আন-নাসর মিডিয়াআল কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ (AQIS)তানজীমবার্তা ও বিবৃতিবার্তা ও বিবৃতি [আন নাসর]মিডিয়া

প্রেস রিলিজ || হযরত মাওলানা সূফী মুহাম্মদ রহ. ও হযরত মাওলানা নুরুল হুদা রহ. এর মর্মান্তিক বিদায়! || বাংলা অনুবাদ

بسم الله الرحمن الرحيم
مؤسسة النصر
تقدم

حضراتِ’مولانا صوفی محمد‘ اور’مولانا نور الہدیٰ ‘﷮ کا سانحۂ رحلت
আল-কায়েদা উপমহাদেশ
হযরত মাওলানা সূফী মুহাম্মদ রহ. ও হযরত মাওলানা নুরুল হুদা রহ. এর মর্মান্তিক বিদায়!

প্রেস রিলিজ
[বাংলা অনুবাদ]
للمشاهدة المباشرة والتحميل
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading
ডাউনলোড করুন
image 2
https://banglafiles.net/index.php/s/S5saZCzLa23CaL2
https://archive.org/download/shaikhain-rihlat-aqs-1/ShaikhainRihlat-AQS-2.jpg
https://www.file-upload.com/jrhwql4uhe19
————-
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ বাংলাদেশ শাখা
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]

—————————————-

الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه ومن والاه، أما بعد

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবায়ে কেরাম ও যারা তাঁর সাথে বন্ধুত্ব করেছেন তাদের প্রতি৷

হামদ ও সালামের পর—

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা এরশাদ করেন-

إنما يخشى الله من عباده العلماء

“আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে তাঁকে একমাত্র তারা-ই ভয় করে, যারা ইলমের অধিকারী৷” (সুরা ফাতির: ২৮)

আমরা সমস্ত উম্মতে মুসলিমাহ, বিশেষ করে পাকিস্তানে বসবাসকারী ঈমানদারগণ হযরত মাওলানা সূফী মুহাম্মদ ও হযরত শাইখুল হাদিস মাওলানা নুরুল হুদা (রহিমাহুমাল্লাহ) এর মৃত্যুতে তাদের প্রতি ও তাদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি৷ আল্লাহ তা‘আলা তাদের উভয়ের প্রতি রহম করুন, তাদের মর্যাদা বুলন্দ করুন, তাদের কবরগুলোকে নূর দ্বারা ভরিয়ে দিন এবং তাদের হাশর-নাশর আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম, সিদ্দিকীন, শুহাদা ও সালেহীনদের সাথে করুন৷ আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন৷

হযরত মাওলানা সূফী মুহাম্মদ সাহেব ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ জিহাদি ব্যক্তিত্ব৷ তিনি তার যৌবন বয়সে আগ্রাসী রুশদের মোকাবেলা করার জন্য জিহাদের উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানে তাশরিফ নিয়ে যান৷ আফগানিস্তানে মুজাহিদদের আক্রমণে রুশদের পশ্চাদপসরণের পর মাওলানা সূফী মুহাম্মদ সাহেব পুনরায় পাকিস্তানে তাশরিফ নিয়ে আসেন এবং সেখানকার শরীয়াহ বাস্তবায়নের মোবারক মেহনতে সক্রিয়ভাবে যোগদান করেন৷ তিনি শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে সেই মেহনতের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পদ্ধতির বিরোধিতা করেন ও এ কথার উপর জোর দেন যে, এই পদ্ধতির মেহনত দ্বারা বাতিল ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করা যেতে পারে; কিন্তু তা পরিবর্তন করা অসম্ভব৷ এরপর তিনি ইমারতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানে মার্কিনী হামলার মোকাবেলা করার জন্য পুনরায় আরেকবার নিজের যোগ্যতা, উপায়–উপকরণ ও জান নিয়ে আফগানিস্তানে পৌছেন ও জিহাদে অংশগ্রহণ করেন৷

মাওলানা সূফী মুহাম্মদ রহ. জীবনের লম্বা সময় পর্যন্ত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরীয়াহ বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যান৷ এরই মধ্যে যখন সোয়াতের মুজাহিদগণ শরীয়াহ বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানান, তখন তিনি সোয়াতের মুজাহিদদের সঙ্গ দেন৷ জীবনের ক্লান্তিলগ্নে বার্ধক্যতা সত্ত্বেও তিনি শরীয়াহ বাস্তবায়নের মোবারক মেহনতে নিমগ্ন থাকেন এবং সে বয়সে তাকে শরীয়াহ বাস্তবায়নের দাবি জানানো ও জিহাদ ফি-সাবিলিল্লাহর অপরাধে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনী গ্রেফতার করে৷

কয়েক বছর কারাভোগের কারণে হযরত প্রচন্ডভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হযরতের আবার প্রাণনাশ না হয়ে যায় এই আশংকায় জনপ্রতিরোধের ভয়ে পাকিস্তানী সরকার ও সেনাবাহিনী তাকে মুক্ত করে দেয়৷ কিন্তু জেলখানায় হযরতের উপর বয়ে যাওয়া কষ্টের তীব্রতার কারণে তার অসুস্থতা ক্রমশ অধঃপতনের দিকেই যেতে থাকে এবং দীর্ঘদিন অসুস্থতায় ভোগার পর হযরত মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর সাথে গিয়ে মিলিত হন৷ আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি সুপ্রশস্ত রহমত বর্ষণ করুন৷

শাইখুল হাদিস মাওলানা নুরুল হুদা সাহেব ছিলেন একজন খোদাভীরু, আল্লাহর আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাভরে মনোনিবেশকারী, হাজারো বাঁধা-বিপত্তি ও পরীক্ষা সত্ত্বেও জনসম্মুখে সত্যপ্রকাশে আপোষহীন এক সত্যান্বেষী আলেম৷ হযরত রহ. উম্মতে মুসলিমাহর মধ্যকার বিরোধমূলক সম্পর্কের অবসান ঘটানোর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছেন৷ জিহাদের জন্য ও জিহাদের নুসরতের জন্য নিজের জান-মাল, নিজের বক্তৃতা ও কলমকে ওয়াকফ করে দিয়েছেন৷ মাওলানা নুরুল হুদা সাহেব রহ. এমন সময় জিহাদ ও কিতালের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন এবং ইস্তেশহাদী ও ফিদায়ী হামলার শরয়ী হুকুম বর্ণনা করেছেন, যখন সরকারী ও দরবারী বক্তব্যসমূহের মাধ্যমে এই মহান জিহাদি কাজ আঞ্জামকারীদের তিরস্কার ও নিন্দা জ্ঞাপন করা হত এবং এ কাজটিকে মার্কিনীদের ইশারায় অবৈধ ও হারাম বলে আখ্যা দেয়া হত৷

মাওলানা নুরুল হুদা সাহেব রহ. এর জীবন ও মৃত্যু-ই এ কথার প্রমাণ বহন করে যে, মানুষের হায়াত-মউত এবং সুখ-শান্তি ও দুঃখ-কষ্টের একক মালিক হচ্ছেন এক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন৷ মেকি বক্তব্যসমূহে স্বাক্ষর না করে তিনি এ কথা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার-ই এবং প্রত্যেকের মৃত্যুর সময়ও পূর্ব নির্ধারিত৷ মাওলানা নুরুল হুদা সাহেব রহ. এর বিষয়টি হযরত খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ [রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু] এর নিম্নোক্ত অমিয় বাণীর ভাবার্থকে সত্যায়ন করে যে, “আমি সারা পৃথিবীর সকল কাপুরুষদের বলছি, যুদ্ধ (জিহাদ) মানেই মৃত্যু নয়৷ যুদ্ধ (জিহাদ) মানেই যদি মৃত্যু হত, তাহলে আমি খালিদ আজ বিছানায় পড়ে মৃত্যুবরণ করতাম না৷” আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি সুপ্রশস্ত রহমত বর্ষণ করুন৷

এ দুই হযরতের জীবন এ কথার স্বাক্ষী যে, যদি আল্লাহর দ্বীনকে বুলন্দ করার মেহনত করা এবং যে ভূখণ্ডে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠিত হয়নি, সেখানে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার আহবানে লাব্বাইক বলা মানুষের মৃত্যুর কারণ হত, তাহলে মাওলানা সূফী মুহাম্মদ সাহেব এবং মাওলানা নুরুল হুদা সাহেব নিজেদের স্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে ইন্তিকাল করতেন না৷

হযরত মাওলানা সূফী মুহাম্মদ সাহেব এবং মাওলানা নুরুল হুদা সাহেবের জিহাদি প্রচেষ্টা এবং শরীয়াহ বাস্তবায়নের মেহনতের মধ্যে উলামায়ে কেরামদের জন্য সত্য প্রকাশের দুঃসাহস প্রদর্শন ও সত্য বয়ান করার সবক রয়েছে৷ এ দুই বার্ধক্যে উপনীত মুজাহিদ হযরতের জীবন বৃদ্ধদের জন্য প্রেরণাদান এবং যুবকদের জন্য আত্মমর্যাদাবোধের পয়গাম বহন করে৷ আল্লাহ তা‘আলা এ দুই হযরতের উপর রাজি হয়ে যান এবং ঈমানদারদেরকে শরীয়াহ’র বসন্তকাল দেখানোর জন্য উলামায়ে কেরাম, দ্বীনের দাঈ ও মুজাহিদদেরকে বিশেষভাবে এবং সাধারণ মুসলমানদেরকে সাধারণভাবে নিজেদের যোগ্যতাকে ব্যবহার করার তাওফিক নসিব করুন, আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন৷

وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين، وصلى الله على نبينا محمد

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =

Back to top button