আফগানিস্তানের দুই দিনে আহত-নিহত শতাধিক,৪০টি গ্রামের বাসিন্দাদের মুজাহিদগণের সাথে যোগদান।
গতকাল আফগানিস্তানের মাইওয়ান্দের দুটি এলাকায় আই ই ডি(IED) বিস্ফোরণে দুটি এপিসি ধ্বংস হয়ে কয়েকজন নিহত এবং আহত হয়েছে। শত্রুরা প্রতিশোধ হিসেবে একটি বেসামরিক যানবাহন ধ্বংস করেছে।
অন্যদিকে, গত পরশু(বৃহস্পতিবার) দুপুর বেলায়, হেলমান্দের লশকরগাহতে এপিসি ধ্বংস হয়ে ৫ পুতুলসেনা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।একই দিনের শেষ রাতে হেলমান্দের গেরিশক জেলায় মুজাহিদগণের স্নাইপার আক্রমণের কবলে পড়ে শত্রুদের একটি প্রহরীদলের এক ভাড়াটে আরোহী নিহত হওয়া ছাড়াও আরো ৩ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।ঐদিন গেরিশক অপারেশনে নিহত এবং আহতের সংখ্যা ৬ ।পরের দিন অর্থাৎ গতকাল সকাল ৯টার দিকে, রাজধানী লশকরগাহের পিডি৩- এ একটি ভাড়াটে ব্যাটালিয়নের উপর একটি বিস্ফোরক বোঝাই যানের সাহায্য নিয়ে ইসলামিক ইমারতের একজন শাহাদাত অন্বেষণকারী মুজাহিদ, ইসলামী ইমারতের শহিদী স্কোয়াডের একজন বীর সদস্য ক্বারী মুহাম্মদ ইসমাইল হেলমান্দী শহিদী হামলা সম্পন্ন করেছেন।এতে কথিত ব্যাটালিয়নের অধিকাংশ ধ্বংস হয়েছে, ১০টি এপিসি ও ১০টি যানবাহন ধ্বংস হয়েছে, একজন প্রধান কমান্ডারসহ ৩২ পুতুলসেনা নিহত হয়েছে এবং ৪৮ জনের অধিক আহত হয়েছে।গতকালই দুপুরবেলায় একই প্রদেশের সানজিন জেলায় একটি পুলিশ এপিসি চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ভেতরে থাকা সকল বন্দুকধারী নিহত বা আহত হয়েছে।একই জেলায় গত পরশু একটি চেকপোস্টের টাওয়ারে এক ভাড়াটে আরোহী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। একই দিনে বিকালবেলায় নাওয়া জেলায় একটি রোডসাইড বোমা বিস্ফোরিত হয়ে শত্রুদের একটি এপিসিকে বিচ্ছিন্ন করেছে যার ফলাফলস্বরূপ সকল বন্দুকধারী নিহত এবং আহত হয়েছে।
এদিকে গতকাল আফগানিস্তানের বাদঘিসের কাদিসে ৪০ টি গ্রামের বাসিন্দারা মুজাহিদগণের সাথে যোগ দিয়েছেন।কর্তৃপক্ষের বরাতে, গত এক সপ্তাহ ধরে ইসলামী ইমারতের নির্দেশনা এবং দা’য়ী কমিশন ঐ গ্রামগুলোতে তাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।পরে, ৪০০০ পরিবার নিয়ে গঠিত কথিত এলাকার স্থানীয়রা গতকাল ভোরে তাদের এলাকায় ইসলামী ইমারতের ঝাণ্ডা উড়িয়েছেন। মুজাহিদগণ তাদেরকে উষ্ণ সংবর্ধনা জানিয়েছেন এবং তাদের এরূপ কাজকে দেশ এবং ধর্মের জন্য উপকারী বলে আথ্যায়িত করেছেন
দেশটির কান্দাহার প্রদেশের শাওয়ালিকট জেলায় গত পরশু রাতে মুজাহিদগণের একটি হামলায় এপিসি ও যানবাহন ধ্বংস হয়ে ৯ জন পুতুলসেনা নিহত হয়েছে। জানা গেছে, ঐ লড়াইয়ে ৩ জন মুজাহিদও আহত হয়েছেন এবং অন্য একজন শাহাদাত লাভ করেছেন।একই দিনে মারুফ জেলার বাটু এলাকায় মুজাহিদগণের অতর্কিত হামলায় কমপক্ষে ৩ পুতুলসেনা নিহত হওয়ার পর একটি শত্রু রেঞ্জার পিকআপ ধ্বংস হয়েছে। অন্য আরেকটি রিপোর্ট জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে কথিত ঐ জেলার স্পিন তামির এলাকায় স্নাইপারের আক্রমণে কমপক্ষে ৫জন পুতুলসেনা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।