আফগানিস্তানে মুজাহিদগণের হামলা অব্যাহত, ২ গুপ্তচরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ।
আফগানিস্তানের বাদঘিস প্রদেশের মাকুর জেলায় গতকাল দুপুরে একজন স্নাইপারের গুলির আঘাতে এক বন্দুকধারী গুলিবিদ্ধ হয়ে তাৎক্ষণিক নিহত হয়। একই প্রদেশের দারা বুম জেলার কালি জারদাক এলাকায় একটি শত্রু চেক পোস্টে গত পরশু স্থানীয় সময় রাত ১১ টার দিকে মুজাহিদগণ হামলা করেন। প্রায় চার ঘন্টা তীব্র বন্দুকযুদ্ধের পর ঐ চেকপোস্টটি পদদলিত হয়। এতে, ২ পুতুলসেনা মারাত্মকভাবে আহত হয় এবং বাকিদেরকে মুজাহিদগণ পলায়ন করতে বাধ্য করেন । একটি রাইফেল ও একটি মোটরবাইক মুজাহিদগণের হস্তগত হয়।
এদিকে দেশটির হেলমান্দের গেরিশক জেলার নাহর সিরাজ অঞ্চলের যাখচাল এলাকায় গতকাল সকালে হেরাত মহাসড়কের উপর একটি কৌশলগত মাইন হামলায় এএনএ এর সাথে সম্পৃক্ত এক বন্দুকধারী নিহত হয়।আরেকটি রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে গত পরশু রাতে ঐ কথিত জেলার যাকলাং এলাকায় মুজাহিদগণের গেরিলা হামলায় আরো ২ শত্রু বন্দুকধারী নিহত হয়েছিল।গেরিশক জেলারই মোহাজারু এলাকায় গত পরশু রাতে একজন স্নাইপারের হামলায় এক স্থানীয় মিলিশিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। একই প্রদেশের ওয়াশির কেন্দ্রীয় জেলার নিকটে গতকাল স্থানীয় সময় সাড়ে নয়টার দিকে যখন শত্রুবাহিনী একটি সাদা পদাকা নামিয়ে ফেলতে চেষ্টা করছিল তখন একটি কৌশলগত মাইন বিস্ফোরণে জাহান্নামে চলে যায় তাদের দুই পুতুলসেনা। রাজধানী লশকরগাহের পিডি৪ এ স্পেনি কটি এলাকায় গত পরশু রাতের প্রথম প্রহরে এক ভাড়াটে আরোহী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে, দেশটির উরুযগান প্রদেশ থেকে একটি রিপোর্ট পৌছেঁছে । যা বর্ণনা করেছে যে, গত তিনমাস আগে মুজাহিদগণের হাতে গ্রেফতার হওয়া ২ গুপ্তচর -খানো এবং আদম খান-কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কেননা, বিভিন্ন নিরপরাধ দেশবাসীর শহীদ হওয়ার পেছনে তারা জড়িত ছিল। তাদেরকে মুজাহিদগণ তাদের ডকুমেন্টসহ গ্রেফতার করেন এবং পরে মৃত্যুদণ্ড দেন।