Bengali Translation || আন নাফির বুলেটিন – ৩৯ || শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) লিখিত মুসলিম উম্মাহর কাছে চতুর্থ পত্র ( আফগানিস্তানে মার্কিন ব্যর্থতার এক বছর )

আন নাফির বুলেটিন- ৩৯

জুমাদাল উলা ১৪৪৫ হি.

শহীদুল ইসলাম (ইসলামের বীর শহীদ)

শাইখ উসামা বিন লাদেন

(রহমাতুল্লাহি আলাই) লিখিত

মুসলিম উম্মাহর কাছে চতুর্থ পত্র

(আফগানিস্তানে মার্কিন ব্যর্থতার এক বছর পর)

শা’বান ১৪২৩ হিজরী মোতাবেক অক্টোবর ২০০২ খ্রিস্টাব্দ

হে সত্যপন্থী উলামায়ে কেরাম এবং দাওয়াত ও সংস্কার-অঙ্গনের মহান সাধকগণ:

আপনারা ঐ সমস্ত লোক, উম্মাহর কাতারে যাদের সবচেয়ে সামনে থাকা উচিত। আপনারা উম্মাহকে নেতৃত্ব দেবেন। তাদের গতিপথ নির্ধারণ করবেন। নবুয়াতের যে উত্তরাধিকার আপনারা লাভ করেছেন, তা আপনাদের কাছে এমনটাই দাবি রাখে।

আপনাদের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হচ্ছে: উম্মাহর সামনে সত্যকে তুলে ধরা। জালিমদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নির্ভয়ে-নিঃসংকোচে বাস্তবতাকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা। আল্লাহ তাআলা আপনাদের কাছ থেকে যে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছেন, তার দাবি এমনই। সেই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আল-কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:

﴿ وَاِذْ اَخَذَ اللّٰهُ مِيْثَاقَ الَّذِيْنَ اُوْتُوْا الْكِتٰبَ لَتُبَيِّنُنَّهٗ لِلنَّاسِ وَلَا تَكْتُمُوْنَهٗ ۖ  ﴾

‏“আর আল্লাহ যখন আহলে কিতাবদের কাছ থেকে প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করলেন যে, তা মানুষের নিকট বর্ণনা করবে এবং গোপন করবে না।” [সূরা আলে ইমরান ০৩: ১৮৭]

আপনাদের এই দায়িত্ব ও কর্তব্য যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আমরা বুঝতে পারি ধর্মব্যবসায়ী শাসকদের তাবেদার ও দরবারী

আপনাদের কর্তব্য হচ্ছে: নিজেদের মধ্যে এমন কোন মতবিরোধ এই মুহূর্তে সামনে নিয়ে না আসা, যা আপনাদের কাজের পথে বাধা সৃষ্টি করে। এমনিতেই সকল প্রকার বাদানুবাদ ব্যর্থতার পথে নিয়ে যায়।

আপনাদের কর্তব্য হচ্ছে: বিশ্বাসের মাধ্যমে সন্দেহ দূরীভূত করা এবং দৃঢ় প্রত্যয়ের মাধ্যমে সকল প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলা। আপনাদের কিছুতেই কাল ক্ষেপণ করা উচিত হবে না। বিলম্ব না করে এখনি উঠে দাঁড়াতে হবে। কারণ ঘটনা প্রবাহ কারো জন্য অপেক্ষা করছে না। সময়ের চাকা খুব দ্রুততার সাথে ঘুরে চলেছে।

আমরা আপনাদের কাছে এই আহ্বান জানাচ্ছি: আপনারা দৃঢ় প্রত্যয় ও অপ্রতিরোধ্য সংকল্প নিয়ে এগিয়ে আসুন। আমরা এই কথা খুব ভালো করেই জানি, ইসলামের জন্য যারা কাজ করতে ইচ্ছুক, তাদের মাঝে পরিবর্তনের মানহাজ নিয়ে মতপার্থক্য থাকবেই। সে সমস্ত মতপার্থক্য ভুলে থাকা আসলে সম্ভবও নয়। কিন্তু শাখাগত কিছু বিষয় নিয়ে মতপার্থক্যের মাঝে আটকে থেকে দ্বীন ইসলামের নিঃসংশয় ও শরীয়তের মৌলিক বিষয়গুলোর উপর আমল না করে, মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসের এই কঠিন সঙ্কটপূর্ণ সময়ে বসে থাকাটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য বা যুক্তিযুক্ত হতে পারে না।