ইরাক ও সিরিয়াতে আমেরিকার আগ্রাসন || হে মুসলমানরা আল হারামের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হন – উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
ইরাক ও সিরিয়াতে আমেরিকার আগ্রাসন
হে মুসলমানরা আল হারামের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হন
– উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহু
ডাউনলোড করুন
https://www.pdf-archive.com/2015/02/21/press-release-5-15thoct-2014/
https://www.pdf-archive.com/2015/02/21/press-release-5-15thoct-2014/press-release-5-15thoct-2014.pdf
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [১৩২ কেবি]
https://banglafiles.net/index.php/s/REdMnZa2YtZYQeQ
https://archive.org/download/press-release-5-15thoct-2014_20201214/press-release-5-15thoct-2014.pdf
https://www.file-upload.com/wdjgmkd3qd23
https://www.mediafire.com/file/6vl31tvhyuag77c/press-release-5-15thoct-2014.pdf/file
https://www.mediafire.com/file/h86uo9ldvto0smr/press-release-5-15thoct-2014.pdf/file
https://anonfiles.com/H2c1K3y1p4/press-release-5-15thoct-2014_pdf
ﺑﺴــــــــــﻢﷲﺍﻟﺮﺣﻤﻦﺍلرﺣﻴﻢ
ইরাক ও সিরিয়াতে আমেরিকার আগ্রাসন…
হে মুসলমানেরা! আল-হারাম এর তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে ঐক্যবদ্ধ হোন
ওসামা মাহমুদ
আল-কায়েদা উপমহাদেশ এর মুখপাত্র
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি নং # ৫
তারিখ: ১৫ অক্টোবার, ২০১৪
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের উপর।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরাক ও সিরিয়াতে আমেরিকার আগ্রাসি অভিযান আবারও প্রমাণ করলো যে, আমেরিকা হচ্ছে কুফরের সর্দার যারা এমন শোষণ ব্যবস্থার হোতা যা সর্বদা জালেমদের রক্ষা করে, সেইসাথে তারা নিজেরাও প্রতিনিয়ত জুলুম করে। নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করে হাজার হাজার মুসলমানদেরকে শহীদ করা হয়েছে অথচ আমেরিকা টু শব্দও করেনি, বরং ইসরাইলের জুলুমকে সামরিক ও আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে। সিরিয়ার মুসলিমদের উপর ব্যারেল বোমা থেকে শুরু করে রাসায়নিক অস্ত্র পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে অথচ আমেরিকা তা ভ্রুক্ষেপ করেনি, বরং সিরিয়ার মুজাহিদীনদেরকে জঙ্গি হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। ইরাক ও সিরিয়াতে আক্রমণ করার জন্য জালেম আমেরিকা আন্তর্জাতিক ঐক্যজোট গঠন করেছে এমন এক সময়ে যখন উম্মতের জিহাদী জাগরণের ফলে ইসরাইল ও তার অপরাধের সঙ্গীরা ভীত-শঙ্কিত হচ্ছে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে ইয়ামেন ও সোমালিয়া, ফিলিস্তিনির সীমান্ত পর্যন্ত জুলুম করা ও জালেমের রক্ষাকারী হিসাবে আমেরিকা মুসলমানদের রক্ত ঝরাচ্ছে। এটা ধ্রুব সত্য যে, মুসলিম উম্মতের মুক্তি মিলবে না যতক্ষণ পর্যন্ত কুফরের শোষণ ব্যবস্থার পতন না ঘটাবে নতুবা ঐক্যভাবে দ্বীন বাস্তবায়নের মাধ্যমে কুফরের হোতা, আমেরিকার বিষ দাঁত ভেঙ্গে না দিবে।
ইরাক ও সিরিয়াতে আক্রমণ শুধুমাত্র কোনো দল বা গোষ্ঠির বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয় বরং এই অভিযান সমগ্র উম্মতের বিরুদ্ধে যার লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেক ইসলামিক ও জিহাদী জাগরণকে ধ্বংস করা যারা শোষণের বিরুদ্ধে লড়ে এবং ইসলামিক শরিয়ত কায়েমে বিশ্বাস রাখে। এছাড়া এই আভিযানের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ইসরাইলকে রক্ষা করা, দুনিয়ার বুকে জালেমদের সাহায্য করা এবং মুসলামনদের দমন করা।
আবারও আমরা সারা বিশ্বের মুসলমানদের আহ্বান জানাচ্ছি আমেরিকার ঐক্যজোটের বিরুদ্ধে মুজাহিদীনদের সাহায্য করার জন্য এবং স্বাধীনতা, দ্বীনের হেফাজত, পবিত্র ভূমির রক্ষা ও ইসলামিক শরিয়তকে সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করার জন্য বর্তমানের এই ফরদুল আইন (প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব) জিহাদে অংশ গ্রহণ করার জন্য।
ইরাক ও সিরিয়াতে অবস্থিত আমাদের মুজাহিদীন ভাইদের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে, ভ্রাতৃত্যের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, জিহাদী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য বাড়ানো, আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করা, এবং সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো এক কাতারে সামিল হয়ে কাফের ঐক্যজোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মাধ্যমেই আমেরিকার আগ্রাসনের কালো হাত দমন করা সম্ভব। أَشِدَّآءُ عَلَى ٱلْكُفَّارِ رُحَمَآءُ بَيْنَهُمْۖ “তারা কাফেরদের বিরুদ্ধে কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরে সহানুভূতিশীল” (৪৮:২৯)। ঐক্যতা, ভ্রাতৃত্ব এবং সহযোগীতা হচ্ছে শরিয়তের দাবি, বিজয় ও সাফল্যের পথ এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠার চাবিকাঠি। এমন খেলাফত যা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এর সুন্নতের উপর প্রতিষ্ঠিত, এমন খেলাফত যা মুসলমানদের জান ও মালের নিরাপত্তা বিধান করে এবং এমন খেলাফত যা মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের প্রতিক হিসাবে কাজ করে। এজন্য আপনাদের বন্দুকের নল কাফেরদের দিকে হওয়া উচিত। মুসলমানদের রক্ত কাবা শরিফের চেয়ে বেশি পবিত্র, কাজেই এ ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করুন। অপব্যাখ্যা অথবা স্বার্থের টানে নিজেদের হাত মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত করার মহাপাপ থেকে বিরত থাকুন, জিহাদের ওলামাদের ছায়াতলে কাজ করুন; আর এটাই হচ্ছে উম্মতের দূরবস্থা থেকে মুক্তির উপায়, আল্লাহর দ্বীনের শ্রেষ্ঠতা, জালেমের দমন এবং সর্বোপরি আপনার আখেরাতের সাফল্য।
হে মুসলমানেরা! আল-হারামের তত্ত্বাবধানে এক হোন নীল নদের তীর থেকে কাশগারের ভূমি পর্যন্ত।
সারা দুনিয়ার মুজাহিদীনদেরকে আমরা এই কথা স্বরণ করিয়ে দিতে চাই, দুনিয়ার বুকে বসবাসরত মুসলিম উম্মতের বিরুদ্ধে আমাদের শত্রুরা বিশ্বব্যাপী জড়ো হয়েছে। তাদের স্বার্থ সারা দুনিয়া ব্যাপী ছড়িয়ে আছে। এজন্য সিরিয়া ও ইরাক, ফিলিস্তিন ও আফগানিস্তান, ইয়ামেন ও সোমালিয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণ সতর্ক দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন, সেইসাথে সারা দুনিয়ার দুশমনদের স্বার্থকে টার্গেট করে বিশ্বব্যাপী জিহাদী জাগরণের মাধ্যমে জুলুম ও শোষণের চিহ্নকে নিশ্চিহ্ন করা দরকার।
পরিশেষে আমরা আপনাদেরকে আফগানিস্তান ও খোরাসানে তের বছর যুদ্ধের পর আমেরিকা ও তার দোসরদের লাঞ্ছিত পরাজয়ের সুসংবাদ জানাচ্ছি; যা আমিরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মদ ওমর মুজাহিদ (আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন) এর নির্দেশে পরিচালিত জিহাদের বরকতময় ফসল। আল্লাহর ইচ্ছায় আমেরিকা ও তার দোসরদের এই পরাজয় সারা দুনিয়ার মুসলমানদের জন্য জয় ও সাফল্যের প্রতীক হিসাবে থাকবে। সর্বশেষে আমাদের প্রার্থনা এই যে, সকল প্রশংসা বিশ্ব জগতের রব, আল্লাহর জন্য।
___________________________________________________
www.twitter.com/UsamaMahmood35
|Email: usamamahmood148@gmail.com
link expired vai