সৌদ পরিবার: মুজাহিদের হত্যাকারী – শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরি (হাফি)
সৌদি তাগুত কর্তৃক ৪০ জনেরও অধিক মুজাহিদ আলেমের শাহাদাৎ বরণের পর আমিরুল মুজাহিদিন শায়খ আইমান আজ জাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ)’র বার্তা
বাংলা সাবটাইটেলসহ
আপনাদের নেক দু’আয় আমাদের ভুলবেন না।
https://banglafiles.net/index.php/s/WLmwaJS9z77d66M
https://archive.org/details/ale-saud-final_202010
https://archive.org/download/ale-saud-final_202010/Ale%20Saud%20Final.mp4
https://j.top4top.io/m_1759y08o21.mp4
https://www.solidfiles.com/v/V7Lq7GwqmNLzB
http://www.mediafire.com/file/cul8hy03sbyzyx6/29.Ale_Saud_Final.mp4/file
Banner 55 KB
https://archive.org/details/29.alesaudfinal
https://archive.org/download/29.alesaudfinal/29.Ale%20Saud%20Final.mp4
https://www.solidfiles.com/v/387vdLANqpyjz
https://mega.nz/file/Eslh1CwR#wgxqJs7qkLaoAXW0Ut8MD4T-qS3BiDxVVjxhH2m9p7M
http://www.mediafire.com/file/cul8hy03sbyzyx6/29.Ale_Saud_Final.mp4/file
docx (66 KB)
https://banglafiles.net/index.php/s/QeixL97DHWDGdYr
সৌদ পরিবার: মুজাহিদের হত্যাকারী
–শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ্)
وَٱلسَّمَآءِ ذَاتِ ٱلْبُرُوجِ • وَٱلْيَوْمِ ٱلْمَوْعُودِ • وَشَاهِدٍۢ وَمَشْهُودٍۢ • قُتِلَ أَصْحَـٰبُ ٱلْأُخْدُودِ • ٱلنَّارِ ذَاتِ ٱلْوَقُودِ • إِذْ هُمْ عَلَيْهَا قُعُودٌۭ • وَهُمْ عَلَىٰ مَا يَفْعَلُونَ بِٱلْمُؤْمِنِينَ شُهُودٌۭ • وَمَا نَقَمُوا۟ مِنْهُمْ إِلَّآ أَن يُؤْمِنُوا۟ بِٱللَّهِ ٱلْعَزِيزِ ٱلْحَمِيدِ
শপথ গ্রহ-নক্ষত্র শোভিত আকাশের, এবং প্রতিশ্রুত দিবসের, এবং সেই দিবসের, যে উপস্থিত হয় ও যাতে উপস্থিত হয় অভিশপ্ত হয়েছে গর্তওয়ালারা অর্থাৎ, অনেক ইন্ধনের অগ্নিসংযোগকারীরা যখন তারা তার কিনারায় বসেছিল। এবং তারা বিশ্বাসীদের সাথে যা করেছিল, তা নিরীক্ষণ করছিল। তারা তাদেরকে শাস্তি দিয়েছিল শুধু এ কারণে যে, তারা প্রশংসিত, পরাক্রান্ত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। [সুরা বুরূজ: ১-৮]
শাইখ আনওয়ার আল আওলাকি রহিমাহুল্লাহ্–
শাহাদাৎ হচ্ছে গাছের মতো এতে ফল ধরে এরপর তা একসময় পাকে অতঃপর সময় আসার পর, সেই ফল পাড়া হয় এমনটা কেবল নির্দিষ্ট মৌসুমেই হয়ে থাকে এভাবেই আল্লাহর বান্দারা একের পর এক ধাপ সফলতার সাথে পার করে থাকে, যখন শহিদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সময় চলে আসে আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, “আর তিনি তোমাদের কিছু লোককে শহীদ হিসাবে গ্রহণ করতে চান” অতঃপর, জাজিরাতুল আরবে শাহাদাতের এই বৃক্ষের ফলগুলো ইতিমধ্যেই পেকেছে এবং যখন ফল তুলে নেয়ার সময় তখনই আল্লাহ্ তা’আলা তাদের (জাজিরাতুল আরবের মুজাহিদিন) মধ্যে থেকে শহিদ হিসেবে নির্বাচিত করেন।
সৌদ পরিবার: মুজাহিদের হত্যাকারী
আমিরুল মুজাহিদিন শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ্)
বিসমিল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের উপর, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবা এবং যারা তার সাথে বন্ধুত্ব রাখে তাদের উপর।
হে সর্বস্থানের মুসলমান ভাইয়েরা!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ ৷
তারপর:
সৌদি হুকুমত কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সিংহদের সহ চল্লিশ জনেরও অধিক মুজাহিদ হত্যার সংবাদ প্রচার করেছে সকল সংবাদমাধ্যমগুলো। আর অন্যজন ছিল নিমর আল নিমর, জাষীরার পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসকারী একজন ইরানী ব্যক্তি তার হত্যাকান্ডটি ছিল সৌদি প্রশাসনের ইরানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার প্রতিযোগীতার অন্যান্য প্রদর্শনীগুলোর মত একটি প্রদর্শনী কিন্তু সবই আমেরিকার স্বার্থরক্ষা ও তাদের সুবিধানুকূল হওয়ার শর্তে অতঃপর যখন আরব জনগণ ড্রোনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল, তখন সৌদি আরব জয়নুল আবেদীন ইবনে আলীকে মেহমান হিসাবে আমন্ত্রণ জানালো এবং সিসিকে শক্তি জোগালো অপরদিকে ইরান কসাইয়ের পুত্র কসাই বাশার আল-আসাদের শিকড় মজবুত করল।
আর ইয়েমেনে অরাজকতা বন্ধের জন্য পরিচালিত জনগণের বিপ্লবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার ব্যাপারে সকলে একসাথে শপথ নিল ইরান শক্তি জোগালো অপসারিত নেতাকে, আর সৌদি শক্তি যোগালো তার নায়েবকে (আব্দুর রব্ব মনসুর হাদি) আর শামে উভয় দলই মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শরীক হল। সৌদি শরীক হল আমেরিকার মিত্রতার ভিত্তিতে, আর ইরান শরীক হল রাশিয়ার মিত্রতার ভিত্তিতে আর সবাই ঐক্যবদ্ধ মুজাহিদদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ব্যাপারে এবং জিহাদ ও রিবাতের ভূমি শামে যে কোনো মুজাহিদিন নিয়ন্ত্রিত ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের বিরুদ্ধে ইরান তাদের লোকটির জন্য পুরো দুনিয়াজুড়ে হৈচৈ শুরু করল কিন্তু যাদের কোন ক্রন্দনকারী নেই, তাঁরা হলেন মুজাহিদগণ, যারা আমেরিকার প্রকৃত শত্রু। যারা তাদের নবী (ﷺ) এর এই আদেশ বাস্তবায়নে সাড়া দিয়েছিলেন: রাসুল (ﷺ) বলেন, “মুশরিকদেরকে জাযীরাতুল আরব থেকে বের করে দাও।” এবং আল্লাহর সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন যে, তাঁরা তাদের ইমাম উসামা বিন লাদেন রহ. এর সেই কসম পূর্ণ করবেন:
“সেই মহান আল্লাহর শপথ, যিনি আসমানকে খুটিবিহীন দাঁড় করিয়েছেন। আমেরিকা ও যারা আমেরিকায় বাস করে তারা ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদে জীবন কাটাতে পারবে না, যতক্ষণ না আমরা ফিলিস্তীনে বাস্তবিকভাবে নিরাপদে জীবন কাটাতে পারি এবং যতক্ষণ না সকল কাফের সৈন্য মুহাম্মাদ ﷺ এর ভূমি থেকে বের হয়ে যায়।”
আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করি, তিনি মুসলিম উম্মাহকে তাদের (শহিদ ৪০+ শায়খ) বিনিময়ে তাদের থেকে উত্তম কাউকে দান করুন এবং ইসলামকে সাহায্য ও হারামাইনের ভূমিকে মুশরিক ও তাদের সহযোগী বিশ্বাসঘাতক মুরতাদ জালিমদের থেকে মুক্ত করার জন্য তারা যে জিহাদ ও কুরবানী করছেন তা কবুল করুন। একইভাবে শোক প্রকাশ করছি, তাঁদের পরিবার, নিকটজন ও তাঁদের ভাইদের উদ্দেশ্যে সাথে সাথে মহান মাওলা ও আরশের রবের নিকট প্রার্থনা করছি, তিনি তাদেরকে উত্তমভাবে ধৈর্যধারণ ও আল্লাহর ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকার তাওফীক দান করুন, আল্লাহ্ তাদের অন্তরকে সবর ও ঈমানের দ্বারা সুদৃঢ় করুন এবং তাদেরকে মহা প্রতিদান দান করুন সবশেষে
তিনটি বার্তার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করছি:
প্রথম বার্তাটি মুজাহিদদের জন্য:
তাদের উদ্দেশ্যে বলবো: আপনাদের ভাইদের জন্য সর্বাপেক্ষা উত্তম প্রতিশোধ হবে, আপনারা ক্রুসেডার ও জায়নবাদী জোটের উপর আঘাত করুন, তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থানগুলো খুঁজুন, যেখানে পান কারণ সৌদ পরিবারকে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা দিবে, যদি তাদের প্রভুদের উপর আক্রমণ করা হয়, কারণ এতে তারা (আমেরিকানরা) তাদেরকে (সৌদ পরিবর) বাদ দিয়ে নতুন চাকর খুঁজবে।
দ্বিতীয় বার্তাটি আমাদের জাযীরাতুল আরবের বাসিন্দা, উলামা, দায়িত্বশীল ও সম্রান্ত গোত্রসমূহের প্রতি!
তাদের উদ্দেশ্যে বলবো: এখনো কি আপনাদের সময় হয়নি, এই নষ্ট শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার? যা আপনাদের দ্বীন ও দুনিয়া ধ্বংস করেছে, যা আপনাদের কোন প্রতিরক্ষাই করতে পারবে না, না সাফাবী আগ্রাসন থেকে, না আমেরিকার কর্তৃত্ব থেকে; বরং সত্ত্বরই তার অপরাধীরা পলায়ন করবে, যেমনিভাবে সবাহ পরিবার পলায়ন করেছিল এমনিভাবে জাযীরাতুল আরবের সত্যবাদী আলেমদেরকে ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায় কাজে বাঁধা প্রদানের ব্যাপারে তাদের দায়িত্ব পালনের কথা স্মরণ করিয়ে দিবো, এই মুরতাদ শাসনব্যবস্থার ব্যাপারে, যা মুসলমানদের সাথে শত্রুতা করে এবং তাদের সম্পদসমূহ ছিনতাইকারী পশ্চিমা চোরদেরকে হেফাজত করে তারিক ইবনে শিহাব রা. থেকে বর্ণিত, জনৈক লোক রাসূলুল্লাহ ﷺ কে প্রশ্ন করলো (তখন তিনি সওয়ারীর রেকবে পা রাখাবস্থায় ছিল): “কোন জিহাদ উত্তম?” রাসূল ﷺ বললেন: “জালিম বাদশার সামনে হক কথা বলা”
তাদের উচিৎ, শহীদ (যেমনটা আমরা তার ব্যাপারে ধারণা করি) আলিম ফারিস ইবনে আহমাদ আয যাহরানী (রহ:) এর থেকে আদর্শ গ্রহণ করা, কারণ তিনি তার কুরবানী ও শাহাদাতের মাধ্যমে তার কথাগুলোকে জীবন্ত করে গেছেন যা আল্লাহর সাহায্যে কঠিন ভূমিকা পালন করবে, তাগুতদের জুলুমের বিরুদ্ধে, জালিমদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং অপরাধীদের গুরুদের বিরুদ্ধে আমি তাদেরকে উলামায়ে সূ (বাতিল আলেমদের) মুখোশ উন্মোচনে তাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, যারা অপরাধীদের গুরুদের নিকট মুসলমান ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে পরিচালিত তাদের অন্যায় আচরণসমূহকে সুসজ্জিত করে তুলছে নবী ﷺ বলেছেন: “তোমরা শোনো! তোমরা অতিসত্ত্বর আমার পরে এমন শাসকদের ব্যাপারে শুনতে পারবে, যে তোমাদের নিকট যাবে, তাদেরকে তাদের মিথ্যা কর্মে সমর্থন করবে, তাদেরকে তাদের জুলুমে সহায়তা করবে- সে আমার থেকে নয়, আমিও তার থেকে নই। এবং সে হাউজে কাউসারের নিকট আসতে পারবে না। আর যে তাদের নিকট যাবে না তাদের মিথ্যার উপর সমর্থন করবে না এবং তাদেরকে তাদের জুলুমে সাহায্য করবে না সে আমার থেকে আমিও তার থেকে এবং শীঘ্রই সে হাউযে আমার নিকট আসবে।
তৃতীয় বার্তা: শামের জিহাদের সিংহদের প্রতি।
তাদের উদ্দেশ্যে বলবো; হে সৌদির ভাইগণ! আপনারা তো দেখলেন, মুজাহিদদের হত্যাকারীদেরকে, যারা জিহাদ ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে তাদের নতুন অপরাধের পর্দা উন্মোচিত করেছে আমেরিকা ও ইসরাঈদের স্বার্থে। তারা আপনাদের ব্যাপারে চায়, আপনারা সেই সব লোকদের মত হন, যারা প্রথমে (৮০’র দশকে) আফগানিস্তানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়েছে, অতঃপর বর্তমানে আমেরিকান মনিবদের সাথে মিশেছে তাই আপনাদের কে আছেন, এতে সন্তুষ্ট হবেন??
সর্বশেষ কথা, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সমস্ত জগতের প্রতিপালক দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবাদের উপর।