অডিও ও ভিডিওঅডিও ও ভিডিও [আল হিকমাহ]আল-হিকমাহ মিডিয়ামিডিয়াশাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

তাবলীগ ও আহলে হাদিসদের সুন্নাহবিরোধী মানহাজ – আগে নিজের দেহে ইসলাম কায়েম করুন || al hikmah media

“জিহাদ করবেন? উম্মতের আক্বিদা বিশুদ্ধ আছে? ঈমান ঠিক আছে? পুরো উম্মাহ তো শিরক-বিদাতে ডুবে আছে। আক্বিদাই তো সহিহ নাই, জিহাদ আবার কিভাবে? জিহাদের অংশ নেয়ার পূর্বে তারবিয়া-তাশফিয়া জরুরী।“

কথাগুলো কি পরিচিত মনে হয়? আচ্ছা নিচের কথাগুলো দেখুন তো –

“জিহাদ করবেন? উম্মতের তো ইমান-আমলই ঠিক নেই। উম্মাহ ডুবে আছে কতো রকম ফিতনাতে। যখন ফযরের নামাযে জুম্মার নামাযের সমান লোক হবে, তখন না হয় জিহাদের কথা বলবেন। বদর-উহুদের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই, এখন শিক্ষা নিতে হবে বনী ইস্রাইলের দৃষ্টান্ত থেকে। জিহাদের আগে ঈমান মজবুতের মেহনত জরুরী।”

প্রথম বক্তব্যটি আনুগত্যপন্থী সরকারি-সালাফিদের, আর দ্বিতীয় বক্তব্যটা তাবলীগ জামাতের। নানা বিষয়ে এ দুই ঘরানার অসংখ্য মতবিরোধ থাকলেও এই একটা জায়গাতে তাদের বক্তব্য একই রকম। আর প্রথম প্রথম শুনতে বেশ যৌক্তিক মনে হয়।

কিন্তু দ্বীন ইসলামের সৌন্দর্য হল এই দ্বীন আক্বওয়াল কিংবা আক্বল নির্ভর না। এই দ্বীন কুর’আন ও সুন্নাহ নির্ভর। এই দ্বীন প্রত্যেক ব্যাখ্যাকারীর ব্যাখ্যাসাপেক্ষে পরিবর্তনের দ্বীন না, এ দ্বীন হল ওয়াহীর মাধ্যমে নাযিলকৃত সুনির্দিষ্ট, সুসংজ্ঞায়িত ও অপরিবর্তনীয় দ্বীন।

আর তাই যখনই কেউ দ্বীনের কোন বিষয়ে কোন বক্তব্য উপস্থাপন করে – আমরা তাদের বক্তব্যকে ক্বুর’আন ও সুন্নাহর মাপকাঠিতে পরিমাপ করে দেখি। বিশেষ করে যখন ফরয ইবাদতের ব্যাপারে কেউ কোন বক্তব্য উপস্থাপন করে তখন এ বক্তব্যকে গ্রহন করার আগে ক্বুর’আন ও সুন্নাহর আলোকে, সালাফ আস সালেহিনের অবস্থানের আলোকে এ বক্তব্যকে যাচাই করা আমাদের জন্য আবশ্যক।

আসুন ইমামুল মুওয়াহিদিন রাহমাতুললিল আলামিন নবীউর মারহামা নবীউল মালহামা মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহর আলোকে দেখি উপরোক্ত দুই গ্রুপের এই দৃষ্টিভঙ্গি কি সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাকি সম্পূর্ণ বিপরীত…

আলোচনা করছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি তত্ত্বকথায় বিশ্বাস করতেন না। যিনি দুনিয়া পাবার পর আখিরাতের জন্য দুনিয়াকে তালাক দিয়েছিলেন। যিনি যমীনের অধিবাসীদের মাঝে প্রশংসিত হবার বদলে আসমানের অধিবাসীদের কাছে প্রশংসিত হবার চেষ্টা করেছিলেন। যিনি সৃষ্টিকে সন্তুষ্ট করে সাফল্য ও খ্যাতি পাবার বদলে স্রষ্টাকে সন্তুষ্ট করে জান্নাত কামানোর স্বপ্নে বিভোর ছিলেন।

আলোচনা করছেন এমন একজন যিনি যা বলতেন তা আল্লাহর ইচ্ছায় করে দেখাতেন, যিনি আল্লাহর ইচ্ছায় অ্যামেরিকাকে প্রকম্পিত করেছিলেন, কাফির-মুশরিকদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি করেছিলেন – আলোচনা করছেন ইমাল ওয়াল মুজাদ্দিদ শায়খ উসামা ইবন মুহাম্মাদ ইবন আওয়াদ ইবন লাদিন রাহিমাহুল্লাহ!


Video আর্কাইভ ডাউনলোড: (২৪.২) মেগাবাইট

https://mega.nz/file/tt0gGbwI#ULgHTN0AqebQ6AKjzKn6iMxLnJiyIrvKkF-otHWZRXU
https://ia601502.us.archive.org/30/items/TabligOAhleHadisDerSunnahBerodhiManhaj/mp4
http://www.mediafire.com/file/ke0qzo7g4cemt60/32.tablig_o_sorkari_salafi.mp4/file
https://archive.org/details/32.tabligosorkarisalafi
https://anonfiles.com/F0icRbj5p7/32.tablig_o_sorkari_salafi_mp4
https://www.solidfiles.com/v/6dwnyQqPQ4Xaw

তাবলীগ ও আহলে হাদিসদের সুন্নাহবিরোধী মানহাজ আগে নিজের দেহে ইসলাম কায়েম করুন

|| Al Hikmah Media ||

 

 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

ٱتَّخَذُوٓا۟ أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَٰنَهُمْ أَرْبَابًا مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَٱلْمَسِيحَ ٱبْنَ مَرْيَمَ وَمَآ أُمِرُوٓا۟ إِلَّا لِيَعْبُدُوٓا۟ إِلَٰهًا وَٰحِدًاۖ لَّآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ سُبْحَٰنَهُۥ عَمَّا يُشْرِكُونَ

তারা আল্লাহকে ছেড়ে নিজেদের পাদ্রী ও ধর্মযাজকদেরকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে এবং মারিয়ামের পুত্র মসীহকেও, অথচ তাদের প্রতি শুধু এই আদেশ করা হয়েছিল যে তারা শুধু এক মাবুদের ইবাদত করবে যিনি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। তিনি তাদের শরিক স্থির করা হতে পবিত্র। [সূরা তাওবা: ৩১]

 

তাবলীগ জামাত ও সরকারি সালাফি “যুক্তি”

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

“ঈমান মজবুত করার আগে কিসের জিহাদ?”

“আত্মশুদ্ধি ও দ্বীন শিক্ষার আগে কিসের জিহাদ?”

নিজেদের মধ্যে চূড়ান্ত মাত্রার দ্বন্দ্ব বিরাজ করলেও তাবলীগ জামাত ও সরকারী সালাফিরা একটি বিষয়ে চূড়ান্তভাবে একমত–

ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধির পূর্বে জিহাদ কিসের? দ্বীন কায়েমের ক্ষেত্রে এদের মানহাজ হুবহু একই আর তা হচ্ছে- “আগে নিজের দেহে ইসলাম কায়েম করুন, তখন আপনা-আপনি দেশে ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে” কিংবা “যারা সালাতেই সুন্নাহর অনুসরণ না, সে আবার কিসের ইসলাম কায়েম করবে?”

তাবলীগ জামাতের মুরুব্বিয়ানে কেরাম ও সরকারি সালাফি উলামাগণ যে অজুহাত পেশ করে/যুবকদের আটকে রাখছেন,

তাবলীগঃ জিহাদের আগে ঈমান মজবুত করা জরুরী সরকারী

সালাফিঃ জিহাদের আগে তারবিয়া-তাশফিয়া* জরুরী

* প্রশিক্ষণ ও আত্মশুদ্ধি

তাবলীগ জামাত ও সরকারী সালাফিদের সৃষ্ট সংশয় নিরসনে

মুহসিনে উম্মাহ আল মুজাদ্দিদ ইমাম উসামা বিন মুহাম্মাদ বিন লাদিন রাহিমাহুল্লাহ

দাওয়াহর সাথে সম্পৃক্ত একদল লোক বলেন যে এখন মুসলিম উম্মাহর যুবকদের জন্য ইলম অর্জন ও ঈমান মজবুতের প্রশিক্ষণ নেয়ার সময়, আর জিহাদে যাবার জন্য এখনকার সময়টা খুব তাড়াহুড়ো হয়ে যায় ইলম অর্জন সংক্রান্ত এই ভ্রান্ত ধারণা যার উদ্ভব বর্তমানে ঘটেছে, তা কখনই উম্মাহর নেককার পূর্বসূরি, যাদের উপর আল্লাহ্ সন্তুষ্ট, তাদের জমানায় ঘটেনি। আর একজন মানুষ যদি সামান্য চিন্তা করে, এমন যুক্তিগুলোর অসারতা তার কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে।

আমি বলছি, শুধু স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য, মক্কা বিজয়ের দিনে যারা মুসলিম হয়েছিল, আবু সুফিয়ান এবং তার সাথের অন্যান্য ব্যক্তিরা, আল্লাহ্ তাদের সকলের উপর সন্তুষ্ট তারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল মক্কা বিজয়ের দিনে। ২০ রমজানের সময়, ঠিক তো?

তারা ছিল মুশরিক, মুশরিকদের সন্তান ও নাতি, অর্থাৎ, শিরক তাদের রক্তের মধ্যে বহুকাল ধরে বিদ্যমান ছিল এমনকি তারা মুসলিম হবার পর তাদের কেউ উত্তেজনার কারণে লাত বা উযযা এর নামে কসম খেত আর পরক্ষণেই ঈমান নবায়ন করার উদ্দেশ্যে তওবা করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চেয়ে নিত। সুতরাং তারা মুসলিম হয়েছিল বিজয়ের দিনটিতে, আর হুনায়ুনের যুদ্ধ ছিল শাওয়াল মাসে! বুঝতে পেরেছেন? তারা যা কিছুই করেছিল, এরপরও তারা মুসলিম হয়েছিল বিজয়ের দিনে। আল্লাহর রাসূলﷺ তাদের বললেন, “তোমরা কি মনে কর, আমি তোমাদের সাথে কী করব?”

তারা বলল, “আপনি একজন সম্মানিত ভাই, একজন সম্মানিত ভাইয়ের পুত্র।” যেহেতু এখন তরবারি আছে, সবাই সত্যটা জানে। তরবারি কাফিরদের সাহায্য করে সত্য জানতে আর ইসলাম জানতে। তো, রমজানের কয়দিন বাকি ছিল? খুব বেশি হলে ১০! আর হুনায়ুনের যুদ্ধ হয়েছিল শাওয়াল মাসে। সুতরাং, আজকের দিনের মানুষের ফতোয়া অনুযায়ী, আজকের আলেম-তালিবুল ইলমদের মত অনুযায়ী, তাদের (আবু সুফিয়ান ও অন্যান্যদের) কি করা উচিত ছিল? শুধু জ্ঞান অর্জনই নয়; প্রথমে অবশ্যই তাদের দ্বীনের মৌলিক বিষয়গুলো শিখতে হবে তারা ছিল মুশরিক, মুশরিকের সন্তান ও নাতি, মুশরিকের বংশধর কিন্তু রাসূল ﷺ যিনি নিজের নফসের চাহিদা বলেন, “আবু সুফিয়ান, তুমি ও যারা বিজয়ের দিন মুসলিম হয়েছো তোমরা মক্কায় অবস্থান করো এবং “আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস, উমার বিন আব্দুল্লাহ বিন উমার এবং যাইদ বিন সাবিত (রাঃ) তোমাদের সাথে থাকবে।” যারা কিনা সাহাবীদের মধ্যে বিখ্যাত আলেম, ফকিহ! তিনি ﷺ বলেননি, “তোমরা এখানেই থাকো এবং সাহাবীদের রেখে যাচ্ছি তোমাদের জ্ঞান দানের জন্য।” এমনটি ঘটেনি, কারণ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হচ্ছে এই উম্মাহ মূলনীতি।

আমরা হচ্ছি জিহাদের উম্মাহ ইলমের উদ্দেশ্য হচ্ছে সে অনুযায়ী আমল করা এবং তদানুযায়ী জিহাদ করা। আমাদের জন্য একটি সমস্যা হচ্ছে ইলম অর্জন করে তার উপর আমল না করা, আমরা হয়তো জানতাম না যে জিহাদ হল আমাদের ব্যক্তিগত দায়িত্ব এবং আমরা হয়তো জানতাম না আল্লাহ আমাদের থেকে কি চান তাই আমলের জন্য ইলম প্রয়োজন, ইলম নিজে কোন লক্ষ্য নয়। সুমহান আল্লাহর ইবাদত কিভাবে করতে হবে তা জানার জন্য ইলম প্রয়োজন যেভাবে তিনি আদেশ করেছেন।

আল্লাহ্ তাআলা আমাদের বিষয়টি অনুধাবন করার এবং তদানুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

আল হিকমাহ মিডিয়া

 

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =

Back to top button