The Life of Abu Baseer al-Hindi – আবু বাছির আল-হিন্দী’র জীবনী
আল-কায়েদা শাম শাখা জাবহাত আন-নুসরা’র লাতাকিয়া’র অফিসিয়াল মিডিয়া থেকে প্রকাশিত নতুন ভিডিও
The Life of Abu Baseer al-Hindi
আবু বাছির আল-হিন্দী’র জীবনী
[আল্লাহ তাকে কবুল করুক]
اوسط معیار
MQ 720 (95.5 MB)
৭২০ রেজুলেশন [৯৫.৫ মেগাবাইট]
লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/e6caA7HiPWrMmm3
লিংক-২ : https://archive.org/download/the-life-of-abu-baseer-al-hindi/The8%E0%A7%80.mp4
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/db7hy3bede929ecac4582acd471ec7888a9ec
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/50d3ca02-6b19-4ccc-af17-8b69fe597f0a/1adafb302af56bbadb3e3c4a2a14b2d04c8aa0a091e34ae8dccac78e66c4b08d
লিংক-৫ : https://f005.backblazeb2.com/file/AbuBasir/The+Life+of+Abu+Baseer+al+Hindi+.mp4
লিংক-৬ :https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=k0m0v0l3s1
پی ڈی ایف
PDF (76 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৭৬ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://archive.org/download/the-life-of-abu-baseer-al-hindi/The%20Life%20of%20Abu%20Baseer%20al%20Hindi%20.pdf
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/db7hy0118af601ad344ef857d81752c9c613d
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/65a7ea15-6334-4cdf-8a4e-20192c50aa65/a63921d6d22871571d6c1fa572440f133cefb51cdca553faa309b9d48dd41135
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/AbuBasir/The+Life+of+Abu+Baseer+al+Hindi+.pdf
লিংক-৫ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=t1n4p7e4f3
ورڈ
WORD (21 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [২১ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://archive.org/download/the-life-of-abu-baseer-al-hindi0%80.docx
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/db7hyedb286bceae446fb8fa3c76e69841d21
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/f14788aa-ee87-4ea0-907b-ebfc970b57e8/8d5998a450772046e931a83babef06e1c174b8e8179fc579f5a985ae9817b3ac
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/AbuBasir/The+Life+of+Abu+Baseer+al+Hindi+.docx
লিংক-৫ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=b6j3o9v5a0
بينر
banner [36 KB]
ব্যানার [৩৬ কিলোবাইট]
লিংক-১ : https://archive.org/download/the-life-of-abu-baseer-al-hindi/THE-LIFE-OF-ABU-BASIR-AL-HIND.jpg
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/db7hyd6d31f11c0d846ddb91b82aa6578e44a
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/21c4a441-6a38-4659-9f2c-fbecbb3e2944/f6e51851ec90df270a226838704960d3e7a11c07a0c14e51df9c9f6757931e00
লিংক-৪ : https://abubasir.s3.us-east-005.backblazeb2.com/The+Life+of+Abu+Baseer+al+Hindi+.jpg
লিংক-৫ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=d4j8v6u2d7
‘আবু বাসির আল হিন্দ’ এর জীবনী
একজন সত্যিকারের পুরুষের কথা বলছি, আপনার বিশ্বাস যাই হোক না কেন একজন মানুষের স্ট্যাটাস দিয়ে কখনো একজন সত্যিকারের পুরুষের সংজ্ঞা দেয়া যায় না। একজন মানুষের কাজ কিংবা তার যশ-খ্যাতি দিয়েও কখনো সত্যিকারের পুরুষের সংজ্ঞা সংজ্ঞায়িত করা যায় না। বরং একজন সত্যিকারের পুরুষের সংজ্ঞা সংজ্ঞায়িত হতে পারে শুধু মাত্র তার মহান প্রভুর পক্ষ থেকে।এবং আল্লাহ বলেন-
“বিশ্বাসীদের মধ্যে এমন কিছু পুরুষ আছে যারা আল্লাহর সাথে কৃত তাদের অঙ্গীকার সত্যে পরিণত করেছে, তাদের কতক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শাহাদাত বরণ করেছে।আর তাদের কতক অপেক্ষায় আছে। তারা তাদের সংকল্প তিল পরিমান পরিবর্তন করেনি।”(সূরা আহযাব:২৩)
আবুল বাসির নামে যাকে আমরা চিনি,তিনি এসেছেন সেন্ট্রাল লন্ডন থেকে। তিনি আইন এর উপরে একজন স্নাতক,পেশায় একজন শিক্ষক এবং আদর্শে,বিশ্বাসে,কাজে-কর্মে, আচার-আচরণে একজন প্রকৃত মুসলিম। 2014 সালে তিনি জিহাদের আহবানে সাড়া দেন এবং সিরিয়া চলে আসেন। আবু বাসির ছিলেন অত্যন্ত ব্যতিক্রমী একজন। তিনি ছিলেন সাহসী এবং অত্যন্ত বুদ্ধিমান। সিরিয়ায় হিজরতের পর তার প্রথম দিকের দিনগুলো অতিবাহিত হতো রিবাতের মধ্যে, যেটা ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ উত্তম কাজ না হলেও সর্বশ্রেষ্ঠ উত্তম কাজ গুলোর মধ্যে অন্যতম।
আবু বাসির আল হিন্দঃ বিসমিল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ,ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আম্মা বাদ। আমরা আল্লাহর পথে রিবাতের জন্য এখন সালমায় আছি… আজ বেশ ঠাণ্ডা পড়েছে… এবং শত্রু আমাদের কাছেই আছে…
রিবাতে অতিবাহিত সময়গুলো তাকে আরো ধৈর্যশীল,একনিষ্ঠ, সতর্ক ও শক্তিশালী করে তুলেছে। সম্ভবত এভাবেই আল্লাহ তাদের আল্লাহ তার সৈনিকদের সামনের ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করছিলেন এবং একমাত্র আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন। আবু বাসির রিবাতকে ভালোবাসতেন এবং প্রায়ই তিনি কাউকে না জানিয়ে বেরিয়ে যেতেন।
এক মুজাহিদ ভাইঃ আবু বাসির কোথায়?
অপর এক মুজাহিদ ভাইঃ আল্লাহই ভালো জানেন। সম্ভবত ‘জিসর আস সুঘুর’ এর যুদ্ধে মূল বাহিনীর সাথে ময়দানে চলে গেছেন।
মানুষের ইতিহাসের শুরু থেকে পুরুষ সংজ্ঞায়িত হয়ে এসেছে যুদ্ধের ময়দানে। আর আল্লাহ যাকে পুরুষ বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন, তারা সমস্ত ক্লান্তি কে উপেক্ষা করেন। যুদ্ধের ময়দানে তার সমস্ত ব্যথা, দুঃখ-দুর্দশা, যখম,ক্রোধ উপেক্ষা করেন, উপেক্ষা করেন ভাইয়ের মৃতদেহ,বুলেট,মিসাইল, হেলিকপ্টার, ফাইটার জেট এবং এই সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে তারা বিজয় দেখেন।
আবু বাসির আল হিন্দঃ এখন আমরা বিজয় অর্জন করেছি জিসরে, চমৎকার আবাসস্থল, কেমন আছো মেকদাদ কেমনই বা জুরাতুল মা(ব্যঙ্গ)।
‘জিসর আস সুঘুর’শহরে প্রথম যে দলটি তীব্র আঘাত হানে আবু বাসির তাদের মধ্যে একজন। আমরা কেবল তখনই তাকে শহরে দেখতে পাই, যখন পুরো শহর ইতোমধ্যে মুজাহিদদের দখলে চলে এসেছে।
আবু বাসির আল হিন্দঃ আমি যখন সেখানে ছিলাম (ময়দানে), কিছু দূরেই একজন স্নাইপার ছিল,ভবনগুলোর দিকে সে গুলি করছিল। ভাইয়েরা এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিলেন।কারো ঘাড়ে আরপিজি,কারো ঘাড়ে কামান। মাশাআল্লাহ এটা একটি স্মরণীয় এবং একটি কঠিন যুদ্ধ ছিল। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক সহজ হয়ে যায়,যার ফলে কুফফাররা ভীত হয়ে গিয়েছিল এবং এদিক সেদিক পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো।
আবু বাসিরকে সবাই অনেক ভালোবাসতো এবং তিনি অনলাইনে অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। অনেক মানুষের কাছে তার টুইটার একাউন্ট এবং ব্লগ সিরিয়ার যুদ্ধ সম্পর্কে একটি ভালো তথ্যের উৎস ছিল। কিন্তু এই সময় আরেকদিকে(খাওয়ারিজদের) মিথ্যা প্রোপাগান্ডা এর চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল। মিথ্যা অপবাদ তখন প্রশংসনীয় কাজ হিসেবে গণ্য হচ্ছিল এবং অসম্মানের মধ্য দিয়ে দেখানো হচ্ছিল সম্মান। যদিও আবু বাসির ভিতরে ভিতরে সম্মুখ ময়দানের জন্য ছটফট করছিলেন কিন্তু জিসর আল সুঘুর এর পর আবু বাসির খাওয়ারিজদের মিথ্যাকে ধ্বসিয়ে দেয়ার জন্য তার অস্ত্র নামিয়ে রাখেন এবং কলম তুলে নেন।তিনি টুইটার একাউন্ট, ব্লগ এবং ম্যাগাজিনে লেখা শুরু করেন। তাঁর লেখনীগুলো ছিল ধারালো তরবারির চেয়েও ধারালো এবং সেগুলো খাওয়ারিজদের খন্ডিত করে দিচ্ছিলো।
তাঁর লেখা খাওয়ারিজদের এমনই পাগল বানিয়ে দিয়েছিল যে, তারা ২৭ পৃষ্ঠার একটি রেফিউটেশন ছাপায় মূলত আবু বাসিরের একটি আর্টিকেলের প্রেক্ষিতে! এরপর আবু বাসির এর জন্য নতুন একটি চমক এসে হাজির হয়। এমন চমক যা তার মেধা এবং সাহসের সাথে জড়িত। আবু বাসির জাবহাত আন নুসরার মিডিয়া উইং‘মুরাসিল আল লাদাকিয়া’তে যোগ দেন।
আবু বাসির আল হিন্দঃ শাহাদাহ তখনই আসবে যখন এটা আসবে, কিন্তু আমাদের এগিয়ে যেতে হবে,আমাদেরকে আল্লাহর দ্বীনের জন্য মুজাহাদা চালিয়ে যেতে হবে।
বর্তমানে মিডিয়া আমাদের মনোযোগের দাবীদার। আল্লাহ তা’আলা বলেন-
“আল্লাহর পথে যুদ্ধ করা তোমাদেরকে তোমাদের কাজ ব্যতীত প্রশ্ন করা হবে না এবং বিশ্বাসীদের (আল্লাহর পথে জিহাদ এর জন্য) উৎসাহিত করতে থাকো।”
সুতরাং, আল্লাহ আমাদেরকে আদেশ করেছেন বিশ্বাসীদের উৎসাহিত করার জন্য। সম্মুখ ময়দানের মিডিয়ার কাজ অনেক সময়ে যোদ্ধা মুজাহিদ ভাইয়ের চেয়ে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। একদম সত্য কথা বললে জিহাদি মিডিয়ার 5 মিনিটের যে ভিডিও ক্লিপগুলো আমরা দেখি সেটা আসলে 5 মিনিটের ফল না। আবু বাসির ক্যামেরা ঘাড়ে নেন এবং এমন সব জায়গায় পৌঁছে যান যেখানে এর আগে কোন রিপোর্টার বা সাংবাদিক ও পা দেয়ার সাহস করেনি।
রাশিয়া এবং তাদের মিত্রদের আক্রমণ, বম্বিং এবং শেলিং যখন তুঙ্গে এমন পরিস্থিতিতেও আবু বাসির ভাকরদ এবং তুর্কেমান পাহাড়ে ভিডিও করেছেন। এটা এমন এক পরিস্থিতি যখন আপনি আপনার ক্যামেরা বহন করে বেড়াচ্ছেন, আপনার অস্ত্র ঘাড়ের পিছনে ঝুলছে, চতুর্দিক থেকে বাতাসে শব্দ তুলে বুলেট করে বেড়াচ্ছে আর আপনি আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন ক্যামেরাটাকে নিরাপদ রাখার জন্য। মাথার উপরে ফাইটার জেটের গর্জন,সামনে শত্রুর বিভীষিকা আর পেছনে পড়ে থাকে জীবন!
আবু বাসির আল হিন্দঃ অবশ্যই আমরা শাহাদাত চাই কিন্তু তাই বলে আমরা এজন্য অসতর্ক হয়ে যাব না।এটা (শাহাদাত)যখন আসার,তখনই আসবে।
এরপর আসলো সেই ঐতিহাসিক দিনটি। এমন একটি দিন,যে দিনের ঘটনাটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়ে দিতে পারতো(তুরস্কে গুলি করে রাশিয়ান জেট ভূপাতিত করে) কিন্তু আমাদের কাছে এটা মুখ্য নয় সেদিন আকাশ থেকে কি পড়ছিল, বরং আমাদের কাছে মুখ্য হচ্ছে কোন জায়গায় পড়েছিল,আর সে জায়গাটা হচ্ছে তুর্কমান পর্বতমালার যাহিয়া পাহাড়।(বিমান ভূপাতিত করার)এই ঘটনাটির ঠিক পাঁচ দিন আগে এই জায়গায় একটি যুদ্ধ হয়েছিলো।
এই মুহূর্তের ঠিক কিছুক্ষণ আগে আল্লাহ তাঁর এক বান্দার জন্য অন্য একটি পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন।ভাইয়েরা জায়গা মতো পজিশন নিয়েছিলেন এবং আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।শত্রুরা এটা বুঝতে পেরেছিলো এবং তারা ডানে,বামে ও মাঝখানে এলোপাথাড়ি গুলি করতে শুরু করেছিলো।আবু বাসির সেই (মুজাহিদীন)দলের প্রথম কাতারে ছিলেন।যুদ্ধের প্রথমে গোলাগুলির সময়ে আবু বাসির গুলিবিদ্ধ হন..আর আবু বাসির এর নিজের কাজ(ভিডিও) তার নিজের জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো ভিডিও করে রাখলো।
আবু বাসিরের শাহাদাত-
তিনি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর কর্তব্যের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে সত্যবাদী ছিলেন।আমরা আল্লাহর থেকেই এবং আল্লাহর দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।
কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে জিহাদ হচ্ছে জুলুম কে প্রতিহত করা,নিজের নফসের চাওয়া ও খেয়ালকে প্রতিহত করা এবং জমিনের বুকে আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্নত করার জন্য মুজাহাদা করা।আল্লাহ যদি কাউকে ভালোবাসেন,তবে তিনি তাকে সত্য পথে চালিত করেন,কারণ আল্লাহ বলেন-
“আল্লাহ যাকে সত্য পথ দেখিয়েছেন, সে ই সত্য পথ প্রাপ্ত, আর আল্লাহ যদি কাউকে বিপথে পরিচালিত করেন, তবে তুমি তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য কোনো অভিভাবক পাবে না।”
এবং তিনি একমাত্র আল্লাহ,যিনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মতের মধ্য থেকে কিছু মানুষকে পরিচালিত করেন জিহাদের পথে, সম্মান এবং মর্যাদার পথে।
বালাকোট মিডিয়া পরিবেশিত
লাতাকিয়া,সিরিয়া
২০১৪-২০১৫
