অডিও ও ভিডিও [আন নাসর]আন-নাসর মিডিয়ানির্বাচিতবই ও রিসালাহ [আন নাসর]বাংলা প্রকাশনামিডিয়াশাইখ আতিয়াতুল্লাহ আল লিবী রহিমাহুল্লাহ

Bengali Translation || ধারাবাহিক “আলোর বাতিঘর” সিরিজ-১১ আল্লাহর সঙ্গে বাণিজ্যকারীরা || শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল-লীবী রহিমাহুল্লাহ

مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

الترجمة البنغالية
বাংলা ডাবিং
Bengali Translation

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled

قناديل من نور (١١) أهل التجارة مع الله

ধারাবাহিক “আলোর বাতিঘর” সিরিজ-১১
আল্লাহর সঙ্গে বাণিজ্যকারীরা

The series “Light’s Lighthouse” Series-11, Merchants with Allah.

للشيخ عطية الله – رحمه الله
শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল-লীবী রহিমাহুল্লাহ
By Shaykh Atiyatullah Al-Libi Rahimahullah.

 

Bengali Translation || ধারাবাহিক “আলোর বাতিঘর” সিরিজ-১১ আল্লাহর সঙ্গে বাণিজ্যকারীরা || শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল-লীবী রহিমাহুল্লাহ

 

 

للمشاهدة المباشرة والتحميل
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading

লিংক-১ : https://justpaste.it/Alorbatighor_11
লিংক-২ : https://noteshare.id/WqTfN4o
লিংক-৩ : https://web.archive.org/web/20250112172407/https://justpaste.it/Alorbatighor_11
লিংক-৪ : https://web.archive.org/web/20250112165846/https://noteshare.id/WqTfN4o

روابط الجودة الاصلية
FULL HD (415.3 MB)
মূল রেজুলেশন [৪১৫.৩ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/kCgYbd4PqibjaG6
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/z77GWJ6c5QjcbDk
লিংক-৩ : https://archive.org/download/alor-batighor-11/Alorbatighor-11.mp4
লিংক-৪ : https://workdrive.zoho.eu/file/i69w602d65395794d4e0a8af4a85807f22a37
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/zsdsihz9eyl5a0r/Alorbatighor-11.mp4/file
লিংক-৬ : https://mega.nz/file/co5h2SjJ#rKnmNrIgvwMKLykr0JRTH4oE7sphsHVUo6pocbXvtS0

 

روابط الجودة العالية
HQ 1080 (224.6 MB)
১০৮০ রেজুলেশন [২২৪.৬ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/X8qYNFFg7np3YKo
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/9BZnSj6fBTsZbdj
লিংক-৩ : https://archive.org/download/alor-batighor-11/Alorbatighor-11%20-%201080.mp4
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/29jqu833dffc5f0d14e339d409c213de62b83
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/kmkp5gl2qcyeqv0/Alorbatighor-11-1080.mp4/file
লিংক-৬ : https://mega.nz/file/xohHgBqI#9FP8MQk6yXdCw9M7yj_pZL4tmMdYKeVmGFbMKLLofNo

 

روابط الجودة المتوسطة
MQ 720 (108.1 MB)
৭২০ রেজুলেশন [১০৮.১ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/fYnooBXxHaMQSfD
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/tBiwCktppog2N5j
লিংক-৩ : https://archive.org/download/alor-batighor-11/Alorbatighor-11%20-%20720.mp4
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/i69w687cd2278850d46b985851f016a011679
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/0vez8e2o7zwrnlg/Alorbatighor-11_-_720.mp4/file
লিংক-৬ : https://mega.nz/file/4sYm0RbZ#sDWVn4oQLik-B0xfULpJHckc2CFh0vyP2tF-1oymfrk

 

روابط الجودة المنخفضة
LQ 360 (42.6 MB)
৩৬০ রেজুলেশন [৪২.৬ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/tRjkbTejoC8wxdB
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/9Cek2MwfxmZfcLt
লিংক-৩ : https://archive.org/download/alor-batighor-11/Alorbatighor-11%20-%20360.mp4
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/i69w6866aadddf7f94ab79205cef6f0857b74
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/9uzfwp3enzl8brz/Alorbatighor-11_-_360.mp4/file
লিংক-৬ : https://mega.nz/file/BpYVSI7R#d_I8ZDVFXexMyqnMqwb72fxAip3hvIu07b9hHjbRIEY

 

روابط جودة الجوال
Mobile Qoality (54.2 MB)
3GP রেজুলেশন [৫৪.২ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/i7wEz2E295TEmXx
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/FZQe3fK8bZfKWE3
লিংক-৩ : https://archive.org/download/alor-batighor-11/Alorbatighor-11.3gp
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/i69w684999c7021c441eda4aa1e0bebb8afc1
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/ks7vyd0nxw53210/Alorbatighor-11.3gp/file
লিংক-৬ : https://mega.nz/file/Bo5xlZpT#Xb1UopC-GmWp2Qi3QhSA9Cs3nSTYiAvuoipl0kAuXB8

 

روابط بي دي اب
PDF (472 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪৭২ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/nMTsXdGBr4X6neS
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/xsyk8gMjWxctKBS
লিংক-৩ : https://archive.org/download/alor-batighor-11/AlorBatighor11%20.pdf
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/i69w6b5e9428a0142498989b88cb9d62beead
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/6ggiy3rn1a0o5gi/AlorBatighor11_.pdf/file
লিংক-৬ : https://mega.nz/file/c941jAST#I41rD2YnaZMaUzX6eDN1YmCRlmiGDq3QsiZLF2uriSM

 

روابط ورد
Word (368 KB)
ওয়ার্ড [৩৬৮ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/SCWdCFCq9qSzWym
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/gRF4ycDb6LCWMBH
লিংক-৩ : https://archive.org/download/alorbatighor-11/AlorBatighor11%20.docx
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/i69w6b4b56cff93be424aaf5061c6817eee46
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/4aozkthsgp116wp/AlorBatighor11_.docx/file

 

روابط الغلاف- ١
book Banner [793 KB]
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [৭৯৩ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/iMKLs8HMFaFZqCz
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/yRKMc26dQj6CPyG
লিংক-৩ : https://archive.org/download/alorbatighor-11/AlorBatighor11-Cover.jpg
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/i69w669ca79d3c3f64dfe8c2c3f126b563ab7
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/view/q84vrtu5aat0zkt/AlorBatighor11-Cover.jpg/file

 

روابط الغلاف- ٢
Banner [183 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [১৮৩ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/q2ZCzzAY59GiA94
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/WHeQJQyixF7T3eH
লিংক-৩ : https://archive.org/download/alorbatighor-11/AlorBatighor11-Banner.jpg
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/i69w6e13ba4d84037422da24908ebcf4fa390
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/view/eddoxmviqulkqvu/AlorBatighor11-Banner.jpg/file

 

ধারাবাহিক “আলোর বাতিঘর” সিরিজ-১১

আল্লাহর সঙ্গে বাণিজ্যকারীরা

মূল

শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল-লীবী রহিমাহুল্লাহ

অনুবাদ

আননাসর অনুবাদ টিম

ধারাবাহিক “আলোর বাতিঘর” সিরিজ-১১

আল্লাহর সঙ্গে বাণিজ্যকারীরা

 

মূল : শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল-লীবী রহিমাহুল্লাহ

অনুবাদ: আন-নাসর অনুবাদ টিম

 

প্রকাশকাল: রজব, ১৪৪৬ হিজরি | জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

 

স্বত্ব: সকল মুসলিমের জন্য সংরক্ষিত

প্রকাশক: আন নাসর মিডিয়া

         (আল কায়েদা উপমহাদেশ, বাংলাদেশ হালাকা)

যোগাযোগ:

জিও নিউজ:  https://talk.gnews.to/channel/an-nasr-media-or-mussh-alnsr

চারপওয়্যার:  https://chirpwire.net/nasrmedia

নোট: এই পুস্তিকাটি ‘জামাআত কায়িদাতুল জিহাদ’ এর অফিসিয়াল মিডিয়া আউটলেট ‘আস সাহাব মিডিয়া’ কর্তৃক শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরিতে প্রকাশিত শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল-লীবী রহিমাহুল্লাহ’র বয়ান ‘আহলোত তিজারতি মা’আল্লাহ’ (قناديل من نور (11) أهل التجارة مع الله) এর বাংলা অনুবাদ।

بسم الله الرحمن الرحيم

শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল-লীবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

“জিহাদের মাধ্যমেই আল্লাহ আপনাকে সংশোধন করবেন। সংশোধন করবেন পুরো উম্মাহকে”।

শায়খ আবু মুসআব আয-যারকাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

“আল্লাহর সাহায্য নিয়ে বলছি, আমার সর্বস্ব দিয়ে আপনার সামনে সমাজের চিত্র স্পষ্ট করে তুলব”।

শায়খ আবু হামজা জর্দানী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

“আল্লাহর অনুগ্রহে মুজাহিদদের কাছে যে স্বার্থ ও মনোবল থাকে, তা কাফেরদের কাছে থাকে না। আমাদের নিহতরা যায় জান্নাতে আর তাদের নিহতরা জাহান্নামে”।

মোল্লা দাদুল্লাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন,

“সত্যের জন্য অকাতরে জীবন দেব, তবু বাতিলের কাছে নত হব না”।

শায়খ আবুল লাইস আল-লীবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

“উম্মাহর অনেক ভারী বোঝা বহন করতে হয় আমাদের”।

শায়খ আবু রুসমা ফিলিস্তিনী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

“শায়খ আবু কাতাদাহ তেমন বড় কিছু করেননি। তিনি শুধু হক কথা বলতেন”।

শায়খ দোস্ত মুহাম্মাদ রহিমাহুল্লাহ বলেন,

“আমরা আলেমদের উদ্দেশে বলব, আপনারা ইলম অনুযায়ী আমল করুন। কারণ আলেমরা নবীদের ওয়ারিশ”।

শায়খ আব্দুল্লাহ সাইদ রহিমাহুল্লাহ বলেন,

“জিহাদের মাধ্যমেই উম্মাহ জীবন লাভ করবে। আল্লাহ বলছেন,

‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন।’”।

শায়খ আবু উসমান আশ শিহরী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

“শুকরিয়া আদায়ের মাধ্যমে এ মহান নেয়ামতের মূল্যায়ন করুন। হে আল্লাহর বান্দা, নিজেকে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায়ে অভ্যস্ত করে তুলুন”।

শায়খ আবু তালহা জার্মানী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

“আমরা জিহাদ করি আর বিজয়ের গান গেয়ে উম্মাহর মাঝে প্রাণ সঞ্চার করি”।

শায়খ আবু ইয়াহইয়া আল-লীবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

“প্রিয় পিতা, বিচ্ছেদের পরেই তো সাক্ষাৎ পর্ব আসে”।

শায়খ মুস্তফা আবু ইয়াযিদ রহিমাহুল্লাহ বলেন,

‘আপনাদের সাথে মিলিত হতে চাই, যাতে আপনাদের ঈমান থেকে নূর গ্রহণ করতে পারি”।

************

একটি পংক্তি-

“অস্ত্র হাতে নাও আর শহীদদের পথে পা বাড়াও।

গোলাপটিকে তাজা রাখতে পানির বদলে রক্ত ঢেলে দাও”।

***************

আল্লাহর সঙ্গে বাণিজ্যকারীরা

শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল-লীবী রহিমাহুল্লাহ

يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ أَرْضِي وَاسِعَةٌ فَإِيَّايَ فَاعْبُدُونِ

অর্থঃ “হে আমার মুমিন বান্দাগণ! নিশ্চয় আমার জমিন প্রশস্ত; কাজেই তোমরা আমারই ইবাদাত কর।” [সূরা আনকাবুত ২৯: ৫৬]

এ বিষয়ক আয়াত অনেক রয়েছে..

إِنَّ ٱلَّذِينَ تَوَفَّىٰهُمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ ظَالِمِيٓ أَنفُسِهِمۡ قَالُواْ فِيمَ كُنتُمۡۖ قَالُواْ كُنَّا مُسۡتَضۡعَفِينَ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ قَالُوٓاْ أَلَمۡ تَكُنۡ أَرۡضُ ٱللَّهِ وَٰسِعَةٗ فَتُهَاجِرُواْ فِيهَاۚ فَأُوْلَٰٓئِكَ مَأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُۖ وَسَآءَتۡ مَصِيرًا

অর্থঃ “যারা নিজেদের উপর জুলুম করে তাদের প্রাণ গ্রহণের সময় ফেরেশতাগণ বলে, ‘তোমরা কী অবস্থায় ছিলে?’ তারা বলে, ‘দুনিয়ায় আমরা অসহায় ছিলাম;’ তারা বলে, ‘আল্লাহর জমিন কি এমন প্রশস্ত ছিল না যেখানে তোমরা হিজরত করতে?’ এদেরই আবাসস্থল জাহান্নাম, আর তা কত মন্দ আবাস”। [সূরা নিসা ০৪:৯৭]

আমরা দেখতে পাচ্ছি উক্ত আয়াতে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তাআলা হিজরতের ব্যাপারে অবহেলা করার কারণেই তিরস্কার করেছেন। উক্ত আয়াতের এই হুকুম কিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। হিজরত একটি দায়িত্ব ও ইবাদত। ফিকহের (ইসলামী আইন শাস্ত্রের) দৃষ্টিকোণ থেকে এর কিছু বিধি-বিধান ও নিয়ম রয়েছে।  এই হিজরত কখনো কখনো মুস্তাহাব হয় এবং তখন হিজরত করা বা না করা দুইটাই বরাবর হয়। (কিন্ত হিজরত ওয়াজিব হলে তখন উপরের আয়াত প্রযোজ্য হবে।)

হিজরত অনেক মহান একটি ইবাদত। এটি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার পক্ষ থেকে নেয়ামত ও দান। যাকে আল্লাহ তাআলা তার পথে হিজরতের তাওফিক দান করেন তার জন্য এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় প্রাপ্তি ও অর্জন।

হে প্রিয় ভাইয়েরা! তাইতো এই হিজরত সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর এর সঙ্গে যদি জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ যুক্ত হয় তাহলে এটি কত বড় বিষয় হতে পারে?

হিজরত হলো জিহাদের মা। আরেকভাবে বলা যায়: হিজরত এবং জিহাদ দুই বোনের মতো। এ কারণেই হিজরত কখনো বন্ধ হবে না। এমনটাই হাদিসে এসেছে। এ বিষয়টা শত্রুকে শেষ করে দিচ্ছে। কাফেররা মেনে নিতে পারছে না। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, এই হিজরত কিছু কিছু মুজাহিদকে সম্মানিত করে এবং আপনি আখিরাতের পূর্বে দুনিয়াতেই মেশকের ঘ্রাণ পেয়ে যান। নিঃসন্দেহে তা নবীজির হাদিসের সত্যায়ন।

হাদিসের বাক্যাংশ: “আমি তোমাদেরকে পাঁচটি বিষয়ের অসিয়ত করছি” … সেগুলোর ভেতর কোন বিষয়টাকে উল্লেখ করেছেন: “হিজরত এবং জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ”। পাঁচটি বিষয় একত্রে: জামাত তথা সংঘবদ্ধ হওয়া, শ্রবণ, আনুগত্য, হিজরত এবং জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। তাই হিজরত হলো জিহাদের বোন।

অতএব এই দুইটি বিষয় অনেক মহান আমলনামা। এই আমলনামা যাদের থাকবে, তারা প্রতিশ্রুতি প্রাপ্ত, প্রশংসিত এবং আল্লাহর বিরাট ওয়াদা রয়েছে তাদের জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার পক্ষ থেকে বিরাট প্রতিদান, বড় পুরস্কার এবং ব্যাপক সাওয়াবের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

আমরা যেমনটা বললাম, হিজরত এবং জিহাদ যখন একসঙ্গে হবে, তখন সকল স্তর পূর্ণাঙ্গতা পাবে। সেই সাথে যখন কোনো ব্যক্তি শাহাদাত তলব করবে এবং শাহাদাত লাভ করবে, আল্লাহ তাআলা উপর্যুক্ত দুটি নেয়ামতের পাশাপাশি এই মর্যাদা যাকে দান করবেন এবং সৌভাগ্যবান বানাবেন, তার মর্যাদা ও স্তরের কথা কি আর বলবো! আমার মনে হয় না গোটা জীবনে কোনো মানুষের পক্ষে নবীদের ও সিদ্দিকদের সঙ্গে থাকার মর্যাদা লাভ করার মতো আর কোনো মহা সুযোগ রয়েছে এই সুযোগ ছাড়া!

আল-কুরআনের ভাষায় যাদের ওপর আল্লাহ তাআলা নেয়ামত দান করেছেন, তাদের তালিকায় আল্লাহ তাঁর রাস্তায় শাহাদাত লাভ কারীদেরকে যুক্ত করে ইরশাদ করেছেন:

وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ فَأُوْلَٰٓئِكَ مَعَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِم مِّنَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ وَٱلصِّدِّيقِينَ وَٱلشُّهَدَآءِ وَٱلصَّٰلِحِينَۚ وَحَسُنَ أُوْلَٰٓئِكَ رَفِيقٗا

অর্থঃ “আর কেউ আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্য করলে সে নবী, সিদ্দীক (সত্যনিষ্ঠ), শহীদ ও সৎকর্মপরায়ণ– যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন– তাদের সঙ্গী হবে এবং তারা কত উত্তম সঙ্গী।” [সূরা নিসা ০৪:৬৯]

হে আমাদের প্রিয় ভাইয়েরা!

এটি অনেক বিরাট নেয়ামত। আমাদের কাছে এই নেয়ামতের দাবি হলো আমরা যেন সর্বদা শুকরিয়া আদায় করি। এমনটাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেছেন:

وَإِذۡ تَأَذَّنَ رَبُّكُمۡ لَئِن شَكَرۡتُمۡ لَأَزِيدَنَّكُمۡۖ وَلَئِن كَفَرۡتُمۡ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٞ

অর্থঃ “আর স্মরণ করুন, যখন তোমাদের রব ঘোষণা করেন, তোমরা কৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমি তোমাদেরকে আরো বেশি দেব আর অকৃতজ্ঞ হলে নিশ্চয় আমার শাস্তি তো কঠোর।” [সূরা ইব্রাহীম ১৪:০৭]

আমরা যখন শুকরিয়া আদায় করব এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞ হব, তখন আল্লাহ এই নেয়ামতকে আরও বৃদ্ধি করে দেবেন, আমাদের জন্য তা দীর্ঘায়িত করবেন, এটিকে সুশোভিত করবেন, পূর্ণতা দান করবেন এবং প্রশস্ত করে দেবেন। এর বিপরীত যদি হয় তাহলে নেয়ামতসমূহ থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবার ঘোষণা রয়েছে। যদি তোমরা আমার নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় না কর, তাহলে এই কাজের প্রতিফল তোমরা ঠিক ঠিক পেয়ে যাবে –

{ولئن كفرتم ان عذابي لشديد}

অর্থঃ “নিশ্চয়ই আমার আযাব ও শাস্তি অনেক কঠোর” [সুরা ইবরাহীম – ১৪:৭]

তোমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার শাস্তির মুখোমুখি হবে।

অতএব আমাদের কর্তব্য হলো, হিজরত ও জিহাদের মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে যে নেয়ামত দান করেছেন, সর্বদা তা মনে রাখা। আল্লাহ জাল্লা জালালুহুর কাছে দোয়া করা, তার কাছেই কামনা করা, বারবার তার কাছে চাইতে থাকা, ক্রন্দন করে চাওয়া, যেন তিনি এই নেয়ামতকে পূর্ণ করেন। পূর্ণাঙ্গতা দান করেন, বৃদ্ধি করে দেন এবং আরো অনেক নেয়ামত দান করেন।

আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তাআলা আমাদেরকে তার নির্দেশিত হিজরত ও জিহাদের পথে অটল অবিচল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এমন এক সময়ে যখন অধিকাংশ মানুষ এই পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছে…। হে ভাইয়েরা অধিকাংশ মানুষ সরল পথ থেকে দূরে সরে গিয়েছে…। আল্লাহর পথ, আল্লাহর মানহাজ এবং তার রাস্তা ছেড়ে অন্য পথে চলে গিয়েছে…। অথচ আল্লাহ আমাদেরকে এই পথের দিশা দান করেছেন… এটা কি ছোটখাটো ব্যাপার? আল্লাহর কসম এটা অনেক অনেক বিরাট ব্যাপার।

অর্থাৎ আপনারা লক্ষ্য করুন হাজার হাজার মানুষের দিকে। এমনকি লক্ষ লক্ষ মানুষের দিকে তাকান। তারা আনন্দ ফুর্তি করছে। চতুষ্পদ প্রাণী যেভাবে খায়, তারাও সেভাবে উদরপূর্তি করছে। তারা জোয়ারে গা ভাসিয়ে উদাসীন হয়ে আছে। খেল তামাশা করছে। নেশায় তারা বুদ হয়ে আছে। আল্লাহ তাআলার কাছে নেই তাদের কোনো আশা, কিয়ামত দিবসের নেই কোনো প্রত্যাশা। তাদের না আছে কোনো লক্ষ্য এবং কোনো একজনেরও না আছে কোনো উদ্দেশ্য। তারা বিভ্রান্ত, তারা উদ্ভ্রান্ত হে ভাইয়েরা!

এই পৃথিবীতে এই যে এত অন্ধকার, এত বিভ্রান্তি, পথভ্রষ্টতা, এসবের ঢেউয়ের মধ্যেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে তাঁর পথে জিহাদ ও হিজরতের দিশা দান করেছেন। আল্লাহর দীনকে সঠিকভাবে বোঝার সুযোগ করে দিয়েছেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন রবের কাছ থেকে যেভাবে এই দ্বীন নিয়ে এসেছেন, সেভাবেই বোঝার তাওফিক আল্লাহ আমাদেরকে দিয়েছেন।

তিনি আমাদেরকে এমন মহান স্তর দান করেছেন যা ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়া। দুনিয়াতেই মানুষ যখন কোনো কিছু উপর থেকে দেখে, তখন সেটাকে সুস্পষ্টভাবে দেখতে পায়। সঠিকভাবে সেটা মূল্যায়ন করতে পারে। সঠিক মানদণ্ডে সেটাকে পরিমাপ করতে পারে। আমরা দুনিয়ার চাকচিক্য, সাজসজ্জা এবং অর্থহীন বিষয় থেকে অনেক উপরে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যেভাবে আমাদেরকে হেদায়াত দান করেছেন একইভাবে এই পথে অটল-অবিচল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এই পথে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন। আল কুরআনে ইরশাদ করেছেন:

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱصۡبِرُواْ وَصَابِرُواْ وَرَابِطُواْ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ

অর্থঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাক, আর আল্লাহ্‌র তাকওয়া অবলম্বন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।” [সূরা আলে ইমরান ০৩:২০০]

তিনি অটল ও দৃঢ় থাকতে বলে ইরশাদ করেছেন:

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا لَقِيتُمۡ فِئَةٗ فَٱثۡبُتُواْ وَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ كَثِيرٗا لَّعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ

অর্থঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন কোনো দলের সম্মুখীন হবে তখন অবিচল থাক এবং আল্লাহ্‌কে বেশি পরিমাণ স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” [সূরা আনফাল ০৮:৪৫]

আল্লাহ পাক তার প্রিয় কিতাবে এবং নবীজির সুন্নতে এমন কিছু কারণ বলে দিয়েছেন যেগুলো এই পথে আমাদেরকে অটল অবিচল রাখবে এবং এই নেয়ামতকে দীর্ঘায়িত করবে। আমরা উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি উল্লেখ করছি:

সূরা তাওবার একটি আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন:

إِنَّ اللّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُم بِأَنَّ لَهُمُ الجَنَّةَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالإِنجِيلِ وَالْقُرْآنِ وَمَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ مِنَ اللّهِ فَاسْتَبْشِرُواْ بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُم بِهِ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

অর্থঃ “নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ কিনে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে, তাদের জন্য আছে জান্নাত। তারা আল্লাহ্‌র পথে যুদ্ধ করে, অতঃপর তারা মারে ও মরে। তাওরাত, ইনজীল ও কুরআনে এ সম্পর্কে তাদের হক ওয়াদা রয়েছে। আর নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহর চেয়ে শ্রেষ্ঠতর কে আছে? সুতরাং তোমরা যে সওদা করেছ সে সওদার জন্য আনন্দিত হও। আর সেটাই তো মহাসাফল্য।” [সূরা তাওবা ০৯:১১১]

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ঐ সমস্ত ঈমানদারের সিফাত ও গুণ বর্ণনা করেছেন যাদের জীবন ও অর্থ সম্পদ তিনি বিরাট মূল্যের বিনিময়ে ক্রয় করে নিয়েছেন। সেই মূল্য হলো এই যে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তখন তিনি কি বললেন লক্ষ্য করুন:

ٱلتَّٰٓئِبُونَ ٱلۡعَٰبِدُونَ ٱلۡحَٰمِدُونَ ٱلسَّٰٓئِحُونَ ٱلرَّٰكِعُونَ ٱلسَّٰجِدُونَ ٱلۡأٓمِرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَٱلنَّاهُونَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ وَٱلۡحَٰفِظُونَ لِحُدُودِ ٱللَّهِۗ وَبَشِّرِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ

অর্থঃ “তারা তাওবাহকারী, ইবাদাতকারী, আল্লাহ্‌র প্রশংসাকারী, সিয়াম পালনকারী, রুকুকারী, সিজদাকারী, সৎকাজের আদেশদাতা, অসৎকাজের নিষেধকারী এবং আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমারেখা সংরক্ষণকারী; আর আপনি মুমিনদেরকে শুভ সংবাদ দিন।” [সূরা তাওবা ০৯:১১২]

অতএব আল্লাহ পাক আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন, এই আয়াতে যে কয়টি বিশেষণকে পরস্পরে সংযুক্ত করা হয়েছে তন্মধ্যে প্রথমটি হলো তওবাকারী। এই তওবাকারী বাক্যটি এবং তওবাকারী শব্দটি নিয়ে ন্যূনতম যে কয়টি তাফসীর রয়েছে, নির্ভরযোগ্য সে তাফসীরগুলোর একটি হলো: এটি ব্যাকরণ শাস্ত্রে উদ্দেশ্য বিধেয়-এর মধ্য থেকে এমন একটি বিধেয় যার উদ্দেশ্য উহ্য রয়েছে। এই তওবাকারী বিশেষণের ওপর অন্য বিশেষণগুলোকে আতফ করা হয়েছে। এই গুণগুলো যাদের মধ্যে রয়েছে তাদের সঙ্গে আল্লাহ কি করেছেন? চুক্তি করেছেন। তাই তাদের গুণগুলো পরবর্তী আয়াতে তিনি তুলে ধরেছেন। এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই গুণগুলো যাদের মধ্যে থাকবে তারাই উক্ত চুক্তির উপযুক্ত। তারাই যোগ্য। আল্লাহু আলাম!

তাই তিনি বলেছেন, التائبون অর্থাৎ যে সমস্ত মুজাহিদের ব্যাপারে আল্লাহ প্রথম আয়াতে কিছু কথা বর্ণনা করেছেন আর সেই প্রথম আয়াতখানা হলো:

إِنَّ اللّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُم بِأَنَّ لَهُمُ الجَنَّةَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالإِنجِيلِ وَالْقُرْآنِ وَمَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ مِنَ اللّهِ فَاسْتَبْشِرُواْ بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُم بِهِ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

অর্থঃ “নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ কিনে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে, তাদের জন্য আছে জান্নাত। তারা আল্লাহ্‌র পথে যুদ্ধ করে, অতঃপর তারা মারে ও মরে। তাওরাত, ইনজীল ও কুরআনে এ সম্পর্কে তাদের হক ওয়াদা রয়েছে। আর নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহর চেয়ে শ্রেষ্ঠতর কে আছে? সুতরাং তোমরা যে সওদা করেছ সে সওদার জন্য আনন্দিত হও। আর সেটাই তো মহাসাফল্য।” [সূরা তাওবা ০৯:১১১]

এই মানুষগুলোর গুণ হলো এই যে, এ মানুষগুলো এই আয়াতের বিশেষণগুলোর অধিকারী— {তওবাকারী} অর্থাৎ প্রতিমুহূর্তে আল্লাহ পাকের কাছে তারা তওবা করে। কোনো বান্দা ঈমানদার হওয়ার অর্থ… কোনো বান্দা মুজাহিদ, মুহাজির সৎকর্মশীল হওয়ার অর্থ এই নয়, তওবার কোনো প্রয়োজন তার নেই। তওবা ঈমানদার বান্দা থেকে কখনো বিচ্ছিন্ন হতে পারে না, কারণ গুনাহ মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না। অপরাধ, ভুল-ভ্রান্তি, পদস্খলন মানুষের সঙ্গে লেগেই থাকে। এ কারণেই তওবা মানুষের জন্য অপরিহার্য।

তওবার উপকারিতা কোন জিনিস? সৎকর্মশীল ব্যক্তির জন্য তওবার অর্থ কি? উদাসীন ব্যক্তির মনে এমন চিন্তা উদিত হতে পারে, সৎকর্মশীল ব্যক্তির তওবার প্রয়োজন নেই…। এমনটা নয় বরং যে ব্যক্তি যত সৎকর্মশীল সে ততো বেশি তওবাকারী। {তওবাকারী দল} অর্থাৎ যারা আল্লাহ পাকের কাছে সর্বদা প্রতিমুহূর্তে তওবা করে। আল্লাহর কাছে তওবাকারী মানে হলো আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তনকারী, যারা আল্লাহর প্রতি মনোনিবেশ করে। তাই তো পবিত্র হাদীস শরীফে এসেছে المؤمن سريع الفيئة অর্থ ঈমানদার দ্রুত ফিরে আসে। অর্থাৎ ঈমানদার ভুল করে, ত্রুটি করে, নিজের ব্যাপারে জুলুম করে, নিজের ও ভাইদের মাঝে তার দ্বারা জুলুম হয়ে যায়, নিজের এবং আল্লাহ পাকের মাঝে তার দ্বারা জুলুম হয়ে যায় কিন্তু দ্রুতই সে ফিরে আসে।  ভুল করে দ্রুত তাওবা করে, দ্রুত আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করে।

{তওবাকারী ও ইবাদতকারী} অর্থাৎ আল্লাহ পাকের ইবাদতকারী। স্বভাবতই ঈমানদারদের জন্য আল্লাহর ইবাদতকারী হওয়া আবশ্যক। কিন্তু আয়াতের এই অংশ থেকেই বুঝে আসে, এখানে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশেষ বিশেষ ইবাদতকারী। কেমন যেন উদ্দেশ্য হচ্ছে ওই সমস্ত লোক যারা অধিক পরিমাণে আল্লাহর ইবাদত করে। তাইতো হাদিস শরীফে এসেছে:

قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إنَّ الله تَعَالَى قَالَ : مَنْ عَادَى لِي وَلِيّاً فَقَدْ آذَنْتُهُ بالحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بشَيءٍ أَحَبَّ إلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقرَّبُ إلَيَّ بالنَّوافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإذَا أَحبَبتُهُ كُنْتُ سَمعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ ويَدَهُ الَّتي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشي بِهَا وَإنْ سَأَلَني أعْطَيْتُهُ وَلَئِنِ اسْتَعَاذَنِي لأُعِيذَنَّهُ رواه البخاري

আমি আমার বান্দার উপর যেই আমল ফরজ করেছি সেটা অপেক্ষা অন্য কোনো অধিক প্রিয় আমলের দ্বারা আমার বান্দা আমার নৈকট্য অর্জন করতে পারে না। অবিরতভাবে আমার বান্দা নফলের মাধ্যমে আমার নৈকট্য পেতে থাকে, এমনকি আমি তাকে ভালোবাসতে থাকি। যখন আমি তাকে ভালোবাসতে থাকি…! খালাস। এরপর প্রশ্ন করার আর কিছু নেই। {আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চক্ষু হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে} (হাদিসের শেষ পর্যন্ত) “যদি সে আমার কাছে কিছু চায় তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আমি তাকে তা দেব। যদি আমার কাছে আশ্রয় চায় তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেবো।”

{তাওবাকারী, ইবাদতকারী} আল্লাহপাকের ইবাদতকারী। ইসলামের মধ্যে সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে মহান ইবাদত কি? সালাত। এ কারণেই মুজাহিদীনের জন্য সালাতের মর্যাদা বিশেষভাবে অনেক উচ্চস্তরের। যেমন সাইয়েদেনা হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু মুজাহিদ্বীনকে অসিয়ত করতেন, তাদেরকে জিজ্ঞেস করতেন এবং তাদের সালাতের খোঁজখবর নিতেন; বলতেন: “আমার দৃষ্টিতে তোমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সালাত।” আর স্বাভাবিকভাবেই নামাজের আগে কোন বিষয়টা সবচেয়ে জরুরি? নামাজের শর্ত হচ্ছে পবিত্রতা। অতএব তারা পবিত্রতা অর্জনকারী, ইবাদতকারী এবং সালাত আদায়কারী।

{তওবাকারী, ইবাদতকারী} এরপরে কি এসেছে? {তওবাকারী, ইবাদতকারী, প্রশংসাকারী} তারা আল্লাহ পাকের প্রশংসাকারী। এর অর্থ একেবারেই স্পষ্ট। তারা আল্লাহর প্রশংসা করেন।

{السائحون} এই অংশটাকে তাফসীর করা হয়েছে রোজাদার বলে। অপর একটি আয়াতেও এমনটি এসেছে। সূরা তাহরীমে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের উল্লেখ সংবলিত আয়াতে এই অংশের তাফসীর এসেছে এভাবে যে, তারা সিয়াম সাধনাকারী নারী। কোনো কোনো মুফাসসির এই আয়াতের তাফসীর হিসেবে শাব্দিক অর্থ উল্লেখ করেছেন অর্থাৎ যেকোনো কল্যাণের উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে ভ্রমণকারী। আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ।

{السائحون} কিন্তু অধিকাংশ সালফে সালেহীনের কাছে এই অংশের গ্রহণযোগ্য তাফসীর হচ্ছে তারা সিয়াম সাধনাকারী।

{التائبون العابدون الحامدون السائحون الراكعون الساجدون}

রুকুকারী সিজদাকারী এই উভয়টি দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে সালাত আদায়কারী। ঠিক আছে ঈমানদাররা ইবাদতকারী হবে, সালাত আদায় করবে। কিন্তু এখানে আলাদাভাবে রুকু ও সিজদার কথা উল্লেখ করা হয়েছে কারণ এই দুইটি ইবাদতের মর্যাদা এবং আল্লাহ পাকের কাছে এই দুটি ইবাদতের মহত্ত্ব অনেক বেশি। যাইহোক উদ্দেশ্য হচ্ছে বেশি বেশি সালাত আদায় করা। এর দ্বারাই আপনাদের বুঝে আসবে, মুজাহিদের জন্য সালাতের গুরুত্ব কত বেশি! এ বিষয়গুলোই একজন ব্যক্তিকে এই পথে টিকিয়ে রাখে এবং আল্লাহ পাকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবার উপযুক্ত বানিয়ে দেয়।

{الراكعون الساجدون الامرون بالمعروف والناهون عن المنكر}

যারা সৎ কাজের আদেশ দাতা এবং অসৎ কাজে নিষেধকারী। এখানে যে দুইটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে সেটি দুটি বিষয়ের সমষ্টি। অর্থাৎ দুটি গুণ মিলে একটি বিষয়। এ কারণেই মাঝখানে ‘ওয়াও’ এনে উভয় বিষয়কে সংযুক্ত করা হয়েছে (অথচ এর আগে অন্যান্য গুণের ক্ষেত্রে মাঝখানে ওয়াও আসেনি); এখানে লক্ষণীয় বিষয় এটাই। তাই আয়াতের দিকে আবার লক্ষ্য করুন:

التَّائِبُونَ الْعَابِدُونَ الْحَامِدُونَ السَّائِحُونَ الرَّاكِعُونَ السَّاجِدُونَ الْآمِرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّاهُونَ عَنِ الْمُنكَر

এক জায়গা ছাড়া আর কোথাও ওয়াও আসেনি। ওই একটি জায়গা হলো:

الْآمِرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّاهُونَ عَنِ الْمُنكَر

তো এই দুইটি বিষয়ের সমষ্টি হলো: তারা আল্লাহর পথে দাওয়াত দেবে, সৎ কাজের আদেশ করবে, অসৎ কাজ করতে বারণ করবে এবং আল্লাহ পাকের দ্বীন নিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। তারা অজ্ঞ মানুষকে শিক্ষা দেবে, অন্যায় বিষয় পরিবর্তন করে দেবে এবং পৃথিবীতে সংস্কার ঘটাবে। এসব কিছুই সৎ কাজের আদেশকারী অসৎ কাজে বারণকারীর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর পথে মুজাহিদীনের সিফাত ও গুণ এমনই হওয়া উচিত। এমন গুণের অধিকারীদের সঙ্গেই আল্লাহ সবচেয়ে বড় চুক্তি সম্পাদন করেছেন। যিনি এই চুক্তি করেছেন তিনিও সবার চাইতে বড়। আল্লাহর চেয়ে বড় আর কে রয়েছে? তিনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা। আল্লাহ ছাড়া এত বড় চুক্তি করা কার পক্ষে সম্ভব?

{والحافظون لحدود الله} আল্লাহর সীমানা সংরক্ষণ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার সীমানা হলো শরীয়তের ঐ সমস্ত বিষয়- যা তিনি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তিনি যে সমস্ত বিধি-বিধান দিয়েছেন সেগুলো। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে কি দিয়েছেন? হুকুম আহকাম দিয়েছেন, বিভিন্ন বিষয়কে ফরজ করেছেন। আমাদের কাছে বর্ণনা করে দিয়েছেন কীভাবে আমরা তাঁর ইবাদত করব। এসব কিছুই আল্লাহর সীমানা। আল্লাহর সীমানা ব্যাপক অর্থেও ধরা যায়, বিশেষ অর্থেও ধরা যায়। বিশেষ অর্থে আল্লাহর নির্ধারিত সীমানা বলতে কী বোঝায়? নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি বলেছেন:

{ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا }

এখানে হুদুদ তথা সীমানা বলতে ফিকহে ইসলামী তথা ইসলামী আইন শাস্ত্রের পরিভাষায় আমাদের শাস্তি হিসেবে যেই হদ (বহুবচন হুদুদ) নির্ধারিত হয়েছে সেটাকে বোঝানো যেতে পারে। কিন্তু এখানে আল্লাহর সীমানা সংরক্ষণকারী দ্বারা উদ্দেশ্য হলো: আল্লাহর আদেশ-নিষেধ যথাযথভাবে পালন করা। তিনি আমাদের জন্য শরীয়তের যত বিধি-বিধান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, আদেশ হোক, নিষেধ হোক, সাধারণ বৈধ কাজ হোক—প্রত্যেকটাকে সেভাবেই মূল্যায়ন করা।

{ وَالْحَافِظُونَ لِحُدُودِ اللَّهِ } অর্থাৎ আল্লাহর সীমানা সংরক্ষণকারী। ব্যাপক অর্থে এই অংশের দ্বারা আমাদের এ বিষয়টা লক্ষ্য রাখতে হবে, আল্লাহ তাআলা যে সমস্ত বিষয়ের আদেশ দিয়েছেন, যে সময় যে পন্থায় যতটুকু পরিমাণে করার আদেশ দিয়েছেন, সকল আদেশ ঠিক সেভাবেই পালন করতে হবে; কমবেশি করা যাবে না। একইভাবে ব্যাপক অর্থ হিসেবে এই বিশেষণ ঐ সকল লোককেও বোঝায়, যারা আল্লাহ তাআলার নিষেধাজ্ঞাগুলো হেফাযত করে, নিষিদ্ধ কাজ থেকে বেঁচে থাকে, বিরত থাকে, এভাবেই তারা আল্লাহ তাআলার সীমানা সংরক্ষণকারী।

অতঃপর তিনি আয়াতের শেষ অংশে উল্লেখ করেছেন {وبشرالمؤمنين} অর্থাৎ “ঈমানদারদেরকে আপনি সুসংবাদ দিন।” উপর্যুক্ত গুণে যারা গুণান্বিত, সে সকল ঈমানদারকে আপনি সুসংবাদ দিন। তারাই ওই সমস্ত লোক যাদের কথা ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তারাই আল্লাহ তাআলার সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনকারী। তাই উক্ত চুক্তির উপযুক্ত ব্যক্তিদেরকে আপনি সুসংবাদ দিন। প্রশ্ন হলো কোন বিষয়ের সুসংবাদ? কিসের সুসংবাদ দিতে হবে সেটা বলেননি। এখানে ঈমানদারদেরকে বিরাট কল্যাণ সাফল্য এবং মহা পুরস্কারের সুসংবাদ দিতে বলা হয়েছে।

আমাদের এই আলোচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে হে আমার ভাইয়েরা! এ কথা মনে করিয়ে দেয়া, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা উক্ত আয়াতে আমাদের কাছে আল্লাহর পথের মুজাহিদ ঈমানদার বান্দাদের গুণ বর্ণনা করে দিয়েছেন। আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন এই গুণগুলো এই পথে মুসলিমের টিকে থাকার পাথেয়। কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি এই সমস্ত গুণে গুণান্বিত হয়, তাহলে সে যেন এই সুসংবাদ গ্রহণ করে যে, আল্লাহ তাআলা তাকে এই পথে টিকিয়ে রাখবেন, তাকে সমস্ত নেয়ামত দান করবেন, ইসলামের পথে আল্লাহ তাআলা তাকে মৃত্যু দান করবেন, ঈমানের সঙ্গে তার সমাপ্তি ঘটাবেন এবং তাকে শাহাদাত দান করবেন। কারণ আল্লাহপাক বলেছেন: তারপর সে নিহত হবে, লড়াই করবে, নিজে অন্যদেরকে হত্যা করবে এবং অন্যরাও তাকে হত্যা করবে তবেই তাদের জন্য জান্নাত। এটাই হচ্ছে জান্নাতের মূল্য। জান্নাতের জন্য নিজেদেরকে বিক্রি করে দিতে হবে।

অতএব আল্লাহ পাক আমাদের কাছে ওই সমস্ত গুণ বর্ণনা করে দিয়েছেন যেগুলো এই পথে আমাদের টিকে থাকার কারণ হবে, যেগুলো আল্লাহ পাকের নেয়ামত দীর্ঘায়িত হবার কারণ হবে এবং যেগুলোর কারণে আল্লাহ পাকের জান্নাত ও সন্তুষ্টি লাভের যোগ্য আমরা হতে পারব।

আমরা ইতিপূর্বে বলেছি সেই কারণগুলো হচ্ছে এমন, যেগুলোর অধিকাংশই ইবাদতকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এই গুণগুলো অটলতা অবিচলতার রহস্য সম্ভার।

হে ভাইয়েরা! কোনো মুজাহিদ নিজের ব্যাপারে নিরাপদ নয়। আজ সে মুজাহিদ। আগামীকালই সে কোনো এক দলের অপরাধীতে পরিণত হয়ে যেতে পারে। আমরা আমাদের সংক্ষিপ্ত জীবনে এমন কত মানুষ দেখেছি যাদেরকে আঙ্গুলের ইশারা দিয়ে দেখিয়ে বলা হয়েছে, তিনি একজন মুজাহিদ। অর্থাৎ তারা এমন পর্যায়ের ব্যক্তি ছিলেন যারা অনেক মুজাহিদের আমির কিংবা শায়খ ছিলেন। জিহাদের ইতিহাসে তাদের বিশেষ অবদান ছিল। এরপর আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে দিয়েছেন। তারা সত্যের পথে টিকে থাকতে পারেননি। কারণ আল্লাহ তাআলা তাদেরকে অবিচলতা দেননি।

হে ভাইয়েরা! মানুষ অনেক দুর্বল। আল্লাহর কসম মানুষ একা একা কিছুই করতে পারে না। কোনো কিছুই না। আল্লাহ তাআলা যদি সাহায্য না করেন তাহলে কোনো কিছুই করতে মানুষ সক্ষম নয়। আল্লাহ তাআলা যদি পথ না দেখান, অটল অবিচল না রাখেন, তাহলে মানুষ টিকে থাকতে পারে না এবং কখনোই অবিচল থাকতে পারে না।

কিন্তু আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তাআলা আপন বান্দাদের ওপর তাঁর সাহায্য অবতীর্ণ করেন।

{ إِن تَنصُرُوا اللَّهَ يَنصُرْكُمْ }

অর্থ “যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর তবে তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করবেন।”

{اياك نعبد واياك نستعين}

অর্থ: “আপনারই আমরা ইবাদত করি এবং শুধু আপনার কাছেই সাহায্য কামনা করি।” [সূরা ফাতিহা ০১:০৪]

{ان ينصركم الله فلا غالب لكم وان يخذلكم}

অর্থ: “যদি আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করেন তাহলে কেউ তোমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না আর যদি তিনি তোমাদেরকে ছেড়ে দেন…” [সুরা ইমরান – ৩:১৬০]

এখন বান্দার উচিত খুব পরিশ্রমের সাথে আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়া। সাহায্য, অটলতা-অবিচলতা এবং কুরআন সুন্নাহতে যে সমস্ত বিষয়ের কথা আল্লাহ তাআলা বলেছেন সেগুলো বেশি বেশি আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়া। তেমনি কিছু বিষয়ের উদাহরণ আমরা সূরা তাওবার উপর্যুক্ত আয়াতের মাধ্যমে উল্লেখ করেছি।

আমার এবং আপনাদের উপদেশ গ্রহণের জন্য আমি মনে করি এতোটুকুই যথেষ্ট। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কাছে কামনা করি, যেন তিনি আমাকে এবং আপনাদেরকে তার পথের মুজাহিদদের অন্তর্ভুক্ত করে দেন এবং তার পথে হিজরত ও জিহাদকে কবুল করে নেন। তিনি যেন এই নেয়ামত আমাদের মাঝে পরিপূর্ণ করে দেন এবং এই নেয়ামতের যোগ্য হিসেবে আমাদেরকে কবুল করেন। তিনি যেন তার শুকরিয়া আদায়ের তাওফিক আমাদেরকে দান করেন। এটাই আমার বক্তব্য। আমি আমার জন্য এবং আপনাদের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি…।

وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين.

************************************

مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent

************************************

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + nineteen =

Back to top button