আন-নাসর মিডিয়াজামাআত কায়েদাতুল জিহাদনির্বাচিতবার্তা ও বিবৃতিবার্তা ও বিবৃতি [আন নাসর]

কায়িদাতুল জিহাদ – কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ।। কুরআনের অবমাননা – সীমালঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধের ঘোষণা

مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:

بيان من القيادة العامة : بيان بشأن الاعتداءات على القران ووجوب مبارزة أهل العدوان

কায়িদাতুল জিহাদ – কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
কুরআনের অবমাননা – সীমালঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধের ঘোষণা

Qaidatul Jihad – General Command Statement
“Regarding Attacks Against the Qur’an and the Necessity of Dueling the People of Aggression”

কায়িদাতুল জিহাদ – কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ।। কুরআনের অবমাননা – সীমালঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধের ঘোষণা

 

 

للقرائة المباشرة والتحميل
সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading

লিংক-১ : https://justpaste.it/quranobomanona
লিংক-২ : https://noteshare.id/HdN3PNm
লিংক-৩ : https://mediagram.me/7ddc4080a3fd874a
লিংক-৪ : https://web.archive.org/web/20230822180911/https://justpaste.it/quranobomanona
লিংক-৫ : https://web.archive.org/web/20230822181637/https://noteshare.id/HdN3PNm
লিংক-৬ : https://web.archive.org/web/20230822181441/https://mediagram.me/90aac7dab3d27c29

 

روابط بي دي اب
PDF (445 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪৪৫ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/s5kLLdscsnMgJNm
লিংক-২ :
https://archive.org/download/quran-obomanona/AQC%20-%20QuranObomanona.pdf
লিংক-৩ : https://jmp.sh/1xXmXsOi
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/ea69aadf-62ff-4307-8445-0f1a8f7e0c4c/217385b860444282b49a4ef8b7d4c487981c3b27fdef18b5bbd902e5016f548d
লিংক-৫ : https://f005.backblazeb2.com/file/QuranObomanona/AQC+-+QuranObomanona.pdf
লিংক-৬ : https://zuddherghoshona.files.wordpress.com/2023/08/aqc-quranobomanona.pdf

 

روابط ورد
Word (695 KB)
ওয়ার্ড [৬৯৫ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/4KYFYgd65ZGDQn8
লিংক-২ :
https://archive.org/download/quran-obomanona/AQC%20-%20QuranObomanona.docx
লিংক-৩: https://jmp.sh/cDdyy7Y9
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/82cdaf18-7ca8-420f-8449-7924efc192b8/d6ebfedebdb3f21f01ec9e4b42886adc195acf0336f7b206eb2fa2bbc676e50b
লিংক-৫ : https://f005.backblazeb2.com/file/QuranObomanona/AQC+-+QuranObomanona.docx

روابط صور
pages [13.9 MB]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/GQfb3EtGiXb47dy
লিংক-২ :
https://archive.org/download/quran-obomanona/AQC%20-%20QuranObomanona.zip
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/f8c487e1-5f48-45e3-ab87-461e7ec541d1/f7cc3aab4225c1a3f96159c711bc42e1aff7e660c4faac0ac2cd029e4e9f246d
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/QuranObomanona/AQC+-+QuranObomanona.zip

روابط الغلاف
Banner [830 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৮৩০ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/BaRScAFqxo9xjtc
লিংক-২ :
https://archive.org/download/quran-obomanona/AQC%20-%20QuranObomanona%20%20banner.jpg
লিংক-৩ : https://jmp.sh/8wqqhe6z
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/9f29d2e8-f14a-4131-bb14-f519f1a40279/5c1558bc94226671414ebf06f35a4b30431ce01d676becf99054c1a777bf94f2
লিংক-৫ : https://f005.backblazeb2.com/file/QuranObomanona/AQC+-+QuranObomanona++banner.jpg

 

*************

 

কায়িদাতুল জিহাদ – কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

কুরআনের অবমাননা – সীমালঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধের ঘোষণা

ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ عَلَىٰ عَبۡدِهِ ٱلۡكِتَٰبَ وَلَمۡ يَجۡعَل لَّهُۥ عِوَجَاۜ ﴿١﴾ قَيِّمًا لِيُنْذِرَ بَأْسًا شَدِيدًا مِنْ لَدُنْهُ وَيُبَشِّرَ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا حَسَنًا ‎﴿٢﴾

“সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি নিজের বান্দার প্রতি এ গ্রন্থ নাযিল করেছেন এবং তাতে কোন বক্রতা রাখেননি। একে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন; যা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ভীষণ বিপদের ভয় প্রদর্শন করে এবং মুমিনদেরকে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করে-তাদেরকে সুসংবাদ দান করে যে, তাদের জন্যে উত্তম প্রতিদান রয়েছে।” (সূরা কাহফ ১৮: ০১-০২)

والصلاة والسلام على نبينا محمد الذي كان قرآنا يمشي الأرض، وعلى آله وصحبه أجمعين، أما بعد

রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর, যিনি ছিলেন পৃথিবীর বুকে বিচরণকারী জীবন্ত কুরআন! রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর এবং তাঁর সকল সাহাবীর উপর!

হামদ ও সালাতের পর..

সাম্প্রতিক কুরআনুল কারীমের অবমাননার বিষয়টি মহামারীরূপে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষুধার্ত ব্যক্তিরা যেমন খাদ্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে, ঠিক তেমনভাবে ক্রুসেডাররা এই ঘৃণ্য কাজে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এসকল ঘটনা ইসলামের পবিত্র নির্দশনসমূহের প্রতি ক্রুসেডারদের চিরাচরিত হিংসাত্নক মনোভাবের সাক্ষ্য বহন করে।

কুরআনের বিরুদ্ধে এই জাতিগত বিদ্বেষের অন্যতম কারণ – ইউরোপের ক্রুসেডার রাষ্ট্রগুলো কুরআনের সুস্পষ্ট সফলতা দেখতে পেয়েছে। তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ইউরোপিয়ানদের মাঝে কুরআন প্রভাব সৃষ্টি করছে। এই কুরআন তাদের সমস্ত অবদানের বিপক্ষে প্রমাণপঞ্জি, নিদর্শনাবলী ও হিদায়াতের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করছে। তারা কুরআনের চ্যালেঞ্জের সামনে মাথা নুইয়ে দিয়েছে এবং হার মেনেছে।

শুধু তাই নয়! কুরআন তাদের উপর দলীল-প্রমাণ ও অলৌকিকতার তীর দিয়ে আঘাত হেনেছে। এতে করে তাদের মাঝে বিভাজন তৈরি হয়েছে। কুরআন তাদের আদরের সন্তানদেরকে, তাদের নিকৃষ্ট মতাদর্শের অন্ধকার থেকে বের করে এনেছে। ফলে তারা দলে দলে ইসলামে দীক্ষিত হচ্ছে। তাদের অবস্থাই যেন আল্লাহ তাআলা এভাবে বলেছেন-

بَلْ نَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَى الْبَاطِلِ فَيَدْمَغُهُ فَإِذَا هُوَ زَاهِقٌ ۚ وَلَكُمُ الْوَيْلُ مِمَّا تَصِفُونَ﴿١٨﴾

“বরং আমি সত্যকে মিথ্যার উপর নিক্ষেপ করি, অতঃপর সত্য মিথ্যার মস্তক চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, অতঃপর মিথ্যা তৎক্ষণাৎ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তোমরা যা বলছো, -তার জন্যে তোমাদের দুর্ভোগ।” (সূরা আম্বিয়া ২১:১৮)

হে শ্রেষ্ঠ জাতি! শুনে রাখুন!

ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জিনিসগুলোর অবমাননা করার অর্থ হলো; পৃথিবীর এক-চতুর্থাংশ অধিবাসী এবং দুশো কোটি মুসলমানের সাথে দুর্ব্যবহার করা। আর ইসলাম ও মুসলমানদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য এসব অবমাননাকে বর্তমানে ক্রুসেডার কুফরী শক্তিগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার মনে করছে। তাইতো গোয়েন্তানামো কারাগার, বাগরাম কারাগার এবং আবু গারীব কারাগারসহ কাফেরদের সকল কারাগারে, মুসলিম বন্দীদেরকে মানসিক কষ্ট দেয়ার জন্য এ ধরনের অবমাননাকর কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ক্রুসেডারদের উপর ইসলামের বিজয়ের ধারা অব্যহত থাকার কারণে ইহুদী নীতি নির্ধারক ক্রুসেড-জায়নিস্ট নেতারা বুঝতে পেরেছে যে, ইসলাম ও মুসলমানদেরকে পরাজিত করতে হলে তাদের ভারি ভারি সামরিক অস্ত্র যথেষ্ট নয়। তাই তারা ইসলামের পবিত্র জিনিসগুলোর অবমাননাকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে। মুসলিম জাতিকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে, মানসিক চাপে রাখতে এবং ঈমানী আত্মমর্যাদাবোধ ও জযবাকে দমিয়ে দিতে – এই অস্ত্রটি ভালো ভূমিকা পালন করবে বলে তারা মনে করছে।

কিন্তু এটি অসম্ভব! তারা কী জানে না; আমরা এমন আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন জাতি, যারা কখনও জুলুম-নির্যাতন সহ্য করি না। আমরা এমন এক জাতি, যারা তাদের মহান রবের কিতাবের জন্য এবং সকল দীনি পবিত্র নিদর্শনের সম্মান রক্ষার জন্য মারাত্মক প্রতিশোধ গ্রহণ করি। পবিত্র কুরআনের উপর ঘৃণ্য হামলার কথা শুনে ইসলামপ্রেমী নওজোয়ানরা কখনও মুর্দার ন্যায় চুপ থাকবে না। থাকতে পারে না।

হে মুসলিম জাতি!

আমরা আজ দুনিয়া ও আখিরাতের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এবং আমাদের ভবিষ্যতের উপর আসা সবচেয়ে বিপজ্জনক পরীক্ষায় আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আল্লাহ তাআলা বলছেন-

وَلَيَنصُرَنَّ اللَّهُ مَن يَنصُرُهُ ۗ ﴿٤٠﴾

“অতি অবশ্যই আল্লাহ তাদের সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহকে সাহায্য করবে।” (সূরা হজ ২২:৪০)

إِن تَنصُرُوا اللَّهَ يَنصُرْكُمْ ﴿٧﴾

“যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন।” (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:০৭)

আল্লাহর কিতাব পবিত্র কুরআনের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য কুরআন পুরো মুসলিম জাতিকে আহ্বান করছে, যাতে কুরআন ও ইসলামের সুনিশ্চিত বিজয় আসে।

আমরা আশাবাদী, আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের থেকে দেখতে চান, কারা তাঁর পবিত্র কিতাবের সাহায্যে এগিয়ে আসে? কারা বিক্ষোভ-মিছিল ও গণ-আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ক্রুসেডাররা আমাদের সমালোচনা, কান্না-আহাজারি ও ঘৃণা শুনতে শুনতে অভ্যস্ত, তাই শুধু বিক্ষোভ-মিছিল করে থেমে গেলে চলবে না। এই পন্থা অবলম্বন করলে তারা কুরআন অবমাননার ধারা চালু রাখবেই। এমনকি এভাবে তারা মুসলমানদের ব্যাপারে আরও হিংস্র হয়ে উঠবে এবং তাদেরকে ঠাট্টা করতে থাকবে।

বিশ্ব মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখা যাবে – সুইডেন ও ডেনমার্ক ছোট ছোট দুটি দেশ। আয়তনের দিক থেকে দুটি বিন্দুর চেয়ে বড় হবে না। দেশ দুটির জনসংখ্যা আমাদের মুসলিম জনসংখ্যার চল্লিশভাগের এক ভাগও হবে না। তারা আমাদেরকে মূল্যায়ন না করা এবং ভয় না পাওয়াটা আমাদের জাতির জন্য কতই না লজ্জাজনক!

কীভাবে মুসলিম নামাযের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াত করে, যখন তার সামনেই টেলিভিশনে পবিত্র কুরআন অবমাননার দৃশ্য প্রচার করা হচ্ছে? তারপরও কেন আমরা এই সীমালঙ্ঘনকারীদের মোকাবেলায় প্রতিশোধের অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত করি না? কীভাবে মুসলিমদের চক্ষু শান্ত থাকে অথচ তারা প্রতিনিয়ত যেই কিবলার দিকে ফিরে (আক্ষরিক অর্থে-সৌদি আরবের কথা বলা হয়েছে) নামায আদায় করছে, সেটা শত্রুপক্ষের দখলে? এতোকিছুর পরও দখলদার ইহুদীদের দালাল তথা এজেন্সিগুলোর হাত থেকে এই পবিত্র ভূমিকে ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে কেন মুসলিম জাতি হক যুদ্ধ-জিহাদে বের হতে তৈরি হচ্ছে না?

বারংবার হওয়া অবমাননাগুলো ইসলামী আইন শাস্ত্রের পরিভাষায়—আল্লাহর দীনের বিরুদ্ধে কঠিনতম যুদ্ধের একটি প্রকার। তাই অপরাধীদেরকে এবং এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও সহযোগীদেরকে কঠিন শাস্তি দিয়ে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে চেষ্টা করা সকল মুসলমানের উপর ফরয। এটাই ইনসাফপূর্ণ আসমানী ফায়সালা। এটিই হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মত ফাতাওয়া; যাতে কারও কোন দ্বিমত নেই। কারণ, কুফফার গোষ্ঠী তাদের বৈশ্বিক সহযোগীদের ছত্রছায়ায় এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় এই অপরাধগুলো বারবার করছে। অন্যদিকে এই অবমাননার ভিডিওগুলো টেলিভিশন ও স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে ঈমানদারদের ঘরে ঢুকে পড়ছে; কোন ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই এই ভিডিওগুলো চলছে। এটাই নিত্যদিনের রুটিন।

এ সকল অপরাধীকে শায়েস্তা করার জন্য সকল শক্তি নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়া প্রত্যেক সুস্থ বিবেকবান মুসলিমের উপর ফরয। যেন তারা এই অপরাধ বারবার করা তো দূরের কথা; একবার করার কথাও চিন্তা করতে না পারে। তাদের অপরাধ যতো মারাত্মক হবে এবং যতোবার অপরাধ করবে, সেই অনুপাতে ইসলামী আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়া জরুরী।

আল্লাহ তাআলার বাণী-

وَلْيَجِدُوا فِيكُمْ غِلْظَةً ۚ ﴿١٢٣﴾

“তারা যেন তোমাদের মধ্যে আক্রোশ দেখতে পায়।” (সূরা তাওবা ০৯:১২৩)

এই ফরমান অনুযায়ী আমল করতে হলে, আমাদের প্রথমে এ সকল ধারাবাহিক অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত তথা এতে অংশগ্রহণকারীদেরকে হত্যা করতে হবে। পুরো বিশ্বে সুইডেন ও ডেনমার্কের সকল দূতাবাস বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে হবে, অগ্নিসংযোগ করতে হবে। এই দুই দেশের কূটনীতিকদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।

এই ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডের সমালোচনাকারী ও বিক্ষোভ প্রকাশকারী মুসলিমদের অবস্থানের প্রশংসা করছি। পাশাপাশি স্বাধীনতাকামী মুসলিম জনগণ ও সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভেরও মূল্যায়ন করছি। বরাবরের মতোই প্রশংসা করছি আল-আযহারের অবস্থানকে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আল-আযহারকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সম্মান ও অধিকার রক্ষার একটি আলোকিত উদ্যানে পরিণত করেন।

সারকথা হচ্ছে: মুসলিমরা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে, ক্রুসেডার কুফফার গোষ্ঠী প্রকাশ্যে পবিত্র কুরআনকে পুড়িয়ে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। সৈন্যরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। ক্রুসেডার বাহিনী নিজেদের জনগণ ও দেশীয় প্রশাসনসহ সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তৈরি হয়ে আছে। ইসলামবিরোধী এই শিবিরের শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্ক ও সুইডেনের শাসক মহল। তারা অহমিকা প্রদর্শন করে যুদ্ধের জন্য সারিবদ্ধ হয়ে আছে। তাদের প্রত্যেকের মাথায় বড় ক্রুশ। তাদের এই হামলায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে দুইশত কোটি মুসলিম! কোন যোদ্ধা এই পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে জিহাদে বের হয়েছে এর কোন নজির নেই!

হে পশ্চিমা বিশ্বের ইসলামের সাহসী সৈনিক এবং ইসলামের রক্ষক মুসলিম ভাইয়েরা!

আপনারা পরাক্রমশালী এক ও অদ্বিতীয় ইলাহ- আল্লাহর কুরআনের সাহায্যে এগিয়ে আসুন। আপনারাই এই পবিত্র জিহাদে মুসলিমদের পক্ষ থেকে যুদ্ধের অগ্রদূত। এই সকল অপরাধীকে শায়েস্তা করার জন্য এবং তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আপনারা হচ্ছেন এই উম্মতের অস্ত্র ও রণকৌশলের ভাণ্ডার, যা আল্লাহ তাআলা নিজ হাতে তৈরি করেছেন। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহর অনুগ্রহে অপনাদের হাতেই মুসলিমদের ক্ষত-বিক্ষত অন্তরের নিরাময় ঘটবে।

তাই ‘নুসরাতান লিল কুরআন’ এর শ্লোগান নিয়ে কুরআনী হামলার জন্য এক বিশাল লংমার্চে সবাইকে বের হতে আমরা আপনাদেরকে এবং আমাদের নিজেদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি। আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন মুসলিম যুবকদেরকে আহ্বান করছি, যাতে তারা তিন সদস্যের একটি দল তৈরি করে এবং এর মাধ্যমে আমাদের পবিত্র শেআর (নিদর্শন) অবমাননা করার দুঃসাহসিকতা প্রদর্শনকারীদেরকে উচিত শিক্ষা দিতে কাজ করে। আল্লাহর কিতাবের সম্মান রক্ষার্থে পাহাড়ের গুহায় যে সমস্ত মর্দে মুজাহিদ যুবদল রয়েছে, তাদের সঙ্গে তাদের সংগ্রামের প্রতিযোগিতা করার আহ্বান করছি এই উম্মাহকে। এই বিরাট দায়িত্বভার যেন কোন নির্দিষ্ট মুসলমান দল না নেয়; বরং সবাই সম্মিলিতভাবে এতে অংশগ্রহণ করে।

আল্লাহ তাআলার সাথে ব্যবসা করার জন্য তিনি আমাদের জন্য এবং মুসলিম জাতির জন্য রাস্তা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। তাই আমরা সকলে দ্রুত এবং দৃঢ়তার সাথে লাভজনক ব্যবসায় আত্মনিয়োগ করি। ‘শার্লি এবদো’র দ্বারা ইউরোপকে দেওয়া আমাদের বার্তা তারা ভালোভাবে অনুধাবন করেনি। হয়তো তারা সেদিন যথাযথ কঠিন শাস্তি পায়নি। তাই এই বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে ইসলামের বীর সেনারা যুদ্ধে অবতীর্ণ হোন! তাদের সাহায্যকারীদের মস্তক দ্বিখণ্ডিত করুন। শার্লি এবদো হামলায় ‘কাওয়াশী’ এবং ইসলামের সিংহ ‘মুহাম্মদ আল বুয়াইরির’ মতো ভাইয়েরা যেভাবে তাদের শিক্ষা দিয়েছেন, সেই একই পন্থায় আপনারাও তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিন। আল্লাহ কাওয়াশী ভাইকে কবুল করুন। আসাদুল ইসলাম মুহাম্মদ আল বুয়াইরির মাঝে আপনাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ। আল্লাহ তাঁকে কারামুক্তি দান করুন। আমীন।

তাদের জন্য সুসংবাদ, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, মুসলিমদের নেতা ও সাধারণ মানুষদের জন্য আন্তরিক, হিতাকাঙ্ক্ষী ও সাহায্যকারী হয়ে অপরাধীরকে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছে।

হে পশ্চিমারা, তোমরা শুনে রাখো!

আমাদের এই লড়াই শুধু কুরআনের অপমানকারী প্রত্যক্ষ অপরাধীদের বিরুদ্ধে নয়, বরং সামরিক সাজে সজ্জিত সকল সেনার বিরুদ্ধে, যারা এদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। ক্রুসেডার শাসক এবং তাদের সংবিধানের বিরুদ্ধেও আমাদের এই লড়াই চলবে।

আমরা মুসলিম জাতিকে কুরআনকে সাহায্যে করার উদ্দেশ্যে ‘রক্তপাত ও কষ্টবিহীন’ যুদ্ধেরও আহ্বান করছি। যেমন, তাদেরকে আর্থিকভাবে বয়টক করার মাধ্যমে নিরব যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া। আমাদের প্রিয় কুরআনের সাহায্য করতে গিয়ে আমরা যদি সফল আত্মত্যাগ ও কুরবানীর উদাহরণ সৃষ্টি করতে না পারি, তাহলে আমরা হতভাগা।

আমাদেরকে স্থানীয় সরকারের বিরুদ্ধে কেবল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ —যেমন, দূতাবাসে স্মারক লিপি পাঠানো, করুণা চাওয়ার উপর ভরসা করলে চলবে না। কারণ, এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কারণে মুসলিমদের দুর্বলতা ও লাঞ্ছনা আরও প্রকটভাবে ফুটে উঠেবে। ফলে শত্রুরা পবিত্র নিদর্শনগুলোর অবমাননা করতে আরও উৎসাহ পাবে। এই একই কারণে ভারতের কসাই নরেন্দ্র মোদি সরকার মুসলমানদেরকে হত্যা করেই যাচ্ছে। অন্যদিকে নামধারী মুসলিম প্রশাসনগুলো মূলত ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু। তারা দীনের ক্ষেত্রে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন হওয়ারও উপযুক্ত না।

হে সুইডেন ও ডেনমার্কসহ পুরো ইউরোপে অবস্থানরত মুসলিম সন্তানেরা শুনুন!

প্রতিশোধ গ্রহণ করা প্রথমে আপনাদের উপর ফরযে আইন। কারণ আপনারা অন্যান্য মুসলমানের তুলনায় তাদের অতি নিকটে অবস্থান করছেন। এরপর ফরযে আইন হবে আপনাদের পার্শ্ববর্তী দেশের উপর। আপনারা আল্লাহর বাণী নিয়ে চিন্তা-ফিকির করুন। তিনি আপনাদেরকে তাঁর কাছে পৌঁছার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন,

سَابِقُوا إِلَىٰ مَغْفِرَةٍ مِّن رَّبِّكُمْ وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا كَعَرْضِ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أُعِدَّتْ لِلَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ ۚ ذَٰلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ﴿٢١﴾‏

“তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে অগ্রসর হও, যার প্রস্থ আসমান থেকে জমিন বরাবর। তা প্রস্তুত করা হয়েছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারীদের জন্যে। এটা আল্লাহর কৃপা, তিনি যাকে ইচ্ছা, তা দান করেন। আল্লাহ মহান কৃপার অধিকারী।” (সূরা হাদীদ ৫৭:২১)

আপনারা আপনাদের মনে গেঁথে নিন আপনাদের রবের সেই বাণী; যিনি আপনাদের প্রাণ কিনে নিতে চান।

আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ رَءُوفٌ بِالْعِبَادِ﴿٢٠٧﴾

“আর মানুষের মাঝে এক শ্রেণির লোক রয়েছে; যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিকল্পে নিজেদের জানের বাজি রাখে। আল্লাহ হলেন তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান।” (সূরা বাকারা ০২: ২০৭)

আমরা বিভিন্ন ফ্রন্টের মুসলিম বীর মুজাহিদদেরকে, বিশেষত তানজিম আল কায়েদার মুজাহিদদেরকে আহ্বান করছি, কুরআনের জন্য কুরআনের পক্ষে যুদ্ধ করা যেন তাদের একমাত্র লক্ষ্য ও টার্গেট হয়। আপনারা এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করুন, যাতে আল্লাহ আপনাদের উপর সন্তুষ্ট হন।

পরিশেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আপনাদেরকে এমন দৃঢ়তা দান করেন, সাহায্য করেন, হিম্মত দান করেন; যাতে আপনাদের উপর মুসলিম জাতির আস্থা তৈরি হয়। আরও প্রার্থনা করি, আপনাদের হাতে যেন মুসলিমদের অন্তরের ক্ষতগুলো নিরাময় হয়। আপনারা যেন লক্ষ লক্ষ মুসলমানেরকে খুশি করতে পারেন।

وَاللَّهُ غَالِبٌ عَلَىٰ أَمْرِهِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ﴿٢١﴾‏

“আল্লাহ নিজ কাজে বিজয়ী থাকেন, কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।” (সূরা ইউসুফ ১২: ২১)

وآخر دعوانا ان الحمد لله رب العالمين

মুহাররম, ১৪৪৫ হিজরী

জুলাই, ২০২৩ ইংরেজী

 

 

**************************

مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + 16 =

Back to top button