মায়াকান্না, মা ও মাসী!
ফেসবুক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য তো অনেক শুনলেন এবার এক পাল্লায় তাদের সবার কথা আর স্বকপোলকল্পিত ব্যাখ্যা রাখুন, আর অন্য দিকে নিচের এই ব্যক্তির বক্তব্যকে রাখুন। তারপর আপনিই মেপে দেখুন।
.
প্রশ্ন- আহমেদ যাইদান – আপনাদের মাঝে এবং আল কায়েদার মাঝে কী রকম সম্পর্ক?
উত্তর – সমগ্র দুনিয়া জানে যে, আমরা আল কায়েদার মুজাহিদিনের জন্য আমাদের শাসনক্ষমতা ত্যাগ করেছি। এটা ছিল আমাদের উপর ইসলামী দায়িত্ব। সুতরাং কিভাবে আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করি? তাঁরা ও আমরা একই জাবহাহ, একই ময়দানের সৈনিক, আমাদের যুদ্ধ ক্ষেত্র এক, আমাদের শত্রুও এক। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এরকমই থকবো যতক্ষণ বিজয় অথবা শাহাদাত আসে। বি ইজনিল্লাহ..
.
আমাদের লক্ষ্য জিহাদ জারি রাখা। আমাদের দ্বীন এক, আমাদের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন, আমাদের শত্রুও এক ও অভিন্ন, এবং ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের আল কায়েদার ভাইদের সাথেই থাকবো যতক্ষণ না আমরা আমাদের ক্রুসেডার শত্রুকে পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করাতে পারি।
.
প্রশ্ন – আল কায়েদাকে সাহায্য করার জন্য, আপনাদের আফগান তালিবান আন্দোলনের কি কোন অনুতাপ হয়?
.
উত্তর – আমাদের কথা হচ্ছে শহীদদের কথা। যখন তাকে কবরে রাখা হয় তখন সে (জিহাদ ও শাহাদাতের উচ্চ মর্যাদা দেখে) বলেঃ
হায়! আমি যদি আবার জীবিত হয়ে আবার শহীদ হতে পারতাম!
.
এমনিভাবে আমরাও বলিঃ হায়! আমরা যদি আমাদের শাসন ক্ষমতা হাজারবার ফিরে পেতাম আর হাজারবার আল কায়েদার মুজাহিদিন ভাইদের জন্য উৎসর্গ করতে পারতাম!
(আল জাযিরার আহমেদ জাইদানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উচ্চপদস্থ তালিবান নেতা মোল্লা দাদুল্লাহ রাহিমাহুল্লাহ, ২০০৪, https://bit.ly/2M9iGcG)
.
সুবহানআল্লাহ! দিনার-দিরহামের গোলাম, দুনিয়ার প্রেমিক, ক্ষমতার তার লোভে মোহাগ্রস্থ, কুফফার শক্তি ভয়ে ভীতসন্ত্রস্থ ব্যক্তিরা কিভাবে এই ভাতৃত্ব, বন্ধন আর ভালোবাসার মর্ম বুঝবে?
সংশয় উত্থাপনকারী, ছিদ্রান্বেষী আর ফাসাদ সৃষ্টিকারীরাও বা কীভাবে এর গভীরতা অনুধাবন করবে?
কখনও তালিবানের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের জান আল্লাহর রাস্তায় উৎসর্গ করতে উদ্যত না হওয়া ব্যক্তিরা কীভাবে এ সম্পর্কের ব্যাখ্যা দিবে?
.
অতঃপর, হে তালিবানের হিতাকাংক্ষী আর আদর্শিক নৈকট্যের দাবিকারীরা! বলুন, আপনার মধ্যে কে এমন বক্তব্য আর সম্মানের অধিকারী হয়েছে? কে ইমারতে ইসলামিয়াহর অধিকতর নিকটবর্তী? ফরযে আইন জিহাদ ছেড়ে পেছনে বসে থাকাদের সাথে বসে থাকা ব্যক্তিরা? শাসকদের অনুগত আলিমেরা? নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট আর মুজাহিদিনের দোষ খুঁজে বেড়াতে উদগ্রীব ব্যক্তিরা, দ্বীন বিক্রি করে দেওয়া দা’ঈরা?
নাকি সম্মানিত, সুদৃঢ় আল-কায়েদা?
.
সত্য স্পষ্ট , তবে মানুষ বড়ই তর্কপ্রবণ।
[সংগৃহীত]