আরবইতিহাস- ঐতিহ্যইয়েমেনউসামা মিডিয়াবই ও রিসালাহমিডিয়াশাইখ খুবাইব আস সুদানী হাফিযাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

পিডিএফ/ওয়ার্ড || আমার দেখা শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.-শাইখ খুবাইব আস-সুদানি হাফিজাহুল্লাহ

পিডিএফ/ওয়ার্ড || আমার দেখা শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.-শাইখ খুবাইব আস-সুদানি হাফিজাহুল্লাহ

PDF

https://archive.org/download/AmarDekhaShaikh/amar%20dekha%20shaikh.pdf

WORD

https://archive.org/download/AmarDekhaShaikh/amar%20dekha%20shaikh.docx

 

PDF
—-
http://www.mediafire.com/file/a2dwxbwwb9dmcg6/121._amar_dekha_shaikh.pdf/file

https://archive.org/download/u_m_a_5/121.%20amar%20dekha%20shaikh.pdf

Word
—–
http://www.mediafire.com/file/1m3glny81angzvl/121._amar_dekha_shaikh.docx/file

https://archive.org/download/u_m_a_5/121.%20amar%20dekha%20shaikh.docx

========================

 

আমার দেখা শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

মূল

শাইখ খুবাইব আস-সুদানি হাফিজাহুল্লাহ

অনুবাদ

মুফতি হাসান মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ

 

 

কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবী ও দারুস সালামে অপারেশন পরিচালনা পর পর আফগানিস্তানে আল-কায়েদার অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যায়। এই ঘটনাগুলোর নেতিবাচক প্রভাবে ভীত হয়ে সুদানের সরকার শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ’র অর্থ-সম্পদ করায়ত্ত করে নেয়। সুদান থেকে আগত সাধারন সাহায্যের অর্থও হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে অর্থনৈতিক অবস্থা খুব সঙ্কটময় আকৃতি ধারণ করে। যার ফলে দৈনন্দিনের বাজেট কেটে শুধুমাত্র অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি পূর্ণ করার মাঝে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। ঐ সংকটময় অবস্থার ভয়াবহ পরিস্থিতিটা একটু কল্পনা করে দেখুন! মিলিটারী কমিটির অধিনস্ত সেনাদের খানার বাজেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন সাথীদের নতুন মাধ্যমে আর্থিক সাহায্যের উপর ভরসা করা ছাড়া আর কোন উপাই ছিল না। যেখানে তাদের পরিবার পরিজনও এভাবেই জীবন যাপন করতো। কেননা তাদের নিজেদের মাসিক ভাতা থেকে আধা পয়সা বের করাও কষ্টকর ছিল। যাদের মধ্যে অধিকাংশ লোক অল্প মুনাফার জন্য নিজ ভাতাকে অন্য বৈদেশিক মুদ্রায় পরিবর্তন করে ফেলতো।

সেটি একটি সুন্দর দিন। কান্ধার এয়ারপোর্ট সীমানায় আমাদের ছোট গ্রামের একটি মসজিদে যোহরের ছালাতের পর শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহ দাড়িয়ে আমাদের উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দিলেন: তিনি আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও গুণগান করে বললেন:

“আমার কল্পনাতেও এমন ধারণা আসেনি যে এমন একটি দিন আসবে যখন আমার নিকট পাঁচ হাজার ডলার এলেও আমি সীমাহীন খুশি অনুভব করবো। আল্লাহ তা’আলার অনুগ্রহে গতকাল আমাদের এক হিতাকাঙ্খির নিকট হতে অনুদান উসুল হয়েছে। আল্লাহ তা’আলাই ভাল জানেন যে আমি এতে কি পরিমান খুশি হয়েছি।”

এই কয়েক মিনিটে শাইখের মুখে উচ্চারিত কথাগুলো আমাদের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। আমরা আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও গুণগান গাই, আর আমাদের চক্ষু অশ্রুতে ভেসে যায়। এই অর্থের ব্যবস্থা হওয়া বা এমন পরিস্থিতিতে এই পরিমান অর্থ সহজে হস্তগত হওয়ায় খুশির আর অন্ত ছিল না। দীর্ঘ দিন যাবৎ ধারাবাহিক নিঃস্বতা ও বিপদে জর্জরিত হওয়া সত্ত্বেও আমাদের কেউই এমনটি ভাবেনি। আল্লাহ তা’আলার দয়ায় তিন বেলা খাবারের পরিবর্তে আমরা দুই বেলা খাবারের উপর আল্লাহ তা’আলার শোকর করি। যেখানে শিআবে আবি তালেবে অবরুদ্ধ অবস্থায় নবীয়ে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীগন (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) এমন দারিদ্রতার মাঝে ছিলেন যে, ক্ষুধায় অস্থির হয়ে যেতেন। শিশুদের কান্নার আওয়াজের গুঞ্জন সৃষ্টি হত। ঐ কঠিন পরীক্ষার তুলনায় আমরা তো কোন কষ্টেই ছিলাম না। আমাদের চোখে আমাদের শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহর জন্য গুণগান, শ্রদ্ধা, ও মর্যাদার অশ্রু ছিল। শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহ ছিলেন দৃঢ় ইচ্ছায় পাহাড় তুল্য। এই মহান মর্যাদার অধিকারী শাইখ যিনি সোনার চামচ মুখে নিয়ে এমন ধনাঢ্য পৃথিবীতে জন্ম লাভ করেন যে তিনি হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ডলারের মালিক ছিলেন। এমন প্রাচুর্যতা ও বিত্তশালীতার মাধ্যমে তিনি চাইলে এমন পরিপূর্ণ সুখ-সাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারতেন যা শুধু কল্পনাই করা যায়। এমন ধনাঢ্যতা সত্ত্বেও তিনি আল্লাহ তা’আলা থেকে মহা প্রতিদান পাওয়ার সওদা করেন। পরকালের চিরস্থায়ী সুখ-সাচ্ছন্দ গ্রহণ করাকে নির্বাচন করেন।

তিনি এখানে কান্ধারের নিকটে এয়ারপোর্টের সীমানায় আমাদের সাথে আমাদের মতই জীবন যাপন করেন। এটি সৌভাগ্যময় স্থান যাকে শাইখ উসামা (রহিমাহুল্লাহ) বসবাসের জন্য বাছাই করেছিলেন। সবকিছুর স্বল্পতা সত্ত্বেও ঘরগুলো ভালোভাবে নির্মান করা হয়। এই নির্জন মরু এলাকায় কম-বেশ ষাটটি ঘর ছিল। প্রত্যেক ঘরে দুইটি বেডরুম, একটি কিচেনরুম ও একটি বাথরুম ছিল। ঐ ঘরগুলোর চতুষ্পার্শে নিরাপত্তার কোন বেষ্টনী ছিল না। গ্রামবাসীরা তাকে নিজেদের গবাদি পশুর বিশ্রামের স্থান হিসেবে ব্যবহার করতো। দেয়াল ছাড়া যা কিছু ভিতরে ছিল তা আফগান-রুশ যুদ্ধে তারা গনিমত মনে করে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। যদি দেয়ালগুলো উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো তবে হয়তো তাও উঠিয়ে নিয়ে যেত।

আপনি সেখানের দেয়ালে এক হাত পরিমান পরিস্কার ও ত্রুটিমুক্ত জায়গা খুজে পাবেন না। দেয়ালে হয়তো গুলি লাগার কারণে ছিদ্র হয়ে গিয়েছিল অথবা গোলা বর্ষণে ফাটল ধরে গিয়েছিল। ওখানে ভিত্তিমুলক কোন প্রয়োজনী আসবাবপত্র মজুদ ছিল না। পানি গচ্ছিত রাখার কোন ব্যবস্থা ছিল না। পানি কুপ থেকে সংগ্রহ করা হতো। বৈদ্যুতিক লাইনের কোন ব্যবস্থা ছিল না। বরং লন্ঠন বাতি দ্বারা আলোকিত করা হত। আর না সেখানে পয়ঃপ্রণালীর নিয়মতান্ত্রিক কোন ব্যবস্থাপনা ছিল, বরং গোসলখানার পেছনে এক মিটার গভীর গর্ত খনন করা হয়েছিল যা খড়কুটার চাটাই ও মাটির গাদ দ্বারা ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। সকল ঘরের ছাদ ও দেয়ালগুলো মাকড়সার জালে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া ইদুর ও সাঁপের গুহাও সেখানে ছিল। সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হল যখনি আমরা কান্ধার পৌছলাম আমরা ঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোন ব্যবস্থা করার পূর্বেই শাইখ উসামা (রহিমাহুল্লাহ) সবার পূর্বে নিজ পরিবার পরিজনকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলেন। এবং নিজ ঘরের দরজা ও জানালায় চাদর রেখে দিলেন। যখন ভাইয়েরা ফয়সালা করলো যে সকলে নিজ নিজ ঘরের নিরাপত্তা দেয়াল নিজেই নির্মান করবে তখন দেখতাম যে শাইখ উসামা (রহিমাহুল্লাহ) আপন ছেলেদের নিয়েই নিজ হাত পাঁ দ্বারা মাটি খামির করতেন এবং দেয়াল নির্মান করতেন। আর গুণ গুণ করে একটি ইয়েমেনী সংগীত গাইতেন।

چاروں نے اونٹ کو گرفت میں لیا،
مگر اونٹ ان کے قابو نہ آیا۔۔۔

চারো ব্যক্তি উটকে গ্রেফতার করে

কিন্তু উট আসেনি তাদের আয়ত্তে

 

আমার আজো স্মরণ আছে যে তিনি পশ্চিম পার্শ্বের তির্যক দেয়ালটির নির্মান কিভাবে সম্পন্ন করেছেন!, যা ইতিপূর্বে বৃষ্টির ফোঁটায় ভেঙে পড়ে ছিল।

যদি আপনি আমাদের শাইখের গৃহে প্রবেশ করতেন তবে তাঁর অবস্থার বিবরণে অভিধান ঘেটেও  ‍উপযোগী শব্দ খোঁজে পেতেন না। তাঁর বড়ত্ব ও মহত্ত্বে আপনার চক্ষু ভিজে যেত। এবং দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই মহান শাইখকে এভাবে কিছু সংবর্ধনা জানাতেন যে, হে শাইখ নিশ্চয় আপনার পরবর্তীরা আপনার সমকক্ষ হওয়ার প্রচেষ্টা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাবে। শাইখের আঙ্গিনা চার ঘরের সমন্বয়ে ছিল। তার মধ্য হতে একটি ঘর পরিপূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সেটাকে ঘোড়ার আস্তাবল বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাকি তিন ঘর তাঁর স্ত্রীগণ ও মেয়েদের জন্য ছিল। প্রত্যেক ঘরের সামনে শুকনো ঘাসের তৈরী একটি ছায়াবিশিষ্ট পথ ছিল যা কাইলুলা করার জন্য তৈরী করা হয়েছিল। শাইখ উসামা নিজ উঠানকে এমন বানিয়েছিলেন যা দেখতে কৃষি চাষাবাদের কেন্দ্র মনে হত। তিনি সেখানে বিভিন্ন প্রকার ফসলাদি ও শাকসবজি নতুন পদ্ধতিতে রোপন করেছিলেন। তার মধ্য হতে কিছু ফসলাদি ফলবান হয়ে বেড়ে উঠেছিল। এ সব দেখে মনের অজান্তে আবেগে উৎফুল্ল হয়ে বলতে বাধ্য হবেন যে হে সম্মানিত শাইখ! আল্লাহ তা’আলা আপনাকে কতইনা বরকতময় হাত দান করেছেন!। যদি আপনি তাঁর উঠানের প্রতি দৃষ্টি করতেন তবে সম্মুখভাগে একটি তাঁবু দেখতেন, এই তাবুটি তাঁর ছেলেদের জন্য ছিল। শাইখ উসামার কলিজার টুকরো ছেলেরা সেখানে ঐ তাঁবুতে জীবন যাপন করতেন। কেননা ঘরে কোন অতিরিক্ত কামরা ছিল না। এটা দেখে আমার সুদানের সেই মহান মজলিসের স্মৃতি তাজা হয়ে যায়, যাতে শাইখের বিবরণ আমাকে আশ্চর্য ও হতবাক করে তুলে।

১৯৮০খ্রিষ্টাব্দের দশ তারিখে আমাদের মহান শাইখ নিজ বিবিদের ও সন্তাদেরকে নিয়ে জিদ্দার একটি প্রসিদ্ধ শহরতলী এলাকায় কাঠের ছাদবিশিষ্ট সাধারণ ঘরে মুকিম ছিলেন। উসামা (রহিমাহুল্লাহ) এর বড় ভাই যিনি পরিবারের ব্যবস্থাপক হওয়ার দরুণ শাইখের জীবন-ধারার উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি চাইতেন যে তার ভাই উসামা বিন লাদেন তার জীবনপ্রথা সমপরিমান এবং উপযুক্ত স্থানে জীবন যাপন করে। তাই তিনি নিজ খরচে আপন ভাই উসামার জন্য একটি প্রাসাদ নির্মান করেন এবং শাইখকে তা হাদিয়া দিতে চাইলেন। এই ঘটনা যখন শুনান তখন শাইখ উসামা (রহিমাহুল্লাহ) এর সাথে আমি ও আবু তালহা সুদানী উপস্থিত ছিলাম। শাইখ আমাদের এই প্রাসাদের মূল্যে কত হতে পারে এর অনুমান করার জন্য বললেন। আমি সুদানের বিবেচনায় প্রাসাদের অনুমান করে আনন্দের সাথে উত্তর দিই যে, ‘‘এক মিলিয়ন রিয়াল’’। শাইখ একটু মুচকি হাসলেন এবং বললেন: ‘‘ আরো বাড়িয়ে বলুন’’। আমি বললাম: ‘‘তাহলে দুই মিলিয়ন’’ তিনি বললেন ‘‘না আরো বাড়িয়ে বলুন’’। আমি বললাম: ‘‘পাঁচ মিলিয়ন’’ তিনি মাথা নেড়ে না সুচক উত্তর দিলেন। এবং বললেন: এর মূল্য এর চেয়েও অধিক।

আমি অনুমানের সর্ব শেষ টার্গেট হিসেবে বললাম: ‘‘ঠিকাছে তাহলে বিশ মিলিয়ন। এখনতো ঐ প্রাসাদের মূল্য যথাযথ হওয়া চাই। শাইখ বার বার বলছিলেন যে ‘‘আরো বৃদ্ধি করুন’’। অবশেষে আমি বললাম: ‘‘শাইখ এর মূল্য তো এর চেয়ে বেশি হতে পারে না।

তিনি বললেন: ‘‘আচ্ছা আচ্ছা! বাস্তবে এর মূল্য সৌদি আশি মিলিয়ন রিয়াল। আপনার যদি খারাপ না লাগে তবে বলব যে, হারামাইনের শাহজাদা ও ব্যবসায়ীদের জাঁক-জমকপূর্ণ প্রাসাদের বিবেচনায় এটি একদম উপযোগী।

আবু তালহা ও আমি খুব হতাবাক হলাম। এটি এতো মূল্যবান যা আমরা কখনো চিন্তাও করিনি। আমি নিরবে চিন্তা করতে লাগলাম এবং নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলাম আশি মিলিয়ন সৌদি রিয়াল! এটি কি উপযুক্ত মূল্য ছিল? ঐ সময় আশি মিলিয়ন সৌদি রিয়াল কি বিশ মিলিয়ন ডলারের চেয়ে অধিক মূল্যের ছিল! সন্দেহ আমাকে তাড়া করছিল যে বিখ্যাত হোয়াইট হাউজও যখন নির্মান করা হয়েছিল তখন এমনি মূল্যের হবে। কম-বেশ ত্রিশ বছর পর আপনি আশি মিলিয়ন রিয়ালের পরিমান ও মূল্য অনুমান করতে পারেন?

একটু ভেবে দেখুন ১৯৮০খ্রিষ্টাব্দের দশ তারিখে এই আশি মিলিয়ন সৌদি রিয়াল দিয়ে তিনি পৃথিবীর সকল প্রকার আরাম-আয়েশ ও সাজ-সজ্জা অর্জন করতে পারতেন। সময়ের ব্যবধান মুছে দিয়ে কিছুক্ষনের জন্য এই চিন্তাটি মাথায় এনে একটু ভাবুন। এক মুহর্তের জন্য অন্তরে এই ধারনা আনবেন না যে শাইখ উসামা (রহিমাহুল্লাহ) ঐ প্রাসাদে বসবাসের ইচ্ছা পোষণ করতেন। একটি মূহর্তের জন্যও উনার অল্পেতুষ্ট হৃদয়ে আরাম-আয়েশ ও সাজ-সজ্জাময় জীবনের কল্পনা প্রভাবিত করেনি। তিনি তার ভাইয়ের নিকট ওজর পেশ করলেন। এবং অত্যন্ত সভ্যতার সাথে তার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে দিলেন।

শাইখের মস্তিষ্কে কখনো এই ঝোঁক সৃষ্টি হয়নি যে তিনি নিজেকে পরিপূর্ণ বিলাসিতাপূর্ণ জীবন-যাপনে নিমজ্জিত করবেন। এমন সময় যখন চোখের সামনে বাস্তব চিত্র ফুটে উঠে ছিল; দৈনন্দিন মুসলমানদের উপর চলমান নিপীড়ন দৃশ্যমান হচ্ছিল, এবং এমন অমানবিক অত্যাচারের দৃশ্য ভেসে উঠছিল যা যে কোন বিবেককে নাড়া দিবে, হৃদয়কে জালিয়ে ভস্মীভূত করে দিবে। নিষ্পাপ শিশুদের রক্তাক্ত শরীরের দৃশ্য যা পরবতমালাকেও ভেঙে চুরমার করে দেয়।

এই উম্মতের দরদে পরিপূর্ণ হৃদয়ের অধিকারী শাইখ উসামা নিজের জন্য এ বিষয়টি সমীচীন মনে করেনি যে তিনি ঐসব লোকদের মত হয়ে যাবেন যারা মুসলমানদের চলমান নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে মুখ ফিরিয়ে চক্ষু বন্ধ করে বসে আছে।

এবং ঐ ব্যক্তির মতও নয় যে উম্মতে মুসলিমার করুণ অবস্থা দেখে কান্নাকাটি ও মাজলুম মুসলমানদের জন্য আল্লাহর নিকট দোআ’ করা ব্যতিরেকে ভিন্ন কোন সমাধান মাথায় আনেনি, যে চুপ করে নিরবে বসে আছে। শাসকদের নিকট অনুনয় বিনয় ও তোষামোদের পিছনে সময় কাটাচ্ছে। তিনি আওয়াজ দিলেন যে, উঠে দাড়াও। নিজেদের দায়িত্ব পালন কর। শক্তি দিয়ে জুলুমের অবসান ঘটাও। শাইখের আত্মমর্যাদা এটাকে মেনে নেয়নি যে, তিনি হক্ব-বাতিলের মিশ্রণকারী ও সত্যকে গোপনকারী ঐসব সম্প্রদায়ের দলভুক্ত হবেন যারা বসে বসে প্রোগ্রাম করছে, অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ও শাখাগত বিষয়াদির অগ্রাধিকার দিচ্ছে। জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গঠন করে নিজেদের অর্থ সেখানে ব্যয় করছে। তারা কাফেরদের প্রকাশ্যে এই অনুমতি দিয়ে রেখেছে যে, তারা মুসলমানদের দেশে স্বাধীনভাবে নৈরাজ্য ছড়াবে। নিজেদের বানানো বিধান ও নিয়ম-নীতি প্রতিষ্ঠা করবে। মুসলমানদের রক্ত প্রবাহিত করবে, তাদের ধন-সম্পদ লুন্ঠন করবে, ছিন্তাই করবে, অশ্লীলতা ও নিজেদের স্বার্থ লুটার জন্য বিশৃঙ্খলাও প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য নিজেদের ইচ্ছে মত পদক্ষেপ নিবে।

এটা কিভাবে সম্ভব যে শাইখ মুসলমানদের উপর ক্রমাগত আসন্ন বিপদ দেখেও নিজ সংযমতা ও আত্মমর্যাদাকে নিস্তেজ করে রাখবেন?! এটা কিভাবে হতে পারে যে, শাইখ বর্তমান পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত ও অকেজো রাজনীতির পেছনে পড়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকা মানুষের মত বসে থাকবেন, কিছুই করবেন না। এবং কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির মত হয়ে যাবেন যারা নিজেদের পিছনে থেকে যাওয়াকে মাছলাহাত ও বিভিন্ন বাহানার সয়লাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার অপচেষ্টা করে!

শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) স্বয়ং নিজেই বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের সাথে লাঞ্চনাদায়ক আচরণ, অত্যন্ত নির্মম ও হৃদয়বিদারক বাস্তবতার চাক্ষুষ সাক্ষী ছিলেন। তিনি প্রত্যেক অঞ্চল, শরয়ী দলিল ও সুচিন্তিত মতামতের মাধ্যমে রিপোর্ট গ্রহন করেছেন। এবং তিনি এই ফলাফলে উপনীত হন যে, ঈমান আনার পর কাফেরদের আনুগত্য একটি সম্পূর্ণ অহেতুক কাজ। অর্থাৎ ঈমানের দাবি হল মুসলমানদের দ্বীন ও আত্মমর্যাদার মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী শত্রুকে নিজেদের ভূমি থেকে বের করে দিবে।

শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহের এই বিষয়ের উপর বিশ্বাস ছিল যে, ইতিহাস নিজেই নিজেকে পুনরাবৃত্তি করছে। সময় ও অবস্থা মানুষের নিকট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিরে আসছে। আর বর্তমানে আমাদের যুগের সবচাইতে বড় ফিরআউন আমেরিকা দাড়িয়ে অহংকারী সুরে নিজের শক্তির ঘোষণা দিচ্ছে। ‘‘বলছে: যে আমার থেকে বেশি শক্তিশালী কে? আমাদের জাতীয়তার অধিনে থাক অন্যথায় আমরা তোমাদেরকে তোমাদের ভূমি থেকে উৎখাত করে দিব। আর যদি তোমরা আমাদের বিপরীত চল তবে তোমাদের বন্দী করে ফেলবো।”

শাইখ এই বাস্তবতাকে ভালোভাবে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, আমেরিকা পৃথিবীব্যাপী সকল জাতির নিকট শুধু দুইটি অবকাশ রেখেছেন:

(১) হয়তো কুফরী নীতি অর্থাৎ গণতন্ত্র, ধর্মনিরেপক্ষতা কিংবা সমাজতন্ত্রের অধিনে জীবন যাপন করবে। এইসব নীতিগুলো বিভিন্ন রাষ্ট্রের মাধ্যমে অস্ত্রের বলে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঐসব রাষ্ট্র যারা কাফেদের রাজত্বের স্বার্থে কাজ করছে যাদের মোড়ল হল আমেরিকা।

(২) অথবা সন্ত্রাসীর কলঙ্ক মাথায় নিয়ে, আগুনের গর্তে লাফিয়ে, তার সামুদ্রিক মহড়া, জঙ্গি বিমান, রকেট লঞ্চার, এবং তার সামরিক বোমা বর্ষণের লক্ষবস্তু হয়ে মৃত্যুকে গলায় বাঁধবে।

শাইখের এই বিষয়টির উপর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, যদি আমরা কুফরি নীতির সামনে মাথা নত করে জীবন যাপনকে মেনে নেই তবে সফলতা অর্জন কখনো সম্ভব নয়। তাই আমাদের ইচ্ছায় অনিচ্ছায় এর একটি অবকাশ ছাড়া ব্যতিরেকে দ্বিতীয় কোন পথ ছিল না। আর লোহাই লোহাকে কাটে। জিহাদ ছাড়া এই উম্মতের ইহকালিন ও পরকালিন বিজয়, স্বাধীনতা, সুব্যবস্থা, শ্রেষ্ঠত্ব ও শান-শওকত অর্জন করা সম্ভব নয়। সমস্ত উপকরণকে কাজে লাগিয়ে আমেরিকার সাথে যুদ্ধ করা হবে। সমস্ত বিপদ ও আসন্ন সকল দুর্যোগের বোঝা বহন করা হবে। এসব শ্রম মূল্যায়িত হবে। যেমনিভাবে দীর্ঘদিন যাবত আমাদের দ্বীন বাকি আছে। (ফিৎনা হত্যা অপেক্ষা অধিক জঘন্য।)

শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। এবং বাইআতে আক্বাবার সাহাবাদের পথে চলাকে মনোনিত করেন। তিনি মহাজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান আল্লাহ তা’আলার সাথে অঙ্গীকারাবদ্ধ হন এবং এই দ্বীনের প্রতিরক্ষার জন্য নিজ জান-মাল দ্বারা জিহাদ করার বাইআতও মহান আল্লাহ তা’আলার সাথে করেন।

সিংহও কি কখনো ছাগল-ভেড়ার মত হয় যাদের একটি লাঠি দ্বারা হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অথবা দূর থেকে পাথর নিক্ষেপ করে বিক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়? খুব কম সংখ্যক বীর যারা বীরত্বের আত্মমর্যাদা পরিদর্শন পূর্বক বলেছে যে, ‘‘আমাদের ঘর অনিরাপদ এবং আমাদের ভয় না জানি আমাদের উপর কোন বিপদ এসে পড়ে’’ অতঃপর তারা কামনা করেছে যে তারা মরুভূমিতে মরুচারীদের নিকট গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে যে প্রকৃত ও সত্যিকারী বীরেরা কি আদর্শ পেশ করেছে। এই মহান শাইখই ছিলেন যার আওয়াজের গর্জনে জালেমের সিংহাসনে কম্পন সৃষ্টি হয়ে যায়।

(আরবী কবিতার অনুবাদ)

সাহসী বীরের প্রস্তুতির ন্যায় নিজেকে তৈরি করে নাও

এখন লেনদেন একদম স্পষ্ট

তোমরা আমাদের ত্যাগ করেছ আর কাফেররা আমাদের উপর বিজয় লাভ করেছে

কাফের হিংস্র প্রাণীরা আমার ডানাগুলোকে ছিড়ে ফেড়ে বিদীর্ণ করছে

কাফের নেকড়েরা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছে

দুষ্ট লোকদের আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে

ইসলামী জিহাদের স্বাধীন চেতনার অধিকারী ছেলেরা অস্ত্র দ্বারা আপন বোনদের ইজ্জত রক্ষা করছে

ঝগড়াটে অবস্থার জীবন যাপনের চেয়ে মৃত্যুই উত্তম

এমন আত্মমর্যাদাকে কখনো শেষ করা সম্ভব নয়

 

শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ যুদ্ধের ঘোষণার ফলাফলের পরিপূর্ণ দায়িত্ব নিজের কাঁধে উঠিয়ে নিয়েছেন। নিজেকে ধৈর্য ও দৃঢ়তার দিনগুলো অতিক্রম করার মাঝে মগ্ন করে নিয়েছেন। তারা শাইখকে এই পথ থেকে সরানোর জন্য সকল মাধ্যম গ্রহন করেছে। তারা শাইখের ঐসব ধন-সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নেয় যা তিনি জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’র জন্য ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন। তারা শাইখের প্রিয় ভূমির নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেয়। তাঁকে তার প্রিয়জন থেকে দূরে সরিয়ে দেন।  যারাই শাইখকে নিরাপত্তা ও হেফাজতের চেষ্টা করেছে তাদের জীবনও তারা সঙ্কীর্ণ করে দেয়। এবং অবশেষে শাইখের বিরুদ্ধে সকল ইন্টেলিজেন্স ইজেন্সিগুলো ব্যবহার করে তাঁর পিছু নেয় এবং তাঁর কাছে পৌছে তাঁর নিরাপদ আশ্রয় গৃহে গিয়ে তাঁর প্রাণ নিয়ে নেয়।

শাইখের শাহাদাতে শত্রুরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়। তারা রাস্তায় বেরিয়ে ঢোল বাজিয়ে নেচে গেয়ে খুশি উদ্যাপন করতে থাকে। কিন্তু এই আহাম্মকরা কিভাবে এই বাস্তবতা উপলব্ধি করবে যে আমাদের নিহতরা তো জান্নাতে যায় আর তাদের মৃতরা জাহন্নামে যায়। এরা এতো অহংকারী যারা এই আক্বীদার বুঝই রাখে না। তাদের বিবেক এই বিষয়টি উপলব্ধি করা থেকে অক্ষম যে আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হওয়া শাইখের খুবই তামান্না ছিল। বিশ বছর ধরে তিনি এর অপেক্ষায়ই ছিলেন। আপন জীবনের শেষ দিনগুলোতে শাইখ (রহিমাহুল্লাহ) অসুস্থতার দরুণ দূর্বল ও ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তা’আলা তাঁর মর্যাদাকে আরো বৃদ্ধি করতে চাচ্ছিলেন। এবং তাঁকে শহীদ অবস্থায় নিজের কাছে ডেকে নিতে চাচ্ছিলেন। অবশেষে কয়েক বছর যাবৎ অন্বেষণ ও জিহাদের ময়দানে যুদ্ধের প্রতিনিধিত্ব করার পর নিজ গৃহেই তার শাহাদাত নছিব হয়।

এই মাতাল শত্রুরা কি কখনো এই বিষয়টি বুঝবে যে শাইখ উসামা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই শব্দগুলো অধিকাংশ সময় বারবার বলতেন:

‘‘ঐ সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রণ! আমার তো আরজু যে আমি আল্লাহর রাস্তায় নিহত হব আবার আমাকে জীবিত করা হবে অতঃপর পুনরায় আমি নিহত হব আবার আমাকে জীবিত করা হবে আবার আমি নিহত হব পুনরায় আমাকে জীবিত করা হবে আবার আমি নিহত হব।’’

এই আহাম্মকদের খেয়াল ছিল যে শাইখকে শহীদ করে দিলে জিহাদী কাফেলা বন্ধ হয়ে যাবে। নিঃসন্দেহে তারা নৈরাশ হয়ে গেছে এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। যেমন দুই মাসে আফগানিস্তানে বিজয় লাভ করার পর নৈরাশ্যরা তাকে ঘিরে ফেলে। তাদের ধারণার বিপরীতে আল্লাহ তা’আলার তাকদীর বিজয় লাভ করে আফগানিস্তানে ঝলকিত অগ্নিশিখা গর্জন করতে করতে শত্রুর স্বার্থসিদ্ধিকে জ্বালাতে জ্বালাতে পূর্ব-পশ্চিম দেশসমূহে ছড়িয়ে পড়েছে। তারা পূনরায় তাদের উদ্দেশ্যকে হারিয়েছে। এবং পৃথিবীব্যাপী মুসলমানদের সংখ্যাধিক্য দেখে তারা নেজেদের ক্রোধ ও আক্ষেপে নিজেরাই মরছে। শাইখের শাহাদাতের পর মুসলমানগন রাস্তা-ঘাটে নেমে আসে উচ্চ আওয়াজে ধ্বনি প্রতিধ্বনিত কন্ঠে সাড়া যাগানো সেই শ্লোগান দিচ্ছিল যে,

’اوباما، اوباما، ہم سب ہیں اسامہ‘‘۔

ওবামা..   ওবামা আমরা সবাই উসামা

হ্যাঁ হ্যাঁ! কাবার রবের শপথ!!! ওহে ওবামা! আমরা সকলে উসমা! আমরা একই জাতি আমরা মাথানত করতে জানি না। আমরা সেই জাতি যারা তাদের নেতার মৃত্যুতে মরে না। হয়তো আমাদের বিজয় অর্জিত হয় নয়তো আমরা শাহাদাতের সুধা পান করি। যেমনিভাবে উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ শাহাদাতের সুধা পান করেছেন।

হ্যাঁ হ্যাঁ! কাবার রবের সপথ!!! আমরা সেই জাতি যারা উসামা রহিমাহুল্লাহর ইবাদত করে না। বরং আমরা উসামার রবের এবাদত করি। আমরা সেই জাতি যারা আল্লাহর পবিত্র কালাম, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত, আমাদের ইমামদের সিরাত ও তাদের ঐসব বানী থেকে আলো গ্রহণ করি যা তাদের রক্তের শ্রোতে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। তাদের বানীগুলো মোমের মত তারা তো মরে যায় কিন্তু আশার কিরণ আলোকিত থাকে। তাদের বানীগুলো উম্মতে ওয়াহিদার মাঝে ফলবান হতে থাকে যার এক অংশে ব্যথা হলে সমস্ত উম্মত ব্যথা অনুভব করে এবং জাগ্রত হয়ে চৌকান্না হয়ে যায়।

হ্যাঁ হ্যাঁ কা’বার রবের শপথ!!! ওবামা! আমরা এক উম্মত নিরেট সূচনালগ্ন থেকে অস্তিত্বে এসেছি। আমরা কখনই আমাদের ঐসব বাপদাদাদের মত হব না যাদের তোমরা ভেড়া বকরি বানিয়ে থাকতে দিতে চাইতে। যাদের এক এক করে জবাই করে দেওয়া হয়। যদি জবাইকারীর সাদা পোষাকে রক্তের কোন ছিটা পড়তো তবে ক্রোধে মাতাল হয়ে চেঁচিয়ে উঠতো যে, এটা একটা সন্ত্রাসী ভেড়া।

কাবার রবের শপথ!!! হে ওবামা! আমরা ঐ উম্মত যারা আপন জীবন হাতে নিয়ে ঘুরে। তোমাদের বলে দেয় যে, যদি আমরা নিরাপদ ও শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারি তবে তোমরাও নিরাপদ ও একতার সাথে জীবন যাপন করবে। যদি তোমরা আমাদের উপর আক্রমন করে আমাদের হত্যা কর তবে এর বদলায় আক্রমন ও ধ্বংসের আশায় থাক। তোমরা কী ধরনের জাতি যে ঘোষণা কর তোমাদের মৃতরা নিষ্পাপ আর আমাদের মৃতরা সন্ত্রাসী?! এটা কেমন মানসিকতা যে তোমাদের রক্ত, রক্ত। আর আমাদের রক্ত পানির মত মূল্যহীন?!  এটি একদম স্পষ্ট ও সাদাসিধে ও স্বাভাবিক বাস্তবতা, যখন তোমরা আমাদের নিরাপত্তার কাল হয়ে দাড়াবে আমরা তোমাদের নিরাপত্তাকে ধূলিসাৎ করে দিব। আর এর সূচনাকারী নিকৃষ্ট জালেম।

 

মাহনামাহ নাওয়ায়ে আফগান জিহাদ রমাজানুল মুবারক ১৪৩৯ হি / ২০১৮খ্রিষ্টাব্দ সংখ্যা থেকে অনুদিত

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =

Back to top button