আকিদা-মানহাজআর্কাইভআল কিতাল বাংলা মিডিয়াউস্তাদ আহমাদ ফারুক রহিমাহুল্লাহপাকিস্তানপাকিস্তান আর্কাইভবই ও রিসালাহমিডিয়াহযরত উলামা ও উমারায়ে কেরাম

মালালার প্রতি এতো সহমর্মিতা কেন? – উস্তাদ আহমাদ ফারুক হাফিজাহুল্লাহ

মালালার প্রতি এতো সহমর্মিতা কেন?

– উস্তাদ আহমাদ ফারুক হাফিজাহুল্লাহ

ডাউনলোড করুন

https://archive.org/download/Malaladrama/Malala.pdf

https://www.mediafire.com/file/p2e4ogrm3uou3p9/Malalar_proti.pdf/file

https://archive.org/download/alqitalmedia_201910/Malalar%20proti.pdf

মালালার প্রতি এত সহমর্মিতা কেন?

উস্তাদ আহমেদ ফারুক হাফিজাহুল্লাহ

আল কায়েদার প্রধান, পাকিস্তান

সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌ তায়ালার জন্য, দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর এবং তার পরিবারবর্গ ও সাহাবায়ে কেরামের উপর অতপর ..

আমার প্রিয় পাকিস্তানী ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্‌

কিছুদিন ধরে পাকিস্তানী শাসকবর্গ, সেনাবাহিনী, পশ্চিমা এনজিও সংস্থা, তথাকথিত মানবাধিকার সংঘ এমনকি আমেরিকান প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং মুরতাদ শাসক হামিদ কারজাইসহ সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোয়াতের অধিবাসী মালালার জন্য সহমর্মিতা ও দুঃখ প্রকাশ করে আসছে। কেমন যেন আমেরিকান প্রশাসন ও তাদের সহযোগী মুরতাদ সেনাপ্রধানদের অপকর্ম ঢাকার জন্য একটি ইস্যু হাতে এসেছে। এ জন্যই তারা এ ঘটনা দ্বারা পরিপূর্ণ ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। তবে সত্য কথা হল মিথ্যা ঘটনাকে বার বার পুনরাবৃত্তি করে বাস্তবতাকে আড়াল করা যায় না। বাস্তবতা সম্পর্কে অবগত লোকেরা এ প্রশ্ন না করে পারছে না, যে মালালার প্রতি সহমর্মিতা ও দুঃখ প্রকাশকারী লোকেরা এ সময় কোথায় ছিল যখন বোন আফিয়া সিদ্দিকী কে তার মাছুম বাচ্চাসহ বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

ওহে ! আমেরিকান শাসকবর্গ ও মানবাধিকারের ধজাধারীগণ আমাদেরকে এ কথা বুঝিয়ে দাও যে আফিয়া সিদ্দিকীকে বন্দি করা এবং তার মাছুম সন্তান ও তাঁকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা এগুলো কি বৈধ ছিল? আর মালালার গায়ে একটি গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারণে এত তোলপাড় ও হৈ চৈ শুরু হয়ে গেল। আর আফিয়া সিদ্দিকী কে আমেরিকার কাছে বিক্রয়কারীরাও এ কথার জবাব দাও যে আফিয়া সিদ্দিকী কি এ জাতির সন্তান নয়? আফিয়া সিদ্দিকীকে আমেরিকার হাতে বিক্রয় করে ডলার দিয়ে পকেট কি তালেবানরা পূর্ণ করেছিল? নাকি পাকিস্তানী সেনাবাহিনী?

মালালার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশকারীরা সে সময় কোথায় ছিল! যখন লাল মসজিদের জামিয়া হাফসায় আক্রমন করে অনেক মাছুম মা বোনদের হত্যা করা হয়েছে এবং জামিয়া হাফসা মাদ্রাসার উপর বৃষ্টির মত গোলাবারুদ বর্ষণ করা হয়েছে এবং বোরকা পরিহিত মা বোনদের টার্গেট করে করে গুলি করা হয়েছে। তাদের জন্যও কি পাকিস্তানী শাসকবর্গ আফসোস করেছিল? এবং সে হামলার প্রতি নিন্দা জানিয়েছিল? এবং নারী অধিকার সংঘের নামে আমেরিকার দালালেরা সহমর্মিতা দেখিয়েছিল?

মালালার প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শণকারী পাকিস্তানী জেনারেল ও সেনাপ্রধানদের এ সহমর্মিতা ও ভালবাসা তখন কোথায় ছিল যখন বাংলাদেশের মত ভূখন্ডে হাজারো অসহায় মা বোন পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে ধর্ষিত হয়েছিল?

এয়ারকন্ডিশনের নিচে বসে সহমর্মিতা প্রদর্শনকারীরা তখন কোথায় থাকে যখন গরীব অসহায় মা যে ভিক্ষা করে তার সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতো পরিশেষে সন্তানকে এতিম ফেলে রেখে পরপারে পাড়ি জমিয়েছে। আরাম আয়েশে বিভোর শাসকেরা এ সকল এতিম শিশুদের খবর নিয়েছে কি? মালালার প্রতি দরদী লোকেরা এ সময় কোথায় ছিল, যখন সোয়াতের ওয়াজিরস্তানের হাজারো বসতবাড়ী উজার করা হচ্ছিল এবং পাকিস্তানের নাপাক সেনাবাহিনী নারী, শিশু, বৃদ্ধ সহ যাচাই বাচাই ছাড়াই জনবসতির উপর ভারী গোলাবারুদ বর্ষণ করেছিল?

এ সকল হাজারো মালালার জন্য কে আফসোস ও পরিতাপ করেছিল? কে রাজপথে মিছিল করতে নেমেছিল? কিন্তু যখনই বৃটেনের প্রচার মাধ্যম বিবিসি এর সাথে মিলে পর্দা, জিহাদ ও শরীয়তের বিধি বিধানের বিরোধীতাকারী এক মেয়ে আক্রান্ত হয়েছে তখন তার শোকে আমেরিকা থেকে শুরু করে পাকিস্তান পর্যন্ত হৈ চৈ ও শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এক এক মিডিয়াগুলো নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিশেষে এর কারণ কি?

লাল রক্ত কি শুধু মাত্র মালালার গায়েই ছিল? আর আমেরিকানদের ড্রোন আক্রমনে নিহত শিশুদের শরীরে কি পানি প্রবাহিত হয়? মালালার শরীর থেকে কিছু রক্ত প্রবাহিত হওয়ার মানেই কি পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া? আর সোয়াতের হাজারো নিরিহ মা, বোন ও বাচ্চাদের উপর বম্বিং হওয়া ও জামিয়া হাফসায় নিরিহ নারী, শিশুদের হত্যা করা এগুলো কি কোন বিষয়ই নয়? এটা কেমন মানবতা

এটা কেমন দৃষ্টিভঙ্গি ও দ্বিমৃখী চরিত্র?

পরিশেষে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বাণী দিয়ে শেষ করছি, তিনি সত্যই বলেছেন-

“যদি তোমার লজ্জা না থাকে তবে যা ইচ্ছা করতে থাক”।

আল্লাহ্‌ (সুবঃ) তায়ালা আমাদেরকে ফেতনার এ ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন এবং মিথ্যার এ ঝড়ো হাওয়ার মাঝে সত্যকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন।

অনুবাদ-আল কিতাল বাংলা মিডিয়া

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =

Back to top button