আন-নাসর মিডিয়াতানজীমবই ও রিসালাহবই ও রিসালাহ [আন নাসর]বার্তা ও বিবৃতিবার্তা ও বিবৃতি [আন নাসর]

পিডিএফ/ওয়ার্ড/ইমেজ || আল কুদসকে কিছুতেই ইহুদিরাষ্ট্রে পরিণত হতে দেয়া হবে না

|| আন-নাসর মিডিয়া পরিবেশিত ||

আল কায়েদা || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

আল কুদসকে কিছুতেই ইহুদিরাষ্ট্রে পরিণত হতে দেয়া হবে না

পিডিএফ/ওয়ার্ড/ইমেজ || আল কুদসকে কিছুতেই ইহুদিরাষ্ট্রে পরিণত হতে দেয়া হবে না

ডাউনলোড করুন

Pdf
https://archive.org/download/al-quds-barta/AlQuds.pdf
https://annasrbd.files.wordpress.com/2023/08/alquds.pdf
https://www.file-upload.org/2cgvzkryu880
https://www.mediafire.com/file/mig5zph2zy2ii8z/AlQuds.pdf/file

 

Word
https://archive.org/download/al-quds-barta/AlQuds.docx
https://annasrbd.files.wordpress.com/2023/08/alquds.docx
https://www.file-upload.org/1mlk0jg7nzwz
https://www.mediafire.com/file/udwcwuirztnf09c/AlQuds.docx/file

 

Image
https://archive.org/download/al-quds-barta/AlQudsImage.zip
https://www.file-upload.org/5ou48aqwm9o0
https://www.mediafire.com/file/wbas051pum1xxtd/AlQudsImage.zip/file

 

====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]
—————–

====================================

 

 

 

 

 

 

===========================

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন এবং ‘আল কুদসু লান তুহাওয়্যাদ’ নামক অপারেশনের প্রতি সমর্থন ও শুভেচ্ছা বার্তা

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন,

مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا.

মুমিনদের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতিকে সত্যে পরিণত করেছে। তাদের কেউ কেউ (শাহাদাত বরণ করে) তার দায়িত্ব পূর্ণ করেছে, আর কেউ কেউ (শাহাদাত লাভের) প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা (প্রতিশ্রুতিতে) কোনও পরিবর্তন করেনি। (সূরা আহযাব : ২৩)

ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধ এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র ইসরার ভূমি বাইতুল মুকাদ্দাস দখল এবং ফিলিস্তিনের রাজধানী আল কুদসকে ইহুদি রাষ্ট্রে রূপান্তর করণের প্রতিবাদে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানের প্রতি আমরা আমাদের প্রিয় মুসলিম উম্মাহর সাথে একাত্বতা ঘোষণা করছি। এ অভিযানগুলো পরিচালনা করছে উম্মাহর পুণ্যবান সন্তানেরা। যাদের কেউ রয়েছে কাবুলে, কেউবা ওয়ারদাকে। কেউ রয়েছে ইসলামী মাগরিবের (পশ্চিম আফ্রিকার) মালি ও কেনিয়াতে, যেখানকার মরুযোদ্ধা ও রণাঙ্গনের সিংহরা (শত্রু বাহিনীর ওপর) ক্রমাগত আক্রমণ করে যাচ্ছে। আর কেউ রয়েছে শামের পবিত্র ভূমিতে, যারা ওখানকার নুসাইরি বাহিনীর বিরুদ্ধে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। আর কেউ রয়েছে ঈমান ও হেকমতের ভূমি ইয়েমেনে, যারা চরম ধৈর্যের সাথে সেখানকার খারেজীদেরকে প্রতিহত করে যাচ্ছে।

বর্তমান যুগে যখন বিশুদ্ধ ইসলামী সংস্কৃতি এবং উমরী দৃঢ়তা প্রায় হারিয়েই যাচ্ছিলো ঠিক তখন এ জাতীয় দুঃসাহসিক তৎপরতা ও আত্মত্যাগ দেখে আমরা সত্যিই খুবই আনন্দিত, যা কাফেরদেরকে ভীষণভাবে ক্রোধান্বিত করছে। অতএব আমাদের কর্তব্য, মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা যিনি এ সব সামরিক তৎপরতা ও লক্ষ্যগুলোকে পূর্ণতা দান করছেন। জিহাদের বরকতময় কার্যক্রমগুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করার জন্য আমরা সর্বদাই তাঁর প্রশংসা করি। আলহামদুলিল্লাহ, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই জন্য।

আমাদের যে সব মুজাহিদ ভাইয়েরা শত্রুদের সুরক্ষিত ঘাঁটি ও প্রাসাদগুলোতে সফল অভিযান পরিচালনা করার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে জাগ্রত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন আমরা তাদের এ সব অপারেশনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করছি। পাশাপাশি তাদেরকে এবং অন্যান্য মুসলিম ভাইদেরকে এর জন্য আন্তরিক অভিনন্দন ও মুবারকবাদ জানাচ্ছি।

আমরা ‘আল কুদসু লান তুহাওয়্যাদ’ নামক চলমান অপারেশনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করছি এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ভাইদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, যার সূচনা হয়েছিল আফ্রিকা মহাদেশের কিছু মুজাহিদ ভাইয়ের হাতে। নাইরোবিতে আমেরিকা ও অন্যান্য ক্রুসেডার সৈন্যরা যে অপারেশনের স্বীকার হয়েছিল।

আমরা ওই অপারেশনের প্রতিও আমাদের পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করছি এবং সংশ্লিষ্ট ভাইদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ অপারেশনে আমাদের ভাই সালেহ আন নাবহানী শহীদ রহ. (আল্লাহ তাঁকে কবুল করুন) ও তার চারজন সাথী সোমালিয়ার ‘রিফার সায়েদ দারায়েফের বৈঠককে লক্ষ্য করে চালিয়েছিলেন। এটাকে দেশীয় নিরাপত্তা বিভাগ ও ইহুদি গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের আস্তানা বলে গণ্য করা হত। তবে আল্লাহর ইচ্ছায় তখনকার সেই বৈঠকটি ছিল ক্রসেডার নেতাদের সাথে সোমালিয়ান সরকারের মুরতাদ কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক।

তেমনি ভাবে আমরা পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করছি ইসলামী মাগরিবের (পশ্চিম আফ্রিকার) মরুযোদ্ধদের দুঃসাহসিক অভিযানগুলোর প্রতি এবং সে সকল অভিযানগুলোর প্রতি যাতে তারা তাশাদ বাহিনীকে ইহুদিদের সাথে তাদের সরকারের আঁতাতের ফল স্বরূপ কঠিন ধোলাই দিয়েছিল। এই বরকতময় অপারেশনটি হয়েছিল ঠিক তখন যখন খুনী নেতানিয়াহু তাশাদে সফররত ছিল।

নিঃসন্দেহে শাহাদাত লাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষা, দ্বীনের শত্রুদের সারিতে ঢুকে হামলা চালানো, অত্যাচারী সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে তাদের অপকর্মের ফলস্বরূপ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া এমন একটি বৈধ ও অনুমোদিত কাজ যাকে সুস্থ বিবেক সম্পন্ন মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সবাই স্বীকার করে। এই কারণেই আমরা সব ধরনের জিহাদী কার্যক্রমকে সম্পূর্ণ ভাবে সমর্থন করি যা ফিলিস্তিনকে ইহুদিকরণে বাধা প্রদান ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র ইসরার ভূমি মসজিদুল আকসাকে পুনরুদ্ধারকরণে তৎপর।

মুসলিম উম্মাহর ওপর চলমান ক্রসেডী হামলা বন্ধ করা এবং উম্মাহর মর্যাদা রক্ষা ও তার পক্ষ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণের লক্ষ্যে শত্রু শিবিরে ঢুকে হামলাকারী এবং আত্মোৎসর্গী বীর যোদ্ধাদেরকে আমরা অমূল্য সম্পদ মনে করি। মুসলিম উম্মাহর হারানো ভূখন্ডগুলোকে দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য তারা নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিচ্ছে। নিঃসন্দেহে তারা গোটা মুসলিম উম্মাহর গর্ব। আর এ ধরণের নিবেদিত প্রাণ যুবকদের মাধ্যমেই উম্মাহ প্রকৃত মর্যাদা ও সম্মানের জীবন লাভ করে থাকে।

শত্রু শিবিরে ঢুকে তুমুল হামলাকারী হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা!

নিঃসন্দেহে আপনারা এ সব বরকতময় অপারেশনগুলোর মাধ্যমে জিহাদকে তার পূর্বের আসল অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন যখন তা ছিল সত্য ও ন্যায়ের উজ্জল প্রতীক এবং সীমালঙ্ঘনকারী ও তাদের দোসরদের জন্য কঠিন বজ্র সমতুল্য।

আপনারা শত্রু বাহিনীর ওপর সিংহের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছেন এবং এর মাধ্যমে ভীরুদের অন্তর থেকে সব ধরনের ভয় ভীতি উপড়ে ফেলে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য ক্রোধান্বিত হতে উৎসাহিত করছেন।

হে আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা!

আপনাদের এ সব বরকতময় জিহাদী কার্যক্রম ও সুপরিকল্পিত পদক্ষেপগুলো উম্মাহর সন্তানদের হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে। তাদের হৃদয়গুলো আগ থেকেই আপনাদের ভালোবাসায় ভরপুর ছিল। আপনাদের যথাযথ মর্যাদা ও মূল্য সম্পর্কে তারা পুরোপুরি অবগত আছে। তারা নিশ্চিতভাবে জানে যে, আপনারা একমাত্র ইসলামের সাহায্যার্থেই জিহাদ করছেন, ইসলামকে রক্ষা করা এবং এর সৌন্দর্যকে বিকশিত করার জন্যই আপনাদের সমস্ত ত্যাগ ও কুরবানি। আপনারা এমন একটি সময় দ্বীনের জন্য নিজের সব কিছু উৎসর্গ করে দিচ্ছেন যখন এ দ্বীনের রক্ষাকারী ও এর অনুসারীদের নেতৃত্ব দানকারীর সংখ্যা একেবারেই কম।

আপনাদের এ সব তৎপরতা যেন উম্মাহর হারানো ভূখন্ড ও পবিত্র স্থানসমূহকে দখলদার ইহুদিদের হাত থেকে মুক্ত করা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

হে আমার ভাইয়েরা!

বর্তমানে ইসলামের জন্য সেই পদ্ধতির বিরাট প্রয়োজন যার মাধ্যমে ইসলাম তার প্রথম যুগে আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। ইসলাম চায় পূর্বের ন্যায় মহান কিছু গুণাবলী, সত্য ও ন্যায়ের পথে দৃঢ়তা, আমৃত্যু এ পথকে আঁকড়ে থাকা, সত্য ও ন্যায়ের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ যে কোনো ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়া। পাশাপাশি হকের অনুসারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও হককে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা। মরুভূমি, সাগর ও জনবসতিহীন অঞ্চলসমূহ পাড়ি দিয়ে হলেও সঠিক আকীদা বিশ্বাস সব মানুষের অন্তরে গেঁথে দেয়া এবং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠা করা।

সুতরাং ত্যাগ, কুররানি ও অবিচলতার ময়দানে দ্রুত অগ্রসর হোন। সম্মিলিতভাবে অথবা পৃথক পৃথক ভাবে আমেরিকা ও তার মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। কুরবানি পেশ করুন! কুরবানি পেশ করুন! ধৈর্য ধারন করুন! ধৈর্য ধারন করুন! আল কুদস ফিলিস্তিনের রাজধানীই থাকবে। আল্লাহর সাহায্য আসন্ন, ভবিষ্যৎ এই দ্বীনের জন্যই নির্ধারিত। সত্যিকারের সৌভাগ্যের অধিকারী সেই যাকে আল্লাহ বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর দ্বীনের জন্য এবং পবিত্র স্থানসমূহকে রক্ষা করার জন্য নির্বাচন করছেন।

পরিশেষে আমরা সে সকল ইহুদি ও ক্রুসেডারকে লক্ষ্য করে বলবো যারা আমাদের দ্বীনের ওপর, আমাদের ভূমির ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থানসমূহের ওপর আক্রমণ করে যাচ্ছে, মুসলমানদের দেশগুলোতে তোমাদেরকে মোটেই স্বাগত জানানো হবে না। বরং ওগুলো সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য সমাধিস্থল এবং খোদাদ্রোহীদের জন্য জাহান্নামে পরিণত হবে। তোমরা যদি আমাদের অন্তরে তোমাদের জন্য সামান্যতম করুণাও অবশিষ্ট রাখতে তাহলে অবশ্যই আমরা তোমাদের বর্তমান অবস্থার প্রতি সহানুভূতিশীল হতাম যখন তোমরা চরম অর্থনৈতিক মন্দা সহ নানান বিপদ-আপদে জর্জরিত হয়ে পড়েছো। আর তখন তোমাদের সেনাঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে আমাদের পরিচালিত আক্রমণগুলো বন্ধ করা এবং তোমাদের সাথে কোন শান্তিচূক্তিতে যাওয়ারও কিছুটা সুযোগ থাকতো। কিন্তু তোমরা আমাদের ওপর অনবরত জুলুম নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি আমাদের ভূমি ও পবিত্র স্থানসমূহের ওপর তোমাদের অবৈধ দখলদারিত্বের অপরাধ করেই যাচ্ছো। এ কারণে তোমাদের বিরুদ্ধে আমাদের আক্রমণ চলতেই থাকবে এবং আমাদের আত্মোৎসর্গী বীর যোদ্ধারা তোমাদেরকে মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্ত পৌঁছে দিতে তোমাদের দিকে এগিয়ে যেতেই থাকবে।

“তাদের দূর্গগুলোকে ধ্বংস করার জন্য প্রবল বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যা তাদেরকে লক্ষ্য করে বলছে, তোমরা এ এলাকা ছেড়ে না পালানো পর্যন্ত আমি কিছুতেই থামবো না’’

আমরা আমাদের সকল যোদ্ধাদেরকে জোর তাগিদ দিয়ে বলছি, আপনারা ওদের প্রতি বিন্দু পরিমাণ দয়াও দেখাবেন না। তারা আমাদের ওপর যে জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে এবং আমাদের নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের যে রক্ত তারা ঝরিয়েছে তাদের থেকে ওসবের প্রতিশোধ নিন। সামনে যে-ই আমাদের জান-মাল, ইজ্জত ও দ্বীনের ওপর কোন রূপ হস্তক্ষেপ করতে চাইবে সে যেন এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে।

আমরা পুরো মুসলিম উম্মাহর প্রতি বিশেষ করে আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের প্রতি আমাদের জোরদার সমর্থন ব্যক্ত করছি যে, আমরা আপনাদের সাথে আছি।

আমরা আমাদের দ্বীনি ভ্রাতৃত্ববোধের কারণে, পাশাপাশি শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.র শপথ ও সংকল্প পূরণার্থে সুষ্পষ্ট ভাষায় বলছি, ‘আল কুদসের বিষয়টিই হল প্রথম বিষয় যা আমাদের দ্বীনী অনুভূতির একদম গভীরে প্রবেশ করে আছে’

সুতরাং কিছুতেই আমরা তাকে ইহুদি রাষ্ট্রে পরিণত করতে দিবো না। ওখানে অবস্থানরত আমাদের ভাইদেরকে আসন্ন বিজয়ের সুসংবাদ দিচ্ছি এবং তাদেরকে আরও কিছু দিন ধৈর্য ধারণ করার আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি তাঁদেরকে আশ্বস্ত করছি যে, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। নিঃসন্দেহে বিজয়ের সুসংবাদ আসন্ন, পরিবর্তনের হাওয়া প্রবাহমান, ভোর হতে আর বেশি দেরি নেই। তখন মুমিনরা আল্লাহর সাহায্য লাভ করে আনন্দিত হবে এবং কুফফার ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা লাঞ্ছিত হবে। আল্লাহর ইচ্ছায় তাদের উপরই দূর্দিন পতিত হবে।

পরিশেষে আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন আমাদের শহীদ ভাইদের ওপর তাঁর রহমত ও মাগফেরাতের বারি ধারা বর্ষণ করেন, যারা আল্লাহর শত্রুদের সারিতে ঢুকে নিজেদের জান-মাল দুটোই উৎসর্গ করেছেন। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল, আল্লাহর দ্বীনের সাহায্য করা এবং তাওহীদের কালিমাকে সমুন্নত করা। পাশাপাশি সে সব লোকদেরকে উচিত শিক্ষা দেয়া যারা ক্রমাগত মুসলিম উম্মাহ ও তার পবিত্র স্থানসমূহের ক্ষতিসাধন করে আসছে।

আমরা এই দোয়াও করি, তিনি যেন আমাদের এই ভাইদের পিতা-মাতাকে ধৈর্যধারণ করার তাওফিক দান করেন, তাদেরকে প্রতিদান থেকে বঞ্চিত না করেন এবং তাদের অবর্তমানে তাদের পিতা-মাতাকে কোনো ধরনের পরীক্ষায় না ফেলেন। আমীন! আমীন!

আল্লাহর দেওয়া শক্তি, সামর্থ্য ছাড়া আমাদের কোনও শক্তি, সামর্থ্য নেই। নিজেদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা একমাত্র তাঁর ওপরই ভরসা করি। নিজেদের পরিকল্পনাসমূহ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে আমরা তার দ্বারাই শক্তিশালী হই এবং তাঁকেই আঁকড়ে ধরি। নিশ্চয় তিনি এর যোগ্য। তিনিই ক্ষমতাবান। সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য যিনি সমগ্র জগতের প্রতিপালক।

———————-

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =

Back to top button