পেশোওয়ার আক্রমণ সম্পর্কে আল কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশের বিবৃতি || নিষ্পাপ শিশুদের প্রাণঘাতীতে আমাদের হৃদয় ব্যথিত – উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
পেশোওয়ার আক্রমণ সম্পর্কে আল কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশের বিবৃতি
নিষ্পাপ শিশুদের প্রাণঘাতীতে আমাদের হৃদয় ব্যথিত
– উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
পিডিএফ
https://banglafiles.net/index.php/s/2tcYJ7tWKZCRXW8
https://archive.org/download/PeshwarAttack/PeshwarAttaack.pdf
https://archive.org/download/peshwar-attaack/PeshwarAttaack.pdf
https://archive.org/download/peshware092453/peshware092453.pdf
https://www.file-upload.com/3ye9v6l7xeki
https://www.mediafire.com/file/9y4bos07l0vfmy7/PeshwarAttaack.pdf/file
http://www.mediafire.com/file/kkrbkmwakj30uxo/peshware092453.pdf/file
https://anonfiles.com/x7b7Bcq3pa/peshware092453_pdf
https://www.mediafire.com/file/9y4bos07l0vfmy7/PeshwarAttaack.pdf/file
http://www.mediafire.com/file/k2s3z5fo8i3y8o7/PeshwarAttaack.pdf/file
https://anonfiles.com/N1X7A0qcp8/PeshwarAttaack_pdf
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪৭৭ কেবি]
https://archive.org/download/allhwillpunishthembybelievershands/PeshwarAttaack.pdf
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
নিষ্পাপ শিশুদের প্রাণঘাতিতে আমাদের হৃদয় ব্যথায় ব্যথিত
[পেশওয়ারে আর্মি স্কুলের উপর আক্রমণের ব্যাপারে আল-কায়েদা উপমহাদেশর দৃষ্টিভঙ্গি]
ওসামা মাহমুদ
মুখপাত্র, আল-কায়েদা উপমহাদেশ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি নং ৮
তারিখ: ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৪
[লক্ষণীয় বিষয়: আমরা পেশওয়ারের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে পেয়েছি যে, আর্মি স্কুলে হামলায় ১৩০ জনেরও বেশি ছাত্র নিহত হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী স্কুল এবং স্কুলের ছাত্ররাই প্রধান টার্গেট ছিল, অর্থাৎ তাদের টার্গেট আর্মি ক্যাম্প অথবা অন্য কোনো স্থান নয় যেখানে নারী, শিশু অথবা সাধারণ মানুষ অবস্থান করে না। অনুরূপভাবে এই স্কুলটিতে ছাত্ররা থাকতো যারা সামরিক প্রশিক্ষণ নিতো না বরং পড়াশোনা করতো। যেহেতু আমাদের নিকট এই সংবাদ যাচাই করার সরাসরি কোনো মাধ্যম না থাকায় মিডিয়ার সংবাদের উপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করছি।
লক্ষণীয় এই যে, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তি হলো এই সংবাদের দুটি অংশ। প্রথমতঃ মূল লক্ষ্যবস্তু ছাত্রদের বানানো হয়েছে এবং দ্বিতীয়তঃ নিহতদের অধিকাংশ ছাত্র ছিল।]
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ۔والصلوٰۃ والسلام علی امام المجاہدین
محمد و الہ و صحبہ اجمعین، امابعد [انا لله وانا الیہ راجعون[
পেশাওয়ারে আমি স্কুলে হামলায় ১৩০ জনেরও বেশি ছাত্র নিহত হয়েছে এই ঘটনায় আমরা ব্যথায় ব্যথিত। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, পাকিস্তানী সেনাবাহিনীদের অত্যাচার ও নিপীড়নের তালিকার সীমানা অতিক্রম করেছে। সত্য কথা এই যে, আমেরিকার দাসত্বে এবং নির্বিচারে মুসলমানদের হত্যায় এই সেনাবাহিনী সবচাইতে অগ্রগামী। এটাও সত্য যে, শরিয়তের আহ্বানকে নিস্তদ্ধ করা এবং কুফরী শাসনব্যবস্থা কায়েমের জন্য আজ আমেরিকাও এই সেনাবহিনীর মুখাপেক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর এই সমস্ত পাপ এবং সীমাহীন অত্যাচারের অর্থ কখনো এটা নয় যে, আমরা এর প্রতিশোধ নির্যাতিত জনগণের থেকে নিবো আমরা যে অস্ত্র আল্লাহর শত্রু আমেরিকা, তার অনুগত শাসকবর্গ এবং তার দাস সেনাবাহিনীদের বিরুদ্ধে ধারণ করেছি, আমরা উত্তেজিত হয়ে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তার দিক নারী, শিশু অথবা মুসলিম জনগণের দিকে করবো; অথচ তাদের সাহায্য করা, নাপাক সেনাবাহিনী এবং স্বৈরাচারী সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়ণ হতে রক্ষা করা আমাদের প্রকৃত দায়িত্ব। আমাদের প্রিয় মুসলিম উম্মতের দ্বীন ও দুনিয়ার হেফাযত আমাদের জন্য আবশ্যক এবং তাদেরকে শরিয়তের শীতল ছায়া প্রদান করা আমাদের মূল লক্ষ্য।
আমরা স্বীয় জাতির সাথে তাদের দুঃখ-দুর্দশায় নিজেরাও অনুতপ্ত ও দুঃখিত। আল-কায়দার সাথে জড়িত সকল মুজাহিদ তাদের ছাত্রদেরকে নিজেদের ছেলে মনে করে দুঃখ প্রকাশ করছে এবং সাথে সাথে কতিপয় কথা বলার জন্য প্রয়োজনীয়তা মনে করছে।
পাকিস্তান (তথা ভারত উপমহাদেশের মুসলিম ভাই ও বোনেরা!
১. আপনাদের কষ্ট আমাদের কষ্ট, আপনাদের রক্ত আমাদেরই রক্ত। আপনাদের প্রতিরক্ষা আমাদের দায়িত্ব। আপনাদের উপর জুলুম বাড়ার জন্য আমরা ঘর হতে বের হইনি বরং এই জন্য আমরা ঘর হতে বের হয়েছি যে, আল্লাহর কসম! জালেমদের হাত রুখে দাঁড়াবো এবং নির্যাতিত মানুষের চোঁখের পানি মুছে ফেলাই আল-কায়দার মুজাহিদীনদের জিহাদের উদ্দেশ্য।
২. আল-কায়দার সাথে জড়িত মুজাহিদীদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট ও প্রসিদ্ধ। পাকিস্তানে (তথা উপমহাদেশে) আমাদের জিহাদের উদ্দেশা ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা করা, এখানে আনসার (জিহাদের সাহায্যকারী) এবং পাকিস্তানে (তথা উপমহাদেশের অন্যান্য মুসলিমদেশে) শরিয়ত প্রতিষ্ঠা করা। এই জন্য আল-কায়দার সাথে জড়িত মুজাহিদরা আমেরিকার ক্যাম্পগুলো, আমেরিকার তত্ত্বাবধায়কে প্রতিষ্ঠিত কুফরী শাসনব্যবস্থার পরিচালক শাসকবর্গ এবং এই স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা আত্মরক্ষার যুদ্ধে লিপ্ত নাপাক সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তাবাহিনীর প্রতিষ্ঠানগুলোই হচ্ছে মূল লক্ষ্যবস্তু।
৩. আমরা (আল-কায়দার মুজাহিদ) স্বীয় অভিযানসমূহ আলেমদের ফতোয়ার ভিত্তিতেই করে থাকি। এবং আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে, আল্লাহর পথে জিহাদ বিশেষকরে মুসলিম বিশ্বে শাসক ও সেনাবাহিনীদের বিরুদ্ধে জিহাদের ক্ষেত্রে সামরিক অভিযান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ যা আলেমদের নির্দেশে হওয়া প্রয়োজন।
৪. আমরা (আল-কায়দার মুজাহিদীনগণ) পাকিস্তানে জিহাদের শুরু থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী ও নারীদেরকে টার্গেট করা এবং জনসমাগম স্থানে বোমা হামলার সর্বদা নিন্দা করে আসছি এবং এই কর্মকান্ডকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করি। এ সম্পর্কে শায়খ আতিয়তুল্লাহ (রহঃ), শায়খ আবু ইয়াহিয়া আল-লিবি (রহঃ), শায়খ মোস্তফা আবু ইয়াদি (রহঃ), সম্মানিত আমির মাওলানা আসিম ওমর (আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন) এবং সম্মানিত ওস্তাদ আহমাদ ফারুক (আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন) সহ জামায়াতের অন্যান্য শাইখগণ এবং দায়িত্বশীলদের বক্তব্য ও তাদের গ্রন্থসমূহ অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। এই সমস্ত জিহাদী দায়িত্বশীলণ ও ওলামায়ে কেরাম মুসলিম জনগণের মাঝে বোমা হামলা করতে নিষেধ করেন। বরং যেখানে মুসলমান জনসাধারনের ক্ষতির আশঙ্কা অবধারিত এমন স্থানে নাপাক সেনাবহিনীকেও টার্গেট করা জায়েজ মনে করেন না।
৫. দ্বীন ইসলাম সর্বাবস্থায় শরিয়তের আহকাম সম্পূর্ণভাবে পালন করার শিক্ষা দেয়। তা চাহে কোনো মুসলমানের প্রতি অমানুষিক অত্যাচারের পাহাড় ভেঙ্গে ফেলা হোক না কেন, কোনো অবস্থাতেই অনিয়ন্ত্ৰিতি হয়ে শরিয়তের আহকাম হতে সরে পড়া যাবে না। সত্যবাদী (তাওহীদ পন্থি) ইমাম সর্বশেষ নবী (ﷺ) এর বাণী তাতে তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি ঐ সময় পর্যন্ত মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষন পর্যন্ত সে তার অভিলাষকে এই শরিয়তের) বাধ্য না করবে যা আমি নিয়ে এসেছি। অতএব যারা নিরপরাধ মুসলিম জনগণ, মহিলা ও বালক বালিকাদেরকে হত্যা করে, তারা তাদের এই কাজকে যে নামেই অভিহিত করুক, আমরা তাদের এই কাজকে শরিয়ত বিরোধী মনে করি এবং আল্লাহর নিকট এবং স্বীয় জাতির নিকট তাদের কাজ হতে সম্পূর্ণভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করার ঘোষণা করছি।
৬. যে ব্যক্তিই এই নরহত্যার জন্য দায়ী তার নিকট আমরা আবেদন করছি যে, যদি আপনি আল্লাহর দ্বীনের মর্যাদা সমুন্নত করতে চান এবং কুফফার থেকে প্রতিশোধ নিতে চান তাহলে প্রকৃত অপরাধীদের নিকট হতে তা অবশ্যই নিন, এ সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করুন, আপনার গুলীর দিক কাফের ও দ্বীন ত্যাগীদের দিকে হওয়া প্রয়োজন ছিল তা নিরপরাধ বালকদের দিকে হয়েছে যারা যুদ্ধে লিপ্ত হয়নি। সর্বাবস্থায় শরিয়তের আলোকে পথ চলুন এবং ওলামায়ে কেরাম ও জিহাদে লিপ্ত বীরপুরুষদের দিকনির্দেশনায় নিজেদের কাজ সংগঠিত করুন।
৭. আমেরিকা, নিমর্ম কুফরী শাসনব্যবস্থা এবং তাদের নিরাপত্তাবিধানকারী আমেরিকার দোসরদের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরজ (অবশ্যকরণীয়) নামায রোজার ন্যায় এই জিহাদ ওলামায়ে কেরামদের অভিমতে আজ জিহাদ ফরজে আইন হয়ে পড়েছে। আল্লাহর শরিয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য উঠে দাঁড়ানো এবং আমেরিকার দাসসেনাবাহিনী ও দ্বীনের শত্রু শাসকদের বিরুদ্ধে এই জিহাদ আল্লাহর পথে কিতালেরই ডাক!
৮. জিহাদের এই পবিত্র ফরজের প্রতি যতই কাদা নিক্ষেপ করা হোক না কেন এতে এর ফারজিয়ত (অবশ্যকরণীয়তা) অকেজো হবে না! এর পবিত্র কাফেলা সর্বদা চলতে থাকবে, সময় জোয়ার ভাটা এবং নিন্দাকারীদের নিন্দাসমূহ এই পথের প্রতিবন্ধক হতে পারবে না, ইনশা’আল্লাহ।
৯. আমরা আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার জন্য শরিয়ত অনুযায়ী জিহাদ করার সর্বাবস্থাতেই মুখাপেক্ষী এবং আজ শরিয়ত সম্মতঃ মুলনীতি অনুযায়ী জিহাদের পতাকা সুউচ্চ রাখা পূর্ব থেকে বেশি প্রয়োজন মনে করি। আল-হামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য নিবেদিত)! পাকিস্তানে এমন ধরনের মুজাহিদদের সংখা কম নয় যারা নিজেদের জিহাদী অভিযানসমূহ পরিচালনায় অপরাধী ও নিরপরাধীর মাঝে পার্থক্য করতে সক্ষম। এই মুজাহিদীনরা নির্যাতিত জনগণের প্রতিরক্ষা এবং শরিয়ত প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে নিজেদের সত্তা বিলিয়ে দিচ্ছে এবং এই মুজাহিদীনরা শরিয়তের মূলনীতি অনুযায়ী এ জিহাদি অবলম্বন করাকে নিজেদের প্রাথমিক ফরজ (অবশ্যকরণীয়) মনে করে।
১০. পাকিস্তান তথা ভারত উপমহাদেশে বসবাসকারী আমাদের প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা! আমেরিকা, ভারত দ্বীনের শত্রু নিপীড়ক দেশের সেনাবাহিনী এবং শাসকগোষ্ঠী আপনাদের সদয় নয়। শরিয়ত অনুযায়ী আল্লাহর কিতাবের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদে লিপ্ত মুজাহিদগণই আপনাদের প্রকৃত সদয় যারা আপনাদের দ্বীন ও দুনিয়ার হিফাযতের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করছে। ইনশা-আল্লাহ! নির্যাতন ও নিপীড়নের এই রাত্রী অতিসত্বর শেষ হয়ে আসছে এবং জিহাদী কাফেলার বরকতে সেই আল্লাহ আমাদেরকে দেখাবেন যে দিন পাকিস্তান (তথা ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের জান-মাল ও মান-সম্মান নিরাপদ হবে এবং ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী জীবন যাপন করার স্বপ্ন সম্পূর্ণ হবে।
আমরা বিশ্বের সমস্ত কাফেরদেকে বলছি যে, সারা বিশ্বে বোমাবর্ষণ, ড্রোন হামলা এবং ভূপাতিক আক্রমণে লাখ লাখ বালক বালিকা, মহিলা, বৃদ্ধ সহনিরপরাধ মানুষের রক্ত নির্যাতন ও নিপীড়নে বিশ্ববিজয়ী আমেরিকার মাথায় ন্যস্ত। এই আমেরিকারই পৃষ্ঠপোষকতায় সিরিয়া, ফিলিস্তীন ও গাজা, ইয়েমেন ও সোমালিয়া এবং আফগানিস্তান ও উজিরিস্তানে অব্যাহত বোমা হামলায় বালক বালিকাদেরকে নিশানা নিয়ে নিয়ে মৃত্যু মুখে পতিত করা হচ্ছে।
কিন্তু আজ এই আমেরিকার প্রধান ওবামা সুযোগ পেয়ে মায়াকান্নায় অশ্রু প্রবাহিত করছে। আহমাদাবাদ ও গুজরাটে হাজার হাজার শিশু-কিশোরদেরকে অগ্নিদগ্ধে জীবিত অবস্থায় মৃত্যু মুখে পতিতকারী নরেন্দ্রমুদীও আজ রাম রামের নাম পুনরাবৃত্তি করছে। ইসলামাবাদের লাল মসজিদে নয়শতের অধিক নিরপরাধ মাদ্রাসার ছাত্রীদেরকে রক্তাক্তকারী পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও তার প্রধান রাহিল শরিফ এবং আমেরিকার চাকর নেওয়াজ শরিফও আজ অত্যন্ত ছলে ও কৌশলে বালকদের দরদি হয়ে বসেছে।
আমরা আমেরিকার চাকর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আত্মসাৎকারী সরকারকে সম্বোধন করা প্রয়োজন মনে করছি। পাকিস্তানের মুসলমানরা তোমাদের অত্যাচার ও নিপীড়ন দেখে নিয়েছে। এই জাতি কাবাইল থেকে নিয়ে বেলুচিস্তান এবং পেশোয়ার থেকে নিয়ে করাচী পর্যন্ত তোমাদের রক্তাক্ত হাতকে ক্ষমা করতে পারবে না। তোমাদের দ্বীনের শত্রুতা এবং কুফফারদের দাসত্ব পরিস্ফুটিত হয়ে উঠেছে। পেশোয়ারের ঘটনায় সকলেরই অন্তর কষ্টবোধ করেছে কিন্তু এর অর্থ কখনো এ নয় যে, তোমাদের অভিভাবক আমেরিকা অত্যাচারী নয়, তোমাদের চেপে দেয়া নিপীড়ক শাসনব্যবস্থা কুফুরী শাসনব্যবস্থা নয় এবং তোমরা শান্তি-শৃঙ্খলার ধ্বজাধারী হয়ে বসেছ তোমরা এই জাতিকে নির্যাতন ও নিপীড়ন, ধর্মদ্রোহিতা, আল্লাহর অসন্তুষ্টি এবং আমেরিকার দাসত্ব ছাড়া কি উপঢৌকন দিয়েছ?
কোন মুখে (তোমরা) এই বক্তব্য পেশ করছ! বিশ্ব তোমাদের প্রত্যেকের মুখ থেকে লাখ লাখ ছেলে মেয়েদের রক্ত প্রবাহিত হতে দেখছে….. উত্তর উজিরিস্তানের বর্তমান অপারেশনে তোমরা টার্গেট করে পাকিস্তানী জেট জাহাজ এবং আমেরিকান ড্রোন জাহাজের মাধ্যমে মুজাহিদ ও তাদের স্থানীয় আনসারদের শত শত মহিলা ও ছেলে-মেয়েদেরকে শহীদ করেছ। তোমরাই এই যুদ্ধের অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করেছ। তোমরাই পাকিস্তানের কাবাইল, আফগানিস্তান এবং সারা মুসলিম বিশ্বকে রক্তে রক্তাক্ত করেছ! তোমরা ও তোমাদের অভিভাবক আমেরিকাই মুজাহিদীনদের প্রকৃত লক্ষ্যবস্তু। তোমাদের লড়াই সেই সকল ঈমানদারদের সাথে যাদের অন্তরকে শরিয়তের পবিত্র মূলনীতির সহায়তায় লোহা বানিয়েছে, তাদের সাহসিকতাকে আরো বৃদ্ধি করেছে, তাদের অন্তরে একজন পুরুষের অন্তর স্পন্দমান হচ্ছে, তারা এই হতাশাগ্রস্ত অবস্থাতেও নিজেদের প্রাণপ্রিয় শিশুকিশোরদের ক্ষতবিক্ষত দেহ বহন করেও নিজেদের লক্ষ্যবস্তুকে ভুলেনি। তারা তোমাদেরকে শিকার করার জন্য ওতপেতে প্রতীক্ষা করছে। তারা সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে এবং অতিসত্তর আল্লাহর নির্দেশে তোমাদেরকে টার্গেট করবে, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাদেরকে সফলতা দান করুক এবং সমস্ত উম্মতকে অত্যাচারীদের অত্যাচার হতে মুক্তি দান করুন, আমীন!
আমরা পাকিস্তান (তথা ভারত উপমহাদেশের প্রিয় মুসলিম ভাইদের নিকটও এই আবেদন করছি যে, পাকিস্তানের উপজাতীয় অঞ্চল ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ইসলাম ও মুসলমানদের আত্মরক্ষায় যুদ্ধে লিপ্ত মুহাজির ও আনসারদের মহিলা ও শিশুরা এই মুহুর্তে ক্ষতবিক্ষত, পেশাওয়ারের নিহত ছাত্রদের ন্যায় উজিরিস্তানেও নিরপরাধ শিশুকিশোর দৈনন্দিন আমেরিকান ও পাকিস্তানী বোমা হামলার লক্ষ্যস্থলে রয়েছে। এরাও মুসলিম, এরাও নিরপরাধ এবং এরাও আপনাদের সন্তানের মতো। শত শত টন ওজনের বোমায় তাদেরও অঙ্গ-পতঙ্গ আকাশ বাতাসে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়াচ্ছে। তাদের দৃষ্টিও আপনাদের মাঝে কোনো সদয়বান ব্যক্তির, সান্তনাদানকারী ব্যক্তির এবং কোনো সাহায্য সহায়তার খোঁজে চাতক পাখির ন্যায় তাকিয়ে রয়েছ। পেশাওয়ারের নিরপরাধ ছাত্রদের সাথে সাথে উজিরিস্তানের উপজাতীয় অঞ্চলে শাহাদাত বরনকারী ঐ সমস্ত ছেলে-মেয়েদেরকেও নিজেদের দোয়ায় স্বরণ রাখবেন এবং তাদের প্রতি নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানোদের জন্য দায়ীদের বদদোয়া করবেন। আমেরিকা ও তার মৈত্রীদের বিরুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী মুজাহিদদের মজবুত সহায়ক হোন। আল্লাহ আপনাদের সাহায্য করুন, অত্যাচারে এই রাত্রির অতিসত্তর সমাপ্ত করুক, এই ভূ-খন্ডের অধিবাসীদেরকে শরিয়তের সুশীতল ছায়া দান করুন, আমীন।
وَاللَّهُ غَالِبٌ عَلَىٰ أَمْرِهِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ •
واخردعوانا ان الحمد لله رب العالمین- صلی الله على النبي الكريم –
۲۵ صفر۶۳۴۱ هـ