যে জিহাদ শরীয়াত অনুযায়ী পরিচালিত হয় না, তা ক্ষতি ও বিশৃংখলা ডেকে আনে! – মুফতি আবদুল্লাহ আশরাফ (বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা অস্বীকার)
বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা অস্বীকার ( যে জিহাদ শরীয়াত অনুযায়ী পরিচালিত হয় না, তা ক্ষতি ও বিশৃংখলা ডেকে আনে!)
মুফতি আবদুল্লাহ আশরাফ,
মুখপাত্র,
আনসার আল ইসলাম,
আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ, বাংলাদেশ
শাখা।
বাংলা- PDF – http://docdro.id/dPa1EXS
ইংলিশ- PDF – http://docdro.id/uw1jJQf
লিখিত রুপ- https://justpaste.it/ansar_june_10
যাচাই করুন/ Verify – https://justpaste.it/ver_10_June
=================
যে জিহাদ শরীয়াত অনুযায়ী পরিচালিত হয় না, তা ক্ষতি ও বিশৃংখলা ডেকে আনে
অনুলিপি (মূল বার্তা – http://docdro.id/dPa1EXS)
মিডিয়াতে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আমরা যা জানতে পেরেছি, তার ভিত্তিতে আমরা এ ভূখন্ডের উলামায়ে কিরাম, তালিবুল ইলম, সাধারণ মুসলিম জনতা, এ ভূমির তাগুত এবং তাগুত বাহিনীর সদস্যদের জানিয়ে দিতে চাই যেঃ
যদিও শুরু থেকেই র্যাব, ডিবি, ডিজিএফআই, বিজিবিসহ তাগুত সরকারের গোলাম বিভিন্ন সংস্থা আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও আভ্যন্তরীন কুফর শক্তির পক্ষ হয়ে এ ভূখন্ডে সাধারণভাবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে এবং বিশেষভাবে মুজাহিদিনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বছরের পর বছর ধরে কাফির ও তাগুতকে খুশি করতে, পাশাপাশি নিজেদের পদোন্নতির লোভে মুজাহিদিনের উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে, মুজাহিদিনকে কাফিরদের হাতে তুলে দিয়েছে এবং মুজাহিদিনের পরিবারের উপরও অনেক সময় অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে আসছে, এবং এসব জালেম বাহিনীর সদস্যরাই শাপলা চত্বরে ইসলামবিদ্বেষী চক্র, তাগুত সরকার ও তাদের ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রভুদের খুশি করতে নির্বিচারে উলামা এবং তালিবুল ইলমদের উপর গুলি চালিয়েছে ও হত্যা করেছে – তথাপি আমরা মনে করি না এসব বাহিনীর সদস্যদের নিকৃষ্ট এসব অপরাধের কারণে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করা কখনো ইসলামী শরীয়াত অনুযায়ী বৈধ হতে পারে। কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ঘোষণা দিয়েছেনঃ
وَلَاتَزِرُوَازِرَةٌوِزْرَأُخْرَىٰ
‘কোন বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না’। [সূরা ফাতির, আয়াতঃ ১৮]
আমাদের প্রিয় রাসুলﷺঘোষণা করেছেনঃ
أَلَالَايَجْنِيجَانٍإِلَّاعَلَىنَفْسِهِ. لَايَجْنِيوَالِدٌعَلَىوَلَدِهِ،وَلَامَوْلُودٌعَلَىوَالِدِهِ
‘কোন অপরাধী অপরাধ করে শুধু নিজের উপরই (শাস্তি) ডেকে আনে। কোন পিতা অপরাধ করে তার সন্তানের জন্য শাস্তি নিয়ে আসতে পারে না। আর না কোন সন্তান অপরাধ করে পিতার জন্য শাস্তি নিয়ে আসতে পারে। [সুনানে ইবনে মাজাহ]
এ কারণে আমরা কখনোই এধরনের হামলাকে সমর্থন করি না, করতে পারি না, এ হামলা যে-ই করুক না কেন। বরং আমরা বিশ্বাস করি, কোন ব্যক্তির অপরাধের কারণে অন্য কারো উপর শাস্তি আপতিত হতে পারে না। ইসলামী শরীয়াত আমাদের এমনই শিক্ষা দেয়। অতএব কোন পুলিশ, র্যাব কিংবা সেনা সদস্য যতোই ইসলামবিরোধী হোক না কেন, সে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে, তাওহীদ ও মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে যতোই ঘৃণ্য অপরাধ করুক না কেন, তার এসব অপরাধের কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে তার স্ত্রী-সন্তানকে হামলার নিশানা বানানো ও হত্যা করাকে আনসার আল ইসলাম (আল-কায়েদা উপমহাদেশ) শরীয়াতসম্মত মনে করে না এবং সমর্থন করে না। বস্তুত এ ধরনের হামলাকে আমরা মহানবী হজরত মুহাম্মাদﷺএর দেয়া জিহাদের শিক্ষার পরিপন্থী বলেই মনে করি।
যদিও এ হত্যাকান্ডকে আমরা আদৌ সমর্থন করি না কিন্তু মিডিয়া ও তাগুত সরকারের কেউ কেউ এ হামলার দায়ভার আমাদের পবিত্র জিহাদ ও মুজাহিদীন এর উপর চাপাতে চাচ্ছে। আমরা মনে করি, আল্লাহর অনুমতিতে ইসলামবিদ্বেষী চক্র ও কুফর শক্তির পক্ষ হয়ে এ ভূমির মুসলিমদের মাঝে অশ্লীলতা ও বিকৃতির প্রচারকদের বিরুদ্ধে একের পর এক সফল হামলার মাধ্যমে আনসার আল ইসলাম এ দেশের তাওহীদি জনতা, উলামায়ে কিরাম ও তালিবুল ‘ইলমদের অন্তরে যে ভাবমূর্তি তৈরী করে নিয়েছে তা ক্ষুণœকরার লক্ষ্যেই কুফরী ও তাগুতি শক্তির আজ্ঞাবহ মিডিয়া এ হামলার দায়ভার “ব্লগার হত্যাকারী গোষ্ঠীর” উপর চাপানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ইনশাআল্লাহ তাদের এ চক্রান্ত তাদের পূর্ববর্তী চক্রান্তগুলোর মতোই ব্যর্থ হবে।
আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদﷺসাধারণভাবে লড়াইয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ও সুনির্দিষ্টভাবে শত্রুর ঐ সকল মহিলা ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেছেন যারা সরাসরি লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করে না। সার্বিকভাবে মুসলিমরা এবং বিশেষভাবে মুজাহিদিনগণ সর্বাবস্থায় ইসলামী শরীয়াতের অনুসরণ করতে বাধ্য। ব্যক্তিগত অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো লক্ষ্যবস্তু নির্ধারন ও হামলা করার কোন অধিকার আমাদের নেই। বরং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার নাযিলকৃত কিতাবের মাপকাঠি অনুযায়ী, রাসূলুল্লাহﷺএর দেখানো পথ অনুযায়ী আমাদের কর্মপন্থা, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ ও হামলা বাস্তবায়নে আমরা বাধ্য।
আলহামদুলিল্লাহ, আনসার আল ইসলাম (আল-কায়েদা উপমহাদেশ) এখন পর্যন্ত যতগুলো বরকতময় আক্রমন করেছে তার সবই শরীয়াতের চিরন্তন মাপকাঠিতে উত্তীর্ন লক্ষ্যবস্তুতেই করেছে। সকল চিন্তাশীল পর্যবেক্ষকের কাছে তাই এ বিষয়টি পরিস্কার যে, সাধারণ মুসলিম জনগণ কিংবা তাগুতের বাহিনীর সদস্যদের পরিবারের নারী ও শিশুদের আক্রমণ করার কর্মপদ্ধতি আর আনসার আল ইসলাম (আল-কায়েদা উপমহাদেশ) এর কর্মপদ্ধতি বা মানহাজ এক না। বরং আনসার আল ইসলাম সর্বদা গভীর গবেষণা ও শর’ঈ বিশ্লেষণের পরই প্রতিটি হামলার লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে এবং বাস্তবায়ন করে। ইতিমধ্যেই আমরা প্রকাশ করেছি – কারা আমাদের নিশানায় আছে এবং কারা আমাদের পরবর্তী হামলার নিশানা হতে পারে। আমাদের এই ঘোষণা প্রকাশ্য ও সু¯পষ্ট যাতে কোন রকমের বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। এই প্রকাশ্য ও সু¯পষ্ট ঘোষণার পরও যারা আমাদের উপর এ ধরনের হামলার দায়ভার চাপিয়ে দিতে চায়, যারা মুজাহিদিনের নামে কালিমা লেপন করতে চায়, যারা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাদের উচিত সতর্ক হওয়া। সতর্ক হওয়া উচিত প্রত্যেক সুযোগসন্ধানী মিথ্যাবাদী ও গুজবরটনাকারীর।
মহান আল্লাহ জিহাদকে নির্ধারন করেছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত ও দায়িত্ব হিসেবে। কোন ইবাদাত শুধুমাত্র তখনই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে যখন সে ইবাদাত পালন করা হবে রাসূলুল্লাহﷺএর সুন্নাহ অনুযায়ী, শরীয়াতের মূলনীতি ও বেঁধে দেয়া সীমানা অনুসারে। খেয়ালখুশি মত রক্ত ঝরানোর মাধ্যমে এ ইবাদাতের হক্ব আদায় করা সম্ভব না। তাই নিশ্চয় আমাদের মানহাজ (কর্মপদ্ধতি) যে কোন মূল্যে প্রতিশোধ গ্রহণ কিংবা অন্যায় রক্ত ঝরানোর মানহাজ নয়। নিশ্চয়ই আমাদের মানহাজ জিঘাংসা ও অন্যায় সহিংসতার মানহাজ নয়। বরং আমাদের মানহাজ হল মুহাম্মাদﷺএর আনীত শরীয়াতের আলোকে, সালফে সালেহীনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, এ উম্মাতের অগ্রবর্তী উলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা অনুসারে – দাওয়াহ ও জিহাদের মানহাজ। আমাদের মানহাজ হচ্ছে মুসলিম উম্মাহ ও মানবজাতির প্রতি রহমত স্বরূপ যেখানে স্থান নেই কোন শিথিলতার কিংবা চরমপন্থার। হাকীমুল উম্মাত শায়েখ আইমান আল যাওয়াহিরি হাফিযাহুল্লাহ’র নেতৃত্বে সারা বিশ্বব্যাপী তানযীম কায়েদাতুল জিহাদের মুজাহিদরা শহীদ শায়েখ উসামা বিন লাদিন রাহিমাহুল্লাহ’র এই মানহাজেরই অনুসরণ করে আসছেন। আমরা এই বরকতময় মানহাজ থেকে বিচ্যুত হইনি এবং সকল প্রশংসা আল্লাহরই।
অতএব যে তরবারী আমরা ধারণ করেছি ক্রুসেডার-যায়নবাদী অক্ষের কেন্দ্রবিন্দু আমেরিকা, তার গোলাম তাগুত শাসকগোষ্ঠী, তার এজেন্ট ইসলামবিদ্বেষী চক্র ও আঞ্চলিক ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে, যে তরবারী আমরা ধারণ করেছি কুফরের ইমামদের বিরুদ্ধে, সে উন্মুক্ত তরবারী দিয়ে নিরপরাধ নারী ও শিশুদের আঘাত করা কখনোই আমাদের কাম্য নয়।
একই সাথে এই ভূমির তাগুতের সেনাদের এবং আন্তর্জাতিক কুফর ও আঞ্চলিক ব্রাহ্মণ্যবাদের গোলামদের জেনে রাখা উচিত – এই তরবারীর নাগাল থেকে তারা ততক্ষন পর্যন্ত নিরাপদ নয়, যতক্ষন তারা ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদের বর্তমান অবস্থান বজায় রাখবে। নিশ্চয়ই আমরা মু’মিনদের প্রতি কোমল এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর, রহমতের নবী এবং মালাহিমের নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহﷺএর পথের অনুসারী এবং আমরা নতুন কোনো পথের উদ্ভাবনকারী নই।
এবং সমস্ত প্রশংসা কেবল আল্লাহ তা’আলার জন্যই।
মুফতি আবদুল্লাহ আশরাফ,
মুখপাত্র,
আনসার আল ইসলাম,
আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ, বাংলাদেশ শাখা।
আসসালামু আলাইকুম।