আফগানিস্তানে দুই-তিন দিনে ৭০-এর অধিক মুরতাদ সেনা আহত-নিহত, শত্রুদের হামলায় শিশু,মহিলা ও বৃদ্ধসহ ১০ বেসামরিক নাগরিকের শাহাদাত বরণ।
আফগানিস্তানের হেলমান্দের কর্তৃপক্ষ বলেছেন, গত পরশু রাতে মারাজা পুলিশ এডমিনিস্ট্র্যাশন সেন্টারের ভেতরে প্রবেশ করে ইকরামা জাহিদ কান্দাহারি নামের একজন মুজাহিদ শত্রু বাহিনীর উপর গুলিবর্ষণ শুরু করেছিল, এতে ঐ মুজাহিদ শহিদ হওয়ার পূর্বে কতিপয় বন্দুকধারীকে নিহত এবং আহত করেছে। অপারেশন করার জন্য একই প্রদেশের মারজাহ জেলার দারাব চাররাহি এলাকায় পৌঁছা বিদেশী গুরুদের মদদপ্রাপ্ত শত্রুবাহিনী গতপরশু পড়ন্ত বিকেলে মুজাহিদগণের আই ই ডি হামলার কবলে পড়ে। এতে শত্রুদের একটি এপিসি ধ্বংস হয় , ভেতরে থাকা সকল বন্দুকধারী নিহত এবং আহত হয়। শত্রুরা ঐ জেলায় শহিদী হামলা হওয়ার দাবি তুলেছে যা মিথ্যা, কেননা আমরা গতপরশু রাতে ঐ জেলায় কোন শহিদী হামলা করিনি। হেলমান্দের সানজিন জেলার হাজী আমিন আকা শেইলি এলাকায় ৮২-আর্টিলারি গোলাবর্ষণের মাধ্যমে একটি চেকপোস্টের টাওয়ার ধ্বংস করলে কমপক্ষে ২ পুতুলসেনা নিহত হয়েছে বলে জানা যায়।অনুরূপভাবে, শনিবারে ঐ কথিত জেলার খুমারি মানদা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরো ২ পুতুলসেনা নিহত হয়েছিল।
আরেকটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়,গতকাল সকাল আটটার দিকে ঐ একই জেলার তরি শাহ এলাকায় যথাসময়ের পূর্বেই মুজাহিদগণের একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৪ শত্রু সদস্য নিহত হয়। ঐ এলাকায়ই গতকাল ভোরে একটি চেকপোস্টের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বন্দুকধারী নিহত হয়েছে। গত পরশু রাতে হেলমান্দের কাযাকি জেলার গান্দাম রেজ এলাকায় নিরীহ জনতার কম্পাউন্ডে বোমা হামলা করে বিদেশী শত্রুরা, এতে হতাহত ব্যতীত ধ্বংস হয়ে যায় ৩টি কম্পাউন্ড।একইভাবে, নাওজাদ জেলার বাঘগি এলাকায় গত পরশু স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার দিকে বিদেশী শত্রুদের ড্রোন গ্রাম্যলোকের উঠোনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, এতে জনগণের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাছাড়া, পাইলটবিহীন বিমান হামলায় মূসা কালা জেলার কেন্দ্রের নিকটে গত পরশু রাতে ৭ জন বেসামরিক জনতার উঠোন ধ্বংস করা হয়। এতে একটি পরিবারের শিশু, মহিলা এবং বৃ্দ্ধসহ ১০ জন বাসিন্দা শহীদ হয়েছেন (আল্লাহ তাদেরকে কবুল করুন)।
এদিকে হেরাত প্রদেশের শিন্দান্দ জেলা থেকে আসা রিপোর্ট জানিয়েছে যে, গত পরশু রাতে হামলা করার জন্য ঐ জেলার শারা আবাদ এলাকায় পৌঁছা দেশীয় শত্রুদের সাহায্যপ্রাপ্ত বিদেশী শত্রুরা একটি শহিদী হামলার কবলে পড়েছে। এতে ২ বিদেশী, ৩ এএসপি বন্দুকধারী এবং এক অনুবাদক নিহত হয়েছে। হামলাকারী মুজাহিদও শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করেছেন। উল্লেখ্য যে যৌথ শত্রুবাহিনী ঐ জেলায় এ পর্যন্ত করা তাদের সাম্প্রতিক হামলাসমূহে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
ফারাহ প্রদেশের বালা বালুক জেলার গঞ্জ আবাদ এলাকায় গত পরশু রাতে একটি ভাড়াটে চেক পোস্টে হামলা করেন মুজাহিদগণ। ঐ হামলা শত্রুদের সাহায্যকারী ট্যাংক পৌঁছালে আরো তীব্রতা লাভ করে্, এতে দুটি ট্যাংক ধ্বংস হয় , ৮ পুতুলসেনা নিহত এবং আরো ৬ সেনা আহত হয়। জানা গেছে যে ঐ অপারেশনে দুইজন মুজাহিদও আহত হয়েছেন।
সারিপুল সেন্টারের নিকটে গত পরশু সন্ধ্যা বেলায় একটি বন্দুকযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে যা মধ্যরাত পর্যন্ত স্থায়ী হয়।এতে মারাত্মকভাবে আহত হয় ২ জন প্রধান শত্রু কমান্ডারসহ ৪ পুতুলসেনা। চেকপোস্টটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে।
বাদঘিসের কাদিস জেলার গুলচেইন এলাকায় হামলা করার জন্য পৌঁছা শত্রুবাহিনী গতপরশু রাতে মুজাহিদগণের হামলার শিকার হয়েছে। ঐ যুদ্ধ প্রায় ৪ ঘন্টা যাবৎ স্থায়ী হয়। এতে দুটি ভাড়াটে ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে, নিহত হয়েছে ৫ পুতুল সেনা এবং আরো ১০ সেনা মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর বাকিরা পলায়ন করতে বাধ্য হয়। একটি রেঞ্জার পিকআপ, ১০ টি মোটরবাইক, একটি যোগাযোগ রেডিও , ২ টি গ্যালাক্সি মোবাইল , পিকেএম গান রোডের ৫টি বক্স , মর্টারের ১০০ রাউন্ড গোলা এবং অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রী মুজাহিদগণ গণিমত লাভ করেছেন। এই হামলায় ২ জন মুজাহিদ আহত হওয়ার পাশাপাশি আরো দুইজন শাহাদাত বরণ করেছেন। একই প্রদেশের মারঘাব জেলার যাহ খাওযা এলাকায় একটি শত্রু চেকপোস্টে মুজাহিদগণের হামলায কমপক্ষে দুই শত্রু বন্দুকধারী নিহত এবং আরো একজন আহত হয়েছে।
লুগার প্রদেশের চারখ জেলায় রবিবারে মুজাহিদগণের গেরিলা হামলায় ৩ শত্রু সেনা নিহত হয়েছে। রিপোর্ট জানিয়েছে, ঐ হামলায় মুজাহিদগণের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কাবুল প্রদেশের বাগরামি জেলায রবিবারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক সেনা বহনকারী একটি যানবাহনকে একটি রাস্তাপার্শস্থ বোমা বিস্ফোরণ আঘাত করে এতে এক অফিসার নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছে।
খোশত প্রদেশের আলিশির জেলায় শত্রু সেনাদের একটি দলকে গেরিলা হামলা করেছেন ইসলামী ইমারতের মুজাহিদগণ। এতে ঐ বন্দুকযুদ্ধে ২ পুতুলসেনা নিহত হয়েছে ।ঘটনাটি ঘটেছে সোমবারে(গতকাল)
উত্তর বল্খ প্রদেশের খাস বলখ জেলায় শনিবার রাতে একটি স্থানীয় মিলিশিয়ার সাথে সম্পর্কিত একটি পোস্টে মুজাহিদগণ হামলা করলে ২ শত্রুসেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৩ জন আহত হয়েছে।
ওয়ার্ডাক প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানীতে একটি সামরিক ইউনিটে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ বহনকারী একটি যানবাহন পুঁতে রাখা একটি রাস্তা পার্শ্বস্থ বোমা বিস্ফোরণের শিকার হয়। এতে দুই পুলিশসদস্য নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি সংঘটিত হয় রবিবারে।
পাকতিয়া প্রদেশের রাজধানী গার্ডিজ শহরে একটি শত্রু সেনাবহরে সোমবারে হামলা করেন মুজাহিদগণ । ঐ যুদ্ধে একটি যানবাহন ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি আহত হয় দুই পুতুলসেনা।