আরবফাতাওয়া-ফারায়েজবই ও রিসালাহশাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মাকদিসী হাফিযাহুল্লাহশামহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

পিতার সাথে কেমন ব্যবহার করব যে তাওহীদ ও শাষকের কুফুরী সম্পর্কে আমার কথা দিকে ভ্রুক্ষেপই করে না ? শাইখ আবু মুহম্মাদ মাকদেসী

পিতার সাথে কেমন ব্যবহার করব যে তাওহীদ ও শাষকের কুফুরী সম্পর্কে আমার কথা দিকে ভ্রুক্ষেপই করে না ?
শাইখ আবু মুহম্মাদ মাকদেসী


প্রশ্নঃ আমার পিতা নামাজ পড়েন এবং বিশ্বাষ করে্ন শুধু ইহাই দ্বীন। তিনি রোজা রাখেন জাকাতও দেন কিন্তু আমি যখনই তার সামনে তাওহীদ নিয়ে আলোচনা করি তখন কোন পাত্তাই দেন না। বরং আমার কথা গুলোকে বিশেষ একটা গ্রুপের সাঙ্ঘঠনিক চিন্তা মানে করেন ও কোন উত্তর দেয়্ন না। আমি তার সাথে কথা বললে উনি শুধু বলেনঃ আমরা আফগানিস্তানে নই যে আমার উপর ইসলমকে বুলন্দ করা, হুদুদকে বাস্তবায়ন করা আবশ্যক হবে। অনেক সময়ই আমার উপর উচু গলায় কথা বলে এবং আমার কথার কারণে তার চেহারায় রাগ দেখতে পাই। বিশেষ করে যখন শাষক ও তাদের কুফুরী সম্পর্কে কথা বলি এবং হামাসের শাষন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়ার কথা বলি। এখন এই অবস্থা চলমান থাকলে আমি কি করব ?
……………………….

উত্তর: ওয়া আলাইকুমুস সালাম, আমাদের সম্মানিত ভাই !
আমাদের দেশ সমূহের জনগণের অবস্থা এমনই, তাদের বড় হওয়া, লালিত-পালিত হওয়া ও যৌবনে পদার্পন করা সবই হয়েছে শাষকদের নির্যাতন ও অপদস্থতার ভিতরে। নিজের অন্ন-বাসস্থান হারানো ও শাষকদের জুলুমের ভয়ে সব সময়ই তাদের সমস্ত হুকুম মেনে চলেছে … কিন্তু আল্লাহ তায়ালা উম্মাতের এই নতুন প্রযন্মের মাধ্যমে উম্মাতকে দ্বীনের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আওয়াজকে বুলন্দ করে অনেক বড় নেয়ামত দান করেছেন। এবং তাদেরকে শত্রুর চক্রান্ত থেকে বাচিয়ে রেখেছেন ও তাওহীদের দিকে দাওয়াত ও তার পতাকা তলে জিহাদ করাকে তাদের নিকট পছন্দনীয় করে দিয়েছেন। সুতরাং তোমাকে তাদের অন্তভূক্ত করার কারণে তোমার প্রভূর প্রশংসা কর এবং ইহার পূর্বেকার তোমার অবস্থার কথা চিন্তা কর।

পিতার সাথেই থাক ও তার সাথে উত্তম আচরণ কর এবং তাকে দাওয়াত দেয়া, কথা বলা ও আলোচনার ক্ষেত্রে নরম হও। এবং আল্লাহ তায়ালার ঐ আয়াত স্বরণ কর:
( كذلك كنتم من قبل فمنّ الله عليكم )
অর্থ: তোমরা ও তো এমনি ছিলে ইতিপূর্বে; অতঃপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। তুমি পরিবার ও বাড়ি ত্যাগ করবে না, ইহা এই জন্য নয় যে তাদের ছাড়া তোমার জীবন-যাপন কঠিন হয়ে যাবে বা থাকার জন্য তোমার অন্য কোন বাড়ী নেই; বরং যাতে করে পিতাকে দাওয়াত দেয়া ও হিকমাত ও উত্তম কথায় তাকে হক্ব কথা বলা চালিয়ে যেতে পার। *যদি তিনি তোমার উপর তার আওয়াজকে উচু করে তুমি কিন্তু আওয়াজকে কখনোই তার উপরে উচু করবে না। এবং সত্য পথের দিকে তার হেদায়াতের জন্য ইখলাসের সাথে দুয়া কর।

আল্লাহ তায়ালা তোমার মাধ্যমে দ্বীনের সাহায্য করুন ..

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 2 =

Back to top button