অডিও ও ভিডিওআর্কাইভপাকিস্তান আর্কাইভবাংলা প্রকাশনাশাইখ মুস্তাফা আবুল ইয়াজিদ রহিমাহুল্লাহহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

পাকিস্তানের জনগণের প্রতি বার্তা- শাইখ মুস্তফা আবুল ইয়াজিদ

পাকিস্তানের জনগণের প্রতি বার্তা- শাইখ মুস্তফা আবুল ইয়াজিদ

ভিডিও লিংক- https://archive.org/details/AMessageToThePeopleOfPakistan-SheikhMustafaAbulYazidra

পিডিএফ লিংক-https://archive.org/download/AMessageToThePeopleOfPakistan-SheikhMustafaAbul-yazid/AMessageToThePeopleOfPakistan-SheikhMustafaAbul-yazid.pdf


পাকিস্তানের মুসলিম জনগণের প্রতি বার্তাঃ

শাইখ মুস্তাফা আবুল-ইয়াযিদ

[আল্লাহ তার প্রতি রহমত বর্ষণ করুন]

[বিঃদ্রঃ তিনি এই খুতবা দেয়ার কিছু দিন পর অর্থাৎ, ২০১০ সালের মে মাসে আমেরিকার ড্রোন হামলায় স্বপরিবারে শহীদ হন]

 

পরিবেশনায়

আন্তর্জাতিক ইসলামিক মিডিয়া ফ্রন্ট

 

  • অটল থাক! গাজায় ইসলামের সিংহ পুরুষেরা!! অবশ্যই, আল্লাহর অনুগ্রহে, ইসলাম ও মুসলিমের বিরুদ্ধে ইহুদী-খ্রিষ্টান ক্রুসেডারদের শেষ নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় শুরু হয়ে গিয়েছে এবং খুব শীঘ্রই আল্লাহর ইচ্ছায়, যা ঘটেছিল তাদের পূর্বপুরুষদের উপর, তারা সেই একই পরিণতি দেখতে পাবে।
  • পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য এবং মানে কি?
  • তা হচ্ছেঃ “ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ”,
  • যার সামগ্রিক এবং পুরোটার মধ্যেই রয়েছে একত্ববাদ (তাওহীদ)-এর আক্বীদা,
  • যার একটি মূলনীতি হচ্ছে, আইন তৈরি ও শাসন করার অধিকার একমাত্র আল্লাহর,
  • পাকিস্তান কি কুরআন ও সুন্নাহ্ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে?
  • কেউ কি এই কথার দাবী করতে পারবে যে, পাকিস্তানের সংবিধান, এর আইন ও শাসন ব্যবস্থা ইসলামিক শরিয়াহ্ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে?
  • পাকিস্তান কি কাশ্মীরকে ভারতের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করার জন্য সাহায্য করছে? [“পাকিস্তান ও ভারত শত্রু নয়” -প্রেসিডেন্ট জারদারি]

নাকি এর চোর প্রেসিডেন্ট কাশ্মীরের মুজাহিদদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিচ্ছে?

  • [কাশ্মীরে অস্ত্রসহ যুদ্ধ করা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড -প্রেসিডেন্ট জারদারি/অথচ আমেরিকা জারদারির অনুমতি নিয়ে কাশ্মীরে মিসাইল আক্রমন চালিয়েছে]
  • পাকিস্তান কি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি, নাকি এটি আবার ভারতের একটি অংশ হতে যাচ্ছে, যা ছিল ৬০ বছর আগে?
  • যদি পাকিস্তান যা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের জন্য, আল ওয়ালা (মুসলিমদের প্রতি বন্ধুত্ব) ওয়াল বারা (কাফেরদের প্রতি শত্রুতা) প্রকাশ করার জন্য, অথচ পাকিস্তান অস্থিত্বে আসার পর ৬০ বছর অতিক্রম হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনও কেন এর কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি?
  • এই দেশ ইসলামিক শরীয়া অনুযায়ী পরিচালিত হয় না …মুসলিমদেরকে রক্ষা করে না বরং তাদেরকে হত্যা করছে এবং তাদের সম্পদগুলোকে ধ্বংস করছে।
  • এই দেশ কাফিরদের সাথে শত্রুতার ঘোষণা না করে, বরং তাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব মুসলিমদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রকারের সহযোগিতা প্রদান করছে।
  • এত কিছুর পরও কি “ পাকিস্তানের মূলনীতি”-এর কোন কিছু অবশিষ্ট রইল?
  • আগ্রাসী বাহিনীকে আমাদের ভূমি থেকে বের করার জন্য এবং তাদের নিযুক্ত পুতুল শাসকদের থেকে আমাদের ভূমিকে পবিত্র করার জন্য কুরআনে দেয়া আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে সমাধান হচ্ছে-জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ । [“তোমরা তাদের সাথে লড়াই করতে থাকো, যতোক্ষণ না ফিতনা নির্মূল হয় এবং জীবন ব্যবস্থা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়…।” (সূরা বাকারাহ্ঃ ১৯৩)]
  • আমরা ভারতের সরকারের প্রতি সংক্ষিপ্ত সতর্কবাণী পাঠাচ্ছিঃ মুজাহিদীনরা কখনও তোমাদেরকে মুসলিম ও তাদের ভূমি পাকিস্তানকে দখল করতে দিবে না।
  • তোমরা যদি তারপরও গোড়ামী কর তবে জেনে রাখ, মহান আল্লাহর ইচ্ছায়, তোমাদেরকে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে এবং অবশেষে তোমরা এর জন্য চরম আফসোস করবে।
  • আমরা সমস্ত মুসলিম উম্মাতকে আহবান করব এবং আল্লাহর ইচ্ছায় মুজাহিদিন ও ফিদায়ী বাহিনী তোমাদের অর্থনৈতিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতে আঘাত হানবে যতদিন না তোমরা ধ্বংস ও দেউলিয়া হয়ে যাও; যেমনটি আমেরিকা এখন ধ্বংস ও দেউলিয়া হওয়ার পথে।
  • বম্বের সাহসী বীর শহীদেরা (আল্লাহ তাদের উপর রহমত বর্ষণ করুন) তোমাদের ভূমির মধ্যে আক্রমণ করেছে ও তোমাদেরকে লাঞ্ছিত করেছে, আল্লাহর ইচ্ছায় মুসলিম উম্মাহ্ এরকম আরও হাজারো বীর মুজাহিদ তৈরি করতে সক্ষম।
  • রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ“সকল মুসলিম সমান সমান। যে কোন মুসলিম (কম সম্মানিত হোক অথবা কম সংখ্যক হোক একজন কাফেরকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম, এবং সবচেয়ে দূরবর্তী মুসলিমেরও এটা মেনে চলা উচিত, মুসলিমরা সকলের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ”
  • তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেনঃ “মুসলিমরা একে অপরের ভাই ভাই, তারা একে অপরের প্রতি জুলুম করেনা, পরিত্যাগ করেনা, অপমানিত করেনা।”

 

হে আমার মুসলিম ভাইয়েরা (সমস্ত পৃথিবীর) এবং বিশেষভাবে পাকিস্তানের! আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

অতঃপর…

আমি পাকিস্তানের মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভারতের হুমকির ব্যাপারে কথা বলতে চাই। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর কথা বলার পূর্বে, আমি আমার ও আমাদের পরিবারের এবং মুজাহিদীন ভাইদের পক্ষ থেকে গাজায় দৃঢ়ভাবে থাকা ভাইদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং শোক প্রকাশ করছি, যারা শাহাদাতকে ভালবাসে এবং প্রতিনিয়ত আমেরিকা এবং ইহুদী অপরাধীদের অস্ত্রের দ্বারা আহত, আর্থিক ক্ষতি এবং ব্যাপকভাবে ধ্বংসের শিকার হচ্ছে।

আমি আল্লাহ তা’আলার কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি, শাইখ নিযার রাইয়ান, তার মহৎ পরিবার, এর সাথে গাজার অন্যান্য মুসলিম শহীদদের প্রতি, পুরো ফিলিস্থিনের এবং সমস্ত দুনিয়ার শহীদদের কবুল করেন এবং তাদের মর্যাদাকে উন্নীত করেন। আমি তাঁর নিকট আরো প্রার্থণা করি যেন তিনি, তাদের আহতদের দ্রুত সুস্থ করে দেন এবং ইয়াতীম ও বিধবাদের তাঁর অধীনে বিশেষ তত্ত্বাবধায়ন করেন এবং তাদেরকে নিরাপত্তা দেন।

আমি অত্যন্ত বিনীতভাবে তাঁর কাছে দু’আ করি; তিনি যেন তাঁর মহানুভবতা এবং করুণার মাধ্যমে গাজায় ইসলামের মুজাহিদীনদের উপরে প্রশান্তি, দৃঢ়তা ও সাহায্য নাযিল করেন এবং তিনি যেন তাদের অন্তর ও পা গুলোকে দৃঢ় রাখেন এবং তাদেরকে দ্রুত সম্মানজনক ও সুস্পষ্ট বিজয় দান করেন এবং যেন তিনি তাদের দুর্দশা যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে দেন।

আমি আমাদের মুসলিম ভাই, তাদের পরিবারগুলো এবং যারা গাজাকে ভালবাসেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছিঃ আল্লাহর কসম! যিনি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য সত্যিকারের অন্য কোন ইলাহ্ নেই, যদি আমরা আন্তর্জাতিক কাফির -আমেরিকা, তাদের সহযোগী, তত্ত্বাবধায়নকারী এবং অপরাধী ইহুদীদের রক্ষাকারীদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত না থাকতাম এবং যদি এত সীমান্ত না থাকত, যা আমরা দিনের পর দিন নিঃশেষ করে দেয়ার চেষ্টা করছি তোমাদের নিকটে পৌছানোর জন্য, তাহলে আমরা ঝাপিয়ে পড়তাম এবং জান ও প্রাণ দিয়ে তোমাদেরকে রক্ষা করতাম। শুধুমাত্র একটি বিষয়ই যা আমাদের ধৈর্য্য ধরতে সাহায্য করছে আর তা হল, আমরা তোমাদের শত্রুদের আঘাত করার মাধ্যমে প্রতিশোধ নিচ্ছি এবং আল্লাহর সাহায্য এবং সহায়তার দ্বারা দিনের পর দিন তোমাদের নিকটে চলে আসছি।

অটল থাক! ধৈর্য্য ধারণ কর! শত্রুদের চেয়ে বেশী ধৈর্য্য ধারণ কর এবং নিজেকে দূর্গ হিসেবে প্রস্তুত কর, অবশ্যই আল্লাহ্ তা’আলা প্রদত্ত সাহায্য এবং শক্তির মাধ্যমে বিজয় খুবই নিকটে।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ

“(আল্লাহর) আরো অনেক নবীই (এখানে এসে) ছিলো, সে নবী (আল্লাহর পথে) যুদ্ধ করেছে, তার সাথে (আরো যুদ্ধ করেছে) অনেক সাধক (ও জ্ঞানবান) ব্যক্তি, আল্লাহর পথে তাদের ওপর যতো বিপদ-মসিবতই এসেছে তাতে (কোনোদিনই) তারা হতাশ হয়ে পড়েনি, তারা দূর্বলও হয়নি, (বাতিলের সামনে তারা) মাথাও নত করেনি, (এ ধরনের) ধৈর্য্যশীল ব্যক্তিদেরকই আল্লাহ তা’আলা ভালোবাসেন। তাদের (মুখে) এছাড়া অন্য কথা ছিলো না যে, তারা বলছিলো, হে আমাদের মালিক, তুমি আমাদের যাবতীয় গুনাহ্ খাতা মাফ করে দাও, আমাদের কাজকর্মের সব সীমালংঘন তুমি ক্ষমা করে দাও, এবং (বাতিলের মোকাবেলায়) তুমি আমাদের পা-গুলোকে মজবুত রাখো, হক ও বাতিলের (যুদ্ধে) কাফেরদের ওপর তুমি আমাদের বিজয় দাও। অতপর আল্লাহ্ তা’আলা এই (নেক) বান্দাদের দুনিয়ার জীবনেও (ভালো) প্রতিফল দিয়েছেন এবং পরকালীন জীবনেও তিনি তাদের উত্তম পুরস্কার দিয়েছেন; আল্লাহ্ তা’আলা নেককার বান্দাদের ভালোবাসেন।” [৩:১৪৬-১৪৮]

অটল থাক! গাজায় ইসলামের সিংহ পুরুষেরা!! অটল থাক! গাজায় ইসলামের সিংহ পুরুষেরা!! অবশ্যই, আল্লাহর অনুগ্রহে, ইসলাম ও মুসলিমের বিরুদ্ধে ইহুদী-খ্রিষ্টান ক্রুসেডারদের শেষ নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় শুরু হয়ে গিয়েছে এবং খুব শীঘ্রই আল্লাহর ইচ্ছায়, তারা সেই একই পরিণতি দেখতে পাবে যা তাদের পূর্বপুরুষদের সাথে ঘটেছিল ।

“…সেদিন ঈমানদার ব্যক্তিরা ভীষণ খুশী হবে। আল্লাহ্ তা’আলার সাহায্যেই (এটা ঘটবে), তিনি (যখন) যাকে চান তাকেই (বিজয়ে) সাহায্য দান করেন; তিনি মহাপরাক্রমশালী ও পরম দয়ালু।” [সূরা আর-রূমঃ ৪-৫]

আমার প্রিয় পাকিস্তানের মুসলিম ভাইয়েরা!

কেবলমাত্র সৎকর্মশীলগণ ছাড়া কেউই এই দ্বীন ইসলামের সম্মান, মর্যাদা এবং মুসলিমের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসবে না। দূর্নীতিগ্রস্থ, বিশ্বাসঘাতক এবং মুরতাদ রাজনীতিবীদরা, যাদেরকে কিছু অপরাধী, চোর এবং বিশ্বাসঘাতক ব্যক্তিরা পরিচালনা করে, তারা কখনোই একে রক্ষা করতে আসবে না। অথবা না তারা এগিয়ে আসবে একে রক্ষা করতে, যারা ভ্রান্ত গণতান্ত্রিক এবং কাফেরদের পদ্ধতি ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী বিচার ফায়সালা পরিচালনা করে। পাকিস্তানকে রক্ষা করতে ঐ সকল সেনা প্রধানরাও এগিয়ে আসবে না, যারা দুনিয়ার খুব তুচ্ছ সুবিধা ভোগ এবং তাদের পদোন্নতির আশায় তাদের দ্বীনকে বিক্রয় করে দিয়েছে এবং অকাতরে মুসলিম ভাই ও বোনদের রক্ত ঝরাচ্ছে; একে রক্ষা করার জন্য তারা কখনও এগিয়ে আসবে না, যারা পাকিস্তানের মুসলিমদেরকে হত্যা করছে। একমাত্র মুজাহিদীনরাই পাকিস্তান এর রক্ষার কাজে এগিয়ে আসবে -যারা শত্রুদের সম্মুখে ঘাঁটি গেড়ে ধৈর্য্য এবং দৃঢ়তার সাথে অপেক্ষা করছে, এবং যারা আল্লাহ্ তা’আলার নির্দেশকে মেনে চলছে।

মহান আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

“হে মানুষ, তোমরা যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছো, তোমাদের মধ্যে কোনো লোক যদি নিজের দ্বীন (ইসলাম) থেকে (মুরতাদ হয়ে) বের হয়ে যায় (তাতে আল্লাহ্ তা’আলার কোনো ক্ষতি নেই,) তবে আল্লাহ্ তা’আলা অচিরেই (এখানে) এমন এক সম্প্রদায়ের উত্থান ঘটাবেন যাদের তিনি ভালোবাসেন, তারাও তাঁকে ভালোবাসবে, (তারা হবে) ঈমানদারদার প্রতি কোমল ও কাফেরদের প্রতি কঠোর, তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে, কোনো নিন্দুকের নিন্দার পরোয়া তারা করবে না; (মূলত) এ (সাহসটুকু) হচ্ছে আল্লাহর একটি অনুগ্রহ, যাকে চান তাকেই তিনি তা দান করেন; আল্লাহ্ তা’আলা প্রাচুর্যময় ও প্রজ্ঞার আধার।” [সূরা মায়েদাঃ ৫৪]

এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

“আমার উম্মতের মধ্যে একটি তাঈফা (ছোট দল) সত্যের উপরে যুদ্ধ করতে থাকবে, কিয়ামত সংগঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত, তারা বিজিত থাকবে।”

ধৈর্য্যশীল মুজাহিদীনরা, যারা আল্লাহ্ তা’আলার উপর ভরসা করে এবং তাঁর কাছ থেকেই পুরস্কারের আশা রাখে, আল্লাহ্ তা’আলার ইচ্ছায় তারাই অতীতেও মুসলিমদের উপর ক্রুসেডার, জায়নিষ্ট এবং হিন্দুদের আক্রমনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অতীতেও এগিয়ে এসেছিল এবং ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসবে।

এরাই হচ্ছে সেই সকল মুজাহিদীন যাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং তার মিত্র ক্রুসেডাররা সম্মিলিতভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং এরাই হচ্ছে তারা যাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানী সরকার মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। যদি আল্লাহ্ তা’আলার অনুগ্রহ এবং অতঃপর মুজাহিদীনদের দৃঢ়তা না থাকত তাহলে পাকিস্তানকে বিভক্ত এবং খন্ড-বিখন্ড করার ক্ষেত্রে আমেরিকান খ্রীষ্টান ক্রুসেডাররা সফলকাম হয়ে যেত।

আমার প্রিয় পাকিস্তানের মুসলিম ভাইয়েরা,

আপনারা কি দেখছেন না আমেরিকা ভারতের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদর্শন করছে, বিশেষতঃ পারমানবিক শক্তির ক্ষেত্রে? এটি কি পাকিস্তানের নিরাপত্তা এবং ঐক্যবদ্ধতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকির ইঙ্গিত বহন করছে না? আমেরিকা পাকিস্তানকে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ চাবি হিসাবে ব্যবহার করছে, যার নাম তারা দিয়েছে “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ”, এবং সহযোগিতা দিচ্ছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট শত্রু ভারতকে, যারা পাকিস্তানের ধ্বংস কামনা করে, এটি কারো অজানা বিষয় নয়।

বস্তুতঃ আমেরিকা পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং তার সরকারকে দক্ষিণ এশিয়ায় আমেরিকান খ্রিষ্টান ক্রুসেডারদের সেবা প্রদানের কাজে ব্যবহার করার মাধ্যমে তাদের নিজেদের হাতেই নিজেদেরকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। আর যখন নিজেদের মধ্যে বিপর্যয়, দলাদলি, অন্তঃদ্বন্দ এবং অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বিশৃংখলার পর্যায়ে উপনীত হবে, তখন তারা চোখ বন্ধ করে রাখবে যদি ভারত এর উপর আক্রমন চালায়। এই পরিস্থিতিতে উপনীত হলে, ভারতের জন্য এই দেশকে বিখন্ডিত করা এবং দখল করা খুবই সহজ একটি কাজ হয়ে যাবে।

এই হচ্ছে পাকিস্তানের বিষয়ে আমেরিকার পরিকল্পনাঃ প্রথমত, নিজেদের মাধ্যমে নিজেদেরকে ধ্বংস করানো এবং দ্বিতীয়ত, এর শত্রুদের দ্বারা এর উপর আক্রমন চালানো।

আমার প্রিয় পাকিস্তানের মুসলিম ভাইয়েরা!

৬০ বছর পূর্বে (পূর্ব ও পশ্চিম) পাকিস্তানকে গঠন করা হয়েছিল এই উদ্দেশ্য নিয়ে যে, এটি মুসলিমদের আবাসভূমি হবে, যেখানে তারা ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং আল্লাহর কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” এর মাধ্যমে শাসন কার্য পরিচালনা করবে, কিন্তু এটি অসংখ্য দূর্নীতিগ্রস্থ শাসকদের পরিচালনার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে, যারা সক্রিয়ভাবে “শারিয়াহ্” এবং “জিহাদ” এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং সর্বব্যাপী পাপাচার ও অনৈতিকতা ছড়িয়ে বেরাচ্ছে । তারা গণতন্ত্রকে তাদের দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করেছে, এবং তারা মনে করে “শারিয়াহ্” বাস্তবায়নের চেয়ে এটিই তাদের জন্য উৎকৃষ্ট, একই সময়ে তারা মুসলিমদেরকে পাকিস্তানে এবং আফগানিস্তানের মধ্যে হত্যা করছে এবং ক্রুসেডারদের কাছে অতি নগণ্য মূল্যে এবং দুনিয়াবী কিছু স্বার্থের বিনিময়ে পাকিস্তানকে বিক্রি করে দিচ্ছে ।

এগুলো দেখে কি আপনাদের মনে কিছু ভয়ংকর প্রশ্নের উদয় হয় না? এটাই কি সেই পাকিস্তান যার জন্য লক্ষ লক্ষ মুসলিমরা তাদের নিজেদের জীবন, ধন সম্পদ এবং ঘর-বাড়ী বিসর্জন দিয়েছিল? যদি লক্ষ লক্ষ মুসলিমের কুরবানীর মাধ্যমে পাকিস্তান হয়ে থাকে, তাহলে কেন আমরা আজ এই পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছি? এখন আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে, কিভাবে আমরা এই বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারব, যা পাকিস্তানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে?

এর পরিষ্কার জবাব হচ্ছে এটি সেই পাকিস্তান নয়, যার জন্য লক্ষ লক্ষ মুসলিমরা তাদের নিজেদের জীবন ও সহায়-সম্পত্তির বিসর্জন দিয়েছিল। এটি অবশ্যই সেই পাকিস্তান নয়, যার জন্য অটল এবং ক্ষমতাশালী সীমান্তবর্তী উপজাতিরা জিহাদ করেছিল এই উদ্দেশ্যে যে, ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে যা পরিচালিত হবে “শারিয়াহ্” এর ভিত্তিতে এবং মুসলিমদেরকে রক্ষা করা হবে। ভারত উপমহাদেশের (বর্তমান ভারত,পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) লক্ষ লক্ষ মুসলিম তাদের জীবন ও সবচেয়ে প্রিয় জিনিসগুলোকে বিসর্জন দিয়েছিল এই উদ্দেশ্য নিয়ে যে, এখানে এমন একটি রাষ্ট্র কায়েম হবে যা ইসলাম দ্বারা পরিচালিত হবে ও মুসলিমদের মিত্র হবে এবং সাহায্য ও নিরাপত্তা দান করবে ইসলাম ও মুসলিমদের এবং যা কাফের-মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা করবে।

এই রাষ্ট্র কি কখনও সেই পর্যায়ে উপনীত হয়েছিল? কখনও কি তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিল হয়েছিল? বরং পাকিস্তানের মুসলিমরা সম্পূর্ণ বিপরীত ফল পেয়েছে? পাকিস্তানে কি ইসলামিক শারিয়াহ্ দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয় এবং আত্ম-সমর্পন করে এর কর্তৃপক্ষের কাছে, যারা “শারিয়াহ্” ছাড়া অন্য কোন কিছুকে শ্রেষ্ঠ মনে করে না, নাকি এটি হচ্ছে সেই রাষ্ট্র যা পরিচালিত হয় গণতন্ত্র এবং অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে, যার সংবিধান এবং আইন পরিপূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে “শারিয়াহ্”?

আপনি তাকিয়ে দেখুন পাকিস্তানের আইন এবং পদ্ধতির দিকে যা তারা প্রয়োগ করছে, হে মুসলিম ভাইয়েরা! এটি আপনার কাছে প্রথম পলকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, এটি শুধু ইসলামিক আইনকেই প্রত্যাখ্যান করছে না, বরং তারা অনুমোদন দিচ্ছে জুলুম ও অনৈতিকতাকে এবং চোর ও বিশ্বাসঘাতকদের স্বার্থকে রক্ষা করছে! এই উপমহাদেশে (বর্তমান ভারত,পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) যখন মুসলমানরা জিহাদ করেছিল এবং সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়েছিল পাকিস্তানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, এর মূলতন্ত্র, যা তারা তাদের নিজেদের ভাষায়ই প্রকাশ করেছিলঃ “পাকিস্তান কেয়া মাতলাব ?” “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”, যার অর্থ হচ্ছেঃ “পাকিস্তানের লক্ষ্য এবং অর্থ কি?” এর উত্তর হচ্ছেঃ “আল্লাহ্ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য অন্য কেউ নেই”, যার সামগ্রীক এবং পুরোটার মধ্যেই রয়েছে একত্ববাদ (তাওহীদ)-এর আক্বীদা, এবং যার একটি মূলনীতি হচ্ছে, আইন তৈরি ও শাসন করার অধিকার শুধুমাত্র আল্লাহর, এ ধারণা আরো অধিক পরিষ্কারভাবে পাওয়া যায় কুরআনের মধ্য থেকে, যা তিনি বলেনঃ

“…(মূলত) আইন বিধান জারি করার অধিকার একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলারই; আর (এ বিধানের বলেই) তিনি আদেশ দিচ্ছেন, তোমরা আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়া অন্য কারো গোলামী করবে না…।” [সূরা ইউসূফঃ ৪০]

আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ

“না, আমি তোমার মালিকের শপথ, এরা কিছুতেই ঈমানদার হতে পারবে না, যতোক্ষণ না তারা তাদের যাবতীয় মতবিরোধের ফায়সালায় তোমাকে (শর্তহীনভাবে) বিচারক মেনে নেবে, অতপর তুমি যা ফায়সালা করবে সে ব্যাপারে তাদের মনে আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ থাকবে না, বরং তোমার সিদ্ধান্ত তারা সর্বান্তকরণে মেনে নেবে।” [সূরা নিসাঃ ৬৫]

পবিত্র কুরআন আরো পরিষ্কার করে দেয় একজন ঈমানদার বান্দার বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে, আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ

“আমি যদি এ (মুসলমান)-দের আমার যমীনে প্রতিষ্ঠা দান করি, তাহলে তারা (প্রথমে) নামায প্রতিষ্ঠা করবে, (দ্বিতীয়ত) যাকাত আদায় (-এর ব্যবস্থা) করবে, আর তারা সৎকাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে, তবে সব কাজেরই চূড়ান্ত পরিণতি একান্ত ভাবে আল্লাহ্ তা’আলারই এখতিয়ারভূক্ত।” [সূরা হাজ্জঃ ৪১]

পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা কি এই রূপ আছে? পাকিস্তান কি কুরআন ও সুন্নাহ্ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে? কেউ কি এই কথার দাবী করতে পারবে যে, পাকিস্তানের সংবিধান, এর আইন এবং শাসন ব্যবস্থা ইসলামিক শরিয়াহ্ অনুযায়ী হচ্ছে? এখানে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করতে চাই আর তাহল, পাকিস্তানে একটি সাধারণ ধারণা প্রচলিত আছে যে, এর সংবিধানে ইসলামিক আইনের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করা আছে, এবং শুধুমাত্র তাদেরকেই দোষারোপ করা হয়ে থাকে, যারা এটি বাস্তবায়ন করছে অথবা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ন করছে।

এটি খুবই দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, এই পুরো ধারণাটাই ভুল। পাকিস্তানের সংবিধান ইসলামিক আইন অনুসারে করা হয়নি এবং এর আইনগুলো তার সাথে বিরোধপূর্ণ। আমরা যদি আবারও ফিরে তাকাই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যের দিকে, তাহলে আমরা দেখতে পাবো ভারত উপমহাদেশের (বর্তমান ভারত,পাকিস্তান ও বাংলাদেশ)-এর মুসলমানেরা তাদের জীবন এবং প্রিয় জিনিসগুলো পাকিস্তানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিসর্জন দিয়েছিল এই উদ্দেশ্যে যে, এখানে রক্ষা করা হবে মুসলিমদের জীবন, ইজ্জত, সম্মান, পবিত্রতা এবং একই সাথে প্রতিষ্ঠিত করা হবে এমন একটি রাষ্ট্র যা আল্লাহর আদেশ পালন করবে, তিনি বলেছেনঃ

“তোমাদের এ কি হয়েছে, তোমরা আল্লাহর পথে সেসব অসহায় নর-নারী ও (দুস্থ) শিশু সন্তানদের (বাঁচাবার) জন্য লড়াই করো না, যারা (নির্যাতনে কাতর হয়ে) ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের মালিক, আমাদের জালেমদের এই জনপদ থেকে বের করে (অন্য কোথাও) নিয়ে যাও, অতপর তুমি আমাদের জন্যে তোমার কাছ থেকে একজন অভিভাবক (পাঠিয়ে) দাও, তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্যে একজন সাহায্যকারী পাঠাও।” [সূরা নিসাঃ ৭৫]

… এর অর্থ দাড়ায় পাকিস্তান দ্বারা বোঝানো হত ঈমানদারদের সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন স্থাপনের এক নব জাগরণ, যা আল্লাহ্ তা’আলার সত্য বাণীকেই পূরণ করেঃ

“ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী হচ্ছে একে অপরের বন্ধু। এরা (মানুষদের) ন্যায় কাজের আদেশ দেয়, অন্যায়কাজ থেকে বিরত রাখে, তারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে, (জীবনের সব কাজে) আল্লাহ্ তা’আলা ও তাঁর রাসূলের (বিধানের) অনুসরণ করে, এরাই হচ্ছে সে সব মানুষ; যাদের ওপর আল্লাহ্ তা’আলা অচিরেই দয়া করবেন; অবশ্যই আল্লাহ্ তা’আলা পরাক্রমশালী, কুশলী।” [সূরা তাওবাঃ ৭১]

এর ভিত্তিতে, পাকিস্তান দ্বারা বোঝানো হত উপমহাদেশের মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা, যা হোক এর পূর্ব অর্থাৎ বর্তমানে বাংলাদেশ অথবা এর পশ্চিম অর্থাৎ বর্তমানে পাকিস্তান অথবা এর দ্বারা বোঝানো হত পাঞ্জাবী, পাশতুন, সিন্ধী, বেলোচী বিভিন্ন ধরনের মানুষের মধ্যে তাওহীদের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধের কথা এবং এর দ্বারা বোঝানো হত

ভারত উপমহাদেশের সাথে বিশ্বের অন্যান্য মুসলিমদের মধ্যে ইসলামিক ভ্রাতৃত্বের নব জাগরণ। বর্তমানে কি পাকিস্তানের এই অবস্থা আছে? এটি কি সেই পাকিস্তানের সরকার? যারা আত্মরক্ষা করে মুসলিমদের জান, মাল, ইজ্জত এবং সম্মান, নাকি এটি সেই দেশ যার সরকার মুসলিমদের হত্যা করছে আফগানিস্তানে এবং পাকিস্তানের মধ্যে, তাদেরকে ধাওয়া করছে, নির্যাতন করছে, বন্দী করছে এবং হস্তান্তর করে দিচ্ছে ক্রুসেডারদের কারাগারে এবং তাদের নির্যাতন কেন্দ্রগুলোতে -শুধুমাত্র তাদের হোয়াইট হাউজের প্রভূদের খুশী করার জন্য, যারা সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধী ক্রুসেডার, ইসলাম এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করছে?

পাকিস্তান কি কাশ্মীরের মুসলিমদেরকে ভারতের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করার জন্য সাহায্য করছে? নাকি এর চোর প্রেসিডেন্ট, কাশ্মীরের মুজাহিদীনদেরকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিচ্ছে? পাকিস্তান কি কাশ্মীরের মুজাহিদীনদেরকে সহযোগিতা করছে নাকি তাদেরকে নির্মূল করছে এবং তাদের কর্মকান্ডকে নিষিদ্ধ করে দিচ্ছে ও গ্রেফতার করছে তাদের সদস্যদেরকে? পাকিস্তান কি -মুসলিমদের ইজ্জতের সাথে ভারত যে সীমালঙ্ঘন প্রদর্শন করছে- এর প্রতিরোধ করছে নাকি এই নিকৃষ্ট শত্রুদের সহযোগিতার জন্য তার গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানকে প্রেরণ করছে ও তথ্য পরিবেশন করছে এবং বন্ধ করে দিচ্ছে জিহাদী ও ইসলামীক সংগঠনগুলোর অফিসগুলোকে? কত লাঞ্ছনাকর এই পরিস্থিতি! কোন স্বার্বভৌম জাতি কি এটি মেনে নিতে পারে?

পাকিস্তান কি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি, নাকি এটি আবার ভারতের একটি অংশ হতে যাচ্ছে, যা ছিল ৬০ বছর আগে? এটি কি সেই পাকিস্তান সরকার নয়, যারা তাদের আকাশ সীমাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে? তারা কি অটল উপজাতীয় এলাকাগুলোতে সাধারণ মানুষ, মুজাহিদীন ভাইদের এবং যে সকল মুজাহিদীনরা সেখানে হিজরত করে এসেছে তাদের উপরে আমেরিকার গোয়েন্দা বিমান উড়তে, এমনকি সেখানে বোমা ফেলতে এবং হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য তথ্য সরবরাহ করে দিচ্ছে না?

এটি কি একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতি, নাকি এটি লাঞ্ছিত পুতুল শাসক, গাদ্দার এবং দাস ? পাকিস্তানের সরকার আমেরিকা এবং ভারতের দাবীগুলোকে পূরণ করে আসছে, যাদের লক্ষ্য পাকিস্তানের সকল মুসলিমের জানা যে, তারা পাকিস্তানের প্রকৃত জিহাদের আহ্বানের কন্ঠকে রোধ করতে, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে, একে পরিবর্তন করে নতুন শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করতে এবং পাকিস্তানের শাসকগুলোকে এমন ছাচে সাজাতে চায় যাতে তা ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্টে পরিণত হয় এবং যারা ইসলাম এবং জিহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং মুসলিম ও মুজাহিদীনদেরকে শিকার করবে।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত করার কারণ ছিল- ভারত উপমহাদেশের (বর্তমান ভারত,পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) মুসলিমেরা বুঝতে পেরেছিল যে, এটি তাদের জন্য সম্ভব নয়, যে একই দেশে অমুসলিম হিন্দুদের সাথে সহবস্থান করা, যাদের অধিকাংশরাই মুসলিমদের উপর জুলুম করত, এছাড়াও -মুসলিম ও হিন্দু- তাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে আলাদা আলাদা আক্বীদা, তাদের রাজনৈতিক অথবা ভৌগলিক দিক থেকে এক সাথে থাকা সম্ভব নয়। এর মানে হচ্ছে পাকিস্তানের অর্থ বোঝানো হত ‘কুফরের সাথে শত্রুতা’ এই আক্বীদার পুর্ণঃজাগরণ, যা আল্লাহ্ তা’আলার সত্য বাণীর দ্বারা বোঝা যায়,

“হে ঈমানদার বান্দারা, তোমরা ঈমানদার ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে কাফেরদের নিজেদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না; তোমরা কি আল্লাহ্ তা’আলার কাছে তোমাদের বিরুদ্ধে (কোনো) সুস্পষ্ট প্রমাণ তুলে দিতে চাও?” [সূরা নিসাঃ ১৪৪]

এবং “(হে রাসূল!) আল্লাহ্ তা’আলা ও পরকালের ওপর ঈমান এনেছে এমন কোনো সম্প্রদায়কে তুমি কখনো পাবে না যে, তারা এমন লোকদের ভালোবাসে যারা আল্লাহ্ তা’আলা ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, যদি সে (আল্লাহ বিরোধী) লোকেরা তাদের পিতা, ছেলে, ভাই কিংবা নিজেদের জাতি গোত্রের লোকও হয় (তবুও নয়); এ (আপোসহীন) ব্যক্তিরাই হচ্ছে সেসব লোক, যাদের অন্তরে আল্লাহ্ তা’আলা ঈমান (-এর ফয়সালা) এঁকে দিয়েছেন এবং নিজস্ব গায়বী মদদ দিয়ে তিনি (এ দুনিয়ায়) তাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছেন; কেয়ামতের দিন তিনি তাদের এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে; (সর্বপরি) আল্লাহ্ তা’আলা তাদের ওপর প্রসন্ন হবেন এবং তারাও (সেদিন) তাঁর ওপর সন্তুষ্ট হবে; এরাই হচ্ছে আল্লাহ্ তা’আলার নিজস্ব বাহিনী, আর হাঁ, আল্লাহর বাহিনীই (শেষতক) কামিয়াব হয়।” [সূরা মুজাদালাহ্ঃ ২২]

সুতরাং, পাকিস্তান কি আজ এই অবস্থায় আছে, নাকি এটি আমেরিকান ক্রুসেডারদের অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হয়েছে, যারা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে? যদি পাকিস্থান (বর্তমান পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) যা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের জন্য, আল ওয়ালা অর্থাৎ মুসলিমদের প্রতি বন্ধুত্ব (অথচ ৭১’ এ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বিভক্তি হয়) ও আল বারা (কাফেরদের প্রতি শত্রুতা) প্রকাশ করার জন্য, অথচ পাকিস্থান অস্থিত্বে আসার পর ৬০ বছর অতিক্রম হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনও কেন এর কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি?

এই দেশ না ইসলামিক শরীয়া অনুযায়ী পরিচালিত হয়, না দেশ পরিচালনার সময় শারিয়ার দিকে তাকানো হয়, না একে একমাত্র কর্তৃত্বের অধিকারী হিসেবে অনুমোদন দেয় -যার উপরে অন্য কোন কিছুকেই প্রাধান্য দেয়া যায় না; এই দেশ মুসলিমদের নিরাপত্তা না দিয়ে, বরং তাদেরকে হত্যা এবং তাদের সম্পদগুলোকে লুট করছে এবং কাফিরদের সাথে শত্রুতার ঘোষণা না করে, বরং তাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব মুসলিমদের বিরুদ্ধে সর্ব প্রকারের সহযোগিতা প্রদান করছে। এই সকল বিষয় কি আমাদের আহ্বান করে না, তাদের ব্যাপারে পূনর্বিবেচনা করতে ও তাদেরকে সাহায্য করা বন্ধ করতে এবং অনুসন্ধান করতে কিভাবে এর প্রতিকার বের করা যায়?

এত কিছুর পরও কি “পাকিস্তানের মূলনীতি”-এর কোন কিছু অবশিষ্ট রইল? আগ্রাসী বাহিনীকে আমাদের ভূমি থেকে বের করার জন্য এবং তাদের নিযুক্ত পুতুল শাসকদের থেকে আমাদের ভূমিকে পবিত্র করার জন্য কুরআনে দেয়া আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে সমাধান হচ্ছে-জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ ।

আল্লাহ্ তাআলা বলেন,

“হে মানুষ তোমরা যারা (আল্লাহ্ তা’আলার ওপর) ঈমান এনেছো, এ কি হলো তোমাদের! যখন তোমাদের আল্লাহ্ তা’আলার পথে (জিহাদে) বের হতে বলা হয়, তখন তোমরা যমীন আঁকড়ে ধরো; তোমরা কি আখেরাতের (সমৃদ্ধির) তুলনায় (এ) দুনিয়ার জীবনকেই বেশী ভালোবাসো, (অথচ) পরকালে (হিসেবের মানদন্ডে) দুনিয়ার জীবনের এ ভোগের উপকরণ নিতান্তই কম। তোমরা যদি (কোনো অভিযানে) বের না হও, তাহলে (এ অবাধ্যতার জন্যে) তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দেবেন এবং তোমাদের অন্য এক জাতি দ্বারা বদল করে দেবেন, তোমরা কিন্তু তাঁর কোনোই অনিষ্ট সাধন করতে পারবে না, (কারণ) তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।” [সূরা তাওবাঃ ৩৮-৩৯]

এখানে আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, জিহাদী অথবা যারা জিহাদ করেন না, ঐ সকল সংগঠনগুলোর কাছে, যারা পাকিস্তানী সরকারের বিরুদ্ধে দাড়ানো এবং তার যুলুমের বিরোধীতা করার পরিবর্তে, তার অধীনে লাঞ্চণাকর অবস্থায় থাকাকে মেনে নিয়েছেন, এবং যাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ এর বৈধতাকেও স্বীকার করে থাকেন। যাদেরকে এখনো পর্যন্ত সন্ত্রাসী অথবা আল-কায়েদা ও তালেবানদের সহযোগিতাকারী হিসাবে আখ্যায়িতও করা হয়নি। এই দৃষ্টিভঙ্গি কি তাদের কোন কাজে এসেছে অথবা পাকিস্তানের পুতুল সরকার -যে তার প্রভূ আমেরিকার কথা মত চলে- সে কি তাদেরকে গ্রেফতার, বন্দী এবং তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করা শুরু করে নি? এটি কি মহান আল্লাহ্ তা’আলার সেই প্রতিশ্রুত বাণী নয়, যা তিনি বলেছেন, “ইহুদী ও খৃস্টানরা কখনো তোমার ওপর খুশী হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি তাদের দ্বীনের অনুসরণ করতে শুরু করো (তখনই এরা খুশী হবে…।” [সূরা বাকারাহ্ঃ ১২০]

জিহাদ কি আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে প্রত্যেকের উপর ফরজ দায়িত্ব নয়, যেভাবে এটি কাশ্মীরে ফরজ হয়েছে? [যদি তাই হয়] তাহলে কেন আমরা আমাদের দূর্বল ও মজলুম ভাইদেরকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসছি না?

হে আমার মুসলিম ভাইয়েরা!

এই উভয় প্রকারের সংগঠনগুলো যারা পাকিস্তানে অথবা অন্য কোথায়ও আছেন! বরকতময় এই জিহাদের কাফেলার সাথে শরীক হউন, যা বাধা-প্রতিবন্ধকতা মুক্তভাবে যুদ্ধাপরাধী খ্রীষ্টান ক্রুসেডার এবং এর নিযুক্ত দালাল- জালেম শাসকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে।

হে পাকিস্তানের মুসলিম ভাইয়েরা!

বস্তুতঃ তারা তোমাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে এবং এই বিশ্বাসঘাতকতা প্রমাণিত হয়েছে এবং পাকিস্তানকে ধ্বংস করে ফেলেছে, পাকিস্তানের সরকার হচ্ছে বিশ্বাসঘাতক আর এর সেনাবাহিনী হচ্ছে মুসলিমদের হত্যাকারী।

সুতরাং এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে উঠে দাড়ান! ঐ সকল সত্যনিষ্ঠ আলেমদের সাথে থাকুন, যারা এ সকল শাসকদের সামনে মাথা নত করে না। এটি সত্যনিষ্ঠ আলেমগণের উপর আবশ্যক একটি দায়িত্ব যে, তারা সাধারণ জনগণকে দিক-নির্দেশনা দেবে এবং তাদেরকে পরিষ্কার ধারণা দিবে গণতন্ত্রকে বর্জন করে একমাত্র কর্তৃত্ব চলবে “শারিয়াহ্” এর মাধ্যমে এবং একইভাবে ঐ আক্বীদার সম্পর্কে যা মুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব এবং কাফেরদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ও শত্রুতার প্রকাশ করে।

হে পাকিস্তানের মুসলিম ভাইয়েরা!

মুজাহিদীন ভাইদের সারিতে যোগদান করুন! তাদেরকে সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করুন। তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন এবং তাদের পক্ষে উঠে দাড়ান। তাদেরকে সহায়তা করা এবং তাদের সাথে সারিবদ্ধ হয়ে জিহাদ করা থেকে পিছিয়ে পড়ে থাকবেন না।

“হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা সবাই আল্লাহার (দ্বীনের) সাহায্যকারী হয়ে যাও, যেমনি করে মারইয়াম পুত্র ঈসা (তার) সংগী সাথীদের বলেছিলো, কে আছো তোমরা আল্লাহর (দ্বীনের) পথে আমার সাহায্যকারী? তারা বলেছিলো, হাঁ, আমরা আছি আল্লাহর (পথের) সাহায্যকারী, অতপর বনী ইসলাঈলের একটি দল (সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার ওপর) ঈমান আনলো, আরেক দল (তা সম্পূর্ণ) অস্বীকার করলো, অতপর আমি (অস্বীকারকারী) দুশমনদের ওপর ঈমানদারদের সাহায্য করলাম, ফলে (যারা ঈমানদার) তারাই বিজয়ী হলো।” [সূরা আস-সাফঃ ১৪]

অবশেষে, আমরা ভারতের সরকারের প্রতি সংক্ষিপ্ত সতর্কবাণী পাঠাচ্ছিঃ মুজাহিদীনরা কখনও তোমাদেরকে মুসলিম ও তাদের ভূমি পাকিস্তানকে দখল করতে দিবে না। তোমরা যদি তারপরও গোড়ামী কর তবে জেনে রাখ, মহান আল্লাহর ইচ্ছায়, তোমাদেরকে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে এবং অবশেষে তোমরা এর জন্য চরম আফসোস করবে।

আমরা সমস্ত মুসলিম উম্মাতকে আহবান করব এবং আল্লাহর ইচ্ছায় মুজাহিদীন ও ফিদায়ী বাহিনী তোমাদের অর্থনৈতিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতে আঘাত হানবে যতদিন না তোমরা ধ্বংস ও দেউলিয়া হয়ে যাও; যেমনটি আমেরিকা এখন ধ্বংস ও দেউলিয়া হওয়ার পথে।

বম্বের সাহসী বীর শহীদেরা (আল্লাহ তাদের উপর রহমত বর্ষণ করুন) তোমাদের ভূমির মধ্যে আক্রমণ করেছে ও তোমাদেরকে লাঞ্ছিত করেছে, আল্লাহর শক্তি এবং সাহায্যে তোমরা আমাদের কাছ থেকে তাই দেখেতে পাবে যা তোমরা ঘৃণা কর । । আল্লাহর ইচ্ছায় এই মুসলিম উম্মাহ্ এ রকম আরও হাজারো বীর মুজাহিদ তৈরি করতে সক্ষম। এবং তোমরা যদি তোমাদের সংখ্যাধিক্যের দ্বারা প্রতারিত হও, তাহলে মনে রেখ, আমরা কখনো সংখ্যা দিয়ে যুদ্ধ করি না।

তোমরা যদি তোমাদের শক্তি এবং সামর্থ্যরে দ্বারা প্রতারিত হও, তাহলে জেনে রাখ, তোমরা ততটা শক্তি এবং সামর্থ্যশালী নও, যতটা ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের, যারা আফগানিস্তানের পাহাড়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে চুর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। না তোমরা আমেরিকার মত ততটা শক্তিশালী, যার নাকের চূড়াকে আল্লাহ্ তা’আলার শক্তি এবং সাহায্যের দ্বারা আফগানিস্তান, ইরাক এবং সোমালিয়ার ধূলা-বালিযুক্ত মাটির মধ্যে মিশিয়ে দিয়েছি । অবশ্যই, আমরা একমাত্র আমাদের রব মহান আল্লাহ্ তা’আলার শক্তির উপরই ভরসা করে থাকি, যিনি কারো থেকে জন্ম গ্রহণ করেননি এবং তিনি কাউকে জন্মও দেননি, যার সাথে কাউকে তুলনা করা যায় না। যিনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন, তাঁর নাযিলকৃত বাণীতে, “… আল্লাহর সাহায্যে কত ক্ষুদ্র দল বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে, (কেননা) আল্লাহ্ তা’আলা ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন।” [সূরা বাকারাঃ ২৪৯]

“…আল্লাহ্ তা’আলা (সব সময়ই) স্বীয় ইচ্ছা বাস্তবায়নে ক্ষমতাবান, যদিও অধিকাংশ মানুষ (এ কথাটা) জানে না।” [সূরা ইউসূফঃ ২১]

আমার শেষ কথা হচ্ছে- সমস্ত প্রশংসার মালিক একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলার, যিনি সকল সৃষ্টির প্রভূ। এবং দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ এর উপর, তাঁর পরিবারে উপর এবং তাঁর সাহাবীগণের উপর।

আল্লাহর রাসূলের হিফাজতে নিয়োজিত

মুহাম্মাদ বিন মাসলামার বাহিনীরা আজ কোথায়?

আস-সাহাব মিডিয়া- ১৪৩০

***********

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 11 =

Back to top button