আন-নাসর মিডিয়াজামাআত কায়েদাতুল জিহাদবার্তা ও বিবৃতিবার্তা ও বিবৃতি [আন নাসর]মিডিয়া

আল কায়েদা – কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব || মজলুমের সাহায্যার্থে আমাদের মিশরীয় জনগণের প্রতি উপদেশ || গুরুত্বপূর্ণ বার্তা

আল কায়েদা || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
মজলুমের সাহায্যার্থে আমাদের মিশরীয় জনগণের প্রতি উপদেশ

PDF DOWNLOAD [748.6 KB]

WORD DOWNLOAD [1.1 MB]

All Image Download Now

অনলাইনে পড়ুন-
https://justpaste.it/20p8p
আরও লিংক-

আল কায়েদা || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

 

মজলুমের সাহায্যার্থে আমাদের মিশরীয় জনগণের প্রতি উপদেশ

*************

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি তার কিতাবে বলেছেন:

ولا تحسبن الله غافلا عما يعمل الظلمون إنما يؤخرهم ليوم تشخص فيه ا لأبصار

“তুমি কিছুতেই মনে কর না যে, জালিমগণ যা-কিছু করছে আল্লাহ সে সম্পর্কে বেখবর। তিনি তো তাদেরকে সেই দিন পর্যন্ত অবকাশ দিচ্ছেন, যেদিন চক্ষুসমূহ বিস্ফোরিত হবে।” [সুরা ইবরাহীম -৪২]

রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের নেতা ও আমাদের প্রিয় বন্ধু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর এবং তার পরিবারবর্গ ও সাহাবীগণের উপর, যারা ছিলেন শক্তিশালী সিংহের ন্যায়।

তারপর:

বিগত কয়েক বছর ধরে মুসলিম জাতির প্রতিটি গ্রুপ এবং ইসলামী কাজের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি দল – তাগুত জালিম ও পশ্চিমা ক্রুসেডারদের এজেন্টদের হাতে জুলুম-অত্যাচার ও নিষ্পেষণের শিকার হচ্ছে। তারা ইসলামী কাজের ময়দানে প্রচেষ্টাকারীদেরকে দুঃসহ শাস্তি দিচ্ছে। তাদের উপর বিভিন্ন প্রকার শাস্তি প্রয়োগ, নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ ও নির্যাতন চালাচ্ছে। তাদের রক্ত প্রবাহিত করছে। তাদেরকে ফাঁসির কাষ্ঠ ও কারাগারের প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করছে। সর্বশেষ সময়ে জামে আযহারের শ্রেষ্ঠ যুবকদের এক সিংহশাবক দলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এভাবে তারা সাউদী ও আমিরাতী শাসকদের সাথে প্রতিযোগীতামূলকভাবে আমেরিকান ব্লাক হাউজের দিকে দৌড়াচ্ছে।

নিজেদের মনিব আমেরিকার প্রতি আনুগত্য ও অধীনস্ততা প্রমাণ করার জন্য তারা প্রতিটি সংস্কার প্রয়াসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, তাদেরকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে আটকে রাখা, অত:পর বিভিন্ন ওছিলায় ধীরগতিতে বা দ্রুতগতিতে হত্যা ও ফাঁসি দেওয়া নিজেদের প্রধান লক্ষ্য বানিয়ে নিয়েছে।

সম্প্রতি সময়ে সিসি সরকার জুলুম ও ঔদ্ধত্যে সীমালঙ্ঘন করে ফেলেছে। সর্বশেষে যাকে সে জুলুম ও নির্যাতনের যন্ত্রণা দিয়েছে, তিনি হলেন ডক্টর মুহাম্মদ মুরসী। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন ও মাফ করে দিন! আমাদের এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, তাকে ফেরআউনী কারাগার ও টর্চারসেলগুলোতে নির্যাতন ও নিপীড়ণের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।

তাই আমরা তার জন্য শোক প্রকাশ করছি। আমরা তার ব্যাপারে তার পরিবারবর্গ এবং তার সমস্ত সন্তান-সন্তুতি ও প্রিয়জনদেরকে শান্তনা দিচ্ছি। আল্লাহ আপনাদের জন্য আপনাদের এই বিপদের প্রতিদান বাড়িয়ে দিন। আপনাদের দু:খের উত্তম শান্তনা দান করুন এবং আপনারা যা হারিয়েছেন, তার  জন্য আপনাদের প্রতি রহম করুন! নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তারই দিকে ফিরে যাব।

হে আমাদের  মিশরের জনগণ! হে মিশরের ইসলামের কর্মী বীর যুবকেরা!

তোমরা আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ভরসা কর। বিশ্বাস রাখো যে, তিমিরের আচ্ছাদন কিছুতেই স্থায়ী হবে না। জুলুমের তিক্ততা কিছুতেই দীর্ঘ হবে না। বাঁধার দেয়াল অচিরেই দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

তাই আল্লাহর শপথ! আল্লাহর শপথ! তোমরা বিপ্লবকে পুনরায় জীবন্ত ও উজ্জীবিত কর। স্বাধীনতার লাল দরজায় ঝাঁপিয়ে পড়। একাকী ও দু’জন-দু’জন করে এবং দলীয় বা এককভাবে দাড়িয়ে যাও এই জুলুমের বিবরুদ্ধে। যদি তোমরা তার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে না যাও, যদি তোমরা সত্য ক্রোধ প্রকাশ না কর তবে এই জুলুম আরো সীমালঙ্ঘন করে ফেলবে।

নিশ্চয়ই এটা জুলুম যে, আমরা আমাদের বর্তমান প্রজন্মের দায়িত্বগুলো চাপিয়ে দিব আমাদের আগামী প্রজন্মের ঘাড়ে। এটা অন্যায় যে, আমাদের বর্তমান প্রজন্মের বোঝা বহন করবে আমাদের আগত প্রজন্ম। তাই আসুন, আমরা আমাদের আগত প্রজন্মের বোঝা বহুলাংশে হলকা করি, তাদের কঠিন দায়িত্বগুলোকে একটু সহজ করি। যেন তাদেরকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ও যুগের পর যুগ জুলুমের মধ্যে বসবাস করতে না হয়।

তাই তোমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধকে জীবিত কর, যেমনিভাবে তোমাদের জিহাদের ময়দানের ভাইয়েরা জীবিত করেছেন। যেন এই প্রকাশ্য জুলুম ও দু:খজনক ভোগান্তি বারবার না আসে। আর গণতন্ত্র, কুফরী সংবিধান ও মানবরচিত আইনের ধর্মকে প্রত্যাখ্যান কর। যারা এর দিকে আহ্বান করে, তাদের স্বপ্নকে নির্বুদ্ধিতা সাব্যস্ত কর এবং এই আহ্বানকে পরিপূর্ণ প্রত্যাখ্যান কর। অস্ত্র ধর, অস্ত্র ধর…। সীমালঙ্ঘনকারী সিসি জুলুমের মাধ্যমে তোমাদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার পূর্বেই তোমরা তার থেকে বদলা গ্রহণ কর। আল্লাহর শপথ! দু’টি মৃত্যুই তো প্রকৃত মৃত্যু! এক. এমন মৃত্যু, যা শত্রুকে আনন্দিত করে, দুই. এমন মৃত্যু, যা শত্রুকে ক্রোধান্বিত করে।

তাই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ কর, জীবনের জন্য অস্ত্র ধারণ কর আর জালিমকে বল: আমরা কখনো নত হব না, আমরা কখনোই মাথা ঝুকাব না। তোমাদের জবানকে উম্মুক্ত কর, যা তাগুত ও জালিমদের উপর অগ্নি নিক্ষেপ করবে। তোমরা এমন হয়ে যাও যে, যখনই জুলুম তোমাদের একটি জবান বন্ধ করে দেয়, তখনই হক তোমাদের আরেকটি এমন জবান উম্মুক্ত করে দেয়, যা কিছুতেই থামে না এবং কিছুই অস্পষ্ট রাখে না।

হে আমাদের ভাইয়েরা!

জুলুম থেকে পলায়ন করা, হিজরত করা, প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য বের হয়ে পড়া আপনাদের আত্মমর্যাদাশীল পিতৃপুরুষদের অন্তরের স্বাভাবিক, মৌলিক ও পুরাতন বিষয় ছিল। আল্লাহর শপথ! এটা কোন পলায়ন বা প্রবাস যাপন নয়, বরং এটা হল সেই হক, যা বিজয়ী হয়ে ফেরার জন্য পরাজিত হয়ে পলায়ন করে। জিহাদ ও ইদাদের ক্ষেত্রে এটাই আল্লাহর নীতি।

তার সুফল প্রকাশ পেয়েছিল আমাদের পিতা ইবরাহিম আলাইহিস সালামের ক্ষেত্রে, যখন তিনি বাবেল থেকে কেনআনে হিজরত করেছিলেন, ফিলিস্তীন ও হিজাজ অঞ্চলে নবুওয়াতের বীজ বপন করার জন্য।

তার ফলাফলগুলো প্রকাশ পেয়েছিল হযরত মূসা আলাইহিস সালামের ক্ষেত্রে, যখন তিনি মিশর থেকে মাদায়েনে পলায়ন করেছিলেন, যেন ফেরাউনের নিকট তার রবের নির্দশন নিয়ে ফিরতে পারেন। তার ফলাফলগুলো প্রকাশ পেয়েছিল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্ষেত্রে, যখন তিনি মক্কা থেকে ইয়াসরিবে হিজরত করেছিলেন, যেন মক্কায় ফিরতে পারেন অপরাজেয় ক্ষমতা, বিশাল সেনাবাহিনী, ঐক্যবদ্ধ শক্তি ও দৃঢ়ভাবে বাধা বন্দিদের নিয়ে।

তাই আপনারা আল্লাহর পথে হিজরত করুন, যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তুত করুন, নিজেরা প্রস্তুত হোন এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করুন। তাহলে হয়ত আপনারা আল্লাহর রহমত লাভ করবেন।

হে মিশরের যুবক ও বৃদ্ধগণ!

আপনাদের ইতিহাসে এমন লোকদের আলোকিত জীবনী আছে, যারা স্বাধীনতার দাবি ও আল্লাহর পথের জিহাদের জন্য আত্মোৎসর্গ করেছিলেন। তাই আপনাদের ইসলামী ইতিহাসে তার অনুসন্ধান করুন, তাকে আঁকড়ে ধরুন। কুরাইশী বাজপাখীর দল ও সালাউদ্দীন আইয়ুবীর জীবনী দেখুন। আপনাদের বীরদের জীবনী থেকে বীরত্ব, কুরবানী ও আত্মত্যাগের মর্মকথা উপলব্ধি করুন। দেখবেন যে, প্রত্যেক গর্বিত স্থানেই একজন ইমাম এবং প্রত্যেক যুদ্ধঘাটিতেই একজন সেনাপতি আছে।

হে আল্লাহ! আমাদের মিশরীয় জনগণের জন্য সেই কল্যাণের ফায়সালা করুন, যার দ্বারা আপনার আনুগত্যকারীরা সম্মানিত হবে এবং আপনার অবাধ্যতাকারীরা লাঞ্ছিত হবে। যেখানে আপনার কিতাব এবং আপনার নবীর সুন্নাহ দ্বারা বিচার করা হবে।

হে আল্লাহ! আমরা শুধুমাত্র আপনার নিকট অভিযোগ করছি আমাদের দু:খ-দুর্দশার। আমাদের বিচ্ছিন্নতার এবং জালিমদের জুলুমের। হে আল্লাহ! তাই সমস্ত মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে দিন। আপনার সকল মজলুম বান্দাদের দু:খ-দুর্দশা দূর করে দিন এবং আমাদেরকে আপনার সরল সঠিক পথ দেখান।

দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর এবং তার পরিবারবর্গ ও সকল সাহাবীগণের উপর। পরিশেষে সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।

 

———————-

 

f80917cfac2917fbe012624b6d10ef75.png

5d454a78bd5fb9fd40580aba216397b9.png

শাওয়াল ১৪৪০ হিজরী

জুন ২০১৯ ইসায়ী

 

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 10 =

Back to top button