নারী-শিশু হত্যাকে জিহাদ মনে করেন? ইসরাইলে কেন আক্রমণ করছেন না?
মুদাররিস যুঘ’রাফিয়া (ভূগোল শিক্ষক) প্রশ্ন করেছেন,
“আমাকে মাফ করবেন, জনাব যাওয়াহিরী, কারা আপনাদের পরম কৃতিত্বের আশীর্বাদে বাগদাদ, মরক্কো ও আলজেরিয়া নিরপরাধদেরকে হত্যা করছে ?
আপনারা কি নারী ও শিশুদের হত্যাকে জিহাদ বিবেচনা করেন? আমি আপনাকে এবং আপনার সংগঠনকে তা তেলআবিবে করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ছি।
কেন আপনারা,এখন পর্যন্ত,ইজরাঈলের উপর একটি ও আঘাত হানেন নি ?
নাকি বাজারে মুসলিমদের হত্যা করা সহজ?
হয়তো [আপনাদের জন্য] কিছু ভূগোল বিষয়ক পাঠ নেওয়া প্রয়োজন কারণ আপনাদের মানচিত্র শুধুমাত্র মুসলিম রাষ্ট্রসমূহ দেখায় ”
উত্তর দিয়েছেন আমাদের আমির শায়খ আইমান আজ জাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ)
——————————————————-
মুদাররিস যুঘ’রাফিয়ার প্রতি আমাদের জবাব এই যে আমরা কোন নিরপরাধকে হত্যা করিনি; না বাগদাদে না মরক্কোতে না আলজেরিয়াতে আর না অন্যত্র কোথাও।
এবং যদি কোথাও মুজাহিদীনের অভিযানে কোন নিরপরাধ মুসলিম নিহত হয়ে থাকে, তবে হয় তা ছিল একটি অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি অথবা প্রয়োজনীয়তার মধ্যে থেকে যেমনটা আল-তাতাররুস(শত্রু কর্তৃক মানব ঢাল ব্যবহার/গ্রহণ) এর ক্ষেত্রে।
আমি আল-তাতাররুস সম্পর্কিত বিস্তারিত বিধান ব্যাখ্যা করেছি ।
“শিফায়ে আস- স্বদূরুল মূমিনীন (شفاء الصدور المؤمنين )” কিতাবে এবং “আত-তাবাররাআহু (التبرئه)” কিতাবের অষ্টম অধ্যায়ে।আর (এই বিষয়ে) ভাই আবূ ইয়াহইয়া আল-লিবী (রহ) এর একটি কিতাব আছে “আত-তাতাররুস ফিল জিহাদ ওয়াল মুয়াসির(التترس في الجهاد المعاصر)” শিরোনামে।
আমি প্রশ্নকারী ভাইকে পরিষ্কার করতে চাই যে আমরা নিরপরাধদের হত্যা করি না; প্রকৃত সত্য এই যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করি, যারা নিরপরাধদের হত্যা করে ।
যারা নিরপরাধদের হত্যা করে তারা হল আমেরিকান, ইহুদী, রাশিয়া ,ফ্রান্স এবং এদের দালালরা। আমরা যদি নিরপরাধদের কাণ্ডজ্ঞানহীন ভাবে হত্যাকারী হতাম #যেমনটা প্রশ্নকারী দাবি করেছেন,তাহলে এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব হত, তাদের হাজার জনকে জনবহুল বাজারে হত্যা করা।
কিন্তু আমরা মুসলিম উম্মাহ-র শত্রুদের মোকাবিলা করছি এবং তাদেরকে লক্ষ্য বানাচ্ছি আর এমনটা হতে পারে যে এর মধ্যে, একজন নিরপরাধ অনিচ্ছাকৃত বা অনিবার্যভাবে পতিত হতে পারে এবং মুজাহিদীনগণ পুনঃ পুনঃভাবে মুসলিম আওয়ামদের সতর্ক করে আসছেন যে তারা উর্ধ্বতন অপরাধী- আমেরিকান ও ইহুদী এবং তাদের মিত্র ও দালালদের সাথে যুদ্ধে আছেন এবং তাদেরকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে সেসব স্থান থেকে যেখানে শত্রুরা একত্রিত হয় ।
ক্রুসেডর-ইহুদী প্রপাগান্ডা (প্রচারণা) দাবি করে যে, মুজাহিদীন নিরপরাধদের হত্যা করে কিন্তু মুসলিম উম্মাহ জানে কারা তাদের আসল শত্রু এবং কারা তাদের রক্ষা করে ।
শায়খ উসামা বিন লাদিন (রহ) তার সর্বশেষ বয়ানে বলেছেন-আমরা আমভাবে মুসলিমদের এবং খাসভাবে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের জনগণকে পুনঃনিশ্চিত করছি যে ,তারা মুজাহিদীনদের থেকে প্রত্যেক ভাল জিনিস লাভ করবেন ইনশাআল্লহ!
কারণ আমরা আপনাদের সন্তানেরা উম্মাহর দ্বীনকে রক্ষা করছি এবং একিভাবে এর সন্তানদেরকে রক্ষা করছি । এবং মুসলিমদের সন্তানরা যারা অভিযানে কুফফার এবং ক্রুসেডার অথবা এদের জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে শিকার হচ্ছেন, তা ইচ্ছাকৃত নয় এবং আল্লাহ জানেন যে এটা আমাদের গভীরভাবে দুঃখিত করে এবং আমরা এর জন্য দায়ী আর আল্লাহর কাছে আমরা এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আমরা আল্লাহর কাছে দুআ করি তাদের উপর রহম করতে এবং এটাকে তাদেরকে তাঁর প্রশস্ত বাগানে প্রবেশ করার হেতু করতে এবং তাদের পরিবার ও নিকটজনদেরকে উত্তম ক্ষতিপূরণ দিতে।
এটি আপনার অজানা নয় যে, শত্রুরা এখন স্বেচ্ছায় মুসলিম দের মাঝে অবস্থান নিয়েছে আর মুসলিমরা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যুহের ন্যায় ক্রিয়াশীল। তাই আমি অত্যন্ত গুরুত্বের সহিত মুজাহিদ ভাইদের আল তাতাররাস (শত্রুপক্ষের মাঝে অবস্থান গ্রহণ) এর প্রসারতা এবং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান জানাচ্ছি।
আরো আহবান জানাচ্ছি যেন তারা তাদের প্রতিটি অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে শরীয়াহর পন্থা অনুসরণ করেন এবং যথাসম্ভব মুসলিমদের থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখেন। আমাদের শত্রুতা তো বরং সেইসব পুতুল শাসকদের প্রতি যারা ভরসার অযোগ্য, প্রকৃতপক্ষে তাদের উৎখাত করা এবং শরীয়াতের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানোয় আমাদের উদ্দেশ্য।
কি করে আমরা তাদের উপর ভরসা করতে পারি যেখানে কিনা তারা এই উম্মাহর শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়েছে? তাদের সাহায্যার্থে তারা আজ সবকিছুই করছে। কীভাবে আমরা তাদের উপর ভরসা করতে পারি যেখানে তারা মানবরচিত আইনকে আল্লাহর আইনের সমকক্ষে দাঁড় করিয়েছে?
আর কীভাবেই বা আমরা তাদের উপর ভরসা রাখব? ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সম্মুখ দুয়ার তো আজ তাদের দ্বারাই রুদ্ধ।” এই ছিল তার বক্তব্য। আল্লাহ তার হেফাযত করুন। আমিন।
#২
প্রশ্নকর্তার উদ্ধৃতি অনুযায়ী, ” আমি তেল আবিব আক্রমনের ব্যাপারে আপনাকে এবং আপনার সংগঠন কে চ্যালেঞ্জ করছি।”
আমি জানিনা, সে কি জেরবা, তিউনিসিয়া তে কায়েদা আল জিহাদের ইহুদিদের উপর হামলা, মোয়াসা, কেনিয়ার হোটেলে ইসরাইলি দর্শনার্থী দের উপর হামলা এবং তাদের বহনকারী বিমান EI-AI এ দু’টি মিসাইল নিক্ষেপের ঘটনা শোনে নি?
সে কি শোনে নি যে উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) তার শেষ বার্তায় বলেছিলেন, মুজাহিদ বাহিনী ইরাক দখলদারদের হটিয়ে দেওয়ার পরে জেরুসালেমের দিকে যাত্রা করবে?
সে কি শোনে নি আফগানিস্তান, ইরাক, জাযিরাতুল আরব , ইয়েমেন, আলজেরিয়া তে প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক কুফর প্রধান আমেরিকা আর তার সাহায্যকারী ইংল্যান্ড, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সের সাথে লড়াই এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ আমাদের সম্মানিত করেছেন?
আর এরাই হল ইসরাইলের পিতা, অভিভাবক, স্রষ্টা এবং রক্ষাকারী।
#আর প্রশ্নকারী আলাদা করে আল কায়েদা কীভাবে ইসরাইল আক্রমণ করবে প্রশ্নকারী কেন শুধু এদিকেই আলোকপাত করছেন?
যেখানে কিনা তিনি উদাহরণস্বরূপ চেচনিয়া, আফগানিস্তান ও ইরাকে অবস্থিত ভাইদের সাহায্যের ব্যাপারে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন জিহাদি সংগঠন গুলোকে কিছু বলছেন না?
অবশ্য যদি এটা আল কায়েদা সম্পর্কে তার কোন উত্তম ধারণার প্রকাশ হয়ে থাকে তবে তার জন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই এবং আমরা ওয়াদা করছি যে মহান আল্লাহর সাহায্য ও দিক নির্দেশনায় আমরা ইহুদিদের সাথে যথাসাধ্য যুদ্ধ চালিয়ে যাব ইসরাইলের ভেতরে ও বাইরে।
আর একমাত্র আল্লাহর কাছেই আমরা সাহাযা চাই।