আন-নাসর মিডিয়াইতিহাস- ঐতিহ্যনির্বাচিতফিলিস্তিন এক্সক্লুসিভবই ও রিসালাহবই ও রিসালাহ [আন নাসর]মিডিয়াশাইখ হামজা বিন উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহসৌদি রাজপরিবারের অপরাধনামাহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

সৌদি রাজপরিবারঃ ফিলিস্তিনের বিক্রেতারা -শাইখ হামজা বিন উসামা বিন লাদেন হাফিজাহুল্লাহ


হারামবাসীদের আন্দোলনে সর্বোত্তম জাতির নেতৃত্ব
(তৃতীয় মজলিস)

সৌদি রাজপরিবারঃ ফিলিস্তিনের বিক্রেতারা
শাইখ হামজা বিন উসামা বিন লাদেন হাফিজাহুল্লাহ

আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলা অনূদিত
নভেম্বর ২০১৭ ইংরেজি

অনলাইনে পড়ুন

https://archive.org/stream/ShikhHamzarBarta/shikh%20hamzar%20barta#page/n0/mode/2up

ডাউনলোড করুন

পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৫৭০ কেবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/7Nf6Qdt6LS28yHo
https://www.file-upload.org/s02e5n5ogoa6
https://annasrblog.files.wordpress.com/2017/12/shikh-hamzar-barta.pdf
http://www.mediafire.com/file/r7jg46gbb97j1m9/shikh_hamzar_barta.pdf/file
https://archive.org/download/ShikhHamzarBarta_201906/shikh%20hamzar%20barta.pdf

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [৫০৪ কেবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/fm2M65MRrmcz9sD
https://www.file-upload.org/a7znfh3ycbnw
https://annasrblog.files.wordpress.com/2017/12/shikh-hamzar-barta.docx
http://www.mediafire.com/file/9kd9gira5fa683g/shikh_hamzar_barta.docx/file
https://archive.org/download/ShikhHamzarBarta_201906/shikh%20hamzar%20barta.docx

====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]

————————–

 الحمد لله الكريم الذي أسبغ نعمه علينا باطنةً وظاهرةً، العزيز الذي خضعت لعزته رقاب الجبابرة، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له شهادةً نرجو بها النجاة في الدار الآخرة، وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم تسليمًا كثيرًا

সমস্ত প্রশংসা মহানুভব আল্লাহর জন্য, যিনি জাহেরি ও বাতেনি উভয়ভাবেই আমাদের উপর তাঁর নিয়ামত পূর্ণ করেছেন; এবং সমস্ত প্রশংসা পরাক্রমশালী আল্লাহর জন্য, যার ক্ষমতার সামনে দাপটশালীদের গর্দান ঝুঁকে পড়ে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, এমন সাক্ষ্য যার উসিলায় আখেরাতে নাজাতের আশা করি। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ তাঁর উপর, তাঁর পরিবার-সাথীবর্গের উপর রহমত বর্ষণ করুন এবং ব্যাপক শান্তি বর্ষণ করুন!

আম্মা বা’দ,

বিশ্বের সকল প্রান্তের মুসলিম ভাইবোনদের প্রতি এবং জাজিরাতুল আরবে অবস্থানরত স্বজাতির প্রতি-

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

নিশ্চয়ই ফিলিস্তিন এবং মাসজিদুল আকসা হলো মুসলিম উম্মাহর প্রথম (প্রধান) সমস্যা। মুসলিমদের হৃদয়ে তার প্রতি মহান সম্মান রয়েছে, ফলে বেতনভুক্ত গাদ্দার শ্রেণী ফিলিস্তিনকে বিক্রি করতে লোভাতুর হয়ে গেল। তাও আবার তা রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা ও প্রতিরক্ষা করার মুখোশ পরিধান করে! তাদের মধ্যে রয়েছে সউদ পরিবার। আর তাদের নেতৃত্বে রয়েছে তাদের গুরু আব্দুল আজিজ। যার পক্ষ থেকে সৌদি আরবের লিখিত বর্ণনায় লেখা হয়েছে যে, “ফিলিস্তিনের সমস্যা নাকি তার অন্তরকে পেরেশান করে তুলছে। তার দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনের সমস্যার সমাধান হলো, ইহুদিরা যে ভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েছিল তাদেরকে সেখানে ফিরিয়ে আনা। এটা নাকি ফিলিস্তিনে অবস্থিত আরব নেতাদের সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় হওয়ার কারণ হবে। সে ইহুদিদের জন্য সাহায্য পাঠিয়েছিল; তাদের উত্থানের জন্য অস্ত্র ও সম্পদ দিয়ে সহায়তা করেছিল”।

এটা হলো লিখিত বর্ণনা। এভাবেই সৌদি রাজপরিবারের আকাশে যেই উদিত হবে সেই এমনটা লিখবে এবং ইহুদীদের দস্তরখানায় বসবে।

ইমাম যাহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন-

وفي الخلفاء وآبائهم وأهلهم قوم أعرض أهل الجرح والتعديل عن كشف حالهم، خوفًا من السيف والضرب، وما زال هذا في كل دولة قائمة يصف المؤرخ محاسنها ويغضي عن مساوئها، هذا إذا كان المحدث ذا دين وخير، فإن كان مداحًا مداهنًا لم يلتفت إلى الورع، بل ربما أخرج مساوئ الكبير وهناته في هيئة المدح

“খলিফাবর্গ, তাদের পিতৃপুরুষ ও বংশের মাঝে এমন জাতের লোকও রয়েছে, যারা তরবারী ও প্রহারের ভয় দেখিয়ে ন্যায় ও অন্যায়ের বিষয়ে যাচাইকারীদেরকে তাদের অবস্থা যাচাই করা থেকে বারণ করে। এমনটি সকল রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। যেগুলোর গুণাবলী ও মন্দ বিষয়াবলী সম্পর্কে ইতিহাসবেত্তাগণ বর্ণনা করেছেন। এমনটি তখন হয়ে থাকে, যখন বর্ণনাকারী দ্বীনদ্বার ও কল্যাণকামী হবে। আর যদি সে তোষামোদকারী ও চাটুকার হয়, যে কিনা খোদাভীতির ভ্রুক্ষেপ করে না, তাহলে ভিন্ন কথা। বরং তারা তো বিশাল ভুলকেও প্রশংসনীয় করে বর্ণনা করে। একজন তার দোষ ধরে দিলে অপরজন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে পড়ে।”

আল্লাহ তা‘আলা ইমাম যাহাবীর উপর রহম করুন। তিনি তাঁর যামানার শাসক ও ইতিহাসবিদদের কথা বলেছেন। তিনি মুসলিমদের বাইতুল মুকাদ্দাসকে বিক্রয়কারী, মুসলিমদের বিভক্তকারীদের ব্যাপারে বলেননি।

আমার দাবী উপস্থাপনের পর আমি কিছু বাস্তবতা তুলে ধরতে চাই, যেগুলো মুস্তাকিল বা স্বতন্ত্র সূত্রসমূহের মাধ্যমে আমাদের কাছে এসেছে, যেন আমরা সেগুলোর মাঝে ও আলে সউদের জাল বর্ণনার মাঝে প্রাচীরসম পার্থক্য ও সুবিশাল ব্যবধান দেখাতে পারি।

নিশ্চয়ই ফিলিস্তিনের খেয়ানতের ক্ষেত্রে ও তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ক্ষেত্রে আব্দুল আজিজের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। সে-ই আরবের প্রথম শাসক যে ইহুদিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে গ্রহণ করেছে, ফিলিস্তিনের বিপ্লব থেকে পেছনে থেকেছে। এই বিষয়ের বাস্তবতা ও মজবুত প্রমাণ অনেক আছে। তার থেকে কয়েকটির প্রতি ইঙ্গিত করছি-

১. প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানী খেলাফত থেকে পৃথক থাকা, উসমানী রাষ্ট্রকে অপছন্দ করা, এমনিভাবে সে তা ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ইসলামি বিশ্বকে খণ্ডবিখণ্ড করতে চেষ্টা চালিয়েছে। আমি এই সিরিজের ‘দ্বিতীয় মজলিসে’ উসমানিয়া সাম্রাজ্যের মিত্র ‘রাশেদ পরিবার’ এর বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের ব্যাপারে কিছু আলোচনা করেছি।

২. ফিলিস্তিন যখন ইহুদিদের কাছে অর্পণ করা হয়েছে তখন সে এর বিরোধীতা না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যখন তার নিকট ইহুদিদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে তখন সে বলেছে-

إذا كان لاعتراضي هذه الأهمية فأنا أعترف لكم ألف مرة بإعطاء اليهود وطنًا في فلسطين أو غير فلسطين وهذا حق واقع

“যেহেতু এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তাই আমি তোমাদের (ইহুদিদের) জন্য এক হাজার বার ফিলিস্তিনে অথবা অন্য কোথাও একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার স্বীকারোক্তি দিচ্ছি, আর এটাই বাস্তবায়ন হবে।”

অতঃপর সে নিজ হাতে লিখেছে-

أنا السلطان عبد العزيز بن عبد الرحمن الفيصل السعود أقر وأعترف ألف مرة للسير برسي كوكس مندوب بريطانيا العظمى؛ لا مانع عندي من إعطاء فلسطين للمساكين اليهود  أو غيرهم كما ترى بريطانيا التي لا أخرج عن رأيها حتى تصيح الساعة

“আমি সুলতান আব্দুল আজিজ বিন আব্দুর রহমান ফয়সাল আস-সউদ। আমি হাজার বার গ্রেট বৃটেনের স্যার পারসি কক্স এর প্রতিনিধিত্বকে স্বীকার করছি। দরিদ্র ইহুদিদেরকে বা অন্যদেরকে ফিলিস্তিন দিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখছি না, যেমনটি আপনি বৃটেনের বেলায় দেখতে পান। আর আমি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসব না যদিও সময় ক্রন্দন করে বলতে থাকে”। [1]

আব্দুল আজিজ ইবনে সউদ এর ব্যাপারে বর্ণিত আছে যে, ঐক্য ভেঙ্গে যাওয়ার পরে –যা ভাঙ্গার ব্যাপারে এই ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা হয়েছিল- তার উপদেষ্টা এবং ব্রিটিশ সহকারী জন ফেলবি তার সাথে কৌতুক করে বলেছিল, “হয়তো এই স্বাক্ষরই ফিলিস্তিন থেকে সমগ্র ফিলিস্তিনি জনগণের স্থানচ্যুতি সৃষ্টি করবে।”

আবদুল আজিজ তখন অট্টহাসি হাসা অবস্থায় বলেছিল-

تريد أن أغضب بريطانيا لأن عددًا من أهل فلسطين سيشرد؟ أهل فلسطين لا يستطيعون حمايتي إذا لم تحمني بريطانيا من الأعداء، ولتحرق فلسطين بعد هذا

“তুমি কি চাও আমি বৃটেনকে ক্ষেপিয়ে তুলি, কেননা কিছু ফিলিস্তিনিকে বিতাড়িত করা হয়েছে? ফিলিস্তিনিরা আমার সাহায্য করতে পারবে না যখন বৃটেন আমাকে শত্রুদের থেকে সাহায্য না করবে। অতঃপর ফিলিস্তিনকে পুড়িয়ে ফেলা উচিত।”

সুবহানাল্লাহ! আপনার পবিত্রতা হে আল্লাহ! এটা তো মহা অপবাদ!! তুমি কি ফিলিস্তিনকে পুড়িয়ে দেবে যেন আব্দুল আজিজ তার চেয়ারে স্থায়ী হয়? তুমি কি ফিলিস্তিন পুড়িয়ে দেবে যেন আব্দুল আজিজ তার মনিবকে খুশি করতে পারে? তুমি কি মসজিদে আকসাকে পুড়িয়ে দেবে, যেটা দুই কেবলার একটি। এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মেরাজের রাতের ভ্রমণস্থল এবং প্রস্তরের গম্বুজকে পুড়িয়ে দেবে আব্দুল আজিজকে সাহায্য করার জন্য? আল্লাহর শপথ! কখনোই নয়। বরং সউদ পরিবারের শাসন থেকে তাকে পৃথক করা হবে, রাষ্ট্রে আল্লাহর শরিয়ত প্রতিষ্ঠা করা হবে, ফিলিস্তিনকে সাহায্য করা হবে, মসজিদে আকসাকে স্বাধীন করা হবে ইনশাআল্লাহ।

৩. ফিলিস্তিনি বিপ্লবের বিপরীতে অবস্থান নেওয়া। ১৩৫৪ হিজরি মোতাবেক ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে ফিলিস্তিনে একই সময়ে বৃটেন ও আন্তর্জাতিক ইহুদি শক্তির বিরুদ্ধে মহান বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। বৃটেন ও ইহুদিদের জুলুম, অবিচার, অন্যায়, অপরাধ ও অস্ত্রের মুকাবেলায় মুসলিমরা চমৎকার বীরত্ব প্রদর্শন করে সামনে এগুচ্ছিল। এসময় আব্দুল আজিজ তার দুই ছেলে সউদ ও ফয়সালকে নিয়ে ফিলিস্তিনের মুকাবেলায় সৈনিক প্রেরণ করে বৃটেনের সাথে কৃত ওয়াদাকে সত্যে প্রমাণিত করতে যে, কিছুতেই ফিলিস্তিনিদের স্বপ্ন পূরণ হতে দেওয়া যাবে না। অন্তর প্রশান্তির জন্য ফয়সালের পক্ষ থেকে নিজেদের মাঝে বিপ্লব ভাগ করে নিল। ফলে বিপ্লবের সূচনা হলো। কিন্তু ফিলিস্তিনের কবি আব্দুর রহিম মাহমুদ চুপ থাকতে পারল না। সে আব্দুল আজিজের সম্মুখে দাঁড়িয়ে গেল এবং ব্যথিত হয়ে বলতে লাগল-

يا ذا الأمير أمـام عينك شاعر* * *ضمت على الشكوى الحريرة أضلعه
المسجد الأقصى أتيت تزوره؟!* * *أم جئت من قبل الضيـاع تودعه؟
وغدًا وما أدراك لا يبقى سوى* * *دمـع لنـا يهمي وسن نقرعـه

হে আমির ওয়ালা! তোর সামনে এক কবি আছে,

তপ্ত অনুযোগ তার বলকে জমিয়ে দিয়েছে।

মসজিদে আকসার উপর জুলুম করতে এসেছিস?

নাকি ভূ-সম্পত্তির যে অঙ্গীকার রয়েছে তার আশায়?

আগামীকাল তুই জানিস না, কিছুই থাকবে না

আমার গড়িয়ে যাওয়া অশ্রু আর ঘর্ষণ করা দাঁত ছাড়া।

জন ফেলবি ২৪/৪/১৯৫৫ ইং., ১৩৭৪ হি. রমজান মাসে যাহরানে প্রদত্ত একটি বক্তৃতায় ব্রিটিশ নেতৃত্বের প্রতি আনন্দ প্রকাশ করে বলেছিল-

لقد سرت القيادة البريطانية أعظم سرور ونلنا على إثرها ثلاثة أوسمة تقديرية، الأول لي، والثاني لعبد العزيز، والثالث لفيصل، لهذا الدور، بل لهذا الفاصل التاريخي الذي قام به صديقها الحميم عبد العزيز آل سعود، ووجهت إليه رسالة شكر تفيض بالعواطف لعمله الذي عجز عنه الجميع، كما سر قادة اليهود في فلسطين لهذا الجهد السعودي الجبار

“বৃটিশ নেতৃত্বে আমি বেশ আনন্দ প্রকাশ করছি। এর প্রতিক্রিয়ায় আমরা তিনটি মেডেল পেয়েছি। প্রথমটি আমার, দ্বিতীয়টি আব্দুল আজিজের, তৃতীয়টি ফয়সালের। এই ভূমিকার জন্য বরং এই ঐতিহাসিক চূড়ান্ত ঘটনার জন্য, যা নিয়ে বৃটেনের অন্তরঙ্গ বন্ধু আব্দুল আজিজ আলে সউদ সরব হয়েছেন। তার নিকট কৃতজ্ঞতার বার্তা প্রেরণ করছি যে, যে কাজে সকলে অক্ষম হয়েছে সে কাজকে তিনি সম্পর্কের দ্বারা পরিপূর্ণ করেছেন। যেমনিভাবে ফিলিস্তিনে ইহুদি নেতৃবৃন্দ সৌদি ক্ষমতাশীনদের প্রচেষ্টার কারণে খুশি প্রকাশ করেছে।”

ইবনে সউদের ফিলিস্তিনি সমস্যায় মনোযোগ না দেওয়ায়, এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাওয়া সত্বেও এটা আরো সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হলো। তার প্রসিদ্ধ এক উক্তি “ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের জাতীয়তা সম্পর্কে আমি ভালো করেই জানি”-তার অবস্থানকে আরও বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে।

১৯৪৮ সালে প্রথম আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইবনে সউদ কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেনি, শুধু তার সেনাবাহিনীর একটি দুর্বল ব্যাটালিয়ন পাঠানো ব্যতীত, যারা মিশরীয় সেনাবাহিনীর এক ইউনিট হিসাবে কাজ করেছে।

পূর্বের বর্ণনা দ্বারা আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে গেলো যে, আব্দুল আজিজ-ই হলো প্রথম আরব শাসক, যে ইহুদিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে মেনে নিয়েছে, যে ফিলিস্তিনি বিপ্লবের বিপরীতে বিপ্লবের সূচনা করেছে। তার সিদ্ধান্ত হলো বৃটেনের সিদ্ধান্ত; যদিও কেয়ামত সংঘটিত হয়ে যায়। সে ইহুদিদের প্রতি খুবই দয়াপ্রবণ। তার দৃষ্টিতে ইহুদিরা হলো দরিদ্র, ফিলিস্তিনে তাদের অধিকার রয়েছে। আর তার দৃষ্টিতে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করতে কোনো সমস্যা নেই। ফিলিস্তিনকে পুড়িয়ে ফেলা উচিত, মসজিদে আকসাকে পুড়িয়ে ফেলা উচিত, শুধু বৃটেনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় এবং আব্দুল আজিজ ও তার সন্তানদের সাহায্য করার জন্য।

এভাবেই আমাদের কাছে সৌদি সংস্করণের মধ্যকার পার্থক্য এবং ইতিহাসের আসল বাস্তবতা স্পষ্ট হয়ে যায়। সৌদি রাজপরিবারের খেয়ানত ফিলিস্তিনি ট্রাজেডিতেও থেমে থাকেনি বরং তা চলমান ছিল, এমনকি তা একটি বক্র মানহাযে পরিণত হয়েছে। তারা বড় থেকে পরবর্তী বড়জন উত্তরাধীকার সূত্রে তা পেয়েছে।

আব্দুল আজিজের রাজত্ব জাতিসংঘের মৌলিক অংশ। আব্দুল আজিজের প্রকাশ্য উজির ছিল তারই ছেলে ফয়সাল। সে সাংগঠনিক কাজে শরিক ছিল এবং সে তার বাবার প্রতিশ্রুতির সাথে একমত ছিল, যা নেতৃত্ব এবং সদস্য দেশগুলোর অঞ্চলের জন্য সম্মান বহন করে। অর্থাৎ ককেশাস ও মধ্য এশিয়ার মুসলমানদের উপর সোভিয়েত দখলদারিত্বের, প্যালেস্টাইনের উপর ইসরাইলের, ক্যুটা ও মেলিলার (Ceuta & Melilla) উপর স্পেনের এবং পূর্ব তুর্কিস্তানের উপর চীনাদের দখলদারিত্বের সম্মান বহন করে। ফাহদ বিন আব্দুল আজিজ রাবাত শীর্ষক সম্মেলনে তাঁর উদ্যোগ উপস্থাপন করে, যার মধ্যে সে অধিকাংশ ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলের ক্ষমতা দখলের স্বীকারোক্তি দেয় এবং আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজও তার উদ্যোগ উপস্থাপন করে, তাও অধিকাংশ ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলি দখলদারিত্বের স্বীকৃতি দেয়। সুতরাং এটি ফিলিস্তিনের প্রতি আলে সউদের সুস্পষ্ট নীতি, কেননা তারা অধিকাংশ ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলের দখলদারিত্বকে স্বীকারোক্তি দেয় এবং ফিলিস্তিনের বাকী অংশ মাহমুদ আব্বাসের ন্যায় খেয়ানতকারীর জন্য অর্পণ করে।

ঐতিহাসিক এই বাস্তবতার আলোকে আমাদের কাছে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে গেল যে, আলে সউদ পরিবারের শাসকগোষ্ঠী ইসলামের কিছু নয়। আর তাদের যে দাবী দরবারী আলেমরা প্রচার করে অর্থাৎ তারা হলো মুসলিমদের অভিভাবক, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হারাম-এই সবগুলেই মিথ্যা দাবী। এর ভিত্তিও বাতিল। দ্বীন, উম্মাহ ও পবিত্র নিদর্শনসমূহের সাথে খেয়ানতকারী এই শাসক পরিবারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ওয়াজিব। এটি তাদের অপসারণ এবং নির্মূল করার জন্য সহায়ক হবে এবং এর পরিবর্তে সর্বশক্তিমান আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হবে।

ربنا لا تزغ قلوبنا بعد إذ هديتنا وهب لنا من لدنك رحمةً إنك أنت الوهاب.

ربنا آتنا في الدنيا حسنةً وفي الآخرة حسنةً وقنا عذاب النار.

হে আমাদের রব! হেদায়াত দানের পরে আমাদের অন্তরগুলো বক্র করে দেবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের রহমত দান করুন! নিশ্চয়ই আপনি মহান দাতা। হে আমাদের রব! আমাদের আপনি দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ দান করুন, জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন!

وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين

এবং আমাদের সর্বশেষ দাবী হলো সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্বজাহানের প্রতিপালক।

[1] তারিখে আলে সাউদ-৯৫১

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − six =

Back to top button