ইমারতে ইসলামী আফগানিস্তানউসামা মিডিয়াতানজীমবার্তা ও বিবৃতিমিডিয়া

ইমারাতে ইসলামী আফগানিস্তানের উরুযগান প্রদেশের সামরিক কমাণ্ডার মোল্লা আমিনুল্লাহ উইসুফের সাক্ষাৎকার

ইমারাতে ইসলামী আফগানিস্তানের উরুযগান প্রদেশের সামরিক কমাণ্ডার মোল্লা আমিনুল্লাহ উইসুফের সাক্ষাৎকার

ইমারাতে ইসলামী আফগানিস্তানের উরুযগান প্রদেশের সামরিক কমাণ্ডার মোল্লা আমিনুল্লাহ উইসুফের সাক্ষাৎকার
ডাউনলোড লিংক-
PDF
465.26 KB
http://www.mediafire.com/download/8k…g/urujgan1.pdf

 

WORD
477.17 KB
http://www.mediafire.com/download/4a…3/urujgan.docx

 

অনলাইন লিংক-
https://justpaste.it/xm7j

 

 

PDF
—-
http://www.mediafire.com/file/922scqj7sqeamyy/72._urujgan1.pdf/file

https://archive.org/download/U_M_A_3/72.%20urujgan1.pdf

=======================

উরুযগান প্রদেশের সামরিক কমাণ্ডার

মোল্লা আমিনুল্লাহ উইসুফের সাক্ষাৎকার

সাক্ষাৎকার গ্রহণ

হাবীব মুজাহিদ হাফিজাহুল্লাহ

ভাষান্তর

আব্দুল্লাহ হিন্দুস্তানী হাফিজাহুল্লাহ

 

উরুযগানের ভৌগলিক অবস্থান: উরুযগান প্রদেশ আফগানিস্তানের মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশসমূহের একটি। এর পূর্বে গযনী ও যাবুল প্রদেশের একাংশ অবস্থিত। দক্ষিণে দায়ীকান্ডী প্রদেশ। পশ্চিমে হেলমান্দ। উত্তরে কান্দাহার এবং যাবুলের মূল ভুখণ্ড অবস্থিত। তারীন কোটশহরটি উরুযগানের প্রাণকেন্দ্র। এ প্রদেশের বসতী প্রায় চার লাখ। প্রদেশটি  ১২,৬৪০ বর্গ কিলোমিটারের উপর অবস্থিত। প্রদেশের দক্ষিণে অতীতে হাজারা গোত্রীয়দের বসবাসের স্থানকেও উরুযগানের অন্তর্ভুক্ত মনে করা হত। হামীদ কারজায়ীর শাসনামলে এ অঞ্চলকে দায়ী কান্ডীনামে নতুন একটি প্রদেশ করা হয়। উরুযগান প্রদেশ উরুযগানের কেন্দ্রীয় শরহ ব্যতীত দাহারঊদ, চারচীনো, চাওরাহ, খারখুরদী এবং চুনারাতো এর সমন্বয়ে গঠিত। এ প্রদেশের জিহাদী কমান্ডার মোল্লা আমিনুল্লাহ ইউসুফ থেকে গৃহিত সাক্ষাৎকারের চুম্বকাংশ পাঠকের সামনে পেশ করা হল।

প্রশ্নঃ উরুযগানের সামরিক গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু বলুন।

উত্তরঃ উরুযগান প্রদেশ আফগানের গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশের একটি। যদিও প্রাশাসনিকভাবে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু মূলত এটি আফগানিস্তানের মেডেল পয়েন্টে অবস্থিত। বেশ কয়েকটি প্রদেশের সীমানা উরুযগানের সাথে মিলিত হয়েছে। উরুযগান প্রদেশ সৃষ্টিগতভাবে একটি পাহাড়ী ঘাটি। প্রদেশটি চতুর দিক থেকে পাহাড় বেষ্টিত এবং এর মধ্যে ছোট-বড় অসংখ্য নদী-নালা রয়েছে। যেহেতু সৃষ্টিগতভাবেই প্রদেশটি কেল্লা সদৃশ, তাই রাশিয়ার বিরুদ্ধে জিহাদের সময়ও এই প্রদেশের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বর্তমানে আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদের সময়ও এই প্রদেশ মুজাহিদদের গুরুত্বপূর্ণ ঘাটি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্যান্য এলাকার তুলনায় এই প্রদেশে শত্রুরা সৈন্য সমাবেশ বেশি করেছে এবং এই প্রদেশ ধরে রাখার জন্য বেশি শক্তি খাটাচ্ছে। কারণ তারা ভাল করেই জানে, এই এলাকা একবার হাত ছাড়া হয়ে গেলে পুনরায় মুজাহিদদের হাত থেকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। তাছাড়া সরকারের কাছে এই এলাকার উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদানের আরেকটি কারণ হল, বর্তমান পুতুল সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছিল এই এলাকা থেকেই। আমেরিকা নিজের খরীদকৃত গোলাম হামীদ কারজাঈকে এ এলাকা থেকেই ক্ষমতায় বসায়। নিজেদের স্পেশাল বাহিনীর মাধ্যমে তারা উরুযগান এবং কান্দাহার দখলের পর হামীদ কারজাঈকে তারা আফগানের ক্ষমতায় বসায়।

প্রশ্নঃ আমেরিকান আগ্রাসনের বিভিন্ন সময়ে উরুযগানের অবস্থা কেমন ছিল?

উত্তরঃ পূর্বেই বলা হয়েছে রাশিয়ার মত আমেরিকাও এ প্রদেশর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এ কারণেই এখানে আমেরিকা, হল্যাণ্ড এবং অষ্ট্রলিয়ান বাহিনীর মজবুত ঘাটি ও বেস তৈরি করা হয়েছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের উপর ধারাবাহিক বিরতিতে গেরিলা হামলা চলতে থাকে। যার কারণে তাদেরকে অনেক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। ২০০৯ সালের পর যখন এ অঞ্চলে মুজাহিদদের শক্তি বৃদ্ধি পেল এবং অনেক মুযাফাতী এলাকা মুজাহিদদের দখলে আসল, তখন আগ্রাসী আমেরিকা তাদের শেষ চেষ্টা স্বরূপ এখানে বিশেষ বাহিনী পাঠাল, সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করল, প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প স্থাপন করল। ফলে যেসব এলাকা মুজাহিদদের হাতে এসেছিল তা পুনরায় হাত ছাড়া হয়ে গেল। সাধারণ মুসলিমদের উপর জুলুমের পরিমাণ বেড়ে গেল। চুরি, ডাকাতী, ছিনাতই, রাহাজানী, ধর্ষণ বহুমাত্রায় বেড়ে গেল। কিন্তু মুজাহিদগণ নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে কোনো কার্পণ্য করেনি। তারা দুশমনকে হটানোর জন্য ধারাবাহিক গেরিলা হামলা পরিচালানা করে যাচ্ছিলেন। মুজাহিদদের হামলার মুখে অতিষ্ট হয়ে এক পর্যায়ে আগ্রাসী বাহিনী বিশেষ করে হল্যাণ্ড এবং অষ্ট্রলীয় বাহিনী উরুযগানা ত্যাগে বাধ্য হয়। নিজেদের ছাউনি, ঘাটি, মোর্চা সব কিছু আফগানী পুলিশ এবং সৈনিকদের কাছে হস্তান্তর করে পলায়ন করে।

প্রশ্নঃ লোক মুখে শুনা যাচ্ছে ইমারাতে ইসলামিয়ার বিগত আযম আপারেশন’-এর ফলে উরুযগানের ডায়রী নামক অঞ্চল দুশমন থেকে মুক্ত করা হয়েছে। এ সম্পর্কে কিছু বলুন।

উত্তরঃ গত বছর আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকায় বিজয় এবং কামিয়াবীর বছর ছিল। আল্লাহর প্রতক্ষ্য মদদে মুজাহিদগণ অনেক এলাকা থেকে দুশমনের অস্তিত্ব খতম করে দিয়েছেন। উরুযগান প্রদেশের অবস্থা হল এই যে, এখানের জেলা শহরগুলো ব্যতীত উপশহর,থানা শহর এবং গ্রাম্য সমস্ত এলাকা মুজাহিদদের দখলে চলে এসেছে। উরুযগান জেলার দিকেই লক্ষ্য করুন। দেখবেন এখানের শালীনাওয়াহ, সুলতান মুহাম্মাদ নাওয়াহর মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুশমনের যাবতীয় তৎপরতা জেলা শহরে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। চারচিনো জেলাকে খারখুরদী এবং শহীদ হাস্সাস এই দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে খারখুরদী পরিপূর্ণভাবে মুজাহিদদের হাতে রয়েছে। আর বাকী অংশের শুধু হুশীকোচী বাজার শত্রুর কব্জায় রয়েছে। উক্ত বাজারেও মুজাহিদদের হামলা জারি রয়েছে। যেকোনো সময় তা পতন হবে।  দাহারঊদ জেলা আফগান বাহিনীর কাছে উরুযগানের কেন্দ্রীয় শহরের চেয়েও বেশি গুরুত্ব রাখে। তারা এ  জেলা হেফাজতের জন্য নিজেদের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। এ জেলার ওরজান, শোরজী, সাংলাখ, বাযগীর, দাহযাক, সিয়াসাংগ, কোর, শানগুলী এবং গাড়ী এসব এলাকা বিজয় হয়েছে। মুজাহিদগণ তাংগী পর্যন্ত পৌঁছেগেছেন। এখানেও দুশমন মূলত জেলা শহরে বন্দী হয়ে আছে। এ জেলা হেফাজতের জন্য একবার উরুযগানের কেন্দ্রীয় শহর থেকে এক কনভয় এসেছিল। তারা পথিমধ্যে হামলার শিকার হয়ে পরাজিত হয়ে পালিয়ে গেছে। এরপর কান্দাহার থেকে কমান্ডো বাহিনী পাঠানো হয়েছে। তাদের উপর এখনও হামলা চলছে। চওরাহ এবং চুনারাতু জেলারও অধিকাংশ এলাকা মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মারকাজ তারীন কোট দরবেশাঁ, মুরাদাবাদ এবং পাঈনাওয়াহ এলাকাতেও মুজাহিদগণ অগ্রসরমান।

প্রশ্নঃ গত বছরের আযম আপারেশচলাকালিন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে জিহাদী অপারেশনের বিবরণ জানতে চাই।

উত্তরঃ আমি উরুযগানে সংঘঠিত এমন বড় কয়েকটি অভিযানের কথা বলব, যে অভিযানের সংবাদ মিডিয়াও প্রকাশ করেছে। ২০১৫ এর ২৬ শে এপ্রিল উরুযগানের পুলিশ প্রধান গোলাব খান মুজাহিদদের এক সফল অপারেশনে নিহত হয়। ২২ শে মার্চ উরুযগান জেলায় মুজাহিদগণ দশটি সেনা চৌকি পদানত করেছেন। এ সময় চল্লিশ জন শত্রুসেনা আত্মসমর্পন করে। ২৩ মার্চ চারচিনোর পুলিশ চিফ এক বোমা বিষ্ফোরণে নিহত হয়। ২৭ শে মে উরুযগান জেলায় ৩৭ জন আরবাকী এবং পুলিশ আত্মসমর্পণ করেছে। মে মাসের শুরু দিকে মুজাহিদগণ চারচিনো জেলার যামবুরী, হুশী এবং রেগকী এসব এলাকার পুলিশ এবং সেনা চৌকিতে বিস্তর হামলা চালিয়ে তাদের থেকে এসব এলাকা মুক্ত করে নেয়। ১৭ জুলাই দাহারঊদের পুলিশ কমাণ্ডার হাজী তালেব এবং তার ডেপুটি জান আগাখানী নিজেদের চার সাথীসহ মুজাহিদদের সফল অভিযানে নিহত হয়। আগস্টের শুরুতে মুজাহিদগণ সুলতান মুহাম্মাদ নাওয়াহ অভিমুখে অগ্রাভিযান শুরু করে। ২৩ শে মার্চ এই বিশাল এলাকা মুজাহিদদের হাতে এসে যায়। দুশমনের ডজন ডজন সৈনিক নিহত হয়েছে। অনেকে আত্মসমর্পণ করেছে। আর বাকীরা পালিয়ে জীবন বাঁচিয়েছে।

২০১৬-এর জানুয়ারী মাসে মুজাহিদগণ দাহারঊদ এবং চারচিনো জেলায় অভিযান শুরু করে। জানুয়ারীর ত্রিশ তারিখে খারখুরদী জেলা মুজাহিদদের পদানত হয় এবং সারআব অঞ্চলও শত্রুর দখলমুক্ত হয়। মার্চের ১১ তারিখ উরুযগান জেলায় ৬০ জন শত্রু সেনা আত্মসমার্পণ করেছে। মার্চের শেষের দিকে চারচিনোতে পুনরায় হামলা শুরু করা হয়। যা এখনও জারি আছে। এখন পর্যন্ত মুজাহিদগণ দশের অধিক পোস্ট পদানত করেছেন এবং শত্রুর প্রতি ঘেরাও আরও মজবুত করছেন।

প্রশ্নঃ মুজাহিদীন যদি উরুযগানের সমস্ত জেলা শহর বিজয় করে ফেলে, তাহলে আমেরিকা ও তার সেবাদাসদের বিরুদ্ধে চলমান জিহাদে এর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে বলে মনে করেন?

উত্তরঃ আল্লাহ তাআলার রহমত ও সাহায্যে মুজাহিদীন অতিশীঘ্রই জেলা শহরগুলোয়ও বিজয় কেতন উড়াবেন। ইতিমধ্যে এর পরিকল্পনা তৈরি হয়েগেছে। এখন শুধু বাস্তবায়নের পালা। জেলা শহরগুলো বিজয়ের পর প্রাদেশিক শিবিরে দুশমন বেশি দিন টিকতে পারবে না। প্রাদেশিক মারকাজ পদানত হলে এটা দুশমনের জন্য এক চরম পরাজয় ও চপেটাঘাত বলে সাব্যস্ত হবে। এই এলাকা একবার তাদের হাত ছাড়া হলে দ্বিতীয়বার তারা এখানে প্রবেশের সুযোগ পাবে না। কেননা উরুযগানের পার্শ্ববর্তী হেলমান্দ, যাবুল এবং কান্দাহারেও মুজাহিদীনের বিজয়াভিযান দ্রুতগতিতে অগ্রসরমান। তাছাড়া উরুযগান এমন এলাকা নয় যে দুশমন চাইলেই শক্তি খাটিয়ে ছিনিয়ে নিতে পারবে। কেননা এখানের সমস্ত জনগণ মুজাহিদদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে। আর এখন আগ্রাসনের প্রথম যুগ নয় যে, আমেরিকা চাইলেই মিডিয়ায় প্রপাগণ্ডা ছড়িয়ে জনগণকে নিজেদেরমুখী করে ফেলবে।

প্রশ্নঃ উরুযগান প্রদেশে কি এমন কোনো এলাকা আছে যেখানে ইমারাতে ইসলামিয়ার মুজাহিদ ব্যতীত অন্যকোনো বিরোধী গ্রুপের কার্যক্রম চলছে

উত্তরঃ আল-হামদুলিল্লাহ! উরুযগানের সকল মুজাহিদ ইমারাতে ইসলামিয়ার সাথে রয়েছে। সকলে এক আমীর তথা মোল্লা আখতার মুহাম্মাদ মানসূর হাফি:-এর অধীনে এক পতাকাতলে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। সকলেই আমীরুল মুমিনীনের হাতে বাইয়াত। আফগানিস্তানের অনান্য প্রদেশের মত উরুযগানেও প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো সমস্যা দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। বরং আমরা যদি পূর্ণ আফগানিস্তানকে সামনে রাখি তাহলে দেখতে পাই যে, আফগানিস্তানের ৩৪ টি প্রদেশের মধ্যে মাত্র দু‘টি প্রদেশে এমন একটি গ্রুপের অস্তিত্ব পাওয়া যায়, যারা নিজেদেরকে ইমারাতে ইসলামিয়া থেকে পৃথক করে নিয়েছে। আর বাকী ৩২টি প্রদেশে ঐ গ্রুপের কোনো অস্তিত্ব নেই। ইমারাতে ইসলামিয়া উক্ত গ্রুপের সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ ফিকির করছে।

প্রশ্নঃ মুহতারাম! আপনি যদি কোনো পয়গাম দিতে চান, তাহলে আমরা সযত্নে পৌঁছে দিব ইনশাআল্লাহ!

উত্তরঃ আমার পয়গাম মুজাহিদ ভাইদের উদ্দেশ্যে। ভাইগণ! নতুন বছর এসে গেছে। নতুন অপারেশনের সময়ও আসন্ন। তাই প্রত্যেক মুজাহিদের উচিত নিজের নিয়ত যাচাই করে নেয়া। নিয়তে কি শুধু আল্লাহকে রাজী-খুশি করাই আছে নাকি অন্য কিছু আছে? নিজের সংশোধনের ফিকির করা চাই। পুনরায় দেশময় আল্লাহর বিধান কায়েমের জন্য এবং সমস্ত অশ্লীলতা-পাপাচার দূরীভ‚ত করার জন্য জিহাদের দিকে পূর্ণ মনোনিবেশ করা উচিত। শত্রুর প্রপাগাণ্ডা এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজেকে হেফাজত করতে হবে। এসব থেকে নিজেকে হেফাজতের সহজ পন্থা হল, নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব গুরুত্বসহকারে সুচারুরূপে আঞ্জাম দেয়ার প্রতি পূর্ণরূপে মনোনিবেশ করা।

আল্লাহ তাআলার উপর আমাদের পূর্ণ ইয়াকীন রয়েছে যে, তাঁর সাহায্যের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। দেশের চতুর দিক থেকে বিজয়ের সুখবর আসতেছে। প্রিয় ভ্রাতাগণ! আফগান জিহাদের এই গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে বিজয়ী লশকরের সঙ্গী বনে যান। নিজের যাবতীয় যোগ্যতা শত্রুর উপর উপর্যপরি হামলা এবং আল্লাহর বিধান কায়েম করণার্থে ব্যয় করুন। ইনশাআল্লাহ সেই দিন  বেশি দূরে নয়, যেদিন সম্মিলিত কুফুরী শক্তি পরাজিত হবে; দেশময় আল্লহর বিধান কায়েম হবে এবং কালিমা খচিত সাদা পতাকা সগর্বে পতপত করে উড়তে থাকবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 9 =

Back to top button