অডিও ও ভিডিওবই ও রিসালাহবার্তা ও বিবৃতিবাংলা প্রকাশনাশাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

যুদ্ধ চালিয়ে যাও, সোমালিয়ার বীরপুরুষেরা – শাইখ উসামা বিন লাদেন রহঃ

যুদ্ধ চালিয়ে যাও, সোমালিয়ার বীরপুরুষেরা

somalia_small.png

ভিডিও ডাউনলোড- ৩৪.৪ এমবি

http://www.archive.org/download/FightOnChampionsOfSomaliabangla-sheikhOsamaBinLadinha/FightOnChampionsOfSomalia.flv

বাংলা স্ক্রিপ্ট ডাউনলোড

http://ia700402.us.archive.org/2/items/FightOnChampionsOfSomaliabangla/FightOnChampionsOfSomalia.pdf

 

https://archive.org/details/FightOnChampionsOfSomaliabangla

https://archive.org/details/FightOnChampionsOfSomaliabangla-sheikhOsamaBinLadinha

 

 

যুদ্ধ চালিয়ে যাও সোমালিয়ার বীর পুরুষেরা

মুজাহিদীন শাইখ উসামা বিন লাদেন

[আল্লাহ তা’আলা তাঁকে হিফাজত করুন]

তারিখ: ৩০-০৯-২০০৯

 

আস্ সাহাব মিডিয়া প্রোডাকশন

 

 

যুদ্ধ চালিয়ে যাও, সোমালিয়ার বীর পুরুষেরা

সকল প্রশংসা আল্লাহ  সুবহানাল্লাহু ওয়া তাআলার জন্য,আমরা তাঁর প্রশংসা করি এবং তাঁরই কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আমরা আল্লাহর নিকট আমাদের নফসের খারাবী এবং আমাদের পাপ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে হিদায়াত দান‌ করেন, কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারে না এবং তিনি যাকে গোমরাহ করেন,তাকে কেউ হিদায়াত দান করতে পারে না।আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।

অতঃপর,

আমাদের ধৈর্যশীল, দৃঢ় ও নিষ্ঠাবান সোমালিয়ার মুজাহিদ মুসলিম ভাইদের প্রতি: আপনাদের উপর শান্তি এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার করুণা ও দয়া বর্ষিত হোক। সোমালিয়ার মাটিতে বিগত কয়েক বছর ধরে যে যুদ্ধ চলছে, সে যুদ্ধটি ইসলাম বনাম আন্তর্জাতিক ক্রুসেডের যুদ্ধ। ‘ন্যাটো’ মিত্রবাহিনী তাদের এই মিশন চালানোর জন্য ইথিওপিয়াকে নিযুক্ত করেছে এবং পরবর্তীতে তারা ও তাদের মনিবেরা আপনাদের মহান জিহাদের মোকাবিলায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছে এবং তারা প্রবঞ্চনামূলকভাবে এ যুদ্ধটি এখন এড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা তারা ইসলামী বিশ্বে অহরহ করে থাকে। তারা আপনাদের উপর এমন এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করেছে, যে একসময় আপনাদের গোত্রীয় থাকলেও আসলে সে তাদের দ্বীনেরই একজন অনুসারীতে পরিণত হয়েছে। আর এ ব্যক্তিটি হল প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইউসুফ। কিন্তু ‘কারজাই’ স্টাইলের এই চক্রান্ত অন্যান্য দেশে কাজ করলেও আপনাদের কাছে পাত্তা পায়নি। আর এ কারণেই তারা নতুন চাল চেলেছে, তারা তাকে (ইউসুফ) সরিয়ে দিয়ে নতুন একজনকে তার স্থলে আমদানি করেছে। নতুন মোড়কের এই নেতা সায়াফ, রব্বানি এবং আহমদ শাহ মাসউদের মতো, যারা এক সময় আফগানিস্তানে মুজাহিদদের নেতৃত্ব দিয়ে পরে গাদ্দারী করে আমেরিকার বন্ধু হয়ে যায়; এরাই আফগানিস্তানের ইসলামী ইমারতের পতনে আমেরিকাকে সাহায্য করে। শেখ শরীফও (আহমদ শাহ মাসউদের মতো)এমনই এক দৃষ্টান্ত।

সে মুজাহিদীনদের সাথে ইসলামিক কোর্টের প্রেসিডেন্ট ছিল। কিন্তু কেনিয়ায় মার্কিন কূটনীতিক দলের প্ররোচনা ও‌ প্রলোভনের পরিপ্রেক্ষিতে সে পরিবর্তিত হয়ে গেল এবং পদস্খলিত হয়ে গেল (একজন মুরতাদ হিসেবে) এবং মুশরিকী আইনের সঙ্গে ইসলামী শরীয়াহর আইনের সংমিশ্রণে একটি সরকার গঠন করল। আর এই সংমিশ্রণের কাজটি একটি বড় শিরকী কাজ, যা একজন মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। একজন বুদ্ধিমান মানুষ কিভাবে এটা ভাবতে পারে যে, দ্বীনের ভিত্তিতে আমার গতকালের শত্রু আজকের বন্ধুতে পরিণত হবে? এটি কেবল তখনই ঘটতে পারে যখন দুটি দলের কোনো একটি তার দ্বীনকে পরিত্যাগ করে।

  সুতরাং, তাকিয়ে দেখুন এবং লক্ষ্য করুন,তাদের মধ্যে কে এটি পরিত্যাগ করেছে; শাইখ শরীফ নাকি আমেরিকা? এবং আল্লাহ তাআলার কথাটি পুনরায় চিন্তা করে দেখুন, সর্বোচ্চ ও মহান তিনি (সুব:) বলেন,

إِنَّ الَّذِينَ ارْتَدُّوا عَلَىٰ أَدْبَارِهِم مِّن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْهُدَى الشَّيْطَانُ سَوَّلَ لَهُمْ وَأَمْلَىٰ لَهُمْ ﴿محمد: ٢٥﴾ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا لِلَّذِينَ كَرِهُوا مَا نَزَّلَ اللَّهُ سَنُطِيعُكُمْ فِي بَعْضِ الْأَمْرِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِسْرَارَهُمْ ﴿محمد: ٢٦﴾فَكَيْفَ إِذَا تَوَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ ﴿محمد: ٢٧﴾ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمُ اتَّبَعُوا مَا أَسْخَطَ اللَّهَ وَكَرِهُوا رِضْوَانَهُ فَأَحْبَطَ أَعْمَالَهُمْ ﴿محمد: ٢٨﴾

“যারা নিজেদের নিকট সৎপথ ব্যক্ত হওয়ার পর তা পরিত্যাগ করে, শয়তান তাদের কাজকে শোভন করে দেখায় এবং তাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়। এটা এই জন্য যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা যারা অস্বীকার করে তাদেরকে এরা বলে,‘ আমরা কিছু কিছু বিষয় তোমাদের (কাফিরদের) আনুগত্য করব’; আল্লাহ তাদের গোপন অভিসন্ধি অবগত আছেন। ফেরেশতারা যখন তাদের মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ করবে তখন তাদের কি দশা হবে! এটা এইজন্য যে, তারা ঐ জিনিসের অনুসরণ করে, যা আল্লাহর অসন্তোষ জন্মায় এবং তাঁর সন্তুষ্টি কে তারা অপ্রিয় গণ্য করে; তিনি তাদের কর্ম নিষ্ফল করে দেন।” (সূরা মুহাম্মদ ৪৭: ২৫-২৮)

এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

দুটি ক্ষুধার্ত ভাল্লুককে একপাল ভেড়ার মধ্যে ছেড়ে দিলে যা হয়, সম্পদ এবং ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা-এক মানুষের দ্বীনের জন্য তার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর।” [মুসনাদে আহমাদ ও তিরমিযী]

 হায়! সম্পত্তি, ক্ষমতা এবং মর্যাদার লোভ কিভাবে আমাদের নেতৃত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

এ রকম নেতারা সবাই শত্রুপক্ষের চামচা, তাদের সরকার প্রথম দিন থেকেই পুরোপুরি অবৈধ; শাইখ শরীফ তাদেরই একজন। সুতরাং তাকে অবশ্যই ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। ইসলামের বিজ্ঞজনরা এ ব্যাপারে একমত যে, কর্তৃত্ব কখনোই একজন মুরতাদ কে দেয়া যাবে না এবং শাসক যদি নেতৃত্বে থাকা অবস্থায় মুরতাদ হয়ে যায়, তাহলে তার কর্তৃত্ব শেষ হয়ে যাবে এবং তাকে সশস্ত্র শক্তির মাধ্যমে সরাতে হবে। কাযি আইয়াদ রহঃ বলেন, ‘উলামাগণ এ ব্যাপারে একমত যে, কোনো মুরতাদকেই ইমামত বা নেতৃত্ব দেয়া যাবে না এবং সে (ইমাম) যদি মুরতাদ হয়ে যায়, তাহলে তাকে অবশ্যই সরিয়ে ফেলতে হবে।

সোমালিয়ায় আমার মুসলিম ভাইয়েরা, আপনাদেরকে অবশ্যই সেই বিষয়ে সচেতন হতে হবে যে বিষয়গুলোকে ইসলাম ও দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের নামে ছদ্মবেশ ধারণ করানো হচ্ছে; যদিও তারা ইসলামী শরীয়াহর বিধানের সাথে বিরোধপূর্ণ কাজ করে চলছে। ঠিক সোমালিয়ার কতিপয় উলামার তৎপরতার অনুরূপ যারা শাইখ শরীফকে ইসলায়ী শরীয়াহ বাস্তবায়নের জন্য ছয়মাস সময় দিয়েছে। তারা তাকে বলেছে, সে যা যা অন্তর্ভুক্ত করেছে তার কিছু কিছু বাদ দিতে, সুতরাং সেগুলো উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? এই লোকগুলো হয় বাস্তব ঘটনা প্রকৃতপক্ষে বোঝে না নতুবা তারা আমাদের বোকা বানাতে চায়। তাদের এই তৎপরতা ইমানের সঙ্গে সূক্ষ্ম বিশ্বাসঘাতকতা। সকল বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই ইসলামের সঙ্গে আমেরিকার যুদ্ধের ব্যাপারে সচেতন এবং সবাই জানে অতীতে তারা সোমালিয়ায় দ্বীন কায়েমের বিরোধিতা করেছে। ঠিক ইরাক ও আফগানিস্তানের ই অনুরূপ এবং এখন পাকিস্তানের সোয়াত এলাকায় দ্বীন কায়েমে তারাই বাধা দিচ্ছে।

 বহির্বিশ্ব থেকে আরো একটি তৎপরতা রয়েছে, যে তৎপরতায় আপনাদের সত্যনিষ্ঠ মুজাহিদীনদের যুদ্ধ‌ বন্ধ করতে বলা হচ্ছে। শাইখ শরীফের সঙ্গে আপোষরফার নিমিত্তে যে তৎপরতায় এ বিষয়টি সম্পর্কে সচেতনতা প্রদর্শন করা হয়নি যে, এই নতুন পুতুলটি মূলত মার্কিন নিয়ন্ত্রণেই পরিচালিত। এই লোকগুলো স্পষ্টতই বিচ্যুত হয়ে গেছে। ওয়াজিব হলো, মুরতাদ সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাওয়া, জিহাদ বন্ধ করা নয়। এরকমই একটি তৎপরতা চালিয়েছিল আমেরিকার আজ্ঞাবহ আরব নেতারা।রিয়াদের গভর্নর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইউসুফ সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার অসীম করুণায় সেই ষড়যন্ত্রের পাহাড় মুজাহিদীনদের দ্বারা অপসারিত হয়েছিল।

সুতরাং দ্বীনের বিধানের সাথে বিরোধপূর্ণ যেকোনো তৎপরতার ব্যাপারেই সতর্ক থাকুন এবং এর দ্বারা প্রবঞ্চিত হবেন না। দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের আবরণে এর কোনো কিছুই কাজে আসবে না, কেননা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক পরিচালিত। বিশেষতঃ রিয়াদ এবং কায়রোর শাসকগোষ্ঠী এবং এরকম উদাহরণ এত বেশি যে, এখানে তার আর উল্লেখ করছি না।

আমি আমার মুজাহিদ ভাইদেরকে বলছি, সোমালিয়ার সত্যনিষ্ঠ সন্তানদেরকে বলছি,তারা যেন জিহাদের পথে দৃঢ়পদ থাকে এবং এই সংগ্রামকে এগিয়ে‌ নেয়। বিশ্ব কুফফার শক্তি এক ভয়ানক দুর্ভাগ্যপূর্ণ বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে এবং এমন এক সংকটে পতিত হতে যাচ্ছে যা তারা কয়েক দশক ধরে দেখে নি। সুতরাং আপনাদের পথে আপনারা অটল ও স্থির থাকুন। কেননা,আপনারা ইসলামের সমর শক্তির এক গুরুত্বপূর্ণ সেনাদল এবং ইসলাম বিশ্বের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং আপনাদের ধৈর্য্য ও অনুপ্রেরণা ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান,ইসলামী মাগরিব, পাকিস্তান এবং বাকি জিহাদের ময়দানগুলোকে সমর্থন ও প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছে এবং একই শত্রু আমেরিকা ও তার মিত্রদের মোকাবেলা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। সুতরাং আসুন আমরা প্রত্যেকেই আমাদের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করি এবং সীমালংঘনকারী দস্যুদের কতল করে এই বাহিনীকে আরও উদ্বুদ্ধ করি।

আমি সোমালিয়ার মুসলিম সন্তানদের উদ্বুদ্ধ করছি, তাদের সত্যনিষ্ঠ মুজাহিদীনদের পাশে থেকে তাদেরকে সহায়তা করার জন্য এবং আমি মুসলিম উম্মাহর সর্বত্র এই আহবান প্রেরণ করছি এবং তাদের কাছে আহবান করছি সোমালিয়ায় আমাদের পরিবারের প্রতি এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য। দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষ দের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন এবং আপনাদের শক্তি ও সম্পদ দিয়ে জিহাদকে (এখানে) সমর্থন ও সহযোগিতা করতে থাকুন যতক্ষণ না এটি দখলদার ও মুনাফিকদের থেকে মুক্ত হয় এবং আল্লাহর অনুমতিক্রমে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইনশাআল্লাহ বিজয় অর্জন এখানে সহজ হবে যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেন। আর এই বিজয়ের লক্ষণ হলো সোমালিয়ার এই মুজাহিদীন-আপনাদের এই ভাইয়েরা অত্যন্ত ধৈর্যশীল, সহিষ্ণু এবং দৃঢ়প্রত্যয়ের অধিকারী। তাদের কাছে আবিসিনিয়ার ক্রুসেডার সরকারের কাছে মাথা নোয়ানোর চাইতে মৃত্যু ই অধিক পছন্দনীয় এবং আমেরিকান ক্রুসেডারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আল্লাহর অপার মহিমায় তারা আমেরিকাকে পরাজিত করেছিল; যার পর আমেরিকা নাকে খদ দিয়ে লেজ গুটিয়ে আফ্রিকা থেকে পালিয়েছিল। সুতরাং মুসলিম উম্মাহর কাছে আহবান, সোমালিয়ার অর্থনৈতিক প্রয়োজনগুলো পূরণ করুন, যাতে তারা অস্ত্র শস্ত্র কিনতে পারে এবং জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে ‌এবং পার্শ্ববর্তী দেশ যাতে তাদের কখনোই আঘাত করতে না পারে।

 হে মুসলিম উম্মাহ! সোমালিয়ার মুজাহিদদের বিজয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং তাদেরকে সহযোগিতা না করা কিংবা তাদের হাতকে শক্তিশালী না করা আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক ব্যাপার। কেননা, ইসলামী বিশ্বের একটি অঙ্গহানি ঘটলে পুরোটাই হুমকির সম্মুখীন হয়। পুতুল সরকারের কাছে নত হওয়া, সরাসরি পশ্চিমা সরকারের শাসনেরই নামান্তর। আপনারা সকলেই এক আন্তর্জাতিক ক্রুসেড মোকাবেলা ‌করছেন। যাতে সোমালিয়ার অবস্থান হলো দক্ষিণ-পশ্চিম উইং এ এবং ক্রুসেডাররা এটি ভূমি, আকাশ এবং সমুদ্র তিন দিক থেকেই আক্রমণ করেছে। পশ্চিম দিক থেকে আরেকটি ক্রুসেডার দলের অগ্রযাত্রা লক্ষ্যণীয়। আর তা সুদানের বিরুদ্ধে, যা দারফুর থেকে অগ্রসরমান এবং পবিত্র ও সম্মানিত কাবার মসজিদ থেকে সুদানের উপকূল মাত্র ৩০০ কিলোমিটারের দূরত্বে অবস্থান করছে, যা স্কাড ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। উত্তর দিকে মহিমান্বিত আকসা মসজিদে ৬০ বছর ধরে জায়োনিস্ট সেনাদল বিরাজমান এবং গাজার অভিমুখে ক্রুসেডার জাহাজগুলো সদা প্রস্তুত রয়েছে এবং আরেকটি ক্রুসেডার সেনাদল লেবাননের দক্ষিণেই রয়েছে

 এবং পূর্বদিকে আমেরিকা কর্তৃক আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আরেকটি ক্রুসেডার দল নিয়োজিত এবং অন্য আরেকটি ইরাকের বিরুদ্ধে নিয়োজিত এবং এর সাথে যুক্ত আমাদের দেশগুলোতে বিস্তৃত তাদের সামরিক ঘাঁটি গুলো। সুতরাং কতক্ষণ আর আপনারা আমেরিকা ও তার দোসরদের ভয় করতে থাকবেন?আমি আপনাদেরকে মহান ও সর্বোচ্চ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার বাণী স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি,

أَلَا تُقَاتِلُونَ قَوْمًا نَّكَثُوا أَيْمَانَهُمْ وَهَمُّوا بِإِخْرَاجِ الرَّسُولِ وَهُم بَدَءُوكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ أَتَخْشَوْنَهُمْ فَاللَّهُ أَحَقُّ أَن تَخْشَوْهُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ ﴿التوبة: ١٣﴾

“তোমরা কি সেই সম্প্রদায়ের সাথে যুদ্ধ করবে না,যারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে ও রাসূলকে বহিষ্কার করার চক্রান্ত করেছে? তারাই প্রথম তোমাদের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। তোমরা কি তাদেরকে ভয় পাও? আল্লাহকে ভয় করাই তোমাদের পক্ষে অধিক সমীচীন, যদি তোমরা মুমিন হও।” (সূরা তওবা ৯: ১৩)

 সুতরাং আল্লাহর শত্রু পুতুল রাজা বাদশাহদের তাবেদারী থেকে নিজেদের মুক্ত করুন এবং তাদের প্রতি আস্থা রাখা বন্ধ করুন এবং আপনাদের প্রতি অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ব্যাপৃত হোন, কেননা, আপনার যা কিছু আছে, সবকিছুই আজ হুমকির মুখে। আপনার প্রিয়জন,আপনার সম্পত্তি এবং সব থেকে বড় জিনিস-আপনার দ্বীন।

আমি আমাদের সম্পদ দ্বারা আমার দ্বীনকে রক্ষা করি, আমি অপচয় করি না, দ্বীনহীন সম্পদের উপর আল্লাহর রহমত নেই।

হে আল্লাহ, আমাদের শিক্ষক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি এবং তাঁর পরিবারের প্রতি এবং তাঁর সকল সাহাবাদের প্রতি সালাত ও সালাম প্রেরণ করুন। এটাই আমাদের সর্বশেষ দোয়া, যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের রব মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার জন্য।

সমাপ্ত

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 2 =

Back to top button