“অপারেশন উমার” শুরুর ব্যাপারে ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তানের শুরা কমিটির বিবৃতি:
“অপারেশন উমার” শুরুর ব্যাপারে ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তানের শুরা কমিটির বিবৃতি:
ডাউনলোড লিংক-
https://justpaste.it/tm0l
ছবি-
http://u.cubeupload.com/usama_media/30Bibbriti01.png
http://u.cubeupload.com/usama_media/30Bibbriti02.png
http://u.cubeupload.com/usama_media/30Bibbriti03.png
http://u.cubeupload.com/usama_media/30Bibbriti04.png
http://u.cubeupload.com/usama_media/30Bibbriti05.png
PDF
—-
http://www.mediafire.com/file/advsaman31krx0t/30._Bibbriti.pdf/file
Word
—–
http://www.mediafire.com/file/cz8fmvssi15btg0/30._Bibbriti.docx/file
https://archive.org/download/U_M_A/30.%20Bibbriti.docx
======================
বসন্তকাল উপলক্ষ্যে “অপারেশন উমার” শুরুর ব্যাপারে ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তানের শুরা কমিটির বিবৃতি:
সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহ তাআলার যিনি জুলুমবাজ অবাধ্যদের শক্তিকে চূর্ণ করেন এবং মুমিন বান্দাদের নিজের পক্ষ থেকে সাহায্য করেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ সা. এর উপর এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও সকল সাহাবা রাযি.এর উপর। পরকথা হল: আমেরিকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তানের সশস্ত্র জিহাদের ১৪ তম বছর পূর্ণ হয়েছে। এখন ১৫ তম বছর চলছে। আগ্রাসী ও জবরদখলকারী কুফুরি বাহিনীর বিরুদ্ধে জিহাদ হচ্ছে আমাদের উপর আল্লাহ প্রদত্ত একটি ফরজ বিধান। ইসলামী শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা ও উম্মাহর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ হল এক ও অদ্বিতীয় পন্থা।
আর বসন্তকালের আগমনের ফলে আরও একবার জিহাদি প্রত্যয় ও কর্মততপরতা নবউদ্যমে শুরু করার সময় হয়ে এলো। তাই ইসলামী ইমারাহর কেন্দ্রীয় কমান্ড নতুন জিহাদি অপারেশনকে শুভলক্ষ্যণ হিসেবে এই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও রূপকার আমিরুল মুমিনিন মোল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদ রহিমাহুল্লাহর নামে “অপারেশন উমার” নামকরনের ঘোষণা করছে।
মুজাহিদিনে কেরাম আমিরুল মুমিনিন মোল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদ রহিমাহুল্লাহর ইন্তিকালের আগেই তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বে দেশের শতকরা ৯৫% অংশ থেকে অনাচার, ফাসাদ ও জুলুম দূরীভূত করেন। ফাসাদ সৃষ্টিকারী ও যারা সমাজে ফাসাদ ছড়ায়, তাদেরকে খতম করেন।দখলদার বাহিনীগুলোর মধ্য থেকে অনেক দেশের আগ্রাসী বাহিনীকে পরাজিত ও পলায়নে বাধ্যকরেন। ইসলামের বিজয়–ইতিহাসের পাতাগুলোতে অসংখ্য গৌরবময় কীর্তিগাথা লিপিবদ্ধ করেন।
আমরা আল্লাহর কাছে আশা করি, হযরতের মোবারক নামের এই “অপারেশন উমার”এর মাধ্যমে আমাদের এই ভূমি কাফের ও তাদের চেলাচামুণ্ডা, বিদ্রোহী ও অন্যান্য দুষ্কৃতিকারীদের অস্তিত্ব ও ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত হবে ইনশা আল্লাহ।
“অপারেশন উমার” এর সূচনা ৫ রজব ১৪৩৭ হিজরি, মোতাবেক ১২ এপ্রিল ২০১৬ ঈসায়ী স্থানীয় সময় ভোর ৫ টা বাজে দেশব্যাপী শুরু হবে। উল্লেখ্য, ১৫ তম হিজরির রজব মাসের ৫ ম দিন হযরত উমার ফারুক রা. এর খেলাফাতকালীন সময় পশ্চিমা কুফফারদের সাথে ইয়ারমুকের ঐতিহাসিক লড়াই সংগঠিত হয়েছিল। এ দিন মুসলমানদের গৌরবময় বিজয় অর্জিত হয়েছিল এবং কাফেরদের শোচনীয় ও শিক্ষণীয় পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে আশাকরি ৫ রজব শুরু হতে যাওয়া “উমারী অপারেশন“-এর ফলাফলও এর ব্যতিক্রম হবে না।
আমরা আরও আশা করি, এবছর “অপারেশন উমার“ দখলদার কাফের ও তাদের চেলাচামুণ্ডাদের পরিপূর্ণ পরাজয় ও পলায়নে চরম আঘাত প্রমাণিত হবে। “অপারেশন উমার” যা ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তানের নেতৃত্বে, ফৌজি কমিশন,জিম্মাদার ও শ্রেষ্ঠ সমরবিদদের দক্ষতাকে সামনে রেখে গত তিন মাস ধরে প্লানিং করা হয়েছে, তাতে এদিকেই বেশি দৃষ্টি দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালার সাহায্য ও দয়ায় কাফেরদের দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে মুজাহিদদের কন্ট্রোলে নিয়ে আসা হবে। দুশমনকে একযোগে সারা দেশে হামলার নিশানা বানানো হবে। ইস্তেশহাদি হামলা ও মুরাবিত মুজাহিদদের হামলার মাধ্যমে দুশমনের নিরাপদ ও ভিআইপি এলাকাগুলোকে কম্পিত রাখা হবে। মুরতাদ শাসকবর্গ ও তাদের চেলাচামুণ্ডাদের গেরিলা হামলার নিশানা বানানো হবে। এবং প্রত্যেক বৈধ পন্থা প্রয়োগ করে সম্ভাব্য সকল ফায়েদা উঠানোর চেষ্টা করে দুশমনকে মারা ও অপমানিত করার চেষ্টা করা হবে। যাতে বহিরাগত সাহায্যকারী ও ভিতরের সশস্ত্র পুতুল ফৌজকে একটি অপমানজনক ও ভিতিকর যুদ্ধে ঠেলে দিয়ে মুসলিম ভূমিগুলো ছাড়তে বাধ্য করা যায়। বিজিত অঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তা ও ইনসাফপূর্ণ শাসনের ফলে জনসাধারণের জন্য উত্তমভাবে জীবনযাপনের পথ মসৃণ হয়ে যায়।
অপারেশন উমার এর সূচনাতেই সারা দেশের উলামায়ে কেরাম, বিভিন্ন গোত্রের সর্দারগণ ও ইমারাহর জিম্মাদারগণ দাওয়াত ও প্রচার–প্রসারের মাধ্যমে বিভিন্ন কাতারে বিভক্ত হয়ে যাওয়া লোকদেরকে ইসলামী শাসনব্যবস্থার বিরোধিতা পরিত্যাগ করে মুজাহিদদের সাথে একাট্টা হওয়ার দাওয়াত প্রদান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে তারা দুনিয়া ও আখেরাতের ধ্বংসের সম্মুখীন হওয়া ও ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়া থেকে মুক্তি পেয়ে যায় এবং কাফেরদের পরিবর্তে স্বীয় মুজাহিদ ভাই ও জনসাধারণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে উৎসাহিত হয়।
“অপারেশন উমার” এর ব্যাপারে ইমারার পক্ষ থেকে মুজাহিদদেরকে এ নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে যে, আপনাদের অপারেশনগুলোকে এমনভাবে বিন্যস্ত করুন, যাতে জনসাধারণ ক্ষয়–ক্ষতি থেকে বেঁচে যায় এবং জনকল্যাণমূলক সম্পদকে হেফাজত করা যায়।
“অপারেশন উমার” এর দ্বারা যে সকল এলাকা, গ্রাম ও শহর মুজাহিদদের কন্ট্রোলে আসবে, ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তান সে সকল অঞ্চলের বাসিন্দাদের জান ও মালের হেফাজতের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং তাদের জান–মালের হেফাজতকে মুজাহিদগণ নিজেদের জিম্মাদারি মনে করে। এই জন্য আমরা সাধারণভাবে সকল আফগান জনগণকে এবং বিশেষ করে জ্ঞানী,বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞান–প্রযুক্তিতে পারদর্শী এবং শিল্পকারখানার মালিকদেরকে বলছি, আপনারা শত্রুর প্রোপাগান্ডায় ধোঁকা খাবেন না, আর মুজাহিদদের ব্যাপারে শঙ্কিত হবেন না।
যেহেতু আমাদের জিহাদের একটি মাকসাদ হচ্ছে মাজলুম ও বিপদগ্রস্ত লোকদের সঙ্গ দেয়া ও সাহায্য করা, তাই “অপারেশন উমার” এর ক্ষেত্রে আমাদের মাজলুম বন্দিদের মুক্ত করার বিষয়টিকে বিশেষভাবে সামনে রাখা হয়েছে।
ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তান সকল মুজাহিদ ও জনসাধারণের কাছে এটা কামনা করে যে, তাঁরা গতবছরের কামিয়াব ও গৌরবময় “অপারেশন আজমে“র ন্যায় এ বছরের “অপারেশন উমার” কে সফল করার ক্ষেত্রেও পরিপূর্ণ ইখলাস, হিম্মত ও দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন। যাতে আল্লাহ তায়ালার নুসরাহ ও দয়ায় এই জিহাদি অপারেশন দখলদার কুফফার ও তাদের সাহায্যকারীদের মাথার খুলি লক্ষ্য করে চূড়ান্ত আঘাত হানতে পারে। আর আমাদের ভূমি তাদের নাপাক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তি পায়।
মজলিসে শুরা ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তান
আপনার নেক দুয়ায় আমাদের ভুলবেননা!