এ কেমন নৈতিকতা?
আরেকজনের প্রশ্নঃ এদেশের মানুষের টাকায় পরিচালিত ক্যাডেট কলেজ আর পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ে, আপনি এদেশের বিরুদ্ধে কাজ করতেছেন, এটা কেমন নৈতিকতা?
. উত্তরঃ
ভাই, এদেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত ক্যাডেট কলেজ ও পাবলিক ভার্সিটিতে পড়েছি বলেই, এদেশের মানুষের কাছে ঋনী বলেই – এদেশে ইসলামী শরীয়াত কায়েম করার চেষ্টা করা ও জিহাদে শরীক থাকা আমার জন্য আরো বেশী জরুরী হয়ে গেছে।
.
এমনিতেই, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ আল্লাহর হুকুম। পুরো দুনিয়া মন খারাপ করলেই একজন মুসলিম আল্লাহর হুকুমকেই প্রাধান্য দিবে।
.
এর উপর, এদেশের মানুষের যে সাহায্য-সমর্থন আমি পেয়েছি এর বিনিময়ে এদেশের কল্যাণ চাওয়া, এদেশকে জুলুম-নিপীড়ন থেকে মুক্ত করে ইনসাফপূর্ণ ইসলামী শরীয়াতের ছায়াতলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করাই তো উচিত। এর মাধ্যমেই আমি এদেশের মানুষের ঋণ শোধ করতে পারবো বলে মনে করি।
.
দেখুন, আপনি ভাবছেন, এদেশে গণতান্ত্রিক শাসন থাকলে, সেটাকে আরো শক্তিশালী করলে, তা দেশের জন্য উপকার। অথচ দ্বীন ইসলাম থেকে আমরা নিশ্চিতভাবে জানি, এটা একটা শিরক।
.
তার উপর এটা মানুষের তৈরী এমন মতবাদ যা মানুষকে মানুষের উপর প্রভুত্বের একটা হাতিয়ার। এদেশের আপামর জনগণ শেখ মুজিব আর জিয়া পরিবারের অঘোষিত দাসের মতো জীবন যাপন করছে। এই দুই পরিবার আর তাদের সহযোগীরা এদেশের সম্পদগুলোকে কাফিরদের জন্য ফ্রি করে দিয়েছে। (ট্রানজিট, গ্যাস ইত্যাদি)
.
এদেশের মানুষকে ব্রিটিশদের আইন দিয়ে শাসনের নামে জুলুম ও নিস্পেষণের শিকার করা হচ্ছে।
.
পুজিবাদী অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে এদেশের ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে, আর গরীব আরো গরীব হচ্ছে।
.
এসকল অন্যায়, অত্যাচার, জুলুমের বিরুদ্ধে কেন আমি রুখে দাড়াবো না? কেন আমি এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করবো না?
.
কেন আমি আল্লাহর দেয়া নির্দেশনার পরিবর্তে ব্রিটিশ / আমেরিকানদের প্রেসক্রিপশনকে এদেশের জন্য কল্যাণকর মনে করবো?
.
বরং আমি বলবো, আপনি কেন এদেশে গণতন্ত্র কিংবা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টা / শক্তিশালী করার চেষ্টা জারি রেখে এদেশের বিরুদ্ধে, এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করছেন? এটা আপনার কেমন নৈতিকতা??