পাকিস্তান দখলকারী জেনারেল এবং শাসকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা – উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al-Hikmah Mediaپیش کرتے ہیں
পরিবেশিত
Presentsبنغالي ترجمہ
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
عنوان:
শিরোনাম:
Titled:
پاکستان پر قابض جرنیلوں اور حکمرانوں سے چند باتیں
পাকিস্তান দখলকারী জেনারেল এবং শাসকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা
Some words for the generals and rulers occupying Pakistan
ازاستاد اسامہ محمود حفظه الله
উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
Ustad Usamah Maḥmudڈون لوڈ كرين
সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading
https://mediagram.io/cd8dfde30baf6ba5
https://justpaste.it/7tr0e
تفريغ PDF (0.99 MB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [০.৯৯ মেগাবাইট]
https://mega.nz/file/P11EAAjS#6nc1F4oLxBKioK_1UE9JJiwBRBQRQYzatZhMIIG9EN4
https://www.mediafire.com/file/vo7dm0dajeuwujy/PakistaniGeneralOSasokterUddessheKotha.pdf/file
https://1drv.ms/b/s!AkbGhFY69IwDcTJI976dg5Mx9cg?e=t0BQqO
https://uptobox.com/pgqnt9c4k031
https://files.fm/u/784x5zmn
https://www.solidfiles.com/v/2weM2mGxvrg3R
https://www105.zippyshare.com/v/aGOdwuxz/file.html
https://anonfiles.com/j2U8Qdw5od/PakistaniGeneralOSasokterUddessheKotha_pdf
https://www.sendspace.com/file/xlzfsh
https://1fichier.com/?auysjtxbvvwck3oa0tmr
https://archive.org/details/pakistani-general-osasokter-uddesshe-kotha_202011
https://www.mediafire.com/file/vo7dm0dajeuwujy/PakistaniGeneralOSasokterUddessheKotha.pdf/file
https://www.solidfiles.com/v/2weM2mGxvrg3R
https://anonfiles.com/j2U8Qdw5od/PakistaniGeneralOSasokterUddessheKotha_pdf
https://mega.nz/file/KBtXAa7A#CeeOHA_y-aMCQtSEeq-JRRPNTvHtk-sshP7bxi9SwVs
https://mymegacloud.com/download/dXBsb2Fkcy9qYWhpZDI0L0FMLUhJS01BSC1NRURJQS9QYWtpc3RhbmlHZW5lcmFsT1Nhc29rdGVyVWRkZXNzaGVLb3RoYS5wZGY=/h/1539634f77a6f1d850cf0ee65c4c755b
https://archive.org/download/pakistani-general-osasokter-uddesshe-kotha_202011/PakistaniGeneralOSasokterUddessheKotha.pdf
تفريغ WORD (940 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [৯৪০ কিলোবাইট]
https://mega.nz/file/m40iUQbK#k-KBLydALnNyuXjAfDXdI8PQzC46lt946qnnLImAoFY
https://www.mediafire.com/file/0mfm490x3avb3on/PakistaniGeneralOSasokterUddessheKotha.docx/file
https://1drv.ms/w/s!AkbGhFY69IwDciYyVZXzgTfBTj4?e=OfwcdI
https://uptobox.com/vqbacx9mkcv3
https://files.fm/u/8r5acaea
https://www.solidfiles.com/v/4yjzvrGnmkMPK
https://www105.zippyshare.com/v/HYx1M9J0/file.html
https://anonfiles.com/l9U7Q7wbo1/PakistaniGeneralOSasokterUddessheKotha_docx
https://www.sendspace.com/file/4npe5v
https://1fichier.com/?173s8rcbd09s2854tonq
https://archive.org/details/pakistani-general-osasokter-uddesshe-kotha_202011
https://www.mediafire.com/file/0mfm490x3avb3on/PakistaniGeneralOSasokterUddessheKotha.docx/file
https://www.solidfiles.com/v/4yjzvrGnmkMPK
https://mymegacloud.com/download/dXBsb2Fkcy9qYWhpZDI0L0FMLUhJS01BSC1NRURJQS9QYWtpc3RhbmlHZW5lcmFsT1Nhc29rdGVyVWRkZXNzaGVLb3RoYS5kb2N4/h/3325b6560e93748d24298d1f3ed705a0
https://mega.nz/file/mB9DgKTQ#TZE70SQ5v_g0wjek1dQ0YGRay1LA4BrT5ITsgW0obmY
https://anonfiles.com/Tdl87cocp1/PakistaniGeneralOSasokterUddessheKotha_docx
https://archive.org/download/pakistani-general-osasokter-uddesshe-kotha_202011/PakistaniGeneralOSasokterUddessheKotha.docx
اپنے دعا ميں هميں یاد رکھيں
اداره الحكمة براۓ نشر و اشاعت
القاعدہ برِّ صغیر (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ (বাংলাদেশ শাখা)
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]
========================
পাকিস্তান দখলকারী জেনারেল এবং শাসকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা
[দেশব্যাপী ধর্মীয় লোকদের গ্রেপ্তার এবং গুম হওয়া, গোপন সংস্থার গুণ্ডাদের হাতে সতীত্ব রক্ষাকারিণী বোনদের অপহরণ, মুজাহিদীনদের ফাঁসি এবং কৃত্রিম যুদ্ধ–বিগ্রহে নিরস্ত্র বন্দিদের শহীদ হওয়া সম্বলিত ঘটনার উপর আলোচনা]
উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ
بسم الله الرحمٰن الرحيم.
সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব–জগতের প্রভুর জন্য। দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক মুজাহিদীনদের নেতা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ এবং তাঁর সকল সাথীগণের উপর৷ হামদ ও সালাতের পর–
কাপুরুষ সেজে সত্য গোপন করে আড়াল করছ কেন?
আমরা যা কিছু করেছি, করছি এবং করার ইচ্ছা করি এর সবকিছুই আমরা বলি; কখনো তা গোপন করি না। ডঙ্কা বাজিয়ে ঘোষণা করি, কখনো জাতির সামনে বলতে ইতস্ততঃ করি না। বরং নিজ জাতিকে অবগত রাখার মাধ্যমেই আনন্দ–বোধ করি। অথচ তোমাদের মিডিয়া এগুলো গোপন করে। সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্যে রূপান্তরিত করে প্রকাশ করে। তখন আমরা নিজেরাই আবার তা ঘোষণা করি। পূর্ণ দায়িত্বের সাথে আমাদের কাজের বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করি।
আমাদের মুজাহিদীনদের কৃত কোন একটি ঘটনা, কোন একটি আক্রমণ এমন নেই, যা আমরা প্রকাশ করিনি অথবা তার কারণে লজ্জিত হয়ে অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়েছি। তোমাদের বেতনভোগী যে সকল অফিসার ও ঘাতকদেরকে আমরা হত্যা করেছি তার ব্যাপারে তোমাদেরকে এবং তোমাদের জাতিকে পূর্ণাঙ্গভাবে জানিয়ে দিয়েছি। আমরা কি চাই, কোন উদ্দেশ্যে মাঠে আছি এবং আমাদের লক্ষ্য কি, তা আমরা প্রকাশ্যে বলে দেই। কিন্তু তোমরা সত্যের ঢোল পিটিয়ে সত্য বলতে লজ্জাবোধ করো কেন? জাতির হেফাজতের নামে রক্ত প্রবাহিত করে তাদের সামনেই তার দায়িত্ব গ্রহণ করতে সঙ্কোচ করো কেন? তোমরা বাস্তবতাকে গোপন করা এবং সত্যকে মিথ্যার পোশাক পরানোর মধ্যেই কেন তোমাদের নিজেদের সম্মান এবং বেতন সংরক্ষণের উপায় খুঁজে পাও?
জেলে বন্দি নিরস্ত্র, নেককার যুবকদেরকে যদি রশিতে বেধে গুলি করে, ঝাঁযরা করে – শহীদ করার পর তাদের মৃতদেহগুলো ফেলে দাও, তাহলে ফের বীরত্বের সাথে তা বলেও দাও। মূলনীতি, কানুন, বিচারকার্য এবং আইন নামক খেলনা তো তোমাদের হাতেই তৈরি হয়েছে। যদি তোমাদের হাতেই তা ভঙ্গ এবং ধ্বংস হয় তাহলে এতে লজ্জা কিসের? তোমাদের ডলার আছে, শক্তি এবং মিডিয়া আছে। তারপরও কাপুরুষতার সাথে মিথ্যা, প্রতারণা এবং ধোঁকাবাজি করো কেন? মিথ্যা যুদ্ধ এবং কৃত্রিম প্রতিদ্বন্দ্বিতার নাটক সাজিয়ে মিথ্যাকে সত্য এবং সত্যকে মিথ্যারূপে কেন উপস্থাপন করো? যে সমস্ত মা–বোনদের ওড়না পর্যন্ত কোনদিন কোন ভিন–পুরুষ দেখেনি, আজ তাদেরকেই তোমাদের বেতনভোগী লম্পট এবং দুশ্চরিত্র গুণ্ডারা অপহরণ করছে। যদি বিজয়ের এই ঝাণ্ডা জাতির উন্নতির নামেই স্থাপন করছ, তাহলে ফের জাতির কাছে সত্য বলা এবং সত্যকে সামনে রাখতে তোমাদের প্রাণ বের হওয়ার অবস্থা হয় কেন?
সত্যকে গোপন করে লুকানো যায় না
২০১৩ ঈসায়ীতে তোমাদের সংস্থার লোকেরা লাহোরের পাঁচজন যুবককে তাদের পরিবারসহ একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। অবরুদ্ধ পাঁচজন নারীর মধ্যে চারজন গর্ভবতীও ছিল। তোমাদের কর্মচারীরা তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, পুরুষেরা যদি অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করে তাহলে নারী এবং বাচ্চাদেরকে নিজ নিজ আত্মীয় স্বজনের কাছে নিরাপদে ফিরিয়ে দিবে। যুবকেরা আত্মসমর্পণ করল। কিন্তু তোমাদের সংস্থার গুণ্ডারা ঐ সমস্ত নারীদেরকে প্রকাশ্যে তাদের সাথে নিয়ে গেল।
ঘটনাটি মিডিয়াতেও প্রচার হয়েছিল, এখন যুবকদের থেকে কতককে শহীদ করে দেওয়ার সংবাদও শুনা যাচ্ছে। রাতের আধারে প্রকোষ্ঠ থেকে বের করে নিয়ে মাথায় গুলি করে দিয়েছে। কিন্তু নারীরা কোথায়?
আড়াই বছর যাবত তাদের কোন খোঁজ নেই! তাদের আত্মীয় স্বজনেরা আড়াই বছর পর নিজেদের নীরবতা ভেঙ্গে, তাদের ঐ–সমস্ত মেয়েদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করার পর, তোমাদের দায়িত্বশীল শাসকরা পরিষ্কার অস্বীকার করে বলে যে, ঐ–সমস্ত নারী এবং বাচ্চাদের ব্যাপারে তাদের কোন কিছুই জানা নেই। বরং তারা তো বন্দিই হয়নি!
তোমাদের অপারেশন ‘জারবে আজব’ মার্কিন মেরিন সেনাদের পৃষ্ঠপোষকতায় চালু রয়েছে৷ মার্কিন ড্রোন আরব মুজাহিদীনদেরকে শহীদ করেছে। তোমাদের সেনারা তাঁদের নারী ও বাচ্চাদের উপর বোমাবর্ষণ করেছে। তারা যখন বাধ্য হয়ে এই এলাকা থেকে বের হতে লাগল তখন তোমাদের সেনারা ঐ–সমস্ত অসহায়, নিরস্ত্রদের বিরুদ্ধে ওঁত পেতে থেকে দু’বার আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা এবারও রক্ষা করেছেন। তখন এসমস্ত অসহায় লোকগুলো আশ্রয় খোঁজার সাহস হারিয়ে ফেলেছে। ড্রোন ছিল তাদের মাথার উপর। মার্কিনীদের নির্দেশে তোমাদের সেনাদের বিশেষ একটি গ্রুপ ঐ সমস্ত “ভয়ংকর” সন্ত্রাসীদেরকে উঠিয়ে নেওয়ার জন্য রাস্তায় এসেছিল।
বাসের বিচক্ষণ লোকেরা সাক্ষী যে, ঐ–সমস্ত নারী এবং বাচ্চাদেরকে তোমাদের বীর সেনারা গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে। কোন জেলে বা ক্যাম্পে তাদেরকে রাখা হয়েছে? কোন আদালতে বিচারকার্য চলছে? মার্কিনীদের কাছে এদেরকে তোমরা বিক্রি করে দিয়েছ, নাকি এখন পর্যন্ত এসমস্ত নারীরা তোমাদের গুণ্ডা সেনাদের নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে? কি অবস্থায় এবং কার দয়া ও অনুগ্রহে আছে? এসকল প্রশ্নের কোন উত্তর নেই।
গ্রেফতারের সংবাদটা পর্যন্ত মিডিয়ার কোনো চ্যানেলে বা সংবাদপত্রে আসেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তলবকৃত ‘আ‘দনান শুকরি’ আরব মুজাহিদ ছিলেন। তাঁর অন্যায় ও অপরাধ ছিল জিহাদ এবং নিপীড়িত জাতির পক্ষে প্রতিরোধ করা। মার্কিন ড্রোনের তত্ত্বাবধানে তোমাদের সেনারা জ্ঞানী লোকদের মাঝে তার উপর অতর্কিত আক্রমণ করেছে। আ‘দনান রহিমাহুল্লাহকে শহীদ করে তোমাদের অফিসাররা মার্কিনীদের নিকট থেকে বাহবা এবং পুরষ্কার লাভ করেছে। আ‘দনান রহিমাহুল্লাহর বিধবা স্ত্রী ও বাচ্চাদেরকে ধরে তোমাদের এই সেনারা তাদের সাথে নিয়ে গিয়েছে। এই মুহাজিরাহ নারী কোথায় আছে এবং তার বাচ্চার কোন অবস্থায় আছে, কারও জানা নেই!
করাচী থেকে পেশাওয়ার পর্যন্ত পুরো পাকিস্তানের শহরে–শহরে ধর–পাকড়ের ধারাবাহিকতা চালু আছে। রাতের আধারে তোমাদের সেনারা ঘরে ঢুকে এমন যুবকদেরকে জোর–পূর্বক নিয়ে যায়, যাদের অপরাধ হলো তাদের ধার্মিকতা। তাদের গুনাহ হলো – তারা আল্লাহর কিতাবের উপর আমল করে। তাদের অপরাধের ভয়ংকর আলামত হলো তাঁদের চেহারায় থাকা নববী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ! যেখানে নেওয়ার ইচ্ছা হচ্ছে সেখানেই নিয়ে যাচ্ছ। কোন কানুনের অধীনে এবং কার আদালতে এদেরকে উপস্থাপন করা হয়? কারও কোন কিছু জানা নেই!
তোমরা তাদের সংবাদটা পর্যন্ত মিডিয়াতে আসতে দাও না! মাতা–পিতা এবং আত্মীয়–স্বজনেরা কিছু বলার ইচ্ছা করলে তোমাদের কর্মচারীরা তাদেরকে ধমক দিয়ে দেয়। যুবকদেরকে গ্রেফতার করার পর তাদেরকে উধাও করা এতো পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যে, এ যুগে ‘আমাদের পাকিস্তানের’ রেকর্ড ইসরাইলের সমান পৌঁছে গিয়েছে! শুধুমাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে দেড়শত মুজাহিদীনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে৷ এটাতো হলো তাদের সংখ্যা, যাদেরকে তোমাদের জেনারেল এবং শাসকেরা তোমাদের প্রকাশ্য বিশেষ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দিয়েছ। নতুবা আদালতের বাহিরে তোমাদের হাতে নিহত হওয়ার সংখ্যা আরও বেশি।
তোমাদের সেনা এবং সংস্থার কাছে অসংখ্য যুবক এবং বৃদ্ধ বন্দি আছে। তারা কখন এবং কীভাবে বন্দি হয়েছে তা আত্মীয়–স্বজন, নিকটাত্মীয় এবং এলাকার সমস্ত লোক জানে। গ্রেফতারের তারিখ পর্যন্ত তাদের স্মরণ আছে। কিন্তু ঐ–সমস্ত বন্দি যুবক এবং বৃদ্ধদেরকে হত্যা করে একথা বলে তাদের মৃতদেহগুলো ফেলে দেয় যে, তাঁরা পারস্পরিক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। প্রতিদিন পাঁচ–ছয়জন বন্দির শাহাদাত সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়ে গিয়েছে।
মিথ্যা আক্রমণ এবং কৃত্রিম পারস্পরিক যুদ্ধে তাদেরকে হত্যা করার নাটক প্রতি কয়েকদিন পর পর মিডিয়াতে প্রচার করে দাও। ঐ–সমস্ত বন্দিদের উপর কোন আদালত এবং নীতির অধীনে বিচার চলেছে? তাদের অবস্থান কী ছিল, অপরাধ কী ছিল? এটা কাউকে বলা হয়না!
তোমাদের গোপন সংস্থার কর্ণধাররা ঘরে ঢুকে সতী–সাধ্বী মা–বোনদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও দিন–দিন বেড়েই চলেছে৷ এসকল বোনেরা কোথায় চলে যায়, কেউ জানে না। মিডিয়ার কোন চ্যানেলই এই বিষয়ে কোন কথা বলেনা। এমন নীরবতা যে, মনে হয় কিছুই হয়নি। যদি নারীদের আত্মীয়–স্বজনেরা কথা বলার ইচ্ছা করে তোমরা তখন তাদেরকেও গুম করে ফেল। এক–দু’জন নয়, অপহরণ–কৃত বোনদের সংখ্যাও শত–শত ছাড়িয়ে গিয়েছে।
তোমাদের দাবি যদি জাতির কল্যাণের হয়, তাহলে জাতির সামনে সত্য বলে দেখাও!
যদি তোমাদের জাতির প্রতি সহানুভূতির ইচ্ছা থাকে, তাদের দুঃখে দুঃখিত হওয়া এবং তাদের সুখে সুখী হওয়ার দাবি যদি করে থাক, তাহলে তাদের সামনে মিথ্যা না বলে, বরং সত্য বলে দাও৷
বলে দাও যে, এদেশে আমরা ইসলাম চাইনা। এখানে আমাদের জন্য লজ্জা এবং ইমান অসহ্য। জাতীয় পর্যায়ে অন্যায় ও খারাপ কাজের প্রচলন করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য এবং কুফর ও ধর্মহীনতার চর্চা আমাদের রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য। স্পষ্ট করে দাও যে, আমাদের চেষ্টা হলো জাতিকে উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং জৈবিক চাহিদার গোলাম বানিয়ে রাখা। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, শয়তানী এবং স্বার্থপরতার উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য জাতির ইহকালীন স্থিতিশীলতা ধ্বংস এবং পরকালীন জীবন সম্পূর্ণ নষ্ট করা। এ উদ্দেশ্যে জাতির বাচ্চাদেরকে প্রবৃত্তি এবং শয়তানের বন্দি বানানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।
বলে দাও! ঢোল পিটিয়ে বলে দাও যে, আমাদের ইশতেহার হলো আল্লাহর দ্বীনের সাথে শত্রুতা এবং ধার্মিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। দ্বীনকে শুধুমাত্র মসজিদে সীমাবদ্ধ রাখা আমাদের উদ্দেশ্য এবং কুরআনে কারীমকে প্রবৃত্তি–পূজারীদের অনুগত রাখা আমাদের পবিত্র আইন…..
জিহাদ নবীদের (আলাইহিস সালাম) অযীফা, মহান ইবাদত, কুরআনে কারীমের শত শত আয়াতের নির্যাস এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের স্পষ্ট এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ। অতঃপর এই জিহাদের মৌলিক শরয়ী সংজ্ঞা হলো, আল্লাহর জমিনে, আল্লাহর শরী‘য়াকে কার্যত শাসক বানানোর জন্য যুদ্ধ করা। কিন্তু তোমরা ঘোষণা করে দাও যে, জিহাদের এই শিক্ষাকে বিকৃত করা এবং জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর এই অর্থকে সমাজ থেকে শেষ করা আমাদের মৌলিক দায়িত্ব। জাতির কাছে গোপন করো না যে, আমাদের ‘জিহাদই’ হলো ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মাধ্যমে শত্রুর প্রতিরক্ষা করা। বরং বলে দাও যে, তোমাদের ‘জিহাদের’ উদ্দেশ্যই হলো জালেম এবং কাফেরদের গোলামী করা। তাগুতের প্রতিরক্ষার জন্য নিজেদের মা–বোনদের অপহরণ করে উধাও করা বা মার্কিনীদের কাছে বিকিয়ে দেওয়াটাই হলো ‘জিহাদের’ নতুন অর্থ, এটা বুঝিয়ে দাও!
তাদেরকে আন্তর্জাতিক জিহাদের সংজ্ঞা পড়িয়ে দাও যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর শরী‘য়াহ প্রতিষ্ঠার জন্য পা বাড়াবে, তাদের জনপদগুলো ধ্বংস করা এবং তাদের বাচ্চা, বৃদ্ধ এবং যুবকদেরকে ধরে ধরে গুলির দ্বারা ঝাঁযরা করা!
বলে দাও! নির্দ্বিধায় ঘোষণা করো যে, মদিনার বাদশাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরী‘য়াহ এবং প্রতিষ্ঠিত সমাজ আমাদের জন্য নমুনা নয়। আজ আমাদের জন্য হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ন্যায় বিচার ও ইনসাফ উপমা থাকেনি, বরং আমাদের আদর্শ হলো নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন এবং প্যারিসে প্রতিষ্ঠিত শাসনব্যবস্থা ও সমাজব্যবস্থা। সেখানের শাসন পদ্ধতি এবং সমাজের রীতি–নীতিই আমাদের ‘ইসলামিক’ এবং ‘কল্যাণজনক’ রাষ্ট্রের পদ্ধতি এবং নীতি হবে। আর এই ‘উচ্চ’ মাকসাদ পর্যন্ত পৌঁছার রাস্তায় আগত সকল বাধাকে বোমা এবং মিসাইলের দ্বারা উড়িয়ে দেওয়াটা আমাদের মৌলিক ‘চিকিৎসা আইন’!
এই পুরোপুরি এবং বাস্তব সত্য বলার পর এটা বলাও তোমাদের জন্য কোন কঠিন বিষয় হবে না যে, এদেশে আইন–কানুন, আদালত এবং মূলনীতি আছে। এখানে মানুষ, বাচ্চা এবং নারীদের ‘অধিকার’ এবং মুক্ত স্বাধীন মতামতের অবকাশও আছে। তবে এসমস্ত ‘অধিকার’ দ্বীন বিরোধীদের জন্য। এই ‘স্বাধীনতা’ তারাই ভোগ করবে যারা দ্বীনের বাস্তবায়ন চায় না।
কিন্তু যারাই আজকের এই যুগে ইসলামের ‘কট্টরতাকে’ জয়ী রাখার এজেন্ডা রাখবে, পূর্ণাঙ্গভাবে কুরআনে কারীম অনুযায়ী চলার ইচ্ছা রাখবে, আমাদের এখানে তাদের জন্য পূর্ণ নীতি–হীনতাই হলো নীতি। এমন ‘বিপদজনক’ ব্যক্তির জানেরও মর্যাদা নেই এবং ইজ্জতেরও মর্যাদা নেই। এমন লোকদেরকে শেষকরা, দোষারোপ করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে ভীতিকর বানানোর জন্য সত্যকে মিথ্যা বানানোটাই প্রকৃত সত্য এবং নিকৃষ্টতম অন্যায়কে ন্যায় দেখানোই হলো প্রকৃত ন্যায়!
এটাও বলে দাও যে, এদেশে চোর–ডাকাতদের জন্য স্থান আছে, সরকারি মহলে পদ পর্যন্ত আছে, কিন্তু কুরআনে কারীমের নির্দেশানুযায়ী জিহাদের ইবাদত–কারীদের জন্য এখানে কথা ও কাজের কোন স্বাধীনতা নেই। বুঝিয়ে দাও যে, এখানে নর্তকীদের সম্মান আছে, দেশ ভাগকারীদের জন্য প্রোটোকল আছে, জাতির কন্যাদের বিক্রয়কারীদের জন্য পুরষ্কার আছে এবং জাতির শত্রুদের জন্য, নিজেদের উপর গোলাবারুদ বর্ষণকারীদের জন্য উন্নতি এবং ফ্লাট আছে। কিন্তু নির্যাতিত জাতির জন্য, নিজেকে নিজে উৎসর্গকারী খাঁটি মুজাহিদীনদের জন্য এখানে জিরো–টলারেন্স। তাঁদের কোন অধিকার নেই, তাঁদেরকে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে পচে–গলে মরার জন্য উধাও করা হবে অথবা জেল থেকে বের করে গুলির দ্বারা ঝাঁযরা করে তাদের মৃতদেহগুলো ফেলে দেওয়া হবে। গোলাবারুদের বৃষ্টি বর্ষণ করে তাদের জনবসতিগুলোকে ভূপৃষ্ঠ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। তাদের মা–বোনদেরকে অপহরণ করে উধাও করে ফেলা হবে অথবা ‘অসভ্য’, ‘সন্ত্রাসবাদী’ এবং ‘অন্যদের এজেন্ট’ – এরূপ মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হবে….। তোমাদের কাছে এগুলো শুধু জায়েজই নয় বরং প্রয়োজনীয় বিষয়। আর এটাই হলো তোমাদের যুদ্ধ কৌশল!
এটা চিরন্তন সত্য এটাকে কেউ গোপন করতে পারবে না
তবে তোমরা যদি জাতির সামনে সত্যকে না বল, মিথ্যা বলার জিদ ধর এবং জাতিকে অন্ধ ও বধির বানিয়ে রাখার চেষ্টা করো – তাহলে তোমাদেরকে একথা মেনে নিতে হবে যে, না তোমরা এই জাতির কল্যাণ–কামী, আর না এদেশের সাথে তোমাদের কোন মোহাব্বত আছে।
তোমাদের প্রিয় হলো শুধুমাত্র নিজেদের বিলাসিতা এবং রাজ খরচ। তোমাদের কাছে না ধর্মের কোন মূল্য আছে; আর না এখানের নির্যাতিত জনগণের কোন মর্যাদা আছে। তোমরা তোমাদের সন্তানেরও শত্রু এবং এই জাতির বাচ্চাদের ব্যাপারেও তোমরা দোষী। তোমাদের যদি জাতির প্রতি সামান্য পরিমাণও খেয়াল থাকত তাহলে তাদের সামনে সত্য কথা বলতে ভীত হতে না। সাহসিকতা ও বীরত্ব দেখিয়ে সত্যকে সত্য, আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলে দিতে এবং জাতির শত্রুদের গোলাম হয়ে নিজেদের লোকদেরকে ব্যাপকভাবে হত্যা করতে না।
তবে কি তোমাদের এই মিথ্যা, ধোঁকা এবং প্রতারণা সত্যকে মিথ্যা প্রমাণিত করতে সফল হয়ে যাবে? হত্যা ও লুট–পাট, বোমাবাজি, ধরপাকড়, অপহরণ এবং গুণ্ডামির দ্বারা কি তোমরা এই বরকতময় জিহাদকে পরাজিত করতে পারবে? এটাই তোমাদের ভুল ধারণা এবং আত্ম প্রবঞ্চনা!
এসমস্ত মুজাহিদীনকে তোমাদের নিজের এবং নিজেদের সেনাদের ন্যায় ধারণা করাটাই তোমাদের সবচেয়ে বড় বোকামি। মুজাহিদীনদের কাফেলা উন্নতি, সুযোগ–সুবিধা, মাসিক ভাতা এবং ফ্ল্যাট অর্জনের জন্য জিহাদে অংশগ্রহণ করে না। বরং জিহাদের মাঠে অবতরণের পূর্বেই এ পথের উত্থান–পতন সম্পর্কেও তাদের জানা থাকে এবং শাহাদাতের মাধ্যমে নিজেদের গন্তব্য স্থান সম্পর্কেও অধিক জানা থাকে।
তাদের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করা। আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্নত রাখতে যেয়ে এ পথে শহীদ হয়ে যাওয়া মুজাহিদদের আকাঙ্ক্ষা হয়ে থাকে। তোমরা তাদেরকে হত্যা এবং কারাবাসের যে ভয় দেখাও, তা আল্লাহর পথে আসা মুজাহিদীনরা নিজেদের জন্য পুরষ্কারের কারণ এবং শুভকামনার নিদর্শন মনে করে। এটা ঐ জিহাদি কাফেলারই বরকত যে, তাদের মুখোমুখি হওয়ার দ্বারাই তোমাদের নষ্টামি প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। এটা ঐ–সমস্ত মুজাহিদীনদের দয়া যে, তাদের কুরবানির কারণেই তোমাদের দ্বীনের সাথে শত্রুতা, বর্বরতা, স্বার্থপরতা এবং হীনমন্যতা সাধারণ মুসলমানদের দৃষ্টিতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
মুজাহিদ ভাইদের বন্দিত্ব এবং শাহাদাত অথবা মুসলিম বোনদের আর্তনাদ এ–সবকিছু তোমাদের দ্বীনের এবং জাতির সাথে গাদ্দারির মুখোশ উন্মুক্ত করে দেয়। যেই সত্য কিতাবে লেখা হয়েছে এবং বক্তব্যে আলোচিত হয়েছে, বর্তমানে জনগণ পথে–ঘাটে, বাজারে এবং শিক্ষাঙ্গনে তার বাস্তব চিত্র নিজ চোখের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করছে। সত্যকে তোমরা যতই চাপিয়ে রাখতে চাও, ততই তা আত্মপ্রকাশ করে। তোমরা বাস্তবতার উপর যতই পর্দা ফেলতে চাও, ততই তা পর্দা ভেদ করে তোমাদের কুফর এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ানোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রকাশিত হয়।
করাচী থেকে খায়বার পর্যন্ত যত মুজাহিদীনকে তোমরা বন্দি করো – শহীদ করে তাঁদের মৃতদেহগুলো ফেলে দাও অথবা নিজেদের আদালতের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলাও – তাঁদের প্রত্যেকের জীবনী এক একটি স্পষ্ট এবং উজ্জ্বল বই। তাঁদের অতীত জীবন এ কথার সাক্ষ্য দেয় যে, এসকল যুবকেরা তোমাদের ন্যায় জাতির শত্রু এবং জনগণের জন্য লুটপাট–কারী ছিল না। তাঁরা স্বার্থপর এবং লোভী ছিল না, বরং প্রত্যেকের একটি উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল।
প্রত্যেকে ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্ব, হিতাকাঙ্ক্ষীতা ও সহমর্মিতা, ধার্মিকতা ও একনিষ্ঠতার জীবিত–জাগ্রত প্রতিচ্ছবি ছিলেন। ঐ–সমস্ত মহান যুবকদের ভূমিকা শিক্ষক, আত্মীয়–স্বজন এবং পরিচিতদের মাঝে প্রজ্বলিত আছে। তাঁদেরকে যখন তোমাদের বাহিনী, স্বার্থপর শাসক এবং মার্কিন গোলাম দুশ্চরিত্র জেনারেলদের সাথে তুলনা করা হয়, তখন নিশ্চিত আল্লামা ইকবাল রহ.-এর এই বাজপাখি; হৃদয়ের শাসক বনে যায়। এই নিয়ন্ত্রিত হৃদয়ও তখন তোমাদের অন্যায় ও কুফরির বিরুদ্ধে সারিবদ্ধ হয়ে জিহাদের মাঠে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে যায়।
স্বয়ং আমি সাক্ষী যে, যখনই তোমরা কোন একজন মুজাহিদকে মেরে ফেলেছ, তখন তাঁর পরিচিতদের মধ্যে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাচ্চাদের মধ্যে পর্যন্ত জিহাদের মোহাব্বত বৃদ্ধি পেয়েছে। জিহাদি কাফেলায় একজনের শাহাদাত দশজনের আসার কারণ হতে দেখেছি এবং একজনের নজরবন্দি বিশ জনের জীবন পরিবর্তনের মাধ্যম বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আমাদের চ্যালেঞ্জ
বর্তমানে তোমাদের এই আদালতের মাধ্যমে মুজাহিদীনদেরকে অপরাধী সাব্যস্ত করা এবং তাদেরকে ফাঁসি দেওয়ার বিষয়টি আছে। এটা তো মুজাহিদীনদের জন্য মর্যাদা এবং সৌভাগ্যের বিষয়। এরচেয়ে বড় গর্বের কথা আর কি হতে পারে যে, আলহামদুলিল্লাহ! তাঁদের এসমস্ত ‘আদালত’ থেকে ইজ্জত ও সম্মানের সার্টিফিকেট অর্জিত হচ্ছে না!!
ফেরাউনি ‘ইনসাফের’ ঐসকল কাঠগড়ায় হযরত মুসা (আলাইহিস সালামকে) ইজ্জত ও সম্মান দ্বারা সামান্যই মর্যাদা দান করা হয়েছিল। ফেরাউনের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আল্লাহর ভূমিতে, আল্লাহর রাজত্বের ঘোষণা দানকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই ছিল! ফেরাউনের মিথ্যাকে মিথ্যা বলা এবং মুসা (আলাইহিস সালামের) সত্যের সত্যায়নকারী জাদুগরদেরকে ‘সম্মানের সাথে’ মুক্তি দিয়ে দেয়া হয়নি। বরং তাদেরকে ‘উদাহরণ স্বরূপ’ বানানোর আগ্রহ পূর্ণ করা হয়েছিল!
পৃথিবী এখনও তেমনই আছে। দরবার এবং ভূমিকাও অভিন্ন, শুধুমাত্র চেহারা ভিন্ন। ফেরাউনও আল্লাহর অবাধ্য ছিল আর আজকের শাসক এবং জেনারেলরাও বর্তমান সময়ের ফেরাউন আমেরিকার গোলাম হয়ে আল্লাহর আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করছে।
এমনিভাবে মুসা (আলাইহিস সালাম)-এর সুন্নাহর উপর আমলকারী যুবকদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অপারেশন হওয়া কোন তাজ্জবের বিষয় নয়। কেননা বন্দিত্ব এবং শাহাদাত তো নবীদের (আলাইহিস সালাম) পথের চিহ্ন!
আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আল্লাহর ভয় পোষণকারী উলামায়ে দ্বীন আমাদের এসমস্ত যুবকদের মামলা পরিচালনা করবেন এবং এসকল জেনারেল ও শাসকদেরকে কুরআনী ইনসাফের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন। তবে পাকিস্তানী আইন নামক ছল্লি–বল্লির অধীনে নয় এবং ঐ–সমস্ত কাফের এবং আমেরিকার গোলাম শাসকদের আদালতের নির্দেশের অধীনেও নয়। বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনীত শরী‘য়াহর আলো এবং আল্লাহর কর্মগত সাংবিধানিক ক্ষমতার অধীনে মামলা পরিচালনা করা হবে। আবদ্ধ কামরাও গ্রহণযোগ্য নয়। উন্মুক্ত মাঠে সমস্ত জনগণের সামনে শরয়ী আদালতের এই কর্ম–পরিচালনা হবে। একশত ভাগ বিশ্বাস এবং দায়িত্বের সাথে বলতেছি যে, জেনারেলদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানোর সিদ্ধান্ত হবে, শাসকদের শিরশ্ছেদের আদেশ আসবে এবং জেলে বন্দি দীর্ঘশ্বাস গ্রহণকারিণী ঐ–সমস্ত নিপীড়িত বোন এবং নিপতিত মুজাহিদীনরা সম্প্রদায়ের হিরো এবং বীরের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হবে।
শেষ কথা……তোমরা অপেক্ষা করো!
বোনদের বন্দিত্ব, মুজাহিদীনদের ধর–পাকড় এবং আল্লাহর বন্ধুদের এই শাহাদাত জিহাদের পথের সকল পথিককে এই পথে আরো বেশি অবিচল করে দেয়। তাদের হৃদয় প্রতিশোধের ক্রোধ ও রাগে ফুসে উঠে এবং শাহাদাতের দিকে ধাবিত হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। কোন একজন মুমিন বোনও যদি বন্দি থাকে অথবা কোন মুমিন পুরুষও যদি জিঞ্জিরাবদ্ধ থাকে, তখন একজন মজলুমের জন্য হলেও তোমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং তোমাদের জুলুমের সাথে লড়াই করা ফরযে আইন হয়ে যায়।
সুতরাং এসমস্ত জুলুম মুজাহিদীনকে অধিক তীব্রতা এবং উদ্যমতা দান করে এবং তাঁদেরকে তোমাদের বিরুদ্ধে নতুন সংকল্পের সাথে জিহাদের মাঠে অবতরণের প্রতি অনুপ্রাণিত করে। তোমাদের জুলুমকে বাধা দিতে এবং তোমাদের জালেম হাতগুলোকে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য প্রত্যেক দ্বীনদার এবং মুজাহিদ আশা করে।
অতঃপর এটাও মনে রাখতে হবে যে – আমাদের মা, বোন এবং বাচ্চাদের উপর হাত উঠিয়ে উল্টো আমাদের উপর মহিলা এবং বাচ্চাদের উপর জুলুমের অপবাদ দান কোন কাজে আসবেনা। আমরা যদি আল্লাহর অনুগ্রহে জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারি, তাহলে জালেমদেরকে চেনা এবং তাদের হাত ভেঙে দেওয়ার পদ্ধতিও ভালো করে জানা আছে। ঐ–সমস্ত মা, বোন এবং ভাইদের হয়ে প্রতিশোধ নেওয়া আমাদের উপর দায়িত্ব। বরং এটা ফরয এবং আমাদের উপর ঋণ হয়ে আছে। তবে আমাদের এই প্রতিশোধ জালেম এবং মাজলুম এর মধ্যে পার্থক্য করে দেয়। মহিলা, বাচ্চা এবং তোমাদের ন্যায় অপরাধীদের মধ্যে পার্থক্যও আমাদের জানা আছে।
সুতরাং তোমাদের এই জুলুমের কারণে আমাদের তরবারি তোমাদেরকেই খুঁজে বেড়াবে। কোন প্রতিষ্ঠান তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না এবং তোমাদের পলায়নও কোন উপকারে আসবে না ইনশা–আল্লাহ।
যেই অফিসার এবং যেই আমলারাই এই জুলুমে শরীক আছে, আমরা তাকে খুঁজে বের করে তাকে তার কৃতকর্মের কঠিন শাস্তি দিবো এবং অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত স্বরূপ বানাবো ইনশা আল্লাহ্। একাজকে আমরা মুজাহিদীনরা আল্লাহর অনুগ্রহে আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ মনে করি। তোমাদের রাজত্ব এবং নিরাপত্তা থাকুক বা না থাকুক, মুজাহিদীনরা থাকবেই ইনশা–আল্লাহ। প্রত্যেক আগত দিন আল্লাহর অনুগ্রহে তাঁদের অবস্থানের বিজয় এবং শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
সুতরাং তোমরা অপেক্ষা করো, আমরাও অপেক্ষা করছি…!
……………… والله غالب علي امره ولكن اكثر الناس لايعلمون
………আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় কর্মে প্রবল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানেনা। (সূরা ইউসুফ – ২১)
وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصحبه أجمعين.
তারিখ: ৫–ই নভেম্বর, ২০১৫ ঈসায়ী
***************
Apnader sathe jogajog korbo ki Kore vhai?