আল কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ (AQIS)আস-সাহাব উপমহাদেশউস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহতানজীমপাকিস্তানবই ও রিসালাহমিডিয়াহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

এগিয়ে চল, ফেরাউনি আমেরিকার বশ্যতা অস্বীকার করো! – উস্তাদ উসামা মাহমুদ (হাফিজাহুল্লাহ)

 আস-সাহাব মিডিয়া (ভারতীয় উপমহাদেশ)
مؤسسة السحاب في شبة القارة الهندية
পরিবেশিত
تقدم
[পাকিস্তানের ভূখণ্ডে আমিরুল মু’মিনীন মোল্লা আখতার মুহাম্মাদ মানসুর রহিমাহুল্লাহর শাহাদাতের ঘটনার প্রেক্ষিতে
মুসলিম উম্মত ও বিশেষভাবে পাকিস্তানি মুসলমানদের জন্য একটি বার্তা]

“এগিয়ে চল, ফেরাউনি আমেরিকার বশ্যতাকে অস্বীকার কর!”

উস্তাদ উসামাহ মাহমুদ (হাফিযাহুল্লাহ), মুখপাত্র, জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ

 

 

পিডিএফ ডাউনলোড করুন [২২২.৬ কিলোবাইট]

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [১৮৫.৪ কিলোবাইট]

 

পিডিএফ ডাউনলোড করুন।

https://banglafiles.net/index.php/s/mZsNWS6Hpr94xY5

https://archive.org/download/EgiyeColo_201905/egiye%20colo.pdf
http://www.mediafire.com/file/ayq6nw7aiut9y89/egiye_colo.pdf/file

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন।

https://banglafiles.net/index.php/s/3Q5xYwiTEQPaoPm

https://archive.org/download/EgiyeColo_201905/egiye%20colo.docx

http://www.mediafire.com/file/49m83bbhgyvmr1w/egiye_colo.docx/file

——————

بسم اللہ الرحمن الرحیم

“এগিয়ে চল, ফেরাউনি আমেরিকার বশ্যতাকে অস্বীকার কর!”

পাকিস্তানের ভূখণ্ডে আমিরুল মু’মিনীন মোল্লা আখতার মুহাম্মাদ মানসুর রহিমাহুল্লাহর শাহাদাতের ঘটনার প্রেক্ষিতে  মুসলিম উম্মত ও বিশেষভাবে পাকিস্তানি মুসলমানদের জন্য একটি বার্তা

উস্তাদ উসামাহ মাহমুদ (হাফিযাহুল্লাহ)

মুখপাত্র, জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ

بسم اللہ الرحمن الرحیم
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সমস্ত প্রশংসা সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। সালাত ও সালাম বর্শিত হোক তাঁর রাসূলে কারিমের উপর।
পাকিস্তান ও সারা দুনিয়ার প্রিয় মুসলমান ভাইয়েরা!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

ফেরাউন চূড়ান্ত অত্যাচারী ও হত্যাকারী ছিল কিন্তু তার সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধ ছিল আসমান ও জমীনের মালিকের মোকাবেলায় অহংকার। তার দাওয়াত ছিলঃ জমীনের খোদা হলাম আমি ﴿مَا عَلِمْتُ لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرِي﴾ “তোমাদের জন্য আমি ছাড়া অন্য কোন খোদাকে আমি জানিনা”। ক্ষমতা আমার এবং নির্বাচন করার শক্তিও আমার। আমার প্রভূত্বের ব্যাপারে যদি কেউ অস্বীকার করে, আমার নিয়মকানুন ছাড়া অন্য কোন নিয়মকানুনের প্রচারক যদি কেউ হয়, আমার রাজত্বকে যদি কেউ চ্যালেঞ্জ করে … তাহলে আমি তার স্বাধীনতার অধিকার ছিনিয়ে নিব। এমন চরমপন্থীর স্বাধীনতাকে শেষ করে ফেলব। ﴿ قَالَ لَئِنِ اتَّخَذْتَ إِلَٰهًا غَيْرِي﴾ “বলেছিলঃ যদি তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে ইলাহ হিসেবে গ্রহণ কর” ﴿لَأَجْعَلَنَّكَ مِنَ الْمَسْجُونِينَ﴾ “তাহলে আমি তোমাকে জেলে নিক্ষেপ করব।” মুসা (আলাইহিস সালাম) আল্লাহর নির্দেশ নিয়ে এই আহাম্মকের সামনে দাঁড়িয়ে যান, রবের তাওহীদ ও বড়ত্ব তার সামনে বয়ান করেন, যখন তার জুলমের সামনে বাঁধা হয়ে যান এবং তার আল্লাহদ্রোহিতা থেকে তাকে বিরত হতে বলেন, তখন ফেরাউন বলতে শুরু করে, ﴿ذَرُونِي أَقْتُل مُوسَى﴾ “আমাকে ছেড়ে দাও আমি মুসাকে হত্যা করব” সৈন্যদেরকে নির্দেশ দেয়, যারা যারা মুসার সাথী হবে এমন বিদ্রোহীদেরকে ছাড়বেনা … ﴿اقْتُلُوا أَبْنَاءَ الَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ﴾ “যে মুসার উপর ঈমান আনবে তার ছেলেকে হত্যা কর”। বাছাই করে করে তাদেরকে হত্যা কর … নিজের জাতিকেও ব্রিফিং দেয় এই বলেঃ  এই মুসা তোমাদের জীবনের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শত্রু, দুনিয়াতে সে ফাসাদ চায়। অস্থিতিশীলতা, হত্যা ও লুণ্ঠন করায় তার লক্ষ্য ﴿إِنِّي أَخَافُ أَنْ يُبَدِّلَ دِينَكُمْ﴾ “আমার ভয় হয় যে সে তোমাদের দ্বীন পরিবর্তন করে দিবে” ﴿ أَوْ أَن يُظْهِرَ فِي الْأَرْضِ الْفَسَادَ﴾ “অথবা পৃথিবীতে ফাসাদ ছড়িয়ে দিবে”। আজকের দিনের ফেরাউন আমেরিকার পদ্ধতিও একেবারে এরকমই। এই ইলাহী ইস্যুকে সামনে রেখে নিজের খোদায়ীকে ঘোষণা করছে। এর দাওয়াত হলঃ রাজত্ব আমারই। প্রভাবপ্রতিপত্তি আমারই, পৃথিবীর বুকে নিয়মকানুন ও আচরণবিধি আমারই। বিচারপদ্ধতি, সভ্যতা-সংস্কৃতি আমারই রয়ে যাবে। অনুশাসন আমার, নিয়মকানুন আমার, আদর্শ আমার, রাজনীতি আমার, অর্থনীতির মূলভিত্তি আমার … সমস্ত দুনিয়ার উপর আমার শাসনব্যবস্থাই চলবে ﴿مَا عَلِمْتُ لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرِي﴾ “তোমাদের জন্য আমি ছাড়া অন্য কোন খোদাকে আমি জানিনা” দ্বীন হবে তো আমার দ্বীনই হবে। ইসলাম যদি থেকেই যায় তাহলে ‘অ্যামেরিকান ইসলাম’ হয়ে থাকবে। যেভাবে আমি ন্যায়পরায়ণতাকে সংজ্ঞায়িত করব এই দুনিয়াও সেভাবেই ন্যায়পরায়ণতাকে সংজ্ঞায়িত করবে আর যেভাবে আমি জুলমকে সংজ্ঞায়িত করব দুনিয়ার মানুষও সেভাবেই জুলমকে সংজ্ঞায়িত করবে … এরপর যে আমার নিয়মকানুন ও শাসনব্যবস্থাকে মেনে নিবেনা আমার খোদায়ীকে যে চ্যালেঞ্জ করবে, তার থেকে তার নিঃশ্বাস পর্যন্ত ছিনিয়ে নিব … জমিন তার জন্য সংকীর্ণ করে দিব … মৃত্যুই হবে তার পরিণতি। জীবন ও মৃত্যু আমার হাতে; আমার ড্রোন ও ডলার, আমার সৈন্য ও প্রযুক্তি জীবন দেয় এবং এই সৈন্য ও প্রযুক্তিই মৃত্যুকে বন্টন করে! কালকের ফেরাউনও নিজের কালকে সাদা করে দেখানোর জন্য যাদুকে ব্যবহার করত এবং নিজের ভুলকে সঠিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলে ধরত … ﴿قَالَ فِرْعَوْنُ مَا أُرِيكُمْ إِلَّا مَا أَرَى وَمَا أَهْدِيكُمْ إِلَّا سَبِيلَ الرَّشَادِ ﴾ “ফেরাউন বলল, আমি যা বুঝি, তোমাদেরকে তাই বোঝাই, আর আমি তোমাদেরকে মঙ্গলের পথ দেখাই” … আজকের ফেরাউনও নিজের মিথ্যাকে সত্য এবং জুলমকে ন্যায়পরায়ণতা হিসেবে দেখানোর জন্য ‘মিডিয়া’কে লালনপালন করে। কাল এই অহংকারী ফেরাউনের সামনে আল্লাহ মুসাকে দাঁড় করিয়েছিলেন আর কেয়ামত পর্যন্ত একে এক দৃষ্টান্ত বানিয়ে দিয়েছেন … আর আজকের ফেরাউনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। এতো স্বয়ং ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে ফেরাউনী বাহিনীর প্রথম সারি হয়ে গেছে; ইসলামী ফৌজ হিসেবে অভিহিত কোন বাহিনীর হাতে নয় বরং সহায় সম্বলহীন ইসলামের মুজাহিদদের হাতে আফগানিস্তানের পাহাড়-পর্বতে এর অহংকার ধুলোয় মিশে যাচ্ছে। জীবন ও মৃত্যু দেওয়ার এই দাবীদার, পনের বছর আগুন ও বারুদের বৃষ্টি বর্ষীয়ে দিয়েছে কিন্তু আল্লাহর অনুগ্রহে মুজাহিদদের দৃঢ়তাকে মোকাবেলা করতে পারেনি, ফলে তারা মনোবল হারিয়ে ফেলেছে। যে হত্যা করা, উড়িয়ে দেওয়া এবং শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিত, আজ সেই আলোচনা টেবিলে বসানোর জন্য ভিক্ষা প্রার্থনা করছে। অন্যদিকে মুসা (আলাইহিস সালাম) এর সুন্নাতকে জীবন দানকারী আল্লাহর সৈন্যরা কালও এই শয়তানের সামনে ঝুঁকে যাওয়া থেকে অস্বীকার করে আসছিল আর আজও দৃঢ়তার সাথে দাঁড়িয়ে ফেরাউনের খোদায়ীকে চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছে। অপমান ও অবমাননাই ফেরাউন ও তার গোলাম বাহিনীর ভাগ্য, আর ইসলামের বিজয় তো নির্ধারিত। আল্লাহ নিজের বান্দাদের অবশ্যই পরীক্ষা করবেন যে, কে ফেরাউনী শক্তি ও ক্ষমতার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়, তার সামনে ঝুঁকে শয়তানী বাহিনীতে নিজের নাম লিখিয়ে দেয় আর কে আল্লাহর ওয়াদার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে রাহমানের বাহিনীর সৈন্য হয়ে যায়।

পরীক্ষা ছোট নয়, বড়। দাজ্জালী ফিতনাহ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেরাউনের অসন্তুষ্টি থেকে বাঁচা আর তার প্রিয়পাত্র হয়ে যাওয়ার দৌড়ে অংশ নেওয়া ব্যক্তি, দল অথবা প্রতিষ্ঠান সবাই একজন আরেকজনের চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে চাচ্ছে, শুধু সেইবাদে যার উপর আল্লাহ রহম করেছেন, এমন অবস্থায় لاالہ الّا اللہ বলা এবং ফেরাউনের দিকে তলোয়ার নিশানা করে কার্যকরভাবে সত্যকে স্বাক্ষী দেওয়া, আল্লাহর খাস তাওফীক থেকেই সম্ভব হয়। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, আমিরুল মু’মিনীন মোল্লা আখতার মানসুর (রাহিমাহুল্লাহ) কে আল্লাহ এই তৌফিকের উপর দৃঢ় রেখেছেন। আরব ও অনারব মুজাহিদদের আমির, আমিরুল মু’মিনীন, অসংখ্য তাওহীদের অনুসারীদের অন্তরের বাদশাহ এবং বর্তমান যুগের ফেরাউনকে নাকানিচুবানি খাওয়ানো এই মহৎ বীরের অবস্থান দেখুন! আমেরিকা তাঁর সামনে দুনিয়ার দরজা খুলে দেয়, ভয় দেখায় এবং হুমকিও দেয়, কিন্তু উনি যুগের ফেরাউনের শানশৌকত, শক্তি এবং দুনিয়াবি শ্রেষ্ঠত্বকে তোয়াক্কা না করে এবং এর মোকাবেলায় দাঁড়িয়ে গিয়ে তাওহীদের সাক্ষ্য দিতে থাকেন, উনাকে আলোচনার নামে ষড়যন্ত্রে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য সম্ভব সব চাপ প্রয়োগ করা হয় কিন্তু এই বীর মু’মিন মিথ্যা খোদার পতনের জন্য আক্রমণের বেগ আরও বাড়িয়ে দেন; অবশেষে পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ভেতরে আমেরিকার সামরিক অপারেশনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন … তিনি … তো শহীদ হয়ে গেছেন কিন্তু তিনি তাঁর রব এবং উম্মতের সাথে কৃত ওয়াদা থেকে বিন্দু পরিমাণও সরে যাননি। আল্লাহ আমিরুল মু’মিনীনের শাহাদাত কবুল করুন এবং আমাদের সবাইকে উনার রাস্তায় দৃঢ় থাকা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার তৌফিক দিন। আমিন।
পাকিস্তানের মুসলমানদের সামনে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছু কথা বলা জরুরী মনে করছিঃ

পাকিস্তানি জাতি উম্মতের কাছে ঋণী এবং দিন দিন এই ঋণ বেড়েই চলেছে। আজ উম্মতের আরও এক হীরা, মজলুম মুসলমানদের নয়নমণি, মার্কিনী জালেমদের উপর আক্রমণ চালানো আরও এক তলোয়ার পাকিস্তানের সীমানার অভ্যন্তরে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর খেয়ানতের শিকার হলেন। বিক্ষোভ মিছিল এবং নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি – মুসলমানদের চোখে ঢুলি লাগানো এবং নিজের আসল চেহারার উপর পর্দা ঢেলে দেওয়ার মতই ব্যর্থ প্রচেষ্টা। পাকিস্তানের ভূমির উপর শায়খ উসামা (রাহিমাহুল্লাহ) এর শাহাদাত হয়, ড্রোন হামলায় অনেক মুহসীন উম্মতকে লক্ষ্যবস্তু বানানো অথবা আমিরুল মু’মিনীন মোল্লা আখতার মুহাম্মাদ মানসুর (রাহিমাহুল্লাহ) এর উপর সাম্প্রতিক হামলা … আমাদের বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই এই সব ঘটনায় আমেরিকার গোলাম পাকিস্তানি বাহিনী সমানভাবে অংশ নিয়ে থাকে। এই বাহিনী মার্কিনী বাহিনীর সাথে খোলাখুলিভাবে অংশ নিয়ে থাকে। কোন এক অপারেশনে নিজের কলঙ্ককে গোপন করা আর পুরো পাকিস্তান জুড়ে আহলে দ্বীন ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে জুলম ও বর্বরতা এবং ষড়যন্ত্র ও ধোঁকার মাধ্যমে যুদ্ধ করা এবং এর ভিত্তিতে আমেরিকার থেকে খোলাখুলিভাবে ভাতা নেওয়া কি বার্তা বহন করে!!! আমিরুল মু’মিনীনের শাহাদাতে নিজের উপর পর্দা ঢালা আর উস্তাদ ইয়াসির এবং মৌলভী আব্দুল্লাহ আখন্দের মত ডজন ডজন তালেবান শীর্ষ নেতাদের নির্দয়ভাবে হত্যা করা, একইভাবে আমিরুল মু’মিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ উমর (রাহিমাহুল্লাহ) এর প্রথম নায়েব মোল্লা আব্দুল গনী ব্রাদার সহ অসংখ্য তালেবান শীর্ষ নেতাদের জেলে বন্দী করে রাখা কি প্রকাশ করে? আফগানিস্তানে চল্লিশ সালের জিহাদের ফলকে নষ্ট করে ইসলামী ইমারতের রাস্তা বন্ধ করা এবং এরপরে পুরো অঞ্চল থেকে জিহাদ এবং মুজাহিদদের শেষ করা আমেরিকা এবং পাকিস্তানি দুই বাহিনীর অপূর্ণ স্বপ্ন। এটা ঐ স্বপ্ন যা বছরের পর বছর আগুন ও বারুদ বর্ষণ করেও পূরণ হয়নি, যার ফলে আজ আলোচনার মাধ্যমে তারা তাদের এই কুমতলব বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আলোচনার লক্ষ্য এছাড়া আর কিছুই নয় যে মুজাহিদদেরকে জিহাদের ফরযিয়াত থেকে দূরে রাখা যায়, আমেরিকাকে খোদা হিসেবে মেনে নেওয়া যায় এবং কুফরি ব্যবস্থার অংশ বানিয়ে মুজাহিদদের কুফরের অংশিদার বানিয়ে দেওয়া যায়। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, তালেবান মুজাহিদগণ জানেন যে, ইসলামী ইমারতের প্রতিষ্ঠা না আলোচনার রাস্তা গ্রহণ করার মাধ্যমে হয় আর না কুফরি গণতন্ত্রে অংশ নেওয়া শরীয়ত প্রতিষ্ঠার মাধ্যম হতে পারে। তারা এই সত্যটি ভালভাবেই জানেন যে, ইসলামের সম্মান যদি কখনও মিলেছিল, শরীয়ত প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এবং আফগানিস্তানে শান্তি, নিরাপত্তা ও ন্যায়পরায়ণতার চর্চা হয়েছিল তাহলে কুফরকে পরিপূর্ণভাবে অস্বীকার করা এবং এর বিরুদ্ধে জিহাদের পতাকা উত্তোলন করাই তার কারণ ছিল। কাজেই পাকিস্তানি মুসলমানদের কাছে আমাদের আবেদন হল বর্তমান যুগের ফেরাউন আমেরিকার বিরুদ্ধে আপনাদের দায়িত্বকে পূর্ণ করুন। ইসলামী ইমারতের প্রতিরক্ষা ও মার্কিনি জোটের বিরুদ্ধে জিহাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ফরযে আইন। আমাদের দৃষ্টিতে পাকিস্তানে জিহাদের লক্ষ্যও ইসলামী ইমারতের প্রতিরক্ষা। আপনাদের উপর আবশ্যক হল, পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীকে ইসলামী ইমারতের পিঠে ছুরি চালানো থেকে বাঁধা দেওয়া, পাকিস্তানি কুফরি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অন্তরে ঘৃণা এবং একইসাথে এর প্রতিরক্ষাকারী খেয়ানতকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে বুকের গভীরে শত্রুতা বসানো এবং কার্যকর ময়দানে নেমে যুগের ফেরাউন আমেরিকা ও এর গোলামদের বিরুদ্ধে মুজাহিদদের সাহায্য করা।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি মিডিয়ার মিথ্যাচারীতার প্রতি আপনাদের মনযোগ আকৃষ্ট করাকে জরুরী মনে করছি। নিঃসন্দেহে এই মিডিয়াই বর্তমান যুগের ফেরাউনের জন্য যাদুর কাজটি সামাল দিচ্ছে। উম্মতের উপর হামলা এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ, সত্যের জন্য তালেবানের অবিচল প্রতিরোধ এবং মজলুম মুসলমানদের সাহায্য এরকম বিষয়গুলোর জায়গা নিঃসন্দেহে এখানে নেই; এখানে আলোচনার বিষয় যদি কিছু থেকেই থাকে তবে তাহল “চরমপন্থীরা” পাকিস্তানি সীমানার আইন কেন মেনে চলেনা? পাকিস্তানের ভেতরে এসে এরা কেন আমেরিকাকে হস্তক্ষেপের বৈধ্যতা দিচ্ছে? তারা বলছেঃ পাকিস্তানের ভেতর আমেরিকার হামলা যদি অবৈধ্য হয়েই থাকে, যদি এর মাধ্যমে সার্বভৌমত্বের লংঘন হয়েই থাকে, তাহলে মোল্লা আখতার মানসুরের মত ব্যক্তিদের পাকিস্তানের ভূখণ্ডে বেআইনিভাবে প্রবেশ করাও সঠিক নয়, এরও নিন্দা করা উচিত! ﴿أَفَنَجْعَلُ الْمُسْلِمِينَ كَالْمُجْرِمِينَ﴾ “আমি কি মুমিনদেরকে অপরাধীদের ন্যায় গণ্য করব?” ﴿مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ﴾ “তোমাদের কি হল? তোমরা কেমন সিদ্ধান্ত দিচ্ছ?” যখন টাকাপয়সা মা’বূদ হয়ে যায় এবং ব্যক্তিস্বার্থ আদর্শ হয়ে যায় তখন নীতিহীনতা ও লম্পট্যের কোন সীমা থাকেনা। নিঃসন্দেহে আজকের মিডিয়ার ফিতনাহ বোমা ও মিসাইল থেকে বেশি বিধ্বংসী। এটা এজন্য যে, এর লক্ষ্য আত্মসম্মান, লজ্জা এবং ঈমান। আল্লাহ এই হামলা থেকে উম্মতকে রক্ষা করুন।

সবশেষে, আমরা আমিরুল মু’মিনীন মোল্লা আখতার মানসুর (রাহিমাহুল্লাহ) এর শাহাদাতের উপর মুসলিম উম্মত, আত্মসম্মানী আফগানি জনগণ, ইসলামী ইমারতের মুজাহিদগণ এবং নতুন আমিরুল মু’মিনীন শায়খ হেবাতুল্লাহ আখন্দজাদা (হাফিযাহুল্লাহ) এর কাছে সমবেদনা প্রকাশ করছি। আনন্দের ও গর্বের বিষয় হল আল্লাহ আমাদেরকে এই সময়েও এমন এক ইমাম উপহার দিয়েছেন যিনি নিজের জীবন দিয়ে গেলেন কিন্তু কুফরের সামনে নিজের মাথাকে কখনও ঝুঁকালেননা। আমিরুল মু’মিনীন মোল্লা আখতার মানসুর (রাহিমাহুল্লাহ) মোল্লা মুহাম্মাদ উমর (রাহিমাহুল্লাহ) এর উত্তরাধিকারের হক্ক আদায় করেছেন, উনার পরে আগতদের জন্য উনার এই আদর্শ আলোর মিনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে। এই আদর্শ জালেমদের বিরুদ্ধে দৃঢ় থাকা, জিহাদের রাস্তায় লেগে থাকা এবং আল্লাহর উপর পুরোপুরি ভরসা করার শিক্ষা দেয়। ইনশাআল্লাহ উনার শাহাদাত জিহাদী কাফেলাকে শক্তিশালী করবে এবং এই শাহাদাত আমেরিকার পরাজয় ও গ্লানির সূত্র হবে। নিঃসন্দেহে বিজয় ও সাহায্য আল্লাহরই হাতে, আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক অর্থে ঈমান ও জিহাদের উপর অবিচলতা দিন এবং তাঁর উপর ভরসাকারী বান্দাদের মাঝে শামিল করুন। ﴿إِنْ يَنْصُرْكُمُ اللَّهُ فَلَا غَالِبَ لَكُمْ﴾  “যদি আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেন তাহলে কোন শক্তি তোমাদের পরাজিত করতে পারবেনা” ﴿ وَإِنْ يَخْذُلْكُمْ فَمَنْ ذَا الَّذِي يَنْصُرُكُمْ مِنْ بَعْدِهِ ﴾ “আর উনি যদি তোমাদের ছেড়ে দেন তাহলে এরপরে কে তোমাদের সাহায্য করতে পারবে?” ﴿وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ﴾ “আর মুমিনদের আল্লাহ্*রই উপর ভরসা করা উচিত”।

আর আমাদের সর্বশেষ বাণী হল সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর পরিবার ও সাহাবা আজমা’য়ীনদের উপর।
শা’বান ১৪৩৭ হিজরি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × one =

Back to top button