শায়েখ উসামা রহঃ স্মরণে (তাঁর কৌশলগত দিকনির্দেশনা, কথামাল ও কবিতা)
শায়েখ উসামা রহঃ স্মরণে (তাঁর কৌশলগত দিকনির্দেশনা, কথামাল ও কবিতা)
ডাউনলোড লিংক-
PDF
https://archive.org/details/usama_remembar
http://www.mediafire.com/file/7zwzwz…a_remembar.pdf
WORD
https://archive.org/details/usama_remembar_201702
http://www.mediafire.com/file/e4vy9n…_remembar.docx
অনলাইন লিংক-
https://justpaste.it/usama_remembar
Banner
http://u.cubeupload.com/usama_media/96usamaremembar.jpg
PDF
—-
http://www.mediafire.com/file/3ukswyo9ismkv6a/96._usama_remembar.pdf/file
https://archive.org/download/U_M_A_04/96.%20usama_remembar.pdf
=================
মহান আল্লাহ্ সুবাহুনাল্লাহু তায়ালা এর কসম! অবিশ্বাসীদের সন্ত্রাস ঠেকানোর রাস্তা হচ্ছে আল্লাহর রাস্তায় জ্বিহাদ করা যেমনটি সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবাহুনাল্লাহু তায়ালা বলেছেন
فَقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَ ۚ وَحَرِّضِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ عَسَى اللَّهُ أَنْ يَكُفَّ بَأْسَ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ وَاللَّهُ أَشَدُّ بَأْسًا وَأَشَدُّ تَنْكِيلًا
সুতরাং হে মুহাম্মাদ! আল্লাহের রাহে যুদ্ধ করতে থাকুন; আপনি নিজের সত্তা ব্যতীত অন্য কারো জন্য জিম্মাদার নন! আর আপনি মুসলমানদের উৎসাহিত করতে থাকুন। শীঘ্রই আল্লাহ কাফেরদের (সামরিক) শক্তি খর্ব করে দেবেন। আর আল্লাহ শক্তির দিক দিয়ে অধিক এবং কঠোর শাস্তিদাতা।) সুরা নিসা [৪:৮৪]
প্রথমত, আমি এই খোশখবর দিতে চাই যে আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের উম্মাহ আজ ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য মুসলিম জমিগুলো বাচাবার মত অবিস্মরণীয় সব সক্ষমতা অর্জন করেছে। তারপরও এই সক্ষমতাগুলো সীমাবদ্ধ, তাই এগুলোকে ছুটানোর জন্য কাজ করতে হবে। উম্মাহকে বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে কিন্তু যদি বিজয় দেরি হয়, তাহলে তা আমাদের গুনাহ ও আল্লাহর কাজে সাহায্য করায় ব্যর্থতার কারণে।
আল্লাহ বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ تَنْصُرُوا اللَّهَ يَنْصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ
(হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত করবেন।) সুরা মুহাম্মাদ [৪৭:৭]
এই উম্মাহকে ইহুদীদের উপর বিজয়ের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে যেমনটা আমাদের নবী (সঃ) আমাদের অবগত করেছেন-
“শেষ সময় ততক্ষন পর্যন্ত আসবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত না মুসলমানদের সাথে ইহুদীদের যুদ্ধ হবে এবং মুসলমানরা তাদের হত্যা করবে, ওই পর্যন্ত যে ইহুদীরা পাথরের পেছনে বা গাছের পেছনে লুকিয়ে থাকবে আর সেই পাথর বা গাছ বলবে, ‘হে মুসলমান, আল্লাহর বান্দা, আমার পেছনে ইহুদি লুকিয়ে আছে; আস তাঁকে মারো’; কিন্তু ঘারকাদ গাছ ছাড়া, কারন তা ইহুদীদের গাছ।”
এই হাদিসে একটি উপদেশও আছে যে শত্রুর সাথে এই লড়াইয়ের পূর্ণতা আসবে মারা ও যুদ্ধ করার মাধ্যমে এবং উম্মাহর ক্ষমতার অবক্ষয়ের মাধ্যমে নয়, যা বছরের পর বছর গণতন্ত্র ও অন্যান্য প্রতারণামূলক কাজের মাধ্যমে ক্ষয় হচ্ছে।
বাস্তবে মুসলিম উম্মাহ হচ্ছে মানবজাতির সর্ববৃহৎ শক্তি, যদি সে ইসলাম কায়েম করে যার প্রমাণ বিগত শতাব্দীগুলোর ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে। এই জাতি সকল কথিত পরাশক্তিকে প্রতিহত ও লড়াই করেছে।
হে লোক সকল! আমেরিকা ও তার সৈন্যদেরকে নিজেদেরকে চোখে বড় মনে কর না! কারণ আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা তাদের বারংবার আঘাত করেছি এবং তারা বারবার পরাজিত হয়েছে এবং তারা লড়াই এর ব্যাপারে অনেক বেশী কাপুরুষ। এটা আমাদের সামনে পরিষ্কার যে আমাদের প্রতিরোধ এবং যুদ্ধ আমেরিকান শত্রুদের বিরুদ্ধে, যারা মূলত মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের উপর নির্ভরশীল। কারণ তাদের হাতে আছে বিশাল প্রোপাগান্ডার সরঞ্জাম এবং তারা ব্যাপক আকাশপথে বোমা বর্ষণ করে যা তাদের দুর্বলতা প্রকাশ করে, যা হল আমেরিকান সৈন্যদের ভীতি, কাপুরুষতা ও যুদ্ধের প্রেরণার অভাব।
আন্তর্জাতিক জোট বাহিনী থাকা সত্ত্বেও অল্প সংখ্যক মুসলিম যুবক কথিত পরাশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই ও প্রতিরক্ষা করতে পারাই এর প্রমাণ করে। তারা তাদের ধর্ম ও উম্মাহর স্বার্থকে পঞ্চাশটি দেশ ও তাদের সরকারদের থেকেও বেশি বার রক্ষা করেছে। এটি দ্বীনকে সহযোগিতা করতে জিহাদকে বেছে নেওয়ার ফলে হয়েছে।
বাণীসমূহ
“মুসলমানদের জখম গভীর, অনেক গভীর সব জায়গায়। যাইহোক আমাদের বড় জখমগুলো আমাদের সবচেয়ে পবিত্র যায়গায়, পবিত্র ঘরে, সম্মানিত কাবায় এবং আমাদের নবীর মসজিদে। আমরা জেরুজালেমে ইসরার জমি ত্যাগ করার পর, ক্রুসেডার ও ইহুদীরা একজোট হয়ে ইসলামের ঘর দখল করেছে, আমাদেরই ঘরে এবং কোন ক্ষমতা বা শক্তি নাই সর্বশক্তিমান, সর্বশ্রেষ্ঠ আল্লাহ ছাড়া।”
বর্তমানে আমরা এই পরিস্থিতিতেই আছি। আমাদের উচিৎ আল্লাহের কিতাবে রাস্তা খোঁজা এবং খোঁজা উচিৎ ওই কারণ ও রোগ, যার ফলে আমরা আমাদের পবিত্র ঘরের সাথে গাদ্দারি করেছি। যখন আমরা আল্লাহর কিতাবে খুঁজবো ও দেখবো, তখন ইহা পরিষ্কার হবে যে, আমরা যুদ্ধ করাকে অপছন্দ করি আর দুনিয়াবি জীবনকে ভালোবাসি যা আমাদের অনেকের মনে বসে গেছে আর তাই এই দুর্যোগ, এই অপমান ও অবক্ষয়।”
“ইহুদী নাসারাদের সাথে একাত্মতার পাশাপাশি তারা আল্লাহ ব্যতীত অন্য আইনের দ্বারা শাসন করে। এর ফলে তারা আমেরিকার চাপে আত্মসমর্পণ করে- যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে সেই মূর্তি, যা নিজেকে বিধানের দিক দিয়ে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করে। এর উপর এই এলাকার নেতারা পবিত্র ঘরের প্রভুকে নয় বরং হোয়াইট হাউজের প্রভুর ইবাদত করে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের প্রাপ্য দান করুক। ফলে এদেরকে বিশ্বাসী মনে করা মানে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর উপর বিশ্বাস চলে যাওয়ার নামান্তর।”
হাল আল উম্মাতুল ইসলামিয়াহ
“যারাই সত্য নিয়ে বের হয়, তাদেরকেই প্রতিকুলতা দেখানো হয়। যাদেরকে প্রতিকুলতা প্রদর্শন করা হয় না, যারা অবিশ্বাসীদের সাথে মিত্রতা করেছে এবং আল্লাহর শরিয়াত ব্যতীত শাসন করে, তাদেরকে জানানো হোক যে তারা সঠিক পথে নেই, আর না তারা সঠিক মানহাজের উপর আছে। তোমরা যা দেখেছ, তা কেউ দেখবে না যতক্ষণ না তাকেও আক্রমণ করা হয়। তারা সত্যবাদীদের উপর খুশি নয়, যতক্ষণ না সত্যবাদীরা তাদের কাছে মাথানত করে।”
খুতবায়ে ঈদুল ফিতর
“হে উম্মতে মুহাম্মাদী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! ইহা তোমাদের মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পথে চলার দিন এবং তোমরা বের হও গরম ও ঠাণ্ডায়! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহকে রক্ষা করতে, যেমন তিনি করেছিলেন তাবুকের দিন। তিনি কাউকে পিছনে ফেলে যাননি। যারা দাবি করে তারা লোকদের ঈমান শিক্ষা দিতে রয়ে যাবে, তারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মানহাজ বুঝে নি।”
হজরত কাব রাঃ এর হাদিস
‘আমাদের মনকে অন্ধ অনুকরণ থেকে স্বাধীনভাবে চলার জন্য খালিদ (রাঃ) এঁর ইসলাম গ্রহণের সময়কার কাহিনীটি বর্ণনা করার প্রয়োজনবোধ করছি। তাঁর বিলম্বিত ইসলাম গ্রহণ করার পরে যখন তাকে বলা হল ‘তোমার মন কোথায় পড়ে ছিল ও খালিদ, যে তুমি নবুওয়াতের এই নূরকে দেখতে পেলে না অথচ এই পবিত্র নূর তোমার আশেপাশেই ২০ বছর ধরে বিদ্যমান ছিল!’ তখন খালিদ (রাঃ) বললেন, ‘আমাদের সামনে তখন ছিল কুরাইশদের মত একটা কওম, যাদের আকাশচুম্বী উচ্চাকাঙ্খা পাহাড়ের মত আমাদের সামনে আড়াল হয়ে ছিল, যার কারণে আমরা তাদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছিলাম”।
এই ঘটনাই প্রমাণ করে কারো অন্ধ অনুকরণ থেকে মন-মানসিকতাকে স্বাধীন করার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এবং আমাদের এই বর্তমান সময়ে, সর্বপ্রথম এই ধরণের বাধা এবং বিধি নিষেধের উৎস হচ্ছে আমাদের শাসকবর্গ, এবং তারা, যারা অসৎ আলেম সমাজের সাথে অঙ্গিকারবদ্ধ, আমলারা এবং ভাড়াটে লেখকরা ও তাদের সাথের মতাদর্শীরা।
শাসকদের অক্ষমতা এবং বিশ্বাসঘাতকতা ও বেইমানির ব্যাপারে আমরা আজ রাজি হয়ে গেছি, না হয় আমরা কিভাবে বলি বা এটা কিভাবে সম্ভব হতে পারে যে, একজন মুসলিম তার সাথের মুসলিম ভাইকে বলছে যে, তোমরা কারজাইর হাতে হাত রেখে তাকে সাহায্য করো!, যাতে সে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে, জুলুমকে দূর করতে পারে এবং আমেরিকা যাতে তাদের প্লানকে বাস্তবায়িত করতে কোন সুযোগ না পায়!
এটা অসম্ভব এবং কক্ষনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না, কারণ কারজাই আমেরিকার ভাড়া করে নিয়ে আসা একজন দালাল ছাড়া আর কিছুই নয় এবং আমেরিকার প্রতি তার সমর্থন স্ববিরোধী সেই ১০ প্রক্রিয়ার মধ্যে একটি, যা ইসলামকে তার দরজার বাইরে ফেলে দেবার সাহস দেখিয়েছে।
অথচ যে কিনা এই এক শতক আগেও ছিল কুয়েতের একজন উদ্ভাস্তু, সেই রিয়াদের কারজাইকে ‘কারা’ সেই লোক, যারা তাকে নিয়োগ দিলো যাতে করে সে তাদের পক্ষে উসমানী সাম্রাজ্য এবং তার গভর্নর ইবন আল রাশেদের সাথে যুদ্ধ করতে পারে? এই ‘কারা’ হচ্ছে সেই ক্রুসেডারদের দল যারা আজও পর্যন্ত কারজাইর মতন এরকম অসংখ্য দালালকে নিজেদের স্বার্থে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এখানে রিয়াদের কারজাই আর কাবুলের কারজাইর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
فَاعْتَبِرُوا يَا أُولِي الْأَبْصَارِ
‘অতএব হে চক্ষুষ্মান ব্যাক্তিগণ! তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর! সুরা হাশর (৫৯:২)
أَكُفَّارُكُمْ خَيْرٌ مِنْ أُولَٰئِكُمْ أَمْ لَكُمْ بَرَاءَةٌ فِي الزُّبُرِ
‘তোমাদের প্রত্যাখ্যানকারীরা কি পূর্ববতীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, না মুক্তির কোন সনদ আছে লিখিত? ’ সুরা মুজাদালাহ (৫৪:৪৩ )
এর উপরে এই জালিম শাসকেরা আমাদের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চায়, বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যুগুলো এর মধ্যে অন্যতম। তারা এর সমাধান করতে চায় জাতিসংঘ আর আমেরিকার মাধ্যমে, যারা আল্লাহ্ সুবাহানু ওয়া তাআলা ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, ধর্ম থেকে বেরিয়ে গেছে এবং এই উম্মাহর সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করে চলেছে। আর অক্ষম আলিম সমাজ, আমলাগোষ্ঠী, ভাড়াটে লেখকগোষ্ঠী এবং তাদের পছন্দ করে এমন লোকদের জন্য তো এই বাক্যটিই প্রযোজ্য – ‘প্রতিটি যুগের জন্য একটি রাষ্ট্র এবং তার অধিনস্ত মানবগোষ্ঠী বিদ্যমান থাকে।’
তারাই হচ্ছে রাষ্ট্রের সেই জনশক্তি, যারা সত্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, মিথ্যা সাক্ষ্য দিচ্ছে মক্কা আর মদিনার মত পবিত্র ভূমিতে, কখনো কাবার আঙ্গিনার মধ্যে বসেই, তাও পবিত্র মাসে, যেখানে আল্লাহ্ তায়ালা ছাড়া আর কারো ক্ষমতা নেই, সেখানে।
তারা বলে এই বিশ্বাসঘাতক শাসকরা আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এবং তারা এর সাথে এও বলে যে আল্লাহ্ ছাড়া কারো কোন ক্ষমতা নেই ! তাদের যুক্তি তারা এটা করে সংহত অবস্থা তৈরি এবং স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য। আসলে তারা তো ইতিমধ্যেই সহজ পথ ত্যাগ করে পথভ্রষ্ট হয়েছে। তাই এখন জরুরি যে তাদেরকে তাদের অবস্থান পরিস্কার জানিয়ে দেয়া, তাদের থেকে দূরে থাকা, তাদের ব্যাপারে অন্যদেরকে সাবধান করে দেয়া।
অতঃপর ধর্ম পালন করা মানে কথা কম বলে চুপ থাকতে হবে এটা ঠিক নয়। আমাদের সময় এবং সম্পদ এই দুটোর একটারও কোন অংশে ধর্মের কোন অংশই নেই অথচ এইগুলো আল্লাহ্ তায়ালার দেয়া অনেক মূল্যবান বস্তু। বসে বসে শুধু কথা বলা আর আল্লাহ্র কাছে নিজের আত্মা আর জীবনকে সমর্পণ করে দেয়ার মধ্যে কতই না পার্থক্য …
বাণীসমূহ
‘প্রকৃতপক্ষে আপনার ফিলিস্তিনের ভাইয়েরা সাগ্রহে অপেক্ষায় আছে। তারা অপেক্ষায় আছে, কবে আপনি আমেরিকা ও ইসরাইল নামক রাষ্ট্র দুটিকে ধ্বংস করবেন। আল্লাহ্ সুবাহানুহু ওয়া তাআলার দুনিয়া অনেক প্রশস্ত এবং তাদের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। কাজেই আপনার সর্বোচ্চ ধ্বংসকারী ক্ষমতাকে এদের ধ্বংসে জাহির করুন! যাতে করে আল্লাহ্র ওয়াদাকে আমরা সফলকাম রূপে পাই। ’
– হাল আল উম্মাতুল ইসলামিয়াহ
‘এই যুদ্ধে তোমরা যুদ্ধের কোন সমরনীতি ও নিয়ম কানুনসমূহ মেনে চলার তোয়াক্কা করো নি। এখানে অধিকাংশ বাচ্চা এবং নারীরাই তোমাদের বোম্বিং এর কারণে জীবন্ত বলির শিকার, এবং এটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই করা হচ্ছে। তোমরা জানো আমাদের নারীরা যুদ্ধবাজ নয়, তারপরও তোমরা এমনকি উৎসব এর দিনগুলোতেও তাদের লক্ষ্যবস্তু বানাও, জেনেশুনে, কঠোরতার সাথে, আর তোমরা এর মাধ্যমে আশা করো যে মুজাহিদিনদের মনোবল যাতে ভেঙ্গে পড়ে। এর কোনটাই তোমাদের কক্ষনোই কোন উপকারে আসবে না, উপরন্তু আল্লাহ্ সুবানাহু ওয়া তাআলার অশেষ করুনায়; যিনি অবশ্যই মহিমান্বিত এবং সুমহান, আমরা এই ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে আমরা এই জুলুমের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে প্রতিশোধ নিয়ে যাব এবং বিদেশি অধিষ্ঠিত এই জুলুমবাজ আক্রমণকারীদেরকে অবশ্যই বিতাড়িত করে ছাড়বো। প্রকৃতপক্ষে না তোমাদের কোন ধর্ম আছে, না আছে কোন মনোবল, না আছে মানবতা আর না আছে হায়া – লজ্জা…’
– ইউরোপিয়ান জনগণের উদ্দেশ্যে
‘আমরা আমেরিকান সরকারকে সর্বোপরি মুসলিমদের সাথে চলে আসা এই অপরাধের জন্য এবং তাদের সহযোগী জালিম সরকার প্রধানদেরকে মুসলমানদের কল্যাণের বিপরীতে সাহায্য ও সমর্থন দেয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী করবো। এবং সেই অন্যতম প্রতীকী মানব, যে কিনা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এঁর একজন সুযোগ্য উত্তরাধিকারী, যে কিনা সেই উলামায়ে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যাদের আল্লাহ্ তায়ালা সত্য বলার জন্য পথ দেখিয়েছেন, যিনি কোনদিন ইসলামের মূল্যে নিজেকে নত করেন নি, প্রলুব্ধও হন নি, সেই উমর আব্দুর রহমান এঁর উপর অন্যায় হামলার জন্য আমরা তাদেরকে পূর্ণ দায়ী করি। উমর ভাইয়ের জন্য রইলো গৌরবান্বিত প্রশংসা…
– সি এন এন কে দেয়া সাক্ষাৎকার
‘মানুষ কি বুঝতে পারছে না যে দেশটি আমেরিকান আর ইহুদিদের চক্রান্তের কারণে আজ দখলকৃত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে এবং থাকবে? প্রকৃতপক্ষে সংক্ষেপে বলতে গেলে আজ সত্য দৈববাণী উৎসারিত হওয়ার সেই ভূমি, যা কিনা ছিল হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এঁর বংশধর এবং সম্মানিত সেই সাহাবায়ে কেরামদের বাসস্থান, সেই ভূমি আজ রোমীয় আর ইহুদী বেশ্যাদের দখলে পড়ে আছে ! এবং অবশ্যই কোন শক্তি নেই একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া, অবশ্যই ঈমান এবং তাওহীদের মূলশক্তির দ্বারা আমেরিকার বিরুদ্ধে এই জিহাদ চলতে থাকবে…
– সি এন এন কে দেয়া সাক্ষাৎকার
‘এই সমকালীন ক্রুসেডের সবচেয়ে অত্যাবশ্যক লক্ষ্য হল ভাগ করে দেয়া রাষ্ট্রগুলোকে এমন একটা পরিবেশ এবং সুযোগ সুবিধার রাস্তা তৈরি করে দেয়া, যাতে করে তারা সেই দিকে ধাবিত হতে পারে, যাকে বলা হয় ‘বৃহত্তর ইসরাইল’, যার মধ্যে কিনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে ইরাকের একটি বড় অংশ, মিশর, সিরিয়ার একটি অংশ, লেবানন, জর্ডান, পুরো ফিলিস্তিন এলাকা এবং হারামাইন শরীফের এক বিশাল অংশ।
তো আপনার কি মনে হয়? কি এই ‘বৃহত্তর ইসরাইল’?
এই ‘বৃহত্তর ইসরাইল’ নামের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য হচ্ছে রাষ্ট্রীয় দেশসমূহের আত্মসমর্পণ।
আপনি কি জানেন এই ইহুদীরা কারা?
কি এদের পরিচয়?
এই ইহুদীরা তো সেই জাত, যারা সৃষ্টিকর্তার সাথে মিথ্যার সংশ্লেষ করেছে।
তো আপনার কি মনে হয় সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির সাথে তাদের আচরণটা কি হতে পারে?’
– তাউজিহাত আল মানহাজিয়াহ-২
তাদের জন্য যারা হাতের মুঠোয় তাদের প্রাণ নিয়ে চলে এবং আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করে
(ক্বাসিদিয়া টেপ হতে গৃহীত)
তোমার উৎসর্গীকৃত রক্ত হল বিজয়ের পথে একটি লাল রঙয়ের সেতু, যার শেষপ্রান্তে রয়েছে অনন্তকালের যাত্রাপথের এক প্রবেশদ্বার।
তোমার উৎসর্গীকৃত রক্ত হল সংকল্প ও প্রয়াসের এক বিক্ষুব্ধ ঝড়, তোমাদের শত্রুর ওপর এ যেন এক জ্বলন্ত আগুন।
এতেই আছে মায়ার জগত পেরিয়ে আত্মার মুক্তি আর এভাবেই, জেরুজালেম কাল স্বাধীন হবে।
নিশ্চয়ই তোমরা পবিত্র রক্ত দিয়ে ফিলিস্তিনের ভূমিকে উর্বর করেছ, তোমরা এ থেকে পিছপা হও নি, আর না তোমরা এতে বিলম্ব করেছ।
ওদিকে আল্লাহর রাহে ওই বিক্ষিপ্ত দেহগুলো পড়ে আছে, ওগুলো সূর্যস্নাত সকালের ন্যায় উজ্জ্বল আভা ছড়াচ্ছে।
হে সন্তানেরা! তোমরাই তো হলে এ জাতির শক্তি, এদের বহুজন তো দুর্বল যারা কর্মভারে বৃদ্ধ হয়ে পড়েছে।
হে আল আকসার সন্তানেরা! তোমরাই হলে সত্যিকারের পুরুষ আর এখনও তো কিছু যুবক মিথ্যা পৌরুষ নিয়ে চলে।
তোমাদের পদভারে সিংহাসন কেপে ওঠে এবং সত্য উদ্ভাসিত হয় যা আমাদের নিকট পূর্বে প্রকাশিত হয় নি।
হে পথযাত্রী! তোমরা যারা এ জীবনের কারাগার ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছ আর চিৎকার করে বলেছিলে “আল্লাহু আকবার!”
তোমরা এমন এক সময় এসেছিলে যখন মুসলিমদের সব হারিয়ে গেছে আর তাদের দ্বীনের উত্তরাধিকারীরা আজ খ্রিষ্টীয় আদল গ্রহণ করেছে।
তার বুকে আকা ক্রুশ, যার ব্যপ্তি জনগণকে করে তোলে ক্রুদ্ধ আর এর পরিধানের ফয়সালা সকলেই জ্ঞাত।
তুমি এমন এক সময় এসেছিলে যখন আমাদের ছিল না কোন ইতিহাস, কোনকিছুই এবং আমাদের ক্ষেত্রগুলোও ছিল বিপর্যস্ত।
এটা আমার ভূমি, একে আজ খ্রিষ্টানদের জন্য বৈধ করে দেওয়া হয়েছে আর ইহুদীরা আমাদের সন্তানদের মানসিকতাকে শুষে নিচ্ছে
বরকত দিয়ে ঘেরা মাসজিদ আল আকসা হতে নিয়ে মহান, সম্মানিত কা’বা।
মসজিদ আল আকসা হতে নিয়ে প্রত্যেকটি মসজিদে নিশ্চিতভাবে কুফফার সেনাবাহিনী সীমালঙ্ঘন করছে ও হুকুম জারি করছে।
তবে কি ভূমিকা ওই সব সরকারের আর তাদের শাসকদের যারা অবাধ্যতা আর কুফরির সীমায় পৌছে গেছে?
তোমরা এমন এক সময় এসেছিলে যখন মুসলিমদের সব হারিয়ে গেছে আর তাদের দ্বীনের উত্তরাধিকারীরা আজ খ্রিষ্টীয় আদল গ্রহণ করেছে।
আমাদের পরিচয়, আমাদের মাতৃভূমি ও অধিকারভুক্ত সবকিছু, আমাদের ঠিকানা, আমাদের নাম সব আজ পরিবর্তিত হতে চলেছে।
এটা আমার ভূমি, একে আজ খ্রিষ্টানদের জন্য বৈধ করে দেওয়া হয়েছে আর ইহুদীরা আমাদের সন্তানদের মানসিকতাকে শুষে নিচ্ছে।
তোমরা ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করেছ, তাই এটা তার গৌরবজ্জ্বল স্মরণিকায় প্রত্যাবর্তন করছে।
এ হল সালাহউদ্দিনের উঠানো তরবারি, এর কারণেই কুফফারদের রক্ত ঝরেছিল, রক্তস্রোত বয়েছিল।
এর কারণেই হারানো হাইতিন আবার ফিরে এসেছিল আর মনের কোণায় বদর ও খায়বারের স্মৃতিগুলো যেন জেগে উঠেছিল।
তাই ইসলামি রাষ্ট্রের হৃদয় ক্রোধের আগুনে জ্বলছে, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার প্রত্যয়ে আর প্রতিশোধ গ্রহণের স্পৃহায় তা থরথর কম্পনে, সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
অতঃপর পূবদিকে তোমাদের ভাইয়েরা শক্ত করে লাগাম বেধেছে এবং কাবুল ও তার আদর্শ বংশধরেরা প্রস্তুত হচ্ছে।
এবং নাযদে যুবকেরা যোদ্ধার ন্যায় উদিত হচ্ছে এবং আদেন এ তো তারা জেগে উঠেছিল, আমাদের পেছনে ফেলে অতঃপর বিধ্বস্ত হয়েছে।
এক যোদ্ধাদল যাদের ওইসব ক্ষমতাধর মহান সেনাদল তোমাদের ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে, আর যখন এদের জাহাজ নোঙর ফেলে কিংবা যাত্রা করে তখন কম্পন বেড়ে যায়।
ওটা সমুদ্রের প্রবল স্রোতে আঘাত হানে এগিয়ে চলে, দাম্ভিকতার পদচিহ্ন একে যায়, অহংকার ভরে জাহির করে আর এসবই মিথ্যা বড়াই।
তীব্র গতিতে আস্ফালন করতে করতে, বিভ্রান্তির মায়াজালে এরা ধ্বংসের পানে এগিয়ে চলে,
যাত্রারম্ভে এটা ছিল সাগরের বুকে পাহাড়ের ন্যায় ধেয়ে চলা জাহাজ অথচ স্রোতের সাথে এটা একবার হারিয়ে যায়, আবার দৃষ্টিগোচর হয়।
সমুদ্র একে খড়কুটার ন্যায় আছড়ে ফেলে, ক্ষুদ্র ওরা এখনো সতর্ক ও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে।
যখন দুইটি দল মিলিত হয়েছিল, মুহাম্মাদের দলের দু’জন শহীদ আল্লাহর নামে ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে গেলেন আর তারা চিৎকার দিয়ে বলছিলেন, “আল্লাহু আকবার!”
এবং কুফফারদের দল যার সেনাপতি ছিল সিজার, ওদের মধ্যে ছিল ক্রুসেডারদের আদি আক্রোশ। ক্ষণিকেরও কম অথবা তার চেয়েও কম সময়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল,
অতঃপর বিজয় লাভের তো একটি নির্দিষ্ট সময় ছিল, তা থেকে না সামনে আগানো যায় নি আর না এটা বিলম্বিত হয়।
কাজেই, কুফফার নেতারা পিছু হটতে লাগল এবং তাদের ছেঁড়া অঙগপ্রত্যঙ্গ গুলো বিক্ষিপ্তভাবে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকল।
যদি তোমাদের চোখগুলো একবারের জন্য হলেও এর সাক্ষী হতে পারত, তোমরা আনন্দিত হতে আর তোমাদের অন্তর এর দ্বারা প্রশান্ত হত।
ইতিহাস কি কোনদিন আমাদের সাথীদের মত এমন কারো কথা শুনেছে? তারা কি এমন আগে কখনো দেখেছে, না আর কোনদিন দেখবে?
তুমি এমন এক সময় উঠে দাঁড়িয়েছিলে যখন এতে ছিল নিশ্চিত মৃত্যু, এবং তুমি এই মায়ার বাঁধনকে চূর্ণ করেছিলে, ভ্রমজাল আজ কেটে গেছে।
তুমি এমন এক ঈমান ও জাতি নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছ যা কিনা কাফেরদের দ্বারা লুণ্ঠিত হয়েছে এবং তাদের পদতলে এর বলি হয়েছে।
তোমরা আমাদের বাসনা উপলব্ধি করেছিলে, তাই তো ওগুলো বাস্তব রুপ পেয়েছিল এবং আমাদের এই ইচ্ছাগুলো অত্যন্ত দামী ও দুর্লভ।
তোমরা আল্লাহর এই দ্বীনকে সর্বোচ্চ ঝাণ্ডাতলে উচ্চে উঠিয়েছ, যার স্লোগান হল তাওহীদ ও আল্লাহু আকবার!
যারা বিষণ্ণবদনে কান্না কর আর তাদের চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরে, আমি তাদের বলতে চাই, একে প্রবাহিত হতে দাও।
এই অশ্রুর অধিক প্রাপ্য তো ওরা, যারা নিজেদের জীবনে লাঞ্চিত হয়েছে আর অপমানের পেয়ালায় যারা মত্ত হয়ে আছে।
তারা জীবনের এমন সব ঘটনাবলীর প্রান্তসীমায় দাঁড়িয়ে আছে যেন, তাদের জীবনে কোনদিন ভাল কিছু ছিল না, আর না এই স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠার জন্য সেখানে মন্দ কিছু ছিল।
অতঃপর যারা এই বর্তমানকে আঁকড়ে ধরে পড়ে আছে এবং এই বিষাদময় জীবনের নিকট রুজু হয়েছে এই অশ্রু তাদেরই বেশি প্রাপ্য, তাদেরকেই এতে মানায়।
এদের মধ্যে কেউ কেউ তো বেঁচে থেকেও কবরের মৃত আর অনেকেই গত হয়েছে যারা “আল্লাহু আকবার!” ধ্বনিতে এখনো জীবিত।
যখন তোমার জাহাজ আল্লাহর রাহে নোঙর করে এবং যাত্রা করে তখন মূর্খরা বলে, তুমি তো ধ্বংস হয়ে গেলে!
তোমার সকল প্রশংসনীয় পদক্ষেপ ও মহত্ত্ব তোমাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য যথেষ্ট।
তোমাদের পরে তোমাদের যে ভাইয়েরা এসেছে তারা তাদের চেহারায় নমনীয়তা আনে নি, তারা না তলোয়ার অবনমিত করেছে, আর না চাপাতি নামিয়ে রেখেছে।
তারা মৃত্যুর সাগরে ডুব দিয়েছে, তারা এতে ভীত হয় নি এবং যে মৃত্যুর পরোয়া করে না তাকে ভয় দেখানোর আর কিইবা থাকতে পারে..।
ওদের শত্রুরা ওদের কারণে প্রতিনিয়ত প্রতিমুহূর্তে প্রচণ্ড ক্রোধে বিলীন হবার উপক্রম হয় এবং নিশ্চয়ই বারংবার মৃত্যু তো অতি জঘন্য।
তাদের পথ হল বন্ধুর এবং ওদের অনুসরণ কষ্টসাধ্য, তবু এতে ত্যাগ ও ফলাফল প্রসার লাভ করে।
তাদের পথ হল শ্রেষ্ঠ দিকে যাত্রাগুলোর একটি, এই পথ মুক্তি ও বিজয়ের পথ।
কিংবা দ্বীন, নিজ ভূমি ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াইরত অবস্থায় মৃত্যু এবং যারা এই মহৎ কাজে নিয়োজিত থেকে মৃত্যুবরণ করে, তাদের জন্য তো রয়েছে চিরন্তন ক্ষমা।
ফিলিস্তিনের জনগণ দুঃখের পেয়ালা হতে চুমুক দিচ্ছে এবং হিজাযের ক্ষত এখনো সারেনি।
তোমরা কি নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে রইলে?!
তোমরা কি নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে আছ যখন শাসকেরা পবিত্রভূমি গুলো রক্ষা করছে না এবং তাদের নেতারা কুফরি অনুসরণ করছে ও কুফরিতে লিপ্ত হচ্ছে?
তোমরা কি নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে রইলে যখন ব্যবসায়ীরা যাকাত প্রদান করছে না যাতে করে সুসংগঠিত সেনাবাহিনী প্রস্তুত করা যায়?
তুমি কি নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে আছ যখন সাহসীরা জিহাদের কাতারে সামিল হয়ে জেরুজালেমকে আগ্রাসী বাহিনীর দখল হতে স্বাধীন করতে অক্ষম?
তুমি কি নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে আছ যেখানে তরুণ ছাত্রসেনারা না নিজেদের জখমগুলো সারাতে সক্ষম হচ্ছে, আর না শিশুদেরকে নিরাপদে আগলে রাখতে পারছে?
চারিদিকে যখন যুদ্ধের দাবানল জ্বলছে তখন কোথায় হে ইসলামের সন্তানেরা? তারা কি তাদের রবের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করবে?
অতঃপর ইসলামের উচ্চবংশীয় সন্তান এবং তাদের অনুপস্থিতিতে, দুর্যোগ ও জাতির ক্লান্তিলগ্নে তাদের মহান বংশধররা হাল ধরবে যতক্ষণ না এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
তাদের এরুপ ক্ষত সত্ত্বেও খিলাফাহর পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাদের অবিচলতা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে।
এবং তারা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে যে, জিহাদের দ্বারা ওই বিশ্বাসঘাতকরা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণার ন্যায় বিলীন হয়ে যাবে।
তারা তো ইতিমধ্যে আল্লাহর সাথে যে, যদি কখনো সাইরাস ও সিজার তাদের যুদ্ধের আহবান করে তবুও তাদের এই জিহাদ চলতেই থাকবে।
নিশ্চয়ই, ঈমান আনার পর সর্বপ্রথম অবশ্য পালনীয় যে কর্তব্য, বিশেষত বর্তমান যুগের ক্ষেত্রে, তা হল দখলদার শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ও তাদের সাথে যুদ্ধ করা। শায়খুল ইসলাম -আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন- বলেছেন,
“আগ্রাসী শক্তি যারা আমাদের দ্বীন ও বর্তমান জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে তাদেরকে হঠিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোন শর্ত দাঁড় করার প্রয়োজন পড়ে না, ঈমান আনয়নের পর ভূমি হতে ওদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেয়ে অধিক আবশ্যক আর কিছুই নেই।”
[আলইখতিবারাত আল-আ’আলমিয়া: আল ফাতওয়া কুবরা ৬০৮/৪ এর সাথে সংযুক্ত]
এর ফলে, জিহাদ আজকে সমগ্র উম্মাহর উপর আরোপিত হয়ে গেছে এবং ফিলিস্তিন ও অন্যান্য মুসলিম ভূমি থেকে কুফফারদের হঠিয়ে দেওয়ার জন্য এবং এই জিহাদকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যদি উম্মাহ তাদের সন্তান, সম্পদ আর নিজেদের সাধ্যমত ত্যাগ না করে তবে এটা গুনাহর শামিল।
অতএব মুমিনদের উচিত নিজেদের সাধ্যানুযায়ী সত্য প্রতিষ্ঠা ও মিথ্যাকে বিলুপ্ত করার জন্য জিহাদ করা। রসুলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“যে তাদের বিরুদ্ধে নিজের হাত দ্বারা আঘাত হেনেছে সে একজন মুমিন। যে তাদের বিরুদ্ধে নিজের জিহ্বার দ্বারা আঘাত হেনেছে সে একজন মু’মিন এবং যে নিজের অন্তরে তাদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করেছে সেও একজন মু’মিন আর এর বাইরে সরিষা দানা পরিমাণ ঈমান ও অবশিষ্ট নেই।”
এবং এই মহান হাদিসটি সব মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। আমি এখানে বর্তমানে আমরা যে কঠিন দুর্দশার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি সে ব্যাপারে শায়খুল ইসলামের -আল্লাহ তার উপর রহম করুন- কিছু কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি:
“এবং জেনে রাখ -আল্লাহ তোমাদের হেদায়াত করুন- অসংখ্য প্রসিদ্ধ বর্ণনা দ্বারা এটি সুপ্রতিষ্ঠিত যে, রসুলুল্লাহ ﷺ বলেন: “আমার উম্মাতের মধ্যে একটি দল কখনোই তাদের শত্রুর মোকাবেলায় জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ হতে নিবৃত্ত হবে না। বিরুদ্ধচারীরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তারা ক্বিয়ামত দিবস পর্যন্ত এই অবস্থার উপর অটল থাকবে।” [সহীহ মুসলিম]
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে, মানুষ এখন তিনটি পৃথক দলে বিভক্ত হয়ে গেছে।
বিজয়ী দল: এরা যালেমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত মুজাহিদীন।
বিরোধী দল: ওরা হল যালেম ও তাদের দোসররা যারা ইসলামের সাথে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।
পলায়নকারী দল: এরা হল বসে থাকা দল এবং এরা জিহাদ ছেড়ে দিয়েছে এমনকি যদিও তারা তাদের ইসলামের প্রতি আন্তরিক ছিল।
কাজেই, তুমি দেখে নাও যে, তুমি কোন দলের অন্তর্ভুক্ত। তুমি কি বিজয়ী দলের অন্তর্ভুক্ত নাকি পলায়নকারী দল অথবা বিরোধী দলের কেউ? কেননা এ ব্যতীত চতুর্থ কোন দলের সুযোগ নেই। পুনরায়, আমি যুবকের জিহাদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি কেননা বর্তমানে দ্বীনের এই গুরুদায়িত্ব পূরণে ওরাই হচ্ছে সবচেয়ে অগ্রগামী এবং জেনে রাখ যে, বিশ্বব্যাপী আমেরিকান ও ইহুদীদের হত্যা করা হচ্ছে এই মহান কর্তব্যগুলোর একটি এবং এটি মহান আল্লাহর প্রতি তাকওয়া নির্দেশ করে। আমি তাদের হক্কপন্থী আলেম ও আন্তরিকভাবে আমলকারী বক্তাদের সাথে জুড়ে থাকার উপদেশ প্রদান করছি। আরও, আমি তাদের উপদেশ দেই যে, তারা যেন তাদের প্রয়োজনসমূহ পূরণে গোপনীয়তা বজায় রাখে, বিশেষ করে তাদের জিহাদি মিলিটারি অপারেশনের ব্যাপারে। আমি তোমাদের সবার জন্যই সুসংবাদ এনেছি এবং বিশেষভাবে আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের জন্য যে, আপনাদের মুজাহিদীন ভাইয়েরা আমেরিকান ও ইহুদীদের লক্ষ্য করে এই জিহাদকে অব্যাহত রাখবে। আমি আমার নিজের জন্য ও আমার মুসলিম ভাইদেরকে এই উপদেশ দিতে চাই যে, তারা যেন গোপনে এবং প্রকাশ্যে আল্লাহকে ভয় করেন, আল্লাহর নিকট বেশি বেশি দু’আ ও প্রার্থনা করেন যেন তিনি আমাদের তাওবা কবুল করেন এবং আমাদের অন্তরকে প্রশান্ত করেন।
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
হে আমাদের রব, আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন, আর আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন এবং আমাদের জাহান্নামের আযাব হতে রক্ষা করুন। সূরাহ আল বাকারাহ (২:২০১)