অডিও ও ভিডিও [আল হিকমাহ]আল-হিকমাহ মিডিয়া

AQAP | Bengali Translation| চিন্তাধারা সিরিজ- ১৮ আমলের রূহ -শাইখ কাসিম আর-রীমি রহিমাহুল্লাহ | Al-Hikmah Media Presents

مؤسسة الحكمة
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al-Hikmah Media

تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents

الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation

بعنوان:
শিরোনাম:
Titled

سلسلة مفاهيم -١٨
روح العمل

চিন্তাধারা সিরিজ- ১৮
আমলের রূহ

Thought series- 18
The Spirit of period

 

للشيخ قاسم الريمي رحمه الله
শাইখ কাসিম আর-রীমি রহিমাহুল্লাহ
By Shaykh Qasim Ar-Rimi rahimahullah

 

 

 

 

 


للمشاهدة المباشرة والتحميل
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading

লিংক-১ : https://mediagram.me/45b77ca11cb4510f
লিংক-২ : https://web.archive.org/web/20210425…/cintadhara-18
লিংক-৩ : https://web.archive.org/web/20210425…b77ca11cb4510f


روابط الجودة الاصلية
FULL HD 1080 (392 MB)
মূল রেজুলেশন [৩৯২ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/t9DyBkA95QGpn58
লিংক-২ : https://archive.org/download/mafahim-18/Mafahim%2018.mp4
লিংক-৩ : https://www.mediafire.com/file/ki4uh…ub-18.mp4/file
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/ec88d3f8-72b3-4ac6-b386-49015c1cea6b/89d4d091e16e60b35f0f546c2b622ab1757381d0bf18341ff6b7bf48a6678c3d
লিংক-৫ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/835qy4e2902b9bd1442b9ab88fdc0843a5194


روابط الجودة العالية
HQ 1080 (164 MB)
১০৮০ রেজুলেশন [১৬৪ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/dSbAJeTtZcfcJB7
লিংক-২ : https://archive.org/download/mafahim-18/Mafahim%2018%20HQ.mp4
লিংক-৩ : https://www.mediafire.com/file/6fpt6…18_HQ.mp4/file
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/0b98c74e-9b7f-4d01-b9ed-6d2d9e9af06f/7e4bc3fe58c613194ece6aab666d1499b833614063a7c96370db0ea1d91aa782
লিংক-৫ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/835qy310b7b5ee74f48c7815c2498720eaf39


روابط الجودة المتوسطة
MQ 720 (73 MB)
৭২০ রেজুলেশন [৭৩ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/MDbFLGYcBdDW9B6
লিংক-২ : https://archive.org/download/mafahim-18/Mafahim%2018%20MQ.mp4
লিংক-৩ : https://www.mediafire.com/file/pk7i5…18_MQ.mp4/file
লিংক-৪ : https://drive.internxt.com/sh/file/302c0e11-202f-46f4-afac-6f7990bf4980/221cf3fb943dfd6978f59adbe3e6c9f54ce6db7203a2bc9889627d3456071da7
লিংক-৫ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/835qy36925428cd724207b62eb74994eb1e60


روابط الجودة المنخفضة
LQ 360 (28 MB)
৩৬০ রেজুলেশন [২৮ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/aq3HzqwYiNsEf6g
লিংক-২ : https://archive.org/download/mafahim-18/Mafahim%2018%20LQ.mp4
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/667e959d-df44-49d5-bf04-3f81da9bba80/e454b886a662acebad09cbfb8c5f15fa7e6d4de1c99d601efb5aa0b369fcaa40
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/835qy2b3fd66bc1cc4456ae56d5701f0ee3ca
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/qtw2b…18_LQ.mp4/file


روابط جودة الجوال
Mobile Qoality (23 MB)
3GP রেজুলেশন [২৩ মেগাবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/Y5XF739MBrewfyo
লিংক-২ : https://archive.org/download/mafahim-18/Mafahim%2018.3gp
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/3712b50a-2fbf-4e97-afc5-8e3398ef2d32/39727ba375fcb0a16cf6cf3db3882bdc9a8e26d2fa29bf0f921089f57dba134e
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/835qy6f05060731ab4e15a288be9e1ca9d6d2
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/file/vq0tj…ub-18.3gp/file

 

پی ڈی ایف
PDF (846 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৮৪৬ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.org/download/mafahim-18/MafahimSeries-18.pdf
লিংক-২ : https://drive.internxt.com/sh/file/d928f5f4-a995-48c6-ab60-275bb06f1bb7/124f163589d13e303e682230d46726d6111aaa4ce80b4339ec1fab0a2bb5a73e
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/835qyc2870cf4c66b4339a37f4644eef5addc

ورڈ
WORD (652 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [৬৫২ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.org/download/mafahim-18/MafahimSeries-18.docx
লিংক-২ : https://drive.internxt.com/sh/file/6ea40cc0-9bb0-4b9f-8a41-6e406fe35535/b76912c82ea731df845ac30c26409776762dc1459fac86372873ed8d21fac4f1
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/835qy2b481c46666148c28db18ea085c93e8f

 

غلاف
cover [548 KB] কভার [৫৪৮ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://archive.org/download/mafahim-18/MafahimSeries-Cover-18.jpg
লিংক-২ : https://drive.internxt.com/sh/file/9eb51336-ec7d-4967-bcfd-f24add7e38a6/9be4d10bf2b64aa4e05f12519fb6d2498b7e4bbc17832435e5ee2eb083a4b52e
লিংক-৩ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/835qy006d60cddbd845cfaa265a7eaa205280


روابط الغلاف
Banner [973 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৯৭৩ কিলোবাইট]

লিংক-১ : https://banglafiles.net/index.php/s/dGRaHetDazWtSBD
লিংক-২ : https://archive.org/download/mafahim-18/Mafahim%2018%20Banner.jpg
লিংক-৩ : https://drive.internxt.com/sh/file/576ec469-7176-4cbb-8045-ab938d1a6f54/719052342ecb88761c9a9337aa9943300f81cb7d40df2c9b95f2defe76662d7d
লিংক-৪ : https://workdrive.zohopublic.eu/file/835qy1821e49481244a2f9f878a9882a7e000
লিংক-৫ : https://www.mediafire.com/view/elh79…%2529.jpg/file

===============================

চিন্তাধারা সিরিজ- ১৮

আমলের রূহ

শাইখ কাসিম আর-রীমি রহিমাহুল্লাহ 

অনুবাদ ও প্রকা শনা

 

প্রতিটি আমল তথা কাজের একটি রূহ এবং দেহ রয়েছে। চাই এটা সামরিক কাজ হোক অথবা নিরাপত্তা বিষয়ক হোক বা তথ্যসংক্রান্ত হোক। বনী আদমের দেহ যেমন রয়েছে, তেমনি রূহও রয়েছে। তো এই দু’টির মধ্যে কোনটি বেশী গুরুত্বপূর্ণ? রূহ না দেহ?

কোন সন্দেহ নেই যে, রূহ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোন একটা কিছু তো এই দেহকে        গঠন করছে এবং পরিচালনা করছে। তাই না?

কিন্তু রূহ কোথায় আছে? (দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না অথচ) তার সাহায্যেই জীবন চলে।

তো রূহ হলো সেই ‘মূল’ তথা মানুষ যেই জিনিসের মাধ্যমে সহায়তা চায়। আর যার পা নেই, হাত নেই, চোখ নেই কিন্তু রূহ আছে – সে নিজে চলতে পারে, বসবাস করতে পারে, হাঁটতে পারে যদিও তার দৈহিক গঠনে কোন ত্রুটি আছে। পক্ষান্তরে যদি তার দৈহিক গঠন ১০০% ঠিক হয় কিন্তু রূহ না থাকে – তবে সেটা একটা প্রাণহীন দেহ। তার এ দেহ তিন-চার দিনেই নষ্ট হয়ে যাবে। পোকা-মাকড় তা খেয়ে ফেলবে।

কিন্তু যদি প্রাণ থাকে, পাশাপাশি দৈহিক গঠনে ত্রুটিও থাকে – তবে সে চলতে পারে, থাকতে পারে। আমাদের আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো রূহ, দেহ নয়। যদিও শরীর গুরুত্বপূর্ণ। দৈহিক গঠনে ত্রুটি হতে পারে। রূহের মধ্যে ত্রুটি হয় না।

আর আল্লাহ তায়ালার হিকমাহ হলো روح العمل তথা কাজের রূহকে সহজ করেছেন। হতে পারে কাজটা কঠিন। এখন প্রশ্ন হলো, কাজের রূহ কী?

কাজের রূহের অনেক রূপ রয়েছে। তন্মধ্যে একটি হলো – আপনার হতোদ্যম কোন এক ভাই আপনার কাছে আসবে। সে খাচ্ছে, পান করছে, চলছে – কিন্তু সে হতোদ্যম ও হতাশ অবস্থায় আছে। ফলে আপনি তাকে একটি কালিমা উপহার দিবেন। যেমন:

ومن أحياها فكأنما أحيا الناس جميعا

“যে ব্যক্তি একটি প্রাণ রক্ষা করলো, সে যেন সকল মানুষকে রক্ষা করলো।” (সুরা মায়েদা ৫:৩২)

অথবা,

الَّذِينَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُواْ لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَاناً وَقَالُواْ حَسْبُنَا اللّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ

“যাদেরকে লোকেরা বলেছে যে, (মক্কার লোকেরা) তোমাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য সমাবেশ করেছে বহু সাজ-সরঞ্জাম; তাদের ভয় কর। তখন তাদের বিশ্বাস আরও দৃঢ়তর হয়ে যায় এবং তারা বলে, আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট; কতই না চমৎকার কামিয়াবী দানকারী। (সূরা আল-ইমরান ৩:১৭৩)

فَانقَلَبُواْ بِنِعْمَةٍ مِّنَ اللّهِ وَفَضْلٍ لَّمْ يَمْسَسْهُمْ سُوءٌ وَاتَّبَعُواْ رِضْوَانَ اللّهِ وَاللّهُ ذُو فَضْلٍ عَظِيمٍ

“অতঃপর মুসলমানরা ফিরে এল আল্লাহর অনুগ্রহ নিয়ে, তাদের কিছুই অনিষ্ট হলো না। তারপর তারা আল্লাহর ইচ্ছার অনুগত হল। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ অতি বিরাট। (সূরা আল-ইমরান ৩:১৭৪)

এগুলো হলো روح العمل  তথা আমলের রূহ। আপনি আপনার মৃত্যুমুখে পতিত (হতাশ) ভাইয়ের কাছে আসলেন – যে অস্ত্র ফেলে দিয়েছে, পর্যদুস্ত হয়েছে। তখন তাকে দু’টি কালিমা বা তিনটি কালিমা উপহার দিলেন। সে আবার উদ্দমতা ফিরে পেল। এটাই  হলো روح العمل  তথা আমলের রূহ।

এক্ষেত্রে আপনি প্রজ্ঞাবান আল্লাহর দিকে লক্ষ্য করুন। তিনি এই রূহের প্রতি কেমন গুরুত্ব দিয়েছেন! আল্লাহ তা’য়ালা যখন সাহাবীদেরকে  সুসংবাদ দিলেন যে ফেরেশতা যমীনে নেমে তাদেরকে সাহায্য করবেন, তখন আয়াতের শেষাংশে তিনি বলেন:

وَمَا جَعَلَهُ اللّهُ إِلاَّ بُشْرَى وَلِتَطْمَئِنَّ بِهِ قُلُوبُكُمْ وَمَا النَّصْرُ إِلاَّ مِنْ عِندِ اللّهِ إِنَّ اللّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

“আর আল্লাহ তো শুধু সুসংবাদ দান করলেন যাতে তোমাদের মন আশ্বস্ত হতে পারে। আর সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হতে পারে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তির অধিকারী হেকমত ওয়ালা।” (সূরা আনফাল ৮:১০)

সুতরাং সুসংবাদ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ছিলো ঈমান বৃদ্ধি করা। এর দ্বারা আল্লাহর প্রতি আপনার আস্থা বেড়ে যাবে। আল্লাহর প্রতিশ্রুতির উপর বিশ্বাস বাড়বে।

তো আপনি লক্ষ্য করুন যে, কুরআনের এসকল আয়াত ঈমানের স্তর উন্নীত করে মনোবল বাড়িয়ে দেয় এবং আপনার জন্য নতুন জীবন ফিরিয়ে আনে। বিপরীতে লক্ষ্য করুন – ঐ আত্মার দিকে যা তার রূহকে নিচে নামিয়ে দেয়। (আর এই আত্মা যা রূহকে নিচে নামিয়ে দেয়) তা আপনাকে বলবে, আল্লাহর কসম হে ভাই!….সবই ঠিক আছে হে ভাই!

তার কথা কিন্তু কখনো কখনো সহিহ হয় তারপরও কিছু সমস্যা? তা হলো সে কোন কিছু বুঝা ছাড়াই নিজেকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ: আপনার সামনে একটি সিংহ একটি মোরগকে ছিড়ে-ফুরে খাচ্ছে। কিন্তু তাতে আপনার কিছুই মনে হচ্ছে না, কিছু করতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু কী কারণে আপনি কিছুই করতে পারছেন না? কারণ আপনার রূহ নেই।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবেমাত্র মৃত্যুবরণ করেছেন। গোত্রগুলো মুরতাদ হওয়া শুরু করলো। একথা শুনে এক সাহাবী তরবারী উঁচু করে বললেন:

من قال أن محمدا قد مات فقد نافق يقطع رقبته

“যে বলবে: মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মারা গেছে, সে মুনাফেক হয়ে গেছে। তার গর্দান উড়িয়ে দেয়া হবে”।

এই অবস্থাটা খুব কঠিন ছিলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর সংবাদ কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। ফলে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু এসে সাহাবীদেরকে নতুন জীবন দান করলেন।

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু চমৎকার কিছু কথা বলেছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর প্রসঙ্গে তিনি বললেন: আমরা শিয়ালের মত ছিলাম (এমন শিয়াল সে উদ্দেশ্যহীনভাবে এভাবে-সেভাবে হাঁটে) আর আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাদেরকে উৎসাহ দিয়েই গেলেন, যার ফলে আমরা সিংহের মত হয়ে গেছি। তিনিই আমানত ও মানুষের হক রক্ষা করেছেন।

আপনার উপর আবশ্যক হলো – এই সংকটকালে যা কিছুই হোক না কেন – আপনি অবিচল থাকবেন। আপনি ছোট বাচ্চাদের দিকে লক্ষ্য করুন। তারা যখন বাবাকে রাগান্বিত বা বিহ্বল দেখে তখন তারা ভয় পায়, কাঁদে। আর যখন বাবাকে স্থির দেখে, তখন চুপ হয়ে যায়। এটাই হলো রূহ, এটাই হল আত্মার অবস্থা।

আমাদের নিকট অন্য একটি রূহ আছে তা হল- ভ্রাতৃত্ব। আমার উপর, আপনার উপর আবশ্যক হলো- নিজেদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরী করা। আমরা আমাদের মাঝে এবং ভাইদের প্রতি এই ভ্রাতৃত্ববোধ লালন করবো।

যখন ভ্রাতৃত্ব না থাকে তখন প্রত্যেকে অন্যের উপর কাজ চাপিয়ে দেয়। একজন ভুল করলে কেউ তাকে ক্ষমা করে না। আর যদি কেউ ভুলবশত কোন কাজ করে ফেলে তখন কেউ তার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে না। আপনি ইসলামের দিকে লক্ষ্য করুন- কীভাবে ইসলাম ভ্রাতৃত্বের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। ভ্রাতৃত্ব তো বিরাট একটি বিষয়।

[আলোচনার এই স্থানে ইটের ছবি দেখানো হয়েছে]

উপরের ইটগুলোর দিকে লক্ষ্য করুন, কীভাবে একটা আরেকটার সাথে মিলে আছে। এই ইটটি শুধু ঐ একটি ইটের সাথে সম্পৃক্ত নয়। বরং প্রতিটি ইট অপর দুইটি ইটের সাথে সম্পৃক্ত। এগুলোর দিকে লক্ষ্য করুন। তাদের মাঝে রয়েছে ভ্রাতৃত্ব মিল। আর এটাই হলো روح العمل  তথা আমলের রূহ।

তবে আমরা যদি একটি ইটের উপর থেকে আরেকটি ইট কমিয়ে ফেলি তখন আপনি মিল ও সংযুক্ততার বিষয়টি বুঝতে পারবেন এবং এগুলোকে যেভাবে ইচ্ছা জোড়া লাগাতে পারবেন। তখন তাতে মজবুত মিল বা বন্ধন পয়দা হবে। কেমন মজবুত বন্ধন? এর উত্তর নিচের হাদিসে রয়েছে।

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার আঙ্গুলগুলোর মাঝে জট পাকালেন তথা এগুলোকে একত্রিত করে দেখালেন যে, এটাই হলো ভ্রাতৃত্ব বন্ধন। আর এটাকেই বলা হয়-  روح الأخوة  অর্থাৎ ভ্রাতৃত্বের রূহ।

যখন কারো থেকে কোন ভুল দেখা যাবে, তখন তার ভুলগুলোর আলোচনা করবেন না – যা বলার দ্বারা আপনি স্বাদ পান। আপনার কোন ভাই ভুল করলে আপনি ভুলকে গোপন রাখবেন এবং তাকে সহযোগিতা করবেন। এই সহযোগিতার মাধ্যমে আপনি ভ্রাতৃত্বের স্বাদ পাবেন। আর এই স্বাদ কখন পাবেন? যখন আপনাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব থাকবে। আর এই ভ্রাতৃত্বের নামই روح العمل  তথা আমলের রূহ।

روح العمل তথা আমলের রূহ হলো একে অপরকে কল্যাণ ও তাকওয়ার উপর সহযোগিতা করা। আমরা একে অন্যকে সহযোগিতা করব। আমি আপনাকে আর আপনি আমাকে। আর এটা তো আপনার জন্য অনেক সহজ। এর দ্বারা আপনি আপনার কাজে সফল হবেন। ভাই! আপনার দোষ গোপন করে আপনাকে সাহায্য করাটাই আমার জন্য আনন্দদায়ক। এটাই আপনার জন্য হাদিয়া।

তাই তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

لأن يمشي أحدكم في حاجة أخيه خير له من أن يعتكف في مسجدي هذا

“তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের প্রয়োজনে ছুটে যাওয়া তার জন্য অধিক উত্তম আমার মসজিদে ই’তিকাফ করার চেয়ে। [1]

এই কথা স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। এবং তাঁর মসজিদে বলেছেন। আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইবাদত আমাদের মত নয়। ভাইয়ের প্রয়োজনের সময় সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়া তাঁর কাছে অধিক প্রিয়। এই সাহায্য এমন হতে পারে যে, তাকে ছাগল ক্রয় করে দেয়া বা অন্যকিছু ক্রয় করার ক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করা। এটা তো পরিস্কার দুনিয়াবি বিষয়। আর আল্লাহর রাসুল যে কাজের চাইতে উত্তম বলেছেন সেটি হচ্ছে ইতিকাফ।

চলা-ফেরার ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’য়ালা আপনার থেকে কী চাচ্ছেন সে উদ্দেশ্যটা বুঝে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। যেমন এই সময় বা এই মুহুর্তে আপনার জন্য ফরজ হলো, ভাইয়ের সেবা করা।

এমনিভাবে কাজের ক্ষেত্রেও আল্লাহর উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবেন। আমি যে কোন একটা কাজের দায়িত্বশীল হতে পারি। আমি হয়তো আমার কোন কাজে যাচ্ছি। তখন হয়তো দেখলাম যে, এক ভাই তার পরিবার নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাচ্ছে। এই মুহূর্তে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াটাই আল্লাহ আামার থেকে চাচ্ছেন। তার চিকিৎসা করা ও তার পাশে থাকাই হলো ভ্রাতৃত্বের দাবী। আর ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা তো বিরাট এক কাজ।

লক্ষ্য করুন আল্লাহ তা’য়ালার কথার দিকে, কীভাবে তিনি পরষ্পরের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। এমনকি শরীয়ত প্রণেতা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও আপনাকে এবিষয়ে সংবাদ দিচ্ছেন।

আপনি এমনভাবে কথা বলবেন না যাতে করে আপনার ভাইরা আপনার থেকে দূরে সড়ে যায়। এটা তো ভ্রাতৃত্ব নয়। স্বাভাবিক ভাবেই আপনার ভাই আপনাকে খুব কম জিনিসই বলবে। কিন্তু আপনি নিজেই তার কাছে যান, তার সাথে কথা বলুন। তাকে বলুন যে, আপনি তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসেন। আল্লাহর কসম, আমি আপনাদের সকলকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। আপনি আল্লাহ তা’য়ালার ইবাদত প্রকাশ্যে করবেন। এগুলো কেন?

পরষ্পরের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বীজ বপন করার জন্য। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে,

{ تَهَادُوْا تَحَابُّوا } رَوَاهُ اَلْبُخَارِيُّ فِي ” اَلْأَدَبِ اَلْمُفْرَدِ “

তোমরা একে অপরকে হাদিয়া দাও একে অপরকে ভালোবাসো। (আল-আদাবুল মুফরাদ-৫৯৪)

অর্থাৎ ভালোবাসাটাই হলো মূল শরয়ী উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেন:

وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلاَ تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا

“ঐ সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ। তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না ঈমান আনবে। তোমরা মু’মিন হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না একে অপরকে ভালোবাসবে।” (সুনানে ইবনে মাজাহ-৬৮ সহিহ)

সুতরাং আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি অন্য কারো জন্য নয়। আপনাকে এমন একটি উপহার দিতে চাই যার ফলে আপনি আমাকে মুহাব্বাত করবেন আমিও আপনাকে মুহাব্বাত করবো।

ভ্রাতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ তা অনেক ঝুঁকি, বিপদকে নিঃশেষ করে দেয়। কীভাবে মুহাব্বাত সৃষ্টি হবে তার পদ্ধতি তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন:

أَوَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى شَىْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ

“আমি কি তোমাদেরকে এমন কোন কিছু দেখিয়ে দিবো না যা করলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা তৈরী হবে তা হলো: তোমরা তোমাদের মাঝে সালাম প্রচার কর।” (সুনানে ইবনে মাজাহ-৬৮ সহিহ)

আপনি কারো আমীর বা দায়িত্বশীল, তখন আপনি তার সমীপে চিঠি লিখবেন এভাবে, “আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ! (আপনার উপর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক!) আমি আপনাকে সুসংবাদ দিচ্ছি, আপনার শরীর-স্বাস্থ কেমন আছে?” এই মর্মে তার সমীপে একটা চিঠি পাঠাবেন। এতটুকু আপনার জন্য যথেষ্ট।

হযরত মু’আবীয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন রাসূলের এই হাদীস শুনলেন,

من احتجب عن الرعية احتجب الله عنه

“যে ব্যক্তি প্রজাদের থেকে আড়াল হয়ে যাবে আল্লাহও তার থেকে আড়াল হয়ে যাবেন।” [2]

তখন তিনি প্রজাদের জুলুম অন্যায়ের বিষয়গুলো দেখার জন্য একজনকে নির্ধারণ করলেন। যাতে তিনি প্রজাদের সাথে দেখা করতে পারেন। কারণ সকলে তো          তার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে না।

আজ আমি সকল ভাইদেরকে এই ওসিয়ত করছি। হে ভাইয়েরা! আপনারা সকলে নিজ নিজ এলাকার সামরিক দায়িত্বশীল, হক্ব জামা’আতের আদর্শ। যা আপনার অধীনে রয়েছে বা (আপনার অধিনস্ত) এক বা দু’জন ভাইয়ের অধীনে রয়েছে। আর এভাবে ওই জামা’আতটা আমাদের সকলের জিম্মায় রয়েছে। তো লক্ষ করুন  روح العمل  বা আমলের রূহ কেমন গুরুত্বপূর্ণ।

আর যে কাজের মধ্যে রূহ নেই তার কোন মূল্য নেই। روح  এর অনেক অর্থ রয়েছে।

ইনশা আল্লাহ সামনে আমি واجبات العمل و واجبات الجماعة এর শিরোনামে তার আলোচনা করবো।

[1] উক্ত হাদিসটি এই শব্দে খুজে পাওয়া যায়নি, তাই এই মর্মের একটি সহিহ হাদিস নিম্মে উল্লেখ করছি। হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু ‘উমর (রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু) থেকে বর্ণিতঃ

مَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَخِيهِ، كَانَ اللَّهُ فِي حَاجَتِهِ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কেউ তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করবে আল্লাহ্ তার প্রয়োজন পূরণ করবেন। (বুখারী-হাদিস নং ৬৯৫১) – অনুবাদক

[2] উক্ত হাদিসটি এই শব্দে খুঁজে পাইনি, তাই এই মর্মের আরেকটি হাদিস নিম্মে পেশ করছি

مَنْ وَلاَّهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ شَيْئًا مِنْ أَمْرِ الْمُسْلِمِينَ فَاحْتَجَبَ دُونَ حَاجَتِهِمْ وَخَلَّتِهِمْ وَفَقْرِهِمُ احْتَجَبَ اللَّهُ عَنْهُ دُونَ حَاجَتِهِ وَخَلَّتِهِ وَفَقْرِهِ

“মহান আল্লাহ কোন ব্যক্তিকে মুসলিমদের কোন দায়িত্বে নিয়োগ করলে যদি সে তাদের প্রয়োজন পূরণ ও অভাবের সময় দূরে আড়ালে থাকে তখন মহান আল্লাহও তার প্রয়োজন পূরণ ও অভাব-অনটন দূর করা হতে দূরে থাকবেন”। (সুনানে আবু দাউদ ২৯৪৮) – অনুবাদক

****************************
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ (বাংলাদেশ শাখা)
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + 6 =

Back to top button