অডিও ও ভিডিওঅডিও ও ভিডিও [আল হিকমাহ]আকিদা-মানহাজআর্কাইভআল-হিকমাহ মিডিয়ানির্বাচিতনির্বাচিত প্রকাশনাপ্রবন্ধ-নিবন্ধবই ও রিসালাহমিডিয়াশাইখ খালেদ বিন উমর বাতারফি হাফিযাহুল্লাহ

বিদআতি ও বিরোধীদের সাথে আচরণনীতি | নবম দরস | শাইখ খালিদ বাতারফি হাফিযাহুল্লাহ

مؤسسة الحكمة
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al-Hikmah Media

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled

أصول التعامل مع أهل البدع والمخالفين
“الدرس التاسع”

বিদআতি ও বিরোধীদের সাথে আচরণনীতি
“নবম দরস”

Treatment policy with bidat and opponents
“9th dars “

للشيخ الأمير خالد باطرفي – حفظه الله
শাইখ খালিদ বাতারফি হাফিযাহুল্লাহ
By Sheikh Khalid Batarfi Hafizahullah

 



 

 

 

 

 

للمشاهدة المباشرة والتحميل
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading

লিংক-১https://web.archive.org/web/20210930…e_acoronniti-9
লিংক-২https://web.archive.org/web/20210930…5232022f0e6aaa
লিংক-৩https://web.archive.org/web/20210930…are.id/k1smlk1

 

روابط الجودة الاصلية
FULL HD 1080 (235.4 MB)
মূল রেজুলেশন [২৩৫.৪ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/esrYALoG9NJjrH4
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/7321g35926daf97e2471b905822d255f50bc2
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/e64f4631-a2f3-40a4-ac02-afbf948518e5/651d7225a39e9d3af1a9c6f3accbd1274e977caa27385413af3199fe1f858780
লিংক-৪ : https://archive.org/download/usul-9/Usul-9.mp4
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/ffpvc…sul-9.mp4/file
লিংক-৬ : https://krakenfiles.com/view/cHU1ya5Tsf/file.html

 

روابط الجودة العالية
HQ 1080 (166.5 MB)
১০৮০ রেজুলেশন [১৬৬.৫ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/nGgyp88wRzyLtfi
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/7321gdfd281ed1b5e4bd8a940239606e28256
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/1ebc6062-486e-404b-a73d-f076f1ea6bd7/de453e66cffa9cdccd67c90d4ed799d8b72f580129c4cfcfae698bac21a4bc3a
লিংক-৪ : https://archive.org/download/usul-9/Usul-9-1080.mp4
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/hciex…-1080.mp4/file
লিংক-৬ : https://krakenfiles.com/view/SAKXGJMTkp/file.html

 

روابط الجودة المتوسطة
MQ 720 (74.1 MB)
৭২০ রেজুলেশন [৭৪.১ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/nzF7543gWYpkMoz
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/7321g756d506b000d4a34a40c54eb1e0ee6eb
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/91d183f3-65dc-4dc3-b63c-796f9f25b17f/2077040ad7b6ffc11c8c789bbfe8dd421840fcfb5600b8aeddeaffdf66133329
লিংক-৪ : https://archive.org/download/usul-9/Usul-9-720.mp4
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/174×9…9-720.mp4/file
লিংক-৬ : https://krakenfiles.com/view/z567w10uOT/file.html


روابط الجودة المنخفضة
LQ 360 (19.1 MB)
৩৬০ রেজুলেশন [১৯.১ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/378yCTcpLCeHmZm
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/7321ga2048ad3e5174b73af8fb7866f534e5d
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/7fd502d5-f21b-4647-a55b-fd17f9e1b2c3/76fa43fe493dc7470fbe16611d235b78a4e37645fd70ccc6f4ead79b2bb88f9c
লিংক-৪ : https://archive.org/download/usul-9/Usul-9-360.mp4
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/b1931…9-360.mp4/file
লিংক-৬ : https://krakenfiles.com/view/u14HVTPdVn/file.html


روابط جودة الجوال
Mobile Qoality (18.3 MB)
3GP রেজুলেশন [১৮.৩ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/nAtY4Tgt8wPjHD8
লিংক-২ : https://archive.org/download/usul-9/Usul-9.3gp
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/7321g6f734badf7344178a3b829705b01a1fe
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/b88b27f4-ad3a-4046-a1c1-9369c35e260f/cf8bb151a5b4be56da2ad6011663bf5086ad54521b53bc5cd68c3bfe605fe29c
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/0a3sb…sul-9.3gp/file
লিংক-৬ : https://krakenfiles.com/view/lETLlhBtrR/file.html

 

روابط بي دي اب
PDF (538 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৬৩৮ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/nJ6gTjzBb3gPttq
লিংক-২ : https://archive.org/download/usul-9/Usul-9.pdf
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/7321g08514ba668f545a78e25d04ab6abad1d
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/6dd6497d-dedb-44dd-9c2b-3a24ca4dce4b/616c7f9fef2e32616a04495c5f0b0ed572312bae5a48ac1a906caa2dd88c2720
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/70m9c…sul-9.pdf/file
লিংক-৬ : https://krakenfiles.com/view/ZSK2OSNfOO/file.html

 

روابط ورد
Word (346 KB)
ওয়ার্ড [৩৪৬ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/7impAXcZxDZ6HxT
লিংক-২ : https://archive.org/download/usul-9/Usul-9.docx
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/7321ga9c254a174a545358ee5a3b9bb5ffc87
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/aba1992b-b52f-44ff-b517-2c87847e31b4/efb5b402dbbf2ad8dd5edbb68e2945dceb77bda72ee90a49f26fcef8e708360b
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/t9zmi…ul-9.docx/file
লিংক-৬ : https://krakenfiles.com/view/lJ6FyBtAAA/file.html

 

روابط الغلاف- ١
book Banner [627 KB]
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [৬২৭ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/o5LNFfzs39JZiSY
লিংক-২ : https://archive.org/download/usul-9/…%20Prossod.jpg
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/7321g9465b4210bec4aef83c70cc7257baf75
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/dea91b3b-833f-4268-af7e-9f7b90c1bc04/35acf32660031f77bc1b0c879eeeffb4e520d281f9dcfea9edaf4a41589b8fe5
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/ms6cp…ossod.jpg/file
লিংক-৬ : https://krakenfiles.com/view/P04EZOrvVA/file.html

 

روابط الغلاف- ٢
Banner [944 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৯৪৪ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/xBkfLf7MsTEqRkf
লিংক-২ : https://archive.org/download/usul-9/Usul-9%20Banner.jpg
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/7321g05d48fca6b344f2fb7be8f7280fe1e34
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/cce8885b-eac3-4393-be55-6900407c0ad3/1250e3d2f4fe3db59a6e0e57a9677a5b257cae9490b641056b38ad76a462120c
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/7n5sj…anner.jpg/file
লিংক-৬ : https://krakenfiles.com/view/NamuIvaSW2/file.html

 

===================

বিদআতি ও বিরোধীদের সাথে আচরণনীতি

শাইখ খালিদ বাতারফি হাফিযাহুল্লাহ

  নবম দরস

অনুবাদ ও প্রকাশনা

মূল প্রকাশনা সম্পর্কিত কিছু তথ্য

মূল নাম:

أصول التعامل مع أهل البدع والمخالفين – الدرس التاسع، للشيخ الأمير خالد باطرفي – حفظه الله  –

ভিডিও দৈর্ঘ্য: ১১:০৯ মিনিট

প্রকাশের তারিখ: শাবান ১৪৪২ হিজরি

প্রকাশক: আল মালাহিম মিডিয়া

 

بسم الله الرحمن الرحيم

الحمد لله والصلاة والسلام علي رسول الله وعلي اّله وصحبه ومن والاه -الحمد لله حمدا كثيرا طيبا مباركا فيه ومباركا عليه كما يحب ربنا ويرضي-

পূর্বের দরসে আমরা নবম মূলনীতি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তা হলো, বিদআত প্রত্যাখ্যান, সুন্নাহর প্রতি আহবান এবং তুলনামূলক গুরুত্বপুর্ণ কাজকে প্রাধান্য দেয়ার ক্ষেত্রে আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকারের শর্তসমুহের প্রতি লক্ষ্য রাখা ।

দশম মূলনীতি:

এখন আমরা দশম মূলনীতি সম্পর্কে আলোচনা করবো। আর তা হলো, ‘বিদআতের দিকে আহবানকারীর শরীয়ত সম্মত শাস্তির বৈধতা সম্পর্কিত আলোচনা যা নিশ্চিত করবে শান্তি, শিষ্টাচার কল্যাণ’

কট্টরপন্থী বিদআতিদের সাথে তাদের বাহ্যিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে আচরণ করা হবে। আর অভ্যন্তরীণ বিষয় আল্লাহর উপর ছেড়ে দেয়া হবে। কিন্তু বিদআতের প্রতি আহনাকারীর জন্য ইসলামী শরিয়াহর পক্ষ থেকে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তার ধরণ নির্ধারিত হবে অবস্থার আলোকে। বিদআতের দিকে দাওয়াতের স্তরভেদে শাস্তির ভিন্নতা রয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হত্যা থেকে শুরু করে সামাজিকভাবে বয়কট, শাসন করা ও জেল খানায় পাঠানো বা অন্যান্য শাস্তির ব্যবস্থা আছে।

বিদআতি ব্যক্তির ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ বলেন: “যে প্রকাশ্যে বিদআত ও পাপ কাজ করবে, তার সমালোচনা করা গীবত বলে গণ্য হবে না।[1]

যেমনটি হাসান বসরী রহিমাহুল্লাহ ও অন্যান্যদের থেকে বর্ণিত হয়েছে। কারণ যখন সে প্রকাশ্যে বিদআতি কর্মকান্ড করবে, তখন সে  ইসলামী শরিয়াহর পক্ষ থেকে শাস্তির উপযুক্ত হবে। সর্বনিম্ন শাস্তি হলো তাকে নিন্দা করা এবং তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা। যাতে সে এ ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকে এবং মানুষও যেন তার অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকতে পারে। আর যদি তাকে নিন্দা না করা হয়, তার পাপাচারিতা, অবাধ্যতা কিংবা বিদআতের সমালোচনা না করা হয় তাহলে সাধারণ মানুষ তার প্রতারণার স্বীকার হবে”।

অনেকের কাছে এই বিষয়টির সুষ্পষ্ট কোন নীতিমালা নেই। কেউ কেউ নিজেকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করেন কিন্তু অন্যদের খুব ভুল ধরেন এবং শুরুতেই তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলেন। যেমন – প্রচলিত সালাফী মতবাদের দায়ীগণ। আবার এর বিপরীত চিত্রও রয়েছে। কারো মাঝে ভুল দেখেও তার সামাজিক অবস্থানের কারণে তার এই ভুলের বিষয়ে কথা না বলে বা তার বিদআতকে বর্জন না করে  সৌজন্যমূলক আচরণ বজায় রাখা হয়। এই ধরণের আচরণও সঠিক নয়।

তাই ব্যক্তির জন্য সর্বপ্রথম আবশ্যক হলো নিজেকে সংশোধন করা। যাতে সে নিজের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারে যে, সে কুরআন ও সুন্নাহকে বুঝার ক্ষেত্রে সালফে সালেহীনের সঠিক চিন্তা-চেতনা লালন করে। অত:পর তার কর্তব্য হলো; বিদআতি ও ভুলপন্থীদের ভুলকে স্পষ্ট করে দিবে এবং উম্মাতের কল্যাণের প্রতি খেয়াল করে তাকে এড়িয়ে চলবে। আমি বলতে চাচ্ছি যে, এই এড়িয়ে চলার বিষয়টি অবশ্যই উম্মতের কল্যাণের জন্য। অর্থাৎ যদি এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্তটি উম্মত ও তার জন্য কল্যাণকর হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই এই সিদ্ধান্তটিই নিব। সাথে সাথে ব্যক্তিকে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করবো, যাতে সে এ ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে এবং তা থেকে ফিরে আসে।

আবার কখনো ব্যক্তির অবস্থা ও তার বিদআত অনুপাতে তার সাথে সুসম্পর্ক রাখা উপকারী হয়। যেমন, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহিমাহুল্লাহর একজন বন্ধু ছিলো যে শিয়া রাফেজী মতবাদের অনুসারী ছিলো। কিন্তু সে তার বিদআতের প্রতি আহবানকারী দায়ী ছিলো না। তো তিনি ঐ বন্ধুর সাথে চলা-ফেরা করতেন এই প্রত্যাশায় যে, সে তার কুসংস্কার থেকে ফিরে আসবে। তিনি তার সাথে কোমল আচরণ করতেন, তার হিত কামনা করতেন।

অবশ্য এটি তখন করা যাবে যখন মানুষের নিকট অন্যের সংশয় দূর করা এবং বিদআতির সাথে বিতর্ক করার মত যথেষ্ট পরিমাণ ইলম থাকবে। তাহলে আশা করা যায় তাকে তার বিদআত থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে। না হয় কমপক্ষে নিজেকে বিদআত থেকে রক্ষা করতে পারবে। কিন্তু যদি এতটুকু ইলম না থাকে তাহলে বিদআতি ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলাই কল্যাণকর।

আশ্চর্যের বিষয় হলো – সালাফী দাবীদার কিছু লোক এই যামানায় আমাদের জন্য বিব্রতকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা তাদের বিরোধী প্রত্যেককেই পরিত্যাগ ও এড়িয়ে চলার কথা বলে। কিন্তু এতে আমাদের সামনে কোন মাসলাহাত বা কল্যাণ পরিলক্ষিত হয় না। এক্ষেত্রে দেখা গেছে – তারা যাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে তাদের সংশোধন হয়নি এবং তারা তাদের পূর্বের অবস্থা থেকে ফিরে আসতে পারেনি। সাধারণত এই পরিস্থিতি তখনই হয় যখন তারা (সালাফীরা) ভুলের উপর থাকেন।

পক্ষান্তরে বাস্তবে যদি তাদের মতটি সঠিক হয় তখন তারা খুব অহঙ্কারের সাথে বিষয়টিকে প্রচার করতে থাকে। এভাবেই দিন শেষে তা তাগুতের সহযোগিতার কারণ হয়। অথচ তাদের পক্ষের আলেমগণ অথবা যাদেরকে তারা আলেম হিসাবে স্বীকৃতি দেন তারাও এমন বক্তব্যে বিশ্বাসী নন। যখন শাইখ আলবানী রহিমাহুল্লাহকে এই যামানায় ভুলপথে পরিচালিত ব্যক্তিকে পরিত্যাগ তথা এড়িয়ে চলার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, তখন তিনি পরিত্যাগ বা বর্জনের মত দেননি। তার ফতোয়া আমাদের নিকট বিদ্যমান।

চলমান সময়ে এমন অনেক দলকে দেখা যায়, যারা বিভিন্ন খ্যাতিমান আলেমের সাথে নিজেদের পরিচয় থাকার বিষয়টি জানাতে গর্ববোধ করেন। অথচ আপনি যদি সেসকল আলেমের উক্তিসমূহ মনোযোগের সাথে খেয়াল করেন তবে দেখতে পাবেন যে, ঐ আলেমরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের বিরোধিতা করেন। উদাহরণ স্বরূপ – আমরা শাইখ আলবানির বিষয়টি সামনে আনতে পারি।

এ দলগুলো দাবি করে তিনি তাদের অন্তর্ভূক্ত। অথচ আমার মনে হয় তিনি এমন অনেক বিষয়ে তাদের সমর্থন করেন না, যে বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে এই দলগুলোর অনেক ভুল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ – শাইখ আলবানী ইসলামী খিলাফাহ পতনের পর জিহাদকে ফরজে আইন মনে করেন, আমিরের অনুমতিতে ইশতেশহাদী হামলা বৈধ মনে করেন। এ যামানায় তিনি বিদআতিদের পরিত্যাগ করাকে কোন কল্যাণ হিসাবে বিবেচনা করেন না। বরং তার মতে ঐ বিদআতির বিষয়ে আলোচনা ছেড়ে দেয়া ভালো।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো – পরিত্যাগ করাতে কোন কল্যাণ থাকলে তা করা হবে। অন্যথায় মূলনীতি হলো তার বিষয়ে প্রয়োজনে লেখালেখি, বয়ান এবং বিতর্ক চালিয়ে যাওয়া। অনেক সময় বিতর্কও বর্জন তথা এড়িয়ে চলার কারণ হয়।

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ বলেন:

“এ ধরণের বিদআতির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন স্তরের শাস্তির হল – মানুষ যাতে তাকে বর্জন করে এজন্য তাকে নিন্দা করা হবে। আর যদি নিন্দা না করা হয় এবং তার পাপাচারিতা, অবাধ্যতা, বিদআত জনসমাজে আলোচনা করা না হয় তবে মানুষ প্রতারিত হবে।

কিছু কিছু বিদআতি এমন আছে যারা অন্যদেরকেও তার পথ অবলম্বন করার জন্য উৎসাহ দেয় বা বাধ্য করে। যার ফলে তার স্পর্ধা, পাপাচারিতা, অবাধ্যতা বেড়ে যায়। যদি তার বিষয়টি মানুষের সামনে আলোচনা করা হয়, তাহলে সে এবং অন্যান্য লোকেরাও তার সংশ্রব থেকে বিরত থাকবে”।

তিনি আরো বলেন:

“সত্য এখন সুস্পষ্ট এবং মুসলমানরা তা বুঝেছে। তারপরও কিছু বিদআতি বিদআতের দিকে আহবান করা পছন্দ করলে, তাকে ঐ কাজ থেকে বারণ করতে হবে। আর তাকে পরিত্যাগ করা এবং শাস্তি দেয়াই তার জন্য মাসলাহাত হবে। যেমন আমীরুল মু’মিনিন উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু সাবীগ ইবনে আসাল আত তামীমির সাথে এমনটা করেছেন। তিনি ছাড়া অন্যান্য মুসলমানগণও তা করেছেন। কিংবা তাকে হত্যা করা হবে, যেভাবে মুসলমানগণ জা’আদ ইবনে দিরহামকে এবং গাইলান আল কাদারীকে হত্যা করেছে।

তাদেরকে পরিত্যাগ, হত্যা ও শাস্তি না দিয়ে যদি বিদআতের দিকে দাওয়াত দিতে সুযোগ দেওয়া হয়, তখন সে প্রবৃত্তি কিংবা নষ্ট মন-মানসিকতার কারণে সত্যকে গ্রহণ করে না। এমতাবস্থায় তাকে কিছু না বলাটা তার জন্য যেমন ক্ষতিকর, ঠিক তেমনি মুসলমানদের জন্যও ক্ষতিকর। এই জাআদ ইবনে দিরহাম বলতো, “আল্লাহ তায়ালা মূসা আলাইহিস সালামের সাথে কথা বলেননি”। সে আল্লাহ তায়ালার সাথে ইবরাহীম আলাইহিস সালামের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্বের বিষয়টি অস্বীকার করতো। এছাড়া তার আরো অনেক অপরাধ ছিলো”।

ইরাকের উমাইয়াদের গভর্নর খালেদ বিন আব্দুল্লাহ একদা ঈদুল আযহার দিনে দাড়িয়ে ঘোষণা দিয়ে বললেন: “তোমরা কোরবানি করো, আল্লাহ তোমাদের কোরবানিকে কবুল করুন। মূসা আলাইহিস সালাম এর সাথে আল্লাহর কথা বলা এবং আল্লাহর সাথে ইবরাহিম আলাইহিস সালামের বন্ধুত্বকে অস্বীকার করায় আমি জাআদ ইবনে দিরহামকে যবাই করছি”।

ঐ যুগের ওলামায়ে কেরামের ফতোয়া অনুযায়ী তিনি জাআদ ইবনে দেরহামকে হত্যা করেছেন। সর্বপ্রথম যে মানুষ তাকদিরকে অবিশ্বাস করেছে সে হলো – গায়লান আদ-দিমাশক। আর এ কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ উমর ইবনে আব্দুল আযীয এ বিষয় নিয়ে তার সাথে বিতর্ক করেছেন। ফলে সে তাওবা করে পূর্বের মত থেকে সরে এসেছিল। পরবর্তীতে পুনরায় সে একই কথা বলে পূর্বের কুফরি কথায় ফিরে গেল। এ ধরনের ব্যক্তিদের বিষয়ে ইবনে তাইমিয়াহ রহিমাহুল্লাহ বলেন:

“যদি কেউ নষ্ট মানসিকতার কারণে কিংবা প্রবৃত্তির কারণে সত্যকে গ্রহণ না করে; তাহলে এ ক্ষেত্রে তাকে বিদআতের দাওয়াতের সুযোগ না দিয়ে হত্যা করাটাই কল্যাণকর। কারণ এ অবস্থায় তাকে ছেড়ে দেয়াতে তার জন্য এবং মুসলমানদের জন্য ক্ষতি ও বিশৃংখলা ছাড়া আর কিছুই নেই”।

শেষে শাইখ বলেন:

“মোট কথা হলো – সত্য স্পষ্ট হয়ে যাবার পর এবং সত্য সম্পর্কে জানার পরও যদি বিদআতের দিকে আহবানকারীর একমাত্র উদ্দেশ্য হয় মানুষের ক্ষতি করা, তখন তার বিদআতের কারণে শাস্তি দেয়া হবে”।

তিনি আরো বলেন:

“এ কারণে জমহুর আয়িম্মায়ে কেরাম বিদআতের দিকে আহবানকারী ও আহবানকারী নয় – এই দুইয়ের মাঝে পার্থক্য করেছেন। কারণ বিদআতের আহবানকারী খারাপ কাজকে প্রকাশ করে, তাই সে প্রকাশ্যে শাস্তির উপযুক্ত। আর যে আহবানকারী নয় – সে তো ঐ ব্যক্তির মতো যে নিজে গোপনে অপরাধ করে। তো সে চুপ থাকায় প্রকাশ্যে তাকে প্রত্যাখ্যান করা হবে না। কারণ গোপন অপরাধ তো শুধু নিজের ক্ষতি করে। কিন্তু যখন সে প্রকাশ্যে অপরাধ করে, তখন  ক্ষতির ব্যাপকতার বিষয়টি আর অস্বীকার করা যায় না। এ কারণে মুনাফিকদের থেকে তাদের বাহ্যিকটা গ্রহণ করা হয়, আর গোপন বিষয় আল্লাহর কাছে সোপর্দ করা হয়। তবে যে কুফরকে প্রকাশ করে দিয়েছে তার বিষয়টি ভিন্ন”। (মাজমুঊল ফাতাওয়া)

এখানে আমি দায়ীদেরকে কিছু বিষয়ে সতর্ক করতে চাই, তা হলো: কুসংস্কারের বা বিদআতের দিকে আহবানকারীকে হত্যা করার জন্য এটা আবশ্যক নয় যে, তাকে হত্যা করা হবে রিদ্দা বা ইরতিদাদের কারণে। অর্থাৎ কখনো কখনো বিদআত যদি জঘন্য আকার ধারণ করে, তখন এই বিদআত থেকে সমাজকে বাঁচাতে তাকে হত্যা করা যেতে পারে।

আবার বিদআতের আহবায়ক নেককার, মা’যুর কিংবা ন্যায়পরায়ণ হলেও তার শাস্তি মাওকুফ করা হবে না। যেমন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাবুক যুদ্ধে অংশ গ্রহণ না করায় তিন সাহাবীকে শাস্তি দিয়েছিলেন। তাদের দু’জন ছিলেন বদরী সাহাবী। তারপরও তিনি শাস্তি স্বরূপ তাদের সঙ্গ ত্যাগ করেছেন।

মুসলিম জাতিকে ব্যক্তির বিদআতের ভয়াবহতা, ভুল-ভ্রান্তি ও ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করার উদ্দেশ্যেই তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। মোট কথা – তাকে শাস্তি দিতেই হবে, যদিও সে সম্মানিত কিংবা সৎ ব্যক্তি হয়। আর এ শাস্তিতে তার এবং সকল মুসলমানদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে।

তাদের শাস্তির ধরণ ভিন্ন ভিন্ন হবে। এ বিষয়ে বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম চিন্তা গবেষণা করে এমন শাস্তি নির্ধারণ করবেন যা বিদআতিদের জন্য এবং জনসাধারণের জন্য কল্যাণকর হবে। অর্থাৎ বিদআতিকে নিজ প্রবৃত্তি বা খাহেশাত অনুযায়ী শাস্তি দিবে না। যা আমরা বর্তমান সময়ে দেখতে পাচ্ছি । মন্দ আলেমদের ফতোয়ার কারণে অনেক ইমাম, উলামায়ে কেরাম, সৎ ও সমাজ সংস্কারককে হত্যা করা হয়েছে।

যাদেরকে আমরা ‘ফেরকায়ে নাজিয়া’ তথা মুক্তিপ্রাপ্ত দল এবং ‘তায়েফায়ে মানসুরা’ অর্থাৎ সাহায্যপ্রাপ্ত দলের অন্তর্ভূক্ত মনে করতাম – তাদের কত কত ব্যক্তিদের সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এ বিষয়গুলো খুবই বিষ্ময়কর, যদি তারা বুঝতো।

অতীতে জিহাদে উপস্থিত না হওয়ায় লোকদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিত্যাগ করতেন। আর বর্তমান সময়ে জিহাদী কাফেলা এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের দিকে আহবানকারীদের বর্জন করা হয়। কতইনা আশ্চার্যজনক তাদের চিন্তা ও আচরণ!!

তদ্রূপ ঐ ব্যক্তির এটা কেমন চিন্তা যে নিঃসংকোচে এভাবে বলে যে, যারা শাসকের বিরুদ্ধে জিহাদ করে তারা ঐ সকল মুজাহিদ থেকে উত্তম যারা নিজ দেশে তাদের শাসকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে না এবং এর কোন উদ্যোগও গ্রহণ করে না এবং সে জিহাদ করে আফগানিস্তন, বসনিয়া, চেচনিয়া ইত্যাদি রাষ্ট্রে। ফলে তাদেরকে বর্জন করা হচ্ছে এ কারণে যে, তারা (নিজ দেশের পরিবর্তে) অন্য রাষ্ট্রে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে। এটাই হচ্ছে অন্ধ অনুসরণ ও পশ্চাতপদতা। আর এটি অনেক শাইখ, দায়িত্বপ্রাপ্ত ও নেতৃত্বের অনুসারীদের থেকে পাওয়া যায়। এটি একটি বড় মসিবত।

মানুষদের উচিত শুদ্ধ-অশুদ্ধ, ভুল-নির্ভুল ও ন্যায়-অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য করা। যদি এর জন্য তাকে তার দল ও তার শাইখেরও বিরোধিতা করতে হয় – তবে তাই করতে হবে। মোট কথা আমি বলতে চাই যে, বিদআতে দিকে আহবানকারীর শাস্তি কখনই যেন নিজ প্রবৃত্তির কামনা অনুযায়ী না হয়। বরং সেটা বিদআতি ও সাধারণ মুসলিম জনগণের কল্যানার্থে হয়।

[1] অর্থাৎ যে নিজে বিদআত সম্পর্কে জানে এবং তার দিকে আহবান করে, ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে যদি লোকজন সমালোচনা করে তাহলে এই বিদআত সংশ্লিষ্ট আলোচনায় কোন সমস্যা নেই।

 

*******************

مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 11 =

Back to top button