সৌদ পরিবারের হত্যাকান্ড এর প্রেক্ষিতে AQAP ও AQIM এর যৌথ বিবৃতি |
সম্প্রতি সৌদ পরিবার কর্তৃক মুজাহিদদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রসঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে
কায়েদাতুল জিহাদ জাজিরাতুল আরব (AQAP) ও কায়েদাতুল জিহাদ ইসলামী মাগরিব (AQIM)
৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৩৭ হিজরি/ ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ইংরেজি
ডাউনলোড করুন-
https://top4top.io/downloadf-1757yayfz1-pdf.html
https://www.solidfiles.com/v/BRLKmM6wDR6WM
https://mega.nz/file/gwcGwZ5K#Zz9dNVtHj8WP6N4tG58aKr6vt6P0CZSNsYLos2sUcZQ
https://anonfiles.com/n9l5L5i7pb/12.combinedstatementofcondemnationbn_pdf
https://archive.org/details/12.combinedstatementofcondemnationbn
http://www.mediafire.com/file/mugscvtvxcx19g3/12.combinedstatementofcondemnationbn.pdf/file
https://archive.org/details/12.combinedstatementofcondemnationbn
http://www.mediafire.com/file/mugscvtvxcx19g3/12.combinedstatementofcondemnationbn.pdf/file
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সৌদ পরিবার কর্তৃক মুজাহিদদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মৃত্যুন্ডাদেশ প্রসঙ্গে
যৌথ বিবৃতি
তারিখ: ৩০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৩৭ হিজরী।
মোতাবেক: ১০ই জানুয়ারী ২০১৬ খৃষ্টাব্দ।
বিবৃতি নং ৩
সংযুক্তি: নেই
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সমস্ত জগতের প্রতিপালক। শাস্তি কেবল জালিমদের জন্য অবধারিত। দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক মুজাহিদদের নেতার উপর এবং কপালে ও পায়ে উজ্জল চিহ্নবিশিষ্ট লোকদের সর্দারের উপর। আল্লাহ তা’আলা তার উপর এবং তার পরিবারবর্গ ও সমস্ত সাহাবাদের উপর রহমত বর্ষণ করুন। অতঃপর:
নতুন এক অপরাধ কর্মে লিপ্ত হয়েছে সৌদী প্রশাসন। যাতে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ ও সীমালঙ্ঘন স্পষ্ট হয়ে যায়। এতে একথাও স্পষ্ট হয় যে, তারা মূলতঃ তাদের আদালতকে নিজেদের রাজত্ব সুদৃঢ়করণ ও নিজেদের বিরুদ্ধাবাদীদেরকে দমনের জন্য নিয়োজিত করেছে এবং এতে ইসলামের শত্রুদের পক্ষে তাদের দালালী ও মুসলমানদের রক্তপাতে অবহেলাও প্রকাশিত হয়ে যায়। সৌদ পরিবার উলামা, তলাবা ও মুজাহিদদের এমন একটি দলের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে, যারা বর্তমান যামানার ক্রুসেডীয় হামলার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, যারা তাদের প্রাণ উৎসর্গকরে দিয়েছিলেন, সম্পদ ব্যয় করে দিয়েছিলেন এবং সেই হক কথা বলেছিলেন, যার ব্যাখ্যা আল্লাহ তা’আলা মানুষের সামনে তাদের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
আমি স্পষ্ট সত্যকে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছি। এমনকি যদিও তা আমাকে মৃত্যুদন্ডের দিকে নিয়ে যায়। আমি তাগুতের মুখোমুখী দাঁড়িয়ে ক্রুদ্ধভাবে চিৎকার করে বলেছি: “নির্যাতন ও নিষ্পেষণ থেকে নিবৃত হও”।
আল্লাহর শপথ! তোমরা নির্যাতন করে আমার গোশতগুলোও কেটে ফেল এবং মৃত্যুর পূর্বেই আমার হাড়গুলো পিষে ফেল।
তবুও আমি নবী মুহাম্মদ ﷺ এর আদর্শ থেকে একটু সরবো না, কখনো না, এবং কখনোই শাসকদের জন্য কপটতা অবলম্বন করবো না।
দীর্ঘ যুদ্ধের পর। যে যুদ্ধ শুরু করেছে সাউদ পরিাবার মুজাহিদদের বিরুদ্ধে এবং যার মধ্যে তারা মুসলিম যুবকদের আত্মায় প্রবাহমান যেকোন জিহাদী চেতনাকে দুর্বল করার জন্য সর্বশক্তি ব্যয় করছে। ফলে যারাই ক্রুশের পুজারী ও তাদের সহযোগীদের বিপক্ষ কাতারে দাঁড়ায়, তারা তাদেরই টুটি চেপে ধরছে এবং এমন যেকোন মুজাহিদদেরকে উৎখাত করছে, যে নিজেদের দ্বীন ও উম্মাহর মর্যাদার জন্য যুদ্ধ করে। তাই তারা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য হারবী কাফেরদের সাথে এমন কোন ঐক্য বাদ দেয়নি, যা গড়ে তুলেনি। কত পরামর্শসভা করেছে! কত বৈঠক করেছে! এবং এমন কত সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছে, যার একমাত্র লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহর পথ থেকে বাঁধা দেওয়া এবং উম্মতের উপর ফরজে আইন জিহাদকে ব্যর্থ করে দেওয়া।
কিন্তু যখন আল্লাহ তাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিলেন এবং তাদের কুৎসিত চক্রান্তগুলো তাদেরকেই বেষ্টন করে ফেললো এবং তারা দেখলো যে, তারা যা কিছু ব্যয় করেছে, সবই তাদের পরিতাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অপরদিকে কারাগারে উম্মতের সত্যনিষ্ঠ বীর পুরুষদের দৃঢ়তার ব্যাপারেও নিশ্চিত হয়ে গেল, যাদের দৃঢ়তার পাথরে তাগুতদের সংকল্পও ভেঙ্গে পড়েছিল, তখন তারা তাদের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিতে প্রবৃত্ত হল। ফলে তারা ঐ সকল কুরাইশ কাফের লিডারদের সাদৃশ্য অবলম্বন করলো, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন:
“(স্মরণ কর,) যখন কাফেরগণ ষড়যন্ত্র করছিল তোমাকে বন্দী করবে অথবা তোমাকে হত্যা করবে, কিংবা (তোমাকে দেশ থেকে) বহিস্কার করবে। তারা তো নিজেদের ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছিল আর আল্লাহও নিজ কৌশল প্রয়োগ করছিলেন। বস্তুত: আল্লাহ সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কৌশলকারী”।
সৌদ পরিবার তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে যে বাস্তবতাটি গোপন করতে চায় তা হচ্ছে, তাদের এই মৃত্যুদন্ডাদেশ মূলতঃ ঐসকল ক্রুশের পূজারীদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্যই ছিল, যারা ঐ সকল শহীদদের আগুনে দগ্ধ হচ্ছিল, যারা তাদের নবীﷺ এর এই আদেশ বাস্তবায়নের জন্য দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন: “মুশরিকদেরকে জাযীরাতুল আরব থেকে বের করে দাও”।
এই সমস্ত শহীদদেরকে মৃত্যু দন্ডাদেশ শুধু এই জন্যই দেওয়া হয়েছে যে, তারা সেই হুকুমতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলন, যে হুকুমত তার দেশকে কাফেরদের জন্য উম্মুক্ত করে দিয়েছিল, ফলে তাকে এমন ঘাটিতে পরিণত করতে সন্তুষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যেখানে বসে বসে উম্মতের শত্রুরা মুসলমানদের দেশগুলোতে আক্রমণ পরিচালনা করবে, অসহায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ চালাবে, মুসলিমদেরকে উৎখাত করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাবৃত্তির কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
তাদেরকে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার একমাত্র কারণ হল, তারা সৌদ পরিবারের আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল; আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে নয়। তারা উম্মাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছিল; উম্মাহর সন্তানদের বিরুদ্ধে নয়। তারা তাদের থেকে শুধু একারণে প্রতিশোধ নিয়েছিল যে, তারা অসহায়দের পরিখায় দাঁড়িয়েছিল, একমাত্র একারণে যে, তারা অহংকারী তাগুতদের প্রাসাদে দাঁড়িয়েছিল এবং সেই সত্য বাণী উচ্চারণ করেছিল, যার আদেশ দিয়েছেন আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল ﷺ সেই ভ্রান্ত বাণী উচ্চারণ করার কারণে নয়, যা আমেরিকার এজেন্ট, তথা অসৎ আলেম ও ভ্রান্ত পথের আহ্বানকারীরা তাদের অনুসারীদের উপর ফরজ করে দিয়েছে।
তাই তাদের ধৈর্য্য, দৃঢ়তা, কুরবানী, আত্মব্যয় ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কতই না উন্নত! আমরা মনে করি, তারা ধৈর্য্য, দৃঢ়তা ও সর্বোত্তম জিহাদের আদর্শ পেশ করে গিয়েছেন, যার কথা আমাদের সম্মানিত নবী ﷺ বলেছেন, তথা জালিম বাদশাহর সামনে ন্যায়ের কথা বলা। যার পণিতিতে তারা সেই শাহাদাৎ লাভ করেছেন, যা তারা কামনা করে আসছিলেন এবং তাদের কষ্টের সময়গুলোতে আল্লাহর নিকট যার জন্য দু’আ করতেন। অতঃপর আমরা তাদের হত্যা সংবাদ শোনা পর্যন্ত তারা তাতে কোন পরিবর্তন করেননি, কোন বিকৃতি করেননি এবং নতি স্বীকারও করেননি। আল্লাহ তাদেরকে রহম করুন, তাদেরকে কবুল করুন এবং তাদের মর্যাদা বুলন্দ করুন!
তারা এমন শুভ্রকেশীর কুরবানী পেশ করেছে, যার মাঝে ছিল সিজদার চিহ্ন।
যিনি রাত্রি শেষ করে দিতেন তাসবীহ পাঠে ও কুরআন তিলাওয়াতে।
তাই অতিসত্তর শুনতে পাবে, তাদের দেশে ধ্বনিত হচ্ছে: আল্লাহু আকবার!
এই যে আমাদের বন্দীদের প্রতিশোধ!
নিশ্চয়ই যারা তাদের হত্যা করেছে, যারা মুজাহিদীন ও নেককার বান্দাদেরকে কারাগারে বন্দী করেছে এবং যারা হারামাইনের ভূমিতে মুজাহিদদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে, তারা একথা জেনেও এই ন্যাক্কারজনক অপরাধে লিপ্ত হয়েছে যে, পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তের মুজাহিদগণ তাদের আত্মার সাথে এই মর্মে প্রতিশ্রুতবদ্ধ হয়েছে যে, তারা তাদের পবিত্রাত্মা ভাইদের রক্তের প্রতিশোধ নেবেই। এই নির্বুদ্ধিতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে মুজাহিদগণ রিয়াদের প্রশাসকদেরকে সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা নেককার মুজাহিদদের রক্তগুলোকে নববর্ষের প্রথম দিনে, তথা ক্রুসেডারদের ঈদের দিনে তাদের জন্য উৎসর্গ না করে ক্ষান্ত হল না। তাই তারা যেন সেই দিনটির অপেক্ষায় থাকে, যেদিনটিতে আল্লাহ সুবহানাহু সীমালঙ্ঘনকারী কাফেরদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার মাধ্যমে শহীদদের পরিবার, তাদের ভাই ও তাদের প্রিয়জনদের অন্তরকে শান্ত করবেন।
“যারা জুলুম করেছে তারা অচিরেই জানতে পারবে তারা কোন পরিণামের দিকে ফিরে যাচ্ছে” সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সমস্ত জগতের প্রতিপালক।
কায়েদাতুল জিহাদ
জাযীরাতুল আরব । ইসলামী মাগরিব
আল হিকমাহ মিডিয়া