যুদ্ধে জয়-পরাজয় অবধারিত। কখনো আপনার বিজয় হবে, আবার কখনো শত্রুপক্ষ আপনার উপর বিজয়ী হবে। এটিই যুদ্ধের চিরন্তন নিয়ম। এখানে একদিন বিজয় আপনার তো আরেকদিন প্রতিপক্ষের।

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

وَتِلْكَ الْأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ

‘অর্থঃ আর এ দিনগুলোকে আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি”। (সূরা আল ইমরান ৩:১৪০)

আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন:

مَا كَانَ اللَّهُ لِيَذَرَ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ حَتَّى يَمِيزَ الْخَبِيثَ مِنَ الطَّيِّبِ

“অর্থঃ ভালোকে মন্দ থেকে পৃথক করে দেয়া পর্যন্ত, আল্লাহ এমন নন যে, ঈমানদারগণকে সে অবস্থাতেই রাখবেন যাতে তোমরা রয়েছো”। (সূরা আল ইমরান ৩:১৭৯)

আল্লাহ তায়ালা ভালোকে (সত্যিকার মুমিন) মন্দের (মুনাফিকের) থেকে আলাদা করেন। এমনটি কার সাথে ঘটেছে?

স্বয়ং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ঘটেছে। অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগেও আল্লাহ তায়ালা ভালো-মন্দের মাঝে পার্থক্য করেছেন। বলুন তো, ভালো-মন্দের মাঝে পার্থক্য করা যাবে কীভাবে?

আমি কি এই পার্থক্যের বিষয়টা বুঝতে পারবো?

হ্যাঁ। অবশ্যই এটা জানা যাবে পরাজয়ের সময় বা বিপদের সময়। আপনি পরাজয়কে মন্দ ভাবছেন। অথচ তা মন্দ নয়। আল্লাহ তায়ালা এই বিপদ দূর করে দিবেন।

তখন আল্লাহ বলবেন: দেখো আমার বান্দা!

এই আয়াতের বাস্তব নমুনা আপনার সামনে স্পষ্ট। আর এটিই হলো পরাজয়ের অন্যতম উপকার। হ্যাঁ, মুসলিমরা পরাজয় বরণ করবে। কিন্তু মুসলিমের এই পরাজয় বাহ্যত পরাজয় হলেও বাস্তবে তা আত্মিক পরাজয় নয়।

যখন আত্মিক পরাজয় ঘটে তখন বাহ্যত আপনি যদি পিছু না হটে সামনে এগিয়েও যান এবং কোন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন, তারপরও আপনি পরাজিত। কেননা এর অবধারিত ফলাফল হলো – আপনি সর্বদা শত্রুপক্ষের চাহিদাগুলো কার্যকর করবেন অর্থাৎ আপনি মূলত পুতুল সরকার হিসেবে থাকবেন। আর এটাই মূলত পরাজয়।

আমরা তো মুসলমান। আমাদের জন্য আত্মিক পরাজয় কখনো সমীচীন নয়। যুদ্ধের ময়দানে কখনো আমাদের সাময়িক পরাজয় হতে পারে। শত্রুপক্ষ চূড়ান্তভাবে আমাদের নিশানা মুছে ফেলতে চাইবে। তারপরেও আমরা জামাতবদ্ধ থেকে তাদের উপর আক্রমণ চালাতে থাকবো। সুতরাং সাময়িক পরাজয় আল্লাহ চাহেন তো – পরাজয় নয়। বরং আত্মিক পরাজয়ই হলো আসল পরাজয়। ইনশাল্লাহ আমরা বিজয়ী।

যেমন, আসহাবুল উখদুদ। তাদের কথাই চিন্তা করুন। তারা কি করেছিল?

তারা তো এতটুকু করেছে যে, নিজেদের ঈমান রক্ষায় আগুনে ঝাপ দিতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। তারা আত্মিক পরাজয় মেনে নেয়নি। কি বলেন, ঠিক বলেছি কিনা?

উদাহরণের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। কেয়ামত পর্যন্ত এই ঘটনা আল্লাহ তায়ালা লিখে দিয়েছেন। আজ আমরা তাদের জীবনী অধ্যয়ন করছি, যাতে আমরাও তাদের মত হতে পারি। এ বিষয়টি ছাড়া কেউ দ্বীনের খেদমত করতে পারবে না। অর্থাৎ এই পরিমাণ দৃঢ়তা লাগবেই। তাই আমরা অবিচলতার মাধ্যমে আমাদের দ্বীনের খেদমত করবো ইনশা আল্লাহ।

আমাদের সবাইকে যুদ্ধের বাস্তবতা বুঝতে হবে। আমি শুধু থিউরি শুনাচ্ছি না, বরং আমি আমার সঙ্গীদের সাথে কাজ করে, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আপনাদের বলছি। তাই আমাদেরকে যুদ্ধের প্রকৃত বাস্তবতা বুঝতে হবে।

শত্রুরা আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে, এটা-ওটা করবে, অনেক কিছুই করবে। শত্রুরাও এটা জানে যে, জয় পরাজয় নিয়েই যুদ্ধ চলতে থাকে। রাসূলের যুগেও যুদ্ধের নীতি এমনই ছিলো। কোন যুদ্ধে আল্লাহর রাসূল বিজয় লাভ করলেন, তো অন্য কোন যুদ্ধে শত্রুরা বিজয় লাভ করতো (যেমন, বদরে বিজয়ী আর উহুদে সাময়িক পরাজয়)।

আল্লাহর রাসুল দৈনন্দিন জীবন ও পানাহারের ক্ষেত্রেও সব সময় এক রকম ছিলেন না। তিনি একদিন খেয়ে পরিতৃপ্ত হতেন তো অপর দিন ক্ষুধার্ত থাকতেন।

**********

مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent