আন-নাসর মিডিয়ানির্বাচিতনির্বাচিত প্রকাশনাপিডিএফ ও ওয়ার্ডবই ও রিসালাহবই ও রিসালাহ [আন নাসর]মিডিয়া

Bengali Translation || এই তো গাজা… যা পশ্চিমের ঘুম কেড়ে নিয়েছে || মূল: সালেম আল শরীফ

مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media

 

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

 

الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation

 

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:

 

هذه غزة…
التي أقضت مضاجع الغرب الصهيوصليبي
بقلم: سالم الشريف

এই তো গাজা…
যা পশ্চিমের ঘুম কেড়ে নিয়েছে
মূল: সালেম আল শরীফ

This is Gaza…
Which has taken the sleep of the West
Author: Salem Al Sharif

 

 

 

للقرائة المباشرة والتحميل

সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading

লিংক-১ : https://justpaste.it/Ey_to_gaza
লিংক-২ : https://mediagram.me/a12b45af90733e6d
লিংক-৩ : https://noteshare.id/sB4Sls5
লিংক-৪ : https://web.archive.org/web/20231119144919/https://justpaste.it/Ey_to_gaza
লিংক-৫ : https://web.archive.org/web/20231119145008/https://mediagram.me/a12b45af90733e6d
লিংক-৬ : https://web.archive.org/web/20231119145117/https://noteshare.id/sB4Sls5

روابط بي دي اب
PDF (992 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৯৯২ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/soQctxZcNa3Gf7E
লিংক-২ :
https://archive.org/download/eyto-gaza_202312/Eyto%20Gaza%20-%20.pdf
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/2mykh5ce2646307804ba9b5f15b4c40e64fdb
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/BDmediaarchive/Eyto+Gaza+-+.pdf
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/d46133f9-0074-46fd-aafa-e82d70614e17/d446c56a7f811da31f116804c1e87c4ccd048f3e8c58ef7f9f3d67f5aac6547b

 

روابط ورد
Word (6.2 MB)
ওয়ার্ড [৬.২ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/xKsFgnTHApsnep2
লিংক-২ :
 https://archive.org/download/eyto-gaza/Eyto%20Gaza%20-%20.docx
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/2mykhaa0b675cc84c49aeb272c16f9964f115
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/BDmediaarchive/Eyto+Gaza+-+.docx
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/039a3b4b-f95c-4ba4-8d93-f3d236282240/1e63d7f711bf0bceaf44a7f79691d0c5efc4263205ee47509bcc742c16d170fb

 

 

روابط الغلاف- ١
book Banner [799 KB]
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [৭৯৯ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/DdCr9eW2gf5yn8d
লিংক-২ :
 https://ia601203.us.archive.org/19/items/eyto-gaza/Cover.jpg
লিংক-৩ :https://workdrive.zohopublic.eu/file/2mykh050297a56aa94aee91d92d837c1a37fc
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/BDmediaarchive/Ey+to+Gaza+Book+Cover.jpg
লিংক-৫ : https://drive.internxt.com/sh/file/617381e0-b7a6-4659-b710-9e18b07a53ab/471101b5610de28e0dc3bdeac24483239321fa76862858efd3a9801dd493979b

 

روابط الغلاف- ٢
Banner [239 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [২৩৯ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/iZ95sR3JkmXaNSD
লিংক-২ :
 https://ia601203.us.archive.org/19/items/eyto-gaza/web%20Benner.jpg
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/2mykhcc77c25337e7487dadc0a3079f402a63
লিংক-৪ : https://f005.backblazeb2.com/file/BDmediaarchive/web+Benner.jpg
লিংক-৬ : https://drive.internxt.com/sh/file/07515c5b-c2b6-4e1a-9cb7-6b7e06ec9cd6/ba2babb46b7beeabf3731f6264dd37d2fb80fe5f73e695053dcd44e70e8d6630

***

 

 

 

এই তো গাজা…

যা পশ্চিমের ঘুম কেড়ে নিয়েছে

মূল: সালেম আল শরীফ

অনুবাদ: আন-নাসর অনুবাদ টিম

 

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিসরে ক্রুসেডার জায়নবাদীদের প্রতিক্রিয়া কি ফিলিস্তিনিদের অজানা ছিল? সেটা কি পরিকল্পনার বাইরে ছিল?

কখনোই নয়। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিসরে বিভিন্ন আরব-ইসলামিক সংস্থা ও রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে সেটাও জানা ছিল। ফিলিস্তিনের এই উম্মাহর বীর বাহাদুর সন্তানেরা ভালো করেই এসব জানতেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আশাবাদী, শত্রুপক্ষের পাল্টা আক্রমণ ও প্রতিক্রিয়ার (মানুষ, ঘর-বাড়ি, গাছপালা সবকিছুর ওপর গণহারে বোমাবর্ষণ) প্রতিটি পর্যায়ের জন্য এবং ক্রুসেডার-জায়নবাদীদের ধারাবাহিক পাল্টা জবাবের মুখোমুখি হবার জন্য প্ল্যান করে রেখেছেন।

একইভাবে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযানে অগ্রসর হওয়া, লজ্জাজনক পশ্চাদপসরণ—এগুলোর কোনো কিছুই তাদের কাছে অবাক করে দেয়ার মতো বিষয় ছিল না। তবে সম্ভবত দক্ষিণ বিভাগের এতো দ্রুত পতন হবে, সেটা মুজাহিদীন নেতাদের ভাবনায় ছিল না। ‘তুফানুল আকসার’ পর যে বিশ্বব্যাপী এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে, সেটাও সম্ভবত তারা কল্পনা করেননি। কিন্তু এটা তাদের কাছে কোনো গোপন বিষয় ছিল না যে, জায়নবাদের সন্তানেরা আজ স্বেচ্ছায় দখলকৃত ভূমি ছেড়ে চলে যাবে না। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে বাধ্য হয়ে তারা পালাবে…। কারণ পালাতে দেরি করলেই তো মুসলিম জাতির ক্রোধের অস্ত্র দ্বারা আক্রান্ত হবে।

এই নিবন্ধটি সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহের সংক্ষিপ্তসার। এই নিবন্ধে আছে সিংহ ও বাজপাখিদের শিকারের গল্প…। আরও আছে হায়েনা ও ময়লা আবর্জনা খাওয়া প্রাণীদের কথা। আল্লাহর বাহিনী এমন এক অপারেশন আরম্ভ করেছেন, যার স্ট্র্যাটেজিক বিষয় নিয়ে বিশ্বের সমস্ত সামরিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক বিতর্ক হলে হতে পারে। কিন্তু ট্যাকটিক হিসেবে এটি একটি সর্বোত্তম সামরিক অপারেশনের উদাহরণ, যা দুর্বলদের আন্দোলন রচনা করেছে।

জনপ্রিয় মুক্তি আন্দোলনের সদস্যদের দ্বারা স্থল, আকাশ এবং নৌপথ – সবদিক থেকে পরিচালিত এই অভিযান ছিল, দুর্বলদের ভূমি দখলকারী শত্রুর বিরুদ্ধে। আক্রমণটি নিখুঁতভাবে শত্রুপক্ষের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা দেয়াল অতিক্রম করে। এরপর এমন বিস্ময়কর বিজয় অর্জন করে, যা ইসরায়েলি শত্রুকে হতবাক করে দিয়েছিল। ফলস্বরূপ দক্ষিণ বিভাগের বাহিনী ভেঙে পড়ে। পশ্চিমের নেতৃবৃন্দ ও ইহুদীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

 অপারেশনের সরাসরি উদ্দেশ্য কী ছিল: –

– তারা ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনী সম্পর্কে ছড়িয়ে পড়া বিভ্রম দূর করে একটি বিস্ময়কর সামরিক অভিযান উপহার দিতে চেয়েছিল। এটি ০৬ ই অক্টোবরে মিশরীয় সেনাবাহিনীর সুয়েজ খাল অতিক্রমের বিস্ময়কেও হার মানায়।

– যতটা অধিক সম্ভব অপরাধী শত্রু সৈন্যদের হত্যা; যারা সব সময় মুজাহিদীনের পরিবার, নারী ও শিশুদের উপর বোমা মেরেছে।

– শত্রুদের কারাগারে বন্দী নিজেদের অপহৃত ভাইদের মুক্তির লক্ষ্যে দর কষাকষি করার জন্য সম্ভাব্য সর্বাধিক সংখ্যক ইহুদীদের ধরে আনা এবং তাদেরকে গাজা স্ট্রিপের গোপন আস্তানায় নিয়ে যাওয়া।

– সম্ভাব্য সর্বাধিক সংখ্যক শত্রুর গাড়ি, সাঁজোয়া যান এবং সামরিক সুবিধা ধ্বংস করা।

– দক্ষিণ বিভাগের গোয়েন্দা সদর দপ্তর থেকে সম্ভাব্য সর্বাধিক পরিমাণ গোয়েন্দা নথি সংগ্রহ করা।

প্রথম মূল্যায়ন:

ফজর…

০৭ই অক্টোবর; সে ছিল আলো ও আগুনের খেলা

এই লক্ষ্যগুলি ছাড়াও আরও কিছু লক্ষ্য অর্জিত হয়েছিল। এই অতিরিক্ত লক্ষ্যগুলো সাধারণত সামরিক অভিযানের ফলাফলের উপর নির্ভর করে আসে। যেমন: শত্রুর নিরাপত্তা ও সামরিক স্ট্র্যাটেজি নষ্ট করা, ধারাবাহিক ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে যেকোনো উপায়ে ইহুদীদেরকে অধিকৃত ফিলিস্তিন থেকে পলায়ন করে পশ্চিমা দেশগুলিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা, ইহুদীবাদী অর্থনীতিকে সংঘাতের মাধ্যমে নিঃশেষ করা, ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করে এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তুলে নেয়া এবং সেনাবাহিনী, জায়নবাদী শত্রুদের রক্ষাকারী ও সুরক্ষাদানকারী ব্লকের সরকারগুলোকে বিব্রত করা। কারণ এই সুরক্ষাদানকারী ব্লকের সরকারগুলো ইসলামী জনগণের ক্রোধ থেকে ইহুদীবাদের সীমানাকে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে।

বিশাল আকারের এই সৈন্য-বাহিনীর গুদামে অস্ত্র ও গোলা বারুদ যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ থাকা সত্ত্বেও ০৭ই অক্টোবর শনিবারে মুজাহিদীনের পরিচালিত অভিযানের প্রতিরোধে এক-দশমাংশ করে দেখাবারও সাহস করতে পারেনি। চীনের বিরুদ্ধে জোট গঠনের জন্য উদ্ভাবিত আবরাহামিক ধর্মের দাওয়াত ও আহ্বানের হৃদয়ে এ ছিল এক গভীর আঘাত। এই আক্রমণ মুসলিম জাতির মনোবল বৃদ্ধির কারণ। নবীদের অঞ্চল তথা মধ্যপ্রাচ্যের জনগণকে রাজা-বাদশা, ক্ষমতাধর শ্রেণি এবং ওই সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে এই হামলা করা হয়েছে, যারা বিশ্বাসঘাতকতার পোশাক গত কয়েক দশক ধরে পরিধান করে আছে। গর্বিত গাজার ব্যাপারে মুজাহিদীন নেতাগণ বলেছেন, ‘আল-আকসার তুফান’ (তুফানুল্ আকসা) অপারেশনটি  ছিল মূলত বর্ণবাদী ইহুদীবাদী সরকার কর্তৃক গাজা উপত্যকায় পরিচালিত হতে চলা একটা বিরাট আক্রমণের পূর্ব অভিযান। (অর্থাৎ এমনিতেও ইসরাঈলিরা গাজা উপত্যকায় একটা বড় হামলা করার পথে ছিল, তার আগেই আল্লাহর সৈনিকগণ তাদের উপর হামলা করে দিয়েছেন)।

এই সকল লক্ষ্য স্থির হয়েছিল বরকতময় এই অভিযানের রাজনীতিক উদ্দেশ্যের ছায়ায়। তেমনি মৌলিক কিছু রাজনীতিক উদ্দেশ্য হলো: – প্রতিক্রিয়াশীল ইহুদীবাদী বিকৃত সরকারের পতন ঘটানো।

– আল-আকসা মসজিদে হামলা, মসজিদ প্রাঙ্গণে অন্যায় অনাচারের ঝড় এবং মুসল্লিদেরকে নিপীড়ন ও নামায আদায়ের বাধা দান – এইসব কিছু বন্ধ করা।

– ইসরায়েলি কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দীদের সরিয়ে আনা।

– ‘ইতামার বেন-গাভির’ ও তার কুকুর – ইসরায়েলের ধর্ষিতা নারীদের জারজ সন্তানগুলো যে নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে, সেগুলো বন্ধ করা। নেতানিয়াহু তার সরকারে এমন এক নির্বোধকে অংশীদার করেছে, যার নির্বুদ্ধিতার কোনো দৃষ্টান্ত নেই। সে ফিসফিস করে কানে কানে বললো: আমাকে যুদ্ধের সুযোগ দিন; একটা যুদ্ধ। বলতে না বলতেই নিজের মনিবের নির্দেশ পালনে সকাল-সন্ধ্যা কুদসের ভূমিতে আমাদের ভাই-বোনদের সঙ্গে অন্যায় আরম্ভ হয়ে গেল।

পূর্বে থেকেই আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের বন্দী ও হত্যা করা হচ্ছিল। এমনকি রক্তস্রোত চরমে পৌঁছে যায়- আর ইহুদীবাদীদের অনাচার চূড়ান্ত মাত্রা স্পর্শ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সহনশীল ব্যক্তিদের ক্রোধান্বিত অবস্থার কঠোরতা আজ কোথায় পৌঁছেছে দেখুন।

তাই সব অনাচার-অত্যাচারের জবাব হিসেবে অক্টোবরের সপ্তম দিনটি ছিল লড়াইয়ের চূড়ান্ত পর্বের সূচনা। যা দিনের পর দিন বছরের পর বছর চলতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ্। যতদিন না ইহুদীরা আমাদের ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যায়!

ঘটনা প্রবাহের চূড়ান্ত অবস্থা যেহেতু শুরু হয়ে গিয়েছে, তাই এখন এই যুদ্ধ একদিন বা এক রাতের নয়। এই চলমান যুদ্ধের বীর সেনারা ঘোষণা করেছে: বর্তমান রণাঙ্গন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এই অনুচ্ছেদ শেষ করার আগে যদি কোনো ব্যক্তি বলে: সময়টা কি এখন এসবের উপযুক্ত? আমি তাকে জবাব দেব: অবশ্যই উপযুক্ত।

বেলফোর চুক্তির পর থেকেই বিভিন্নভাবে ইহুদীবাদী সদস্যদের (ইহুদী ও পশ্চিমা) যে প্রতিক্রিয়া ফিলিস্তিনি মুসলিম জনগণ অনুভব করছে, সেটা তো নতুন কিছু নয়।

দ্বিতীয় মূল্যায়ন: শত্রুর প্রতিক্রিয়া নিয়ে

ইহুদী জায়নবাদী শত্রু সামরিক পরিকল্পনার অভাবে আছে। বাস্তবেও তারা পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও দুর্বল। তারা যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত কৌশল তৈরিতে অক্ষম। তাদের শুধু আছে মূর্খতা আর ক্ষমতার বড়াই। তাদের পরিকল্পনা তাওরাতসহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের ‘জাতিগত নিধনের পাঠ্য’ থেকে উদ্ভূত। তাই ‘প্রস্থান স্ট্র্যাটেজি’ তথা পিছু সরে আসার কৌশল বলে যা বোঝায় সেটা তারা বোঝে না। যাই হোক এই অঞ্চলে তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।

ইসরাঈলি দখলদাররা বুদ্ধিবৃত্তিতে পঙ্গু। অন্তরে তাদের অন্ধত্ব এবং কৌশলগতভাবে তারা অজ্ঞ। সে তার খুর দিয়ে নিজের কবর খনন করছে। এ কারণে সে প্রধানত দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে:

১. ক্রুসেডার পশ্চিমাদের সাহায্য চাইছে পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার জন্য।

২. বরাবরের মতো সামরিক কার্যক্রমের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। কিন্তু প্রতিবারই দখলদাররা অতিরঞ্জিত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, অত্যধিক মিথ্যাচার করছে, অপবাদ আরোপ করছে এবং প্রতিপক্ষকে দায়ী করছে। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানেও দখলদাররা মানবাধিকারের সকল স্তর লঙ্ঘন করছে। বিপর্যস্ত পশ্চিমাদের ভঙ্গুর নীতিতেও এটা অন্যায়!

তাই কার্পেট বোমা বিস্ফোরণের ক্ষেত্রে নারী, শিশু ও বয়স্ক কেউই রেহায় পাচ্ছেন না। গাজায় আমাদের ভাই-বোনদের ধৈর্য আশ্চর্যজনক! এমনকি তাদের কষ্ট সহিষ্ণুতা দেখে যেন ধৈর্য নিজেই ধৈর্যের শিক্ষা নিচ্ছে!

হে ইহুদী অপরাধীরা! হে ইহুদীদের মিত্ররা! তোমাদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না। ইনশাআল্লাহ তোমাদের ওপর এমন হামলা হবে, যা ফিলিস্তিনে তোমাদের অস্তিত্ব অবশিষ্ট রাখবে না।

পাঠক! আসুন আমরা দেখে নেই ফিলিস্তিনে শত্রুপক্ষ কি করতে চায়। এর জন্য আমাদের পেছনে তাকাতে হবে। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে গাজায় আজকের গণহত্যার তুলনামূলক ক্ষুদ্র চিত্র দেখতে পাই। আর আজ ২০২৩ সালে পরিচালিত গণহত্যায় আমরা দেখতে পাচ্ছি পশ্চিমা নেতারা কেমন করে একে আশীর্বাদ দিচ্ছে।

(২০০৮ থেকে ২০০৯ সালে) ২৪ দিন সময়ের মধ্যে গাজায় কি ঘটেছে?

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এহুদ ওলমার্ট এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে এহুদ বারাকের নেতৃত্বে ইহুদীবাদী শত্রু রাবিদের আশীর্বাদ নিয়ে গাজা আক্রমণ করে। রাবিরা নারী, শিশু সকলকে হত্যার বৈধতা দিয়ে ফতোয়া ঘোষণা করে। রাবি মোর্দেচাই ইলিয়াহু; যাকে ইসরায়েলিদের মধ্যে জাতীয় ধর্মীয় আন্দোলনের প্রথম ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তিনি পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট এবং দখলদার সকল নেতাকে ‘ছোট বিশ্ব’ নামক সাপ্তাহিক পত্রিকায় একটি চিঠি পাঠান।

তাতে তিনি শিখিম বিন হমোরের গণহত্যার কাহিনী উল্লেখ করেন – যা জেনেসিস বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনা তাওরাতের ভাষ্য হিসেবে ইহুদীদেরকে এই অনুমতি দেয় যে, সামরিক নীতি অনুযায়ী শত্রুদেরকে গণহারে হত্যা করা বৈধ।

২০০৮-০৯ সালে গাজা আক্রমণের ‘মূল লক্ষ্য’:

আফগানিস্তান যুদ্ধে অজ্ঞ সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বুশ কর্তৃক উত্থাপিত লক্ষ্যই ইসরাঈলের আগ্রাসনের লক্ষ্য। আর তা হচ্ছে: গাজার সরকারের উৎখাত। তার বদলে পশ্চিমের অনুকূল ও তাবেদার গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। গাজা সরকারকে নিরস্ত্রীকরণ এবং এই অঞ্চলকে একটি উপনিবেশে রূপান্তর।

২০০৮-০৯ সালে গাজা আক্রমণে ‘আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ’:

৬০টি বিমান প্রথম দিনে একশ টনেরও বেশি বোমা ফেলে। তারা নারী, পুরুষ, শিশু, সাধারণ নাগরিক – নির্বিশেষে ফিলিস্তিনি মুসলিম জনসাধারণকে শত্রু হিসেবে টার্গেট করে। নির্বিচারে সকলের ওপর বোমা বর্ষণ করে। দিন পার হতে থাকে আর তারা বাড়ি-ঘর, মসজিদ, দাতব্য ও সামাজিক সংগঠন, স্যাটেলাইট চ্যানেল, সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মী, ওষুধের দোকান, আল-শিফা হাসপাতাল, রাফাহ সীমান্ত চৌকি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ভবন, জাবালিয়া ক্যাম্প, বেইত হ্যানন, বুরেজ ক্যাম্প, গ্যাস স্টেশন, স্কুল ও বিদ্যালয়—যার মধ্যে আছে জাবালিয়া ক্যাম্পে ইউএনআরডব্লিউএ-র স্কুল; যেটাতে ০৬ই জানুয়ারি ২০০৯ সালে সাদা ফসফরাস বোমা হামলা করা হয়—কোনো কিছুতে হামলা করতে তারা বাদ রাখেনি। এরপর ফিলাডেলফিয়া-সালাহ আল-দিন ক্রসিং, শেখ রাদওয়ান পাড়ায় একটি কবরস্থানেও তারা বোমা হামলা করে। শত্রুরা যুদ্ধের পুরো সময় জুড়ে ব্যাপক গণহত্যা চালায়।

২০০৮-০৯ সালে গাজা আক্রমণে ‘অবরোধ’:

ইহুদী বাহিনী গাজা উপত্যকায় অবরোধ আরোপ করে। পানি, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। দখলদাররা মানবিক করিডোর খোলার জন্য যুদ্ধ বিরতির সমস্ত আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে। গাজা শহর অবরোধ করা হয় এবং গাজা উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বেত লাহিয়ার বাসিন্দাদেরকে বলা হয় শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য। এর ১৮ দিন পর মিসরের রাফাহ থেকে কিছু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসক প্রবেশ করেন।

২০০৮-০৯ সালে গাজা আক্রমণে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’:

মিডিয়া ও গণমাধ্যম অঙ্গনে যুদ্ধের পাশাপাশি তারা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ পরিচালনা করে। গাজার উপর লিফলেট ফেলে। ওই সমস্ত লিফলেটে কখনও শহর খালি করে দিতে বলে, কখনও সুনির্দিষ্টভাবে ফোন কল করে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংবাদ দিতে বলে। আবার কখনও ফোন কল করে নাগরিকদেরকে তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।

২০০৮-০৯ সালে গাজা আক্রমণে ‘গ্রাউন্ড অ্যাটাক’:

সেনাবাহিনী দশ হাজার রিজার্ভ সৈন্য তলব করে। পদাতিক, আর্টিলারি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিশেষ ইউনিট, যুদ্ধজাহাজ, ট্যাংক—এই সকল ইউনিটের অংশগ্রহণে অষ্টম দিনে আক্রমণ শুরু হয়। ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলায় গাজা উপত্যকা ধূলিসাৎ করে দেয়ার জন্য বিমান আসে। আল-তুফাহ পাড়া, আল-জায়তুন পাড়া এবং জাবালিয়া শহরের পূর্বে মারাত্মক সংঘর্ষ ও কামান দিয়ে গোলা বর্ষণ করা হয়। তবে দখলদার বাহিনী জাবালিয়া এবং উত্তর গাজার উপরিভাগে স্থলপথে অগ্রসর হতে ব্যর্থ হয় এবং তিনটি অক্ষ থেকে গাজা শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। ২২ দিন পর দখলদার সরকার ঘোষণা করে যে, তারা যুদ্ধের সমাপ্তির কাছাকাছি। ২৩ তারিখে ওলমার্ট গাজা থেকে সৈন্যপ্রত্যাহার ছাড়াই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন এবং শেষ দিনে ওলমার্ট শর্ম সামিটের (শার্ম এল-শেখ শীর্ষ সম্মেলন) অংশগ্রহণকারীদের কাছে ইসরায়েলের সৈন্য প্রত্যাহারের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।

২০০৮-০৯ সালে গাজা আক্রমণে ‘নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা’:

১৩ তারিখে রেজোলিউশন-১৮৬০ জারি করা হয়, যা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়।

২০০৮-০৯ সালে গাজা আক্রমণে ‘আরব রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকা’:

১৮ দিন পর আরব আমিরাত- শীর্ষ বৈঠকে অংশগ্রহণে সম্মত হয়। কি লজ্জার বিষয়! দোহায় জরুরি আরব শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ১৫ টি দেশের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। একটি মিশরীয় এবং একটি তুর্কি প্রস্তাবনাও উপস্থাপিত হয়।

নিরাপত্তা পরিষদ এবং আরব লীগ উভয়ই দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে বিশ্বাস করে। কিন্তু তারা যেটা বিশ্বাস করে আমরা তাতে বিশ্বাস রাখি না। সাইকাস-পিকট (Sykes – Picot) চুক্তির কোনো সীমান্ত আমরা মানি না। তাছাড়া জিহাদ ফরয। আমাদের জনগণ প্রতিরোধের পথ বেছে নিয়েছে। অতএব সামরিক, রাজনৈতিক ও আর্থিক আগ্রাসনকারী শত্রুকে এমন প্রতিটি ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করা ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ নেই, যেখানে একদিনের জন্য হলেও ইসলাম প্রতিষ্ঠিত ছিল। এ কারণেই মানুষকে দাওয়াতের জন্য অগ্রসর হওয়া… পৃথিবী এবং সারা বিশ্বে সকল মানুষকে ইসলামের দিকে দাওয়াতের জন্য আমাদের পথ চলা।

যেহেতু শত্রুপক্ষের প্রতিক্রিয়া এমনকি তাদের হৃদয়ের অন্ধত্ব এবং গণহারে হত্যার উন্মাদনা ইত্যাদি কোনো বিষয় অজানা ছিল না; সবকিছু জানাই ছিল যে তারা কি করবে? তাহলে আমরা এখন এই প্রত্যাশা করতে পারি যে, ২০২৩ এর এই ‘তুফানুল আকসা’ অভিযান বিজয় ও স্বাধীনতার পথে একটি মাইল ফলক হবে। ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে এই অভিযানের সুফল দেখা যাবে।

আমরা যাদেরকে শহীদ হিসেবে ধারণা করি ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সালে তাদের সংখ্যা ছিল ১২৮৫। ৪৩৭ জনের অধিক শিশু, ১১০ জনের অধিক নারী, ১২৩ জনের অধিক বয়স্ক, ১৪ জন চিকিৎসা কর্মী ও চিকিৎসক, চারজন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী ছিলেন। আর আহতদের সংখ্যা পৌঁছে ছিল ৪ হাজার ৮৫০ জনে। অতএব ২০২৩ সালের ঘটনা নতুন কিছু নয়।

২০২৩ সালের যুদ্ধের ঘোষিত লক্ষ্য:

হামাস সরকারকে উৎখাত করা, তার সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করা, নিজেদের বন্দী মুক্ত করা, তাদের প্রতি অনুগত সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, বিমান দিয়ে বোমা হামলার মাধ্যমে দমবন্ধ অবরোধ আরোপ এবং স্থল যুদ্ধ। বর্তমানে (২০২৩ সালে) শহীদানের সংখ্যা হবে পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি। শত্রু পরিচালিত গণহত্যা হবে আরও বড়। এ ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বের মৌন সমর্থন, তাদের আগ্রহ, আরব ও মুসলিম-দেশের সরকারগুলোর নীরবতা হবে আরও সুস্পষ্ট কলঙ্কজনক। আরবরা ইহুদী শত্রুদের সঙ্গে জোটবদ্ধতার কারণে নীরব থাকবে। এই সকল অবস্থায় একমাত্র আল্লাহর প্রতি আস্থা ও ভরসাই হবে আমাদের আসল পুঁজি। জনগণকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা সর্বদাই জাগ্রত থাকবে, কারণ আমরা এক উম্মাহ।

তৃতীয় মূল্যায়নঃ যুদ্ধবাজ এবং যুদ্ধাপরাধীদেরকে নিয়ে

মুজাহিদ দলের মুখপাত্রদের ছবি যখন স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর পর্দায় ভেসে ওঠে, তখন সত্যিই আশার উদয় ঘটে। যদিও তাঁদের চেহারা মুখোশ দিয়ে ঢাকা থাকে কিন্তু তার পেছনের চোখগুলো অনেক নীরব বার্তা দিয়ে যায়। সেই চোখ থেকে সর্বপ্রথম আমরা ওই ঈমানের দ্যুতি ঠিকরে বের হতে দেখি, যা তাঁদের অন্তরে পরিপূর্ণ। রবের প্রতি আস্থা পোষণকারীদের বিশ্বাস তাঁদের কণ্ঠস্বরে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। তাঁদের কথাগুলো গর্জনকারী অপ্রতিরোধ্য জোয়ারের মতো বয়ে চলে। তাঁদের কথার সত্যতা ও মাধুর্যতার কারণে অন্তর ও হৃদয়ের পূর্বে মস্তিষ্ক উন্মুক্ত হয়ে যায়। তাঁদের চক্ষু ও বাক্যগুলো প্রত্যয়, দৃঢ়তা, মায়া, ভালোবাসা, দূরদর্শিতা, সংকল্প ও সততা বহন করে। কারণ তাঁরা যুদ্ধের ময়দানের অশ্বারোহী, আবার জগতত্যাগী। তাঁরা সত্যের সিংহ আল্লাহর সৈনিক। আমি তাঁদেরকে বলবো: ইনশাআল্লাহ নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য আসন্ন। অবশ্যই তা আসবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেছেন:

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِنْ تَنْصُرُوا اللّٰهَ يَنْصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ اَقْدَامَكُمْ

অর্থঃ “হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ়প্রতিষ্ঠ করবেন”। (সূরা মুহাম্মদ ৪৭:০৭)

আপনারা আল্লাহকে সাহায্য করুন! তাহলে আল্লাহ আপনাদেরকে সাহায্য করবেন এবং আপনাদেরকে দৃঢ়পদ রাখবেন।

আর যখন বানর ও শূকরের বংশধরদের ছবি স্যাটেলাইট টিভিতে উঠে আসে, নেতানিয়াহু – প্রতিরক্ষা মন্ত্রী – সেনাবাহিনীর মুখপাত্র- জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী এবং ফিলিস্তিনের ভূমিতে আগ্রাসনকারী অন্যান্য ইহুদী গর্দভের চেহারা যখন ভেসে উঠে, তখন আমরা ঘৃণা, বিদ্বেষ ও হিংসা ছাড়া আর কিছুই দেখি না। আমরা কেবল নোংরা কথা শুনি, যা তাদের কঠিন হৃদয় ও কলিজা থেকে বের হয়। তাদের সেই হৃদয়ে আছে অবিশ্বাস ও গাদ্দারী। আক্রমণের বিভীষিকায় কোটর থেকে তাদের নোংরা চোখ, মুখ থেকে তাদের হিংসা ভরা ঘৃণ্য জিভ এবং তাদের ফোলা ফোলা নাক থেকে শূকরের আওয়াজ বের হয়ে আসে। পরাজয় ও হতাশার ধুলোয় তাদের মুখ ঢেকে যায়। আল্লাহ বলেনঃ

وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ عَلَيْهَا غَبَرَةٌ تَرْهَقُهَا قَتَرَةٌ أُولَٰئِكَ هُمُ الْكَفَرَةُ الْفَجَرَةُ

অর্থ: “অনেক মুখমণ্ডল সেদিন হবে ধুলি ধূসরিত। তাদেরকে কালিমা আচ্ছন্ন করে রাখবে। তারাই কাফের পাপিষ্ঠের দল।” (সূরা আবাসা ৮০:৪০-৪২)

এই ইহুদীদের না আছে কোনো বিশ্বস্ততা, না আছে সত্যবাদিতা।

আল্লাহ তাআলা বলেন:

أَوَكُلَّمَا عَاهَدُوا عَهْدًا نَّبَذَهُ فَرِيقٌ مِّنْهُم ۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ

অর্থ: “কি আশ্চর্য, যখন তারা কোনো অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়, তখন তাদের একদল তা ছুঁড়ে ফেলে, বরং অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।” (সূরা বাকারা ০২:১০০)

অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَالَّذِينَ كَفَرُوا فَتَعْسًا لَّهُمْ وَأَضَلَّ أَعْمَالَهُمْ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ كَرِهُوا مَا أَنزَلَ اللَّهُ فَأَحْبَطَ أَعْمَالَهُمْ

অর্থ: “আর যারা কাফের, তাদের জন্যে আছে দুর্গতি এবং তিনি তাদের কর্ম বিনষ্ট করে দিবেন। এটা এজন্যে যে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তারা তা পছন্দ করে না। অতএব, আল্লাহ তাদের কর্ম ব্যর্থ করে দিবেন।” (সূরা মুহাম্মদ, ৪৭:০৮-০৯)

চতুর্থ মূল্যায়ন: অতীত ও আধুনিক ক্রুসেডার উপনিবেশবাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন:

রাষ্ট্রপতি পদে তার ফেরার সম্ভাবনা কম থাকায় তিনি আচ্ছন্ন ছিলেন। নেতানিয়াহুর চিৎকারে তার হুঁশ ফিরে আসে। নেতানিয়াহু হয়তো তার মাঝে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে। ইহুদী লবি আগামী নির্বাচনে তার জয়ের ব্যাপারে হয়তো তার সঙ্গে দর কষাকষি করে নিয়েছে। ইহুদী আগ্রাসনকে জো বাইডেনের বৈধতা ও সহায়তা দেয়ার বিনিময়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসা – এ কারণেই প্রেসিডেন্ট জায়নবাদী মিত্রতা আরও জোরালো করেন এবং যুদ্ধের পতাকা বহন করেন।

তিনি তৎক্ষণাৎ ০৭ বিলিয়ন ডলার সহায়তার সিদ্ধান্ত দেন। ব্যর্থ আয়রন ডোমের স্টকের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াতে, ক্ষতিপূরণ হিসাবে তিনি ক্ষেপণাস্ত্র প্রেরণ করেন। অধিকৃত ফিলিস্তিনে আমেরিকান মজুদের ক্ষতি না করে, নিজ দেশ থেকে আরও অধিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। এয়ার ক্রাফট ক্যারিয়ার জেরাল্ড ফোর্ড পাঠিয়ে দেন। সাথে বিমানবাহী রণতরী ডট আইজেনহাওয়ার এবং তার আনুষঙ্গিক যাবতীয় সামগ্রী পাঠিয়ে দেন। বাইডেন দ্রুত তার ইহুদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে ইসরাইলে পাঠান। তার সহায়তার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকেও সঙ্গে দেন। শীঘ্রই তিনি নিজেও যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাবেন।

বাইডেন আমেরিকান জনগণের মনস্তাত্ত্বিক ও নৈতিক অবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। শিশুদেরকে নির্বিচারে হত্যার বিষয়ে মিথ্যাচার করেন। তার মিথ্যাচার প্রকাশিত হবার পর তার মুখে কোনো লালা ছিল না। ফিলিস্তিনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার উস্কানি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধ একটি ছোট শিশুকে ২৬টি ছুরিকাঘাত করে এবং তার মাকে ১২টি ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। উস্কানির ফলে যুবকদের অবস্থা তাহলে কি হবে?

শয়তান বাইডেন এই হত্যাকাণ্ডকে ঘৃণ্য অপরাধ হিসাবে বর্ণনা করে। অথচ এগুলো তারই প্ররোচনা ও উস্কানির ফল। তাকে অবশ্যই এর দায়ভার এবং ইসলামী বিশ্বের প্রতিক্রিয়ার দায়ভার বহন করতে হবে। পশ্চিমাদেরকে যারা ন্যায়পরায়ণ ও নিরপেক্ষ বলে মনে করে, তাদের মধ্যে কিছু মাত্র সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন ব্যক্তির কাছেও আজ একথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এখন (২০২৩ সালে) গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমেরিকা পুরোপুরি যুক্ত।

আমেরিকা মুসলিমদের যেকোনো সংগঠন, সংস্থা এবং যেকোনো ধারা উপধারার বিরোধী। তাদের গণতান্ত্রিক ধর্ম শুধু সাদা চামড়া ও রঙিন চোখ বিশিষ্টদের জন্য। সকল মানুষের জন্য সমান অধিকার নয়, বরং সব মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে হবে এবং তাদেরকে দাস বানিয়ে রাখতে হবে – এটাই আমেরিকার মূলনীতি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক:

এমনকি তুমিও সুনাক! গাজায় যা ঘটছে তা কি তোমাকে ইংরেজ দখলদারের আমলে তোমার পূর্বপুরুষদের (ভারতের) কষ্টের কথা মনে করিয়ে দেয়নি? তোমার মৃত পূর্বপুরুষদের পিঠে খোদাই করা তাদের চাবুকের চিহ্ন কি চোখে পড়েনি? নাকি তুমি ওই সমস্ত বিশ্বাসঘাতক বাপ দাতাদের উত্তরসূরি, যারা স্বজাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল? কেউ অন্যায়ের তিক্ততার স্বাদ পেলে তার বংশধরদের কাছে সংবাদ পৌঁছে দেয়, যাতে তারা কোনো অত্যাচারীকে সমর্থন না করে। কিন্তু যারা জালিমদেরকে চেনে, তাদের পানি দিয়ে পরিতৃপ্ত হয়, তাদের ছায়ায় বসবাস করে, তারা তো জালিমদের নিকৃষ্ট পায়ের জুতা হয়ে যায়। জীর্ণ হবার পরে জুতা যেভাবে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া হয়, সেভাবেই তাদেরকেও ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা হয়।

ম্যাক্রোঁ ও ফ্রান্স:

এমন হত্যাকারী দেশ থেকে কী আশা করা যায়, যারা ১২ হাজার আলজেরিয়ানকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছিল? এটা এমন একটা দেশ, যার নেতৃবৃন্দ বিশ্বের কাছে সম্মান হারিয়েছে। তারা এখনও সাম্রাজ্যবাদের মায়ায় জীবন যাপন করছে। এমনকি মরক্কো ও মালিতে আমাদের ভাইয়েরা তাদেরকে বহিষ্কার করার পরেও।

ম্যাক্রোঁর মুখে ক্রমাগত থাপ্পড় পড়েছে – তার নিজের জনগণের কাছ থেকে হোক কিংবা আফ্রিকান নেতাদের কাছ থেকে। সে অপমান লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে ন্যাটোর কয়েকজন সদস্যের কাছেও, যারা ফ্রান্সকে অস্ট্রেলিয়ান সাবমেরিন চুক্তি থেকে বের করে দেয়। এলিসি প্যালেসের ছায়া দুর্ভাগ্যজনক ইহুদীবাদীর সাথে রয়েছে। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহুদী সমর্থকদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি দেন। আর যারা ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে চান তাদের বারণ করেন। ফিলিস্তিন সমর্থকদেরকে কারাদণ্ড ও জরিমানার হুমকি দেন।

কি হাস্যকর তোমাদের গণতান্ত্রিক ধর্ম! তোমরা এই গণতন্ত্রকে নীতি বানিয়েছ, যা এখন নিজেরাই ভঙ্গ করছো। এটা তোমাদের নিজেদের জন্য এবং তোমাদের কথিত স্বাধীনতার জন্য দুর্ভাগ্য। তোমাদের গণতান্ত্রিক দেশের প্রধান ব্যক্তিত্ব ইহুদীদের দ্বারা নির্দেশিত বিবৃতি দেয়ার জন্য তৈরি হয়ে যায়। অযৌক্তিকভাবে; এমনকি কিছু মাত্র আত্মসম্মানের বালাই না রেখে সে বিবৃতি নিয়ে তোমাদের প্রধান ব্যক্তি বড়াই করতে আরম্ভ করে। তার আশা হলো, জায়নবাদের স্বর্ণের বাছুরে তারও ভাগ থাকবে। যাই হোক না কেন, সাধারণভাবে ফরাসি মডেল আমাদেরকে বৈশ্বিক পরিসরে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে পশ্চিমাদের অন্তর্ধানের সুসংবাদ দেয়। পশ্চিমা বিশ্বের পতনের ইঙ্গিত সর্বপ্রথম পাওয়া যায়- যখন মুনতাজর আল-জাইদির জুতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের মুখে ছুঁড়ে মারা হয়। বুশ জুনিয়র একপাশে সরে গেলে জুতো তার পিছনে আমেরিকার পতাকায় আঘাত করেছিল। আফ্রিকা তোমাদেরকে তার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার পরে শীঘ্রই তোমাদের শহরের ধ্বংসাবশেষে কাক ডাকবে।

জার্মান চ্যান্সেলর শুলজ:

অন্যান্য ইউরোপীয় ট্রাম্পেটের মতো মিত্রতা ও আনুগত্যের দায়িত্ব উপস্থাপনে পূর্বের মতো আরও একটি প্রদর্শিত চিত্র হলো জার্মান চ্যান্সেলরের অবস্থান। এ নিয়ে মন্তব্য করার কোনো অর্থ নেই। কারণ তাদের খেলোয়াড়দের দ্বারা সমকামীদেরকে সমর্থন করার মতো ঘটনার পরে জার্মানিতে দেখার মতো কোনও পুরুষ নেই। জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে যখন আমেরিকার হাতের পুতুল ছিল না, ওই অবস্থায় ফিরে যাবার আগ পর্যন্ত জার্মানি নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই।

ইউরোপের অবশিষ্ট নেতাদের অবস্থা পূর্বোক্ত অবস্থা থেকে ভিন্ন নয়। তাই তাদের কথা উল্লেখ করার কোনো অর্থ নেই।

ফিলিস্তিন ঘেরা আরব রাষ্ট্রপুঞ্জের কাজের ওপর একটি প্রতিক্রিয়ামূলক মন্তব্য করে নিবন্ধ শেষ করবো।

তোমরা ১৯৪৮ সালের মতো ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতির পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেই অজুহাতে বর্ডার ক্রসিংগুলি বন্ধ করে দিয়েছো। তোমরা ক্রসিং গেটে ত্রাণ কনভয়গুলি থামিয়ে দিয়েছো, ইহুদীবাদীদের কাছ থেকে সেগুলো প্রবেশ করানোর অনুমতি লাভের অপেক্ষায়। আল্লাহর কসম তোমাদের এমন কর্মকাণ্ডে শোকাহত ব্যক্তিরাও হাসবে। তোমাদের কিছু করতে পারার সাধ্য বুঝি এটুকুই ছিল? দখলদারিত্বের ৭৫ বছর পরেও যদি তোমাদের চতুর বাহিনী প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করতে না পারে, তাহলে যারা পারেন, তাঁদের কাছে তোমাদের নেতৃত্ব ছেড়ে দাও। নিষ্ঠাবান সেনাবাহিনী ও তোমাদের জনগণের জন্য অস্ত্রের গুদাম খুলে দাও, যেন তাঁরা আল্লাহর পথে জিহাদ করতে পারে। নিজেদের সামরিক যোগ্যতা ও জন্মগত প্রতিভা দিয়ে তাঁরা এমন এক যুদ্ধে নেতৃত্ব দেবেন, যা অত্র অঞ্চল থেকে ইহুদী অস্তিত্ব মিটিয়ে দেবে। যেমনিভাবে ইতিপূর্বে নিষ্ঠাবান আফগানরা করেছেন। তারা কোনো সামরিক কলেজে পড়াশোনা করেনি। তারপরও আমেরিকান সেনাবাহিনী ও ন্যাটোর সমস্ত সামরিক সরঞ্জাম, প্রযুক্তি ও অহঙ্কার মাটিতে মিশিয়ে তাদেরকে হতাশ বানিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছেন।

সরকারগুলোর প্রধান মিশন যেহেতু প্যালেস্টাইনে ইহুদীদের পাহারা দেওয়া, তাদেরকে আমাদের জনগণের প্রতিশোধ থেকে রক্ষা করা; তাই এরা জনগণ ও সেনাবাহিনীকে লাঞ্ছিত হওয়ার পথ ছাড়া অন্য কোনো পথ দেখাবে না। তাই আমাদের মুসলিম উম্মাহর সাধারণ জনগণের উপর দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাদেরকে উপেক্ষা করে সামনে অগ্রসর হওয়া। যেমনিভাবে মুজাহিদীন অক্টোবরের ০৭ তারিখে জায়নবাদী শত্রুর দেয়ালগুলো টপকে অগ্রসর হয়েছিলেন।

মিশর, লেভান্ট, জর্ডান, আরব উপদ্বীপ, ইরাক ও তুরস্কে থাকা আমাদের মুসলিম উম্মাহর সন্তানেরা!

জেনে রাখুন, জিহাদ আপনাদের উপর ফরয। সামরিক প্রশিক্ষকবৃন্দ ঝড়ের গতিতে বর্ডার ক্রসিং ও সীমান্ত অতিক্রম করে গাজায় নিজেদের ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে যেতে বিলম্ব করবেন না। স্পেসিফিক অপারেশন চালাতে যারা সক্ষম, তাদের উচিত: তাদের সামনে দিয়ে বিশেষ করে লোহিত সাগর দিয়ে ইহুদীদের জন্য কোনো বণিক জাহাজ যেন যেতে না পারে।

সিনাই উপত্যকায় আমাদের গর্বিত গোত্রগুলোর কাছে আমরা বলবো: আপনারা সিনাই গ্যাস পাইপ লাইনগুলি দিয়ে ইহুদীদের কাছে গ্যাস সরবরাহ হতে দেবেন না।

জর্ডানে আমাদের নাশামি উপজাতির ভাইদের উদ্দেশ্যে বলবো: তেলের পাইপ লাইন দিয়ে আপনারা ইউরোপ আমেরিকায় কোনো তেল সরবরাহ হতে দেবেন না।

কবি, সাহিত্যিক, লেখক, প্রবন্ধকার এবং অনুপ্রাণিত অন্য ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলবো: জীবন দিয়ে জিহাদ করার সুযোগ যদি আপনারা নাও পেয়ে থাকেন; তবে জবান ও চিন্তা-চেতনা দিয়ে জিহাদ যেন আপনাদের ছুটে না যায়।

আমাদের অন্যান্য ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বলবো: রিং-এস্টেটগুলোতে জায়নবাদী ইহুদী ও পশ্চিমাদের স্বার্থে আঘাত করুন। তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ুন। আমাদের মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে জায়নবাদী ইহুদী ও পশ্চিবাদের যত স্বার্থ আপনাদের হাতের কাছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, সেগুলো সব পুড়িয়ে দিন।

হে মুসলিম উম্মাহর সন্তানেরা!

যে যেখানেই আছেন, আপনারা আমাদের ফিলিস্তিনের ভাইদেরকে একা ছেড়ে যাবেন না। কারও হাতে যদি শুধু একটি পাথর থাকে, তাহলে সেটি বিশ্বের যেকোনো জায়গায় জায়নবাদী ক্রুসেডার যৌথ শক্তির বিরুদ্ধে ছুঁড়ে মারুন। পৃথিবীকে তাদের জন্য জাহান্নাম বানিয়ে দিন। আমাদের সম্পদ ও অর্থবিত্ত থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করুন, যেভাবে তারা আমাদের মা-বোনদেরকে, শিশুদেরকে ফিলিস্তিনে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করেছে। আপনারা একেকজন একান্তে নিজেকে প্রশ্ন করুন: কেমন করে আপনার চোখ ঘুমাতে পারে, অথচ আমাদের মা-বোনেরা, আমাদের শিশুরা গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসাবশেষ ও বোমার নিচে ঘুমাচ্ছে?

হে উম্মাহ জেনে রাখুন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:

مَا مِنَ امْرِئٍ يَخْذُلُ امْرَأً مُسْلِمًا فِي مَوْضِعٍ تُنْتَهَكُ فِيهِ حُرْمَتُهُ وَيُنْتَقَصُ فِيهِ مِنْ عِرْضِهِ، إِلَّا خَذَلَهُ اللَّهُ فِي مَوْطِنٍ يُحِبُّ فِيهِ نُصْرَتَهُ، وَمَا مِنَ امْرِئٍ يَنْصُرُ مُسْلِمًا فِي مَوْضِعٍ يُنْتَقَصُ فِيهِ مِنْ عِرْضِهِ وَيُنْتَهَكُ فِيهِ مِنْ حُرْمَتِهِ، إِلَّا نَصَرَهُ اللَّهُ فِي مَوْطِنٍ يُحِبُّ نُصْرَتَهُ

অর্থ: “যে ব্যক্তি অপর মুসলিমের মান-ইজ্জত নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে ত্যাগ করে, আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করা থেকে বিমুখ থাকবেন যেখানে সে তাঁর সাহায্য কামনা করে। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের মান-ইজ্জত নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে সাহায্য করে আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করবেন যেখানে সে তাঁর সাহায্য প্রত্যাশা করে।” (সুনান আবূ দাউদ – ৪৮৮৪)

বরকতময় ঐতিহাসিক অভিযানের চূড়ান্ত ফলাফল এখনও আসেনি। বিশেষ করে ওই ফলাফলের কথা বলছি, যা অপ্রত্যাশিত; যা এমন অবস্থায় সামনে আসবে, যার জন্য পরিকল্পনা করা থাকবে না। স্বভাবতই অপ্রত্যাশিত বিষয়গুলো আগ্রাসী শত্রুর স্থায়িত্ব ও ভবিষ্যতের জন্য অধিক হুমকি হয়ে থাকে।

 

ইনশাআল্লাহ খুব অচিরেই ইসলামী বিশ্বের জনগণ এমন বিপ্লব নিয়ে আবির্ভূত হবে, যা ক্ষমতায় থাকা রাজা, রাজপুত্র এবং রাষ্ট্রপতিদের শাসনকে অপসারণ করবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তারা এমন একটি যুদ্ধের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে ইহুদী গোষ্ঠী এবং তার মিত্রদের জন্য শয়তানের কুমন্ত্রণা নিয়ে কিছু করার সুযোগটাও অবশিষ্ট রাখবেন না। আরব ও ইসলামী দেশগুলির সমস্ত শাসক ও মুনাফিক, যারা ইহুদীবাদী ও ক্রুসেডার পশ্চিমকে সমর্থন করে, তারা যেন এই বিষয়টা ভালো করে বুঝে নেয়।

***

مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × one =

Back to top button