বিজয়ী উম্মাহর প্রতি সংক্ষিপ্ত বার্তা পর্ব – ২ || পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না- শায়খ আইমান আল-জাওয়াহিরী (হাফিজাহুল্লাহ)
বিজয়ী উম্মাহর প্রতি সংক্ষিপ্ত বার্তা
পর্ব – ২
মুসলিম উম্মাহ’র প্রতি
শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ’র
গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য
“বিচ্ছিন্ন হয়ো না”
সম্পূর্ণ বাংলায়ঃ
সংক্ষিপ্ত বার্তা
ডাউনলোড করুন
ভিডিও ডাউনলোড করুন [১৬ এমবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/sHLLWAJRnsjffY2
https://archive.org/download/BicchinnoHoyoNa/bicchinno%20hoyo%20na.mp4
https://www.file-upload.com/wpl95rxtdwvz
http://www.mediafire.com/file/swuwg27trx4m2i2/bicchinno_hoyo_na.mp4/file
https://ln.sync.com/dl/3bf8f2910/gcpzpzth-6acprh9e-4rm45tjx-n5ze8pmr
ভিডিও ডাউনলোড করুন : (14 MB)
https://banglafiles.net/index.php/s/6xJqFTkJtnEjWS3
https://www.file-upload.com/k7jq2xhalulh
https://archive.org/download/DontBeDividedd/DontBe%20Divided.mp4
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [১৮৪কেবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/MN9b7MfprykfiHW
https://archive.org/download/BicchinnoHoyoNa/Bicchinno%20Hoyona.pdf
https://www.file-upload.com/tedqde49pfm8
http://www.mediafire.com/file/939vy1el193eqyv/Bicchinno_Hoyona.pdf/file
https://ln.sync.com/dl/5ca83fff0/bnzppck4-d74emx34-tu5g6qe9-ghubsa4k
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
https://banglafiles.net/index.php/s/5fs4ptoWwTDrCXR
https://www.file-upload.com/idx86dhabs30
====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]
—————–
বিজয়ী উম্মাহর প্রতি সংক্ষিপ্ত বার্তা
পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।
শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ)
بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وآله وصحبه ومن والاه
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দরূদ ও সালাম আল্লাহর রাসূলের উপর এবং তার পরিবারবর্গ, সাহাবা ও যারা তার সাথে বন্ধুত্ব রাখে তাদের উপর।
শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেকের ওপরই ফরয; এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন,
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন; যারা তাঁর পথে যুদ্ধ করে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায়।”- (সূরা সফ: ৪)
কুফরী শক্তির বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে যারা নিরন্তর নিরলসভাবে পরিশ্রম করেন। তাঁদের অন্যতম ছিলেন শায়খ উসামা বিন লাদেন রহ.। তিনিই যুগের হোবল আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্যে উম্মাহকে এক করার চেষ্টা করেন।
এর উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছে, তাঁর উল্লেখযোগ্য উদ্ভাসিত রাজনৈতিক কৌশল তিনি ইমারাতে ইসলামিয়ার অধীনে বায়আত দিয়েছেন এবং বিশ্বের সমস্ত মুসলমানদের এ বায়আত দেয়ার জন্যেই আহ্বান করেছেন।
এটি এমন এক ইমারাহ, যার প্রশংসা করেছেন শায়খ হামুদ বিন উকলা রহ., শায়খ সুলামান আল-উলওয়ান ও আলী আল-খুদাইর (আল্লাহ তাঁদেরকে মুক্ত করুন), সেনাধ্যক্ষ শায়খ আবু হাফস রহ., শায়খ আবু মুসআব আয-যারকাভী রহ., শায়খ আবু হামযা আল-মুহাজির রহ., শায়খ আবুল লাইছ আল-লিবী, শায়খ আতিয়াতুল্লাহ আল-লিবী, শায়খ আবু ইয়াহইয়া আল-লিবী রাহিমাহুমুল্লাহ, শায়খ নাসির আল-ওয়াহশী রহ., শায়খ মুখতার আবু যুবায়ের রহ., শায়খ আবু মুহাম্মাদ আত-তুরকিস্তানী রহ., শায়খ আবু কাতাদা আল-ফিলিস্তিনী, শায়খ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদিসী, শায়খ হানী আস-সিবায়ী, শায়খ তারেক আব্দুল হালীম সহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম ও নেতৃত্বশীলগণ এবং দাওয়াত ও জিহাদের ময়দানের বিশিষ্টব্যক্তিগণ।
তাঁরা কোন অতি উৎসাহ বা ভয়ের বশবর্তী হয়ে এ ইমারাহ’র প্রশংসা করেননি; বরং তাঁদের প্রশংসা ছিল সত্যের প্রতি সাক্ষ্যদান; এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে উম্মতে মুসলিমার এক কাতারে একতাবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যেই পদক্ষেপ।
এটি সে ইমারাহ; যা সৎকাজের আদেশ দেয়, মন্দ কাজ হতে নিষেধ করে, শরীয়ত অনুযায়ী বিচার-ফয়সালা করে, মুহাজির ও দুর্বলদের আশ্রয় প্রদান করে, তন্ত্র-মন্ত্র নামক মূর্তিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, সীমালঙ্গনকারী ক্রুসেডারদেরকে সমুচিত জওয়াব দেয়।
তাই আমার মুসলিম ও মুজাহিদ ভাইদের আহ্বান করছি, বিশেষ করে আফগানিস্তানের ভাইদেরকে আহ্বান করছি, আপনারা এই ইমারাহ’র পাশে সমবেত হোন। মুজাহিদদেরকে বিচ্ছিন্ন করার জন্যে হীন চেষ্টার প্রতি আপনারা মোটেও সাড়া দেবেন না। যারা এমন অপচেষ্টায় লিপ্ত; তাদের কাজই প্রমাণ করে, তারা ইসলামের শত্রু বৈ ভিন্ন কিছু নয়।
মুজাহিদদেরকে বিচ্ছিন্ন করার এ হীন অপচেষ্টায় প্রথমে আসে জামাআতু ইবরাহীম আল-বদরীর নাম। যারা হলো নিকৃষ্ট খারেজীদের উদাহরণ। অনবরত মুসলিম জনসাধারণ ও মুজাহিদদেরকে তাকফীর করাই যাদের বৈশিষ্ট্য। এমনকি তারা সৎকর্মের কারণেও মুসলমান ভাইদের প্রতি কুফরের অপবাদ চাপায়। উদাহরণ চাইলে, বলা যায়, শহীদ ভাই আবু সাঈদ আল-হাদরামী রহ. এর কথা। তাকে তাকফীর করা হয়, কেননা তিনি জায়শুল হুর এর কাছ থেকে জিহাদের ওপর বায়আত নেন।
জামাআতু ইবরাহীম আল-বদরী (বাগদাদি) আল-কায়েদার নেতৃত্বশীলকে পর্যন্ত তাকফীর করে। কারণ কী? তারা দাওয়াতের ক্ষেত্রে কখনো কখনো নরম কথাও বলে। এ জামাআতের আরো কিছু বৈশিষ্ট্য হলো, শরীয়তের আলোকে বিচার-ফয়সালা থেকে পলায়ন করা, মিথ্যা রটানো, অপবাদ আরোপ করা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা।
এত কিছুর ওপর তারা ঘোষণা দিল, যারা তাদের বিরুদ্ধে যাবে, চাই সে শরীয়তের আলোকে বিচার প্রার্থণা করুক না কেন; সে কাফের, তার স্ত্রী ব্যাভিচারিণী! এ যেন তারা নবুওয়তের দাবী করছে, যারাই তাদের বিরুদ্ধে যায়; তারাই কাফের!
আল-কায়েদাকে তাকফীর করার যথোপযুক্ত একটি কারণ বর্ণনার জন্যে তাদেরকে বহু বার আহ্বান করা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত তারা কোন প্রকার জবাব দেয়নি। আজও আমরা তাদেরকে, তাদের নেতা ইবরাহীম আল-বদরীকে আহ্বান করছি- আমাদেরকে তাকফীর করার কারণগুলো বর্ণনা করে দাপ্তরিকভাবে বিবৃতি প্রদান করুন। যে কারণগুলো হতে হবে অকাট্য এবং সুদৃঢ়।
আমাদের বারবার বলা সত্ত্বেও তারা আজ পর্যন্ত এটা বলেনি যে, সে সব লোক কারা? যারা তাকে নেতা হিসেবে ঘোষণা দেয়। তাকে খলীফার আসনে বসায়। আমরা আজও ইবরাহীম আল-বদরীর কাছে জানতে চাইবো, যারা তাকে খলীফার আসনে বসিয়েছে, তাকে বায়আত দিয়েছে; কে তারা?
তাদের অতীতে অর্জিত যোগ্যতাই বা কী? তাদের বৈশিষ্ট্য কী? তাদের বিষয়ে স্পষ্ট করতে হবে, যারা সাদ্দামের বাহিনীতে (বাথ পার্টিতে) ছিল, বিশেষ করে যারা ছিল সাদ্দামের গোয়েন্দা বিভাগে। কোন অধিকারে তাদেরকে উম্মতে মুসলিমার নিয়ন্ত্রণে বসানো হয়েছে?
হে মুসলিম ও মুজাহিদ ভাইগণ! বিশেষ করে আফগানের ভাইয়েরা! ইমারাতে ইসলামিয়া তার আমীর, দায়িত্বশীল ও সেনাদের নিয়ে চৌদ্দ বছরেরও বেশি সময় ধরে, একমাত্র রবের ওপর ভরসা করে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে ক্রুসেডারদের হামলার প্রতিরোধ করে আসছে। তাদের দেয়া এমন অসংখ্য কোরবানীর পর নব্য খারেজীদের আবির্ভাব ঘটেছে, তাদেরকে কাফের বলার জন্যে!
বলে কী? তালেবান তাগুতের গোয়েন্দা দল! তাহলে বলো, আমেরিকার বিমানগুলো কেন তাদের গোয়েন্দাদের ওপর হামলা করবে? আমেরিকার গোয়েন্দা দল কী আমেরিকাকে মৃত্যুর ঘাটে নিয়ে যাবে? নিজেদেরকে লাঞ্ছনার শেষ দেখিয়ে ছাড়বে? তাগুত গোয়েন্দা দল কি মুরতাদ সরকারকে হত্যা করবে? আফগানিস্তানকে তাদের ফাসাদ থেকে মুক্ত করবে?
তাই আমি সতর্ক করছি, ইবরাহীম আল-বদরীর অপরাধগুলো জেনেও যারা তাকে বায়আত দেবে; তারা তার এ সবকর্মে তার সমান সাহায্যকারী।
সে তাদের মতোই শরীয়তের বিচার-ফয়সালা থেকে পালানোর ব্যাপারে তাদের সঙ্গী। মুসলমানদেরকে তাকফীর করা, ক্রুসেডারদেরকে প্রতিহতকারী মুজাহিদদেরকে বিচ্ছিন্ন করা, তাদেরকে মিথ্যা অপবাদ দেয়া, মুজাহিদদের পূত স্ত্রীদেরকে কযফ তথা ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া, যারা শরীয়তের আলোকে বিচার-ফয়সালা করতে চায় তাঁদেরকে হত্যা করা, তাঁরা তাদের অনুগত না হলে তাঁদেরকে হত্যার হুমকি দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সমান অংশীদার। তাদের অংশীদার তাদের সকল অপরাধে। বিচার দিনের জন্যে তারা যেন জবাব তৈরি করে রাখে।
সবশেষে, সকল প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীনের। শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক আমাদের নেতা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি এর ওপর। তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবীদের ওপর। আস-সালামু আলাইকুম ও রহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু।
ওয়াস-সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।