জঙ্গির সাথে কথোপকথনপ্রবন্ধ-নিবন্ধ

কে প্রকৃত সন্ত্রাসী?

যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি গবেষণা সংস্থা কাউন্সিল অব ফরেন রিলেশন (সিএফআর) এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী- ২০১৫ সালের প্রথম দিন থেকে শেষদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুসলিম বিশ্বে ২৩ হাজার ১৪৪টি বোমা বর্ষণ করেছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ফেলেছে ২৮ হাজার ৭১৪টি বোমা। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি দেশগুলোর ফেলা বোমার সংখ্যা ৫ হাজার ৫৭০টি। হামলার ৭৭ শতাংশই চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একাই।
.
কারণ চালক বিহীন ড্রোন হামলা বাদ দিয়ে এটি শুধু সরাসরি বোমা হামলার চিত্র। ড্রোনের সংখ্যা ধরলে এ সংখ্যা আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। মুসলিমপ্রধান কয়েকটি দেশে এসব বোমা ফেলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি গবেষণা সংস্থা কাউন্সিল অব ফরেন রিলেশন (সিএফআর) এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী- ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন এবং সোমালিয়ায় এসব বোমা ফেলা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে শুধু যুদ্ধকবলিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক-সিরিয়াতেই ফেলা হয়েছে ২০,০০০টি বোমা।
.
যে পরিমাণ বোমা ও বোমা সরঞ্জাম ফেলা হয়েছে তা লাখ টনকেও ছাড়িয়ে গেছে। আর এসব বোমার কুপ্রভাব মুসলমানদের দীর্ঘমেয়াদে ভোগ করতে হবে। কারণ এসব বোমার তেজস্ক্রিয়তা প্রজন্মের পর প্রজন্ম থেকে যাবে এবং পরবর্তী মুসলিম প্রজন্মের জন্য অভিশাপ হয়ে থাকবে।
.
কাউন্সিল অব ফরেন রিলেশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিশা জেনকো বলেছে, ‘২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি মুসলিম দেশে এসব বোমা হামলা চালিয়েছে যার মধ্যে ২২ হাজার ১১০ বোমা ফেলা হয়েছে ইরাক ও সিরিয়ার মাটিতে, ৯৪৭টি আফগানিস্তানে, ৫৮টি ইয়েমেনে, ১৮টি সোমালিয়ায় এবং ১১টি পাকিস্তানের মাটিতে ফেলা হয়েছে।’
.
ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন এবং সোমালিয়ায় মার্কিন বোমা এবং বিমানের আঘাতে লক্ষ-লক্ষ মুসলমান শহীদ হয়েছেন। মুসলমান নর-নারী এবং শিশুদের তাজা রক্তে মধ্যপ্রচ্যে রক্তের বন্যা প্রবাহিত হয়েছে। মুসলমান নারী শিশুদের কান্নায় আসমান-যমীন কাঁদছে। কিন্তু কেন? কি অপরাধে মুসলমানদের তাজা রক্তের জন্য হিংস্র হায়েনার চেয়েও হিংস্র হয়েছে ইহুদী, নাছারা, কাফির, মুশরিকরা?
[সংগ্রহীত] .
অন্যদিকে গতকাল মানবিজে বোমা হামলা চালিয়ে ১৬০ জনের বেশি মুসলিমকে অ্যামেরিকানরা হত্যা করেছে। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
.
সারা পৃথিবীতে প্রায় ৯৫% সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে অ্যামেরিকা-ইস্রাইল-ইউরোপ- ভারত। মুসলিম ১০ জন কাফির হত্যা করলে মিডিয়া ১০ দিন সেটা নিয়ে টানা রিপোর্ট করছে। কিন্তু দিনের পর দিন কাফিররা শত শত মুসলিমকে হত্যা করা যাচ্ছে এ নিয়ে মিডিয়া চুপ। বুদ্ধিজীবিরা চুপ, শান্তির সবক দিতে আসারা চুপ।
.
পাঠক! আসুন একটু ভেবে দেখি….সত্যিকার অর্থে সন্ত্রাসী কারা। সন্ত্রাসীদের মদদদাতা কারা, সন্ত্রাসী আদর্শের ধারক ও প্রচারক কারা, গণহত্যার লাইসেন্সদাতারা কারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × three =

Back to top button