গণতন্ত্র আর্কাইভপিডিএফ ও ওয়ার্ডবাংলা

সংসদ ও সংসদ সদস্যদের ব্যাপারে বিধান কি?–শায়খ আলি বিন খুদাইর আল খুদাইর (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ)

সংসদ ও সংসদ সদস্যদের ব্যাপারে বিধান কি?

–শায়খ আলি বিন খুদাইর আল খুদাইর (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ)

 

 

روابط بي دي اب
PDF (169 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [১৬৯ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.org/download/songsod-osongsod-sodosso_202012/songsod%20osongsod%20sodosso.pdf
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d4z8mca70f0bd535c4b4997932885636662f6
লিংক-৩ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=p7q5e3b6f1
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/7e15dcd8-1922-47aa-9826-a26c16845b4d/dc52a2068803b038f141e8e9ecd2c55ec8feb0cf117d73a111b4c0607f7eb874
লিংক-৫ : https://f005.backblazeb2.com/file/songsodosongsodsodosso/songsod+osongsod+sodosso.pdf

 

روابط ورد
Word ( (269 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [২৬৯ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.org/download/songsod-osongsod-sodosso/songsod%20osongsod%20sodosso.docx
লিংক-২ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/d4z8m74ef3814fb3f4bf5932c6e0cae4b69ec
লিংক-৩ : https://www.idrive.com/idrive/sh/sh?k=j6l1v8p8n3
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/f3eb80cc-440a-4fc3-a508-5f61177aaf9b/f1639175ac80b71e21b6497b6b42363c2fd2bbbf720be3093509801f545184fa
লিংক-৫ : https://f005.backblazeb2.com/file/songsodosongsodsodosso/songsod+osongsod+sodosso.docx

********

 

প্রশ্ন:    সংসদগুলোর ব্যাপারে বিধান কি এবং যারা এগুলোতে যারা প্রবেশ করে তাদের ব্যাপারে বিধান কি?

উত্তরঃ

সংসদগুলোর ব্যাপারে বিধান হচ্ছে এগুলোর ইসলামে অনুমতি নেই এবং এগুলো শিরক ও কুফরের জায়গা এবং আমরা এগুলোকে তাগুত হিসেবে দেখি কেননা এগুলো হচ্ছে আইন প্রণয়নের এবং আল্লাহ’র অবতীর্ণ আইন(শরীয়াহ) ব্যাতীত অন্য ভাবে আইন তৈরীর স্থান।

এবং গনতন্ত্র ও সংসদগুলোর ভিত্তি হচ্ছে “মানুষের জন্য মানুষের বিচার‌‌‌‌‌‌‌ “। আর মানুষই তাদের প্রতিনিধি দ্বারা আইন প্রণয়ন করে। এবং এটি বিচার, আইন প্রণয়ন, আদেশ এবং নিষিদ্ধকরনে আল্লাহর একক অধিকারের খেলাফ।

আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ ছাড়া কারো নির্দেশ চলে না।” (সুরা আল আন’আম ৬:৫৭)

এবং আল্লাহ বলেন, “তারা কি জাহেলিয়াত আমলের ফয়সালা কামনা করে?” (সুরা ময়েদাহ ৫:৫০)

এবং আল্লাহ বলেন, “তিনি কাউকে নিজ কর্তৃত্বে শরীক করেন না।” (সুরা কাহফ ১৮:২৬)

এই অধিকার সংসদ বা মানুষ, কারোরই নেই। আর যে বলে থাকে যে, গনতন্ত্র ও সংসদগুলোর ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে শুরার(ইসলামী পরামর্শ) উপর, তাহলে এটি হয় একটি মিথ্যা ও প্রতারণা অথবা মূর্খতা বিপথগামীতা।

এটা ইসলামী শুরার উপর স্থাপিত  নয় বরং এর ভিত্তি হচ্ছে আইন প্রণয়ন, এবং তারা নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে, ঐসব বিষয়ের উপর নয় যেগুলো অনুমোদিত বরং শরীয়াহ বিরুদ্ধ আইন প্রণয়নের জন্য পরামর্শ করে। এটাই তাদের বাস্তবতা।

এবং তাদের ব্যাপারে, যারা এগুলোতে(সংসদ) প্রবেশ করে, এব্যাপারে কিছু তথ্য আছে:

১। যদি সে এগুলোতে প্রবেশ করে এবং মানবসৃষ্ট আইন প্রণয়ন করে যা শরীয়াহবিরোধী অথবা শরীয়াহবিরোধী আইনের ব্যাপারে একমত বা সন্তুষ্ট থাকে বা এর পক্ষে ভোট দেয় তবে সে একটা মুশরিক, কাফির।

সে মূর্খতা বা ভূল ব্যাখ্যা বা এটাকে লাভজনক বিবেচনা করার জন্য ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে না।

আল্লাহ বলেন,
“তাদের কি এমন শরীক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্যে সে ধর্ম সিদ্ধ করেছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি?” (সূরা আশ-শুরা ৪২:২১)
আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ ছাড়া কারো নির্দেশ চলে না।” (সুরা আল আন’আম ৬:৫৭)
এবং আল্লাহ বলেন, “তিনি কাউকে নিজ কর্তৃত্বে শরীক করেন না।” (সুরা কাহফ ১৮:২৬)
২। যদি সে প্রবেশ করে এবং সংবিধান শরীয়াহবিরোধী সেটা জেনেও যদি সে এটাকে মেনে চলার শপথ করে, এটা কুফর এবং রিদ্দা; সে জেনেবুঝে করে থাকুক আর না ই থাকুক এবং এটা লাভজনক কারনে করা হোক আর নাই হোক। সে এটা জেনে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে এই কুফরি করেছে। এবং সে হচ্ছে তার মত যে আল-লাত বা আল-উজ্জাকে মেনে চলার শপথ নেয় অথবা রাসুলের(সাঃ) সময় কুরাইশদের আইনকে মেনে চলার শপথ নেয়।

৩। সে সংবিধানকে মেনে চলার শপথ না নেয় অথবা শরীয়াহবিরোধী আইন প্রণয়ন করে না বা এতে অংশ নেয় না কিন্তু একে প্রত্যাখ্যান করে এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়, তবে সে ভ্রান্ত এবং বিপথে চালিত এবং সে পরিবর্তন ও সংশোধন আনতে এবং ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে রাসুলের(সাঃ) দেখানো পথের বিরুদ্ধে গিয়েছে, কিন্তু সে কাফের নয় যদিও সে দাওয়াহ এবং পরিবর্তন ও সংশোধন আনার জন্য বিপথ এবং শিরকের পথ বেছে নিয়েছে।

আল্লাহ বলেন, “আর সত্য প্রকাশের পরে (উদভ্রান্ত ঘুরার মাঝে) কি রয়েছে গোমরাহী ছাড়া?” (সুরা ইউনুস ১০:৩২)

এবং আমরা এই বিষয়টি “আল জাম’উ ওয়া থাজরীদ ফী শারহ্ কিতাব আত-তাওহীদ” গ্রন্থে “তাওহীদের আহ্বান” অধ্যায়ের “সংসদে প্রবেশ” বিষয়ে আলোচনা করেছি।
– শায়খ আলি বিন খুদাইর আল খুদাইর (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ)

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 1 =

Back to top button