আফগানিস্তানে দুই দিনে শত্রুদের আহত-নিহত শতাধিক, কাপুরুষদের হামলায় রেহাই পায়নি মহিলা-শিশুরাও
আফগানিস্তানে গত দুইদিনে মুজাহিদগণের হামলায় শত্রুদের আহত-নিহত হয়েছে শতাধিক, কাপুরুষ শত্রুদের হামলায় ৪ শিশু আহত এবং ২জন মহিলা শহিদ হয়েছে।
আফগানিস্তানের হেরাতে গতকাল ঘোরিয়ান পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নিকটে মুজাহিদগণের এক অপারেশনে ২ শত্রু সদস্য নিহত হয়। একইভাবে, গত শুক্রবার সকালে শিন্দান্দ জেলার ওয়াজির আবাদ এলাকায় মুজাহিদগণের হামলায় ২ পুতুলসেনা নিহত এবং একজন আহত হয়েছে।
অন্যদিকে ফারাহ প্রদেশের আনদার দারা জেলার রুতাক পোল এলাকায় গতকাল সকাল ৮টার দিকে মুজাহিদগণের হামলায় ২ বন্দুকধারী পুতুলসেনা নিহত হয়েছে এবং মুজাহিদগণ তাদের যোগাযোগ রেডিও জব্দ করেছেন।
হেলমান্দে গেরিশক জেলার নাহর সিরাজ অঞ্চলে মুজাহিদগণ গত পরশু রাতে হামলা করে কমপক্ষে ৩ পুতুলসেনাকে জাহান্নামে পাঠিয়েছেন এবং আরো ২ জনকে আহত করেছেন। গতকাল ভোরে যাখচাল এলাকায় কান্দাহার মহাসড়কে মুজাহিদগণের বোমা হামলায় ২ জন পুতুলসেনা নিহত হয়েছে। আরেকটি রিপোর্ট জানিয়েছে, গত শুক্রবারে কথিত ঐ জেলার বালা খানি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের অধিক বন্দুকধারী নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছে। গত পরশু রাতে মুজাহিদগণের স্নাইপার বন্দুকের হামলায় সানজিন এবং গেরিশক জেলার মধ্যবর্তী স্থান হায়দার আবাদ এলাকায় শত্রুদের কমপক্ষে ২ পুলিশ নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছে।
কান্দাহারের মাইওয়ান্দ জেলার জগরাম এলাকায় গত পরশু মধ্যাহ্নে মুজাহিদগণের আই ই ডি হামলায় একটি ভাড়াটে ট্যাংক চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে কতিপয় বন্দুকধারী নিহত এবং আরো কিছু আহত হয়েছে।
এদিকে জাবুলের কালাতের নরাক কিল্লি এলাকায় শত্রুবাহিনী গত পরশু মধ্যাহ্নে মর্টার শেল দিয়ে একজন গ্রামবাসী খালিদ আকার উঠোনে গোলা ছুড়েছে । এতে ৪ শিশু আহত এবং ২ জন নারী শাহাদাত বরণ করেছেন।চলমান “অপারেশন মানসুরি” তে, গতকাল সকালে হেলমান্দের নাওয়া জেলার ঘালিয়ানু এলাকায় একটি ভাড়াটে সামরিক কেন্দ্রে ইসলামী ইমারতের শহিদী স্কোয়াডের একজন বীর মুজাহিদ মুল্লা মুস্তফা শহিদী হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রুদের এক বিরাট সংখ্যক সদস্য নিহত-আহত হওয়ার পাশাপাশি ৪টি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে। ঐ ঘাঁটিতে তখন ৫০ জনের অধিক পুতুলসেনা ছিল যাদের থেকে মাত্র ৪জনকে আহত হিসেবে স্থানান্তর করা হয়েছে, অতএব বাকিরা নিহত হয়েছে। যাইহোক , শত্রুরা ঘটনাটিকে সামান্য ঘটনা বলে দাবি করেছে এবং আরো মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করছে। একইভাবে গত শুক্রবারে রাজধানী লশকরগাহের বাশারান এলাকায় শাহাদাত অন্বেষণকারী একজন মুজাহিদ একটি পুলিশ ব্যাটালিয়নে হামলা চালিয়েছিলেন। এতে শত্রুশিবিরে হতাহতের পাশাপাশি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়।