(ঈদ-উল-আযহা ১৪৪১ উপলক্ষে ‘আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ’র বার্তা) নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন
আল ফিরদাউস
Al Firdaws
پیش کرتے ہیں
পরিবেশিত
Presentsبنگالی ترجمہ
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
عنوان:
শিরোনাম:
Titled:
(عیدالاضحی 1441 کے موقع پر انصار غزوات الہند کا پیغام)
بےشک اللہ صبر کرنے والوں کے ساتھ ہیں
انصار غزوات الہند کے معزز ترجمان
طلحہ عبد الرحمن حفظہ اللہ
(ঈদ-উল-আযহা ১৪৪১ উপলক্ষে ‘আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ’র বার্তা)
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন
‘আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ’র সম্মানিত মুখপাত্র
তালহা আবদুর রাহমান হাফিজাহুল্লাহ
(Message from Ansar Gazwatul Hind on the occasion of Eid-ul-Azha 1441)
“Surely Allah is with the patient”
Respected spokesperson of Ansar Gazawatul Hind
Talha Abdur Rahman Hafizahullah
ڈون لوڈ كرين
সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading
https://mediagram.me/cbc800f10828d572
https://justpaste.it/31t1z
پی ڈی ایف
PDF (572 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৫৭২ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/gjjw872rbsskBcd
https://archive.org/download/eid-ul-…aBarta-AGH.pdf
ورڈ
WORD (634 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [৬৩৪ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/PXkPZBYy6Bk697B
https://archive.org/download/eid-ul-…Barta-AGH.docx
اپنی دعاؤں میں ہمیں یاد رکھيں
اداره الفردوس براۓ نشر و اشاعت
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন
In your dua remember your brothers of
Al Firdaws Media Foundation
=============================
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন
‘আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ’র সম্মানিত মুখপাত্র
তালহা আবদুর রাহমান হাফিজাহুল্লাহ
(ঈদ–উল–আযহা ১৪৪১ উপলক্ষে ‘আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ’র বার্তা)
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ إِنَّ اللَّـهَ مَعَ الصَّابِرِينَ ﴿١٥٣﴾وَلَا تَقُولُوا لِمَن يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ أَمْوَاتٌ ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَـٰكِن لَّا تَشْعُرُونَ ﴿١٥٤﴾ وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ ﴿١٥٥﴾ الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّـهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ﴿١٥٦﴾ أُولَـٰئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ ۖ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ ﴿١٥٧﴾
হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন। (১৫৩) আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না। (১৫৪) এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। (১৫৫) যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। (১৫৬) তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত। (১৫৭) (সূরা বাকারা ২ : ১৫৩-১৫৭)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
আনসার গাযওয়াতুল হিন্দের সকল মুজাহিদিনদের পক্ষ থেকে আমি কাশ্মীর ও ভারতের মুসলিমদের সহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ঈদ উল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তাকাব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম (আল্লাহ আমাদের এবং আপনার কাছ থেকে নেক আমলগুলো কবুল করুন)। আমীন।
আমরা দোয়া করি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যেন আমাদেরকে হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের পথে চলার তাওফিক দান করেন এবং আমাদেরকে এ যুগের নমরুদকে ধ্বংস করার তাওফিক দান করেন। আমীন।
আল্লাহর জমিনের উপর চাপিয়ে দেয়া কুফর ও শিরককে নির্মূল করা ও আল্লাহর দ্বীন জমিনে বুলন্দ করার উদ্দেশে আপনাদের মুজাহিদ সন্তানরা তাদের জীবনকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ঈদ উল আযহার এই পবিত্র মুহূর্তে তাই আপনাদের নিকট আমাদের একটি আবেদন হল – নিজেদের মুজাহিদ সন্তানদেরকে আপনাদের একাগ্র নামাজ ও দোয়াতে স্মরণে রাখবেন ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন যে, তিনি আমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা, সম্পদ ও জানের ক্ষতি দ্বারা পরীক্ষা করে নিবেন। আর এই পরীক্ষায় যারা সবর করবে তাদের জন্য সুসংবাদের ঘোষণা দিয়েছেন।
কাশ্মীরের মুমিন ও মুজাহিদ ভাইয়েরা আমার!
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার এই প্রতিশ্রুতির উপর বিশ্বাস রাখুন যে, যদি আমরা সবর করতে পারি তাহলে তিনি অবশ্যয় আমাদেরকে স্বস্তি দান করবেন এবং এই মহান জাতিকে হক্ক পথের উপর থাকার জন্য সাহায্য করবেন। বিশ্ব জগতের স্রষ্টা হস্তী বাহিনীকে ধ্বংস করার জন্য যেভাবে আবাবিল পাখিকে প্রেরণ করেছিলেন, তেমনিভাবে আমাদেরকেও সাহায্য করার পথ তৈরি করবেন ইনশা আল্লাহ।
ফেতনাওপরীক্ষারএইসময়েআন্তরিকমুজাহিদওমুজাহিদদেরসমর্থকভাইবোনদেরজন্যকরণীয়হল – আপনারাকাশ্মীরেরস্বাধীনজিহাদকেশক্তিশালীকরারজন্যপ্রস্তুতিনেয়াশুরুকরুন।নিজেরাহক্কপথেরঅনুসরণকরুনএবংঅন্যান্যদেরকাছেহক্কএরদাওয়াতপৌঁছেদিন।সর্বশক্তিমানআল্লাহররংধারণকরুন।আল্লাহরউপরভরসারাখুনএবংএকমাত্রআল্লাহরকাছেইসাহায্যপ্রার্থনাকরুন।
সত্য আবার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছে। যারা দেখতে পায় তারা অবাক হয়ে দেখেছে – মুসলিম উম্মাহর এই মহান জাতি কাশ্মীরিরা কীভাবে প্রতারণা ও মিথ্যার মায়াজালে আটকে পরে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ সবসময় এই মহান জাতিকে কাশ্মীর জিহাদকে নিয়ে অন্যান্যদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্ক করে আসছে। কারা কাশ্মীর জিহাদের জন্য হুমকি, কারা কাশ্মীর জিহাদকে ব্যর্থ করতে চায় সেটি আমরা উম্মাহর কাছে বার বার তুলে ধরেছি। ফেতনা ও বিপর্যয়ের অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়েও আমাদের সম্মানিত ভাই বোনদের জন্য নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে হলেও হক্ক পথের সন্ধান দেয়া এবং হক্কের দিকে আহবান করাকে আমরা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি।
আমাদের উপর যখন সমালোচনা ও অভিযোগের ঝড় বয়ে গেছে তখনও আমরা আমাদের এই দায়িত্ব থেকে পিছপা হয়নি। আমাদের অবস্থান না জানা থাকার কারণে যখন অন্যান্য সংগঠনের আমাদের ভাইরা আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এবং আমাদের কাজের ও অবস্থানের ব্যাপারে অভিযোগ ও সমালোচনা করেছিল তখনও আমরা আমাদের এই দায়িত্ব থেকে পিছপা হইনি। হয়তো শরিয়াহ নয়তো শাহাদাতের এই কাফেলার আমাদের পূর্বসূরিরা এই দায়িত্ব একাগ্রতার সাথে পালন করেছেন। বর্তমানে আমরাও আমাদের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের পরবর্তীরাও প্রতিটি পদক্ষেপে নিজেদেরকে মুবাসসির (যারা সুসংবাদ দেয়) ও নাদির (যারা সতর্ক করে) হিসেবে প্রমাণ করবে ইনশা আল্লাহ।
আমরাআল্লাহসুবহানাহুওয়াতায়ালারনিকটঅন্ধত্ব, বধিরতাওনাবুঝাতেপারাথেকেপানাহচাই।আল্লাহআমাদেরকেদেখা, শোনাওবুঝারতাওফিকদানকরুন, আমিন।
এই জাতির ছদ্ম নেতারা যারা দিনের পর দিন নিজেদেরকে কাশ্মীরিদের নেতা বলে দাবি করে আসছিলেন তারা এমনভাবে আড়ালে চলে গিয়েছেন যে মনে হয় তাদের অস্তিত্বই কখনো ছিল না। এই জাতির স্বঘোষিত শুভাকাঙ্ক্ষী – যারা নিজেদের স্বার্থে কাশ্মীরকে নিজেদের “অবিচ্ছেদ্য অংশ” বলতেন তারা এখন ভয় পেয়ে গেছেন এবং আবারও কুফরের সন্তুষ্টির জন্য কাশ্মীর জিহাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। পূর্বে যারা নিজেদেরকে “বেস ক্যাম্প” বলে দাবি করতেন তারা দাসত্বের এত গভীরে পৌঁছে গিয়েছেন যে মনে হয় পূর্বের শহীদদের সাথে এবং আল্লাহর সাথে করা প্রতিশ্রুতিই তারা ভুলে গিয়েছেন।
কাশ্মীর জিহাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতারণাটি হল – যুদ্ধবিরতি সীমানার ব্যাপারে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চুক্তি। কাশ্মীর জিহাদকে একদিকে গরু উপাসকরা সংকুচিত করার চেষ্টা করছে অন্যদিকে সবুজ ও তারা সম্বলিত দেশও ক্রমাগত ক্ষতি করে যাচ্ছে। নোংরা হিন্দু সেনাবাহিনীর দ্বারা এই জিহাদ যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পাকিস্তানী সেনাবাহিনী মুজাহিদিনদের সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দিয়ে ঠিক ততটাই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ বিশ্বাস করে, কাশ্মীর জিহাদকে কেবল তখনই সুরক্ষিত ও শক্তিশালী করা সম্ভব যখন বিষকে বিষ এবং মধুকে মধু বলে স্বীকার করা হবে। নইলে মরীচিকার পিছনে ছুটতে গিয়ে কাশ্মীর জিহাদকে ধ্বংস করার জন্য ইতিহাস আমাদেরকেই দায়ী করবে।
আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ কাশ্মীরের প্রতিটি মুজাহিদকে শ্রদ্ধা ও সম্মানের উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলে মনে করে। কাশ্মীরের প্রত্যেক মুজাহিদ সত্যের ধারক-বাহক এবং প্রত্যেকেই আল্লাহর কালিমাকে আল্লাহর জমিনে বুলন্দ করার জন্য যুগের নমরুদ ও ফিরাউনকে ধ্বংস করতে বেরিয়ে এসেছেন।
একারণে আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ সবসময় আল্লাহর জন্য করা আপনাদের জিহাদকে ইবাদাত রূপে গণ্য করার আহবান জানায়। আমরা সবসময় আপনার জিহাদ ও ইবাদাত যেন কোন নমরুদ বা ফিরাউনের সংস্থা বা দেশের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেব্যাপারে সতর্ক করি।
আমরা ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধের হিসেবে কাশ্মীরের প্রত্যেক মুজাহিদকে আমাদের ভাই বলে স্বীকার করি। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সকল কাজ ইসলামের অনুশাসন অনুযায়ী হওয়া উচিত। আমরা হক্ক–বাতিলের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করেছি। আমরা যখন বাতিলকে বাতিল বলে ঘোষণা করছি তখন সকল বাতিলের বিরুদ্ধেই আমাদের অবস্থান বর্ণনা করেছি। এখন এই বাতিল সোমনাথের মিথ্যা মূর্তি বা অন্য কারও ইসলামের মোড়কে কোন বাতিল বিশ্বাস – যাই হোক না কেন আমাদের কাছে বাতিল বলেই গণ্য হবে। আমরা বিশ্বাস করি এই সকল বাতিলকে অস্বীকার করার পরই আমরা আল্লাহর সাহায্য পাব। তখনই আমাদের এই চলমান পরীক্ষা ও বিপর্যয় বন্ধ হবে। এর আগে কখনোই নয়।
আমার প্রিয় ভাইয়েরা!
একটু ভাবুন! আমাদের পূর্বে আমাদের অনেক বিগত মুজাহিদিন এই ব্যাপারগুলোতে নীরব ছিলেন। কারণ তাদের এই ধারণা হয়েছিল যে সত্য কথা বললে আমাদের এই জিহাদ দুর্বল হয়ে যাবে এবং পাকিস্তান থেকে সাপ্লাই আসা বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের নীরবতা এবং তাদের কয়েকজন সহযোগীর পাকিস্তানপ্রীতির ফলাফল কি আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি না? আমাদের আজকের এই অবস্থার জন্য কি তাদের নীরবতাই দায়ী নয়?
কাশ্মীরের কত মা বোনকে অত্যাচারীদের নিষ্ঠুরতার মুখে একাকী ছেড়ে দেয়া হয়েছে? শহীদ তাওসিফের ধর্মপ্রাণ মাকে মুশরিকরা আটক করেছে। তা সত্ত্বেও শহীদ তাওসিফের ভাইয়েরা/সহযোগীরা শুধুমাত্র পাকিস্তানের নির্দেশে এই মায়ের আটক হওয়ার ব্যাপারে নীরব ছিলেন।
আমরা এই মহান মাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, তার প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তাঁর প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস আমাদের ও আমাদের পরে যারা আসবে সকলের উপর ঋণ হয়ে থাকবে। যে সকল হাত এই মায়ের আটক ও নির্যাতনের সাথে যুক্ত ছিল, তাদের কেউই আমাদের থেকে পার পাবে না ইনশা আল্লাহ।
জিহাদের পথের আমাদের সম্মানিত ভাই ও সঙ্গীগণ!
আমাদের এই জিহাদের পথে জিহাদের মূল নীতিমালাগুলো অনুসরণ না করা হলে আমরা কখনোই আমাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারবো না। একমাত্র আল্লাহর সাহায্যই আমাদের দরকার। আমাদের একমাত্র সাহায্যকারী হলেন পরাক্রমশালী আল্লাহ।
আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ আবারও আপনাদের সবাইকে আল্লাহর নুসরত পাওয়ার রাস্তা সম্পর্ক স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত আপনার।
মনে রাখবেন আপনাকে একসময় ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। কাশ্মীর জিহাদের হক আমাদের সকলকে আদায় করতে হবে। আমরা যদি আমাদের হক ঠিকভাবে আদায় না করি তবে এর ব্যাপারে আমাদের হাশরের মাঠে আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। সে সময় আমরা যে দল করি সে দলের নেতা বা কমান্ডাররা আমাদের হয়ে জবাব দিবেন না এবং তাদেরকেও আল্লাহর সামনে এই ব্যাপারে জবাব দিতে হবে।
আমাদের জিহাদ তখনই সফল হবে যখন আমরা আমাদের এই জিহাদের লক্ষ্য ঠিক করে নিতে পারবো। আমাদের জিহাদের মূল লক্ষ্য হবে – কাশ্মীরকে সকল ধরণের তাগুতি শক্তি থেকে মুক্ত করা। এরপর এখানে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই জিহাদ পরিচালনা করতে হবে।
যে কোন ধরণের জিহাদ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, সিদ্ধান্তটি জিহাদের জন্য উপকারী কিনা? যদি জিহাদের জন্য উপকারী হয় তাহলে বাস্তবায়ন করতে হবে নতুবা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। আরেকটি বিষয় হল, আমাদের এই জিহাদকে অন্য কোন দেশের বা সংস্থার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে দিব না।
প্রিয় ভাইয়েরা!
এত বছর জিহাদ করা সত্ত্বেও কেন আমরা এত নিঃসঙ্গ ও নিঃস্ব হয়েছি – এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন। কয়েক বছর আগেও যে সপিয়ান, পুলওয়ামা, কুলগাম এবং অন্যান্য অঞ্চলে মুজাহিদিনরা শক্তিশালী ছিল সেখানে এমন কি ঘটেছে যার কারণে সেসকল অঞ্চল আজ আর নিরাপদ নয়?
আমার প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা!
এই পরিস্থিতির জন্য আমরা এবং আমাদের সেসকল নেতারা দায়ী যারা ভুলের পুনরাবৃত্তি করে আবার পাকিস্তানের উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। তিল তিল করে গড়ে তোলা এই ফসলকে তারাই বার বার নষ্ট করেছেন। আমাদের কিছু জিহাদি নেতাদের পাকিস্তানের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসই কাশ্মীরের জিহাদের প্রধান শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে আবারও কাশ্মীরের মুজাহিদদের সাপ্লাই বন্ধ করে তাদেরকে অসহায় অবস্থায় রেখে পালিয়েছে।
এখন সময় হয়েছে এই প্রশ্ন তলার যে, আর কতকাল আমরা অন্য একটি দেশের স্বার্থে আমাদের জীবন উৎসর্গ করতে থাকব? অথচ সে দেশটি নিজেই আল্লাহ তায়ালার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে বসে আছে। যে দেশটির নেতারা আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতায় লিপ্ত হয়েছে কীভাবে আমরা আশা করতে পারি যে তারা আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না?
প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা,
যতক্ষণ আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিসাঢালা প্রাচীর এর ন্যায় না হতে পারবো, যতদিন পর্যন্ত আমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে না ধরবো, যতদিন পর্যন্ত আমরা জিহাদের স্বার্থকে সবকিছুর উপরে প্রাধান্য দিতে না পারবো – ততদিন পর্যন্ত আমরা সমস্যার এই খাঁদ অতিক্রম করতে পারবো না।
আমাদের রব আমাদেরকে শুধুমাত্র তাকেই একমাত্র সাহায্যকারী হিসাবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তাঁর রহমত সীমাহীন এবং তিনিই একমাত্র সাহায্য করতে সক্ষম। তাহলে কেন আমরা আমাদের রবের এই আদেশ এবং প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যাই?
প্রিয় মুজাহিদিন ভাইয়েরা!
যতক্ষণ না আমরা তাওহীদের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হব, ততক্ষণ পর্যন্ত শত্রুরা আমাদের উপরে শক্তিশালী থাকবে এবং আমরা বালির দানার মতো দুর্বল থাকব। যতক্ষণ না আমরা তাওহীদের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হব, ততক্ষণ পর্যন্ত জিহাদের শত্রুরা আমাদের জিহাদকে তাদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহার করে যাবে।
দীর্ঘ সময় ধরে অনেক বড় বড় ও সাহসী মুজাহিদিনদের শাহাদাত ও কুরবানি সত্ত্বেও আমরা আজ এই অগ্নি পরীক্ষার সম্মুখীন। এর কারণ হল আমরা ইসলামের জন্য মরতে ও মারতে বের হয়েছি ঠিকই, কিন্তু তাওহীদের পতাকাতলে একতাবদ্ধ হতে পারিনি কখনো।
আমার প্রিয় ভাইয়েরা!
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন,ঊ
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ اللَّـهِ أَندَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّـهِ ۖ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِّلَّـهِ ۗ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُوا إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلَّـهِ جَمِيعًا وَأَنَّ اللَّـهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ ﴿١٦٥﴾
আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ইমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হ’ত যদি এ জালেমরা পার্থিব কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর। (সূরা বাকারা – ২: ১৬৫)
অতএব, আমাদের প্রিয় ভাইয়েরা –
জেনে রাখুন – আমাদের ভালবাসা, আমাদের ইবাদত, আমাদের জিহাদ, আমাদের সিদ্ধান্ত, আমাদের জীবন এবং আমাদের মৃত্যু কেবলমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য হওয়া উচিত। এই ভালবাসায়, ইবাদতে, জিহাদে, সিদ্ধান্তে, জীবন এবং মৃত্যুতে আমরা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য করবো। কারণ আল্লাহই আমাদের একমাত্র রব।
সবশেষে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন আমাদেরকে তাঁর জমিনে তাঁর কালিমা বুলন্দ করার জন্য কাজ করার তাওফিক দান করেন, কাশ্মীরকে সব ধরণের নিপীড়ন থেকে মুক্তি দান করেন এবং জমিনে ইসলামের পতাকাকে উঁচু করে দেন। আমীন।
আর সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্যই।
আনসার গাযওয়াতুল হিন্দের মুখপাত্র
তালহা আবদুর রাহমান হাফিজাহুল্লাহ
জিলহাজ্জ ১৪৪১, জুলাই ২০২০