অনিবার্য হুমকি -শাইখ খুবাইব আস সুদানি
ইন্সপায়ার ১৭ তে প্রকাশিত শাইখ খুবাইব আস সুদানির প্রবন্ধ ‘Imminent Threat’ এর অনুবাদ
শাইখ খুবাইব আস সুদানি
পশ্চিমা দেশগুলোকে এবং বিশেষ করে আমেরিকাকে সাবধান করে দিয়ে শাইখ উসামা বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলেছিলেন যে, মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে তাদের গৃহীত যুলুমবাজ নীতিসমূহের আগুনে তারা নিজেরাই সবার আগে ভস্মীভূত হবে। এরকম যুলুমের একটি উদাহরণ হলো – ঐসব ইয়াহুদীদের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করা যারা বিগত ৬০ বছর ধরে আমাদের পবিত্র ভূমি দখল করে রেখেছে আর আমাদের ফিলিস্তিনী ভাইদের হত্যা করছে । আরো আছে ইরাকের উপর আরোপিত রাজনৈতিক অবরোধ, যার ফলে প্রায় এক মিলিয়ন শিশু মারা যায়। আর আছে সোমালিয়ায় ১৩০০০ লোক হত্যা করে তথাকথিত শান্তি পুনরুদ্ধার কার্যক্রম। এরপর আমরা দেখলাম কুয়েত মুক্ত করার নামে করা সেই নাটক, যা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুরির দ্বার খুলে দেয়। এভাবে আরবের যেসব যালিম শাসক আল্লাহর আইনের বদলে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো শাসন করে, তাদেরকে আমেরিকা পৃষ্ঠপোষকতা করলো। ফলতঃ তারা দুই পবিত্র মাসজিদের ভূমির সম্পদ ভোগ করে সেখানে নিজেদের ঘাঁটি গাড়লো। তারা যদি আপনাকে কেবল চিনতে পারতো, হে শাইখ উসামা, তাহলে অবশ্যই তারা আপনার ডাকে সাড়া দিতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, যাদের ডাকা হচ্ছে তারা তো প্রাণহীন!
বেশি দিন আগের কথা নয়। কিছু পশ্চিমা টিভি চ্যানেলে কয়েকজন সুবিবেচক ব্যক্তির বেশ কয়েকটি সাক্ষাতকার প্রচারিত হয়। আলোচ্য বিষয় ছিলো সন্ত্রাসবাদ। দুর্ভাগ্যবশত সাক্ষাতকারগুলো বড্ড দেরীতে এলো। ততদিনে আমাদের ভূমিগুলো তাদের নিজেদের নির্বাচিত এবং তাদেরই ট্যাক্সের টাকায় পালিত সরকারগুলোর দুর্ভোগ আস্বাদন করে চলেছে।
এসকল সাক্ষাতকারে তাঁরা এক তিক্ত ব্যথা ও ভয়ের কথা ব্যক্ত করেন যা তারা ইতোমধ্যে ভোগ করতে শুরু করেছে। যে ব্যথা আমাদের উঠোনগুলোতে দীর্ঘদিন যাবত গড়ে উঠছিলো। তাঁরা কথা বলেন আসন্ন বিপদ ও নিরাপত্তাঝুঁকি বিষয়ে যা তাদের জীবনকে ওলটপালট করে দিয়েছে। যেসব সত্যিকার কারণে আমরা পশ্চিমা সরকারগুলোকে ঘৃণা করি সেগুলো তাঁরা আলোচনা করেছেন। ঠিক এই একই কারণগুলোই বহু বছর আগে শাইখ উসামা উল্লেখ ও ব্যাখ্যা করে গেছেন। সেই একই কারণ, যা আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে উদ্বুদ্ধ করেছিলো। যার ফলে তাদের সংজ্ঞায়িত ‘সন্ত্রাসবাদে’র উদ্ভব হয়।
যাদের সাক্ষাতকার গৃহীত হয়, তাঁরা পশ্চিমা সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের লোক। লেখক, প্রফেসর, অ্যাকাডেমিক, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, আমেরিকান আর্মির প্রাক্তন সেনা। এমনকি বিন লাদেনকে খোঁজার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিটের প্রধান মাইকেল শিউয়ারও এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন। এই সকল সাক্ষাতকার থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইসলামী বিশ্বের উপর আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো কর্তৃক চালানো অন্যায়-অত্যাচারের ফলাফলই হলো এই “সন্ত্রাসবাদ”। কথায় আছে “সত্য হলো যা শত্রুরা নিশ্চিত করে।”
এই প্রবন্ধে আমি তাদের স্বীকারোক্তিগুলো দুটো দিক থেকে তুলে ধরেছি:
অর্থনৈতিক স্বীকারোক্তি
প্রথম স্বীকারোক্তি হলো আমেরিকান অর্থনীতিবিদ, লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী জন পার্কিন্সের। ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার সমর্থনের কারণে ৭০ এর দশকের শুরুতে ওপেক কর্তৃক আমেরিকায় তেল পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আমেরিকা-সৌদির যে চুক্তির ফলে আমেরিকায় তেলের প্রবাহ নিশ্চিত হয়, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন পার্কিন্স। পার্কিন্সের বক্তব্য অনুযায়ী, আমেরিকা ১৯২৯ এর মতো আরেকটি মন্দার আশংকা করছিলো। আমেরিকার কোষাগার বিভাগ তখন সমাধানের জন্য এবং আরেকটি ওপেক ব্ল্যাকমেইল এড়ানোর জন্য পার্কিন্স ও অন্যান্য ‘ইকোনমিক হিটম্যান’দের কাছে দৌড়ে আসে। দুটো কারণে সেই পরিকল্পনায় সৌদির জড়িত থাকা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। একটি হলো ওপেকের সবচেয়ে বড় তৈল উৎপাদক এই সৌদিই। আর দ্বিতীয় ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো- এটি সৌদি রাজাদের আবাস, যারা দূষিত এবং দূষণযোগ্য। আর অবশ্যই আমেরিকার স্বার্থ সংরক্ষণে তারা যেকোনো চুক্তি করবে। চুক্তি সাক্ষরিত হলো। যাকে পার্কিন্স বলেন “শতাব্দীর সেরা চুক্তি”। ঘটে গেলো ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুরি। ভিডিওটা আমাকে স্তব্ধ করে দেয়! শায়খ উসামার নিরলস চেষ্টা আর উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা দিয়ে সতর্ক করা সত্ত্বেও এই ইকোনমিক হিটম্যানেরা অকল্পনীয় এক চুরি সংঘটিত করে দিলো।
পার্কিন্স বলেন, “এই চুক্তি অনুযায়ী, আমেরিকার কাছে তেল বিক্রি করার মাধ্যমে সৌদি আরব যত অর্থ উপার্জন করেছে, তার প্রায় সবটুকু তারা আমেরিকা সরকারের জামানতে বিনিয়োগ আকারে আমেরিকাকে ফিরিয়ে দেবে। আর আমেরিকার ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট সেই জামানতের লভ্যাংশ (যার পরিমাণ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে) ব্যবহার করবে সৌদি আরবের পশ্চিমাকরণের কাজে। যেমন- পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স নির্মাণ, মরুর বুকে শহর গড়ে তোলা, ম্যাকডোনাল্ডস ইত্যাদিসহ আরও যা কিছু পশ্চিমা সংস্কৃতির সাথে যায়। তেলের মূল্য তেল কোম্পানিগুলোর নাগালের মধ্যে রাখতেও সাউদ পরিবার রাজি হয়। আর এটা ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পার্কিন্স বলেন, “তাঁরা এ ব্যাপারে সম্মত হন যে তাঁরা কখনোই ইউএস ডলার ছাড়া অন্য কিছুর বিনিময়ে তেল বেচবেন না। গোল্ড স্ট্যান্ডার্ডের বিপরীতে আমেরিকার দেউলিয়া হয়ে বসার ঠিক আগ মুহূর্তে মিত্র আমেরিকাকে উদ্ধার করলো সৌদি। পার্কিন্স আরো বলেন, “এই অসাধারণ, ঐতিহাসিক, শতাব্দীর সেরা চুক্তির দর কষাকষিতে আমেরিকার দায়িত্ব হলো কেবল সাউদ পরিবারের মসনদ টিকিয়ে রাখা।” বলেন, “এই চুক্তি এক অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফলের দিকে নিয়ে গেলো যাকে সিআইএ বলছে পাল্টা আঘাত। তা হলো বিন লাদেনকে আমেরিকার সাংস্কৃতিক আগ্রাসন দেখিয়ে ক্ষেপিয়ে তোলা।”
মিলিটারি স্বীকারোক্তি
দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিটি ২০০৩-এ ইরাক যুদ্ধে অংশ নেওয়া প্রাক্তন আমেরিকান সৈনিক মাইক ব্রেইসনারের। ইনি হলেন অনুরূপ স্বীকারোক্তি প্রদান করা একদল প্রাক্তন সেনার একজন মাত্র। তিনি বলেন, “হাজার হাজার শিশু মারা যাবে জেনেও প্রথম গাল্ফ যুদ্ধে আমেরিকান সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক যানবাহন পুড়িয়ে দেয়, বেসামরিক অবকাঠামোকে নিশানা বানায় আর পানি সাপ্লাইগুলো বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়।” তিনি আরো বলেন, “আমরা কেবল জেনেছি যে আমরা এই আক্রমণ শুরুর পর থেকে এক মিলিয়নের বেশি ইরাকিকে হত্যা করেছি। কিন্তু এর আগেই নব্বইয়ের দশকে অবরোধ আর বম্বিংয়ের মাধ্যমে আরো এক মিলিয়ন ইরাকি হত্যা করে এসেছি। বাস্তবে এই সংখ্যা আরো বেশি।” তিনি স্মরণ করেন ইরাকে আসার পর তিনি এক নতুন শব্দ শেখেন- ‘হাজি’। “হাজি মানে শত্রু, ইরাকি মানেই হাজি, হোক সে কোনো পিতা বা শিক্ষক বা শ্রমিক।” তিনি বিভিন্ন রেইডের বিস্তারিত বর্ণনা দেন। স্মরণ করেন কীভাবে বেসামরিক লোকদের ঘরগুলো ইউএস মিলিটারির সম্পত্তি হয়ে গেছে দাবি করে পরিবারগুলোকে বের করে দেওয়া হতো। কোনো বিকল্প আবাসের ব্যবস্থাও করা হতো না। বের হতে অস্বীকার করায় এক নারী আর দুটি ছোট মেয়েকে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বের করা হয়। আর পুরুষদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়।
ব্রেইসনার আর তাঁর সমগোত্রীয়রা ঘরে ফিরে এসে এসব কথা বলেন। ইরাক, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও অন্যান্য জায়গায় অমানবিক ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে এসে দুঃখ দুঃখ চেহারা করে তাঁরা এসব কাহিনী বলেন। এভাবেই তাঁরা স্বীকার করেন যে তাঁরাই আসল সন্ত্রাসী আর তাঁদের পেশা হলো সন্ত্রাস। যেমনটা তাঁদের বলা হয়েছিলো যে তাঁরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন, তেমনটা নয়। দুর্বল যুক্তি দেখিয়ে ইরাক আর ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোতে আক্রমণ করে মানুষ হত্যা, অবকাঠামো ধ্বংস ও সবকিছু নিশ্চিহ্ন করা হয়। সিনিয়র এবং নেতাদের থেকে জুনিয়র আর্মিরা এসব যুক্তি শিখে তোতাপাখির মতো বলতে থাকে। আর যখন দেখে যে যুদ্ধে তারা হেরে যাচ্ছে আর পরিকল্পনামাফিক কিছুই হচ্ছে না, তখন কান্নাকাটি করে যে তাদের হিসেবে গড়বড় ছিলো। ইন্টেলিজেন্স ঠিকমতো কাজ করেনি। এভাবেই আমেরিকা তার জনগণকে বোকা বানিয়ে রেখে তাদের প্রশংসা কুড়ায়।
অতীত হোক বা সাম্প্রতিক, আমেরিকার ইতিহাসে কখনোই দেখা যায়নি যে তারা তাদের কোনো নাগরিককে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের হাতে তুলে দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করা একটা নেতাকেও না। রেড ইন্ডিয়ানদের নিশ্চিহ্নকারী গণহত্যা দিয়ে শুরু। তারপর তাদের ফাউন্ডিং ফাদারেরা ম্যানিফেস্ট ডেস্টিনি নীতি গ্রহণ করে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধের আশ্রয় নিয়ে শুরুর দিকের ১৩টি স্টেটের বাইরেও তারা সীমানা বিস্তার শুরু করে। তারপর ইউএসের সীমা ছাড়িয়ে দক্ষিণ আমেরিকা, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, হিরোশিমা, নাগাসাকি। এসব জাতির প্রতি সামান্য ক্ষমাভিক্ষা করতেও এরা অস্বীকার করে। কেন? কারণ তারা নিজেদের রক্তকে সবার উপরে স্থান দেয়। নিজেদেরকে প্রথম বিশ্ব, আর বাকিদের দ্বিতীয়-তৃতীয় বিশ্ব ভাবে।
আল্লাহ কুরআনে বলেন,
“ইয়াহুদী ও নাসারারা (উভয়ই) বলে, ‘আমরা আল্লাহর সন্তান ও তাঁর প্রিয়ভাজন।'” [৫:৮১]
“কারণ তারা বলে, ‘নিরক্ষরদের (অ-ইসরাইলী) সম্পদ (আত্মসাৎ) এর ব্যাপারে আমাদের কোনো দোষ নেই।'” [৩:৭৫]
“ফির’আউন বললো, “আমি তোমাদের তা-ই দেখাচ্ছি, যা আমি নিজে বুঝেছি। আর আমি তোমাদের সঠিক পথই দেখাচ্ছি।'” [৪০:২৯]
হে আমেরিকা, তুমি তাহলে শাইখ উসামার মতো লোকদের কাছ থেকে কী আশা করো? তোমরা তাঁদের ভূমি দখল করেছো, পবিত্রতা দূষিত করেছো, সন্তানদের হত্যা করেছো। তাঁদের কি অধিকার নেই আত্মরক্ষা করার? বিশেষত তোমরা যা করেছো সেসবের পর? নাকি এই অধিকার কেবল তোমাদের নিজেদের জন্যই? বরং তোমরা হিসাবে ভুল করেছো। ভেবেছো মুসলিম ভূমির সবার ডিএনএ তাদের যালিম শাসকদের মতোই। তোমরা কি ভুলে গেছো যে সব ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে? ওপেক কর্তৃক তেল সরবরাহ বন্ধের পর তোমরা তোমাদের প্রতিক্রিয়া বেছে নিয়েছো, যেমনটা জনাব পার্কিন্স বললেন। অতএব, বিন লাদেনের লস্করদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকো। হে আমেরিকার জনগণ! এই হলো তোমাদের হাতে নির্বাচিত ও তোমাদের ট্যাক্সের টাকায় পুষ্ট সরকারের নীতিমালা। অতএব, হয় উপদেশদাতাদের উপদেশ গ্রহণ করো। যেমনটা সৈনিক ব্রেইসনার বলেছেন, “আমাদের জেগে উঠতে হবে আর বুঝতে হবে যে আমাদের শত্রু কোনো দূরবর্তী ভূমিতে নয়। বরং আমাদের শত্রু হলো আমাদের চেনাজানা লোকজন। শত্রু হলো এই সিস্টেম যা ফায়দা হাসিলের সম্ভাবনা দেখলেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। আমাদের শত্রু ৫০০০ মাইল দূরে নয়। আমাদের শত্রু ঘরের ভেতরেই। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের ভাইবোনদের বিরুদ্ধে লড়তে পারি, আমরা এই যুদ্ধ থামাতে পারবো, সরকারকে নিবৃত্ত করতে পারবো। একটা সুন্দরতর পৃথিবী গড়তে পারবো।” আর না হয় নিজ হাতে বপন করা ফসল ভোগ করতে তৈরি হয়ে যাও। আর তা হলো ভয়, আতংক আর মৃত্যু। যা ঘটবে নতুন সৃষ্টিশীল ও ধ্বংসাত্মক একাকী জিহাদ অপারেশানের ফলে। আর এগুলো তোমাদের বাসভূমির লোকদের দ্বারাই পরিচালিত হবে। এমন লোকজন যাদের পা জিহাদের ভূমি আফগানিস্তান বা শামের মাটি ছোঁয়নি। যাদের নাম এফবিআই ও সিআইএ’র ব্ল্যাকলিস্টে নেই। হে আমেরিকার জনগণ! আমাদের প্রতি তোমাদের সরকারের যুলুমবাজ নীতিমালা পাল্টাতে যতক্ষণ না তোমরা তাদের বাধ্য করছো, যতদিন না শেষ হানাদার সৈন্যটিকেও আমাদের ভূমি থেকে সরিয়ে নিচ্ছো, ততদিন তোমরা শান্তি পাবে না।
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল ‘আলামীন।