আল-কাদিসিয়াহ মিডিয়াউস্তাদ আহমাদ ফারুক রহিমাহুল্লাহকমান্ডার বদর মনসুর রহিমাহুল্লাহপাকিস্তানপাকিস্তান আর্কাইভবই ও রিসালাহবার্তা ও বিবৃতিমিডিয়াহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

কমান্ডার বদর মনসুরের শাহাদাত প্রসঙ্গে বিবৃতি -উস্তাদ আহমেদ আল-ফারুক

مؤسسة القادسية للإنتاج الإعلامي
আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া

تـــقــدم

পরিবেশিত

الترجمة البنغالية لإصدار السحاب المرئي

বাংলায় অনূদিত আস-সাহাবের মুক্তিপ্রাপ্ত ভিডিও

بعنوان

শিরোনামে

بيان بخصوص استشهاد القائد بدر منصور رحمه الله

কমান্ডার বদর মনসুরের শাহাদাত প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তাঁর উপর রহম করুন

للأستاذ أحمد فاروق حفظه الله

বিবৃতি প্রদানকারি উস্তাদ আহমেদ আল-ফারুক আল্লাহ্ তাঁকে হিফাজত করুক

Downland

Archive Link:
https://archive.org/details/GIMF342
https://archive.org/details/MartyrdomOfCommanderBadarMonsoor

Word
https://banglafiles.net/index.php/s/CKJiB5orCXcLzjy
http://www.mediafire.com/file/zdlqoqt56xvdb8e/24.U_B_U_F_Bn.docx/file

PDF
https://banglafiles.net/index.php/s/B9M3geYjBwRnbPN
http://www.mediafire.com/file/zpddh282f4wsudx/24.U_B_U_F_Bn.pdf/file
=============================
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
In your dua remember your brothers

=========================

بسم الله الرحمن الرحيم

কমান্ডার বদর মনসুর (রহিমুল্লাহ) এর শাহাদাতের শোকপ্রকাশ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি

উস্তাদ আহমেদ ফারুক (আল্লাহ্‌ তাঁকে হিফাজত করুন)

সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র যিনি সারা জাহানের মালিক। শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হোক দয়ার নবী এবং যুদ্ধের নবী মুহাম্মাদ আল-মুস্তাফা (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর পরিবারবর্গ, তাঁর সাহাবীবৃন্দের উপর।শুরুঃ

হে প্রিয় পাকিস্তানি ভাইয়েরা! আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

কিছু দিন আগে হিজরত এবং জিহাদের পথের একজন মুহাজির তাঁর রবের নিকট চলে গিয়েছে। তাঁর সম্পূর্ন দেহ আল্লাহ্‌র রাহে জিহাদের মহান পথে বিলীন হয়ে গিয়েছে। কাশ্মীর,আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্রে ১৫ বছর ধরে তিনি ইসলামের শত্রুদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে ছিলেন। তিনি ছিলেন উম্মাহর এক বীর সন্তান, উৎসাহ প্রদানকারী সামরিক কমান্ডার, মুহাজিরদের চোখের শীতলতা এবং খুরাসানের সহযোগীদের মনকে জয়কারী। তিনি আমার খুব প্রিয় ছিলেন এবং তাঁর আত্বীয় স্বজন এবং সাথীদের খুব প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। তিনি হচ্ছেন কমান্ডার বদর (আল্লাহ্‌ তাঁর শুহাদাকে কবুল করুন)। আমরা তাঁকে এইভাবে বিবেচনা করি। আল্লাহ্‌ তাঁর প্রকৃত বিবেচনাকারী।

এই সাহসী বীর পুরুষ সারহাদ প্রদেশের আবেগপূর্ন মাটির অঙ্গীভূত হয়ে গিয়েছিলেন। উত্তর ওয়াজিরিস্থানে পাকিস্তানের গোয়েন্দাবাহিনীর তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাঁর ঘরের উপর আমেরিকান ড্রোনের মাধ্যমে চালানো বোমা হামলায় তিনি শহীদ হোন।আল্লাহ্‌ তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং তাঁর মর্যাদাকে উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করুন। হে আল্লাহ্‌ তাঁকে রসূল সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম,সত্যবাদী,শহীদ এবং নেককার লোকদের সঙ্গী করুন এবং জান্নাতে তাঁর সাথী হওয়া থেকে আমাদেরকে পৃথক করবেন না। আল্লাহ্‌ পাক পাকিস্তানের ইসলামিক উম্মাহকে তাঁর পরিবর্তে একজন ভালো সামরিক কমান্ডার স্থলাভিষিক্ত করে দিক। আমিন।

এই কুৎসিত আক্রমণ আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই মিথ্যাচারকে সকলের সামনে উন্মোচিত করে দিয়েছে যে পাইলট বিহীন ড্রোন আক্রমণের মাধ্যমে মুজাহিদ ব্যাতিত অন্য কাউকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয় না এবং এই আক্রমণগুলতে নারী,শিশু এবং নিরাপরাধ লোকজন আক্রান্ত হয় না।কিন্তু এই ঘটনায় পাইলট বিহীন ড্রোন একটি ঘনবসতিপূর্ন এলাকার মাঝখানের একটি ঘরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল যার ফলে ভাই বদর মনসুরের (আল্লাহ্‌ তাঁর উপর অনুগ্রহ করুন) স্ত্রী আহত হয়েছিলো। শত্রুরা তাদের লক্ষ্যকে চিহ্নিত করার পর যতক্ষন পর্যন্ত ভাই ঘর পরিত্যাগ না করছে ততক্ষন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতো এবং তাঁর ঘর থেকে বের হওয়ার পর তারপর তাঁকে লক্ষ্যতে পরিণত করতে পারতো। কিন্তু কিভাবে তাঁরা এই চোয়ালকে বন্ধ করতে পারবে যে চোয়াল অবিরতভাবে কোনও ধরনের ন্যায় বিচার ছাড়া মুসলিমদের রক্ত পান করাকে অভ্যাসে পরিণত করেছে।

এই আক্রমণ এবং অন্যান্য ড্রোন আক্রমণগুলো পাকিস্তান-আমেরিকার সম্পর্কের উপর জনগণের উদ্বেগের বিষয় নিয়ে তাদের খেলা করার বিষয়টি প্রকাশ করে দিল। অধিকাংশ লোকই এইটি মনে করেছিল এবং আশাবাদী হয়েছিল যে সালালাহ চেক পয়েন্টে পাকিস্তানি আর্মির উপর আমেরিকানদের হামলার পর পাকিস্তানি আর্মি এবং সরকার তাদের নাকের উপর আমেরিকার গোলামীসুলভ চাপিয়ে দেওয়া সকল ধরনের চুক্তিকে বাতিল করবে এবং তারা তাদের নিজের লোকদেরকে রক্তাক্ত করা বন্ধ করবে। কিন্তু মুজাহিদরা ঐ সময় থেকে সত্য বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছিল এবং আজকে সকলে এই বিষয়টি ভালোভাবে জানে যে সামরিক নেতৃত্ব এবং পাকিস্তানি সামরিক লবি ৫০ বছর ধরে আমেরিকা থেকে অনুগ্রহ প্রাপ্ত। পাকিস্তানি আর্মিকে সাহায্য সহযোগীতা ও সংগঠিত করার ক্ষেত্রে আমেরিকা হচ্ছে অন্যতম। ব্রিটেন এই অঞ্চল থেকে চলে যাওয়ার পর আমেরিকার পরিচালনায় এই বাহিনীকে আমেরিকার পদলেহী একটি প্রশিক্ষিত বাহিনী হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। সকল অস্ত্র এবং বিমান যা পাকিস্তানি আর্মির নিজেদের হস্তগত তা আমেরিকার মাধ্যমে তাদেরকে দেয়া হয়েছিল। সামরিক বাহিনী তাদের যন্ত্রপাতির প্রতিটি অংশ পেতে আমেরিকার উপর নির্ভর করেছিল। সামরিক বাহিনী আল্লাহ্‌র পরিবর্তে আমেরিকাকে রপ্তানিকারক ভাবতে করতে শুরু করেছে। কিভাবে এই প্রতিষ্ঠান আমেরিকার অন্যায় আচরনের বিরুদ্ধে সাহস দেখাতে পারে? সত্য এইটি যে, হাতির যে দাঁত দেখা যায় সে দাঁত দিয়ে খাদ্য চিবায় না বরং খাদ্য চিবায় ভিতরের চোয়ালের দাঁত দিয়ে। এইভাবে একদিকে তোমরা পাকিস্তান-আমেরিকার সম্পর্কের মধ্যে শীতল যুদ্ধের খেলা শুরু হওয়ার কথা বলছো যেখানে আমরা দেখতে পাই আমেরিকান সামরিক বাহিনী মিথ্যাচারের মাধ্যমে প্রতিবেশী লক্ষ লক্ষ মুসলমানের রক্তপাত ঘটিয়েছে এবং তাদের জনগনের নামে উপজাতীয় এলাকাসমূহ,সোয়াত এবং বেলুচিস্তান এ গণহত্যা চালিয়েছে। অপরদিকে বাস্তবতা হচ্ছে পকিস্তানি সামরিক বাহিনী তাদের নিজেদের জনগণকে হত্যা করার জন্য জাল ফেলতেছে এবং ফাঁদ পাদতেছে। তারা শহীদদের মৃতদেহগুলো আমেরিকাকে উপহার হিসেবে নেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে যাতে আমেরিকা তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়। দিনে দিনে তারা পরষ্পের মধ্যে সহযোগীতা বৃদ্ধি করছে এবং তাদের সকল চেষ্টার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে জিহাদের পথে আনুগত্যশীলদের ধ্বংস করা। কিছুদিন বিরতির পর পুনরায় পাইলটবিহীন বিমান আক্রমণ শুরু হওয়া তাদের এই পারষ্পরিক সহযোগীতার নিশ্চিত প্রমান। তারা বিশেষভাবে পাকিস্তানি মুজাহিদদেরকে টার্গেট করছে এবং হত্যা করছে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী যে ধরনের টার্গেট পছন্দ করে তাকে লক্ষ্য করে আমেরিকার পাইলটবিহীন বিমান আক্রমণের মত কাজ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আর কত দিন সরকার এবং সামরিক বাহিনী জনগণের চোখকে ধূলো দিয়ে রাখবে? তারপরও এই বিবৃতি “আমরা পাইলট বিহীন বিমান আক্রমনের অনুমতি দিই নি। আমরা এই আক্রমণের ধিক্কার জানাই। আমরা এই আক্রমণগুলোর বিরোধী” তাদের নির্লজ্জতার চরম বহিঃপ্রকাশ।

যদি তোমরা এই আক্রমণগুলোর বিরোধী হও তাহলে ধরা পড়া প্রত্যেক গোয়েন্দা কেন এই বিষয়টি স্বীকার করেছে যে মিরান শাহ এবং ওয়ানার পাকিস্তানের সামরিক কাউন্সিলের মেজর এবং কর্নেল পদবিধারী সদস্যরাই বসে বসে এই কুৎসিত কাজগুলো পরিচালনা করছে।

কেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জেট বিমান কোনও ধরনের বিরতি ছাড়া অনবরত ৬ মাস ধরে মেহসুদ এলাকার বাজার,মসজিদ এবং সাধারন জনগনের এলাকাগুলতে বোমা নিক্ষেপ করে চলেছে? কিন্তু তারা পাকিস্তানের আকাশে ধীরগতিতে চলমান ড্রোনগুলোকে ভূপাতিত করে না। তাছাড়া এই ড্রোনগুলো হঠাৎ আক্রমণ করে না। ড্রোনগুলো সর্বোচ্চ দীর্ঘ এক মাস আকাশে অনবরত পর্যবেক্ষন করে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর রাডারগুলো প্রতিনিয়ত কি ব্যর্থ হচ্ছে?

প্রকৃত সত্য এইটিই যে ড্রোন হামলাগুলোর পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্নভাবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর অনুমতিতে, তাদের তত্ত্বাবধানে এবং তাদের সহযোগীতায় হচ্ছে। উপজাতীয় এলাকাগুলোয় পাইলটবিহীন ড্রোন হামলায় কোনও ধরনের বিচার ছাড়াই রক্তপাত ঘটানোর জন্য পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী সমানভাবে দায়ী।

আমার প্রিয় পাকিস্তানি জনগণ!

আজকে আপনাদের এক সন্তান আমেরিকা এবং তার দালালদের শুরু করা যৌথ আগ্রাসনকে পিছু হটিয়ে আপনাদের সীমানার আত্মরক্ষার্থে নিজের জীবনকে কোরবানী করেছে। সে আল-মুস্তাফা (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পদ্ধতির বৃক্ষের মধ্যে তাঁর রক্ত প্রবাহিত করে সবচেয়ে প্রশংসিত পানিসিঞ্চিত করেছে। সে তাঁর জীবনকে খোদার রাহে বিলিয়ে দিয়েছে যা আগামীদিন বলিষ্ঠ বৃক্ষ হয়ে উঠবে এবং এই অঞ্চলের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য একটি শীতল ছায়ার স্বস্তি এনে দিবে। তাদের অত্যাচারিত জীবনের কঠিন পরিশ্রম যা ইউরোপিয়ান শাসকগোষ্ঠী কতৃক ভোগ করতে হয়েছিল তাতে এই বৃক্ষের সুমিষ্ট ফল তাদেরকে দৃড়ভাবে গড়ে তুলবে।

হে প্রিয় উম্মাহ!

আপনাদের প্রিয় সন্তানেরা দুনিয়াতে এবং আখিরাতে আপনাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের জীবন এবং সম্পদের কোরবানী দিচ্ছে। আপনাদের গুরুভার বহন করার জন্য তাঁরা নিজেদের ঘরকে পরিত্যাগ করে যুদ্ধক্ষেত্রে এসেছে। আপনাদের আনন্দের জন্য তাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছে। তাঁরা নিজেদের জন্য কিছুই চায় না। তাঁরা শুধু আপনাদের স্বস্তি চায়। তাঁরা আপনাদেরকে আল্লাহ্‌ ব্যাতীত সকল গোলামীর জিঞ্জির থেকে মুক্ত করতে চায়। বিদেশী কুফফার আগ্রাসী গোষ্ঠীগুলো থেকে তাঁরা আপনাদের মুক্ত করে মুহাম্মদের (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শরীআহকে পুনরায় নিয়ে আসতে চায়। অতএব আজকে যদি আপনারা আপনাদের সন্তানদের বেশভূষার বিস্তার পান তাহলে তাদের পাশে এসে দাঁড়ান। আল্লাহ্‌ আপনাদেরকে গ্রহন করবেন। শত্রু বাহিনীকে পরাজিত করে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে আপনাদের সফলতার এই কঠিন পথ দীর্ঘ হবে না।

সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌ বলেনঃ

﴿ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن تَنصُرُوا اللَّهَ يَنصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ وَالَّذِينَ كَفَرُوا فَتَعْسًا لَّهُمْ وَأَضَلَّ أَعْمَالَهُمْ ﴾
“হে বিশ্বাসীগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ়প্রতিষ্ঠ করবেন।আর যারা কাফের, তাদের জন্যে আছে দুর্গতি এবং তিনি তাদের কর্ম বিনষ্ট করে দিবেন। (সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ৭-৮)

সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র যিনি সারা জাহানের মালিক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 6 =

Back to top button