আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশনপ্রবন্ধ-নিবন্ধ

আমাদের নাগরিকতা ‘ইসলাম’

তারবিয়াহ – ৬
আমাদের নাগরিকতা ‘ইসলাম’
(আল কায়েদা ইরাক শাখার শুরা কমিটির একটি বিবৃতি)
(লেখাটি আত-তিবইয়ান পাবলিকেশন থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। মূল শিরোনাম ছিল – Islam is our citizenship। আল কায়েদের ইরাক শাখার শুরা কমিটির একটি বিবৃতি এটি। বর্তমানে আল কায়েদার ইরাক শাখা বিলুপ্ত।)

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌ তা’আলার জন্য, যিনি মুমিনদের রক্ষাকর্তা ও পথপ্রদর্শক এবং যিনি কাফির, মুরতাদ ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ তাওহীদের অনুসারীদেরকে সাহায্য করে থাকেন। সালাম ও দরূদ বর্ষিত হোক মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তার পরিবার ও সাহাবীদের উপর এবং তাদের উপর যারা কিয়ামত পর্যন্ত নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথে চলবে ও এই পথে অবিচল থাকবে।

অতঃপর, আমাদের প্রতি সর্বশক্তিমান ও মহিমান্বিত রাব্বুল আলামিনের বিরাট একটা অনুগ্রহ যে, তিনি আমাদেরকে একটি জাতি হিসেবে আখ্যায়িত করে সম্মানিত করেছেন। আমাদের রব আমাদেরকে এমন এক নামে সংজ্ঞায়িত করেছেন যার দ্বারা মানুষদের মধ্যে যারা তাওহীদে বিশ্বাসী তারা কোন রকমের ব্যতিক্রম ছাড়াই একসাথে একটি জাতিতে পরিণত হয়।

শায়েখ আবদুল্লাহ ইবন আবদুল লতিফ বলেন-“ ইসলামে আসার পর বা ইসলাম গ্রহণ করার পর মানুষজন তোমাকে ইসলামের সাহায্যেই চিনবে, অন্যান্য অনেক ধর্মের মানুষদের মধ্যেও তোমাকে ইসলামের নামেই ডাকবে। নিশ্চয় এটা আমাদের রবের নিকট হতে একটি বিশাল অনুগ্রহ”।

আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেন-

وَجَاهِدُوا فِي اللَّـهِ حَقَّ جِهَادِهِ ۚ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ ۚ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ ۚ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمِينَ مِن قَبْلُ وَفِي هَـٰذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ ۚ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّـهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ ۖ فَنِعْمَ الْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ النَّصِيرُ ﴿٧٨﴾

তোমরা আল্লাহর জন্যে শ্রম স্বীকার কর যেভাবে শ্রম স্বীকার করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্যে। সুতরাং তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মালিক। অতএব তিনি কত উত্তম মালিক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী। (সূরা আল হাজ্জঃ ৭৮)

তাই যেহেতু আল্লাহ্‌ তা’আলা আমদেরকে এই নাম দিয়ে সম্মানিত করেছেন এবং তিনি আমাদেরকে এই নামেই পরিচিত করতে চান তাই এই নাম ত্যাগ করা বা এর পরিবর্তে অন্য কোন নাম গ্রহণ করা আল্লাহ্‌ তা’আলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই আমাদের আনুগত্য ও বৈরিতা হবে শুধুমাত্র এই (মুসলিম) পরিচয়ের ভিত্তিতে। অন্য কোন পরিচয়ের ভিত্তিতে আনুগত্য ও বৈরিতার সম্পর্কের কোন অনুমতি ইসলাম আমাদেরকে দেয় না।

শায়খুল ইসলাম ইবন তাইমিয়াহ বলেছেন-
“সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের। তিনি কোরআনে আমাদেরকে ‘মুসলমান’ ‘মুমিন’ ও ‘ইবাদাল্লাহ’ (আল্লাহর দাস) বলে আখ্যায়িত করেছেন। মানুষদের মধ্যে একদল লোক আল্লাহ্‌ প্রদত্ত এই সকল নামের পরিবর্তে নিজেদের তৈরি কিছু নামের মাধ্যমে নিজেদের ও নিজেদের পূর্বপুরুষদের পরিচয় প্রদান করে থাকে। এই সকল পরিচয়কে তারা তাদের আনুগত্য ও বৈরিতার মাপকাঠি বানিয়ে নিয়েছে। আমরা আল্লাহ আমাদেরকে যে সকল পরিচয় দিয়েছেন তা বাদে অন্য সকল মনুষ্যনির্মিত পরিচয়কে অস্বীকার করি। নিশ্চয় আল্লার তা’আলার নিকট মর্যাদার মাপকাঠি হল তাকওয়া। যে যত বেশি তাকওয়াবান আল্লাহ্‌ তা’আলার নিকট তার মর্যাদা তত বেশি। একজন মানুষ কোন জাতি বা গোত্র থেকে এসেছে তা রবের কাছে ধর্তব্য নয়”(২)।

উপড়ের আলোচনা ও প্রমাণাদি থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, আল্লাহ্‌ যে সকল মূলনীতির উপর এই দ্বীন ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিবর্তনীয় মূলনীতি হচ্ছে-“আল্লাহর নিকট বান্দার মর্যাদার মাপকাঠি হচ্ছে বান্দার তাকওয়া (খোদাভীতি)। যার তাকওয়া যত বেশি সে রবের নিকট তত বেশি মর্যাদাবান”। তাই দুনিয়ার বুকে আল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠিত করার পথে কাউকে কোন প্রকারের অনুগ্রহ করার সুযোগ নেই। এমনকি আল্লাহর আদেশ পালন করার পথে নবীদেরও কাউকে কোন প্রকার অনুগ্রহ প্রদর্শনের অনুমতি ছিল না।

আল্লাহর রাসুলের জামানায় এক মহিলা চুরি করে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তো নিয়ম অনুযায়ী তার হাত কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় উসামা ইবন জায়েদ (রাঃ) সেই মহিলার পক্ষ হয়ে তার হাতটি যেন না কাটা হয় সে ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট সুপারিশ করেন। উত্তরে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন-“হে জায়েদ, তুমি কি আল্লাহর আদেশের বিপরীত কোন কিছু করার সুপারিশ করছো ? তবে শুনে রাখো যার হাতে মুহাম্মদের জীবন সেই সত্তার শপথ করে বলছি- যদি মুহাম্মাদের মেয়ে ফাতিমা এই চুরিটি করতো তবে আমি অবশ্যই তার হাত কেটে দিতাম”। এ বিষয়ে আরও অনেকগুলো হাদিস রয়েছে।

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল বর্তমানে আমরা এমন কিছু শায়েখদেরকে দেখতে পাই যারা নিজেদেরকে ইসলামী জ্ঞানের ধারক-বাহক এবং সুন্নাহের অনুসারী বলে দাবী করেন। আবার এই লোকগুলোই ক্রুসেডারদের সাহায্যকারী আর্মি ও পুলিশ বাহিনীর মুরতাদগুলোর রক্তের পবিত্রতা নিয়ে কথা বলে। তারা দাবী করে যে যেহেতু এই লোকগুলো (পুলিশ ও আর্মি) নামে মুসলমান তাই মুসলিম হয়ে তাদের রক্ত প্রবাহিত করা বৈধ হবে না। অথচ এই মুরতাদেরা তাওহীদের অনুসারীদের ও মুজাহিদিনদের বিপক্ষে কুফফারদের পক্ষ নিয়ে লড়াই করে থাকে। এই সকল দরবারি আলেমরা তাদের দাবীর স্বপক্ষে কোরআন ও হাদিস থেকে কোন দলিল দেখাতে পারে না। তারা তাদের দাবীর পক্ষে একটাই যুক্তি দেখায় যে যেহেতু এই মুরতাদেরা ‘ইরাকি’ এবং তাদের গায়ের রক্ত ‘ইরাকি রক্ত’ তাই এই রক্ত প্রবাহিত করা বৈধ হবে না।

তারা যে দাবিটি করে থাকে এর প্রতিফলন আমরা মুসলিমদের ইতিহাস তো দূরের কথা কুফফারদের ইতিহাসেও খুঁজে পাই না। আমরা দেখতে পাই যে পৃথিবীর যেকোনো দেশের সরকার সেই দেশের নাগরিক হয়ে দেশের শত্রুদের সাথে কোন ধরণের বন্ধুত্বের ব্যাপারে কোন ছাড় দেয় না। দেশের বিপক্ষে শত্রুদের সাথে যে কোন ধরণের মিত্রতার একমাত্র শাস্তি ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা। প্রায় সবগুলো দেশেই এই শাস্তি আইন করে পাশ করা আছে।

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘তিন ক্ষেত্রে একজন মুসলিমের রক্ত প্রবাহিত করার ব্যাপারে আর কোন বাঁধা থাকে না। কারণগুলো হল-
১. যদি সে বিবাহিত যিনাকারি হয়।
২. যদি সে কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে।
৩. যদি সে ইসলাম গ্রহণের পর আবার এই ধর্ম থেকে বেরিয়ে যায়।
এই তিন পরিস্থিতি বাদে আর কোন ক্ষেত্রে মুসলিমের রক্ত প্রবাহিত করা বৈধ নয়।

তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এই তিন পরিস্থিতি ব্যতীত বাকি সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা মুসলিমের রক্তের পবিত্রতার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। মুসলিমের রক্তের পবিত্রতার নিশ্চয়তা দিতে যেয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোথাও একথা বলেননি যে শুধুমাত্র ইরাকি হলেই তার রক্ত প্রবাহিত করা হারাম হয়ে যাবে। অথবা তিনি একথাও বলেন নি যে অমুক গোত্র বা অমুক জাতি হলে তার রক্ত প্রবাহিত করা যাবে না।

তাই একজন বিবাহিত ব্যক্তি যদি যিনা করে থাকে তবে পাথর নিক্ষেপ করে তাকে হত্যা করতে হবে যদিও সে ইরাকি হয়। একজন ব্যক্তি যদি শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে উপযুক্ত কোন কারণ ছাড়া কাউকে হত্যা করে থাকে তবে বদলা হিসেবে তাকেও হত্যা করা হবে যদিও সে ইরাকি হয়। আর একজন যদি ইসলাম গ্রহণের পর আবার এই দ্বীন থেকে বের হয়ে যায় তবে সে যে দেশের নাগরিকই হোক না কেন তার রক্ত অন্যদের জন্য হালাল হয়ে যাবে। ইসলামে দেশ বা গোত্রের কারণে বিশেষ ধরণের কোন সুবিধা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আর দেশের নামে মুসলিমদের বিভিন্ন ভাগে ভাগ করার এই নিয়মনীতিও ইসলাম সমর্থন করে না। একজন ব্যক্তি ইরাকি বা গায়রে ইরাকি যাই হোক না কেন মুসলিম হলে সবার জন্য একই নিয়ম আপতিত হবে।

আমাদের মুসলিমদের জন্য কোন মাপকাঠিতে কারও সাথে বন্ধুত্ব করবো এবং কার সাথে শত্রুতা পোষণ করবো সে ব্যাপারে স্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। আল্লাহ্‌ প্রদত্ত মাপকাঠি ব্যতীত যা কিছুই আমরা মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করবো তাই জাহিলিয়্যাতের মাপকাঠি বলে গণ্য হবে। আল্লাহর মাপকাঠি ব্যতীত অন্য যে সকল মনুষ্য নির্মিত মাপকাঠি বন্ধুত্ব ও শত্রুতার জন্য ব্যবহার করা হয় তার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই।

এ কারণেই একজন আমেরিকান মুসলিম যে কিনা আল্লাহ্‌ ও আল্লাহর রাসুল তার জন্য যা কিছুর আদেশ করেছেন তার আনুগত্য করে এবং যা কিছু নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকে এবং তাগুতকে অস্বীকার করে তবে সেই ব্যক্তি আমাদের ভাই। আমরা তার সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ এবং তার যে কোন প্রয়োজনে আমরা তাকে সাহায্য করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। একইভাবে মুরতাদ আরবরা আমাদের শত্রু যদিও সে ইরাকি হয়ে থাকে। অবশ্যই বর্তমান মুসলিম উম্মাহের ঐক্য একমাত্র ইসলামের দ্বারাই সম্ভব। ইসলাম ও মুসলিম পরিচয় ব্যতীত আর কোন পথে এই উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না।

আর এই সকল মুরতাদদের যদি ইজ্জাহ, আত্মসম্মানবোধ ও ফিতরাহ এর কিছু বাকি থাকতো তবে তারা কুফফারদের হয়ে নিজ দেশে নিজ অধিবাসীদের দিকে বন্দুক তাক করতো না।এইভাবে কুফফারদের পতাকাতলে নিজ দেশের মানুষদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতো না। এ থেকে বুঝা যায় যে তারা যে জাতীয়তাবাদের কথা বলে আমাদেরেকে দোষী বানাতে চায় সেই জাতীয়তাবাদ তারা নিজেরাও খুব একটা মানে না। মানলে কিভাবে তারা নিজ দেশে শত্রুদের পক্ষ নিয়ে নিজের লোকদের উপর ঝাঁপিয়ে পরে? অথচ এই জাতীয়তাবাদকে তারা ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের চাইতেও উপরে স্থান দেয়। তাই তারা জাতীয়তাবাদের কথা বলে রক্তের পবিত্রতার যে দাবী জানায় তার যোগ্য তারা নয়।

বর্তমানে সময়ের মুসলমানদের যারা এই দ্বীন এর উপর থেকে সন্তুষ্ট তাদের প্রত্যেকের কুফফারদের কৌশলগুলো খুব খেয়াল করে পর্যালোচনা করা উচিত। ইসলামের শুরু থেকেই কুফফাররা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নানা রকম কৌশলের আশ্রয় নিয়ে আসছে। আক্রমণকারী পুলিশ ও সেনাবাহিনীদের গায়ে ‘ইরাকি রক্ত’ বলে তারা নতুন একটা জঘন্য কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। কুফফাররা যখন দেখল যে দুই নদীর এই পবিত্র ভূমিতে বিজয় অর্জন করতে পারছে না তখন তারা এখানকার মুরতাদ আর্মি ও পুলিশ বাহিনীর নিকট সাহায্য চাইলো। এরপর কুফফাররা দেখল যে এই মুরতাদ বাহিনীর সদস্যরাও মুজাহিদিনদের হাতে ভেড়ার পালের মত জবাই হচ্ছে। এরপর কুফফাররা এই মুরতাদ বাহিনীকে বাঁচানোর মাধ্যমে নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য জাতীয়তাবাদের দোহাই দিয়ে রক্তের পবিত্রতার দাবী তুললো। তারা দাবী করছে যে, যেহেতু এই সকল মুরতাদ বাহিনীর দেহে ইরাকি রক্ত বইছে তাই তাদেরকে হত্যা করা বৈধ হবে না। এইভাবে জাতীয়তাবাদের বিষবাস্পে তারা মুসলিমদের বিভক্ত করে নিজেদেরকে বাঁচাতে তৎপর।

তাই এখানে আমরা সারা পৃথিবীর সকলের উদ্দেশে ঘোষণা করছি যে,
আমরা আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে থাকি। এই যুদ্ধে আমরা জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে কোন শত্রু-মিত্র নির্ধারণ করি না। আল্লাহ্‌ যেভাবে শত্রু-মিত্র নির্ধারণ করেছেন তাই আমরা অনুসরণ করি। আর এর মাধ্যমেই আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশা পোষণ করি। আল্লাহ্‌ প্রদত্ত নিয়মের উপরই আমরা চলার চেষ্টা করি এবং এর উপর থাকা অবস্থাই মৃত্যুবরণ করার আশা পোষণ করি।

শায়েখ আবদুল লতিফ ইবন আব্দুর রহমান বলেছেন-
“দ্বীন ইসলাম যে সকল মূল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত তার মধ্যে অন্যতম একটি হল- বান্দা আল্লাহ্‌র শত্রুদের ত্যাগ করবে, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রাণপণে লড়বে এবং তাদেরকে লাঞ্ছিত করবে। আর তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ ও অস্বীকার করার মাধ্যমে বান্দা তার রবের নৈকট্য লাভের চেষ্টা করবে”।(২)

সালাম ও দরূদ বর্ষিত হোক মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , তার পরিবার ও সাহাবিগণের উপর।

The Shar’ī Council of the
ফুটনোটঃ
(১) মাজমু আল- ফাতওয়া (৩/৪১৫)
(২) আর-রাসাইল আল-মুফিদাহ (পৃষ্ঠা-৬০)

**********

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 2 =

Back to top button