অডিও ও ভিডিওআন-নাসর মিডিয়ানির্বাচিতবই ও রিসালাহবই ও রিসালাহ [আন নাসর]বার্তা ও বিবৃতিবাংলা প্রকাশনামিডিয়াশাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

এক উম্মাহ, একই যুদ্ধ – বিভিন্ন ময়দানে -শায়খ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

উম্মাহ’র প্রতি শায়খ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ’র সংক্ষিপ্ত বার্তা,
“এক উম্মাহ, একই যুদ্ধ – বিভিন্ন ময়দানে”

এক উম্মাহ, একই যুদ্ধ – বিভিন্ন ময়দানে -শায়খ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

https://archive.org/details/OneUmmahOneWar

ভিডিওঃ

https://bit.ly/2hfc6HE (মাত্র ১০মেগাবাইট)
পিডিএফঃ

https://bit.ly/2vcBjrg (৭০০ কিলোবাইট)

Video:

https://banglafiles.net/index.php/s/jc9c2xf6d6tqTQQ
https://www.file-upload.com/9wp3wvxsfifh

PDF

https://banglafiles.net/index.php/s/gHaa44xk4ZccAdX
https://www.file-upload.com/cc9x77je99mq

Word
https://banglafiles.net/index.php/s/mHTy6itZ3gFe9Co

Cover
https://banglafiles.net/index.php/s/yN5tpWp9akZG9Nf

====================================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]

=====================

এক উম্মাহ, একই যুদ্ধ – বিভিন্ন ময়দানে -শায়খ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

এক উম্মাহ, এক যুদ্ধ

বহুমুখী লড়াই

(বিজয়ী উম্মাহর প্রতি সংক্ষিপ্ত বার্তা-৭) 

শায়খ আইমান আয যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

আস সাহাব মিডিয়া

১৪৩৮ হিজরী

অনুবাদ প্রকাশনা

بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وآله وصحبه ومن والاه

আল্লাহর নামে শুরু করছি। সকল প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার, সালাম ও কল্যাণ বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীগণের উপর।

আমার প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা!

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!

আজকে আমাদের উম্মাহ্ পশ্চিম ও পূর্বের ক্রুসেডার, চাইনিজ, হিন্দু, সাফাভী-রাফেজি এবং সেকুলার জাতীয়তাবাদীদের যারা একে অপরের অপরাধের সহযোগী- বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধে লিপ্ত।

উত্তর আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল (আল-মাগরেব) থেকে শুরু করে পূর্ব তুর্কিস্তান পর্যন্ত আপনি মুসলিম বিশ্বকে আগ্রাসন, দখলদারিতা, দমন-পীড়ন, বোমা হামলা এবং আন্তর্জাতিক জোটসমূহ এর মুখোমুখি পাবেন ও তাদের সাথে যোগ দিয়েছে তাবেদার শাসকসমূহ, যারা ইসলাম থেকে বের হয়ে গিয়েছে। এবং তারা আন্তর্জাতিক অপরাধীদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে।

বিশিষ্টতার ক্ষেত্রে এক এলাকার সাথে আরেক এলাকার হয়তো সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু সেখানে অবশ্যই কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট / উপাদান রয়েছে। যেমন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের” নামে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী পক্ষের দ্বারা তৈরি করা চাতুরতাপূর্ণ “আন্তর্জাতিক নিয়মের” দাসত্ব, যাতে বিশ্বসম্পদ বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের সম্পদ নিজেদের মধ্যে চুরি ও ভাগাভাগির ধারা জারি রাখতে পারে। আপনি দেখবেন যে, অপরাধীদের এই জোটের প্রধান ভূমিকায় রয়েছে আমেরিকা এবং ধাপে ধাপে অন্যরাও রয়েছে তাদের শক্তি ও স্বার্থের ভিত্তিতে। তো কিভাবে আমরা এই অপরাধীর দলকে শরঈ ও বাস্তব সম্মতভাবে মোকাবেলা করতে পারি? শরীয়াহর ব্যাপার হচ্ছে যে তা স্পষ্টভাবেই এই সমস্যার সমাধান দিয়েছে। তিনিই সেই পরম সত্তা, সকল প্রশংসা এবং গৌরব তারই, যিনি বলেছেন –

إِنَّمَا ٱلْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ فَأَصْلِحُوا۟ بَيْنَ أَخَوَيْكُمْۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

নিশ্চয়ই মুমিনগণ হচ্ছে ভাই-ভাই।[1]

এবং তিনি বলেন-

وَٱعْتَصِمُوا۟ بِحَبْلِ ٱللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا۟ۚ

এবং আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে আকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।[2]

এবং তিনি আরো বলেছেন,

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَٰكُم مِّن ذَكَرٍ وَأُنثَىٰ وَجَعَلْنَٰكُمْ شُعُوبًا وَقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوٓا۟ۚ

হে মানবজাতি! আমি তোমাদের এক নারী ও পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের গোত্রে গোত্রে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হতে পার। নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর দৃষ্টিতে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছে সেই, যে আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে।[3]

এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

 المؤمنون تكافأ دماؤهم ، وهم يد على من سواهم ، ويسعى بذمتهم أذاهم

মুমিনদের রক্ত সমান, তাঁদের শত্রুদের বিরুদ্ধে তাঁরা হচ্ছে একটি হাতের ন্যায় এবং তাদের একজনের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি সকলের উপর প্রযোজ্য।[4]

তাই আলেমগণের ফয়সালা হচ্ছে, মূসলামানদেরর অধিকৃত ভূমি হচ্ছে একটি একক ভূমি।

আলেমগণের মধ্যে এ ব্যাপারে ইজমা রয়েছে যে, যদি কাফির শত্রুরা মুসলমানদের কোন ভূমি দখল করে নেয়, তখন উক্ত অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য এটা বাধ্যতামূলক হয়ে যায় যে তারা সেই ভূমির প্রতিরক্ষা করবে এবং যদি তারা তা করতে অসমর্থ হয়, তখন তা তাদের নিকটবর্তী মুসলমানদের উপর বর্তাবে এবং এভাবে সারা বিশ্বের মুসলমানদের উপর তা ফরজে আইন হয়ে যায় যতক্ষন না তারা সেই ভূমিকে পুনরুদ্ধার করে।

বাস্তবেও ঐতিহাসিকভাবে মুসলিমরা সব সময় কোন জাতীয়তা বা বর্ণবাদ ব্যতিত তাদের ভূমি রক্ষার জন্য দাড়িয়েছে এবং এটাই ছিল প্রচলিত নিয়ম যতক্ষন পর্যন্ত না উসমানী খিলাফাহর পতন হয়, যা বিগত ৫০০ বছর ধরে ইসলামের ভূমিগুলোকে প্রতিরক্ষা করে আসছিল।

উসমানীদের পতনের পর বিদ্রোহী দখলদারদের দ্বারা জাতীয়তাবাদী সীমারেখার (দেশ) চিন্তা-চেতনার ও শাসনের সূচনা হয় এবং মুসলমানদের মধ্যেও এই ধারনার কিছু সমর্থকের দেখা মিলে, তাই ইসলামী পুনর্জাগরণের আহ্বানকারীরা এই ধ্যান-ধারনার বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবেই লড়াই করে গেছেন।

সুতরাং মিশরীয় হাসান আলবান্না (আল্লাহ তার উপর রহম করুন) ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য ব্যাটালিয়ন প্রস্তুত করেছিলেন। সিরিয়ান ‘ইজ্জুদ্দিন আলকাসসাম ফিলিস্তিনে জিহাদের ডাক দিয়েছিল, ফিলিস্তিনি আব্দুল্লাহ আযযাম আফগানিস্তানের রক্ষায় এই উম্মাহকে জাগিয়ে তুলেছিলেন এবং দ্ব্যার্থহীনভাবে ঘোষনা করেছিলেন যে আল আন্দালুসের (ইসলামিক স্পেন) পতনের পর থেকেই জিহাদ ফরজ আইন হয়ে গিয়েছে।

অতঃপর ইমারতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানের সূচনা হয় এবং আমরা দেখেছি আফগান জনগণ (আল্লাহ তাদের প্রত্যেকের উপর রহমত বর্ষন করুন) ও মুহাজিরদের আনুগত্যের বাইয়াত, উসামা বিন লাদেন এবং আবু মুসআব আস সুরি (যারা দুজনেই আরব) এবং তুর্কিস্তানের আবু মুহাম্মাদ মোল্লা মুহাম্মাদ উমরের (আল্লাহ তার উপর রহম করুন) কাছে বাইয়াতবদ্ধ হয়েছিলেন।

তাই আল্লাহ যেন এই সব পথিকৃৎদের পুরস্কৃত করেন, যারা কাফির শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে মোকাবেলার জন্য এক “ঐকীভূত উম্মাহর চেতনা” জাগ্রত করেছিলেন।

কিন্তু আজ কেউ কেউ অবিশ্বাসী দখলদারদের তৈরি করা সেই বিভক্তি রেখার (জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে দেশ) পিছনে আমাদের ঠেলে দিতে চায়.. উদাহরণ স্বরূপ পাকিস্তান পাকিস্তানিদের জন্য, সিরিয়া সিরিয়ানদের জন্য, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনিদের জন্য… আমরা জানতে চাই তা কাদের স্বার্থে?

اللهم اجمع شملنا، وألف بين قلوبنا ، ووحد بين صفوفنا ، ولا تحرمنا نصرك بذنوينا

হে আল্লাহ! আমাদেরকে আমাদের শক্তিকে একীভূত করার জন্য সাহায্য করুন! আমাদের অন্তরগুলোকে আরো কাছাকাছি এনে দিন! আমাদের সারিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন! এবং আমাদের গুনাহের জন্য আমাদের বিজয় থেকে বঞ্চিত করবেন না!

وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين ، وصلى الله على سيدنا محمد وآله وصحبه وسلم. والسلام عليكم ورحمة الله وبركاته

সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর, তাঁর পরিবারবর্গ এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীদের উপর। আপনাদের উপর বর্ষিত হোক আল্লাহর শান্তি, দয়া ও করুনা।

___________

শায়খ আইমান আয-যাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ)র সকল বার্তা ও লেখা সম্পূর্ণ বাংলায়

https://justpaste.it/thedoctor

তানজিম আল-কায়েদাতুল জিহাদ কেন্দ্রীয় ও উপমহাদেশ শাখার গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনাসমূহ সম্পূর্ণ বাংলায়

https://justpaste.it/NasrAll

 

🟩🟩🟩🟩🟩🟩🟩🟩🟩🟩

[1] সুরা হুজরাত (৪৯): ১০

[2] সুরা আলে ইমরান (৩): ১০৩

[3] সুরা হুজরাত (৪৯): ১৩

[4] আবু দাউদ শরীফ, কিতাবুদ দিয়্যাত, হাদিস নং ৪৫৩০, আলবানি রহ. ছহিহ বলেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =

Back to top button