আল-হিকমাহ মিডিয়ানির্বাচিতপিডিএফ ও ওয়ার্ডবার্তা ও বিবৃতি [আল হিকমাহ]বাংলা প্রকাশনামিডিয়া

مؤسسة الحكمة
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al-Hikmah Media

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled

بيان وكان حقا علينا نصر المؤمنين

তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতুল আরব
“মুমিনদের সাহায্য করা অবশ্যই আমার একটি দায়িত্ব।”

২২ রজব ১৪৪৬ হিজরি, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।

“Helping the believers is definitely one of my responsibilities.”

 

 

روابط بي دي اب
PDF (416 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪১৬ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/KiwpZjRdYWNfDgL
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/JsHgTTkjQ89BBfD
লিংক-৩ : https://archive.org/download/aqap-barta-muminder-sahajjo-kora/AQAP%20Barta%20-%20muminder%20sahajjo%20kora.pdf

 

روابط ورد
Word (378 KB)
ওয়ার্ড [৩৭৮ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/JMDgbTgcygyAFpF
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/xQYkHtArmsapQTg
লিংক-৩ : https://archive.org/download/aqap-barta-muminder-sahajjo-kora/AQAP%20Barta%20-%20muminder%20sahajjo%20kora.docx

 

 

روابط الغلاف
Banner [118 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [১১৮ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.gnews.to/index.php/s/qMXiJZzdjwExqA5
লিংক-২ : https://banglafiles.net/index.php/s/78XpinDoJt3ctf3
লিংক-৩ : https://archive.org/download/aqap-barta-muminder-sahajjo-kora/1211.jpg


الحمد لله ولي المؤمنين، من وعد عباده بالنصر المبين، وتوعد أعداءه بالعذاب المهين، والصلاة والسلام على إمام الموحدين، وقائد الغر الميامين، وعلى آله وصحبه، ومن استن بسنته، واقتفى أثره إلى يوم الدين. أما بعد:

সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি মুমিনদের অভিভাবক। তিনি তাঁর বান্দাদের সুস্পষ্ট বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তাঁর শত্রুদের লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির হুমকি দিয়েছেন। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তাওহিদের ইমাম, উজ্জ্বল ও সম্মানিত নেতা, তাঁর পরিবার, সাহাবাগণ এবং যাঁরা কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর সুন্নাহর অনুসরণকারী।

হামদ ও সালাতের পর:

আল্লাহ তাআলা বলেন:

﴿وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِينَ * إِنَّهُمْ لَهُمُ الْمَنصُورُونَ * وَإِنَّ جُندَنَا لَهُمُ الْغَلِبُونَ﴾

“আমার প্রেরিত বান্দাদের জন্য আমার বাক্য পূর্বেই নির্ধারিত হয়েছে। তারা অবশ্যই বিজয়ী হবে। আর আমার দল অবশ্যই জয়ী হবে।” —[সূরা আস-সাফফাত: ১৭১-১৭৩]

আনাস ইবনে মালিক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের নামাজ ঘুটঘুটে অন্ধকারে আদায় করলেন। তারপর তিনি বাহনে চড়ে রওনা হলেন এবং বললেন:

الله أكبر خربت خيبر، إنا إذا نزلنا بساحة قوم : فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنذَرِينَ …

“আল্লাহু আকবার! খাইবার ধ্বংস হয়ে গেল। আমরা যখন কোনো জাতির আঙিনায় প্রবেশ করি, তখন সেই সাবধানবার্তাগ্রাহীদের জন্য সকালে বড়ই অশুভ আসে।’’ —[সহিহ বুখারি]

الله أكبر كبيرا والحمد لله كثيرا وسبحان الله بكرة وأصيلا، لا إله إلا الله وحده، صدق وعده، ونصر عبده، وأعز جنده، وهزم الأحزاب وحده.

আল্লাহু আকবার! সমস্ত বড়ত্ব আল্লাহর। তাঁর জন্য অফুরন্ত প্রশংসা। সকাল-সন্ধ্যা আমরা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি। আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন, তাঁর সৈন্যদের সম্মানিত করেছেন এবং একাই সমস্ত শত্রুদের পরাজিত করেছেন।

আমরা যেমন আনন্দিত হয়েছি, তেমনি মুসলমানরাও আনন্দিত হয়েছেন, যখন গাজার সম্মানিত ও দুর্বল ভাইদের ওপর অবিচার ও অন্যায়ের যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা খুশি হয়েছি ইহুদিদের জবরদখলকারী শক্তির  অভূতপূর্ব পরাজয় ও বিপর্যয় দেখে—যা মানসিক, সামরিক, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক এবং বস্তুগত দিক থেকে তাদের জন্য এক কঠিন ধাক্কা ছিল। নিশ্চয়ই এটি আল্লাহর অনুগ্রহে তাঁর মুমিন বান্দাদের জন্য এক সম্মান এবং কাফের শত্রুদের জন্য এক অভিশাপ। এমনকি সম্প্রতি ইহুদিদের নেতৃত্বের নিকৃষ্ট ব্যক্তি, যে তাদের ধ্বংসের পথে পরিচালিত করছে, সে প্রচণ্ড হুমকি দিচ্ছিল যে সে গাজা দখল করবে, সেখানে বসতি স্থাপন করবে, মুসলমানদের সেখান থেকে বিতাড়িত করবে, শক্তি প্রয়োগ করে তার বন্দিদের মুক্ত করবে, গাজায় প্রতিরোধকারী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করবে এবং অবরোধ ও ক্ষুধার্ত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে।

কিন্তু আজ, আল্লাহর অনুগ্রহে, সে ও তার মন্ত্রীরা তাদের নাক মাটিতে ঠেকিয়ে কান্নাকাটি করছে এবং আফসোস করছে। কারণ তারা বাধ্য হয়েছে আমাদের বন্দি ভাইদের তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দিতে। আল্লাহর পথে সংগ্রামী মুজাহিদদের হাত ধরে তাদের সৈন্যরা যুদ্ধে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে। আমরা দোয়া করি, আল্লাহ তাদের এই কৃতিত্বের উত্তম প্রতিদান দান করুন এবং উম্মতে মুসলিমার পক্ষ থেকে তাদের প্রতি সর্বোত্তম পুরস্কার দান করুন।

আমাদের চোখ প্রশান্তি লাভ করেছে যখন আমরা আল্লাহর রহমতে বিশুদ্ধ ও পবিত্র মুসলিম নারীদের ইহুদি দখলদারদের কারাগার থেকে মুক্ত করে আনতে পেরেছি। এটা সেই কারাগার যেখানে অসংখ্য মুসলিম নারী আল্লাহর শত্রুদের হাতে বন্দি ছিল। এই স্পষ্ট বিজয়ের জন্য আমরা নিজেদেরকে এবং সকল মুজাহিদ ও মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানাই। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন তিনি আমাদের বাকি বন্দি ভাই-বোনদেরও মুক্তি দান করেন। আমিন।

في غزة نبت الشموخ وأثمرا ** وتجاوزت أغصانه هام الذرى

وزها الإباء وراح ينشد لحنه ** فشدت به شفة المدائن والقرى

الصامدون، الصابرون، جبينهم ** أبداً لغير الله لن يتعفرا

أرذال أهل الأرض قد جمعوا لهم ** جوعاً وتشريداً وموتاً أحمرا

لكنهم نحو السماء رؤوسهم ** والله ينصر من به استنصرا

গাজায় মহত্ত্বের চারা গজিয়েছে এবং ফল দিয়েছে,

তার ডালপালা শিখরের চূড়াও অতিক্রম করেছে।

গর্ব এবং মর্যাদা তার সুর গেয়ে উঠেছে,

এ সুরে শহর ও গ্রামগুলোর ঠোঁট আন্দোলিত হয়েছে।

ধৈর্যশীল ও দৃঢ়সংকল্প মানুষ, তাদের কপাল

কেবল আল্লাহর সামনে মাথা নত করে।

পৃথিবীর তুচ্ছ লোকেরা তাদের বিরুদ্ধে ক্ষুধা,

বিতাড়ন ও রক্তাক্ত মৃত্যু সাজিয়েছে।

তবু তাদের মাথা আকাশের দিকে উঁচু,

আর আল্লাহ সাহায্য করেন যিনি তাঁর কাছে সাহায্য চান।

দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা এই অসম যুদ্ধ একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধ। এখানে গাজার মুসলিম জনগণ তাদের সমস্ত স্তরে যে ত্যাগ ও বিসর্জনের সর্বোচ্চ উদাহরণ দেখিয়েছে, যে ধৈর্য ও স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করেছে, তা পুরো বিশ্বকে – মুসলিম ও অমুসলিম উভয়কেই – অভিভূত করেছে। এটি আমাদের মুসলিম জাতির ইতিহাসে আল্লাহর শত্রু ইহুদিদের বিরুদ্ধে অন্যতম বৃহৎ ইসলামী যুদ্ধ হিসেবে গণ্য হবে। এবং এই ঘটনাটি একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে যে, শহীদ ইমাম উসামা বিন লাদেন (রহঃ) যেসব আহ্বান করেছিলেন, তা যথার্থ ছিল। তিনি আমেরিকার ক্রুসেডীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জিহাদ ও লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন, কারণ আমেরিকাই ফিলিস্তিনে ইহুদি দখলদারদের প্রধান সমর্থক। ইহুদি দখলদারদের সিদ্ধান্ত আমেরিকার হাতেই নির্ভরশীল, তাদের নিজের হাতে নয়। আমরা দেখেছি,  সমগ্র বিশ্ব দেখেছে, কীভাবে মার্কিন সরকার দখলদার এই সত্তার প্রতি সীমাহীন উদারতা দেখিয়েছে। আল-কায়েদা সবসময়ই মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও একত্রীকরণের আহ্বান জানিয়েছে এবং প্রচেষ্টা কেন্দ্রীভূত (সমন্বিত) করার পরামর্শ দিয়েছে, যেন সরাসরি সাপের মাথায় আঘাত হানা যায়— সেই সাপ হলো আমেরিকা এবং তাদের ইহুদি-সমর্থক রাজনীতিবিদরা। গাজার যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় এবং ইহুদিদের অপমান আমাদের সেই দৃশ্যপটের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যখন আফগানিস্তানে ২০ বছরের অবিচারপূর্ণ যুদ্ধের পর দখলদার আমেরিকানরা অপমানিত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তারা শেষ পর্যন্ত লজ্জা ও পরাজয়ের চিহ্ন বহন করে বিদায় নিয়েছিল। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করি যে এই সন্ত্রাসবাদী ইহুদি-ক্রুসেডীয় শক্তির উপর পরাজয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ না মসজিদুল আকসা মুক্ত হয় এবং ফিলিস্তিনের প্রতিটি অংশ তাদের অপবিত্রতা থেকে পরিশুদ্ধ হয়।

এখনকার এই যুদ্ধে ইহুদিদের পরাজয় এবং তাদের মুজাহিদদের শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হওয়া প্রমাণ করে যে, সর্বাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি সজ্জিত এই সেনাবাহিনী আসলে কতটা দুর্বল। তাদের এই প্রযুক্তি কোনোভাবেই তাদের রক্ষা করতে পারেনি। বরং তারা নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে। একটি বিষয় উল্লেখ করলেই তা পরিষ্কার হয়: ৪৭১ দিনের এই আগ্রাসনের সময় ফিলিস্তিনের মুজাহিদদের কাছে একটি গ্রেনেড বা গুলি পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারেনি। এমনকি শত্রুরা  তাদের কাছে জ্বালানি, খাদ্য এবং পানীয় পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে। আর যদি বাতাস বন্ধ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হতো, তাও তারা করত। অন্যদিকে, শত্রুরা আমেরিকা এবং অন্যান্য ক্রুসেডার দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, বোমা এবং সামরিক সরঞ্জামের সহায়তা পেয়েছে। তবে সবশেষে তারা লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়ে ফিরে গেছে এবং আল্লাহর অনুগ্রহে তাদের কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য। হ্যাঁ, তারা নিরস্ত্র মুসলিমদের প্রতি আরও বেশি জুলুম করেছে এবং পৃথিবীতে তাদের ফাসাদ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছি, কখন আল্লাহ তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন এবং তাদের উপর তাঁর শাস্তির চাবুক বর্ষণ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য প্রতীক্ষায় আছেন এবং তিনি অপরাধীদের শাস্তি রোধ করেন না। যদিও শত্রুরা আমাদের হাজারো মুসলিম ভাইকে শহীদ করেছে, তবুও আল্লাহর অনুগ্রহে মুজাহিদরাও তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে হত্যা ও আহত করেছে। তবে এটি সমান নয়, কারণ আমাদের নিহতরা জান্নাতে থাকবে, আর তাদের নিহতরা জাহান্নামে।

হে আমাদের মুসলিম উম্মাহ!

আজকের দিনে আমেরিকা যে ক্রুসেডীয় শক্তির প্রতীক এবং ইহুদিবাদী শত্রুরা, তারা নিজেদের পরাজয়ের পর মাঠে তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে না পেরে চক্রান্তের পথে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছে। এই বিষয়ে ট্রাম্পের মতো অভিশপ্ত নেতা নিজেই প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের পরিকল্পনা হলো, ফিলিস্তিনের উপর তাদের দখল বজায় রাখতে এবং সম্প্রসারিত করতে, তাদের দালাল শাসক-শ্রেণির মাধ্যমে মুসলিম জনগণের উপর আরও বেশি খোলামেলা ভাবে আধিপত্য বিস্তার করা। তারা প্রকাশ্যে দখলদার ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের মাধ্যমে তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চায়।

কিন্তু তা কখনোই সম্ভব নয়! তাদের জানা উচিত যে, উম্মাহর চেতনা এখন পরিপক্ক ও প্রজ্বলিত হয়েছে। আল-আকসার উত্তাল বিপ্লবের আগে আর পরে উম্মাহর অবস্থা আর এক রকম থাকবে না। তাদের সেই ‘অজেয় শক্তি’র মিথ যে ভেঙে গেছে! তা আল্লাহ্‌ পরাজিত করেছেন একটি ছোট ও অবরুদ্ধ দলের মাধ্যমে। তাদের এটা নিশ্চিতভাবে বুঝে নেওয়া উচিত যে, মুসলিম জনগণ এখন জেগে উঠতে শুরু করেছে এবং তাদের সামনে স্পষ্ট হয়েছে যে, আল্লাহর পথে জিহাদই একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে তারা নিজেদের সম্মান পুনরুদ্ধার করতে এবং মর্যাদা অর্জন করতে পারবে। আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্পষ্ট করে বলেছেন যে, আমাদের উপর শত্রুদের আধিপত্য উঠিয়ে দেওয়ার একমাত্র উপায় হলো আল্লাহর পথে জিহাদ। নবীজি বলেছেন:

إذا تبايعتم بالعينة، وأخذتم أذناب البقر، ورضيتُم بالزَّرْع، وتركتم الجهاد، سلط الله عليكم ذلاً لا ينزِعُه حتى تَرْجِعُوا إلى دينكم.

“যখন তোমরা সুদভিত্তিক ব্যবসায় লিপ্ত হবে, গরুর লেজ ধরে চাষাবাদে মগ্ন হবে এবং জিহাদ ছেড়ে দেবে, তখন আল্লাহ তোমাদের উপর এমন অপমান চাপিয়ে দেবেন, যা তিনি তোমরা দ্বীনে ফিরে না আসা পর্যন্ত দূর করবেন না।”

(হাদিস সূত্র: আবু দাউদ)(হাদীস নম্বর: ৩৪৬২)

এরপর আমরা আমাদের প্রিয় ফিলিস্তিনের জনগণকে বলতে চাই: আল্লাহ যে আপনাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্যতম উপায় হলো, মানুষ যেন আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয় এবং আমরা যেন জীবনের প্রতিটি বিষয়ে কেবল আল্লাহকেই সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী বানাই। আজ গাজার জনগণ এবং প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর অধিকার হলো, তারা যেন শুধুমাত্র আল্লাহর শরিয়াহ অনুযায়ী শাসিত হয় এবং মানুষের বানানো কোনো আইন আল্লাহর বিধানের সঙ্গে মিশ্রিত বা প্রতিযোগিতামূলকভাবে প্রয়োগ করা না হয়। বিশেষ করে, যদি সেই আইন প্রণয়নকারী ব্যক্তি বা সংস্থা আমাদের পবিত্র ইসলাম ধর্মের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ এবং ইসলাম বিরোধী মনোভাব পোষণ করে থাকে, তবে এমন আইন তো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এত বড় আত্মত্যাগ, এত কঠিন সময় এবং সেই গণহত্যার পর, যেখানে আমাদের গাজার ভাইয়েরা—পুরুষ, নারী, শিশু সবাই—অটল থেকেছেন, তাঁদের এই অধিকার এবং দায়িত্ব যে, তাঁরা কেবল আল্লাহর আইন অনুযায়ী শাসিত হবেন। এটি যেমন তাঁদের জন্য একটি অধিকার ও প্রাপ্য, তেমনি শাসকের জন্যও এটি একটি বাধ্যতামূলক কর্তব্য যে, সে তার ক্ষমতা অনুযায়ী আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করবে। কারণ মানুষের হৃদয়কে আল্লাহর সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং আল্লাহর শরিয়াহ অনুযায়ী শাসন কায়েম করা নিঃসন্দেহে দেশের স্থাপত্য, দেওয়াল নির্মাণ, রাস্তা মেরামত ইত্যাদি থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত।  সকলেই যেন এটা বুঝে নেয় যে, আল্লাহর শরিয়াহতে কোনো কঠোরতা বা মানুষের উপর বোঝার মতো কিছু নেই। বরং এটি সম্পূর্ণ সহজ বিষয়, এটি বরকত, শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতি। শরিয়াহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে হৃদয়ে প্রশান্তি নেমে আসে, পরিস্থিতি শোভন হয়, এর নিজস্ব সৌন্দর্য ও ঘ্রাণ মানুষের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। এটি সর্বদা সুখ, মানসিক শান্তি এবং আল্লাহর দ্বীন ও তাঁর শরিয়াহর প্রতি অন্তর্নিহিত ভালোবাসাকে পুনর্জীবিত করে। শরিয়াহ কখনোই কষ্টকর বা ভারী ছিল না, বরং তা সবসময় সহজতর ছিল। কাফিররা ও ধর্মনিরপেক্ষতার পথ অনুসরণকারীরা এবং বিভ্রান্ত ধারার লোকেরা যা দেখানোর চেষ্টা করে, তা এর বিপরীত। আমরা দেখেছি, মানুষ শরিয়াহর বিধানের প্রতি কতটা ভালোবাসা পোষণ করে এবং তাদের কতটা আগ্রহ এই বিধান বুঝতে এবং এর উপর কাজ করতে। যখন আল্লাহ আমাদের ও তাদের উপর দয়া করে শরিয়াহর ছায়ায় বাস করার সুযোগ দিয়েছিলেন, তখন আমরা এটি প্রত্যক্ষ করেছি।

হে আল্লাহ! গাজা এবং ফিলিস্তিনের জনগণকে পরিপূর্ণ ও প্রশস্ত রিজিক দাও, তাদের সুন্দরভাবে পুরস্কৃত করো, তাদের জন্য জান্নাতে এমন ঘর তৈরি করো, যা দুনিয়ার ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরগুলোর চেয়েও উত্তম। তাদের শহীদদেরকে কবুল করো, আহতদের আরোগ্য দাও, তাদের অন্তরকে শক্তি দাও এবং তাদের উপর প্রশান্তি নাজিল করো। হে আল্লাহ! ফিলিস্তিনের আমাদের পরিবার এবং পবিত্র মসজিদুল আকসাকে শত্রুদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করো। তাদের তোমার সাহায্য ও শক্তি দ্বারা সমর্থন করো এবং তাদের জন্য সাহায্যকারী ও সহায়ক হও। কারণ তুমি-ই উত্তম সাহায্যকারী ও সহায়ক।

وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين.

*****

 

আল মালাহিম মিডিয়া

তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতুল আরব

(আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা)

২২ রজব ১৪৪৬ হিজরি, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।

অনুবাদ ও প্রকাশনা

 

*******************************

مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent

*******************************

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + five =

Back to top button