“আরাকান তোমাদের ডাকছে….” || জামাআত কায়েদাতুল জিহাদ || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
জামাআত কায়েদাতুল জিহাদ || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
“আরাকান তোমাদের ডাকছে…….”
আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত
পিডিএফ ডাউনলোড
https://banglafiles.net/index.php/s/RjE5Joc3S4MAzcN
https://archive.org/download/BurmaIsCallingYou_581/BurmaIsCallingYou.pdf
https://archive.org/download/BurmaIsCallingYou_201906/BurmaIsCallingYou.pdf
https://www.file-upload.com/no2k583t4vot
http://www.mediafire.com/file/3k1otoxx94bmjyb/BurmaIsCallingYou.pdf/file
ওয়ার্ড ডাউনলোড
https://banglafiles.net/index.php/s/tLfoRSGte9QaeD9
https://archive.org/download/BurmaIsCallingYou_581/BurmaIsCallingYou.docx
https://archive.org/download/BurmaIsCallingYou_201906/BurmaIsCallingYou.docx
https://www.file-upload.com/xq1e59drv5p5
http://www.mediafire.com/file/amutmweprpe6c69/BurmaIsCallingYou.docx/file
————————————————
সমস্ত প্রশংসা এক আল্লাহর যিনি ইরশাদ করেছেন,
وَإِنِ اسْتَنْصَرُوكُمْ فِي الدِّينِ فَعَلَيْكُمُ النَّصْرُ إِلَّا عَلَىٰ قَوْمٍ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ مِيثَاقٌ ۗ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
অর্থঃ অবশ্য যদি তারা ধর্মীয় ব্যাপারে তোমাদের সহায়তা কামনা করে, তবে তাদের সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য। কিন্তু তোমাদের সাথে যাদের সহযোগী চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে, তাদের মোকাবেলায় নয়। বস্তুতঃ তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ সেসবই দেখেন। [সূরা আনফাল : ৭২]
হাদিস শরীফে এসেছে-
وما من امرئ مسلم ينصر مسلما في موضع ينتقص فيه من عرضه ، وينتهك فيه من حرمته إلا نصره الله في موطن يحب فيه نصرته ” . رواه أبو داود
অর্থঃ যে ব্যক্তি কোন অবস্থাতেই মুসলমানকে সাহায্য করে, যার মধ্যে তাকে অপমান করা হয় এবং তার সম্মান লঙ্ঘন করা হয়, আল্লাহ তাকে তার প্রয়োজনের সময় সাহায্য করবেন। (আবু দাউদ)
আজ আরাকান প্রদেশে অপরাধমূলক অত্যাচার সংঘটিত হচ্ছে- সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও মৃতদেহগুলি ছিন্নভিন্ন করা হচ্ছে, ঘরের বাসিন্দাদের সামনেই তাঁদের বাড়িঘর ধ্বংস করা হচ্ছে; ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কুফরি শক্তির তৈরি একটি মহা ষড়যন্ত্রের ধারা অব্যাহত রয়েছে; মুসলমানদের অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা, তাদের সম্পত্তি-জমি দখল, মুসলিমদের পবিত্র স্থানগুলো অপবিত্র করা হচ্ছে আর এসবই করা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে।
‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ শব্দটির ব্যবহার বর্তমানে একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে যা প্রত্যেক শাসক কুফরি ব্যবস্থার শক্তিশালীদের প্রতি একটি প্রতিশ্রুতি হিসেবে দৃঢ়তার সাথে পালন করে- কুফরি শক্তির এই পূজারীদের তাদের মনিবকে দেয়া উপহারের মত যা তাদের সমস্ত গর্হিত অপরাধ ঢাকতে সাহায্য করবে এবং হয়তো এরকম হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিদান স্বরূপ শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে লাভের আশায়- যা প্রতিটি পেশাদার অপরাধী এবং খুনী কর্তৃক পরিহিত একটি ব্যাজ/মুখোশ।
‘সন্ত্রাস দমনের’ মুখোশের আড়ালে মিয়ানমার সরকার কর্তৃক আরাকানে আমাদের মুসলিম ভাইদের প্রতি মারাত্মক আচরণ দেখানো হচ্ছে- সৌদি মিডিয়া যেমনভাবে এই পরিস্থিতি তুলে ধরতে ভালবাসে – বিনা শাস্তিতে কোন ভাবে মিয়ানমার সরকারকে নিস্তার দেয়া যাবে না এবং বিইজনিল্লাহ আরাকানে আমাদের মুসলমান ভাইয়েরা যে ভয়াবহ অবস্থার স্বীকার হয়েছে তাদেরও সে স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
আরাকানের মুসলমানদের সাহায্য করা একটি শরঈ বাধ্যবাধকতা এবং একটি ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন-
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا
অর্থঃ আর তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষাবলম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও। [সূরা নিসাঃ ৭৫]
হাদিস শরীফে এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
المسلم أخو المسلم لا يظلمه ولا يسلمه ومن كان في حاجة أخيه كان الله في حاجته ومن فرج عن مسلم كربة فرج الله عنه كربة من كربات يوم القيامة ومن ستر مسلما ستره الله يوم القيامة
অর্থঃ একজন মুসলিম আরেকজন মুসলিমের ভাই; সে তার উপর অত্যাচার করে না, তাকে অবিশ্বাসও করে না। যে কেউ তার ভাইয়ের প্রয়োজনে সাহায্য করে, আল্লাহ তার চাহিদা পূরণে যথেষ্ট হবেন এবং যে কেউ মুসলিমদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে, আল্লাহ বিচারের দিন তার শাস্তিকে প্রশমিত করবেন, এবং যে কেউ মুসলিমের দুর্বলতাকে ঢেকে রাখবে, আল্লাহ বিচারের দিনে তার পাপ ঢেকে রাখবেন। (বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক বর্ণিত)
আমরা বার্মার মুসলিম ভাইদের সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের সব মুজাহিদ ভাইদের প্রতি বের হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, ট্রেইনিং এবং অন্যান্য সকল ভাবে এই নৃশংস অত্যাচার রুখতে এবং তাদের ভাইদের অধিকার সুরক্ষিত করা জন্য প্রস্তুত হন, শুধুমাত্র শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই তাঁদের অধিকার তাঁদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব।
মুসলিম উম্মাহর আরাকানে তাদের মুসলিম ভাইদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসতে হবে। আরাকানের মুসলমানদের প্রত্যেক ধরনের সমর্থন ও সাহায্যের প্রয়োজন -অর্থ, ওষুধ, খাদ্য, বস্ত্র ও অস্ত্র- তারও উপর এই দুর্ভোগ সম্পর্কে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং সঠিক দৃষ্টিকোণে এই পুরো ব্যাপারটা উপস্থাপন করতে হবে যতে উম্মাহ তার শত্রুকে সনাক্ত করতে পারে।
মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্ব, বিশ্বস্ততা এবং তাদের সমর্থনে এগিয়ে আসা ঈমানের মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরার পরিচায়ক। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন-
وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ ۚ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ۚ أُولَٰئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللَّهُ ۗ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
অর্থঃ আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তাআলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী। [সুরা তাওবা : ৭১]
হাদিস শরীফে এসেছে, হযরত নুমান ইবনে বাশির রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
مثل المؤمنين في توادهم وتراحمهم وتعاطفهم مثل الجسد إذا اشتكى شيئا تداعى له سائر الجسد بالسهر والحمى
অর্থঃ মুমিনদের দৃষ্টান্ত তাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি, দয়াদ্রতা ও সহমর্মিতার দিক দিয়ে একটি মানব দেহের মত। যখন তার একটি অঙ্গ অসুস্থ হয় তখন তার সমগ্র দেহ তাপ ও অনিদ্রা ডেকে আনে। (মুত্তাফাক আলাইহি)
সামরিক সাহায্য ও সমর্থন এমন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত প্রয়োজন। যদি কোন শত্রু একটি মুসলিম ভূমি আক্রমণ করে এবং সেই ভূখণ্ডের মানুষ তাদের দুর্বলতা বা সংখ্যার কমতির কারণে তাদের আগ্রাসন দূর করতে অক্ষম হয়, তাহলে তা একটি সাধারণ বাধ্যবাধকতা (ফরজে কেফায়া) থেকে প্রত্যেক ব্যক্তির উপর একক দায়বদ্ধতায় (ফরজে আইন) পরিণত হয়।
হানাফী মাযহাবের আলেমগণ বলেছেন- “কাফেররা যদি কোন মুসলিম ভূমি দখল করে, তবে সেই দেশের প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তির উপর সেই কাফেরর বিরুদ্ধে জিহাদ করা বাধ্যতামূলক হয়ে যায় এবং যদি ঐ দেশের লোকেরা নিজেদের এই দায়িত্ব পালন করতে না পারে অথবা জিহাদে অবহেলা প্রদর্শন করে অথবা জিহাদের এই হুকুমের ব্যাপারে আল্লাহকে অমান্য করে, তাহলে এই বাধ্যবাধকতা, ফরজ তাদের কাছের নিকটবর্তী যারা তাদের উপর প্রসারিত হয়, এবং এভাবে প্রসারিত হতে পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সমস্ত মুসলমানদের উপর।”
তাই সমগ্র বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের জন্য বাধ্যতামূলক বা ফরজ যে তারা অতিশীঘ্রই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, যেন তাদের ভাইদেরকে উদ্ধার করা যায় এবং এ মহান উদ্দেশ্যে তাদের প্রাণ ও সম্পদ ব্যয় করেন, কারণ এগুলোই সর্বোত্তম গুণাবলী যা মানুষকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়।
ও আল্লাহ! আমাদের নিপীড়িত আরাকানের ভাইদের এবং সারা বিশ্বের নিপীড়িতদের পাশে থাকুন, ও আল্লাহ্, তাদের সাহায্য করুন এবং তাদেরকে তাদের শত্রুদের উপর তাদের বিজয় দান করুন আপনার ঐশ্বরিক সাহায্যের মাধ্যমে। আপনি সর্ব ক্ষমতাবান, সর্বশক্তিমান!
এবং আমাদের শেষ প্রার্থনা এই যে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, বিশ্বজাহানের পালনকর্তার জন্য।
কায়েদাতুল জিহাদ || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত
যুলহিজ্জাহ ১৪৩৮ হিজরি
সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইংরেজি