আন-নাসর মিডিয়ানির্বাচিতবার্তা ও বিবৃতি [আন নাসর]মিডিয়াম্যাগাজিন [আন নাসর]

Bengali Translation || আন নাফির বুলেটিন – ৪৩ || যুলকাদাহ ১৪৪৬ হিজরী || বলুন, যারা বিভ্রান্তিতে আছে, দয়াময় তাদেরকে প্রচুর অবকাশ দেবেন

مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:

نشرة النفير العدد- 43 || ذو القعدة 1446 ه
قُلۡ مَنۡ كَانَ فِی الضَّلٰلَۃِ فَلۡیَمۡدُدۡ لَهُ الرَّحۡمٰنُ مَدًّا ۬ۚ

আন নাফির বুলেটিন – ৪৩ || যুলকাদাহ ১৪৪৬ হিজরী || বলুন, যারা বিভ্রান্তিতে আছে,
দয়াময় তাদেরকে প্রচুর অবকাশ দেবেন

An Nafir Bulletine – 42 || Dhul-Qadah 1446 Hijri
Say to those who are in confusion, the Most Merciful will give them ample respite.

Bengali Translation || আন নাফির বুলেটিন – ৪৩ || যুলকাদাহ ১৪৪৬ হিজরী || বলুন, যারা বিভ্রান্তিতে আছে, দয়াময় তাদেরকে প্রচুর অবকাশ দেবেন

 

 

روابط بي دي اب
PDF (415 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪১৫ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/s/pCHpFoKskrHqjHH
লিংক-২ : https://archive.org/download/an-nafir-bulletin-43/An-nafir%2043.pdf
লিংক-৩ : https://annafir43.wordpress.com/wp-content/uploads/2025/05/an-nafir-43.pdf
লিংক-৪ : https://www.mediafire.com/file/itbsn5n9lcgk2rk/An-nafir+43.pdf/file
লিংক-৫ : https://mega.nz/file/YFYV3ZIb#Pe1FT2ITPZD37r1JA4jghUa8hvFHWA8e68uTSDeMelg
লিংক-৬ : https://secure.ue.internxt.com/d/sh/file/ef2eada6-65cf-4454-bb19-0217baeb97d6/2d05e7f06a2d7352d1d28b73b3aaf361f807571e4b4ed6c2080c86756e663584

 

 

روابط ورد
Word (500 KB)
ওয়ার্ড [৫০০ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/s/KGk2N2nmykfedLw
লিংক-২ : https://archive.org/download/an-nafir-bulletin-43/An-nafir%2043.docx
লিংক-৩ : https://annafir43.wordpress.com/wp-content/uploads/2025/05/an-nafir-43.docx
লিংক-৪ : https://www.mediafire.com/file/4bh3t05mkpeh8ap/An-nafir+43.docx/file
লিংক-৫ : https://mega.nz/file/FJ5XkBjT#vYXAnYNtyRRTtdZsoHLYtS3OwZ-vkZ5D-2DNqXCAR_c
লিংক-৬ : https://secure.internxt.com/d/sh/file/e426c8cf-4669-4a51-a302-3fb6ee7748e1/6a7f137bc1d5f79629966a09792e6feb42a83bbc06b184b59006cc80a40b800b

 

 

روابط الغلاف
Banner [2.4 MB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [২.৪ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/s/Fk2dEWttbiXKHxb
লিংক-২ : https://archive.org/download/an-nafir-bulletin-43/An-Nafir-Bulletin.jpg
লিংক-৩ : https://annafir43.wordpress.com/wp-content/uploads/2025/05/an-nafir-43.jpg
লিংক-৪ : https://www.mediafire.com/file/75uw06o39tpkfi5/An-Nafir-43.jpg/file
লিংক-৫ : https://mega.nz/file/tYggXb4A#UoQrr3k84EDVm7jAQIyJu8gbJyiKU_zp2slwaE5avZ0
লিংক-৬ : https://secure.ue.internxt.com/d/sh/file/13356974-7bde-44a0-9589-b2f9f57c4a0d/51a97d9f6c9be5ce8b77b23adb81f4177c983d3920efd8da51669087669e3227

 

*******

এই হল অনারব ইবনু জায়েদ, “খ্রিস্টানদের সাথী” তুরস্কের এরদোয়ান। আল্লাহ যখনই মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের কুকীর্তি ফাঁস করে দেন, তখন তিনি উল্টো আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে, গা জ্বালানো ঔদ্ধত্যে নিজেকে ঢেকে রাখে। আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সাথে তাঁর অংশগ্রহণ—তা যেন মুসলমানদের পিঠে ছুরিকাঘাত। তবে আল্লাহর কৌশলই শ্রেষ্ঠ কৌশল—এই ষড়যন্ত্র উল্টে গিয়ে তাঁর ও তাঁর মিত্রদের মুখেই ফিরে আসে। যখন পশ্চিমারা আফগানিস্তানে নিজেদের পরাজয় ঢাকতে মরিয়া, তখন এরদোয়ান হাজির হয় এক ছলনাময় প্রস্তাব নিয়ে: তাঁর হাজার হাজার সেনা থেকে যাবে বাগরাম ঘাঁটিতে, শান্তি রক্ষার নামে। উদ্দেশ্য? কাবুলে পুতুল সরকার আশরাফ গণির সাথে কথিত শান্তি আলোচনাকে সামনে রেখে সেখানে নিজের অবস্থান বজায় রাখা। কিন্তু তালেবান—যাঁরা এক যুগ ধরে বিশ্বাসঘাতকদের চিনতে শিখেছেন—এই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। এমনকি তাঁরা এরদোয়ানের আমন্ত্রণ ও তুরস্ক সফরের প্রস্তাবও ঘৃণাভরে ফিরিয়ে দেন। তারা এক পা না পিছিয়ে নিজেদের ভূমি মুক্ত করেন, আর আল্লাহর বিধান কায়েম করেন। এই ধরনের প্রতারণা কিন্তু নতুন নয়। মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথেও এমনই চাল চেলেছিল। আঞ্চলিক রাজনীতিতে তাদের ব্যবহার করল, তারপর যখন প্রয়োজন ফুরাল, তাদের বিক্রি করে দিল অল্প দামে। কার কাছে? আরব আমিরাতের ইবনু জায়েদ আর সৌদ রাজপরিবারের বিন সালমানের কাছে। একই কাহিনী ঘটেছে লিবিয়ায়। একসময় যে মানুষটা হাফতারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল, সেই এখন হাফতারের হাত ধরছে! ত্রিপলির বিপ্লবীদের সঙ্গে সেই যুদ্ধাপরাধীর একটা জোট বানিয়ে ফেলছে—একটা ভবিষ্যৎ সরকার গঠনের খেলার ছক কষছে লিবিয়াকে ঘিরে। তারপর তো দেখুন, এরদোয়ান গিয়ে হাজির হয় বেনগাজিতে—হাফতারের ঘাঁটিতেই! সেখানে গড়ে তুলেছে নিজস্ব প্রকল্প, ব্যবসা, বিনিয়োগ—সবই মুসলমানদের সম্পদ লুটের কায়দায়। যেন লিবিয়ার ধন-সম্পদ তার পৈতৃক সম্পত্তি! সিরিয়ার ক্ষেত্রেও এমনই নাটক। ‘আস্তানা ষড়যন্ত্র’ নামে পরিচিত চুক্তি ও গোপন কথাবার্তার মাধ্যমে সে বাশার আল-আসাদের সরকারের সাথে সরাসরি ও পরোক্ষ আলোচনা চালায়। উদ্দেশ্য? ভবিষ্যতের চুক্তিতে নিজের অবস্থান সুরক্ষিত করা। শহীদদের রক্ত, লাখ লাখ আহত আর উদ্বাস্তু—সবই তাঁর কাছে রাজনীতির যন্ত্রাংশ।

 

কিন্তু আল্লাহর পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়, দামেশকের শাসক ব্যর্থ হয়, আর নির্যাতিত মানুষ মুক্তি পায়। কিন্তু এই মানুষটা থেমে থাকে না। এবার নিজের গোয়েন্দাপ্রধানকে পাঠায় দামেশকে একজন ‘নাটকীয় বিজয়ী’র সাজে। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে গর্ব করে বলেন—হ্যাঁ, সে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপর্যায়ের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে, যাতে ‘আল-কায়েদা’র যোদ্ধা ও নেতাদের খতম করা যায়। মনে হয় যেন দামেশকের সরকার তাঁর অধীন ছিল! এত অপমান আর এত রক্তপাতের পরও, এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। আজকের দিনে এসে তুরস্ক সরকার জানায়—ইসরায়েলের সাথে “সংঘর্ষ এড়ানোর আলোচনা” কোনো ‘স্বীকৃতি বা স্বাভাবিকীকরণ’ (normalization) নয়। বাহ্! কত চমৎকার এক চুরি! এ তো স্বীকৃতি নয়, এটা সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা। এইতো সেই এরদোয়ান। আমরা কি করে ভুলে যাই তার কলঙ্কগাথা? সে তো খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আর দুনিয়ার জঘন্যতম অপরাধী ইহুদি জায়নবাদীদের একনিষ্ঠ সমর্থক। সে-ই তো মুজাহিদদের মুহাজির ভাইদেরকে তাদের দেশের সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে, যারা তাদেরকে নিজেদের দেশে তুলে নিয়ে তাদের উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, যেসব নেতারা তার “মিত্র” ছিল, তাদের তুলে দিয়েছে সেই আমেরিকার হাতে—যাদের কুখ্যাত গুয়ানতানামোতে বন্দীরা আজও অন্ধকার প্রকোষ্ঠে পড়ে আছে। আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি সবচেয়ে ভালো অভিভাবক। হ্যাঁ, ক্রুসেডারদের স্বঘোষিত দোসর এই এরদোয়ান এতটাই নিচে নামল যে, আফ্রিকা আর আমেরিকার ক্রুসেডার বাহিনীর সঙ্গে একসঙ্গে হাত মিলিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল সোমালিয়ার সাহসী মুজাহিদদের বিরুদ্ধে। তার ড্রোন—বায়রাক্তার—ঝাঁকে ঝাঁকে গিয়েছিল মুসলিমদের হামলা করতে। রমজানের রাতে তার ড্রোন হামলা করেছে মসজিদে তারাবি নামাজরত সাধারণ মানুষদের উপর। কেন? যেন সোমালি মাটিতে শারিয়াহভিত্তিক শান্তির শাসনব্যবস্থা কখনও প্রতিষ্ঠিত না হয়। যেন সাগরের ধারে এই দেশের সম্পদ লুট করা যায়, উপকূল দখল করে রাখা যায় বিনা বাধায়। তারপর চুক্তি করে নেয়া হলো সেইসব সোমালির কথিত সরকারের সঙ্গে, যারা নিজেরাই নিজেদের ধর্ম-জাতি বিক্রি করে দিয়েছে। যার কোনো মালিকানা নেই, সে কীভাবে অন্যকে কিছু দিতে পারে? অন্যদিকে, তার লক্ষ্য সোমালিয়াতে থাকা ইথিওপিয়ার খ্রিস্টান সৈন্যদের আরও শক্তিশালী করা, যাতে মুসলমানদের মাটি আরও দখলে নেয়া যায়। তারই নির্দেশে সোমালিয়ার ভেতরের এজেন্টরা আজ ইথিওপিয়ানদের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করছে, উপকূলের ঘাঁটি হস্তান্তর করছে। আর এই দলে আছে মিসরের সিসির লোকজনও—যারা সোজা ভাষায় ইসরায়েলের দোসর আবি আহমদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।

 

আর এখন, এই এরদোয়ান তার সোমালিয়ান মিত্রদের বলছে যেন তারা ট্রাম্পকে বন্দর, বিমানবন্দর উপহার দেয়—যেন ক্রুসেডার ও মুরতাদদের যুদ্ধ আরও  সহজ হয়, যেন ঈমানদার মুসলিমদের উপর আবার অগ্নি বর্ষণ করা যায় আরো সহজে। কিন্তু যেভাবে আফগানিস্তানে সেইসব আগ্রাসীদের ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ইনশাআল্লাহ ঠিক সেইভাবে এখানেও প্রতিরোধ হবে। আরও নিচে নেমে গেছে এই “হামলা-সন্ধানী” এরদোয়ান। নিজের ভাড়াটে সৈন্যদল ‘সাদাত’ —যেখানে আছে সিরিয়ান, তুর্কি, আরও অনেকে—তাদেরকে প্রস্তুত করেছে। এইসব ভাড়াটে দিয়ে সে হামলা চালিয়েছে ইসলামি মাগরেব অঞ্চলে। ‘ওয়াগনার’ নামক খ্রিস্টান বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সে। আর এই খ্রিস্টান বাহিনী পশ্চিম আফ্রিকার মুসলমানদের (বিশেষত নাইজার, মালি, বুরকিনা ফাসোতে) কষ্ট দিয়েছে, তাঁদের রক্ত ঝরিয়েছে। মজার বিষয় হলো, হয়তো এই এরদোয়ান ভাবছে, তার সৈন্যদেরকে গাজায় পাঠানো হয়েছে, যেন তারা জায়নবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধ করে। আসলে সে যা চায়, তা হলো অর্থ। গরিবদের স্বর্ণ, সম্পদ—সব কিছু সে ছিনিয়ে নিতে চায়, যেন তার নিজের ভঙ্গুর অর্থনীতি একটু দাঁড়াতে পারে। কিন্তু এই উপকূলের দরিদ্ররাই কি তার অর্থনীতি ধ্বংস করেছে? না কি সেই আমিরাত আর সৌদির শাসকরা, যাদের সঙ্গে সে আজ লোভে পড়ে হাত মিলিয়েছে? যাদের সাথে একসময় “ভ্রাতৃত্ব” দেখিয়েছিল—সেই মুসলিম ব্রাদারহুড—কে সে বেচে দিয়েছে। অল্প ক’টা বিনিয়োগের ডলার পেলেই যে পিঠ ঘুরিয়ে নিতে পারে, তার নামই তো আজকের রাজনীতি। একজন আলেম যেমনটা বলেছিলেন—“রাজত্ব অন্ধ। সে রক্তের সম্পর্ক তো ছিঁড়ে ফেলে, আজকাল সে তো ধর্মের সম্পর্কও ছিঁড়ে দেয়।” মুসলিমদের শাসনব্যবস্থা যদি কোথাও সত্যিকারভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তা সহ্য হয় না এই এরদোয়ানের। কারণ সে জানে, তখন প্রশ্ন তোলা হবে—“তুরস্কে কেন ইসলাম নেই?” তাই নিজের “ধর্মনিরপেক্ষ ইসলাম”—অর্থাৎ আধা ইসলাম আর আধা পাশ্চাত্য মতবাদ—কেই সে আদর্শ বানাতে চায়, যেন বিশ্বজুড়ে সেটাকেই মডেল মনে করে সবাই।

তবুও, গাজায় এসে আল্লাহ তাকে বেইজ্জত করেছেন। এমনকি যাঁরা তাকে পছন্দ করতেন, তার ভক্ত ছিলেন, তারাও বুঝে ফেলেছেন—তার আসল চেহারা কেমন। অবশেষে জনগণ যেন কিছুটা হলেও বুঝে ফেলেছে, আর নির্বাচনের সময় তাকে সামান্য শাস্তি দিয়েছে। তারা তার আসল মুখ দেখে ফেলেছে, যেখান থেকে কথার ঝড় বয়ে যায় অথচ এই মানুষটার কথা কাজে বিন্দুমাত্র মিল নেই। সে মুখে ইহুদি আর খ্রিস্টান মিত্রদের নিন্দা করে, অথচ পেছনে তাদেরই হাতে তুলে দেয় অস্ত্র থেকে শুরু করে খাবার, পানি, গ্যাস, পেট্রোল, পোশাক—সবকিছু, যা দিয়ে গাজায় আমাদের ভাইবোনদের মুছে দিতে চায় ইহুদি বাহিনী। তার যখন মুখোশ খুলে পড়ে, তখন সে নিজের কাজের ব্যাখ্যা দিতে এগিয়ে আসে। যদি চুপ থাকতো, তবু ভালো হতো। সে বলে, “আমি তো অস্ত্র পাঠাইনি।” প্রশ্ন হলো, সৈন্যদের খাবার, পানি, গ্যাস, তেল, পোশাক—এইসব কি জায়নবাদী বাহিনীকে পাঠানো বৈধ? তুমি তো তাদেরই বন্ধু, তাদেরই মিত্র! আরও একটা কলঙ্ক সে যুক্ত করেছে নিজের ঝুলিতে।

হামাস নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, যেন তারা নিজেদের বন্দিদের মুক্তির জন্য আর গাজাবাসীদের গণহত্যা থামানোর জন্য যুদ্ধ বন্ধ করে দেয়। এমনকি তার ঘনিষ্ঠরা বলছে, “ফিলিস্তিনি মুজাহিদরা প্রস্তুত, যদি ‘৬৭ সালের সীমার ওপর তাদের একটা রাষ্ট্র গঠনের অনুমতি দেওয়া হয়।” এ কথা কি কেউ বলতে পারে যার অন্তরে একটুও ঈমান আছে, যার বিশ্বাস এখনো টিকে আছে? তুমি যদি মুজাহিদদের পাশে দাঁড়াতে চাও, তাহলে তাদের মনোবল ভাঙবে কেন? যারা আজ মৃত্যুর কিনারায় দাঁড়িয়ে, যারা স্বাধীনতার জন্য লড়ছে, তাদের কাছ থেকে লড়াই কেড়ে নেবে কেন? তুমি তো বরং অস্ত্র, সাহায্য, সহমর্মিতা পাঠাতে—তাদের হাত শক্ত করতে। আমরা আল্লাহর কাছে চাই যেন এই ‘ক্রুসেডারদের মিত্র’ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ফিলিস্তিন থেকে দূরে থাকে, আর তাদের ফিতনা যেন মুসলিম জাতির উপর না পড়ে।

পরিশেষে বলতে চাই, আল্লাহ জানেন, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে দ্বিধায় ছিলাম—এরদোয়ান ও তার গোয়েন্দা সংস্থার একটা গোপন অপরাধ প্রকাশ করবো কি করবো না। কিন্তু এটা এমন একটা গর্হিত কাজ, এমন একটা কলঙ্ক, যা শুনলে যেকোনো মুসলমানের হৃদয়ে আগুন ধরে যাবে। তাই বলতেই হলো, বিশেষ করে যখন তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান নিজে স্বীকার করে ফেলেছে বিষয়টা সিরিয়ার এক প্রাসাদে। অপরাধটা কী? সে ব্যবহার করেছে মুজাহিদদের অনাথ সন্তানদের—তাদের চরিত্র নষ্ট করেছে, তাদেরকে টেনে নিয়েছে অন্ধকার গলির নোংরা দুনিয়ায়। যে দুনিয়া নিয়ে মুখ খুলতেও লজ্জা করে। উদ্দেশ্য ছিল একটাই—তাদেরকে গোয়েন্দা বানানো, যেন তারা মুসলিমদের রণক্ষেত্রে, সীমান্তে, সবখানে খবরদারি করে। এটা সেই দায়িত্বেরই ধারাবাহিকতা, যেটা একসময় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা করতো। হে আল্লাহ, আপনি তাদের হাত থেকে আমাদের হেফাজত করুন। আপনি এদেরকে একে একে গুনে নিন, আর আমাদের থেকে সরিয়ে দিন। এই জায়গা থেকে আমরা প্রত্যেক মুসলমানের প্রতি আহ্বান জানাই, বিশেষ করে যাঁরা আলেম, দাঈ—তারা যেন এই মুনাফিক প্রতারকের ব্যাপারে সতর্ক করেন মানুষকে। সে তো কেবল কথা বলেই থেমে থাকে না ; বরং কাজের মাধ্যমেও উম্মাহর ক্ষতি সাধন করে। এ অপরাধ এখন এতটাই সীমা ছাড়িয়েছে যে, প্রতিরোধ করা ফরজ হয়ে গেছে।

وسيعلمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَي مُنقَلَبٍ يَنقَلِبُونَ

“আর যালিমেরা শীঘ্রই জেনে যাবে কোন পরিণামে তারা পতিত হবে।”

[সূরা আশ-শু’আরা (২৬), আয়াত ২২৭]

والحمد لله رب العالمين

সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সমস্ত সৃষ্টির প্রতিপালক।

*****

مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × four =

Back to top button