনের যে ষ্টীম রোলার চালিয়েছে, সে তুলনায় তারা আজ যা আস্বাদন করছে তা খুবই নগণ্য। কেননা আমাদের মুসলিম জাতি আশি বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের পক্ষ থেকে এই অপমান লাঞ্চনার মুখোমুখি হয়ে আসছে। আমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করা হয়েছে, রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে আমাদের ভূমিগুলো। আমাদের পবিত্র স্থানগুলোর সাথে সীমালঙ্ঘন করা হয়েছে। আমাদের ভুমিগুলোতে আল্লাহর আইনের পরিবর্তে মানব রচিত আইন চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তখন আমাদের আর্তনাদ শুনার মতো কেউ ছিলোনা এবং আমাদের উদ্ধারে কেউ সাড়া দেয়নি।

তখন আল্লাহ তায়ালা ইসলামের হাজারো নক্ষত্রের মাঝে কিছু নক্ষত্রকে দু:সাহসিক অগ্রগামিতার তাওফীক দিলেন এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে বিজয় দান করলেন এবং আমেরিকাকে করে দিলেন চূর্ণবিচূর্ণ। আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে আশা করি আল্লাহ তায়ালা তাদের মর্যাদা বুলন্দ করবেন এবং তাদেরকে ফিরদাউসে আলা দান করবেন। নিশ্চই আল্লাহ তায়ালা এবিষয় ক্ষমতাবান। যখন আল্লাহর এই প্রিয় বান্দারা তাদের ফিলিস্তিনসহ অনেক ইসলামী রাস্ট্রের দূর্বল সন্তান-সন্তুতি, ভাই-বোনদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করলো; তখন পুরো পৃথিবীতে হইচই পড়ে গেলো। পুরো কুফফার জোট এবং তাদের অনুগত মুনাফিকরাও চেচামেছি শুরু করলো। কিন্তু আজ আমি যখন কথা বলছি ঠিক তখনো লাখো নিরপরাধ মুসলিম শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ইরাকে নির্বিচারে নিরাপরাধ মানুষদেরকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি। তখন এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে  দরবারি আলেমদের পক্ষ থেকেও কোন ফাতাওয়াও জারি করা হয়নি!”

এই বক্তব্যে শাইখ আমেরিকাকে হুমকি দিয়ে তার সেই ঐতিহাসিক কসম পুনরাবৃত্তি করেছিলেন – “আমেরিকা ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপত্তা লাভ করবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা ফিলিস্তিনে নিরাপত্তা লাভ করি।”

সুত্র- রিসালাতুন বা’দা ই’লানির হারব ফি আফগানিস্তান (رسالة بعد اعلان الحرب على افغانستان), শাইখ উসামা’র রচনাবলী ও বয়ান সংকলনগ্রন্থ ‘মাজমু’ রাসায়িল ওয়া তাওজিহাত’, পৃষ্ঠা-৪২১

ভিডিও – https://archive.org/details/LaDeN7

লিংক- https://archive.org/details/al_nokbah9_o_20151212

এই ভিডিওটি আল কায়েদার পক্ষ থেকে আল জাজিরা টেলিভিশনের কাছে পাঠানো হয়েছিল, যা তারা ৭ অক্টোবর ২০০১ ইংরেজি মোতাবেক ২০ রজব ১৪২২ হিজরিতে  প্রকাশ করেছিল।

২) ৯/১১ অপারেশনের ৬ সপ্তাহ পর সাংবাদিক তাইসির উলওয়ানি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাইখ এক রকম দায় স্বীকার করেই নিয়েছিলেন। আপনারা প্রশ্নোত্তর দেখলেই বুঝতে পারবেন-

“তাইসির উলওয়ানি: শাইখ! আজ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মুখে বারবার একটি কথা উঠে আসছে, এমন কি যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করছে; যে নিউওয়ার্ক এবং ওয়াশিংটনে হামলার সাথে আপনার জড়িত থাকার বিষয়ে তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, এ ব্যাপারে কী বলবেন?

শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ:

الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على محمد وعلى آله وصحبه أجمعين

প্রথমত তারা যে, এই কাজগুলোকে সন্ত্রাসবাদ বলে আখ্যায়িত করছে, এটা ঠিক নয়। কেননা হামলাকারী এই যুবকেরা! যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা বিজয় দান করেছেন এবং যারা যুদ্ধকে একেবারে আমেরিকার অভ্যন্তরে টেনে নিয়ে গেছে এবং তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক দাম্ভিকতাকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। এটা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহেই সম্ভব হয়েছে। আমি যতটুকু বুঝি, তারা এই কাজটা করেছে আমাদের ফিলিস্তিনের ভাইবোনদের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ হিসেবে এবং আমাদের পবিত্র ভূমিগুলোকে কুফফার গোষ্ঠী থেকে স্বাধীন করার উদ্দেশ্যে। যদি এই বিষয়ে উৎসাহ দেয়াটা সন্ত্রাস হয়! এবং যারা আমাদের সন্তানদের হত্যা করে, তাদের হত্যা করা যদি সন্ত্রাস হয়, তাহলে ইতিহাস স্বাক্ষী থাকুক যে, আমরা সন্ত্রাসী।

তাইসির উলওয়ানি: জি শাইখ বিষয়টা বুঝলাম! কিন্তু আপনার বিভিন্ন বক্তব্য ও বার্তা পর্যবেক্ষণ করলে এটা বুঝা যায় যে, এই হামলার সাথে আপনার ঐ শপথের যোগসূত্র রয়েছে; যা আপনি পূর্বে কসম করে বলেছিলেন।:

”أقسم بالله العظيم الذي رفع السماء بغير عمد، لن تهنأ أمريكا بالأمن ما لم نعشه واقعا في فلسطين“

“আমি ঐ মহান সত্ত্বার নামে শপথ করছি, যিনি আসমানকে খুটি ছাড়া দাঁড় করিয়েছেন। আমেরিকা ততক্ষণ নিরাপদে থাকতে পারবে না যতক্ষণ না আমরা ফিলিস্তিনে নিরাপত্তার সাথে বসবাস করতে পারি”।

সুতরাং বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করলে খুব সহজেই বুঝা যায় যে নিউওয়ার্ক এবং ওয়াশিংটনের এই সন্ত্রাসী হামলার সাথে আপনার কসমের একটি যোগসূত্র রয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ:  হ্যাঁ; যোগসূত্র থাকতে পারে। তবে তা এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যে, আমরা এই বিষয়ে মানুষদের উৎসাহ দিয়েছি এবং বিগত কয়েক বছর যাবত উৎসাহ দিয়ে আসছি। এ বিষয়ে আমাদের বিভিন্ন বার্তা, বিবৃতি এবং তৎশ্লিষ্ট ফাতাওয়াও প্রচার করেছি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকার, মিডিয়ায় প্রচার ও অব্যহত এ উৎসাহের ফলে তারা অথবা তোমরা যদি মনে করে থাকো যে এটা আমাদের উৎসাহের ফসল! তাহলে আমরা মনে করি এটা সঠিক। আমরা উৎসাহ দিয়েছি এবং আরো উৎসাহ দিতেই থাকবো। কেননা আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সেরা মানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উৎসাহ দানের নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে;

وقال سبحانه: {فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللّهِ لاَ تُكَلَّفُ إِلاَّ نَفْسَكَ وَحَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ عَسَى اللّهُ أَن يَكُفَّ بَأْسَ الَّذِينَ كَفَرُواْ وَاللّهُ أَشَدُّ بَأْساً وَأَشَدُّ تَنكِيلاً} [النساء:84]،

“আল্লাহর রাহে যুদ্ধ করতে থাকুন, আপনি নিজের সত্ত্বা ব্যতীত অন্য কোন বিষয়ের যিম্মাদার নন! আর আপনি মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করতে থাকুন। শীঘ্রই আল্লাহ কাফেরদের শক্তি-সামর্থ খর্ব করে দেবেন। আর আল্লাহ শক্তি-সামর্থের দিক দিয়ে অত্যন্ত কঠোর এবং কঠিন শাস্তিদাতা”। [সুরা নিসা-৮৪]

সুতরাং যুদ্ধ ও স্বাধীনতার এ পথ আজ কাফিরদের শক্তিকে রুদ্ধ করে দিয়েছে। তো এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমাদের সংযোগ থাকাটা সঠিক। আমরা ইয়াহুদি এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই করতে উৎসাহ দিয়েছি, এটি বাস্তব।

সুত্র-  আলজাজিরা’র সাংবাদিক তাইসির উলওয়ানি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকার (مقابلة صحفية؛بعد ستة أسابيع من أحداث غزوة منهاتن), এটি ২১ অক্টোবর ২০০১ ইংরেজি ও ৪ শাবান ১৪২২ হিজরিতে নেওয়া হয়েছিল।

লিংক- https://archive.org/details/LaDeN3

লক্ষ্য করুন সাংবাদিকের বারবার প্রশ্নের পরও শাইখ সরাসরি অস্বীকার করছেন না।

৩) ৯/১১ এর ৩ মাস পর তোরাবোরা পাহাড় থেকে দেওয়া একটি বার্তায় শাইখ কেন তাওরিয়া করেছেন, সেদিকে ইঙ্গিত করেছেন। মূলত এর উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকার দ্বিমুখীতা স্পষ্ট করা। আমেরিকা প্রতিনিয়ত আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ইত্যাদির কথা বলে থাকে। কিন্তু মুসলিম ও অন্যান্য দুর্বল জাতিদের বিরুদ্ধে তাদের আচরণে এটা প্রকাশ পায় না। শাইখ বলেন-

“…কাফেরদের নেতা আমেরিকার দুনিয়াব্যাপী অন্যায়-অত্যাচার ও শয়তানীর বিরুদ্ধে আক্রমণের তিন মাস অতিবাহিত হবার পর, এবং ইসলামের উপর ক্রুসেডারদের হিংস্র আঘাত হানার দুইমাস পর আমরা আপনাদের সামনে এই ঘটনাগুলোর মাহাত্ম্য সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরতে চাই।

এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মুসলমানদের ধারণা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। এটা এখন ষ্ফটিকের মত স্বচ্ছ হয়ে গেছে যে, পশ্চিমারা বিশেষত আমেরিকা হচ্ছে ইসলামের বিরুদ্ধে নির্দয় ও অবিশ্বাস্য ঘৃণার আধার। যারা বিগত কয়েক মাসব্যাপী আমেরিকার বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ বিমানের বোমা হামলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এখনও বেঁচে আছেন, তাদের কাছে এটা স্বতঃসিদ্ধভাবেই প্রমাণিত।

কোন অপরাধ ছাড়াই কত গ্রাম উজাড় হয়ে গেছে? কত শত লোক মারাত্মক ঠাণ্ডার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বাস করতে বাধ্য হচ্ছে? এরা হচ্ছে মানুষদের মাঝে সেই সব অসহায়, দুর্বল পুরুষ, মহিলা এবং শিশু যারা আজ পাকিস্তানের তাঁবুতে আশ্রয় নিচ্ছে। তারা তো কোন অপরাধ করেনি? কেবলমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে আমেরিকা এমন হিংস্রভাবে আক্রমণ চালিয়েছে!

আজ যদি আমেরিকার কাছে অকাট্য প্রমাণও থাকতো যে, আক্রমণগুলো ইউরোপিয়ানরা করেছে, যেমন ধরা যাক আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি, তবে তারা ব্যাপারটির কূটনৈতিক সমাধানের জন্য হাজারো পথ খুঁজে বের করতো। কিন্তু সামান্য একটি সন্দেহেও যখন মুসলিম জনগোষ্ঠির ব্যাপারে করা হলো, তখন আমেরিকার আসল নোংরা চেহারা ও কদর্য চেহারাটা বের হয়ে এলো। এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতি ক্রুসেডারদের হিংসাত্মক মনোভাব প্রকাশ পেয়ে গেল।

আর এই কথার ধারাবাহিকতায় আমি আপনাদের বলতে চাই যে, মুসলমানদের এবং আমেরিকার মধ্যকার চলমান এই দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়”।

এই বার্তায় আমেরিকার কুকীর্তি, ইসলামের সাথে শত্রুতা তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি কিছুটা বিস্তারিত অপারেশনে অংশ গ্রহণকারী যোদ্ধাদের পরিচিত বর্ণনা ও প্রশংসা করেছেন।

সুত্র-  মূল কাফেরদের উপর ৯/১১ তে বরকতময় আক্রমণের তিন মাস পর শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ’র বক্তব্য (دلالات الأحداثبعد ثلاثة شهور مِن الضربات المباركة), ২৭ ডিসেম্বর ২০০১ ইংরেজি ও ১২ শাওয়াল ১৪২২ হিজরিতে আল জাজিরাহ টেলিভিশনে প্রকাশিত হয়। এটি আল কাদিসিয়াহ মিডিয়া থেকে ৩ পর্বে বাংলা সাবটাইটেল অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।  এবং আল-ফিদা ফোরাম কর্তৃক তুর্কী ভাষায় একটি অনুবাদও প্রকাশিত হয়েছে।

মূল আরবি- https://archive.org/details/mruvhbdsk

বাংলা সাবটাইটেল অনুবাদ-

https://archive.org/details/A-3Months

এই সকল বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয়, শাইখ উসামা বিন লাদেনের পাকিস্তানের সাংবাদিক হামিদ মীরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যে বলেছিলেন ‘আমেরিকায় সংঘটিত ৯/১১ হামলার সাথে আমি জড়িত না’ এটি মূলত তাওরিয়া ছিল। আসলেই তো শাইখ নিজে আমেরিকা গিয়ে এই হামলা করেন নি।

তালিবানের বক্তব্য

তালিবানের বক্তব্যের ক্ষেত্রেও আমরা মনে করি তারা তাওরিয়া হিসাবে এমন বলে থাকেন। যেমন যাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ‘৯/১১ এর পেছনে উসামা বিন লাদেন ছিল তার কোন প্রমাণ নেই’। এ বক্তব্যের শব্দচয়নও নিশ্চিতভাবে কোন মত প্রকাশ করে না। উসামা ৯/১১ করেননি, এমন বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে ‘এমন কোন প্রমাণ নেই’। অর্থাৎ সরাসরি নাকচ করা হচ্ছে না।

তথাপি কেউ যদি সরাসরি এমন বলেও থাকেন, সেক্ষেত্রেও কূটনৈইতিক ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অংশ হিসাবে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেয়ার বিষয়টি তালিবানের মধ্যে প্রসিদ্ধ। এমন বিভিন্ন উদাহরণ আছে যেখানে তালিবানের মধ্যম পর্যায়ের নেতারা একধরণের বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু নেতৃবৃন্দে বলেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু।

যেমন ২০০১ এর সেপ্টেম্বর মাস থেকে পরবর্তী ৬ মাস তালিবান নেতাদের দিক থেকে একই সাথে পরস্পরবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য এসেছে। যেমন মধ্যম পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দিয়েছেন, ‘আমরা আমেরিকাকে আলোচনার টেবিলে আসার অনুরোধ করছি’, ‘আমেরিকা যথাযথ প্রমাণ দিলে আমরা উসামাকে তুলে দিবো’, ইত্যাদি।

অন্যদিকে একই সময়ে মোল্লা উমর রহিমাহুল্লাহ এবং জালালুদ্দীন হাক্কানী রহিমাহুল্লাহ’র মতো শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দিয়েছেন যে তাঁরা কোনমতেই শাইখ উসামাকে আমেরিকার হাতে তুলে দিবেন না। বরং তাঁরা আমেরিকার বিরুদ্ধে দীর্ঘ গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং তাঁরা আল্লাহর পক্ষ থেকে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। ২০০১ এর সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেয়া বিখ্যাত সাক্ষাৎকারে মোল্লা উমর রহিমাহুল্লাহ বলেছিলেন,

প্রশ্ন – তাহলে আপনারা উসামাকে (আমেরিকানদের হাতে তুলে) দিবেন না?

উত্তর – না, এটা করা সম্ভব না। এমন করার অর্থ হবে আমরা মুসলিম না…এর অর্থ হবে ইসলাম শেষ হয়ে গেছে। আমরা হামলাকে ভয় করি না। এর আগেও আমাদের হুমকি দেয়া হয়েছে, আক্রমণ করা হয়েছে, (হামলাকে ভয় পেলে) তখনই আমরা উসামাকে আমেরিকার হাতে তুলে দিতে পারতাম। তাই আমেরিকা চাইলে আমাদের হামলা করতে পারে…[2]

সুত্র- VOA Interview With Taliban Leader, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০০১ ইংরেজি

ইংরেজি অনুবাদ-

https://www.washingtonpost.com/wp-srv/nation/attack/transcripts/omarinterview092301.htm

বাংলা অনুবাদ-

https://justpaste.it/mollaumarsakkhatkarbn

২০০১ এর অক্টোবরে মাঝামাঝি, আমেরিকা আবারো তালিবানকে বলে শাইখ উসামাকে তাদের হাতে তুলে দিতে। এই সময় মোল্লা উমর তাদের প্রস্তাব অস্বীকার করেন। আর এটাই হবার কথা, কারণ সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি সরাসরি ঘোষণা করেছিলেন, শাইখ উসামাকে কোন অবস্থাতেই তাঁরা কাফেরদের হাতে তুলে দিবেন না। কিন্তু মোল্লা উমরের বক্তব্যের দু দিন পর তালিবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমেরিকা নিশ্চিত প্রমাণ দেখাতে পারলে তালিবান শাইখ উসামাকে তৃতীয় কোন দেশের কাছে হস্তান্তর করবে[3]

এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর তালিবানের তৎকালীন সামরিক প্রধান শাইখ জালালুদ্দীন হাক্কানী রহিমাহুল্লাহ সরাসরি ঘোষণা করেন, আমেরিকার দালালদের সাথে মিলে নতুন সরকার গঠন বা শান্তি আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই[4]। তিনি আরো বলেন, আমেরিকাকে পরাজিত করার জন্য তাঁরা দীর্ঘ গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো আমেরিকাও আফগানিস্তানে পরাজিত হবে[5]

২০০১ এর নভেম্বরে এক সাক্ষাতকারে মোল্লা উমর বলেন, আফগানিস্তানে যা হচ্ছে সেটা কেবল আঞ্চলিক যুদ্ধ না বরং আফগানিস্তানের ঘটনা প্রবাহ আরো বৃহৎ এক বিষয়ের সাথে যুক্ত যা হল আমেরিকার ধ্বংস ও পতন। তিনি বলেন, এটি (আমেরিকার ধ্বংস) ‘অনেক লম্বা কাজ এবং মানুষের ইচ্ছা ও বুঝশক্তির বাইরে। তবে যদি আমাদের সাথে আল্লাহর সাহায্য থাকে তাহলে এটি অল্প সময়ের মধ্যে হবে। আমার এই ভবিষ্যৎবানী মনে রেখো’। একই বক্তব্যে তিনি আমেরিকার অধীনে কোন ধরণের শান্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দেন[6]

নভেম্বরের শেষ দিকে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা আমেরিকানদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত তারা এখানে (আফগানিস্তানে) আসায় আমরা খুশি আমরা তাদেরকে উচিৎ শিক্ষা দিবো[7]

লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, মোল্লা উমর রহিমাহুল্লাহ এবং জালালুদ্দীন হাক্কানী রহিমাহুল্লাহ যখন স্পষ্টভাবে বলছেন শাইখ উসামাকে তাঁরা আমেরিকার কাছে হস্তান্তর করবেন না, বরং তাঁরা আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ করতে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় পরাজিত করতে প্রস্তুত, ঠিক একই সময়ে বিভিন্ন তালিবান মুখপাত্র, কূটনৈতিক এবং অন্যান্য মধ্যম পর্যায়ের নেতারা প্রমাণ দেয়া, আলোচনা ইত্যাদির কথা বলছিলেন।

এই দুই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য থেকেই এটিই প্রমাণিত হয় যে তালিবান বিভিন্ন সময়ে মিডিয়াতে এবং কাফেরদের সাথে আলোচনাতে বিভিন্ন দ্ব্যর্থক কথা বলে থাকেন বা তাওরিয়া করে থাকেন। যা ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী অবৈধ নয়[8]। এর আলোকে ৯/১১ সম্পর্কিত তাঁদের বক্তব্যকেও আমরা একই ধরনের মনে করি।

সর্বোপরি এ কথাটি মনে রাখার জরুরী যে তালিবান এবং আল-কায়েদা দুটি পৃথক সংগঠন। তাঁদের ভ্রাতৃত্ব এবং ভালোবাসার সম্পর্ক বিদ্যমান এবং দলগতভাবে আল-কায়েদা তালিবানের আমীরের কাছে বাইয়াতবদ্ধ হলেও, দুটি সংগঠন এক নয়। আফগানিস্তানের বাইরে অবস্থিত আল-কায়েদার কার্যক্রমও কখনোই সরাসরি তালিবানের নিয়ন্ত্রনাধীন ছিল না, এখনো নেই। বরং কেন্দ্রীয় আল-কায়েদার নেতৃবৃন্দের বাইয়াত তালিবানদের কাছে।

৯/১১ হামলার ব্যাপারে খোদ আল-কায়েদার অল্প কয়েকজন নেতা ওয়াকিবহাল ছিলেন। এ হামলার আগে অনেক উচ্চপদস্থ নেতা এ নিয়ে কিছু জানতেন না। হামলার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থেই এমন করা জরুরী ছিল। যেখানে আল-কায়েদার উচ্চপদস্থ সদস্যদের মধ্যে অল্প কয়েকজন এ হামলার ব্যাপারে জানতেন সেখানে তালিবান নেতাদের না জানাটাই স্বাভাবিক। তালিবানদের মুখপাত্র কিংবা সাধারণ সদস্যদের না জানা আরো স্বাভাবিক। কাজেই এ বিষয়ে যদি দুই দিকের বক্তব্যের মধ্যে আপাত সাংঘর্ষিকতা থাকে তাহলে আল-কায়েদার নিজস্ব এবং অফিশিয়াল বক্তব্য প্রাধান্য পাবে।

উল্লিখিত বক্তব্য, বিবৃতি ও মিডিয়া রিলিজগুলো সময় নিয়ে পড়া ও দেখার জন্য আমরা পাঠকদের আমন্ত্রণ জানাই। এরপর ইনশাআল্লাহ কারো মনে এ হামলা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকবে না। ৯/১১ হামলা উম্মাহর এক গৌরবজ্জল অধ্যায়। আমরা বিশ্বাস করি ইতিহাসে এ বরকতময় হামলার কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ইতিমধ্যে এ হামলার কিছু ফলাফল আমাদের সামনে প্রকাশিত হয়েছে। ‘সুপারপাওয়ার আমেরিকার’ অজেয় রূপ ধ্বংস হয়েছে, তারা পরাজিত হয়েছে এবং আমেরিকার আধিপত্যবাদের যুগ শেষ হয়ে আসছে। ৯/১১ এর মাধ্যমে সূচিত হয়েছে ইসলামী পুনঃজাগরণের এক নতুন অধ্যায় এবং তা আজো চলমান। এ হামলার আগে কুফফার আমাদের আক্রমণ করে যাচ্ছিল, আর নিজেরা নিরাপদে দিন কাটাচ্ছিলো নিরাপদে। এ হামলার মাধ্যমে শুরু হয় যুদ্ধের এক নতুন পর্যায়। তাই মানবাধিকার, ‘নিরীহ জনগণ’ আর ‘সন্ত্রাসবাদ’ এর মুখস্থ পশ্চিমা বুলির বাক্স থেকে বের হয়ে এসে এ মহান গাযওয়ার তাৎপর্য স্বীকার করে নেয়ার সময় এসেছে। বরকতময় এ হামলায় অংশগ্রহণকারী মহান মুজাহিদগণ এবং হামলার মাস্টারমাইন্ড শাইখ খালিদ শেইখ মুহাম্মাদ এবং এ হামলার স্বপ্নদ্রষ্টা ইমাম ওয়াল মুজাদ্দিদ শাইখ উসামা বিন লাদিনসহ এর সাথে জড়িত সকলকে মহান আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন।

[1] তাওরিয়া – তাওরিয়ার অর্থ:

তাওরিয়ার শাব্দিক অর্থ হলো;  কোন বিষয়কে গোপন করা বা ঢেকে রাখা। (আল মু’জামুল মায়ানী)

পরিভাষায় তাওরিয়া বলা হয়: এমন কোন কথা বলা  যা থেকে শ্রোতা বাহ্যিক অর্থ বুঝলেও বক্তার উদ্দেশ্য থাকে ভিন্ন এমন আরেকটি অর্থ যে অর্থের প্রতি শব্দের মাঝে ইশারা রয়েছে। (আল বাদী ফিল বাদী),

ইবনে হাজর আসকালানী রহিমাহুল্লাহ বলেন;” তাওরিয়া হলো, এমন কোন বাক্য যার দুটি দিক থাকে, যাকে একটি অর্থে ব্যবহার করা হলেও উদ্দেশ্য থাকে প্রাসঙ্গিক অর্থটি”। (আল ওয়াজেহ ফী উসুলিল ফিকহ-১/১৩০)

 

তাওরিয়ার হুকুম:

বিভিন্ন শরয়ী প্রয়োজনে এবং মাসলাহাতে তাওরিয়া জায়েজ। যেমন শত্রু তোমাকে জিজ্ঞেস করলো কোথা থেকে এসেছো, তুমি বললে পানি থেকে। এর দ্বারা তোমার উদ্দেশ্য থাকে যে তোমার সৃষ্টি পানি থেকে। এতে শত্রু মনে করবে তুমি এমন জায়গা থেকে এসেছো যাকে পানি (ماء) বলা হয়। ইত্যাদি..। তবে সর্বদা তাওরিয়া করা উচিত নয়, যার ফলে মানুষ তোমাকে মিথ্যুক অথবা ধূর্ত মনে না করে। (মাউসুআতুল ফিকহিল ইসলামী-৫/২২৬)

বদর যুদ্ধের পর্বে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তাওরিয়া:

অত:পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর প্রান্তরের কাছাকাছি গিয়ে তাঁবু স্থাপন করলেন। তারপর তিনি নিজে আর একজন সাহাবাকে [ইনি আবু বাকর সিদ্দীক রাদিয়ল্লাহু আনহু।] নিয়ে টহল দিতে বেরুলেন। কিছুদূর গিয়ে জনৈক বৃদ্ধ আরবের সাক্ষাত পেলেন। তিনি কুরাইশদের কথা কিছু জানেন কিনা এবং মুহাম্মাদ ও তাঁর সহচরদের সম্পর্কে কোন খবর শুনেছেন কিনা জিজ্ঞেস করলেন।  বৃদ্ধ বললেন, “তোমরা কারা বল, তা না হলে বলবো না।”

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আমরা যা জানতে চেয়েছি, সেটা আগে বল। তারপর আমরা আমাদের পরিচয় দেবো।”

বৃদ্ধ বললেন, “শুনেছি, মুহাম্মাদ ও তাঁর সহচরগণ অমুক দিন যাত্রা শুরু করেছেন। এটা যদি সত্য হয় তাহলে তার এখন অমুক জায়গায় থাকার কথা। আর কুরাইশদের সম্পর্কে শুনেছি, তারা অমুক দিন রওয়ানা দিয়েছে। এটা যদি সত্য হয় তাহলে তার আজ অমুক জায়গায় এসে পৌঁছার কথা।”

উভয় দল সত্যি যেখানে উপস্থিত হয়েছে, বৃদ্ধ সেই স্থানের কথাই বললেন। অতঃপর জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কোথা থেকে এসেছো?”

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “পানি থেকে। ”বৃদ্ধ বললেন, “পানি থেকে’ অর্থ কি?” ইরাকের পানি থেকে নাকি? ইবনে হিশাম বলেন ঐ ব্যক্তি হচ্ছে-সুফিয়ান আয যামারী। (সীরাতে ইবনে হিশাম-২/ ১৮৯)

হিজরতের সময় আবু বকর রাযি. এর তাওরিয়া:

আনাস ইবনু মালিক (রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় এলেন তখন উষ্ট্রে পৃষ্ঠে আবূ বকর (রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু) তাঁর পশ্চাতে ছিলেন। আবূ বাকর (রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু) ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ ও পরিচিত। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন জওয়ান এবং অপরিচিত। তখন বর্ণনাকারী বলেন, যখন আবূ বকরের সঙ্গে কারো সাক্ষাৎ হত, সে জিজ্ঞেস করত হে আবূ বকর (রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু)! তোমার সম্মুখে উপবিষ্ট ঐ ব্যক্তি কে? আবূ বকর (রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু) বলতেন, তিনি আমার পথপ্রদর্শক। রাবী বলেন, প্রশ্নকারী সাধারণ পথপ্রদর্শক (গাইড) মনে করত এবং তিনি সত্যপথ উদ্দেশ্য করতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৯১১)

[2] https://www.theguardian.com/world/2001/sep/26/afghanistan.features11

[3] https://www.theguardian.com/world/2001/oct/14/afghanistan.terrorism5

[4] https://www.nytimes.com/2001/10/21/world/nation-challenged-aftermath-taliban-army-chief-scoffs-report-peace-talks.html

[5] https://gulfnews.com/uae/taliban-leader-warns-of-long-guerrilla-war-1.427860

[6] https://www.nytimes.com/2001/11/15/international/text-of-bbc-world-service-interview-with-taliban-leader.html

[7] https://edition.cnn.com/2001/WORLD/asiapcf/central/11/28/ret.afghan.omar/index.html

[8] ইমাম বোখারি ও ইমাম মুসলিম রহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন,

قال النبي صلى الله عليه وسلم “الحرب خدعة”  -صحيخ البخاري 3029 ، صحيح مسلم 1740

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যুদ্ধ হচ্ছে ধোঁকা’।

ইমাম সারাখসি রহিমাহুল্লাহ (৪৮৩ হি.) বলেন,

“এই হাদীস প্রমাণ করে, মুজাহিদের জন্য যুদ্ধাবস্থায় তার প্রতিপক্ষকে ধোঁকা দিতে কোনো অসুবিধা নেই, এটা তার পক্ষ থেকে গাদ্দারিও নয়।

কিছু সংখ্যক আলেমের মতে এই হাদীসের বাহ্যিক অর্থটিই উদ্দেশ্য। ফলে যুদ্ধাবস্থায় মিথ্যা বলার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে তারা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস দিয়ে প্রমাণ পেশ করেন। যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মিথ্যা বলা বৈধ নয়, তবে তিনটি ক্ষেত্র ব্যতিক্রম। ১. দু’জনের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক করার জন্য, ২. যুদ্ধাবস্থায় এবং ৩. স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য।

তবে এক্ষেত্রে আমরা মনে করি, (হাদীসে মিথ্যা বলার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে) তাতে নিরেট মিথ্যা উদ্দেশ্য নয়, কারণ, নিরেট মিথ্যা বলার কোনো সুযোগ নেই। এখানে উদ্দেশ্য হলো, রূপক শব্দ ব্যবহার করা। এটা ইবরাহীম আলাইহিস সালামের ব্যাপারে বর্ণিত ঘটনাটির মতো। যেখানে বলা হয়েছে, তিনি তিনবার মিথ্যা কথা বলেছেন। উদ্দেশ্য হলো, তিনি (সরাসরি মিথ্যা বলেননি, বরং) রূপক কথা বলেছেন। কারণ, আম্বিয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম মা’সুম।  নিরেট মিথ্যা তাঁরা বলতে পারেন না।”

-শরহুস সিয়ারিল কাবীর ১/৮১; আরো দেখুন: আলআযকার, ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ পৃ. ৩৮০; শরহে মুসলিম, ইমাম নববী: ১২/৪৫ আফাতওয়ালকুবরা, শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ ৬/১২০; ফাতহুল বারি, হাফেজ ইবনে হাজার রহিমাহুল্লাহ: ৬/১৫৮-১৫৯

Related Articles

One Comment

  1. কিন্তু তালিবান এখনো কেন সেটা স্বীকার করে না? আমেরিকার সমস্যা তো সমাধান হয়েই গেছে ইনশাআল্লাহ। এখন তো না জানার প্রশ্নই আসে না। আর ইজতেহাদি মতভেদের কারণে জেনেও না জানার মতো মানুষ তো তারা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 6 =

Back to top button